ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায়

আসসালামু আলাইকুম, ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন যেমন ডায়াবেটিস কি? সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস ধরা হয়। ডায়াবেটিস কেন হয় ? কিভাবে নিরাময় হবে?ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন। উক্ত প্রশ্নের সমাধান হিসেবে ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায়, ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিরাময় ইত্যাদি বিভিন্ন সমাধান নিম্নে আলোচনা করেছি।
ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায়
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি ডায়াবেটিস থেকে নিস্তার পেয়ে সুস্থ সবল ও প্রানোবন্ধক জীবন উপভোগ করবেন। এজন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস নামক রোগ মহামারী হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটা ঘরে ঘরে একজন হলে ও আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির খুব সহজে কিডনি, হার্ট অ্যাটাক চোখ, ক্যান্সার, লিভার, গ্যাস্ট্রিক, ফুসফুস ও শরীরের বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওয়ারের সম্ভাবনা করে তোলে।

এছাড়া খুব সহজে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেল। ইনসুলিন হল একটি কোষ যা আমাদের শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি হতে প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস আমাদের শরীরের ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে ফলে গ্লুকোজ বা সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার কিছু প্রমাণিত উপায়, সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস, কত হলো ঔষধ খেতে হবে, কত হলে মানুষ মারা যায়, ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, কত পয়েন্ট ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নিতে হবে এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজ আমি আলোচনা করব।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ডায়াবেটিস নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো সঠিক সমাধান পাবেন এবং সুস্থ সবল প্রানোবন্ধক ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।

ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায়

ডায়াবেটিস নামক এই মহামারী থেকে আমরা সকলে নিস্তার পেতে চাই এর জন্যই আমি আপনাদের জন্য ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি অবশ্যই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবেন।

করলা
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য করলা যেন একটি আশীর্বাদ। রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকার কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে করলা খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভিতর এর মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়া ইনসুলিন নিঃসরণ বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে করলা।

নিয়মিত তিন থেকে চারটি মাঝারি সাইজের করলার রস তৈরি করে সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন এতে খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের মধ্য আপনি ডায়াবেটিস থেকে আজীবনের জন্য মুক্ত হবেন।

ওজন ঠিক রাখা
ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ। ওজন বৃদ্ধির ফলে শুধু আমাদের ডায়াবেটিস নামক রোগ হয় না এর ফলে আরও বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞদের মতে কোন ব্যক্তি যদি সঠিক নিয়মে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে তাহলে তার ৭০% ডায়াবেটিস নিরাময় হয়ে যায়। এজন্য আমরা অবশ্যই নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবো।
নিয়মিত হাটাহাটি করা
ডায়াবেটিস আজীবনের জন্য নিজের শরীর থেকে দূর করার জন্য নিয়মিত হাঁটাচলা করা অত্যন্ত জরুরী। নিয়মিত হাঁটাচলা শুধু আপনাকে ডায়াবেটিসটা নামক রোগ থেকে দূরে রাখবে না বরং আপনার শরীরকে সুস্থ সবল ও প্রানো বন্ধক সবসময় রাখবে।

ডায়াবেটিস স্পেশালিস্ট ডক্টর রাজিব হোসেন সিজার এর মতে, নিয়মিত অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটাচলা করলে খুব সহজেই আপনি আপনার মরণব্যাধি রোগ ডায়াবেটিস থেকে নিস্তার পাবেন।

শস্যজাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সকলের নাস্তা পুষ্টিকর অত্যন্ত জরুরি। আমরা ডায়াবেটিস রোগীরা সকালের নাস্তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকি যার ফলে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে না। সকালে নাস্তা হিসেবে আমরা শস্যজাতীয় খাদ্য রাখতে পারি যেমন ওটস মিল ব্রাউন রাইস ভুট্টা বার্লি বাজরা ইত্যাদি।

এগুলো আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সুগার বের করতে সহায়তা করে এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজেই নিরাময় করতে পারে।

ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা
ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে যার ভিতরে অন্যতম রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। আমরা জানি ডায়াবেটিস কতটা ভয়ংকর এবং মরণব্যাধি রোগ। ফাস্টফুড খাদ্য হিসেবে আমরা বার্গার পিজ্জা ফ্রাইড চিকেন তিলাক্ততা যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি।

যা আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ হজম ক্রিয়া ব্যাহত হৃদরোগ ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে ইনসুলিনের মাত্রা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ক্ষতি করে থাকে। ডাইবেটিস সারা জীবনের জন্য নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই ফাস্টফুড খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা
মানসিক চাপ আমাদের শরীরে সাইলেন্ট কিলার হিসেবে কাজ করে থাকে। যা নীরবে থেকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে মানসিক চাপে ভুক্তভোগী ব্যক্তি।

মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম সকালে হাঁটাচলা করা হাসিখুশি থাকা চুপচাপ না থাকা ইত্যাদি কৌশলগুলো অবলম্বন করতে পারেন এতে আপনার শরীর সুস্থ সবল ও মন প্রাণবন্তক থাকবে। এভাবে খুব সহজে আপনি ডায়াবেটিস থেকে নিস্তার পাবেন।

ধূমপান ত্যাগ করা
মানসিক চাপ ও ধূমপান এই দুইটি আমাদের শরীরে সাইলেন্ট কিলার হিসেবে কাজ করে। এই দুইটি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে অক্ষম করে তোলে। ধূমপান মানসিক এস্ট্রেস থেকে শুরু করে মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার এর মত ভয়াবহ রোগের সৃষ্টি করে থাকে এছাড়া ডায়াবেটিস তো রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য মরণব্যাধি রোগ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই ধূমপান খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকলে শরীরের ৬০% রোগ এমনি নিরাময় হয়ে যায়।

মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিহার করা
ডায়াবেটিস অর্থই হলো রক্তের সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য যেমন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি , মিষ্টি দই কোলড্রিং বা কোমল পানীয় মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন ফাস্টফুড বিরিয়ানি রেড মিট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ভারী খাবার খেয়ে থাকে তাদেরই মূলত ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ এবং ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ডক্টর এ কে আজাদ খান এর মতে বর্তমানে অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাসের জন্য ডায়াবেটিস রোগের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই সুস্থ থাকার জন্য এবং চিরতরে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তালিকা থেকে অবশ্যই পরিহার করব।

বর্তমানে মানুষের অধিকাংশ রোগ হয় খাদ্য অভ্যাস সঠিক না থাকা বা সঠিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান না খাওয়ার ফলে। আমরা যখন যে খাবার পাই তখন সে খাবার খায় সেটা আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট ক্যালোরি যোগাচ্ছে কিনা বা পুষ্টি উপাদান যথেষ্ট কিনা তা কখনোই ভেবে দেখি না।

ডায়াবেটিস রোগ কখনোই আপনি আক্রান্ত হবেন না যদি আপনার খাদ্য তালিকা থাকে এবং খাদ্য তালিকায় পুষ্টি উপাদানের পরিমান সঠিক থাকে।

উপরোক্ত ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায় গুলো যদি আপনি সঠিক নিয়মে এবং সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনার কখনোই ডাইবেটিস থাকবে না। উপরোক্ত সকল তথ্যগুলো ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ সার্টিফাইড ডক্টরের মত অনুসারে লেখা হয়েছে।

সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস

আমরা অনেকেই জানতে চাই সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস, কত হলে তা বেশি ধরা হয় এবং ভরা পেটে বা খালি পেটে কত পরিমাণে থাকলে তা স্বাভাবিক বা বেশি এ সকল বিষয়ে আপনাদের তথ্য দেওয়ার জন্য নিম্নে আলোচনা করা হলো-
  • ব্লাড সুগার মূলত মিলিগ্রাম বা ডিসি লিটার এককে মাপা হয়। একজন স্বাভাবিক সুস্থ সবল ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আদর্শ ব্লাড সুগার অবশ্যই ৯০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম এর মধ্যে থাকে। তবে এর বেশি হলে উক্ত ব্যক্তির ডায়াবেটিস হয়েছে ধরা যায়।
  • কোন ব্যক্তি যদি ৮ ঘণ্টা খাদ্য গ্রহণে বিরত থেকে খাদ্য গ্রহণ করে এবং উক্ত ব্যক্তির ব্লাড সুগার যদি 70 থেকে 99 মিলি দেশি গ্রামে নেমে আসে তাহলে উক্ত ব্যক্তির ডায়াবেটিস কমে গেছে এবং যা স্বাভাবিক নয়।
  • একজন সুস্থ ব্যক্তি যখন খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থেকে খাবার খায় তার সুগার লেভেল অবশ্যই 140 মিলি গ্রাম ডেডি মিলিগ্রামের থাকে কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্ত একজন ব্যক্তি খাদ্য গ্রহণের পর ব্লাড সুগার অবশ্যই 180 মিলিগ্রাম বা ডিসি এর কম থাকতে হবে, ।
  • অনেক সময় ব্লাড সুগার এর লেভেল বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করে থাকে। যেমন কোনো কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে নিলে বা খাবার তালিকা সঠিক না থাকা, অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা যুক্ত খাদ্য গ্রহণ কিংবা শারীরিক গঠন ভেদে পরিবর্তন হয়ে থাকে এছাড়া বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করলে কমে যায় বা বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করলে ব্লাডর সুগার বেড়ে যায়।
  • অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলে ও ডায়াবেটিস ওঠা নামা করে যেমন হাইপ্রোগ্লাইসেমিয়া জাতীয় ঔষধ লিভার চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের সেবনকৃত বা কিংবা ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য ইত্যাদি। এজন্য যারা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বা স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে চান তারা অবশ্যই কি কারনে তা হচ্ছে তার কারণগুলো আগে জেনে নেব বা নজর দেব।
  • শারীরিক ও মানসিক চাপ বা টেনশন এবং ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি কারণগুলোও অনেক সময় ডায়াবেটিস বা সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
  • আমরা অনেকে জানি না ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি। রক্তে সুগারের পরিমাণ কম বেশি হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে যেমন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, হাঁটাচলা করতে ক্লান্ত বোধ হয়, ঘন ঘন খুদা অনুভূত হয্‌ ঘন ঘন প্রসাব হয়, হাতের বা পায়ের তালু জ্বালা করে ইত্যাদি লক্ষণগুলো হলে ডায়াবেটিসের মাত্রা কম বা বেশি হয়ে গেছে বুঝতে হবে।
  • আমাদের ডায়াবেটিস আছে কিনা কিংবা রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি না কম তা জানার জন্য আমাদের মাঝে মাঝেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ডায়াবেটিস টেস্ট করতে থাকতে হবে। ডায়াবেটিসের ভালো হওয়ার রোগ নয় এজন্য সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা ও নিয়ম মেনে চলতে হবে।
উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি কোন ব্যক্তির শরীরে সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস এবং ডায়াবেটিস হলে কিভাবে চলাফেরা করবেন এবং নিয়ম মানবেন জানতে পেরেছেন।

ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে

ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে এবং কত হলে তা স্বাভাবিক আরও অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে থেকে যায় যার সঠিক তথ্য আমরা পাইনা। এজন্যই আমি আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য উক্ত বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করলাম-
  • ভরা পেটে বা খাবার খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে সুগারের বা রক্তে সুগারের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে যা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মাত্রা যদি 7.8 এর চেয়ে বেশি হয়ে গেলে তাকে প্রিন্ট ডায়াবেটিস ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রি ডায়াবেটিস বলতে মূলত ডায়াবেটিস হওয়ার সতর্কতাকে বোঝানো হয় বা ডায়াবেটিস হওয়ার উচ্চ ঝুকিয়ে রয়েছে।
  • ডায়াবেটিসের মাত্রা ১১.১. হলে তা অবশ্যই ডায়াবেটিস হয়ে গেছে ধরা হয়। ১১.১ বা এর বেশি হলে অবশ্যই আমাদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ বা চিকিৎসকের নিয়ম অনুসারে চলাফেরা বা ওষুধ খেতে হবে।
  • খালি পেটে রক্তে সুগারের পরিমাণ মাপা হলে তা যদি ৫.৫ এর আশেপাশে হয়ে থাকে তাহলে তা সঠিক বা ভালো মাত্রা বোঝানো হয়। তবে সুগারের মাত্রা যদি 6.1 থেকে 6.9 এর মধ্যে হয় তাহলে তাকে প্রিডাইবেটিস বা টাইপ টু ডায়াবেটিস বলা যায়। এই অবস্থায় অবহেলা করলে আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন হতেও পারে।
  • একজন সুস্থ সবল ব্যক্তির যদি গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় তাহলে তার রক্তে যদি সুগারের পরিমাণ খালি পেটে 5 থেকে 6.1 এবংখাওয়ার পরে দুই ঘন্টা সময় পরে যদি ৮.৩০ নিচে থাকে তাহলে তার স্বাভাবিক। 11.1. এর বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের মতামত অনুসারে ঔষধ সেবন করতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে এবং সুগার লেভেল কত থাকলে তা ডায়াবেটিস ধরা হয়।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কখনো নিরাময় করা যায় না। এজন্য আমাদের মনে অবশ্যই আসতে পারে ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়। এটা আসলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা এবং বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম-

সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া এবং নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটি খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে হলে অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে যে সকল লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন যেমন-
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • ঘন ঘন পিপাসা লাগা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষুদা লাগা।
  • শরীরের ওজন দ্রুত কমে যাওয়া।
  • মুখের ভেতর হঠাৎ শুকিয়ে যাওয়া।
  • মুখের মাড়ি জ্বালা করা।
  • মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।
  • মুখ দিয়ে তীব্র গন্ধ বের হওয়া।
  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি।
  • বাতের ব্যথা হওয়া।
  • চোখে কম দেখা।
  • পা ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা।
  • বিভিন্ন জায়গা হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া।
  • কাটা জায়গা সহজে না শুকানো।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো আপনার শরীরে দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত আপনার রক্তে সুগারের পরিমাণ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কখনোই নিরাময় করা সম্ভব নয় যা শুধুমাত্র মেডিসিন নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন ও খাওয়া দাওয়া সঠিক রাখার মাধ্যমে কন্ট্রোলে রেখে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়।

তবে সামান্য অসতর্কতা বা খাওয়া-দাওয়া সঠিক না করলে ডায়াবেটিসের মাত্রা খুব দ্রুত ওঠানামা করে ।ডায়াবেটিসের মাত্রা ৪০ মিলিগ্রাম বা ডি এন এর নিচে হয় বা ৪০০ এমজিডিএল এর চেয়ে বেশি হলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক বিভিন্ন রকম কিডনি সমস্যা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার হয়ে আপনি মারা যেতে পারেন।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়। এজন্য অবশ্যই সতর্ক ও সঠিক নিয়ম মেনে চলাফেরা করুন এবং সুস্থ থাকুন।.

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

আমরা অনেকেই খুজি ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কিন্তু হয়তো সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকের ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি খুব সহজে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে পারবেন নিম্ন তা আলোচনা করা হলো-

শাকসবজি
নিয়মিত মৌসুমী শাকসবজি খাওয়ার ফলে খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এক কাপ পরিমাণ ভাত এবং মাছ-মাংসের পরিবর্তে বেশি পরিমাণে মৌসুমী শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার শরীর সুস্থ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মেথি
মেথিতে থাকা পুষ্টি উপাদান এবং গুনাগুন খুব সহজে আমাদের রক্তের সুগারের পরিমাণ কমাতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রাত্রে এক গ্লাস পানিতে ভেজানো এক চামচ মেথি ভেজানো পানি পান করুন। দেখবেন খুব দ্রুত এবং সহজে আপনার ডায়াবেটিস কমে গিয়েছে।
চর্বিযুক্ত মাছ
চর্বিযুক্ত মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ডি এইচ এ এবং এপিএ যা আমাদের শরীর থেকে খুব সহজে রক্তের সুগারের পরিমাণ ওজন নিয়ন্ত্রণে হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। মাছ হিসেবে আমরা সাইমন হেনরি সার্টিন ইত্যাদি মাছ খেতে পারি।

ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য
ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য যুক্ত করতে হবে অবশ্যই। ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য হিসেবে আমরা কমলা আমলকি জলপাই ইত্যাদি খেতে পারি।

ডিম
অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যায় এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ডিম শরীরের অতিরিক্ত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন নিয়মিত একটি খেতে পারবে। সেদ্ধ করার ডিম খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

মটরশুঁটি ও ব্রকলি
বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদানের ভরপুর কার্বোহাইডেটের এবং গ্লাইসেমির ইনডেক্স এর মাত্রা খুবই কম। ফলে খুব সহজেই এবং দ্রুত সময়ে ডায়াবেটিসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এজন্য ওষুধ ছাড়া খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত আপনার খাতা তালিকা রাখুন মটরসুটি ও ব্রকলি।

ডুমুর
খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভেতরে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে চাইলে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুমুর। ডুমুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিভিন্ন প্রকার গবেষণা করে বিশেষজ্ঞদের মতে ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধক এবং এর পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

ফ্লাক্সিসিডর বা তিসিবীজ
ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হাই প্রেসার এবং ইনসুলিন এর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে তিসিবীজ। নিয়মিত তিসিবীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখুন।

টক দই
টক দই থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি এবং রক্তে শর্করা মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আমের পাতা
আমের কচি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ট্যানিন এবং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার উপাদান এছাড়াও এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খুব সহজে ডায়াবেটিসের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। কচি আমের পাতা ভালো করে শুকিয়ে গুড়ো করে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পাতার গুঁড়া দিয়ে সকালে খালি পেটে ও রাত্রে খেতে পারে। এছাড়াও এক গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিনটি কুচি আমের পাতা সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

কত পয়েন্ট ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

কত পয়েন্ট ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নিতে হয়? উক্ত প্রশ্ন হয়তো আপনার ভেতরে ঘুরছে। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য পোস্টটি সম্পন্ন করার বিশেষ অনুরোধ রইলো আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই পাবেন নিম্নে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ডায়াবেটিস মূলত দুই প্রকার
  • টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর।
  • টাইপ টু ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর নয়।
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস মুলো জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এর জন্য একে অটোইমিউন রোগ ও বলা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ভিতরে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিস মূলত ইনসুলিনের কারণে হয়ে থাকে। ইনস্টল হলো আমাদের রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমানোর কাজ করে থাকে।

এই ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইনসুলিন উৎপাদন হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি কঠিন এবং এর প্রতিরোধের উপায় ও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

এজন্য টাইপ অন ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে ১২.৫ এর বেশি হয়ে গেলে বা বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাওয়ার পরেও না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন নির্ভর নয়
টাইপ টু ডায়াবেটিস মূলত বর্তমানে ৯৫% মানুষের রয়েছে। এই ডায়াবেটিসে মূলত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে ইনসুলিন কে গ্লুকোজের মাত্র কমাতে বাধা সৃষ্টি করে ফলে রক্তে অত্যাধিক পরিমাণে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি করে। একটু ডায়াবেটিস সঠিক খাদ্য অভ্যাস এবং নিয়মিত হাঁটাচলার ফলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এটা জন্য ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে কত পয়েন্ট ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নিতে হয়? উক্ত প্রশ্নের উত্তর এবং ডায়াবেটিস কি এবং কত প্রকার কিভাবে তা সৃষ্টি হয় আপনি জানতে পেয়েছেন।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা আমরা অনেকেই জানিনা। ফলে অনেক সময় যেগুলো খাবার নিষিদ্ধ সেগুলো খাবার খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়। এজন্য আমাদের অবশ্যই কি কি খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিষিদ্ধ তা জানতে। নিম্নে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হলো-

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত বা সাদা ভাত
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটযা আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বা চিনির অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ গবেষণা হতে ডক্টর বান টেন বলেছেন সাদা জাতীয় খাদ্য যেমন চিনি লবণ সাদা ভাত খাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মাত্রা ১১ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে।

এই মহামারি থেকে নিজেকে সুস্থ সবল রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার থেকে বিরত থেকে লাল চাল বা বাদামি চাল খেতে পারি।

চিনি যুক্ত খাবার
ডায়াবেটিস মূলত রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে বোঝায়। আর আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চিনে যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে। চিনিযুক্ত খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি মিষ্টি, দই, বিস্কিট, চকলেট ইত্যাদিকে বোঝায়। ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য আমরা অবশ্যই খাদ্য তালিকা থেকে এগুলো চিরতরে বাদ দেবো।

ফলের রস
প্রতিদিন সকালে নিয়মিত নাস্তা হিসেবে একগ্লাস ফলের রস আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং প্রাণ বন্ধুক রাখতে বেশ কার্যকারী। তবে এ ফলের রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিভিন্ন প্রকার ফলের রস যেমন আম কলা সবেদা আঙ্গুর আনারস তরমুজ ইত্যাদি ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি।

ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি হতে থাকে।তবে প্রতিদিন সকালেচিনি বা মিষ্টি কম রয়েছে এমন ফল দুই থেকে তিন টুকরা খেতে পারবেন।

চর্বি সমৃদ্ধ মাংস
যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়াবেটিস রয়েছে তারা সবসময় হৃদরোগ স্ট্রোক ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকিতে থাকেন।রেড মিড বা চর্বিযুক্ত খাদ্যে সকল উপাদান রয়েছে যা এ রোগ গুলো বৃদ্ধি করতে পারে। এজন্য আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত বা অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।

তবে এর বদলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমুদ্রের বা নদীর তেলযুক্ত মাছ খেতে পারেন। নদীর তেল যুক্ত মাছ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কোল্ড ড্রিংকস বা কোমল পানি
চিনি বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ডায়াবেটিস রোগের জন্য কতটা ক্ষতিকর আমরা সকলেই জানি। আমরা কি জানি কোল্ড ড্রিম বা কোমল পানি শুধুমাত্র চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এগুলো খেলে খুব সহজে হঠাৎ করে আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে।

আলু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য
আলু দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক বেশি মারাত্মক। আলু খুব দ্রুত আমাদের শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারে। এজন্য আলু তৈরি বিভিন্ন খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলুর তরকারি, আলু ভাজি ইত্যাদি।

লেখক এর মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে নিস্তার পেয়ে নিজেকে সুস্থ সফল রাখার কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে ডায়াবেটিস নামক মরণবেদী রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করুন।এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন,আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url