প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
আজকের আলোচ্য বিষয় প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত, কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ১০টি উপকারিতা, নিয়ম, কেন নিয়মিত খেলে জীবন দশায় কোন মারাত্মক রোগ হবে না ইত্যাদি আরো বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আরেকটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে কালোজিরা নিয়ে আপনার মনে যত প্রশ্ন রয়েছে তার সকল উত্তর ও সমাধান পাবেন এবং আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে পারবেন শুধুমাত্র কালোজিরা খেয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
সকল রোগের ঔষধ বলতে আমরা কালোজিরাকে বুঝি। প্রতিদিন নিয়মিত কালোজিরা খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে তাহলে কোন ব্যক্তির জীবন দশায় কোন প্রকার রোগ হলেও তা কখনো মারাত্মক রোগ হবে না।
কালোজিরাতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,ডায়রিয়া, লিভার, হৃদরোগ, জন্ডিস, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক জনিত, বদহজম, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, চুল উঠে যাওয়া, ঝরে যাওয়া, নতুন চুল না গজানো, পিঠের, ঘাড়ের মাজার ব্যাথা, যৌন সমস্যা, আঁচিল ইত্যাদির সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে কালোজিরা।
এ সকল রোগ থেকে আমাদের শরীরকে সুস্থ, সবল, বুদ্ধি বিকাশ, দৃষ্টিশক্তি, মানসিকভাবে প্রফুল্লময় রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কালোজিরা। এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকের মতে কালোজিরা মানব শরীরে সৃষ্টি বিভিন্ন ধরনের রোগের সমাধান যেমন উচ্চ রক্তচাপ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিভিন্ন রকম প্রদাহ জনিত সমস্যা ও পাকস্থলী বা হজমে উন্নতি করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই সকল স্বাস্থ্য সুবিধা ও রোগমুক্ত জীবন উপভোগ করতে আপনার প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত, বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও ওজন অনুসারে এগুলো নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- প্রতিদিন নিয়মিত কতটুকু পরিমাণে কালোজিরা খাওয়া উচিত তা মূলত ব্যক্তির, বয়স, ওজন ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।আপনি যদি প্রথম অবস্থায় কালোজিরা খাওয়া শুরু করে থাকেন তাহলে ১০ থেকে ১২ টি দানা খেতে পারেন। ধীরে ধীরে আপনি দানার পরিমাণ বাড়াতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার শরীরের অবস্থা কেমন তা বুঝে খাবেন।
- শুধুমাত্র চিবিয়ে খাওয়ার জন্য নিয়মিত হাফ চামচ পর্যন্ত খেতে পারেন। তবে আপনি যদি ভর্তা বা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে খেতে চান তাহলে পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু যদি চিবে শুধু খেতে চান তাহলে অবশ্য কোন বিশেষজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে পরিমাণ বৃদ্ধি করবেন।
- তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকবেন যেন অতিরিক্ত পরিমাণে না খায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনটি দানা নিয়মিত খাওয়াতে পারেন। যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা নিয়মিত ১০ থেকে ১২ টি দানা এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে খুব সহজে ওজন কমাতে পারেন।
- যে সকল ব্যক্তির এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই প্রথম অবস্থায় কালিজিরা খাওয়ার সময় এক থেকে দুইটি দানা খাবেন। কারণ অনেক সময় কালোজিরা খাওয়ার ফলে এলার্জি জনিত বিভিন্ন উপসর্গ অনুভূতি হতে পারে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা ও ওজন অনুসারে প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
শরীরকে সুস্থ, সবল ও বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্ত রাখতে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। নিম্নে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃকালোজিরা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্য সুস্থ ও সরল রাখে। নিয়মিত এক চামচ মধু সঙ্গে হাফ চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খান দেখুন বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে সহজে রক্ষা পাবেন।
লিভারের সুরক্ষাঃলিভারকে সুরক্ষা রাখতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে কালোজিরা। কালোজিরা তে থাকা পুষ্টি উপাদান লিভার ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী আফলাটক্রিন নামক অতি ভয়ংকর বিষ কে খুব সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
শিশুর বিকাশ ও মানসিক বিকাশঃশিশুকে শারীরিকভাবে সুস্থ, সবল মস্তিষ্কের বিকাশ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি মানসিক বিকাশ ও শিশুর দৈনিক বিকাশ এবং সঠিক সময়ে সঠিক ওজন ও উচ্চতা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে কালোজিরা। তবে কালোজিরা অবশ্যই দুই বছরের অধিক বয়সে শিশুদেরকে অল্প পরিমাণে ৪ থেকে ৫টি দানা চিবিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
ত্বকের যত্নেঃকালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লিনোলেইক ও লেনোলেনিক নামক ফ্যাটি এসিড চা আমাদের ত্বকে প্রখর রোধ ত্বকের রুক্ষতা শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে তারুণ্যময় উজ্জ্বল ও ভেতর থেকে ফর্সা করে তোলে।
চুলের যত্নেঃনিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার চুলের উজ্জ্বলতা ও গ্রোথ সবসময় বজায় থাকবে। এছাড়াও চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতা, আগা ফেটে যাওয়া, নতুন চুল না গজানো ইত্যাদি সমস্যাগুলো খুব সহজেই নিয়মিত হাফ চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দূর হয়ে যায়।
কিডনির সমস্যাঃকিডনির সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খাবার অভ্যাস করে তুললে আপনার কখনো কিডনি জনিত বিভিন্ন রোগ যেমন কিডনিতে পাথর, নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগে কখনো আক্রান্ত হবেন না।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতেঃগ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বর্তমানে নেই এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়। নিয়মিত প্রতিদিন খাওয়ার পরে ৪ থেকে ৫টি কালোজিরার দানা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে খুব সহজে আপনার খাবার হজম হবে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।
ওজন কমাতেঃকালোজিরা খুব সহজে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বা চর্বি বের করে দেয়। নিয়মিত কালোজিরা খেলে খুব সহজে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি ঝড়ে আমাদের ওজন কমে আসবে।
যৌবন ধরে রাখতেঃকালোজিরাতে থাকা পুষ্টি উপাদান মানব দেহের যৌবন ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বর্তমানে খাবারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো থাকে যার কারণে অল্প বয়সে আমাদের যৌবন হারিয়ে যায়। এ সকল ক্ষতিকর অভিশপ্ত পদার্থ খুব সহজে আমাদের শরীর থেকে কষ্ট উপাদান বের কর যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে
সংক্রমণজনিত রোগ থেকে মুক্তিঃকালোজিরা খুব সহজে সংক্রমণ জনিতরোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে যেমন সর্দি-কাশি জ্বর মাথাব্যথা গলা ব্যথা ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের। নিয়মিত কালিজিরা খেলে কখনোই সংক্রমণ জনিত বিভিন্ন রোগ আপনার শরীরে বেশি আকার ধারণ করবে না।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
সকল রোগের ঔষধ বলতে আমরা কালোজিরা কে বুঝি। নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়? উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন এবং নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- নিয়মিত সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- কালোজিরা বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে শরীরকে প্রস্তুত রাখে।
- নিয়মিত খালি পেটে কালোজিরা খেলে কালোজিরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ ও প্রানোবন্ধক রাখে।
- ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুব দ্রুত কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে কালোজিরা।
- সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু ও হাফ চামচ কালোজিরা খেলে উঁচু রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপকে স্বাভাবিক মাত্রায় খুব দ্রুত নিয়ে আসে কালোজিরা।
- কালোজিরা কোলেস্টরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- খালি পেটে মধু ও কালোজিরা একসাথে খেলে নারী ও পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- কালোজিরা ও মধু খুব সহজে কোন পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দূর করে দিতে পারে।
- রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে নিয়মিত খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খান।
- স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চাল সঠিক রাখতে।
- হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে কালোজিরা।
- পিঠে ব্যথা, হাটুতে ব্যথা, মাজায় ব্যথা, গিরায় গিরায় ব্যথা দূর করতে।
- শিশুদের মানসিক বিকাশ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি দৈহিক বৃদ্ধি ওজন অনুসারে উচ্চতা ও গঠন ঠিক রাখতে বেশ উপকার কালোজিরা।
- চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে এমন চুল উঠে যাওয়া নতুন চুল নেওয়া গজানো চুল পাতলা হয়ে যাওয়া হাগা ফেটে যাওয়া মাথায় খুশি ইত্যাদি রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- গ্যাস জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন বদহজম বিভিন্ন প্রদাহ বুক জ্বালা খুব সহজে দূর করে।
- মাথা ঘোরা,বমি বমি ভাব,অস্বস্তিকর অনুভূতি খুব সহজে দূর করতে পারি।
- ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে কালোজিরার জুরি মেলা ভার।
- মেয়েদের অতিরিক্ত বা অনিয়ম জনিত মাসিকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ জড়িত সমস্যা খুব সহজে সমাধান করে।
- কিডনি জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কালোজিরার তেল কিভাবে ব্যবহার করা হয়
কালোজিরা যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তেমনি কালোজিরা তেলে ও রয়েছে প্রচুর পুষ্টি গুনাগুন।নিম্নে কালোজিরার তেল কিভাবে ব্যবহার করা হয় এবং ব্যবহারের ফলে কি কি সমস্যা দূর হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
মাথা ব্যথা নিরাময়ঃসপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ভালো করে কালোজিরা তেল মাথায় মাসাজ করলে খুব সহজেই মাথার ব্যথা নিরাময় হয়ে যায়। এছাড়া এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কালোজিরা তেল সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেলেও খুব দ্রুত মাথার ব্যথা নিরাময় হয়।
সর্দি কাশি ও জ্বর নিরাময়ঃসংক্রমণ জনিত বিভিন্ন রোগ ও ফুলি এক চা চামচ মধু ও এক চা চামড়া তেল এক কাপ চায়ের সাথে মিশে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। এভাবে খুব সহজেই আপনার সর্দি কাশি ও জ্বর ভালো হয়ে যাবে। এক চামচ মধু এক চামচ কালোজিরা তেল ও এক চামচ তুলসির পাতা রস মিশিয়ে খান দ্রুত ফলাফল পাবেন।
বুকে, পিঠে ও ঘাড়ের ব্যথাঃবুকে পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা হলে এক চামচ মধু, এক চামচ কালোজিরা তেল, এক কাপ চায়ের সাথে ভালো করে মিশিয়ে খান। এছাড়া ঘাড়ে পিঠে ও বুকে ভালো করে কালোজিরা তেল ম্যাসাজ করুন দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার ব্যবহার করলে খুব সহজে ও দ্রুত আরাম পাবেন।
বাতের ব্যথাঃএমন একটি রোগ যার ঔষধ এখনো তৈরি হয়নি। এ ব্যথা খুব সহজে দূর করতে পারে কালোজিরা। কালোজিরার তেল যে স্থানে ব্যথা করে সেখানে নিয়মিত দিনে দুই থেকে তিনবার ভালো করে মেসেজ করুন দেখবেন খুব সহজেই আপনার বাতের ব্যথা ভালো হয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন প্রকারের চর্মরোগঃআমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ হয়ে থাকে যেমন চুলকানি, ফুসরি, ফাঙ্গাস ইত্যাদি। এ সকল সমস্যাগুলো খুব সহজে সমাধান করতে উক্ত স্থানে কালিয়া তেল ব্যবহার করুন। এছাড়া এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ কালিজার তেল ও কাঁচা হলুদ বাটার রস এক চামচ নিয়মিত সাত দিন খান দেখবেন আপনার শরীরে সকল রকমের চর্মরোগ ভালো হয়ে গিয়েছে।
হৃদ রোগ বা হার্টের সমস্যাঃহৃদ রোগ সমস্যা সমাধানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কালোজিরা তেল। নিয়মিত এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খান। এছাড়া সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দৈনিক এক থেকে দুইবার কালোজিরা তেল ভালো করে বুকে মালিশ করুন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃনিয়মিত প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুনের সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল খান এবং পুরো শরীরে কালোজিরা তেল ভালো করে ম্যাসাজ করে রোদে আধাঘন্টা বসে থাকুন। দেখবেন আপনার উত্তর রক্তচাপ দ্রুত কমে গিয়েছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃকালোজিরার তেলে আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। ফলে যাদের অতিরিক্ত ডায়াবেটিস বা নিম্ন ডায়াবেটিস রয়েছে তারা নিয়মিত কালোজিরার তেল ঢেলে খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে।
অর্শ রোগ নিরাময়ঃঅর্শ রোগ খুব সহজে নিরাময় করার জন্য নিয়মিত ১ চামচ ঘি এবং ১ চা চামচ তেল ভালো করে মিশিয়ে খালি পেটে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
গর্ভবতী মায়ের দুধের বৃদ্ধিঃযে সকল মায়েদের বুকে দুধ বাচ্চার জন্য পর্যাপ্ত নয় তাদের জন্য কালোজিরা বা কালোজিরা তেল একটি মহা ঔষধ। নিয়মিত এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা চিবিয়ে বা ভর্তা করে বা কালোজিরা তেল নিয়মিত এক থেকে দুই চামচ দৈনিক তিন থেকে চারবার খেলে মায়ের দুধের প্রবাহ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেঃবর্তমানে বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছি। এটি ধরে রাখতে আমরা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারি বা কালোজিরা তেল মুখে ভালো করে মাসাজ করতেও পারি। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লিনোলইক ও লিনোলেনিক আসানসিয়াল ফ্যাটি এসিড নামক পদার্থ যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য ও ফর্সা ফুটিয়ে তোলে।
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেঃআমরা অনেকেই চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকি কিন্তু কালোজিরা তেল চুলকে ভেতর থেকে গজাতে এবং চুলের সৌন্দর্য ও রুক্ষতা, শুষ্কতা খুব সহজে দূর করতে পারে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কালোজিরা তেল মাথায় ভালো করে মাসাজ করলে চুল পড়া খুব সহজেই বন্ধ হয়ে যায়।
আঁচিল দূর করতেঃআমাদের অনেকের শরীরে ছোট ছোট আঁচিল দেখা দেয়। এই আঁচিল গুলোতে নিয়মিত তেল দিনে দুই থেকে তিনবার মাসাজ করলে খুব সহজে আঁচিল দূর হয়ে যায়।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সঠিক ভাবে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানিনা। আজ আমি এই বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করব আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন এবং উপকৃত হবেন-
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাফ চামচ চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া এক চা চামচ মধু দিয়ে মিশেও খেতে পারেন।
- চায়ের সাথে হাফ চামচ বা এক চামচ দিয়ে খেতে পারেন
- ভাতের সাথে কালোজিরার ভর্তা তৈরি করে
- যে কোন প্রকার তরকারিতে ফোরন হিসেবে বা তরকারির ভেতরে দিয়েও খেতে পারেন।
- বিভিন্ন প্রকার ভাজাপোড়া বা পিঠা ভেতরে দিয়ে খাবার সুস্বাদু বাড়াতে পারেন।
- একটা চামচ কালোজিরা তেল ও এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রস একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর হয়।
- পুদিনা পাতার ১০ থেকে ১২ টি নিয়ে তার রস তৈরি করে এর সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- এক চামচ কালোজিরা তেল, এক চামচ তিলের তেল, এবং এক চা চামচ ঘি বা মাখন একসাথে ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতেন এক চামচ জয়তুন তেল কালোজিরা তেল ও মধু ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা যে কতগুলো তা হয়তো আমি আজ বলে শেষ করতে পারবো না। কালোজিরা এমন একটি দানাদার খাবার যা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের সমাধান হিসেবে কাজ করে। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য সংক্ষেপে কিছু কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করলাম-
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃযারা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তারা নিয়মিত কালিজিরা তেল ও ১০ থেকে ১২ টি পুদিনা পাতার নিয়ে তার রস তৈরি করে একসাথে মিশে খান। কালোজিরা তেল আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে এছাড়া মেধাবিকাশ ঘটাতে বেশ সাহায্য করে।
অর্শ রোগ নিরাময়ঃযাদের অর্শ রোগ রয়েছে এবং নিরাময় করতে চান তারা নিয়মিত এক চামচ কালোজিরা তেল, এক চামচ তিনের তেল, এবং এক চামচ মাখন বা ঘি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিতভাবে সকালে খালি পেটে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেলে খুব সহজেই এবং দ্রুত আরাম পাবেন।
যৌবন ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতেঃকালোজিরা তেল এমন এক ধরনের তেল যা নারী পুরুষ উভয়েরই যৌবন ধরে রাখতে ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে বা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তারা নিয়মিত এক চামচ, এক চামচ জয়তুন তেল, কালোজিরা তেল এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত সকালে এবং রাত্রে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনার যৌবন ও যৌন শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত কালোজিরা ও মধুর মাক্স তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ব্রণ, তেলাক্ততা, , মেস্ত, কালচে ভাব ইত্যাদি খুব সহজেই দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আমাশয় নিরাময়ঃপুরাতন আমাশয়, রক্ত আমাশয় দূর করতে নিয়মিত এক চামচ পরিমাণে কালোজিরা তেল ও দুই চামচ মধুর ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিয়মিত দিনে তিন থেকে চারবার সপ্তাহে তিন থেকে চারবার খান দেখুন আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।
জন্ডিস বা লিভারের সমস্যা নিরাময়ঃজন্ডিস বার লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে চাইলে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন এক গ্লাস ট্রিপলার শরবত ও এক চামচ কালোজিরা তেল। এই শরবত দিনে দুই থেকে তিনবার সপ্তাহে তিন থেকে চারবার খান।
সুস্থ সবল স্বাস্থ্য রাখতেঃবর্তমানে আমাদের শরীরকে সুস্থ, সবল রাখা বেশ কঠিন কাজ। খাদ্য ভেজালের কারণে যা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য আমাদের এই ক্ষতিকর পথ শহীদ থেকে বের করার জন্য নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
ক্যান্সার নিরাময়ঃআমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে এ মরণব্যাধিক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে পারবেন খুব সহজেই। যেমন লিভারের ক্যান্সার হতে দায়ী আফ্লাটক্রিন নামক বিষাক্ত পদার্থ খুব সহজে ধ্বংস করতে পারে কালোজিরা।
রুচি বৃদ্ধিঃযাদের খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা খাবার খেতে ইচ্ছা করে না অরুচি ভাব তারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন এতে আপনার রুচি বৃদ্ধি পাবে।
এলার্জি প্রতিরোধকঃযাদের এলার্জি রয়েছে তারা নিয়মিত কালোজিরারতেল উক্ত স্থানে মাসাজ করতে পারেন। এতে দ্রুত এবং সহজ উপায়ে আপনার অ্যালার্জি দূর করতে পারবেন।
মাইগ্রেন নিরাময়ঃবর্তমানে অনেকেই ঠান্ডা জনিত কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ মাইগ্রেন থেকে নিরাময় নিয়মিত প্রতিদিন কালোজিরা চিবিয়ে বা এর তেল খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
দাঁতের ব্যথা নিরাময়ঃদাঁতের ব্যথা কতটা ভয়ঙ্কর আমরা হয়তো জানি না কিন্তু যাদের রয়েছে তারা অবশ্যই জানে। এ দাঁতের ব্যথা থেকে ঘরোয়া ভাবে দ্রুত আরাম পেতে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর কুলি করুন দেখবেন দাঁতের বা মাড়ি ব্যথা দূর হয়ে গিয়েছে।
প্রশান্তি সহকারে ঘুমানোর জন্যঃযাদের ঘুম আসে না, ঘুমের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে এছাড়া প্রশান্তির সহকারে ঘুমাতে পারেন না তারা নিয়মিত রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে কালোজিরা তেল মাথায় ভালো করে মাসাজ করুন। দেখবেন আপনার প্রশান্ত সহকারে ঘুম হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃকালোজিরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোন জীবানু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সহজে যেন আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য কালোজিরা তাদের সাথে লড়াই করে এবং শরীরকে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তৈরি করে।
কিডনির পাথর ও টিউমার নিরাময়ঃকিডনির পাথর ও টিউমার দূর করতে নিয়মিত কালোজিরা পেস্ট তৈরি করে, এক চামচ মধু ও এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খান। দেখবেন কিডনির পাথর ও টিউমার ঔষধ ছাড়াই নিরাময় হয়ে গিয়েছে।
কিডনির পাথর ও টিউমার নিরাময়ঃডায়রিয়া নিরাময় করার জন্য এক চামচ টক দই ও এক থেকে দুই চামচ কালোজিরার তেল দিনে দুই থেকে তিনবার খান এতে আপনার ডায়রিয়া দ্রুত কমে যাবে। এছাড়া এর পাশাপাশি অবশ্যই স্যালাইন খাওয়া ভুলবেন না।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
আমরা অনেকে আছি যারা জানতে চান প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়। নিম্ন উক্ত বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন-
- কালোজিরা আমাদের শরীর সুস্থ সবল রাখার জন্য একটি মহা ঔষধ। তবে কোন কিছুই অতিরিক্ত বা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এতে আমাদের শরীর এর উল্টো কাজ করে। যেমন কালোজিরা আমাদের শরীরে মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা কখনো ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।
- এজন্য আমাদের অবশ্যই কালোজিরা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন অল্প পরিমাণে খেতে হবে। ফলে আমাদের শরীরে থাকবে যেমন কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হবে না। অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরে যে সকল ক্ষতি হতে পারে যেমন-
- এলার্জির প্রতিক্রিয়া কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কালোজিরা খেলে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য প্রথম অবস্থায় কোন ব্যক্তি কালোজিরা খেতে চাইলে এক থেকে দুইটি দানা খেয়ে দেখতে পারেন।এছাড়া কোন ব্যক্তির যদি কোন বিষয়ে এলার্জি থাকে তাহলে কালোজিরা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- গ্যাসের সমস্যা কালোজিরা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কখনো কখনো ডায়রিয়া বমি ভাব পেটে ব্যথা অহজম ক্রিয়া ব্যাহত ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে
- রক্ত পাতলা করা অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। ফলে আমাদের শরীরের রক্তক্ষরণ বা কোন প্রকার ঘা শুকাতে দেরি হতে পারে। এজন্য আমরা অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।.
- গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলারা কখনোই গর্ভ অবস্থায় কালোজিরা তেল খাবেন না এতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কখনোই কালোজিরার তেল খাওয়াবেন না। এছাড়া আপনি তাকে চার থেকে পাঁচটি দানাচিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে কালোজিরার কিছু উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম,ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে কালোজিরা খেয়ে সকল রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ সবল জীবন উপভোগ করতে করতে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url