১০বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ১০বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত
টাকা লাগে ২০২৪, ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশাবলি আরো ই পাসপোর্ট
নিয়ে আলোচনা করেছি। জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি ই পাসপোর্ট সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন সমস্যা
রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান উত্তর পাবেন এবং সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে সঠিক
তথ্য পেয়ে ই-পাসপোর্ট করতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে আধুনিক ও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন
উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল
মিলাতেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ এবং বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে
প্রবেশ করেছে। যেহেতু এটি বাংলাদেশের প্রথম এজন্য এ সম্পর্কে মানুষের সঠিক তথ্য
জানা অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১৫টি উপায
তাই আজ আমি আপনাদের কাছে ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা
করেছি। যেমন ই পাসপোর্ট কি, ১০ বছর বা ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা
লাগবে, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি বা সাধারণ পাসপোর্ট এর
মধ্যে পার্থক্য, অনলাইনে ই-পাসপোর্ট পূরণ করার জন্য বিভিন্ন তথ্যাবলী ও
নির্দেশনা,
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম এবং ই-পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কত সময় লাগে
ইত্যাদি আরোও ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন এজন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ
অনুরোধ রইলো।
ই-পাসপোর্ট বলতে কি বুঝায়?
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টে যুগে অংশ গ্রহণ এর দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১১৯ তম। আমাদের
অনেকের মনে এই প্রশ্ন ই-পাসপোর্ট বলতে কি বুঝায়? ই-পাসপোর্ট হচ্ছে ইলেকট্রনিক
যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট।
সহজ অর্থে বলতে হলে ই-পাসপোর্ট হচ্ছে আমাদের ব্যবহৃত এটিএম কার্ড এবং এমআরপি
পাসপোর্ট হচ্ছে ব্যাংকের চেক বই। আমাদের যেমন ব্যাংকে টাকা তুলতে হলে চেক বইয়ে
বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে টাকা তুলতে হয় অন্যদিকে এটিএম কার্ডে কোন প্রকার তথ্য
দিয়ে টাকা তুলতে হয় না শুধুমাত্র কার্ড টি এটিএম বুথে প্রবেশ করালে আমাদের টাকা
প্রদান করে।
তেমনি এমআরপি পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন করার সময় বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিল
প্রদান করবে অন্যদিকে ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে কোন প্রকার
তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে না শুধুমাত্র ই-পাসপোর্ট যন্ত্রের সামনে দাঁড়ালে
ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা উক্ত
পাসপোর্টে আগমন বা ভ্রমণ শীল দিয়ে দেবেন।
তবে ই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি পাসপোর্ট এর বই একই ধরনের হয়ে থাকে। শুধুমাত্র
ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় যে তথ্য সংবলিত থাকে তা ই পাসপোর্টে
থাকবে না। সেখানে একটি কার্ড ও এন্টিনা পলিমারের তৈরি থাকবে।
এই কার্ড এর ভিতরে বাহকের সকল তথ্য সংরক্ষিত একটি চিপ থাকবে। এই ডাটা বেজে চোখের
আইরিস, তিন ধরনের ছবি ও পাসপোর্ট ধারীর দশ আঙ্গুলের ছাপ থাকবে। যার ফলে খুব সহজে
ভ্রমণকারী ব্যক্তির সকল তথ্য দেশের কর্তৃপক্ষ জানতে পারবে। এই সুবিধা গুলো এমআরপি
পাসপোর্ট বাহক ব্যক্তি পাবে না।
পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আমাদের অনেকের মনে হয়তো এ প্রশ্ন জাগতে পারে ই পাসপোর্ট কি এবং ই-পাসপোর্ট ও
সাধারণ পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানানোর জন্য আজ আমি
পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি? তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি চলুন তা
জেনে নিই
এমআরপি পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট- ই পাসপোর্ট মধ্য পার্থক্য
এমআরপি পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় তথ্য সংবলিত থাকে
অপরদিকে ই-পাসপোর্টে একটি কার্ড বা এন্টেনা থাকে এবং সেই কার্ডের ভেতরে একটি চিপ
থাকে সেই চিপে পাসপোর্ট বাহুকে সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
- এমআরপি পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট কে ব্যাংকের চেক বইয়ের সাথে তুলনা করা যায় অপরদিকে ই-পাসপোর্ট কে বুথের এটিএম কার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
- ব্যাংক কর্মকর্তা যেমন চেক বই স্বাক্ষরের মাধ্যমে বা ব্যাংক কর্মকর্তা অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয় তেমনি ভাবে সাধারণ পাসপোর্ট বা ইমিগ্রেশন পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন করার সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বিভিন্ন যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে পাসপোর্টে শীল প্রদান করে থাকে ভ্রমণ বা আগমনের জন্য। অপরদিকে এটিএম কার্ড দিয়ে যেমন টাকা তোলার জন্য কোন প্রকার অনুমোদন বা স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না তেমনি ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর বা যাচাই বাছাই করেনা ইমিগ্রেশন করার জন্য শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক গেট দিয়ে যেতে হয় এবং ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে যায় পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আগমন বাপ ভ্রমণের জন্য শীল প্রদান করে থাকেন।
- ভিসা চেকিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় অপরদিকে ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ভিসা চেকিং এর জন্য শুধুমাত্র ভ্রমণকারীকে ইলেকট্রনিক ই গেট দিয়ে যাতায়াত করতে হবে এবং ভিসা চেকিং সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
- এমআরপি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কিন্তু ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার লাইনে বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
- ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির যদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে সাথে সাথে জানা যাবে তবে এমআরপি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে তা সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে না।
- ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্ট রাখলে ক্যামেরা ছবি তুলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে যায় তবে এমআরপি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে এমন কোন ব্যবস্থা নেই।
- এমআরপি পাসপোর্ট জাল তৈরি করা সম্ভব তবে ই-পাসপোর্ট যা তৈরি করা অসম্ভব কারণ এতে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- ই-পাসপোর্ট বহনকারী ব্যক্তির সকল ডাটাবেজে চিপসের ভিতর থাকে এ চিপসের ভেতরে পাসপোর্ট বহনকারী ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ তিন ধরনের ছবি ও চোখের আইরিশ থাকে ফলে সহজে ভ্রমণ বা আগমনকারী ব্যক্তির তথ্য জানা যায় তবে এমন এমআরপি পাসপোর্টে এমন কোন তথ্য বা ডাটাবেজ নেই।
ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশাবলি
কোন ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ বা প্রবাসী হিসেবে বিদেশে অবস্থান করার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পাসপোর্ট। বিদেশ ভ্রমণ চিকিৎসা ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে
বিদেশে যাওয়াকে বাংলাদেশ সরকার আরো সহজ করার জন্য ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে।
বর্তমানে আমাদের সরকার পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরম বেশ সহজ করে দিয়েছে আপনি
আবেদনের সাত দিনের ভিতরেই আপনার পাসপোর্ট হাতে পাবেন। ই পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য
অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিস বা আপনার শহরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস
থেকে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে এই ই-পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশাবলি রয়েছে । যা জানা অত্যন্ত
জরুরী চলুন জেনে নেই সেগুলো কি-
ফরম পূরণঃ অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
এর জন্য কোন প্রকার হাতের লেখা বা কম্পিউটারে ছাপানো আবেদন ফরম সরাসরি গ্রহণের
কোন ব্যবস্থা নেই বা গ্রহণযোগ্য নয়।
ছবিঃ ই-পাসপোর্ট এর আবেদন ফরমে কোনো প্রকার সত্যায়িত ছবি বা ছবি যুক্ত
করার প্রয়োজন নেই।
অপ্রাপ্তদের তথ্যঃ যে সকল ব্যক্তির এনআইডি এখনো হয়নি বা অপ্রাপ্তবয়স্ক
বা ১৮ বছরের কম তাদের জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি(NID)
নম্বর দিতে হবে।
সত্যায়িত কাগজপত্রঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেগুলো ই-পাসপোর্ট আবেদন করার
জন্য অত্যন্ত জরুরী সেগুলো কোন প্রকার সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
আবেদন ফরমের তথ্য পূরণঃ ই-পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য যে
ফরম পূরণ করতে হবে ফরমের সকল তথ্য এনআইডি(NID) বা জাতীয় পরিচয় পত্রের অথবা
জন্মনিবন্ধনের সনদ অনুসারে পূরণ করতে হবে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইনে দাখিলের নিয়মঃ অপ্রাপ্তবয়স্ক বা যাদের এখনো
এনআইডি হয়নি বা ১৮ বয়সের কম তাদের অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন দাখিল এর মাধ্যমে ই
পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের অনলাইনে দাখিলের নিয়মঃ প্রাপ্তবয়স্ক বা যাদের এনআইডি
কার্ড হয়ে গেছে বা ১৮ বছরের উর্ধ্বে তাদের অনলাইনে এনআইডি দাখিলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশী বিদেশে প্রবাসী হলে অনলাইনে দাখিলের নিয়মঃ বাংলাদেশী কোন
ব্যক্তি বিদেশে প্রবাসরত অবস্থায় ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলে তাকে অবশ্যই
জন্ম নিবন্ধন এর ইংরেজি ভার্সন দিয়ে দাখিল করতে হবে এছাড়া আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে
না।
আবেদনের ঠিকানা দাখিলঃ এ-ইপাসপোর্টটি পাওয়ার জন্য বর্তমান ঠিকানার যে সকল
তথ্য প্রয়োজন সে সকল তথ্য অবশ্যই আঞ্চলীয় বা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস বা
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন ও ভিসা অফিসে দাখিল করতে হবে।
কোন তথ্যগুলো পূরণ করতে হবেঃ আবেদন করার সময় অনলাইনে আবেদন ফরমে যে সকল
স্থানে স্টার চিহ্ন বা তারকা চিহ্ন থাকবে সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তারকা
চিহ্নের কোন একটি তথ্য বাতিল পড়লে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। এজন্য ফরম পূরণের
সময় অবশ্যই সতর্ক তার সাথে পূরণ করবেন।
দত্তক অভিভাবক গ্রহণের আদেশ দাখিলঃ কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির অভিভাবক
হিসেবে ভ্রমণ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই আবেদন ফরমে দত্তক অভিভাবক গ্রহণের ক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে যা তারিখকৃত আদেশ গুলো দাখিল
করতে হবে।
যে সকল কাগজপত্র বা সনদ সংযোজন বা আপলোড করতে হবেঃ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যে
ব্যক্তি যেই কর্ম করে সেই কর্মের কর্ম সনদ যেমন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ড্রাইভার
ইত্যাদির সনদ বা অবসর প্রাপ্ত সনদ বা প্রত্যয়ন পত্র বা পেনশন বই বা এনওসি বা
ছুটির আবেদন বা জিও ইত্যাদি ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ হতে অবশ্যই নিজ ওয়েবসাইট থেকে
আপলোড বা সংযোজন করতে হবে।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনঃ কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা ডিপ্লোম্যাটিক
পাসপোর্ট যা সাধারনত লাল রংয়ের হয়ে থাকে এ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হলে
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর প্রধান কার্যালয় অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কনসাল ও ওয়েলফেয়ার উইং বরাবর আবেদন দাখিল করতে হবে। এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন
প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্যন, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্যগণ ও তাদের স্পাউস।
জরুরী পাসপোর্ট আবেদনঃ কোন কারণবশত অতি জরুরিভাবে পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে
আবেদন ফরমের সঙ্গে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করে দাখিল করতে হবে তা না
হলে আপনাকে জরুরী ভাবে পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। সকল তথ্য সঠিক থাকলে জরুরী
পাসপোর্ট সাধারণত দুই কার্যদিবসের মধ্যেই দেওয়া হয়ে থাকে।
পুনরায় পাসপোর্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রেঃ পাসপোর্ট এর সময় শেষ হয়ে গেলে
পুনরায় তা ইস্যু করতে হলে অবশ্যই আসল পাসপোর্টটি বা পুরাতন পাসপোর্টটি অবশ্যই
উপস্থাপন করতে হবে।
বৈদেশিক মিশনে আবেদনঃ স্থায়ী ঠিকানার স্থানে অবশ্যই বাংলাদেশ যোগাযোগ
ঠিকানা লিখতে হবে যারা বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করছেন এর ব্যতিক্রম
হলে আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে না
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলেঃ কোন কারণবশত আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা চুরি
হয়ে গেলে অবশ্যই আপনার অঞ্চলের থানায় জিডি বা রিপোর্ট করতে হবে। নতুন পাসপোর্ট
এর জন্য আবেদন করতে চাইলে অবশ্যই হারানো পাসপোর্ট এর আসল জিডি বা রিপোর্ট কপি এবং
হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট এর ফটোকপি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
ছয় বছরের কম বাচ্চার আবেদন এর ক্ষেত্রেঃ থ্রি আর(3R) আকারে ছবি জমা দিতে
হবে যদি আপনার বাচ্চার বয়স ৬ বছরের কম হয়ে থাকে তা না হলে আপনার আবেদন বাতিল বা
অগ্রহণযোগ্য হতে পারে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
আপনি যদি ই-পাসপোর্ট করতে ইচ্ছুক তাহলে আপনার অবশ্যই জানা লাগবে পাসপোর্ট করতে কি
কি কাগজপত্র লাগে। তবে ই-পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা সাধারণত বয়স
পেশা এবং আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য নির্ভর কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
আপনার বয়স কত, আপনি কি পেশায় নিয়োজিত এবং আপনার এনআইডি ইত্যাদি কাগজপত্র মূলত
প্রয়োজন হয়। চলুন জেনে নিই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪।
- অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মটি প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট আবেদনের প্রিন্ট কৃত কপি।
- পাসপোর্ট আবেদনের জন্য আপনি যে নির্ধারিত টাকা প্রদান করেছেন তার মূল কপি প্রয়োজন হবে।
- অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের কপি এবং সেটা অবশ্যই যেন ইংরেজি ভার্সন হয়।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্মার্ট কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- আপনি বাংলাদেশী নাগরিক কিনা তা যাচাই করার জন্য জাতীয় নাগরিক সনদ।
- আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং মূল পাসপোর্টটি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি।
- অপ্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮বছরের নিচে বাচ্চা জন্য এ পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং মা-বাবার ছবি জমা দিতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এনওসি বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের প্রমাণপত্র হিসেবে পেনশন বা চাকরি সনদ দেখাতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহিত বা অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্তদের ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাবিননামা বা মেরেজ সার্টিফিকেট অথবা তালাকনামা দাখিল করাতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি(Student ID) কার্ডের আসল কপি আনতে হবে শুধুমাত্র সে সকল স্টুডেন্টদের জন্য যারা D-2/D-4 ভিসা নিতে চাই।
- ছবি প্রয়োজন হবে এবং ছবিটি অবশ্যই রঙিন হতে হবে।
- ৬ বছরের নিচে বাচ্চার ই-পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই থ্রি আর সাইজের ছবি এবং ইংলিশ ভার্সন বা বি আরসি(BRC) ইংলিশ ভার্সন জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে।
- ৬ বছর নিচে বাচ্চার পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন এবং পিতা-মাতার এনআইডি(NID)।
- স্টুডেন্ট বা শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।
- কারণবশত স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আলাদা হলে অবশ্যই স্থায়ী ঠিকানার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা কাউন্সিলর হতে প্রাপ্ত নাগরিক সনদ জমা দিতে হবে।
- আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদী পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে আপনাকে এ সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে কিন্তু আপনার কি ধরনের পাসপোর্ট প্রয়োজন অর্থাৎ জরুরী প্রতি জরুরী বা সাধারণ এবং কত পৃষ্ঠার প্রয়োজন সে অনুসারে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর
নির্ভর করে চলুন জেনে নেই সেই বিষয়গুলো কি।
আরো পড়ুনঃ
ছবি সহ রাজশাহী মহানগরীর দর্শনীয় স্থান সমূহ
পাঁচ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনি যে কোন একটি
ক্যাটাগরিতে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন। তবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার টাকার
পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ক্যাটাগরি গুলো যথা-
- সাধারন পাসপোর্ট
- জরুরী পাসপোর্ট।
- অতি জরুরী পাসপোর্ট।
একইভাবে আপনি পাঁচ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে চাইলে আরো দুটি ক্যাটাগরিতে
পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারবেন। সেগুলো সাধারণত পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠার ওপর নির্ভর
করে আপনি কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে ইচ্ছুক। এগুলোও ক্যাটাগরি অনুসারে টাকার
পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ক্যাটাগরি গুলো যথা-
- ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট।
- ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট।
আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদে ই-পাসপোর্ট নিতে চান এবং তা যদি ৪৮ পৃষ্ঠা বা ৬৪ পৃষ্ঠার
হয় এবং তা নিয়মিত বা জরুরী বা অতি জরুরী পাসপোর্ট হয় তাহলে আপনার কি পরিমাণ
টাকার প্রয়োজন হবে এবং কত দিবসের ভেতরে আপনি পাসপোর্ট পাবেন চলুন তা বিষয়ে জেনে
নিন-
৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে প্রয়োজন টাকার পরিমান
উপরোক্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুসারে পাসপোর্ট তৈরি করতে চাইলে এসব তথ্যগুলো আপনার
অবশ্যই জানা দরকার চলুন তথ্যগুলো জেনে নেই নিম্নে তথ্যগুলো দেয়া হলো-
- নিয়মিত পাসপোর্টের ক্ষেত্রে- ৪০২৫ টাকা- ১৫ কোন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
- জরুরী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৬৩২৫ টাকা- ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
- অতি জরুরী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৮৬২৫ টাকা- ২ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
উপরে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী যে টাকার পরিমাণ দেওয়া হয়েছে তা মূলত আপনার ৪৮
পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে মোট কত টাকা প্রয়োজন হবে তার একটি
হিসাব দেখানো হয়েছে।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে প্রয়োজনের টাকার পরিমান
একইভাবে উপরোক্ত তথ্য অনুসারে আপনি যদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট
তৈরি করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই তথ্যগুলো জানা দরকার চলুন জেনে নিয়ে তথ্যগুলো-
- নিয়মিত পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৬৩২৫ টাকা- ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়
- জরুরী পাসপোর্ট- ৮৩২৫ টাকা- ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়
- অতি জরুরী পাসপোর্ট- ১২০৭৫ টাকা-২ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়
উপরোক্ত যে তথ্যগুলো দেয়া হয়েছে তা পাঁচ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট তৈরি
করতে সর্বমোট কত টাকা আপনার খরচ হতে পারে। আশা করি তথ্যগুলো জেনে আপনি উপকৃত
হয়েছেন।
১০বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
যে সকল ব্যক্তি নতুন অবস্থায় ই-পাসপোর্ট করতে চান তাদের অবশ্যই পাসপোর্ট করতে কত
টাকা লাগে জানা জরুরী। চলুন জেনে নিন ১০বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪। নিম্নে উক্ত বিষয়ে তথ্য দেয়া হলো-
আপনি কত বছর মেয়াদে পাসপোর্ট নেবেন এবং তা করতে কি পরিমান খরচ হবে তা মূলত
বিভিন্ন বিষয়ের উপর বা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। পাসপোর্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরির
হয়ে থাকে যেমন আপনি যদি জরুরিভাবে নিতে চান তাহলে একরকম খরচ হবে আবার অতি জরুরি
ভাবে নিতে চাইলে আরেক রকম অর্থ খরচ হবে।
আপনি যদি সাধারণ নিয়মে পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে আপনার খরচ আর এক রকম পড়বে এবং
আপনি যদি ৪৮ পৃষ্ঠা বা ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে আপনার টাকার পরিমান কম
বেশি হবে। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন চলুন তা
বিষয়ে বিস্তারিত নিচে জানি
৪৮ পৃষ্ঠার দশ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে টাকার পরিমাণ
- নিয়মিত পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৫৭৫০ টাকা- ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
- জরুরী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৮০৫০ টাকা- ৭ কর্ম দিবসের ভেতরে প্রদান করা হয়
- অতি জরুরী বা সুপার এক্সপ্রেস পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ১০৩৫০ টাকা- ২ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে টাকার পরিমাণ
- নিয়মিত বা রেগুলার ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৬৩২৫ টাকা- ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়
- জরুরি বা এক্সপ্রেস ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ৮৬২৫ টাকা- ৭ কর্ম দিবসের মধ্য দেয়া হয়
- সুপার এক্সপ্রেস বা অতি জরুরী ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে- ২ কর্ম দিবসের ভেতরে প্রদান করা হয়
আশা করি উপরোক্ত তথ্য গুলো জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ
গ্রহণ করছে। বিশ্বের ১৮৮ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন ই-পাসপোর্ট এর যুগে প্রবেশ
করছে। যা সাধারন পাসপোর্ট এর তুলনায় ই-পাসপোর্ট বেশ সহজ এবং সুবিধাজনক।
তবে আমরা অনেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম জানি না। বাংলাদেশ সরকার এর আবেদন
এতটা সহজ করেছে যে আপনি যদি নিয়ম ভালো করে জানেন তাহলে ঘরে বসে এই আবেদন ফরম
পূরণ করতে পারবেন চলুন জেনে নিন কিভাবে আবেদন করবেন-
- ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রথমে এর ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে ওয়েবসাইটটি হলো www.epassport.gov.bd।
- ওয়েবসাইডে ঢোকার পর Directly to online application(ডিরেক্টরি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন) ক্লিক করবেন।
- এরপর প্রথমে যে ধাপ আসবে সেখানে বর্তমান ঠিকানা থানা ও জেলা শহরের নাম নির্বাচন করবেন।
- পরবর্তী যে ধাপ আসবে সেখানে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে ফর্মটি সাবমিট করবেন।
- এরপর তৃতীয় ধাপে আপনি কত মেয়াদে এবং কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে ইচ্ছুক সে অনুসারে ফ্রি জমা দিন।
- এ প্রেমেন্ট করার জন্য আপনি যে কোন ব্যাংকের ডেবিটল ওক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি পাসপোর্ট অধিদপ্তর অনুমোদিত পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে যে কোন একটি ব্যাংকের টাকা জমা দিয়ে রশিদ নম্বর সেখানে দিতে পারেন।
- রশিদ নম্বর বা কার্ডের টাকা জমা দেওয়ার নম্বর দেওয়ার পর ফাইলটি সাবমিট করে দিবেন সাবমিট হয়ে গেলে আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্ট কার্যালয় সার্ভারে চলে যাবে।
- এখন আপনার অনলাইনে সকল কাজ শেষ এরপর আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বা ডকুমেন্ট পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যেতে হবে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য।
- সর্বশেষ ধাপে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে উপস্থিত হয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে।
- এছাড়াও আপনি পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য ফর্ম নিয়ে হাতে পূরণ করতে পারেন। এই ফর্মটিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয় সাধারণত ৮৭ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয়।
- ফর্মে আপনাকে অবশ্যই কত মেয়াদের আপনি পাসপোর্ট নিবেন এবং কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিবেন তা উল্লেখ করতে হবে।
- আপনি যদি অতি জরুরীভাবে বা সুপার এক্সপ্রেস ই পাসপোর্টপাসপোর্ট নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে এবং এর কপি ও ক্লিয়ারেন্স নম্বর ফর্মে উল্লেখ করে জমা দিতে হবে।
- আপনার ফরম পূরণ হয়ে গেলে ফর্ম এর সাথে জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি জমা দিবেন।
- আপনি যদি ১৮ বছর কম বয়সি বা অপ্রাপ্তবয়স্ক হন তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড
ই-পাসপোর্ট আবেদন হয়ে গেলে আপনার তথ্যগুলো সঠিক রয়েছে কিনা বা আপনি সকল তথ্য
সঠিকভাবে পূরণ করেছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য অবশ্যই ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড
করে নেবেন। অনেক সময় এই আবেদন ফরমটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
এজন্য অবশ্যই ফর্মটি পূরণ করার পর ডাউনলোড করে নেবেন।
ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন লাগে?
ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন লাগে? হয়তো আমরা অনেকে জানিনা। ই-পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হলো একটি
প্রক্রিয়া যেখানে এসআই পুলিশ পাসপোর্ট আবেদনকারী ব্যক্তির সকল তথ্য সত্যতা যাচাই
করার জন্য ভেরিফিকেশন করে থাকে।
যে এলাকায় আপনি বসবাস করেন সে এলাকার স্থানীয় থানার একজন এসআই পুলিশ সকল তথ্য
যাচাই করে তথ্যগুলো হল আবেদনকারী ব্যক্তি বাংলাদেশি কিনা তার স্থায়ী ও অস্থায়ী
ঠিকানা কোথায় কর্মসংস্থান কি পরিবারের অবস্থা আদালতে বা কোন প্রকার তার বিরুদ্ধে
মামলা বা অপরাধ বিরোধী কিনা তা যাচাই করেন।
সকল তথ্য সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে সমাধান হলে দুই থেকে তিন দিনের ভিতরেই ভেরিফিকেশন
সম্পন্ন হয়ে যায় তবে কোন প্রকার জটিলতার হলে এটি অনেক সময় দীর্ঘ সময় লেগে
যায় তবে ভেরিফিকেশন সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২০ দিনের মধ্যই সম্পন্ন হয়।
লেখকের মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত
তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোষ্টটি পড়ে আপনি উপকৃত
হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে
সহায়তা করুন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url