প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়,ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের নাম,ঠোটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি আরও ঠোঁট সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ভোট সম্পর্কে আপনারা যত প্রশ্ন সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন করে কোমল মসৃণ ও গোলাপি ঠোঁট পাবেন।

ভূমিকা

ঠোঁট আমাদের চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর ঠোঁট যদি হয় গোলাপি তাহলে চেহারা সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এই গোলাপের ঠোঁট পাওয়ার আমাদের অনেকেরই আশা। এর জন্যই আজ আমি আপনাদের জন্য ভোট সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়, মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়, ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়, ঘরোয়া ভাবে তৈরি ঠোঁট গোলাপি করার লিপবাম, ঠোঁট গোলাপি করার সহজ উপায়, ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম, ঠোঁটের চারপাশে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি আরও বিভিন্ন বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনার ঠোঁট নিয়ে যত প্রকারের সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যা গুলোর সমাধান খুব সহজেই করতে পারবেন এবং কোমল নমনীয় ও গোলাপি ঠোঁট আপনি উপহার পাবেন।

মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

মেয়েদের ঠোটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।ঠোঁটের কালো ভাব দূর করার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। ঠোঁটের এ কালো ভাব আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চলুন জেনে মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার কিছু সহজ উপায়।

  • নিয়মিত প্রতিদিন সকালে ওরাত্রে ব্রাশ করার সময় আমরা যে পেস্ট ব্যবহার করি থাকি তা অল্প করে ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ৫ থেকে ৬ মিনিট পর ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারে দেখবেন আপনার ঠোঁটের কালো দাগ বা মৃত কোষ গুলো উঠে যাচ্ছে।
  • প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানোর আগ মুহূর্তে ঠোঁটে বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল এর সাথে সামান্য পরিমাণে লেবু মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট মাসাজ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহারে আপনার ঠোঁটের সকল দাগ সহজে দূর হয়ে যাবে।
  • দ্রুত ঠোঁটের দাগ দূর করতে চাইলে লেবু ও মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করতে পারেন।
  • ঠোঁটের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আনতে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ও নারকেলের সাদা অংশ পেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  • দুধের সরের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের সকল দাগ ও ঠোঁট অনেক বেশি নরম হয়।
  • ঠোঁটের কোমলতা ফিরে আনার জন্য ক্র্যাব ব্যবহার করতে পারেন স্প্রা হিসাবে চিনি ও অলিভ অয়েল বা গোল ক্রিম একসাথে ভালো করে মিশিয়ে ক্র্যাব তৈরি করে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ধরনের দাগ বা কালচে ভাব হওয়ার মূল কারণ হলো আমরা যখন ঠোঁটের কোন প্রকার প্রোডাক্ট বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি বিশেষ করে লিপস্টিক তা পরিষ্কার না করা। ঠোঁটে ব্যবহৃত এ কেমিক্যাল গুলো উঠানোর জন্য আমরা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারি।
  • ঠোঁটের আদ্রতা হারানোর কারণেই মূলত ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের দাগ বা কালচে ভাব হয়ে যায় এই আদ্রতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের লিপবাম বা কোকোবাটার লাগাতে পারেন।
  • এছাড়াও ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য শুধু শীত নয় সারা বছরই পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে ব্যবহার করুন।
  • ঠোঁটের কাজ যে ভাব দূর করার সবচেয়ে বেশি কার্যকারী উপায় হল দুধে নির্যাসিত গোলাপের পাপড়ি। এর জন্য একটি গোলাপ, সামান্য দুধের ভেতরে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর তুলে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন খুব সহজেই এবং দ্রুত আপনার ঠোঁটের সকল দাগ দূর হয়ে ঠোঁট গোলাপের মতো লাল ও নরম হয়ে গিয়েছে।
  • ঠোঁটের আদ্রতা ফিরে আনার জন্য গাজরের রস ব্যবহার করতে পারেন যা খুব সহজে ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখে।
  • ঠোঁটের দাগ দূর করার জন্য কমলার খোসা বেশ উপকারী। এর জন্য কমলার খোসার পেস্ট তৈরি করে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।
  • শসা আমাদের ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে বেশ উপকারী এর জন্য নিয়মিত শসার রস ঠোঁটে মাসাজ করুন।
  • টমেটো সাথে সামান্য পরিমাণে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করলেও ঠোঁটের কালচে ভাব সহজে দূর হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

ছেলেদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

ছেলেদের বিভিন্ন বদভ্যাস বা কর্মব্যস্ততার কারণে ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ বা কালচে ভাব হয়ে যায়। এজন্যই আজ আমি ছেলেদের ঠোঁটের কালো ভাব দূর করার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য লিখেছি। নিম্নেএ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-

ধূমপান থেকে বিরত থেকেঃ ছেলেদের ঠোট কালো হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ধূমপান। এই ধুমপান শুধু ছেলেদের ঠোঁট কালো করে না বরং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতি করে যেমন শ্বাসনালী ক্ষতি,ফুসফুসের মারাত্মক রকমের ক্ষতি, প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার, শারীরিক ও মানসিক ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এজন্য আমরা অবশ্যই ধূমপান খাওয়া থেকে বিরত থাকবো। এতে যেমন আপনার ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের কালচে ভাব বা দাগ দূর হয়ে যাবে এর সাথে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক প্রশান্তি অনুভব করবেন।

চিনি ও লেবুর পাতাঃ লেবুর পাতা ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে বেশ কার্যকারী এবং চিনি আমাদের ঠোঁটে ক্র্যাব হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত লেবুর পাতার উপরে সামান্য পরিমাণে চিনি মিশিয়ে ভালো করে ঠোঁটে মা সার্চ করুন দেখবেন দ্রুত আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।

লেবুর রস ও গ্লিসারিনঃ অতিরিক্ত পরিমাণে ঠোঁটে দাগ বা কালচে রং থাকলে নিয়মিত দিনে দুইবার করে লেবুর রস ও সামান্য পরিমাণে গ্লিসারিন মেশানো সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।

বাদাম তেল ও চিনিঃ ঠোঁটের মৃত চামড়া বা কোষগুলোকে সজ্জীবিত করতে নিয়মিত ঠোঁটে বাদামের তেল, চিনি ও মধু মিশ্রিত পেস্ট ভালো করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এ পেস্ট আপনার ঠোঁটের মৃত কোষ অপসারণ করে নতুন সজ্জীবিত কোষ তৈরি হতে সহায়তা করে।

টমেটোর রসঃ ঠোঁটকে উজ্জ্বল, নরম ও কোমল করতে চান। নিয়মিত প্রতিদিন দিনে দুইবার করে টমেটোর রস ঠোঁটে ভালো করে মাসাজ করুন, এর সাথে সামান্য পরিমাণ চিনি ব্যবহার করতে পারেন।

অলিভ অয়েল ও চিনিঃ অলিভ অয়েল আমাদের ঠোঁটকে রুক্ষ শুষ্ক ও প্রাণহীন হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। এজন্য আমরা ঠোঁটে শুধু অলিভয়েলের মাসাজ করতে পারি বা এর সাথে সামান্য পরিমাণে চিনি ও মধু ব্যবহার করতে পারি, এতেও আপনি বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

টক দই ও মধুঃ টক দইয়ে রয়েছে অধিক পরিমাণে ল্যাটট্রিক এসিড যা আমাদের ঠোঁটকে উজ্জ্বল, মসৃণ, নরম, কোমল, গোলাপী বর্ণের করতে বেশ কার্যকারী। নিয়মিত ঠোঁটে শুধুমাত্র টক দইয়ের মাসাজ করতে পারেন বা বেশি কার্যকরী ফলাফল পেতে সামান্য মধু ব্যবহার করে ম্যাসাজ করতে পারি।

বরফঃ ঠোটের আদ্রতা ও ঠোঁটকে রুক্ষ শুষ্ক থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত বরফ দিয়ে ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ঠোঁটে বরফ ম্যাসাজ করলে ঠোঁটে থাকা চামড়া গুলো উঠে নতুন চামড়া বেরিয়ে আসে।

ঠোঁট গোলাপি করার সহজ উপায়

গোলাপি ঠোঁট আমাদের মুখের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নিই গোলাপি ঠোঁট পাওয়ার স্থায়ী কিছু উপায়। নিম্নে ঠোঁট গোলাপি করার সহজ উপায় গুলো দেয়া হলো-

সুগার স্ক্রাব

তৈরিতে উপকরণ

  • আমন্ড অয়েল-০.৫ চামচ
  • মধু-০.৫ চামচ
  • চিনি-০.৫ এক চামচ
তৈরি প্রণালীঃ সকল উপকরণ গুলো ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তৈরি ভালো করে ঠোঁটে দুই থেকে তিন মিনিট ম্যাসাজ করুন। উপকরণের ব্যবহারিত চিনি ঠোঁটের মৃত কোষগুলো দূর করে মধু ঠোঁটকে মশ্চারাইজ করে এবং আমন্ড অয়েল ঠোঁটের কালচে ভাব বা কালো দাগ দূর করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।

বিটরুট

তৈরি উপকরণ

  • বিটরুটের জুস
  • মধু
তৈরি প্রণালীঃ প্রাকৃতিকভাবে বা ন্যাচারাল উপায়ে ঠোঁটকে গোলাপি করতে চাইলে বিটরুটের জুস ব্যবহার করুন। এর জন্য প্রথমে বিটরুট থেকে জুস বের করে নিন এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণে মধু মিশ্রিত করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন শুকিয়ে আসলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে আপনি আপনার ঠোঁটের পার্থক্য নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

ঠোঁট গোলাপি করার স্ক্রাব

তৈরি উপকরণ

  • মধু- ০.৫ চামচ
  • চিনি- ০.৫ চামচ
  • অটস-০.৫ চামচ
তৈরি প্রণালীঃ সকল উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তৈরিকৃত পেস্টটি দুই থেকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে স্ক্রাব করবেন না এতে ঠোঁটে জ্বালা বা ক্ষত হতে পারে। অবশ্যই স্ক্রাব সপ্তাহে দুই দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।

অ্যালোভেরা জেল

তৈরি উপকরণ

  • এলোভেরা জেল-এক চামচ
  • মধু-অল্প পরিমাণে
তৈরি প্রণালীঃ উপরোক্ত উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।তৈরিকৃত পেস্টটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এলোভেরা আপনার ঠোঁটের মৃত চামড়া গুলো অপসারণ করে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে গোলাপি রং করতে সহায়তা করে।

গোলাপের পাপড়ি ও লেবু রস

তৈরি উপকরণ

  • লেবুর রস-০.৫ চামচ
  • গোলাপের পাপড়ি রস-০.৫ চামচ
  • অলিভ অয়েল-দুই থেকে তিন ফোটা
তৈরি প্রণালীঃ রোদে পোড়া, ধুলাবালিতে রুক্ষ-শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যাওয়া ঠোঁটকে গোলাপি, নরম ও কোমল করতে বেশ কার্যকারী এই প্যাকটি। প্যাকটি তৈরি করার জন্য সকল উপাদান ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে আসলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এ ব্যাগের সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মেশাতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

ঠোটের কালো দাগ কেন হয় 

বর্তমান আবহাওয়া ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস না খাওয়ার কারণ বা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নিই ঠোঁটের কালো দাগ কেন হয়। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

  • রোদে অনেকক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলে রোদে থাকা সূর্যের অতিরিক্ত বেগুনি রশ্মি আমাদের ঠোঁটকে রুক্ষ-শুষ্ক, কালচে দাগ ও প্রাণহীন করে তোলে।
  • অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের গর্ভ অবস্থায় হরমোনাল বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঠোঁটের কালো দাগ দেখা দেয়।
  • শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে কোন প্রকার ওষুধ খেলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
  • শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে অনেক সময় এমন হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি দেয়ার কারণে হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট বা নিম্নমানের প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে হতে পারে।

নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ

আমরা অনেকেই আছি যারা বাচ্চার ঠোঁট কালো হওয়া দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। চলুন জেনে নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ কি।

নবজাতকের ঠোঁট বিভিন্ন কারণে কালো হয়ে যায় এটি কোন ভয়ের বিষয় নয়। এটি মূলত নবজাতকের অ্যাক্রোসায়ানোসিস এর কারণে হয়ে থাকে এটি একটি সাধারণ বিষয়। এটি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় যতক্ষণ না এটি শরীরের সায়ানোসিস এ পৌঁছায়। বাচ্চাদের ঠান্ডা জড়িত বিভিন্ন রোগ হলে অ্যাক্রোসায়ানোসিস হয় যেমন অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করানো হলে নবজাতকের ঠোঁট কালো হয়ে যায়। এটি আবার গরম অবস্থায় ফিরে আসলে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ঘরোয়া ভাবে তৈরি ঠোঁট গোলাপি করার লিপবাম

ঠোঁট গোলাপি করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। ঘরোয়াভাবে কিছু লিপ্যাম তৈরি সম্পর্কে আলোচনা করব। উক্ত বিষয়ে সম্পন্ন জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। চলুন জেনে ঘরোয়াভাবে তৈরি ঠোঁট গোলাপি করার লিপবাম গুলো কি কি-

গোলাপের লিপবাম

তৈরি উপকরণ
  • গ্লিসারিন-এক চামচ
  • পেট্রোলিয়াম জেলি-এক চামচ
  • গোলাপের পাপড়ির পেস্ট-এক চামচ
তৈরি প্রণালীঃ চুলায় একটি পাত্রে গরম পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন ফুটন্ত পানির উপরে একটি ছোট পাত্র নিয়ে সকল উপকরণগুলো ওই পাত্রে ঢেলে আস্তে আস্তে ফুটন্ত পানির উত্তাপে উপকরণগুলো গরম করুন। উপকরণগুলো ক্রিম আকার ধারণ করলে ফুটন্ত পানির উপর থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাচের কৌটাই রেখে দিন। ফ্রিজে রাখলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

উপকারিতাঃ গ্লিসারিন আমাদের ঠোঁটকে মশ্চারাইজ করবে পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটকে নরম ও কোমল রাখবে এবং গোলাপের পাপড়ি ঠোটে থাকা অবাঞ্ছিত বাম মৃত চামড়াগুলো দূর করতে সহায়তা করবে।

বিটরুটের লিপবাম

তৈরি উপকরণ

  • গ্লিসারিন-এক চামচ
  • পেট্রোলিয়াম জেলি-এক চামচ
  • বিটরুট পেস্ট-১ চামচ
তৈরি প্রণালীঃ এই লিপবামটি তৈরি পদ্ধতি গোলাপের লিপবাম তৈরি পদ্ধতির মতোই। শুধু এই লিপ বামে গোলাপের পরিবর্তে বিটরুট ব্যবহার করা হয়েছে।

উপকারিতাঃ বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ঠোটের আদ্রতা ধরে রেখে ঠোঁট ফাটা রোধ করে এছাড়াও ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি বর্ণ দিতে সহায়তা করে।
আমলকির লিপবাম

তৈরি উপকরণ

  • আমলকি পেস্ট-এক চামচ
  • পেট্রোলিয়াম জেলি-এক চামচ
  • গ্লিসারিন-এক চামচ
তৈরি প্রণালীঃ এই লিপবামটি তৈরি পদ্ধতি গোলাপের লিপবাম ও বিটরুট লিপবাম মতই। শুধু এখানে বিটরুট ও গোলাপের পরিবর্তে আমলকি পেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

উপকারিতাঃ শীত শুরুর আগ থেকে এই লিপপামটি ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা, রুক্ষ হওয়া, চামড়া ওঠা, কালো দাগ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। নিয়মিত এই লিপবামটি ব্যবহার করলে আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি উপাদান আপনার ত্বকে কোমল নরম ও গোলাপি করে দেবে।

ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের নাম

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রয়েছে। চলুন জেনে নেই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের নাম গুলো কি কি-

  • ইফেক্টিভ লিপ কেয়ার
  • লানিজি লিপ স্লিপিং মাক্স ২০জিএম
  • লিলা ও লিপ স্লিপিং মার্কস ২০জি
  • লাইকু সাকুরা লিফমাক্স ৮ জিএম
  • বিভিন্ন ধরনের লিপবাম
  • নিভিয়া লং লাস্টিং মশ্চারাইজার

ঠোটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রতিদিনের ধুলাবালি, লিপস্টিকে থাকা ক্যামিকেল, যানবাহনের ধুলাবালি ইত্যাদির কারণে আমাদের ঠোঁট দিনে দিনে কালো হয়ে যাচ্ছে। ঠোঁটের এই কালো ভাব আমরা খুব সহজে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে দূর করতে পারি। নিম্নে ঠোটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

অ্যাপেল ফিডার ভিনেগারঃ তুলার সাহায্যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ভিজিয়ে ঠোঁটে যে সকল স্থানগুলোতে কালো ভাব রয়েছে এই স্থানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুব সহজে আমাদের ঠোঁটের কালকে ভাব দূর করে ঠোঁটকে উজ্জ্বল কোমল ও গোলাপি ভাব করে তোলে ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমন্দ নয় তো রোগ হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।

মধু ও লেবুর রসঃ লেবুর রস আমাদের ঠোঁটে এক্সপ্লোয়েট বা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে লেবুতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান পাশাপাশি ঠোঁটকে গোলাপি করতেও সহায়তা করে। মধু ঠোটের রুক্ষতা কমিয়ে ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করে। এ সকল গুনাগুন পেতে হলে প্রতিদিন দিনে দুইবার করে এক ফোঁটা লেবুর রস ও এক ফোঁটা মধু ব্যবহার করে ঠোঁটে মাসাজ করতে পারেন।

বিটরুটঃ এক টুকরো বিটরুট ফ্রিজে রেখে দিন। বিট্রুটেট টুকরোটি ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা অবস্থায় ঠোঁটে মাসাজ করুন। দুই থেকে তিন মিনিট মেসেজ করার পর পাঁচ মিনিট রেখে দেবেন। ৫ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁট ন্যাচারাল ভাবে গোলাপি ভাব চলে আসবে।

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

আমরা অনেকেই আছি যারা কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চাই না। তাদের জন্যই আজ আমি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ন্যাচারাল ভাবে ঠোঁট কিভাবে গোলাপি করবেন তা নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি আপনার ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে কোমল মসৃণ ও ন্যাচারাল গোলাপি বর্ণ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায় গুলো কি কি-

গোলাপ পেস্ট ও মধুঃ এক চামচ গোলাপের পেস্ট ও এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে নিয়মিত দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। দেখবেন ন্যাচারাল ভাবে আপনার ঠোঁট ভেতর থেকে গোলাপি বর্ণ হয়ে গেছে।

চিনি থেরাপিঃ চিনি আমাদের ঠোঁটের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। ঠোটের অবাঞ্ছিত কোষ মৃত চামড়া রুক্ষতা কালসে ভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর জন্য অবশ্যই নিয়মিত ঘুমানোর আগে ঠোঁটে চিনির সাথে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে মাসাজ করতে পারেন। এভাবে খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনি আপনার ঠোঁটকে গোলাপি বর্ণের করতে পারবেন।

দুধের সরঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দুধের সর সে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়। দুধের সর শুধু আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কার্যকারী নয় এটি আমাদেরনরম কোমল মসৃণ ও গোলাপি বর্ণ করতে বেশ ভূমিকা রাখে। এজন্য নিয়মিত দুধের সরের সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে ভালো করে ঠোঁটে মাসাজ করুন।

নারিকেলের তেলঃ ঠোঁটকে গোলাপি বর্ণ করতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নারকেলের তেল। নিয়মিত প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণে নারিকেলদের ঠোঁটে লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট মাস কাজ করুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারে পার্থক্য আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন।

গোলাপ জলঃ গোলাপজল আমাদের ঠোঁটের ন্যাচারাল গোলাপি ভাব বের করে আনতে সহায়তা করে। নিয়মিত দিনে দুইবার গোলাপ জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ মধুমিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করুন।

অ্যালোভেরাঃ নিয়মিত প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে মাসাজ করলে খুব সহজে দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনার ঠোঁটের ন্যাচারাল গোলাপি ভাব বেরিয়ে আসবে। এলোভেরা আমাদের ঠোঁটের মেলানিন দূর করে। যার ফাটা রুক্ষ ও কালচে হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।
জলপাই তেলঃ নিয়মিত ঠোঁটে ঘুমানোর আগে জলপাইয়ের তেল মাসাজ করলে, ঠোটের আদ্রতা ও রুক্ষতা দূর হয়ে ঠোঁট তার আসল রং ফিরে পায়।

হলুদঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য হলুদের পরিচিতি অনেক বেশি। তবে ঠোঁটের আসল উজ্জ্বলতা বের করতেও এর ভূমিকা রয়েছে। এর জন্য ০.৫ চামচ হলুদের পেস্ট , ০.৫ চামচ দুধ ও ০.৫ চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করুন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে ঠোঁটের গোলাপি ভাব বেরিয়ে এসেছে।

ডালিমঃ ডালিমের ডানা ঠোঁটকে গোলাপি বর্ণ করতে বেশ কার্যকারী। এর জন্য কয়েকটি দানা ভালো করে পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণে মধু ও ঘি মিশিয়ে ঠোঁটে ভালো করে মাসাজ করুন। দেখবেন আপনার ঠোঁটে গোলাপি ভাব চলে এসেছে।

শসার রসঃ শসা দ্রুত আমাদের ঠোঁটের প্রেগমেন্টেশন কমায় কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এর জন্য শসা ঠোঁটকে গোলাপী বর্ণ করতে বেশ কার্যকারী। শসার ভালো করে পেস্ট তৈরি করে এর সাথে সামান্য পরিমাণে লেবু ও মধু মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

দারুচিনিঃ দারুচিনি ও অলিভ অয়েল এর মিশ্রিত পেস্ট ঠোঁটকে গোলাপি বর্ণ করতে বেশ কার্যকারী। এর এক কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ও এক চিমটি দার্জিলিং ঘোড়া ভাল করে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। পাঁচ থেকে দশ মিনিট ধরে রাখার পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ঠোট ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

বিভিন্ন প্রাকৃতিক সিরামঃ ঠোঁটকে নরম কোমলীয় মসৃণ ও গোলাপি বর্ণ কোথায় ভাবে রাখতে চাইলে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সিরাম ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক শিরাম হিসেবে আপনি নারকেল তেল বাদামের তেল অলিভ অয়েল জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রাকৃতিক তেল গুলোতে কোন প্রকার কেমিক্যাল ও ক্ষতিকার পদার্থ মিশ্রিত থাকে না।

পুদিনা পাতাঃ ত্বকের গোলাপী ভাব আনতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে পুদিনা পাতা। এর জন্য কয়েকটি পুদিনা পাতার ভালো করে পেস্ট তৈরি করে এর ভেতরে সামান্য পরিমাণ নারিকেল তেল মিশিয়ে ঠোঁটে ভালো করে মাসাজ করুন। পরিবর্তন আপনার নিজের চোখে দেখতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্তি পাওয়ার ৯টি প্রমাণিত উপায়

ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ দূর করার উপায়

ভোটের চারপাশে কালো দাগ মূলত পিরিওরাল ডারমাটিক্স এর কারণে হয়ে থাকে।পিরিওরাল ডারমাটিক্স হল ঠোটের চারপাশে এলার্জিক রিএকশন। এটি জন্মগত বা বংশগত কারণে হয়ে থাকে এছাড়া এ রোগ পরিবারের কারো থাকলে আপনার হতে পারে। এ রোগের প্রধান লক্ষণ হল রাশেজ, চুলকানি, ঠোঁটের চারপাশ কালচে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। চলুন জেনে ঠোটের চারপাশে কালো দাগ দূর করার উপায় গুলো কি কি-

  • লেবুর রস ও টক দই মিশ্রিত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটে চারিপাশে
  • দুধ বেসন ও হলুদের মিশ্রিত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
  • টক দই ওটস মিল ও টমেটোর রস মিশ্রিত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
  • আমার রয়েল লেবুর রস ও আনারস মিশ্রিত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
  • দুধে সর ও ওটসমিলের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন
  • শসার রস টমেটোর রস ও যষ্টিমধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন
  • আলুর রস ঠোটের চারিপাশে মাসাজ করতে পারেন
  • নিয়মিত ঠোঁটের চারিপাশে পাকা পেঁপে মাসাজ করতে পারেন
  • চিনির তৈরি স্ক্রাব বেশ কার্যকরী।
  • ঠোঁটের চারিপাশে ব্লিচিং করতে পারেন, ব্লিচিং উপাদান হিসেবে লেবুর রস বেশ কার্যকরী।

ঠোট গোলাপি করার ক্রিমের নাম

আমরা অনেকে ঠোট গোলাপি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম খুঁজি। এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিমের নাম কি জানানোর জন্য উক্ত পোস্টটি লিখেছি চলুন জেনে নিই-
  • এসসিআরইউ ক্রিম লিপস স্ক্রাব
ব্যবহারবিধিঃ ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য এই প্রোডাক্টটি বেশ কার্যকারী। । এটি ব্যবহার করার জন্য অল্প করে হাতের আঙ্গুলে ক্রিম নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে আস্তে আস্তে মাসাজ করুন। এই ক্রিমটি সফ্ট ও নরম হওয়ায় বেশ ভালোভাবে ঠোঁটে মাসাজ করা যায়। ম্যাসাজ করতে করতেই দেখবেন ঠোঁটের মৃত চামড়া গুলো উঠে আসছে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন এবং সকালে ঠোঁট ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।

ব্যবহারে যে উপকারিতা পাবেন

  • ব্যবহারে খুব সহজেই গোলাপি বর্ণের হবে
  • ধূমপানের ফলে ঠোঁটে হওয়া কালো দাগ সহজে উঠে যাবে
  • শীতে বা অন্যান্য ঋতুতে ঠোঁট রুক্ষ হবে না

লেখকের মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টে পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের কে ভোট সম্পর্কে সকল তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url