আর্টিকেল লেখার সময় গ্রামাটিক্যাল বাংলা ও ইংলিশ ভুল সংশোধন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় আর্টিকেল লেখার সময় গ্রামাটিক্যাল বাংলা ও ইংলিশ ভুল সংশোধন, আর্টিকেল লেখার সময় স্ক্রিনশট ব্যবহার করা নিয়ম আরও আর্টিকেল বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্টে পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার সকল সমস্যার সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং প্রফেশন হিসেবে আর্টিকেল রাইটার বেছে নিবেন।
ভূমিকা
বর্তমানে বেকারের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। এর কারণ আমরা শুধু চাকরির পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছি। তবে এমন একটি কর্ম রয়েছে যা আপনি নিজে ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি হল আর্টিকেল রাইটিং। এটি একটি সহজ ও প্যাসিভ ইনকাম।
তবে এটি প্রফেশন হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। এজন্যই আজ আমি একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যে সকল ট্রিকস ও টিপসগুলো জানা দরকার সেগুলো নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আর্টিকেল লেখার সময় স্ক্রিনশট ব্যবহার করা নিয়ম
আর্টিকেল লেখার সময় স্ক্রিনশট ব্যবহার করার নিয়ম জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি কপি রাইটিং এর সকল টেকনিক ও প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন।
কোন প্রকার আর্টিকেল বা ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট লেখার সময় আমাদের প্রফেশনাল ভাবে স্ক্রিনশট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা জানা অত্যন্ত জরুরী । আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি তখন এমন কিছু আর্টিকেল থাকে যেগুলো শিক্ষামূলক বা মানুষকে শেখানোর জন্য লেখা হয় যেমন-
কিভাবে কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে হবে, ডাউনলোড করার পর কোথায় ক্লিক করতে হবে, কোন অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং দেখিয়ে দিতে হয় কার পরে কোন স্টেপ, কোথায় ওকে প্রেস করতে হবে ইত্যাদি আরও।
এ সকল তথ্য বা প্রসেস মানুষকে ডিটেইলে স্টেপ বাই স্টেপ দেখানোর জন্য আমাদের পোস্টের বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর এই স্ক্রিনশট গুলো যেন প্রফেশনাল লেভেলে হয় এর জন্য আজ আমি আপনাদের এই বিষয়ের কিছু টেকনিক নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমত আপনি যে ইমেজের স্ক্রিনশট নিবেন সেটি আপনার স্কিনে রাখবেন। রাখার পর চিত্র অনুসারে প্রথমে windows থেকে স্লিপিং টুল (Snipping Tool) সিলেক্ট করবেন।
ওপরের ইমেজ অনুসারে এমন একটি বক্স আসবে যেখান থেকে আপনাকে নিউ(New) অর্থা। ৩ নম্বর তীর চিহ্ন অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। নিউ (New) অপশন সিলেক্ট করলে আপনি যে ইমেজের স্ক্রিনশট নেবেন সেটি চলে আসবে। স্ক্রিনশট নেওয়া হয়ে গেলে সেভ করে নিবেন।
ডেক্সটপে সেভ করার পর ছবিটিকে মডিফাই করার জন্য ফটোশপ অপশনে গিয়ে ডেক্সটপ থেকে ছবিটি ফটোশপে আনবেন। ছবিটির লেখা বা সাইজ ছোট বড় করার প্রয়োজন হলে ছোট বড় করে নিবেন। এছাড়াও কোন কিছু বাদ দেওয়ার থাকলে ক্রাফ(Crop) অপশন থেকে বাদ দিয়ে নেবেন।
উপরের সম্পূর্ন কাজ শেষ হয়ে গেলে আপনার ইমেজটি যেন কেউ কপিরাইট করে না নিয়ে নেয় এজন্য আপনি আপনার ইমেজ এর ওপরে জল ছাপ বা আপনার ওয়েবসাইটের নামের শীল দিতে পারবেন। উপরোক্ত ছবিতে যেমন আপনি দেখতে পারছেন আমি আমার ওয়েবসাইটের নাম Right batton এর শীল এর ওপরে দিয়ে দিয়েছি।
আপনি এটি দিতে চাইলে প্রথমে ৪ নং তীর চিহ্ন টেক্সট(Text) টুল দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে নিবেন। ছোট বড় করার প্রয়োজন পরলে করে নেবেন। লেখা হলে লেখাটি ট্রান্সফর্ম করার জন্য অর্থাৎ বাঁকা করার জন্য (Ctrl+T) প্রেস করবেন।
আপনার ওয়েবসাইটটি লেখার উপরে থাকলে নিচের লেখাগুলো পড়তে অসুবিধা হবে এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের নামটি ঝাপসা করার জন্য পাঁচ নাম্বার যে তীর চিহ্ন দেওয়া আছে(opacity) সেটা কম করে নেবেন।
অনেক সময় আমাদের স্ক্রিনশট এর ভেতরে কোনো কিছু লেখার প্রয়োজন হয়। লেখার জন্য আপনি চিত্রে ৬ নম্বর তীর চিহ্ন(Brush Tool) অপশনে ক্লিক করে লিখতে পারবেন। এভাবে খুব সহজে কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি প্রফেশনাল ভাবে কোন কিছুর স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার সময় গ্রামাটিক্যাল বাংলা ও ইংলিশ ভুল সংশোধন
আর্টিকেল লেখার সময় ড্রামা গ্রামাটিক্যাল বাংলা ও ইংলিশ ভুল সংশোধন করার জন্য আজ খুব সহজ পদ্ধতি জানবো। চলুন জেনে নিই কিভাবে খুব সহজেই লেখালেখি করার সময় বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ বা শব্দ ভুল সংশোধন করা যায়।
আর্টিকেল লেখার সময় ইংরেজি লেখা শুদ্ধ করা
উপরে চিত্রে Thank yov লেখা আছে। লেখাটিতে You বানানটি ভুল আছে। এটা আপনি সংশোধন করতে চাইলে লেখাটির উপরে। ভুল ইংরেজি লেখাটির ওপরে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন। উপরে চিত্রের মতো আপনার কম্পিউটারের সামনে একটি বক্স আসবে। সেখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সাজেশন দেবে। আপনি যেটি নিতে চান সেটি ইচ্ছামত নিতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার সময় বাংলা লেখা শুদ্ধকরণ
বাংলা লেখার সময় কোন বানান ভুল থাকলে তা সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনার লেখা আর্টিকেল বা সকল লেখা অভ্র স্পেলিং চেকার এর মধ্যে লিখতে হবে। লেখা হলে স্পেন চেক(Spell checker) বা f7 ক্লিক করবেন।
এর সাথে সাথে আপনার লেখায় যে সকল ভুলগুলো আছে তা দেখতে পাবেন এবং এর সাথে আপনাকে কিছু সাজেশন দেখাবে কোন লেখাটি সঠিক আপনার কাছে। এমন ভুল যদি আপনার লেখায় অনেক জায়গায় থাকে তা ঠিক করার জন্য আপনাকে change all অপশনে ক্লিক করতে হবে।
তাহলে যে সকল স্থানে আপনার ওই ভুলটি রয়েছে সকল স্থানে তা সঠিক হয়ে যাবে। আর যদি আপনি ইগনোর(Ignore all) অপশনে ক্লিক করেন তাহলে আপনার কোন লেখা পরিবর্তন হবে না এবং চেঞ্জ অনস(Change once) ক্লিক করলে আপনার সেই লেখাটি পরিবর্তন হবে আর কোন লেখা পরিবর্তন হবে না।
উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে আপনার লেখা বা কোন আর্টিকেল এর ইংরেজি ও বাংলা লেখার বানান খুব সহজেই শুদ্ধ করতে পারবেন।
কপিরাইট কি? এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
কপি রাইটিং কি? এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
কপি রাইটিং কি কাউকে প্রশ্ন করলে সকলের মনে এই জিনিসটায় আসে যে কপিরাইটিং অর্থাৎ আপনি নিজে কোন লেখার সত্তা অধিকারী বা কোন লেখার বা আর্টিকেলের মালিক আপনি এবং কপি পেস্ট অর্থাৎ অন্য কারো লেখা কপি করে নিজের সাইডে পেস্ট করা।
আসলে কপি রাইটিং বলতে এ দুটোর কোনটাই বোঝাই না। কপিরাইটিং সম্পর্কে সঠিক তথ্য বোঝাতে হলে নিচের এই তিনটি বিষয় আগে জানতে হবে চলুন এ সম্পর্কে জেনে নিন।
অ্যাটেনশন(Attention)-কোন পাঠকের বা যাদের কাছে আপনি সেবা প্রদান করবেন তাদের মনোযোগ আটকানো মূলক কিওয়ার্ড বা কথা তৈরি করাকেই অ্যাটেনশন বলে। একজন আর্টিকেল রাইটারের বা কপিরাইটার পাঠকের বা সেবা প্রদানকারীর অ্যাটেনশন ধরে রাখতে পারবে তার আর্টিকেল ততো বেশি ভালো হবে।
উদাহরণঃ আপনি কোন সার্ভিস বা সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে প্রথমে এর বিজ্ঞাপন দিতে হবে তাহলে আপনার বিজ্ঞাপনটি এমন হতে হবে যেন আপনি কাস্টমারের মনোযোগ বা এটেনশন ধরে রাখতে পারেন এভাবে খুব সহজে আপনি আপনার পণ্য সেবা বা সার্ভিসটি খুব সহজে বিক্রি করতে পারবেন। আর যদি আপনি কাস্টমারের অ্যাটেনশন ধরতে না পারেন তাহলে আপনার পণ্যটি কখনো বিক্রি হবে না।
প্রমিস(Promise)-প্রমিসিং হলো আপনি যে সেবা বা সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন সেখানে আপনাকে কিছু প্রমিস করতে হবে যেমন আপনার পণ্যটি অবশ্যই গুণগতমান ভালো হবে এমন কিছু প্রমিস কাস্টমারের কাছে করতে হবে।
কল টু অ্যাকশন(Call to action)-কল টু একশন হলো আপনি আপনার পণ্যটি কাস্টমারের নিকট অ্যাটেনশন নিতে পেরেছেন এবং কিছু প্রমিস করেছেন এরপর আপনি কাস্টমারের কাছে জিনিসটি বিক্রি করে দিলেন।
অর্থাৎ কপিরাইট হলো আপনি আপনার সেবা কাস্টমারের নিকট পৌঁছে কিছু প্রমিস করে পণ্যটি বিক্রি করে দিলেন। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন কপিরাইট কি।
প্লাগারিজন(Plagiarism) কি? এবং কেন করবেন না
একজন কন্টেন্ট রাইটার বা আর্টিকেল রাইটারের জন্য প্লাগারিজন(Plagiarism) কি? এবং কেন করবেন নাতা জানা অত্যন্ত জরুরী। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা থেকে চলুন জেনে নি।
প্লাগারিজন(Plagiarism) হল আপনার কোন লেখা বা কনটেন্ট কোন ব্যক্তি আপনার পারমিশন ব্যতীত তার কোন ওয়েবসাইটে হুবহু কবে পেস্ট বা কিছু অংশ লেখার পর নিজের নাম দিয়ে পাবলিশ করাকে বোঝায়। এই প্লাগারিজম করা আইনগতভাবে অপরাধ।
আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার কোন লেখা কেউ চুরি করেছে তাহলে আপনি google অথরাইজ এর কাছে তা কমপ্লেন করতে পারেন। কমপ্লেইন করার পর google অথোরাইজ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে এবং আপনার কমপ্লেনটি যদি সঠিক হয় তাহলে সে ব্যক্তির ওয়েবসাইট গুগল নিজেই বন্ধ করে দেবে। তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন আমাদের কেন প্লাগারিজম করা যাবে না।
আপনার আর্টিকেল প্লাগারিজম করেছে কিনা কি করে বুঝবেন
প্লাবারিজম কি এবং কেন করবেন না এ বিষয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি সেটা সম্পূর্ণ করেছেন। কোন ব্যক্তি আপনার আর্টিকেল প্লাগারিজম করেছে কি না কি করে বুঝবেন। চলুন জেনে নিন আপনি কি করে জানবেন আপনার আর্টিকেলটিজম হয়েছে কিনা।
উপরোক্ত চিত্র দেখানো ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক তীর চিহ্ন স্থানে সার্চ করুন। সার্চ করার পর আপনি দেখতে পাবেন আপনার আর্টিকেলে কোন লেখা কোন ব্যক্তি বা কোন ওয়েবসাইট লিখেছি কিনা। যে সকল লেখাগুলো বোল্ট আকারে থাকবে সেই লেখাগুলো আপনার ওয়েবসাইট থেকে কপিরাইট করা হয়েছে।এছাড়াও আরেকটি সহজ নিয়ম আছে সেটি হল আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে যেকোনো দুই থেকে তিন লাইন সিলেক্ট করে গুগলে সার্চ করুন দেখবেন চেয়ে লেখাগুলো বোল্ট আকারে রয়েছে সেগুলো আপনার ওয়েবসাইট থেকে চুরি করে লেখা হয়েছে। এই দুইটি খুব সহজ নিয়মেই আপনার আর্টিকেল কেউ চুরি করে লিখেছি কিনা বুঝতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এ পোষ্টিটির মাধ্যমে আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন টেকনিক ও প্রফেশনাল ভাবে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরুক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে আটিকের প্রফেশনের আর্টিকেল রাইটার হওয়ার টেকনিকগুলো জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url