চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান

আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান এবং প্রতিদিন কতটুকু চিয়া বীজ খাওয়া উচিত? ইত্যাদি আরো চিয়া সিড নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্টে পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে চিয়া সিড সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধানও উত্তর পাবেন এবং সঠিকভাবে ও নিয়মে চিয়া সিড ব্যবহার করে শরীর সুস্থ সবল রাখতে পারবেন।

ভূমিকা

চিয়া সিডকে সকলে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কেন করেছে হয়তো আপনি এখন বুঝবেন না সম্পন্ন পোস্টটি পড়লে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন। এজন্যই আগামী শেষের সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কিছু তথ্য তুলে ধরেছি।
যেমন চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড কোন গাছ থেকে উৎপন্ন হয়, ওজন কমাতে খাওয়ার নিয়ম, কিভাবে খাবে, কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন, দিনে কয়বার খেতে পারবেন ইতালি আরও চিয়া সিড আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

চিয়া সিড এর বাংলা নাম ও চিয়া সিড এর দাম কত ২০২৪

আমরা অনেকে চিয়া সিড ওজন কমানো ডায়াবেটিস ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনে থাকি বা খেয়ে থাকি। তবে আমরা কি চিয়া সিড এর বাংলা নাম ও চিয়া সিড এর দাম কত ২০২৪ সালে এর সঠিক তথ্য জানি। এ বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা না থাকলে চলুন জেনে নিন-

চিয়া সিড এর বাংলা নাম

চিয়া সিড মূলত আমাদের বাংলাদেশী কোন খাদ্য নয় এটি একটি বিদেশি খাদ্য। যা সুদূর মধ্য ও দক্ষিণ মেক্সিকোর সালভিয়া হিসস্পেনিকা(Salvia hispanica) নামক গাছের ফুল থেকে উৎপন্ন হয় তবে এর কোন নির্দিষ্ট নাম দেওয়া হয়নি বিধায় এই বীজকে মেক্সিকান চিয়া বা চিয়া সিড নামেই ডাকা হয়। মেক্সিকো সহ দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্র তে এই বীজের জন্মস্থান এবং মেক্সিকোতে খাদ্য ও পানীয় হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।

চিয়া শব্দের অর্থ শক্তি। যার জন্য মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তি ধরে রাখতে ওজন কমাতে ডায়াবেটিস হার্ট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ জনপ্রিয় এই বীজ। আরবি ভাষায় চিয়া সিডকে বায়ুর শিয়া বলে এছাড়াও বিভিন্ন দেশে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হলেও চিয়া সিড এর বাংলা নাম চিয়া সিড বা চিয়া বীজ নামে ডাকা হয়।

চিয়া সিড এর দাম কত ২০২৪

আপনি কি চিয়া সিড এর সঠিক দাম সম্পর্কে জানতে চান? ওজন কমানো সহ আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য চিয়া সিড খেতে চান? এবং এই বীজের সঠিক দাম আপনি এখনো জানেন না। চলুন জেনে নেই চিয়া সিড এর দাম কত ২০২৪ সালে বিভিন্ন স্থানে কেমন-

  • এক কেজি পরিমাণ চিয়া সিডের মূল্য- ৭৫০ টাকা।
  • ৫০০ গ্রাম পরিমাণ চিয়া সিডের মূল্য- ৩৯০ টাকা।
  • হোম ডেলিভারি চার্জসহ ঢাকার ভেতরে ১ কেজি চিয়া সিডের মূল্য- ৮১০ টাকা।
  • এক কেজি পরিমাণে ভালো মানের চিয়া সিডের মূল্য- ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
  • ৫০০ গ্রাম ভালো মানের চিয়া সিডের মূল্য- ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।
  • ৫০০ গ্রাম চায়না চিয়া সিডের মূল্য- ৩৩২ টাকা।
  • কালো চায়না চিয়া সিডের ১ কেজির মূল্য- ৬১৯ টাকা।
  • ইউকে কোয়ালিটির ১ কেজি চায়না চিয়া সিডের মূল্য- ৬৫০ টাকা।
  • প্রিমিয়াম কোয়ালিটি(Premium Quatity) চিয়া সিডের ১ কেজির মূল্য- ৬২০ টাকা।
  • ইউকে হেলথ লাইভ(Uk healthy life) এর চায়নাচিয়া সিডের এক কেজির মূল্য- ৪০০ থেকে ৪৬৮ টাকা।
  • ইউকে কোয়ালিটির (Uk Quality) চিয়া সিডের ২ কেজির মূল্য- ১২০০ টাকা।
  • বাংলাদেশে বিভিন্ন মুদির দোকানে ২০০ গ্রাম চিয়া সিডের মূল্য- ২৬০ টাকা ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়।

চিয়া বীজ কোন গাছ থেকে পাওয়া যায়?

চিয়া বীজ কোন গাছ থেকে পাওয়া যায়?
আপনাদের অনেকের মনে হয়তো এমন প্রশ্ন জাগতে পারে চিয়া বীজ কোন গাছ থেকে পাওয়া যায়? এর ফুল কেমন হয় এই গাছটি দেখতে কেমন ইত্যাদি আর নানাবিধ প্রশ্ন। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে এ বীজটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমাদের সকলের কাছে। এটাই স্বাভাবিক আপনাদের মনে হয় এ সকল প্রশ্ন জাগবে তবে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে অবশ্য সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার অনুরোধ রইল চলুন জেনে নিই এ বিষয়ে সঠিক তথ্য-

চিয়া সিড মূলত মধ্য ও দক্ষিণ মেক্সিকো বা দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের সালভিয়া হিসস্পেনিকা(Salvia hispanica) নামক গাছের বীজ। পুদিনা গাছের মতো দেখতে এই ছোট গাছের বীজটির বিভিন্ন রং এর হয়ে থাকে যেমন সাদা, কালো, বাদামি ও ধূসর ইত্যাদি।
এই বীজ টি তিলের আকারে বা এর ব্যাস ০.০৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে তবে এটি যখন পানিতে কিছুক্ষণ ভেজানো হয় তা তখন এটি সাদা বর্ণ ধারণ করে এবং আকারে ১০ থেকে ১২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এটি যখন পানিতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভেজানো হয়ে থাকে পানিটি জেলি ভাব ধারণ করে এবং শেয়ার ও এবং চিয়া সিডের উপরের স্তরে সাদা একটি আবরণ সৃষ্টি হয়।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই আছি যারা ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সাদ বিহীন বা বিভিন্ন খাবারের বিভিন্ন ডায়েট বা তালিকা মেনে খাবার খায় বা চলি। এতে আমাদের একে তো ওজন কমে না অন্যদিকে শরীর দুর্বল ও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুখের সৃষ্টি হয়।

এজন্যই আজ আমি আপনার জন্য খুব সহজে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। চলুন জেনে নিয়ে এই বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-
চিয়া সিডের সালাদ তৈরি করেঃ
চিয়া সিডের সালাদ তৈরি করেঃ শসা, বিভিন্ন রকমের ফল, টক দই ও চিয়া সিড একত্রে ভালো করে মিশিয়ে সালাদ তৈরি করে সকালের নাস্তা বা বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আপনার শরীরে সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাবে তেমনি শসা, টক দই ও চিয়া সিড আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কাটিয়ে দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড

পানিতে ভিজিয়েঃ চিয়া সিড নিয়মিত উষ্ণ অথবা ঠান্ডা পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে সকালে অথবা রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে খেতে পারেন। আমরা সকলেই জানি পানির ঘাটতি আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে আর পানি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ আনে। নিয়মিত ছিয়া সিট ভেজানো খেলে খুব সহজে শরীরে পানির ঘাটতি মিটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
ফলের রসের সাথে চিয়া সিড ভিজানো
ফলের রসের সাথেঃ আমরা অনেকেই আছি যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালে বা বাসি পেটে পানি খেতে পারি না। তারা খুব সহজে বিভিন্ন রকম ফলের রসের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে যেমন আপনার শরীরে ফলের রসের মাধ্যমে শরীরের সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মিটে যাবে তেমনি খুব সহজে শরিলে পানির ঘাট দিয়েছি মিটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনবে।
বিভিন্ন খাদ্যের সাথে মিশ্রিত চিয়া সিড
বিভিন্ন খাদ্যের সাথে মিশ্রিত করেঃ চিয়া সিড এমন একটি বীজ যা আপনি বিভিন্ন রকমের খাবারের সাথে মিশিও খেতে পারেন এতে আপনার খাদ্যের যেমন সুস্বাদু ও গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে তেমনি শরীরে পানির ঘাটতি দ্রুত সময়ের ভেতরে মিটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনবে। চিয়া সিড আপনি খেতে পারেন পুডিং, কেক, স্মুথি, হটমিল্ক ওটস ইত্যাদির সাথে মিশে।
দুধের সঙ্গে চিয়া সিড মিশানো
দুধের সঙ্গে মিশিয়েঃ দুধের সঙ্গে বা দুধ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। শুধুমাত্র দুধের সাথে ছিয়াশিট খেতে চাইলে ১ থেকে ২ চামচ  চিয়া সিড দিয়ে ১৫ থেকে ২০মিনিট পর খাবেন।
লেবু ও চিয়া সিড সঙ্গে মিশানো
লেবু ও চিয়া সিডঃ এক গ্লাস কুসুম গরম বা নরমাল পানিতে চিয়া সিডএক থেকে দুই চামচ ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। চিয়া সিড গুলোসাদা বর্ণের হয়ে আসলে বা পানিতে আঠালো ভাব চলে আসলে এর ভেতরে এক চামচ লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খালি পেটে সকালে কিংবা রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে খান এবং অল্প পরিমানে হলেও নিয়মিত হাঁটাচলা বা সামান্য ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার শরীরের পার্থক্য আপনি নিজে কিছুদিনের ভিতরে পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।
বিভিন্ন ফল ও চিয়া সিড দিয়ে পুডিং তৈরি
পুডিং তৈরি করেঃ বিভিন্ন রকমের ফল, কোকো পাউডার ও চিয়া সিড ভালো করে মিশিয়ে পুডিং তৈরি করে খেতে পারেন। এতে যেমন আপনার পুডিং দেখতে ও খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হবে তেমনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণেও আসবে।
নারকেলের পানি  ও চিয়া সিড সঙ্গে মিশানো
নারকেলের পানি সঙ্গে মিশিয়েঃ নারকেলের পানিও চিয়া সিড দুটো আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি মিটিয়ে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বা চর্বি বা মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেজন্য নিয়মিত আপনার ইচ্ছামত যে কোন সময় এক গ্লাস নারিকেলের পানির সঙ্গে দুই চামচ চিয়া সিড ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে খান।

চিয়া সিড কত সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়?

বর্তমানে মানুষ শরীর সুস্থ ও সরল রাখতে বেশ সচেতন। যার জন্য মানুষ নিয়মিত এখন বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন চিয়া সিড, মেথি, কালোজিরা ইত্যাদি বীজ জাতীয় খাবার খাই। আপনিও আপনার শরীরকে স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ রাখতে চান এর জন্য নিয়মিত আপনি চিয়া সিড খাচ্ছেন। তবে চিয়া সিড কত সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়? এমন প্রশ্ন হয়তো আপনার মনেও আছে চলুন এ প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন-

চিয়া সিড বা চিয়া বীজ এমন এক ধরনের বীজ যা আপনি যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন কারণ এর কোন স্বাদ ও গন্ধ নেই। আপনি যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে সেই খাবারের সৌন্দর্য ও শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। চিয়া সিড আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়।
বিশেষ করে চিয়া সিড আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করে যার ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ এমনিতেই বেরিয়ে যায়। আপনার যদি নিয়মিত চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে বা কোন খাবারের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অথবা ৩০ মিনিট ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে চিয়া সিড পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি শোষণ করে নেবে এবং আপনার শরীরে পানির ঘাটতি খুব সহজে মিটিয়ে শরীর থেকে সকল রকমের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীরকে সুস্থ সবল ও প্রাণবন্তক রাখবে।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান

বর্তমানে আমাদের দেশে চিয়া সিড বেশ পরিচিত একটি বীজ। এটি এত বেশি পরিচিত হওয়ার কারণ এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, স্বাস্থ্য সুস্থ রাখা ও বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেওয়া। চিয়া সিড থাকা উচ্চ মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ফাইবার, শর্করা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান,

যা আমাদের শরীরের হজম ক্রিয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হার্ট, মানসিক টেনশন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টি উপাদানের ভরপুর চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান নিয়ে নিম্নে আলোচনা করব। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন-

চিয়া সিডের উপকারিতা

বর্তমানে চিয়া সিড বিভিন্ন দেশ জুড়ে এর উপকারিতার জন্য বেশ জনপ্রিয়। চিয়া সিড যেমন যেকোনো খাদ্যের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে তেমনি শরীর সুস্থ সবল ও স্বাস্থ্যের সৌন্দর্য শতগুণ বৃদ্ধি করে। চলুন জেনে নেই পুষ্টি গুণে ভরপুর চিয়া সিডের উপকারিতা-

চিয়া সিডে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার অনেকক্ষণ ধরে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এবং পেট ভর্তি রাখে। যার ফলে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার বা অতিরিক্তক্যালোর যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকি।

  • নিয়মিত চিয়া সিড খেলে চিয়া সিডে দ্রবণ ফাইবার হজম ক্রিয়াকে ধীর করে খুদা কম লাগাতে সাহায্য করে এবং আমাদের ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
  • চিয়া সিড উচ্চ ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও হজম ক্রিয়া বা পাকস্থলীর পাচন ক্রিয়া ভালো রাখে।
  • আমাদের শরীরের রক্তের শর্করারমাত্রা স্বাভাবিক রাখে চিয়া সিডে উপস্থিত প্রোটিন ও উচ্চ ফাইবার।
  • শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিডে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, বিভিন্ন খনিজ, উচ্চ ফাইবার ও প্রোটিন।
  • আমাদের শরীরের পাকস্থলী বা পাচনতন্ত্রের জন্য ফাইবার বেশ কার্যকারী একটি উপাদান। এই উপাদানই আমাদের পাকস্থলীর বিভিন্ন অন্ত্রের গতিবিধি ঠিক রাখে এবং খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে।
  • চিয়া সিড আমাদের পাকস্থলীর পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন পাকতন্ত্র কে হাইড্রেট করে। সঠিকভাবে ও সুস্থভাবে খাদ্য হজম করতে এ হাইড্রেট আমাদের পাকস্থলীর জন্য বেশ প্রয়োজনীয়।
  • আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হজম ক্রিয়া-জনিত সমস্যা থাকে তাহলে দিনে এক থেকে দুই বার দুধ বা যে কোন পানীয় দিয়ে অথবা যেকোনো ধরনের খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এবং এর সাথে নিয়মিত অল্প পরিমাণে হলেও হাঁটাচলা বা সামান্য ব্যায়াম করতে হবে।
  • চিয়া সিড যেহেতু যে কোন খাবারকে জেলে পরিণত করে কারণ এতে থাকা ফাইবার জলকে দ্রুত শোষণ করতে ফেলে ফলে নিয়মিত চিয়া সিডে খেলে মল নরম ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে দূর হয়।
  • হার্ট এ সঠিকভাবে রক্ত চলাচল ও হার্টকে সুস্থ রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ওটা তো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় উপাদান চিয়া সিডে উপস্থিত রয়েছে। ফলে নিয়মিত খেলে আপনি হার্ট জড়িত বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবে।
  • চিয়া সিডে উপস্থিত ফাইবার ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে বেশ সহায়তা করে এছাড়াও যে সকল ব্যক্তির টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বীজ এটি।
  • চিয়া সিডে যেহেতু হজম ক্রিয়াজনিত সকল সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে ফলে আপনার মস্তিষ্ক সতেজ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • চিয়া সিডে উপস্থিত রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের হাড় মজবুত ও হাড় ক্ষয় হতে সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আপনি সকল সুবিধা খুব সহজেই পাবেন।
  • চিয়া সিড আমাদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে বেশ সাহায্য করে কারণ এতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টি আমাদের মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সুরক্ষা দেয়।
  • চিয়া সিড আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইটের এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • সকল ব্যক্তি সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত তাদের খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড রাখতে পারেন কারণ চিয়া সিড গুটেন মুক্ত।
  • চিয়া সিডে উপস্থিত কার্বোহাইডেট ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে স্থায়ীভাবে শক্তি এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • মারাত্মক, দীর্ঘস্থায়ী ও বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয় চিয়া চিয়া সিডে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট। এই এন্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোষগুলো থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • যে সকল ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ রয়েছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারে কারণ এতে থাকা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
  • আমাদের ত্বকে হাইড্রেট ও বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে চিয়া সিড।
  • বেশি মজবুত করতে সহায়তা করে।
  • গৃহপালিতপালিত পশুর খাদ্য তালিকা ও আপনি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
  • শরীরে কোলন ক্যান্সারের রোগ হতে ঝুঁকি কমায় চিয়া সিড কারণ আমাদের শরীরের কোলন পরিষ্কার করে চিয়া সিড।
  • শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • উজ্জ্বল মজবুত ও প্রাণবন্ত চুলের জন্য প্রয়োজন ও মেগা থ্রি ফ্যাটি আই সিট ও বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় উপাদান যা চিয়া সিডে বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য চুলের যত্নে আপনি নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চিয়া সিড পানিও খেতে পারেন।
  • যে সকল ব্যক্তির শরীরে প্রোটিনের বা মাছ-মাংসে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে তারা রেখ ঘাটতি মেটানোর জন্য চিয়া সিড খেতে পারেন।
  • শরীরের ভিটামিন সি জনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে আপনি চিয়া সিড খেতে পারেন কারণে চিয়া সিডে ভিটামিন সি-এ থাকায় এর অভাব খুব সহজে মেটাতে পারে।
  • নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের সমস্যা থাকলে চিয়া সিড খেতে পারেন।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যা কখনো কখনো স্বল্পমাত্রা আবার কখনো কখনো মারাত্মক হয়ে যায়। তাই আজ আমি আপনাদেরকে সাথে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন নিম্নে বিস্তারিত জেনে নেই-

  • পেট ফাঁপা, বদহজম, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে
  • অস্বাভাবিক মাত্রায় সেবন করলে হঠাৎ রক্তচাপের মাত্রা কমে যেতে পারে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
  • মাত্র অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বা নিয়মিত লাগাতার ভাবে খেতে থাকলে আপনার ওজন অনেক বেশি কমে যেতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তির পূর্বে কোন প্রকার এলার্জি রয়েছে তারা চিয়া সিড খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নেয়ার পর খাবেন। তা না হলে আপনার অ্যালার্জি বৃদ্ধি হতে পারে।
  • বিভিন্ন গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড নিয়মিত খান তাহলে আপনার স্তন ক্যান্সার বা পোস্টেট ক্যান্সার হতে পারে।
  • মাত্রা অতিরিক্ত ছিয়াশিট খেলে চিয়া সিড এর উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের রক্ত পাতলা করে দিতে পারে বা রক্তপাত ঘটাতে পারে।
  • চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত থাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
  • প্রোটিনের মাত্রা অতিরিক্ত থাকায় চিয়া সিড অস্বাভাবিক মাত্রায় খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতেও পারে।
  • চিয়া সিডে যেহেতু প্রোটিনের মাত্রা উপস্থিত রয়েছে এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি আমাদের কিডনির সমস্যা বা কিডনিতে চাপে সৃষ্টি করতে পারে।
  • পানিতে ভালো করে না ভিজিয়ে চিয়া সিড খেলে আপনার শরীরে রক্ত পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এজন্য অবশ্যই সতর্কতার সহিত ভালো করে শেষ ভিজিয়ে খাবেন।
  • আপনি যদি কোন প্রকার বড় রোগ বা যে কোন প্রকার রোগের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে অবশ্যই চিয়া সিড খাবেন।
পোস্টটি সম্পূর্ণ লেখা শেষ করার পূর্বে কিছু কথা বা সতর্কবাণী দিতে চায় যে আপনারা যারা আমার এই পোষ্টটি করছেন সবাইকে বলবো ভালো জিনিস তো সব সময় ভালো কিন্তু অতিরিক্ত হলে ভালো জিনিসও খারাপ এরজন্য ভালো বলে যে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন তা কখনোই করবেন না। ভুল বললে মাফ করবেন।

চিয়া সিডে পুষ্টি উপাদান

চিয়া সিডকে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অনেকেই ফলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন চিয়া সিডে পুষ্টি উপাদান কত বেশি এবং কি পরিমাণে রয়েছে। চলুন জেনে নেই কোন কোন পুষ্টি উপাদান কি কি পরিমাণে রয়েছে-

  • ফোলেট- ১২% ডিভি
  • কার্বোহাইড্রেট- ৪২% ডিভি
  • উতাস- ১৪% ডিভি
  • প্রোটিন- ১৬% ডিভি
  • থায়ামিন- ৫৪% ডিভি
  • ফ্যাট-৩১% ডিভি
  • নিয়াসিন- ৫৯% ডিভি
  • লিনোলেনিক অ্যাসিড- ৫১-৫৭%
  • সোডিয়াম- ০.৬ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন কে- ৩.৩ মাইক্রগ্রাম
  • ভিটামিন ই- ০.১ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস- ১৭৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি৬- ০.১ মিলিগ্রাম
  • জিংক- ১.০ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম- ৯৫ মিলিগ্রাম
  • এছাড়া কমলা লেবুতে ভিটামিন সি এর চেয়ে 6 গুণ বেশি।
  • দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণে যে ছয় গুণ বেশি।
  • সাইমন ম্যাচের থেকে আট গুণ বেশি ওমেগা থ্রি।
  • পালং শাকের থাকা আয়রনের তুলনায় তিনগুণ বেশি।
  • ডিমে প্রোটিনের মাত্রা তুলনায় তিন গুণ বেশি।
  • কলায় থাকা পড়াশোনার মাত্রার তুলনায় তিন গুণ বেশি।
কোয়েল সেটিং ম্যাঙ্গানিজ, ক্লোরোজেনিক এসিড, কেম্পফেরন ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে চিয়া সিডে।

সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়?

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থ সবল রাখতে আমরা অনেকে এখন চিয়া সিড খাওয়া শুরু করেছি। তবে আমরা অনেকেরই মনে প্রশ্ন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়? খালি পেটে খেলে কি কোন প্রকার সমস্যা বা বেশি উপকার পাওয়া যায় চলুন এ বিষয়ে সকল প্রশ্নগুলোর সমাধান করি-

চিয়া সিড গ্যাস জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেহেতু খুব সহজে সমাধান করতে পারে এজন্য সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে সারাদিন পেট পরিষ্কার থাকে।

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
  • চুলের বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে দূর হয়।
  • সারাদিনের সকল ক্রান্তি দূর হয়।
  • মানসিক বিকাশ ও মন প্রফুল্ল থাকে।
  • সকল কর্মও উৎসাহের সঙ্গে করা যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য খুব রোগ খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • শরীরের পেশী শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • হাড় মজবুত ও হাড় ক্ষয় রোদ হয়।
  • ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি সহজে মেটানোর সম্ভব হয়।
  • হাড় সুস্থ ও সবল থাকে।
  • শরীর রক্ত চলাচল সঠিক থাকে।
  • ডায়াবেটিস বা শর্করার মাত্রা শরীরে নিয়ন্ত্রিত মাথায় থাকে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
  • হৃদরোগের ঝুকি কমে আসে।
  • সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • অরনিদ্রা রোগ দূর হয়।
  • শরীর থেকে সকল টক্সিন সহজে বের হয়ে যায়।
  • শরীরেরবিভিন্ন প্রদাহ দূর হয়।
  • হাটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়।

প্রতিদিন কতটুকু চিয়া বীজ খাওয়া উচিত?

স্বাস্থ্য সুরক্ষা, দেহ মন ও বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতেআমরা অনেকে এখন চিয়া সিড খেতে শুরু করেছি। তবে অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্ন প্রতিদিন কতটুকু চিয়া বীজ খাওয়া উচিত? আমরা হয়তো অনেকে প্রশ্নের উত্তরও জানিনা ফলে উপকৃত হওয়ার পরিবর্তে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়।

বিভিন্ন গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ১০০ গ্রামের অধিক পরিমাণে কখনো ছিয়াশিট খাওয়া উচিত নয়। এর অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরে বিপ্লব ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই সতর্কতার সহিত এবং নিয়ম অনুসারে 86 খাবেন এবং এর সকল উপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান সঠিকভাবে ব্যবহার করে উপকৃত হন ।

দিনে কতবার চিয়া বীজ খাওয়া উচিত?

অতিরিক্ত কোন কিছুই যেমন ভালো নয় তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাদ্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এজন্য আপনাদের অবশ্যই জানা দরকার দিনে কতবার চিয়া বীজ খাওয়া উচিত? এ প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।
দিনে যেকোনো একবার সকালে বা রাত্রে ঘুমানোর আগে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা যারা ব্যায়াম করে থাকেন তারা ব্যায়াম করার এক ঘন্টা পরে খাবেন এবং অবশ্যই মনে রাখবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এর বেশি নয়।

লেখক এর মন্তব্য

রাইম বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ৮৬ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টে পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে ৮৬ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে তাদের সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url