আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়

আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়, জলবায়ুর নিরাময় গুলো কি কি ইত্যাদি আরও আবহাওয়া বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

আবহাওয়া ও জলবায়ু দুটোই আমাদের জীবন চলার অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। তবে জলবায়ু ও আবহাওয়া পরিবর্তনের মূলে মূলত আমরাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের শিল্পায়ন কলকারখানা যানবাহনের কালো ধোঁয়া যানবাহন বৃদ্ধি ইত্যাদি আরবি বিভিন্ন কারণে আমাদের পরিবেশে বা বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড মূলত গাছ গ্রহণ করে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধরনের দালান তৈরি করার জন্য কেটে ফেলছি। ফলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের আবহাওয়া ও জলবায়ু অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখে চলে আসছে। যার প্রভাব কিছুদিন পরেই আমরা মানব জাতি ভোগ করব।
এজন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে কিছু সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন পূর্বের আবহাওয়া জলবায়ু ও এখনকার আবহাওয়া জলবায়ুর ভেতরে কতটা পরিবর্তন এসেছে।

কিভাবে নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়?

আমরা অনেকেই জানতে চাই আবহাওয়ার পরিবর্তন কিভাবে ঘটে। এজন্যই আজ আমি আপনাদের জন্য উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চলুন জেনে নেই কিভাবে নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়।?

নিম্নচাপ

সাধারণ ভাষাতেই বোঝা যায় নিম্নচাপ অর্থ কম চাপ। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে নিম্নচাপ বলতে যে কোন এলাকায় যখন বায়ুর চাপ তুলনামূলকভাবে কমে যায় তখন সে অবস্থাকে নিম্নচাপ বলা হয়। ইংরেজিতে একে ডিপ্রেশন (Depression) বলা হয়।

নিম্নচাপ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যখন কোন এলাকায় সূর্যের তাপ অনেক বেশি বেড়ে যায় তখন ওই ও এলাকার বাতাস অনেক বেশি গরম হয়ে ওঠে। এর ফলে বাতাসের ঘনত্ব অনেক বেশি কমে যায়। বাতাসের ঘনত্ব কমে গেলে অনেক বেশি কমে যায়। মূলত এভাবেই বায়ুর চাপের সৃষ্টি হয়।

এভাবে যখন আস্তে আস্তে অনেক বেশি কমে যায় তখন আরো অনেক বেশি বেড়ে যায় যার ফলে অনেক বেশি চলে বাসবো সৃষ্টি হয়। আর এই যুগে বাসবো থেকেই তৈরি হয় মেঘ যা সহজে বাতাসের সাথে মিশিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ের সাথে থাকা খেয়ে বৃষ্টি হয়।

বায়ুমন্ডলের বায়ু পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করার সময় কোন এলাকার বায়ুর চাপ ৯৮৬ মিলিবার বা এর চেয়ে কম হলে বুঝতে হবে সেই এলাকায় নিম্নচাপ। বিভিন্ন এলাকার পরিবেশবিধে এ নিম্নচাপের আকার কখনো বড় আবার কখনো ছোট হয়ে থাকে। ছোট আকারের নিম্নচাপ ১৫০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় হয়ে থাকে।

আর বড় নিম্নচাপ ৩০০ থেকে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় হয়ে থাকে। অনেক বড় আকারের নিম্নচাপের গতিবেগ অনেক বেশি হয়ে থাকে এটা এই সকল নিম্নচাপের গতিবেগ আনুমানিক ৮০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিম্নচাপ সাধারণত তাপীয় অঞ্চলে বেশি দেখা দেয়।

নিম্নচাপের বিস্তার ও গতিবেগ মূলত কোন নির্ভর করে এলাকার তাপমাত্রা ও তাপের তীব্রতার মাত্রার ওপর। তাপমাত্রা তীব্রতা যতদিনব্যাপী তীব্র থাকবে নিম্নচাপ সাধারণত ততদিন পর্যন্তই থাকে এছাড়া গতিবেগ তাপমাত্রা তীব্রতার উপর নির্ভর করে।

উচ্চচাপ

উচ্চ চাপ বলতে আমরা সাধারণভাবেই বুঝতে পারি এটা বেশি চাপ কে বোঝাচ্ছে। উচ্চচাপ হল সম্পূর্ণভাবে নিম্নচাপের বিপরীত। উচ্চচাপ কি ইংরেজিতে (Anticyclone) বা প্রদীপ ঘূর্ণিবাত বলে। বায়ুচাপ মাপার যন্ত্রের সাহায্যে যখন আবহাওয়ার চাপ পরিমাপ করা হয় তখন যদি বায়ুমণ্ডলের বায়ুর চাপ১০১৩ থাকে তাহলে সেই বায়ুমণ্ডলের অবস্থাকে উচ্চবায়ুর চাপ বলা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ চাপ থেকে নিম্ন বায়ুর চাপের দিকে প্রবাহিত হয়। যে সকল এলাকায় উচ্চচাপ হয় সে সকল এলাকায় প্রদীপ ঘূর্ণিবাত বেশি দেখা দেয়।

আবহাওয়া ও জলবায়ু কি কারণে পরিবর্তন হয়?

বর্তমানে বিভিন্ন কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, যার ফলে আমাদের সুস্থ-সবল ভাবে জীবন চলাচল করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই জানা দরকার কি কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ু এত খারাপ পর্যায়ে চলে এসেছে । আমাদের এ কারণগুলো জেনে তার অবশ্যই প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদের সবাইকে। চলুন জেনে নেই আবহাওয়া ও জলবায়ু কি কারনে পরিবর্তন হয়?

জলবায়ু কি কারনে পরিবর্তন হয়

বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক আলোচনা ও গবেষণা চলছে। আসলে কি এই জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে কোন স্থানে বছরের পর বছর আবহাওয়ার চেনাজানা ধরন পরিবর্তন হওয়াকে বোঝায়। পৃথিবী তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ার কারণে চারপাশের আবহাওয়া ও গরম হয়ে যাচ্ছে যা মানবজাতির জন্য বেশ হুমকি স্বরূপ।
যেহেতু এটি মানব জাতির জন্য বেশ ক্ষতিকর এর জন্য এর মানুষকেই এর প্রতিকার করতে হবে সুস্থ সবল ও স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্য।প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে আমরা সকলে একজোট হয়ে যেভাবে প্রতিকার করেছি তেমনি সেভাবেই আমাদেরকে এই জলবায়ু পরিবর্তন এর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিকার করতে হবে। মানব দেহ সুস্থ রাখার জন্য করোনা ভাইরাসের চাইতে ক্ষতিকর ও মারাত্মক হচ্ছে জলবায়ুর এ পরিবর্তন।

প্রাকৃতিক বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে জলবায়ু স্বাভাবিকভাবে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু এর বেশি ভাগ পরিবর্তন আমাদের নিজেদের অস্বাভাবিক ও অসতর্কতা ভাবে চলাফেরার কারণে হয়ে থাকে। মানুষ বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা, গাড়ি, যানবাহন, শীতে নিজেকে গরম রাখতে ব্যবহৃত বিভিন্ন তেল, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা শুরু করেছে তখন থেকে আমাদের পরিবেশে জলবায়ুর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে গ্রীন হাউজ গ্যাস। যা মূলত আমাদের পরিবেশের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। ১৯ দশকের জলবায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা যা ছিল তার তুলনায় পঞ্চাশ শতাংশ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে আমাদের বিলাসী জীবন যাপন এর ফলে ও বসবাসের জন্য বিভিন্ন বনায়ন উজাড় করে ফেলা। বনায়ন উজাড় করার কারণে বায়ু মন্ডলে গ্রীন হাউস এর মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে । গাছ পরিবেশে থাকা এ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। গাছ নিধনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা পরিবেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন ধরনের শিল্পায়নের পূর্বে বিশ্বে যে উত্তাপ বা তাপমাত্রা ছিল তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি তাপমাত্রা আমাদের আবহাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য বেশ বিপদজনক হয়ে পড়েছে।

এ বিপদ এড়াতে না পারলে আমাদের প্রকৃতি পরিবেশ ও মানুষের জীবন বেশ শঙ্কাই পড়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিপদ এড়ানো সম্ভব নয়। এ বছরের শেষের দিকে বিশ্বের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি হয়ে যাবে। যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জলবায়ু বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করবে।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়

আমরা সকলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর সম্পর্কে জানি। কিন্তু আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে কি মিল আর কি মিল নয় তা সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আজ জেনে নেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্য মিল ও অমিল কোথায়।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল

  • আবহাওয়া ও জলবায়ু দুটোই পানি বায়ু সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
  • আবহাওয়া ও জলবায়ু দুটো শব্দের অর্থ একই বোঝানো হয়।
  • আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রতিটি উপাদান একই হয়ে থাকে।
  • দুটোই তাপমাত্রা বায়ু প্রবাহ আদ্রতা মেঘ বায়ুর চাপ ও বৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
  • এ দুটিই আমাদের জীবনযাপনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে।
  • কোন অঞ্চলের জলবায়ু পরিমাপ করতে হলে সেই অঞ্চলের আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের যেকোনো বছরের আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে প্রথমে জলবায়ু জানা জরুরী।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে অমিল

  • আবহাওয়া বলতে আমরা কোন স্থানের বায়ুমণ্ডল ও আকাশের সামরিক অবস্থা কে বোঝায়।
  • অন্যদিকে জলবায়ু বলতে কোন অঞ্চলের বহু বছরের আবহাওয়ার সামরিক অবস্থাকে বোঝায়।
  • আবহাওয়া দৈনিক অবস্থাকে বোঝায়, জলবায়ুর দীর্ঘকালীন সময়ের সামগ্রিক অবস্থাকে বোঝায়
  • ঋতু ভেদে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে কিন্তু স্থান বেধে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়।
  • আবহাওয়া জলবায়ুর বিভিন্নতা আর জলবায়ু হচ্ছে বিভিন্ন রকমের আবহাওয়ার সমন্বয় গঠিত।

বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণ কী?

আমাদের জীবন চলায় বায়ুর চাপ ও নিম্নচাপ বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। আমরা অনেকেই জানিনা ও নিম্নচাপ কেন সৃষ্টি হয়। চলুন আজ যিনি বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণ কি? নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-

বায়ুর চাপকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে একটি হল উচ্চচাপ আর অন্যটি হল নিম্নচাপ। আমরা অনেকেই উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ বলতে বায়ুর নির্দিষ্ট কোন চাপকে বোঝায় যা সঠিক নয়।এটা মূলত তুলনামূলকভাবে বলা হয়ে থাকে। জলভাগ ও স্থলভাগের তাপমাত্রার ওঠানামার অবস্থাকে উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রধান কারণ দেখা হয়।

অবরোহী ও আরোহী বায়ুর ক্ষেত্র দ্বারা নিম্নচাপ ও উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়। বায়ুর চাপ প্রশ্ন মাত্র এটি উপরে উঠে যায় যার ফলে ভূপৃষ্ঠে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। বায়ু যখন শীতল হয়ে যায় তার সাথে সাথেই ভূপৃষ্ঠে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি

কোন অঞ্চলের বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহের মাধ্যমে জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তন নির্ধারণ করা হয় আর সেই উপাদান গুলোকে বলা হয় আবহাওয়া জলবায়ুর উপাদান। চলুন জেনে নিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি-

  • তুষারপাত
  • মেঘ বা আকাশের অবস্থা
  • বায়ুর চাপ
  • বায়ুর আদ্রতা
  • বায়ুর উষ্ণতা
  • বায়ু প্রবাহের গতিবেগ অতীত ও দিক
  • বৃষ্টিপাত
  • শিলা বৃষ্টি
  • শিশির
  • স্লিট
  • তুহিন

আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে পার্থক্য কি

আবহাওয়া বলতে মূলত কোন নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট কোন সময়ের বায়ুর অবস্থা দ্বারা বোঝানো হয় আর অন্যদিকে জলবায়ু নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের কয়েক বছরের আবহাওয়ার গড় বা মোট পরিসংখ্যান বোঝানো হয়। আবহাওয়া ও জলবায়ু উপাদানের মধ্যে পার্থক্য কি

আবহাওয়া

  • যেকোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর চাপ বৃষ্টিপাত প্রবাহ উষ্ণতা আর্দ্রতা ইত্যাদি উপাদান দিয়ে আবহাওয়া গঠিত।
  • আবহাওয়া মূলত বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরের দৈনিক অবস্থা।
  • আবহাওয়া মূলত কোন স্বল্প পরিসরের স্থানের বায়ুমন্ডলীয় সামরিক অবস্থাকে বোঝানো হয়।
  • কোন অঞ্চলের বাইস্তানের আবহাওয়া প্রতি ঘন্টায় পরিবর্তন হতে পারে।
  • যে কোন স্থানবেধে আবহাওয়া সহজেই পরিবর্তন হয়।
  • আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে হলে আবহাওয়া অফিস আমাদের জানাই
  • আবহাওয়া সম্পন্ন জলবায়ুর ভিন্নতা।
  • আবহাওয়া কোন একটি এলাকার বায়ুর বৈশিষ্ট্য বোঝায়।
  • আবহাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে
জলবায়ু

  • জলবায়ু মূলত কোন অঞ্চল বা এলাকার কয়েক বছরের আবহাওয়ার গড় পরিমাপকে বোঝায়
  • এটি মূলত বায়ুমন্ডলে সর্বনিম্ন স্তরের দীর্ঘকালীন সামগ্রিক অবস্থাকে বোঝায়
  • কোন একটি বিস্তৃত এলাকার বায়ুমন্ডলের দীর্ঘসময়ের গড় অবস্থান নির্দেশ করে থাকে।
  • প্রতিদিনের ব্যবধানে কোন এলাকাবা অঞ্চলের জলবায়ু কখনোই পরিবর্তন হয় না।
  • স্থান ও ঋতু ভেদে জল পরিবর্তন ঘটে
  • জলবায়ু সম্পর্কে জানতে হলে জলবায়ু বিদ্যা জানাই।
  • জলবায়ুর মূলত বিভিন্ন রকমের আবহাওয়ার সমন্বয়ে গঠিত।
  • জলবায়ু সম্পর্কে যে কেউ সহজেই ধারণা নিতে পারে না কারণ এটি বিভিন্ন পরীক্ষার লিখা ও বৈজ্ঞানিক মাধ্যমে জানা যায়।
  • বিশেষজ্ঞরায় জলবায়ু সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারে।

আবহাওয়া নিয়ামক গুলো কি কি?

আবহাওয়া নিরাময় বলতে সে সকল উপাদানকে বোঝানো হয় যা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। চলুন জেনে নেই আবহাওয়া নিরাময় গুলো কি কি। নিম্নে উক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-
আবহাওয়া পরিবর্তন করতে পারে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যেমন
বায়ুর আদ্রতা

  • মাটির প্রকৃতি
  • ভূমি ঢাল
  • বৃষ্টিপাত
  • অক্ষাংশ
  • বায়ুপ্রবাহ
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে উচ্চতা
  • সমুদ্র স্রোত
  • বনভূমির অবস্থান
  • সমুদ্র থেকে দূরত্ব

জলবায়ুর নিয়ামক গুলো কি কি

জলবায়ু নিরাময় বলতে সে সকল উপাদানকে বোঝানো হয় যা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। চলুন জেনে নেই জলবায়ু নিরাময় গুলো কি কি। নিম্নে উক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তন করতে পারে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যেমন-

অক্ষাংশ
  • জলবায়ুর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে অক্ষাংশ
  • বায়ু ও তাপের উপর অক্ষাংশের সবচেয়ে বেশি প্রভাব থাকে
  • আবহাওয়া ও জলবায়ু উষ্ণ থাকা সব কারণ হলো সূর্যকিরণ নিরক্ষরেখার উপরে সোজাসুজি ভাবে পড়ে যার ফলে দিনরাত সমান হয়ে থাকে।
  • দিনো রাত ছোট বড় হওয়ার পেছনে রয়েছে নিরক্ষরেখা উত্তরে বা দক্ষিনে সূর্যকিরণ তীর্যকভাবে ক্রমশায় হেলে পড়ে।
বায়ুপ্রবাহ

  • গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয় দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক থেকে
  • শীতকালে বাংলাদেশে স্থলভাগের ওপর দিয়ে উত্তর দক্ষিণ দিক থেকে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়
  • বাংলাদেশে জলীয় বাষ্প শীতকালে অনেক কম থাকে।
ভূমি ঢাল

  • ঢালভূমির উপর লম্বা ভাবে অক্ষাংশের দিকে সূর্যকিরণ পতিত হয়
  • তির্যকভাবে ঢালুর ভূমির উপর সূর্যকিরণ অক্ষাংশে বিপরীতে পতিত হয়
মাটির প্রকৃতি

  • বালু বা মাটি অতি তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় সূর্যের তাপে
  • অধিক গরম পড়ে থাকে মরু ও পার্বত্য অঞ্চল দিনের বেলায়
  • মরু ও পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে সূর্যের তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শীতল বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে ফলে রাতের বেলায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হয়
  • পানি ও তাপ ধারণ ক্ষমতা পোলিও কাদামাটিতে অনেক বেশি
  • পানি ও তাপের বিকরন ক্ষমতা পলি মাটি ও কাদা মাটির অনেক বেশি কম
বায়ুর আদ্রতা

  • যে বায়ু অনেক বেশি পরিমাণে প্রবাহিত হয় সে বায়ুর আদ্রতা বেশি হয় জলবায়ুর ক্ষেত্রে
  • অধিক পরিমাণে গরম পড়ে থাকে মরু অঞ্চলগুলো দিনের বেলায়
  • অধিক পরিমাণে শীত পড়ে মরু অঞ্চল গুলোর রাতের বেলায়
সমুদ্র স্রোত

  • যে সকল দেশের ওপর বেশি পরিমাণে উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হয় সে সকল দেশের আবহাওয়া বেশি পরিমাণে উষ্ণ হয়ে থাকে।
  • যে সকল এলাকায় উষ্ণ বায়ু বেশি পরিমাণে প্রবাহিত হয় সেখানে বৃষ্টিপাত বেশি ঘটে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে উচ্চতা

  • বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা অধিক পরিমাণে থাকে সমুদ্রপৃষ্ঠের অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থায়
  • বায়ু শীতল হয় মূলত বায়ুপ্রপ্রবাহ উপরের দিকে বেশি প্রবাহিত হয় তাহলে
বৃষ্টিপাত

  • আবহাওয়া শীতল হয় বৃষ্টিপাতের ফলে

  • সূর্যকিরণ মূলত সোজাসুজি পতিত হয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে

  • চিরহরিৎ বৃক্ষের বন গুলো গড়ে উঠেছে মূলত অঞ্চলগুলোতে

  • নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলোতে সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে
বনভূমির অবস্থান

  • সূর্যকিরণ কখনো প্রবেশ করতে পারেনা ঘন ও গভীর বনভূমির মাটিতে
  • ঘন ও গভীর বন জঙ্গল গুলোর মাটি সবসময় আদর থাকে
  • পৃথিবীর সকল অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে সে সকল অঞ্চলগুলো বেশি শীতল থাকে
পাহাড় পর্বতের অবস্থান
  • উচু উঁচু পাহাড় ও পর্বত তো বায়ুপ্রবাহের অনেক বেশি বাধা সৃষ্টি করে
  • ভারতের অনেক উপমহাদেশ গুলোতে জলবায়ু তুলনামূলকভাবে অনেক কম শীতল থাকে
সমুদ্র থেকে দূরত্ব

  • সমুদ্রের পানি গ্রীষ্মকালে অধিক পরিমাণে শীতল থাকে দিনের সময়
  • সমুদ্রের পানি শীতকালে তুলনামূলকভাবে উষ্ণ থাকে রাত্রের সময়
  • সমুদ্রের অবস্থান থেকে দূরবর্তী অঞ্চল বা এলাকার জলবায়ু অতিরিক্ত থাকে
  • সমুদ্রের অবস্থান থেকে দূরবর্তী অঞ্চল বা এলাকার জলবায়ু কম বা মৃদু থাকে

লেখকের মন্তব্য

রাইন পাটন আজকে এ পুষ্টির মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url