হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে
আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে , হাঁসের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা, হাঁস পরিষ্কার করার সহজ উপায়,হাঁসের মাংস রান্নার রেসিপি ইত্যাদি আরো হাঁসের মাংস নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে হাঁসের মাংস সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধানও উত্তর পাবেন এবং সঠিকভাবে এই সুস্বাদুময় হাঁসের মাংস খেয়ে শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে পারবেন।
ভূমিকা
শীত আগমনের সাথে সাথে আমাদের সকলেরই মনে একটি খাবারের কথা মনে পড়ে তা হলে সুস্বাদুময় হাঁসের মাংসের সাথে কালার রুটি, ভাত, খিচুড়ি, পরোটা, পোলাও ও আটা রুটি ইত্যাদি। এর জন্যই আজ আমি আপনাদের এই হাঁসের মাংস খাওয়াকে আরও সহজ করার জন্য কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
যেমন- হাঁসের মাংসের স্পেশাল মসলা তৈরি, হাঁসের মাংসের গন্ধ দূর করার উপায়, হাঁস পরিষ্কার করার সহজ উপায়, হাঁসের মাংস রান্নার রেসিপি, হাঁসের মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, হাঁসের মাংস খেলে কি কি সমস্যা হয়, এলার্জি রয়েছে কি না, হাঁসের মাংস খেলে কি আপনার ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি আরো বিভিন্ন বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে হাঁসের মাংসের সকল সমস্যা কাটিয়ে আপনি সুস্বাদময় হাঁসের মাংসের স্বাদ নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে পারবেন। ইন-শা-আল্লাহ।
হাঁসের মাংসের স্পেশাল মসলা তৈরি
সকল রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করার জন্য একটি গোপনীয় মসলা থাকে। আজ আমি আপনাদের জন্য হাঁসের মাংস স্বাদ ও গন্ধ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করার জন্য একটি গোপনীয় মসলার সিক্রেট জানাবো। চলুন জেনে নেই হাঁসের মাংসের স্পেশাল মসলা তৈরি করার পদ্ধতি নিম্নে দেয়া হলো-
উপকরণ
- ১ কেজি হাঁসের মাংস রান্নার জন্য মসলা
- দারুচিনি- ২ থেকে ৪টি
- এলাচ- ৪ থেকে ৫টি
- কালো এলার্জি- ২টি
- জিরা- ১ চামচ
- ধনে- ১ চামচ
- নং- ৪ থেকে ৫টি
- গোলমরিচ- ৪ থেকে ৫চটি
- তেজপাতা- ২টি
- শাহী জিরা - ১ চামচ
- সাদা গোলমরিচ- ২ থেকে ৩টি
- জাইফল- ৪ ভাগের ১ ভাগ
- জয়ত্রী-অল্প পরিমাণে
- শুকনা মরিচ- ৬ থেকে ৭টি
তৈরি প্রণালীঃ উপরোক্ত সকল মসলাগুলো ভালো করে একটি তাওয়াতে হালকা ভেজে নিন। ভাজা শেষে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড বা সিলপাটাই ভালো করে গুড়া তৈরি করে নিন।
হাঁসের মাংসের গন্ধ দূর করার উপায়?
অনেকেই আছেন যারা হাঁসের মাংস খেতে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু হাঁসের মাংসে হালকা গন্ধের কারণে খেতে পারেন না। চলুন জেনে হাঁসের মাংসের গন্ধ দূর করার উপায়? গুলো কি কি-
হাঁসের মাংস থেকে গন্ধ দূর করার জন্য ভালো করে হাঁসের মাংস ধুয়ে দুই থেকে তিন চামচ লবণ, ১/৩ কাপ ভিনেগার বা সিরকা ভালো করে মাংসে মাখিয়ে রাখুন। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখার পর মাংস থেকে যে জল বেরিয়ে আসবে তা ফেলে দিয়ে মাংস পুনরায় ধুয়ে রান্না করুন, দেখবেন হাঁসের মাংসে কোন প্রকার গন্ধ পাবেন না।
এছাড়াও হাঁসের মাংসের গন্ধ দূর করার জন্য ঘরোয়া খুব সহজ তিনটি উপকরণ দিয়েও দূর করতে পারবেন। যেমন লবণ, হলুদ ও লেবু দিয়ে। দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস, এক চামচ লবণ ও একটা চামচ হলুদ ভালো করে পুরো মাংসে মাখিয়ে নিন। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর মাংস ভালো করে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন খুব সহজে হাঁসের মাংস থেকে সকল গন্ধ দূর হয়ে গেছে।
সতর্কতা
- মাংসের গন্ধ দূর করার জন্য যে সকল উপকরণ এর কথা বলা হয়েছে সে সকল এক কেজি মাংসের জন্য। বেশি মাংস হলে উপকরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবেন।
- প্রথম পদ্ধতিতে মাংসের গন্ধ দূর করার জন্য ভিনেগার ব্যবহার করলে অবশ্যই ভালো করে মাংস ধুয়ে নেবেন।
- দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মাংসের গন্ধ দূর করতে চাইলে ভালো করে না ধরলেও চলবে তবে রান্না করার সময় অবশ্যই হলুদ ও লবণের মাত্রা সতর্কতার সাথে দেবেন।
এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই সকল মাংসের গন্ধ দূর করতে পারবেন যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, বয়লার, রাজহাঁস, চিনাহাঁস ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
হাঁস পরিষ্কার করার সহজ উপায়
আমরা সকলে হাসির মাংস খেতে বেশ পছন্দ করি। এটি পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত সময় ও জটিলতার কারণে আমরা বাইরেই বেশিরভাগ হাঁসের মাংস খেয়ে থাকি। ঘরে খুব সহজে হাঁস পরিষ্কার করতে পারবেন আজকে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়লে। চলুন জেনে নেই হাঁস পরিষ্কার করার সহজ উপায় কি।
হাঁস পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে একটি পাত্রে ফুটন্ত গরম পানি করে নিন। পাত্রটা অবশ্যই বড় হতে হবে যেন হাঁস ভালো করে এ পাশ-ওপাশ পাল্টিয়ে পানিতে ভেজানো যায়। ভালো করে ভেজানো হয়ে আসলে চেক করে নিবেন হাঁসের পালক গুলো সহজেই উঠানো যাচ্ছে কিনা।
সহজে হাঁসের পালক গুলো সহজে উঠে আসলে গরম পানি থেকে উঠে নেবেন। আস্তে হাঁস থেকে পালকগুলো ছড়িয়ে নেবেন অবশ্যই গরম অবস্থাতেই এই কাজটি করবেন তাহলে সহজে হাস পরিস্কার হয়ে যাবে।
হাঁস কেনার সময় অবশ্য একটি বিষয় বিশেষ খেয়াল রাখবেন যেন হাঁসটি ছোট না হয় কারণ ছোট হলে বা বাচ্চা হাঁস হলে এর রোমগুলো অনেক ছোট ছোট হয় ফলে পরিষ্কার করতে বেশ কষ্ট হয়। এছাড়া হাঁস গরম পানিতে দেওয়ার পূর্বে হাঁসের ভেতরের নাড়ী ভুঁড়ি বের করে নিবেন।
হাঁসের মাংস রান্নার রেসিপি জেনে নিন
শীত আগমনের সাথে সাথে বা অন্যান্য যে কোন ঋতুতে হাঁসের মাংস ভাত বা রুটি বেশ জনপ্রিয় একটি বাঙালি খাবার। তবে শীতে হাঁসের মাংস খাওয়ার স্বাদ ও গন্ধ একটু বেশি আলাদা। হাত দিয়ে বিভিন্ন পদের মজার রান্না তৈরি করা হয়। খুব সহজে ও সুস্বাদু হাঁসের মাংস রান্না রেসিপি জেনে নেই চলুন-
উপকরণ
২কেজি পরিমাণে হাঁস, পেঁয়াজের কুচি দুই কাপ, রসুনের পেস্ট এক টেবিল চামচ, আদা পেস্ট দুই টেবিল চামচ, তেজপাতা, দুইটি দারুচিনি, দুইটি, এলাচ ৪থেকে ৫টি, গোটা গোলমরিচ ৫ থেকে ১০ টি, হলুদের গুঁড়া এক চামচ, জিরার পেস্ট এক চামচ, লবঙ্গ চার থেকে পাঁচটি, কাঁচা মরিচ পাঁচ থেকে ছয়টি, সয়াবিন তেল পরিমাণ মত, গরম পানি পরিমাণ মত, সরিষার তেল পরিমাণ মত, লবণ স্বাদ অনুসারে এবং এ পোস্টের প্রথমেই একটি হাঁসের সিক্রেট মসলা তৈরি পদ্ধতি দেয়া হয়েছে সে মসলাটি দুই চামচ রেখে পুরোটি ব্যবহার করবেন। কারন দুই চামচ পরে রান্নার শেষ অবস্থায় দেওয়ার জন্য।
রান্নার প্রণালীঃ
উপরোক্ত উপকরণগুলো ভালো করে মাংসের সাথে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর একটি পাত্রে তেল গরম করুন তেলে দুইটি গরম মসলা দুইটি এলাচ তেজপাতা দিন। গরম মাখিয়ে রাখা মাংস ও মসলা দিয়ে দিন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত কষাতে থাকুন। কষানো হয়ে আসলে যে পরিমাণে ঝোল রাখবেন বা কষা করবেন তার চেয়ে হাফ কাপ পরিমাণে গরম পানি দিন। পানির ফোটার পাঁচ থেকে ছয় মিনিট পর সিক্রেট মসলা ও পেঁয়াজের বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। এমন অবস্থায় আস্তে আস্তে জাল দিয়ে আরো ১০থেকে ১৫ মিনিট চুলায় রেখে দিন। এরপর গরম গরম মাংস, রুটি, খিচুড়ির ভাত, পরোটা বা পোলাওয়ের সাথে সঙ্গে খান।
হাঁসের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সকলেই হাঁসের মাংস বেশি সুস্বাদু হওয়ার কারণে খেয়ে থাকে তবে কি আমরা হাঁসের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানি চলুন জেনে নেই নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
হাঁসের মাংসের উপকারিতা
- হাঁসের মাংস খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে উপকারিতা গুলো কি কি
- হাঁসের মাংস থাকা ওমেগা৩ আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।
- ওমেগা৩ আমাদের ত্বকের যত্নে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কার্যকারি।
- হাঁসের ডিম আমাদের শরীরে ম্যালিগন্যান্ট নামক ক্ষতিকর কোষ সৃষ্টি হতে বাধা দেয।এই উপাদান থেকে আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ হাসির ডিম আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
- হাঁসের ডিমে থাকার ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের মাংসপেশি শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
- হাড় মজবুত ও হাড়ের কার্যক্রম্যতা বৃদ্ধি করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে।
- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে এবংশরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে বাধা সৃষ্টি করে।
- এছাড়াও হাসির মাংসে রয়েছে ভিটামিন ই যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী ভাবে ধরে রাখে।
- দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করে।
- সঠিক মাত্রায় রক্ত সঞ্চালন ও রক্তনালী শক্তিশালী করে।
হাঁসের মাংস খাওয়ার অপকারিতা
- হাসার মাঝে থাকা হেটে শিট শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
- উচ্চমাত্রায় উচ্চমাত্রায় খনিজ পদার্থ বিদ্যমান থাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বিশেষ করে গলা ব্যথা দূর করে
- হাঁসের মাংস খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে আবার বেশ কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁসের মাংস খেলে আপনার শরীরে কি কি ক্ষতি হতে পারে-
- হাঁসের মাংসের অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকায় শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত খেলে ওজন দ্রুত বেড়ে বেড়ে যায়।
- যে সকল ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের হাঁসের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এই মাসে অধিক পরিমাণে চর্বি থাকে।
- এই মাংসে অধিক পরিমাণে চর্বিযুক্ত থাকায় স্ট্রোক সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
হাঁসের মাংস খেলে কি কি সমস্যা হয়?
হাঁসের মাংস খাওয়ার ফলে তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চলুন জেনে নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁসের মাংস খেলে কি কি সমস্যা হয় ?
- অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হার্ট স্ট্রোক হতে পারে
- কোষ্ঠকাঠিন্যত রোগ হতে পারে
- বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হতে পারে।
- শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি হতে পারে।
- হৃদরোগের সৃষ্টি হতে পারে।
- রক্তের চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে
- দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
- শরীরে চর্বির বা মেদ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ফুসকুড়ি, ব্রণ, দেখা দিতে পারে।
- চুল ঝরে যাওয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে ভাব দেখা দেয়।
- উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি হতে পারে।
- ডায়াবেটিস জনিত রোগে ভুগতে পারেন।
- শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- বিভিন্ন ধরনের রোগ সহজেই শরীরে আক্রমণ করতে পারে।
হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে
আমরা অনেকেই জানতে চাই হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে । জি হ্যাঁ কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে হাঁসের মাংসে এলার্জি সৃষ্টি হয়। তবে এটি বোঝা জন্য অবশ্যই প্রথমে অল্প পরিমাণে টেস্ট করে দেখতে পারেন। এলার্জি থাকলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেবে যেমন শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে ভাব, চোখ ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া, শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি বের হওয়া ইত্যাদি আরো সমস্যা হতে পারে। এজন্য অবশ্যই হাঁসের মাংস খাওয়ার পূর্বে সামান্য পরিমাণে আগে খেয়ে টেস্ট করে নেবেন।
হাঁসের মাংস কি কোলেস্টেরলের জন্য ক্ষতিকর?
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে হাঁসের মাংস কি কোলেস্টেরলের জন্য ক্ষতিকর? হাঁসের মাংস কোলেস্টেরলের জন্য কখনোই ক্ষতিকর নয় যদি আপনি সেটি মাত্র অতিরিক্ত না খান। আমাদের শরীর এমন ভাবে তৈরি, যদি আপনি কোন কিছুই মাত্রা অতিরিক্ত না খান তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য কখনোই ক্ষতিকর হবে না।
তবে মাত্র অতিরিক্ত খেলে অবশ্যই ভালো খাবারও আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক হয়ে দাঁড়াবে। হাঁসের মাংসে যেহেতু অধিক পরিমাণে চর্বি রয়েছে এজন্য এটা অবশ্য অল্প পরিমাণে খাবেন। তাহলে আপনার কখনোই কোলেস্টেরল জনিত সমস্যায় ভুগবেন না।
হাঁসের মাংস খেলে কি প্রেসার বাড়ে
হাঁসের মাংস খেলে কি প্রেসার বাড়ে। যদি আপনি এ প্রশ্ন নিয়ে পোস্টটি পড়তে চান তাহলে সম্পূর্ন পোস্টে অবশ্যই পড়ে দেখুন। জানতে পারবেন হাঁসের মাংস খেলে আপনার প্রেশার বাড়বে কি না। হাঁসের মাংস খেলে আপনার তখনই প্রেসার বাড়বে যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন।
হাঁসের মাংস রয়েছে অধিক পরিমাণে ফ্যাট চর্বি কোলেস্টেরল। যা পেশার বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে প্রেসারের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এ মাংস অবশ্যই অল্প পরিমাণে খাবে তাহলে আপনার কোন প্রকার প্রেসার বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে না।
লেখকের মন্তব্য
রাইট বটন আজকে এ পোষ্টটির মাধ্যমে আপনাকে হাঁসের মাংসের মাংস বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে হাঁসের মাংস সম্পর্কে তথ্যগুলো দিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url