চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় তুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা, খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়, সরিষার তেলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে ইত্যাদি আরও সরিষার তেল নিয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সরিষার তেল সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিকভাবে সরিষার তেল ব্যবহারে করে শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে পারবেন।
ভূমিকা
সেই প্রাচীনকাল থেকে সরিষার তেলের ব্যবহার চলে আসছে। এখনো সরিষার তেলের ব্যবহার কোন অংশে কমেনি। কারণ এর পুষ্ট গুনাগুন অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশি। সরিষার তেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন ওমেগ৬, ওমেগা৩, পলিঅনস্যাচুরেটেড, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ক্যালোরি, খনিজ, নিয়াসিন , থায়ামিন, ফোলেট, পাইরিডক্রিন,পলিকুইননের ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
এ সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন চুল ওঠা, চুল লম্বা না হওয়া, খুকশী, ফুসকুড়ি ইত্যাদি। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন কালকে ভাব, মস্তা, ব্রণ, বার্ধক্য ইত্যাদি । এছাড়াও কিডনি জনিত বিভিন্ন সমস্যা, ক্যান্সার প্রতিরোধক, হার্টের সমস্যা হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে সরিষার তেল। এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা
সরিষার তেলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে
আমরা অনেকেই রান্নায় এবং বিভিন্ন কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সরিষার তেলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা জানি না। চলুন জেনে নেই সরিষার তেলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাসঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে যার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যায়।সরিষার তেল নিয়মিত ব্যবহারে, সরিষার তেলে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাস আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা করে। এছাড়া এক সকল উপাদান আমাদের হজম ক্রিয়া ও ইউরিনারি ক্র্যাক ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়।
ওমেগা৬ ও ওমেগা৩ঃ আমাদের শরীরকে হার্ট অ্যাটাক ডিপ্রেশন, ক্যান্সার, ডায়াবেটিক্স রেজিস্ট্যান্স ও ইন্সুরিন ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা দেয় ওমেগা ৬ ও ওমেগা৩। এই দুইটি উপাদান সরিষার তেলে রয়েছে। নিয়মিত সরিষার তেল খেলে অবশ্য এ সকল রোগ থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন।
লিনোলিক অ্যাসিড ও অলিক এসিডঃ আমরা সকলেই জানি এই দুই এসিড আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী এছাড়াও অরুচি ভাব, বমি বমি ভাব, বদহজম, পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে এই দুই এসিড আমাদেরকে সুরক্ষা করে। সরিষার তেলে এই দুই উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনাকে গ্যাস্ট্রিকজনিত সকল সমস্যা থেকে অবশ্যই দূরে রাখবে।
এছাড়াও যে সকল উপাদান গুলো সরিষার তেলে বিদ্যমান রয়েছে নিম্নে দেয়া হলো-
- পলিঅনস্যাচুরেটেড
- ক্যালোরি
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট
- আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
- মনোস্যাচুরেটেড
- গ্লুকোসিনোলেট
- লুকোসুনোলেট
- মিয়োসিস
- নিয়াসিন
- থায়ামিন
- ফোলেট
- পাইরিডক্রিন
- পলিকুইননের
- রিবোফ্লাভিন
- বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন
- খনিজ
- সিলেনিয়াম
- মিনারেল
- ম্যাগনেসিয়াম
- উচ্চমাত্রার বিটা ক্যালরিন
সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা , অপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন জেনে নেই সরিষার তেল খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা ও নিয়ম। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-
সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা
সরিষার তেল খাওয়ার অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে তবে কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করেছি-
হৃদ রোগ দূরঃ সরিষার তেলে থাকা মনোনথি এসিড শরীরে রক্ত সঞ্চালন ও শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত পৌঁছাতে সহায়তা করে। এভাবেই সরিষার তেল আমাদের হৃদরোগের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে ও হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণেঃ সরিষার তেলে থাকা আলফা লিপেইক অ্যাসিড আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনি এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এভাবে সরিষার তেল খুব সহজে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সংক্রমন জনিত রোগ থেকে দূরঃ আমাদের শরীরে আক্রমণকারী বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ও জীবাণু খুব সহজে সরিষার তেলে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো ধ্বংস করে। নিয়মিত সরিষার তেল খেলে আমাদের শরীরে হওয়া বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ গুলো থেকে অনেকটাই নিস্তার পাবেন।
দাঁতের সমস্যা দূরঃ সরিষার তেলে রয়েছে এন্টিমাইক্রোবিয়ার উপাদান যা আমাদের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন দাঁতে ব্যথা মাড়িতে ব্যথা মারি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ আমাদের যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে। সরিষার তেলে থাকা এন্টিওঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে অ্যান্টিবডি করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
ওজন কমাতেঃ শুয়ে থাকা লৌহ আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে। সরিষার তেলে থাকা লৌহ আমাদের শরীরের পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকের মতে সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান শরীরে ক্যান্সারের কোষগুলো সৃষ্টি হতে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে তৈরি করে।
ত্বকের যত্নেঃসরিষার তেল কে বলা হয় ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। এটি আমাদের ত্বকে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তোলে। নিয়মিত সরিষার তেলের মাসাজ ত্বকে করলে ব্রণ কালচে ভাব তামাটে ভাব মেস্তা ইত্যাদি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
আপনি সরিষার তেলকে ফেস মাক্স বা প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন যেমন-লেবুর রস টক দই সরিষার তেল ও বেসন ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট তোকে লাগিয়ে রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনি নিজে ফলাফল লক্ষ্য করতে পারবেন।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনঃ সরিষার তেল খুব সহজে আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি ও বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি, দূষিত পদার্থ থেকে সুরক্ষা দেয়। এ তেল রয়েছে অতিমাত্রায় ভিটামিন ই এ
জন্য আপনি এটি খুব সহজে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
বার্ধক্য দূরীকরণঃ বর্তমানে খাদ্য অভ্যাস ও আবহাওয়া দূষণের কারণে আমাদের অনেকেরই ত্বকে বয়সের আগেই বয়সে ছাদ দেখা দেয়। বয়সের ছাপ বা বার্ধক্য দূর ও বলিরেখা দূর করার জন্য নিয়মিত সরিষার তেল খেতে পারেন কারণ সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন ই যা এ সকল সমস্যা থেকে খুব সহজেই আপনাকে নিস্তার দেবে।
টিউমার রোধেঃ বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকের মতে সরিষার তেলে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের শরীর থেকে টিউমার ৫০% পর্যন্ত রোধ করতে পারে।
মানসিক দুর্বলতাঃ বর্তমানে আমাদের মানসিক দুর্বলতা অনেক বেশি দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি আরো বিভিন্ন সমস্যায় আমরা ভুগছি। সরিষার তেলে থাকা উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যালরিন এ সকল সমস্যার অবশ্যই সমাধান দেবে।
চুলের যত্নেঃ সরিষার তেলে থাকা উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যালরিন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ইত্যাদি আমাদের চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি, উজ্জ্বল, মসৃণ, নরম, ঘন করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন চুল উঠে যাওয়া নতুন চুল না গজানো বয়সের আগে চুল পেকে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারবেন নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করি।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশ শরীরের রক্ত সঞ্চালন, হৃৎপিণ্ড, ত্বকের বিভিন্ন কোষ সতের, খসখসে ভাব, রুক্ষতা, শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা, শরীরের সকল স্থানে রক্ত সঞ্চালন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সুফল ব্যবহারে পাবেন।
ঠোঁট ফাটা রোধঃ শীত আগমনের সাথে বা অন্যান্য যে কোন ঋতুতে আমাদের ঠোঁট ফাটা সমস্যা সকলেরই হয়ে থাকে। এটি ঠোঁটের জন্য একটি প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার ঠোঁটকে নরম কোমল ইত্যাদি ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের যত্নে নিয়মিত ঠোঁটে কয়েক ফোটা সরিষার তেল লাগাতে পারেন।
চুল পাকা রোধঃ অকালে চুল পেকে যাওয়া জন্য দায়ী শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব। এ চুল পাকারোধ করতে নিয়মিত সরিষার তেল খান এবং চুলে ম্যাসাজ করুন দেখবেন দ্রুত চুল কালো হয়ে গেছে।
কোষ সংখ্যা বৃদ্ধিঃ পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীরে ভালো কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে শরীরের মাংসপেশী শক্তি বৃদ্ধি হাড় মজবুত ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা প্রশমিত করে। এ সকল উপাদান সরিষার তেলে রয়েছে।
চর্ম রোগ দূর করতেঃ সরিষার তেলে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম লৌহ ইত্যাদি আমাদের ত্বকে সতেজ ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের চর্ম জনিত রোগ এলার্জি ইত্যাদি দূর করে।
চোখের সমস্যা দূরঃ চোখ কে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যালোরিন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের চোখের জল জলে ভাব চোখের কর্ম ক্ষমতা বা দৃষ্টিশক্তি ও চোখের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ইত্যাদি দূর করে। সরিষার তেলে থাকা এই উপাদান থাকায় নিয়মিত সরিষার তেল খেলে চোখের এ সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারবেন।
সরিষার তেল খাওয়ার অপকারিতা
সরিষার তেলের খাওয়ার অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে তবে কোন কিছু অতিরিক্ত যেমন ভালো না তেমনি সরিষার তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলেও আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত সরিষার তেল খাওয়ায় আমাদের শরীরে কি কি ক্ষতি হতে পারে-
পেটের সমস্যাঃ সরিষার তেলে রয়েছে অ্যাসিটি বা প্রজনন হরমোন যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া পেট ফাঁপা পেটে ব্যথা বুক জ্বালা অতিরিক্ত গ্যাসের সৃষ্টি বদহজম ইত্যাদি আরো নানা ধরনের সমস্যা।
হার্টের ক্ষতিঃ সরিষার তেলে রয়েছে ইরেটিক এসিড যা আমাদের হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক হার্টের কর্মক্ষমতার হ্রাস ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে এই তেল খেলে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধিঃ বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকের মতে সরিষার তেলে রয়েছে ৪০ থেকে ৫০% ইউরিক অ্যাসিড এছাড়াও ওমেগা৯ যা আমাদের শরীরে ফ্যাটি এসিডের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণেই নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল খেলে আপনার ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
ফুসফুসে ক্যান্সারঃ সরিষার তেলে থাকা ইরেটিক এসিড ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল খেলে এটি ফুসফুসের উপরের স্তরকে ড্যামেজ করে দেয় এবং ধীরে ধীরে ক্যান্সার এর দিকে ঠেলে দেয়।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
জালা ভাবঃ সরিষার তেল যখন পরিশোধিত করা হয় তখন এতে অ্যালাইল আইসোথিয়োকানেট যৌগ তৈরি হয় যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলীর সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালা মুখে জ্বালা চোখ জ্বলা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি করে।
ত্বকের জন্য ক্ষতিকরঃ সরিষার তেলে অ্যালাইল আইসোথিয়োকানেট যৌগ ত্বকে বিভিন্ন ধরনের জ্বালা অনুভূতি করতে পারে এছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবহারে চোখ জ্বাল, ফোসকা পড়া ফুসকুড়ি ও তৈলাক্ত ত্বকহ ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় সরিষার তেল অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে যা ভালো কারণ এতে থাকার আসনি যৌগ অনেক সময় ব্রণের গঠন ও সময়ের আগে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
এলার্জি সৃষ্টিঃ অনেকে সরিষার তেলে এলার্জি অনুভূতি হয়। এর জন্য সরিষার তেল ব্যবহারের পূর্বে হাতে অল্প করে নিয়ে পরীক্ষা করে নেবেন যে কোন প্রকার ফুসকুড়ি, লাল ভাব, শ্বাসকষ্ট, চোখের কোন প্রকার পরিবর্তন ইত্যাদি।
সরিষার তেল কি ভাবে খাওয়া যায়
প্রাচীনকাল থেকে সরিষার তেল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই সরিষার তেল কিভাবে খাওয়া যায়।
- বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরিতে খেতে পারেন।
- মাছ-মাংস রান্না করতে পারেন।
- বিভিন্ন ধরনের সবজি রান্না করতে পারেন
- ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য করতে পারেন
- গ্রিল করতে পারেন।
- ঔষধ হিসেবে কয়েক ফোটা খেতে পারেন।
- ওজন কমাতে চাইলে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
রান্নায় সরিষার তেলের ব্যবহারের উপকারিতা
প্রাচীনকাল থেকে রান্নার স্বাদ ও গন্ধব বৃদ্ধি করে আসছে সরিষার তেল। সরিষার তেলের হাজারো পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজ সমাধান করতে পারে। চলুন জেনে নিই রান্না সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতা।
- বর্তমানে প্রতিবছর হাজারো মানুষ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকের মতে নিয়মিত সরিষার তেল খেলে শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে কারণ এতে রয়েছে কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান মনোসাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড।
- অন্যান্য তেলে তুলনায় নিয়মিত সরিষার তেল খেলে আমাদের হজম ক্রিয়া দ্রুত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ খুব সহজে দূর করা যায়।
- নিয়মিত সরিষার তেল খেলে ৬০ থেকে ৭০% হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি কমে।
- পাকিস্তানের বিভিন্ন সমস্যা ও স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে সরিষার তেলে থাকা পলিঅনস্যাচুরেটেড ও মনোস্যাচুরেটেড।
- রক্তে থাকা অতিরিক্ত চর্বির মাত্রা খুব দ্রুত হ্রাস করতে পারে সরিষার তেলে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড।
- ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ ও নিউমোনিয়া থেকে খুব সহজেই নিস্তার দিতে পারে সরিষার তেল।
- পেটের পিরা দ্রুত রোধ করে।
- শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
- লিভারের বিভিন্ন সমস্যা ও কার্যক্রম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সরিষার তেলের ওমেগা ৬ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
- সরিষার তেল নিয়মিত খাওয়ায় আমাদের শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- সকল ধরনের রান্নায় নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে টিউমারজনিত বিভিন্ন রোগ ৫০% পর্যন্ত কমাতে পারবেন।
- হজম শক্তি বা গ্যাস্ট্রিক ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।
- মুত্রসয়ের ক্যান্সার দূর হয় নিয়মিত সরিষার তেল খেলে
- সরিষার তেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি কম থাকা একটি দ্রুত ওজন কমায়
- নিয়মিত শৈশব তেল খেলে এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
- মানসিক বিকাশ ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
- মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- খাবারের স্বাদও গন্ধ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে।
- রান্নায় নিয়ম সরিষার তেল খেলে টক ভেতর থেকে উজ্জ্বলময় হয়ে ওঠে।
- সংক্রমণজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে সহজেই সুরক্ষা পাওয়া যায়।
- নিয়মিত রান্নায় সরিষার তেল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের অনেক বেশি বেড়ে যায়
সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে
আমাদের অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জাগে সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে। না সরিষার তেল খেলে ওজন বাড়ে না। সরিষার তেল আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং স্বাস্থ্যকর অ্যাসিড আমাদের চর্বি ঝরায়। এজন্য নিয়মিত খাবারে বা রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে কখনোই ওজন বাড়বে না বরং ওজন কমবে।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে সরিষার তেল রান্নায় খেলে ওজন না কমে বেড়ে যেতে পারে। কারণ অতিরিক্ত সরিষার তেল মসলা ও খাবার সাথে মিশিয়ে ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি করে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এজন্য অবশ্যই আমরা নির্দিষ্ট মাত্রায় যে কোন তেল খাব।
ত্বকের যত্নে সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষার তেল আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। চলুন জেনে নিই তোকে যত্নে সরিষার তেলে উপকারিতা গুলো কি কি-
ত্বক সুস্থ রাখতেঃ নিয়মিত সরিষার তেল খেলে বা মাসাজ করলে আমাদের ত্বক সজ্জীবিত ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে খুব সহজে দূরে থাকবে এবং ত্বক সুস্থ থাকবে।
ত্বক পরিষ্কার করতেঃ আমরা বিভিন্ন কাজে বের হওয়ার সময় মেকআপ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এ মেকআপ তোলার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করি যা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এজন্য আপনি মেকআপ পরিষ্কার করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেলে থাকা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর উপাদান ওমেগা৩ ত্বকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং এটি ত্বকের কোন প্রকার ক্ষতি করে না।
ব্রণ প্রতিরোধকঃ সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকে ব্রণ হওয়া থেকে রোধ করে। এজন্য নিয়মিত ত্বকে কয়েক ফোটা সরিষার তেল নিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভালো করে মাসাজ করুন দেখবেন ত্বকে কোন প্রকার ব্রণ হবে না।
দাগ দূর করতেঃ কর্মব্যস্ততার কারণে বাইরে যাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধুলাবালি ও সূর্যের অতি বেগুন রশ্মির কারণে বিভিন্ন ধরনের দাগের সৃষ্টি হয়। এই দাগ দূর করতে নিয়মিত সরিষার তেল ময়দা ও লেবু ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন এতে আপনার ত্বকের দাগ দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
মশ্চারাইজারঃ আমরা ত্বককে মশ্চারাইজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। এর জন্য আপনি নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার। নিয়মিত গোসলের আগে বা ঘুমানোর আগে কয়েক ফোটা সরিষার তেল মুখে মাসাজ করে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
বার্ধক্য বা বয়সের ছাপ দূরঃ সরিষার তেলে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ দূর করতে বেশ সাহায্য করে এছাড়াও রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করতেও নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
চুলের যত্নে আদিম কাল থেকে সরিষার তেল চলে আসছে। আমাদের দাদী নানীরা আগে সরিষার তেল ব্যবহার করত তাদের চুল শেষ বয়স পর্যন্ত লম্বা ঘন ও মজবুত থাকতো। চলুন জেনে নিন চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।
চুলের সরিষার তেলের উপকারিতা
চুলে সরিষার তেলের উপকারে তার কোন শেষ নেই চলুন জেনে নেই সরিষার তেলের উপকারিতা। নিম্নে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
প্রাকৃতিক কন্ডিশনারঃ সরিষার তেলে বিদ্যমান আলফা ফ্যাটি এসিড আমাদের চুলকে প্রানোবন্ধক, উজ্জ্বলও চকচকে রাখতে সহায়তা করে। এজন্য সরিষার তেল কে বলা হয় প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটি কন্ডিশনার। এ তেল আমাদের চুলকে অনেক বেশি মজবুত ঘন ও দ্রুত বাড়তে সহায়তা করে
চুল পড়া বন্ধ করতেঃ বর্তমানে আমাদের খাদ্যা অভ্যাস ও আবহাওয়া ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে চুল পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধুলাবালির কারণে আমাদের ত্বকের ফলিকল দুর্বল হয়ে যায় ফলে চুলে খুকশী, চুল ওঠা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত চুলে সরিষার তেলের মালিশ করলে চুলের ফলিকল শক্ত হয় এবং চুল ওঠা দ্রুত বন্ধ হয়।
চুল লম্বা করতেঃ চুল লম্বা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা সরিষার তেলে ভরপুর রয়েছে। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে খুব দ্রুত আপনার চুল বৃদ্ধি পাবে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ রুক্ষ, শুষ্ক, প্রাণহীন চুল থেকে মুক্ত পেতে নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশ করুন চুলে। মাসাজের ফলে চুলের ত্বকে রক্ত সঞ্চালনে বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়া অনেক বেশি মজবুত বা চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হবে।
বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতেঃ আমাদের চুলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস জীবাণুর আক্রমণের কারণে চুলের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় যেমন খোকশী, চুলকানি, ফুসকুড়ি, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে দূর করার জন্য সরিষা তেল ব্যবহার করতে পারেন কারণ সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাস যা এসব কল সংক্রমণ থেকে খুব দ্রুত সমাধান দেয়।
চুল বৃদ্ধিঃ লম্বা করতে চান না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এজন্য চুল লম্বা করতে চাইলে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন কারণ চুল লম্বা করার জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের চুলের প্রয়োজন তার সকল পুষ্ট উপাদান রয়েছে সরিষার তেলে যেমন খনিজ, উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোলিন ও বিভিন্ন ভিটামিন যা আমাদের চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
চুলের যত্নে সরিষার তেলের উপকারিতা শেষ নেই তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে চলুন জেনে নিই সরিষার তেল অতিরিক্ত ব্যবহারে এর কি কি অসুবিধা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।
- অতিরিক্ত ব্যবহারে চোখ জ্বালা করতে পারে।
- বেশি পরিমাণেমাথার চামড়া জ্বলা বা প্রদাহ হতে পারে।
- বেশি মাত্রায় ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি হতে পারে
- মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে সাদা ফোসকা পড়তে পারে
- অতিরিক্ত ব্যবহারে চোখে চুলকানি বা লাল হয়ে যেতে পারে
- মাথার চামড়ার ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে
- এলার্জি দেখা দিতে পারে
- মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ভেজাল ব্যবহারে শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় কি কি
আমরা অনেকেই খাঁটি সরিষার তেল কোনটি চিনিনা। এটি চেনার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। চলুন জেনে খাঁটি সরিষার তেল কেনার উপায় কি কি।
- সরিষার তেল আনার পর ফ্রিজে রেখে দিন। দুই থেকে তিন ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে দেখুন যদি তেলটি জমাট বেধে যায় বুঝবেন সেটি ভেজাল, যদি তেলটি না জমাট বাঁধে বুঝবেন সেটি খাঁটি কারণ সরিষার তেল কখনোই জমাট বাঁধে না।
- হাতের তালুতে কয়েক ফোটা সরিষার তেল নিন, কিছুক্ষণ হাতের তালায় ঘষতে থাকুন। ঘষতে ঘষতে যদি সরিষার তেলের বর্ণ ও গন্ধ পরিবর্তন হয় তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল।
- সরিষার তেলের ঝাঁজ অনেক বেশি যা চোখে জ্বালা অনুভূত হয় ভেজাল সরিষার তেলে আপনি এই ঝাঁজটি পাবেন না।
- সরিষার তেলের রং অনেক বেশি গাঢ় কখনো কখনো এটি হালকা হলুদ বর্ণেও হয়ে থাকে তবে ভেজাল সরিষার তেল হলুদ বর্ণের হয়।
- একটি সুতি কাপড় নিয়ে সেখানে সরিষার তেল ঢালুন যদি দাগ পড়ে যায় কাপড়ে বুঝবেন সেটি ভেজাল আর যে সরিষার তেলটি দাগ পড়বে না এবং দাগ পড়লে দাগ সহজে উঠে যাবে সেটি আসল।
প্রতিদিন কতটুকু সরিষার তেল খাওয়া উচিত?
আমরা অনেকেই যাই না প্রতিদিন কতটুকু সরিষার তেল খাওয়া যাবে? যার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। আমাদের সকলেরই জানা উচিত আমাদের কত পরিমাণে ক্যালরি, পুষ্টি উপাদান ও তেল খাওয়া দরকার চলুন জেনে নিই একজন সুস্থ মানুষের কি পরিমানে তেল খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন একটি সুস্থ মানুষের জন্য ২০০ ক্যালোরি পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। সে অনুসারে একজন মহিলা নিয়মিত ৫ থেকে ৬ চামচ তেল খেতে পারবে এবং একজন পুরুষ ছয় থেকে সাত চামচ তেল নিয়মিত খাওয়া উচিত। এর অতিরিক্ত খেলে শরীরে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও রোগ বাসা বাঁধবে।
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার সরিষার তেল সম্পর্কে যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার সমাধানের জন্য কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরোক্তা সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের সরিষার তেলের গুনাগুন সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url