অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা, আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়, অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও নিয়ম ইত্যাদি আরও বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অলিভ অয়েল সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং অলিভ অয়েল তেলের সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।
ভূমিকা
সেই প্রাচীন কাল থেকে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের প্রচলন চলে আসছে। কখনো এটি চুলের যত্নে কখনো মুখের কখনো ঠোঁটের কখনো বা পুরো শরীরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে কখনো বা খাদ্যের পুষ্টি উপাদান গুনাগুন ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি করতে।
এজন্যই আজ আমি অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা, ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো, চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা ও নিয়ম, রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম,আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় ইত্যাদি আরও বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অলিভ অয়েল তেলের আসল গুনাগুন ও পুষ্টি উপাদান গুলো আপনি নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
শীত বা অন্য যেকোনো ঋতু হোক না কেন, আমাদের ত্বকের রুক্ষতা শুষ্কতা দূর করে ত্বকে নরম কোমল ও লাবণ্যময় রাখতে অলিভ অয়েল তেল বেশ কার্যকারী। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যায় তবে ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো তার জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ তেল তৈরি প্রক্রিয়ার প্রথম অবস্থার তেলকে এক্সট্রা ভার্জিন তেল বলে। এই তেলে কোন প্রকার গন্ধ ও ছাদ অতিরিক্ত দেওয়া হয় না। তেল টিতে ০.৮% মাত্রায় এসিড থাকে। তেলটি দেখতে হালকা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে।
রিফাইন্ড অলিভ অয়েলঃ জলপাই থেকে তেল বের করার পর তেলটিকে পরিশোধিত করা হয় বিধায় একে রিফাইন্ড অয়েল বলা হয়। রিফাইন্ড করা হয় এজন্য এতে আঠালো ভাবটি একটু কম থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভার্জিন অয়েল মেশানো হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর মাত্রা সামান্য কম থাকে, এছাড়া সকল পুষ্টি উপাদান ও গুণাগুণ ঠিক থাকে। এই তেলটি গাঢ় হলুদ বর্ণের হয়।
আনফিল্টার্ড অলিভ অয়েলঃ এই তেল তৈরি করার সময় কোন রিফাইন্ড করা হয় না। সেইজন্য এ তেলে সামান্য পরিমাণে জলপাই এর অংশ ও পাওয়া যায়। রিফাইন না করার জন্য এই তেল দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। এছাড়া কিছু সময় রাখলে নিচে গাদ জমে যায়। তেলটি দেখতে অনেকটা ঘোলা হয়ে থাকে।
ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ ভার্জিন অয়েল মূলত এক্সট্রা ভার্জিন তেলের মত। শুধুমাত্র এতে এসিডের মাত্রা একটু বেশি। তেলটি হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।
চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা ও নিয়ম
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও ধুলোবালের কারণে আমাদের চুলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রক্ষতা-শুষ্কতা, চুল ফেটে যাওয়া, উঠে যাওয়া, নতুন চুল না গজানো, খুকশী, স্কার্ল্ফে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, চুল ফেটে দুইটি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। চলুন জেনে নেই চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা ও নিয়ম। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা
চুল পড়া কমানোঃ যদি আমি বলি চুল পড়া স্বাভাবিক। হ্যাঁ নিয়মিত সর্বোচ্চ ১০০টি চুল ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু এটি কখন অস্বাভাবিকভাবে হবে যখন এই চুল গজাবে না। অলিভ অয়েল খুব সহজে আমাদের নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত চুল ওঠা রোধ করে।
খুশকি দূর করতেঃ বর্তমানে ধুলাবালি ও ক্ষতিকারক প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলে খুশকি হওয়ার সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এ খুশকি থেকে চুলকানি ক্ষত,চুলকানি ইত্যাদির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। অলিভ অয়েল নিয়মিত চুলে মাসাজের ফলে খুব সহজে চুলের এই খুশকি দূর করা সম্ভব। অলিভ অয়েল আমাদের চুলের ত্বককের রুক্ষতা দূর করে ও মৃত চামড়াগুলো দূর করে নতুন চামড়া গজাতে সহায়তা করে।
চুলের রুক্ষতা দূর করতেঃ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও চলাফেরার কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায় যেমন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকনো করা, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা, ধুলাবালি, অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা, রুক্ষ আবহাওয়া, চুলে হিট দেওয়া, চুল কালার করা, তীব্র রোদ ইত্যাদি আরও নানা কারণে চুল রুক্ষ-শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। তবে অলিভ অয়েল আমাদের চুলে একটি মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে চুলের রক্ষতা খুব সহজেই দূর করে। নিয়মিত ব্যবহারে সকল সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণঃ আমাদের চুলের স্কার্ল্ফে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ জনিত রোগ হয়ে থাকে যেমন অ্যাকজিমা ও সোরিয়াসিস। এ সকল সংক্রমণ জনিত রোগ থেকে নিস্তার পেতে চর্ম বিশেষজ্ঞ ডক্টরের মতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল খুব সহজে আমাদের ত্বকের স্কার্ল্ফে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে।
অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
অলিভ অয়েল ও মধুঃ অলিভ অয়েল ও মধু দুটোই আমাদের চুলের রুক্ষতা চুল ওঠা বন্ধ করা মজবুত আগা ফেটে যাওয়া ও চুলের গ্রোথ ঠিক রাখতে বেশ কার্যকারী। নিয়মিত অলিভ অয়েল মধু ও গুড়া ভালো করে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করুন এবং তুলে ব্যবহার করুন। দেখবেন খুব সহজে ও দ্রুত আপনার চুলের সকল সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।
পাকা কলা ও অলিভ অয়েলঃ চুলের উজ্জ্বলতা ও চুলকে মজবুর করতে এই প্যাকটি কার্যকারী। এর জন্য একটি পাকা কলা ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে আপনার চুলের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
অলিভ অয়েল ও ডিমঃ চুলের গোড়ার ড্যামেজ দূর করে উজ্জ্বল ঘন ও মজবুত চুল করতে চাইলে নিয়মিত অলিভ অয়েল ও ডিমের ত্যাগ ব্যবহার করুন। এর জন্য একটি পাত্রে আপনার চুল অনুসারে একটি বা দুইটি ডিমের সাদা অংশ নিন এবং এর সাথে অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে পুরো চুলে ভালো করে মাসাজ করে নিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতা ও অলিভ অয়েলঃ স্কার্ল্ফের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও খুকসি দূর করতে চাইলে এ প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। সাত থেকে আটটি নিমপাতা, চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা ও চার থেকে পাঁচ চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পুরো চুলে ভালো করে মাসাজ করে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল ও অলিভ অয়েলঃ দ্রুত চুলকে লম্বা ও ঘন করতে চাইলে নিয়মিত এ দুইটি তেল সংমিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহারে অনেক বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। ব্যবহারের সময় অবশ্যই পুরো চুলে এই তেলটি ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাসাজ করবেন।
টক দই ও অলিভ অয়েলঃ টক দই ও অলিভ অয়েল আমাদের চুলের রক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করে মসৃণ নরম ও প্রাণবন্তক রাখে। দুই থেকে তিন চামচ টক দই ও অলিভ অয়েল ভালো করে মিশ্রিত করে প্যাক তৈরি করুন। তৈরিকৃত প্যাক ভালো করে চুলে ম্যাসাজ করুন। ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, তফাৎ আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন।
অ্যালোভেরা ও অলিভ অয়েলঃ আমরা সকলেই জানি এলোভেরা আমাদের ত্বক চুল ও শরীরের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। একটি পাত্রে এলোভেরা জেল অলিভ অয়েল টক দই ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের ফলেদেখবেন খুব সহজে আপনার চুলের যে সকল সমস্যা রয়েছে সকল সমস্যার খুব সহজে সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
বর্তমানে আমরা কর্মব্যস্ততার কারণে সারাদিন ত্বকের কোন প্রকার যত্ন নিতে পারি না। বাকি থাকে শুধু রাত। রাতে যদি খুব সহজে শুধুমাত্র একটি উপকরণ দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা তারুণ্য ধরে রেখে ত্বকের বলিরেখা কালকে ভাব ব্রণ মেধা দূর করা যায় তাহলে কেমন হবে। চলুন জেনে রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম-
রাতে অবশ্যই ঘুমানোর আগে প্রথমে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন। চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত্রে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের অর্ধেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। ত্বক পরিষ্কার করার আগে অলিভ অয়েল দিয়ে টক ভালো করে মাসাজ করে নিন। ৫ থেকে ৬ মিনিট মেসেজ করার পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে বা কাপড় ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই যে কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক তার আদ্রতা হারাবে না। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে যে সকল ব্যক্তির তৈলাক্ত ত্বক তারা মশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন না। যতটুকু অলিভ অয়েল নিবেন তার সমপরিমাণে পানি নিয়ে ভালো করে মুখে মাসাজ করে সারারাত দেখিয়ে দিন। সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তফাৎ আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন।
অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা
আমরা ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকি। তবে অলিভ অয়েল শুধু আমাদের চুলের জন্য ব্যবহার করা হয় না। এটি আমাদের শরীরের সুস্থ সবল ও বিভিন্ন সংক্রমণজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। চলুন জেনে নেই অলিভ অয়েল শরীরে মাখার উপকারিতা। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
বয়সের ছাপ দূর করতেঃ আমাদের অনেকেরই বয়সের আগেই পুরো শরীর কুঁচকে যায়। এ কুচকে যাওয়া বা বয়সের ছাপ দূর করার জন্য নিয়মিত পুরো শরীরে অলিভ অয়েল তেল মাসাজ করুন। অলিভ ওয়েল আমাদের শরীরের চামড়ার ব্যারিয়ারকে সুরক্ষিত ও সজ্জীবিত রাখে।
আরো পড়ুনঃ শীতে বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায়
শিশুদের শরীর মালিশেঃ শিশুদের শরীর অনেক বেশি কোমল ও সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে শিশুর শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি ও রেসেজ হয়ে থাকে। এগুলো দূর করে শিশুর শরীরকে নরম ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অলিভ ওয়েলের নিয়মিত মাসাজ করতে পারেন।
এলার্জিঃ আমাদের অনেকের শরীরে এলার্জি থাকে। ফলে আমরা শরীরকে রুক্ষতা ও শুষ্কতা থেকে রক্ষার জন্য কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারি না। এজন্য আপনি নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বককে কোমল ও সজ্জীবিত রাখবে।
প্রদাহঃ শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করার জন্য পুরো শরীরে অলিভ অয়েলের মাসাজ করতে পারেন। আমাদের শরীরকে ঠান্ডা নরম ও শরীরে বিভিন্ন ধরনের জ্বালা থেকে রক্ষা করে।
টেনশন দূর করতেঃ বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কর্মব্যস্ততার কারণে ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। এছাড়াও মানসিক টেনশন দূর করতে নিয়মিত সম্পূর্ণ শরীরে অলিভ অয়েল তেল এর ম্যাসাজ করুন।
ঘুমানোঃ বর্তমানে আমাদের অনেকেরই ঘুম জনিত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। রাতে ঠিকমত ঘুম আসে না অসস্তিবোধ হয়। এ সমস্যাগুলো দূর করার জন্য প্রতিদিন রাত্রে সম্পূর্ণ শরীরে ভালো করে ৫ থেকে ১০মিনিট পর্যন্ত মাসাজ করুন। দেখবেন খুব সহজে আপনার দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুমটি অবশই প্রশান্তির হবে।
ক্লান্তি বোধঃ সারাদিনের নানা রকমের কর্মব্যস্ততার কারণে শরীরে অনেক বেশি ক্লান্তি বোধ হয়।এ ক্লান্তি বোধ দূর করতে নিয়মিত সম্পূর্ণ শরীরে গোসলের আগে ও পরে অলিভ অয়েল তেলের মাসাজ করুন। এছাড়া আপনি ঘুমানোর আগেও সম্পূর্ণ শরীরে মাসাজ করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করলে খুব সহজে আপনার শরীরের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
আদ্রতা ধরে রাখতেঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীর থেকে আদ্রতা কমে যায় ফলে শরীর সহজেই রুক্ষ শুষ্ক ও প্রানহীন হয়ে যায়। অলিভ অয়েলে থাকা ভিটামিনঃ" ই", "এ" ও "ডি" আমাদের ত্বকের রুক্ষ,শুষ্ক স্থান গুলোকে রিপেয়ার করে এবং শরীরের পানির ঘাটতি খুব সহজে মেটায়।
ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামতঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ও জীবাণু আক্রমণ করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে। নিয়মিত শরীরে অলিভ অয়েলের মাসাজ করলে অলিভ অয়েল খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু গুলো মেরামত করে।
ত্বক পরিষ্কার রাখতেঃ নিয়মিত অলিভ অয়েল তেলের মাসাজ করলে শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ধরনের ধুলাবালি ও ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। এভাবে খুব সহজে ত্বককে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়
আমরা সকলেই জানি অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তবে আমরা জানিনা আসল অলিভ অয়েল কোনটি আর নকল কোনটি। যার কারণে যে উদ্দেশ্যে আমরা অলিভ অয়েল এত বেশি দাম দিয়ে কিনি সে উদ্দেশ্য কখনোই পূরণ হয় না বরং উল্টো এর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এজন্য আমাদের অবশ্যই আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় গুলো কি কি তা জানতে হবে। চলুন জেনে কিভাবে আসল অলিভ অয়েল চিনবেন-
- অলিভ অয়েল কেনার সময় অবশ্যই এর মেয়াদ কত তা দেখে নেবেন। কারণ অলিভ অয়েল সাধারণত দুই বছরের বেশি ব্যবহার করা যায় না। এর বেশি মেয়াদ লেখা থাকলে অর্থাৎ দুই থেকে তিন বছর লেখা থাকলে বুঝবেন এটি নকল। দুই বছরের বেশি অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।
- আসল অলিভ অয়েল এর ঘনত্ব অনেক বেশি। নকল অলিভ অলিভ অয়েল এর ঘনত্ব কিছুটা কম থাকে।
- অলিভ অয়েল কেনার পর একটি পাত্রে করে ফ্রিজে দুই ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দেবেন। দুই ঘন্টা পরে দেখবেন অয়েলটি যদি জমে যায় তাহলে এটি আসল আর লিকুইড থাকলে বুঝবেন এটি নকল।
- একটি পাত্রে অলিভ অয়েল নিয়ে এর ওপর আগুন জ্বালাবেন যদি অলিভ অয়েল কোন প্রকার ধোঁয়া ছাড়াই পড়তে থাকে বুঝবেন এটি আসল আর যদি ধোয়া হয় বুঝবেন এটি নকল।
অলিভ অয়েল তেল কি খাওয়া যায়
আমরা সকলেই জানি অলিভ অয়েল আমাদের চুল ত্বক ও বিভিন্ন ধরনের স্কিনের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়। অনেকে জানতে চান অলিভ অয়েল তেল কি খাওয়া যায়। হ্যাঁ অলিভ অয়েল তেল আপনি খেতে পারেন এটি রান্না করে বা শুধু বিভিন্ন ধরনের সালাদের ভেতরে দিয়েও খেতে পারেন। চলুন জেনে অলিভ অয়েল কি কি খাবারে আপনি ব্যবহার করতে পারেন-
- যেকোনো ধরনের সবজি রান্নায় খাবারের সুস্বাদু বৃদ্ধি করে অলিভ অয়েল তেল।
- আমরা বাঙালিরা বেশিরভাগ সময় সরিষার তেল খেয়ে থাকি তবে সকল খাবারে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায় না এ সকল খাবারে আপনি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- গ্রিল, ডিপ ফ্রাই ও ভাজাপোড়া ইত্যাদি খাদ্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে উক্ত খাবারের খেলে কোন প্রকার গ্যাস হয় না।
- থাই, চাইনিজ, ভারতীয় ও বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
- যে সকল ব্যক্তির হৃদরোগ রয়েছে তারা সকল ধরনের খাবার অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন। কারণ অলিভ অয়েল আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরিয়ে ফেলে সুস্থ রাখে।
- বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত তাপমাত্রায় আসলে ভেঙে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উৎপন্ন হয় কিন্তু অলিভ অয়েল ২৪০° তাপমাত্রায়তেও ভেঙে যায় না। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া এই তেল দিয়ে তৈরি করলে শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না।
- আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা অতিরিক্ত পরিমাণে তেল খান। ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখের সৃষ্টি হয়। কিন্তু অলিভ অয়েল বেশি পরিমাণে খেলেও কোন প্রকার শারীরিক ক্ষতি হয় না। তবে রান্নার সময় অলিভ অয়েল বেশি প্রয়োজন হয় না এবং অল্প তেলেই খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
- আমরা খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের সালাত খেয়ে থাকি এই সালাদের সাথে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে সালাদের স্বাদ ও গন্ধ অনেকগুণ বেশি বেড়ে যায়।
- যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি কমানো জন্য ডায়েট করছেন তাদের জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে বেশি উত্তম। চিকিৎসকের মতে অলিভ অয়েল আমাদের শরীরের অতিরিক্ত দ্রুত ছড়াতে সহায়তা করে।
মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা ও নিয়ম
আমরা সকলেই জানি মুখে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার খুবই ভালো। কিন্তু আমরা কি জানি কি নিয়মে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে আমরা বেশি উপকৃত হব এবং আমাদের ত্বক দ্রুত নরম, মসৃণ, প্রানোবন্ধক ও লাবণ্যময়ী হয়ে উঠবে। চলুন জেনে নিন মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে-
মুখের আদ্রতা রক্ষায়ঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। শরীরে পানি স্বল্পতার কারণে অনেক সময় আমাদের ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায়। অলিভ অয়েলের থাকা ভিটামিন "কে", "ই", "ডি" ও "এ" খুব সহজেই আমাদের ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে এবং ত্বকের রুক্ষতা, শুষ্কতা ও প্রাণহীনতা দূর করে ত্বককে মসৃণ, উজ্জ্বল ও প্রানোবন্ধক করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
মুখের সজীবতাঃ কোলাজেনের জাতীয় উপাদান যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। যা অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে থাকে। কোলাজেনের আমাদের ত্বককে সবসময় সজীব নরম ও মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। এজন্য অবশ্যই ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করুন।
বয়সের ছাপ দূরঃ ত্বকের তারুণ্য সারা জীবন ধরে রাখতে আমাদের ত্বকের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রয়োজন সেটা হল পলিফেনাল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
অলিভ অয়েলে থাকা এই উপাদান আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ হতে দেয় না। এছাড়া বয়সে চাপ যে উপাদানের জন্য হয় তা হল ফ্রি রেডিকেল নামক উপাদান। নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে খুব সহজেই অলিভ অয়েল এ উপাদানের মাত্রা কমিয়ে ত্বকের যৌবনতা ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
মুখের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দূর করতেঃ শীত বা অন্যান্য ঋতুতে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের চামড়া ওঠা রোগ হয়। এটি মূলত আমাদের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু যা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। অলিভ অয়েল নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে,ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে ত্বকের মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুকে সজ্জীবিত করে তোলে।
ত্বক পরিষ্কার রাখতেঃ বর্তমানে আমরা কর্মব্যস্ততার কারণে বাইরে বের হলে বিভিন্ন ধরনের মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সমস্যা হয় এ মেকআপ তুলতে। মেকাপ তোলার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার না হওয়ার কারণে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। আমরা বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের মেকআপ ওঠানোর কেমিক্যাল না ব্যবহার করে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারি। এটি খুব সহজে আমাদের ত্বককে পরিষ্কার করে দেবে এবং ত্বককে মশ্চেরাইজা করবে।
ময়শ্চেরাইজার হিসেবেঃ প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে মশ্চারাইজ করতে চাইলে আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভয়েলে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বককে মোশ্চারাইজ করে ত্বকের টানটান ভাব জেল্লা ত্বকের আদ্রতা ও মসৃণতা করে তোলে।
ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডসঃ বর্তমানে কর্মব্যস্ততা ও ধুলোবালের কারণে আমাদের সকলেরই এ সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো নিয়মিত রাত্রে ঘুমানোর আগে বা গোসলের আগে বা পরে অলিভ অয়েল ভালো করে ত্বককে মাসাজ করা। এ সমস্যাগুলো মূলত ভিটামিন ই এর অভাবে হয়ে থাকে, অলিভ অয়েল খুব সহজে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে পারে।
ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন সঠিক না হলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন ব্রণ, মেস্তা, কালচে ভাব ইত্যাদি। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার জন্য নিয়মিত কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ভালো করে মাসাজ করুন। এভাবে নিয়মিত মাসাজের ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়ে ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
খালি পেটে অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা খালি পেটে অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা। খালি পেটে অলিভ অয়েল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে নিই কিভাবে খালি পেটে অলিভ অয়েল তেল খাবেন এবং কি কি উপকারিতা পাবেন-
- বিভিন্ন চিকিৎসকের মতে খালি পেটে অলিভ অয়েল তেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত বিভিন্ন রোগ যেমন গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, বুক জ্বালা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যায়।
- নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানির সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে খান খুব দ্রুত আপনার শরীর থেকে চর্বি দূর হয়ে যাবে।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে।
- স্নায়ুতন্তের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে।
- ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন শুষ্কতার রুক্ষতা ইত্যাদি সমস্যা ভেতর থেকে নিরাময় করতে খেতে পারেন।
- চর্মরোগ জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে খেতে পারেন।
- ত্বককে মশ্চারাইজ ও চকচকে রাখতে খেতে পারেন।
- অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে নিয়মিত খালি পেটে খেতে পারেন।
- রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে।
- দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খালি পেটে খেতে পারেন।
- চিরতরে ত্বক থেকে এলার্জি, ফুসকুড়ি ও ব্রণ দূর করতে খালি পেটে খেতে পারেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে যে সকল ব্যক্তির ঘুমানোর সময় নাক ডাকেন তারা নিয়মিত খেতে পারেন।
- শরীরের ভেতরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
- দীর্ঘস্থায়ীভাবে শরীরে কোন রোগ থাকলে অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান তা সারাতে সাহায্য করে।
- টাইপ টু জনিত ডায়াবেটিস মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকারী।
- হাড় মজবুত ও শক্ত করতে খেতে পারেন।
- ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে নিয়মিত খালি পেটে খেতে পারেন।
- বয়স্ক ব্যক্তিদের আলঝইমার নামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খালি পেটে খেতে পারেন।
- হাড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে খেতে পারেন।
- কানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খালি পেটে খেতে পারেন।
- ত্বকের বার্ধক্য ছাপ দূর করতে নিয়মিত খেতে পারেন।
অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার অপকারিতা
অলিভ অয়েল তেল অনেক বেশি দামি ও আমাদের স্বাস্থ্য সুস্থ-সবল রাখতে বেশ কার্যকারী। কিন্তু অলিভ অয়েল খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছি। তা কি আমরা জানি। চলুন জেনে নেই অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি-
- অতিরিক্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে।
- অতিরিক্ত সংবেদনশীল ও তেলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ফুসকুড়ি ও এলার্জি হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল খেলে হার্টের সমস্যা হতে পারে।
- মাত্রা অতিরিক্ত অলিভ অয়েল খেলে আমাদের শরীরে কোলেস্টোলের মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে।
- অত্যাধিক মাত্রায় খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
- খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে।
- মাত্রা অতিরিক্ত অলিভ অয়েল খেলে কার্ডিয়াক নামক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
- সালাদ জাতীয় খাবারে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে রক্তচাপ দ্রুত কমতে পারে।
- অতিরিক্ত খেলে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।
- মাথাব্যথা,শরীর দুর্বল, অতিরিক্ত ঘামা ও মাথা ঘোরা জড়িত সমস্যা হতে পারে।
- শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমে দিতে পারে।
- অতিরিক্ত সেবনে হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- মাত্রা অতিরিক্ত সেবনে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হতে পারে।
- পিত্তথলিতে বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করে।
- অতিরিক্ত সেবনে ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।
- অতিরিক্ত চিটচিটে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে খুশী চুলকানি এলার্জি ফুসকুড়ি হতে পারে।
- যে সকল ব্যক্তির মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা কখনোই চলে কোয়ালিফ অয়েল ব্যবহার করবেন না।
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে অলিভ অয়েল তেলের কিছু উপকারিতা অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি আরও বিষয়ে নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে অলিভ অয়েলের গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url