১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসা করার ১২টি টিপস

আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসা করার ১২টি টিপস, ব্যবসায়ের লাভজনকতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? ইত্যাদি আরও ব্যবসায়ী বিষয়ে আলোচনা করেছি। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসা করার ১২টি টিপস

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং জীবনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি ভালো ও লাভজনক ব্যবসা আপনি বেছে নিতে পারবেন।

ভূমিকা

জীবনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আমাদের সকলেরই একটি স্থায়ী কর্মের প্রয়োজন। হোক তা চাকরি বা ব্যবসা। বর্তমানে অনেকেরই পছন্দ ব্যবসা তাদের জন্য আজ আমি বিভিন্ন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

এছাড়াও কিভাবে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন, আপনার যদি অল্প পরিসরে পুঁজি থাকে তাহলে কিভাবে স্মার্ট ব্যবসা করতে পারবেন, মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, আপনি গ্রামে বসবাস করলে কিভাবে একটি লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন এবং কিছু ব্যবসায়িক টিপস যা আপনার অত্যন্ত জানা দরকার কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল স্পিনিং ও ক্রম্পিং সম্পর্কে আলোচনা

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন এজন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো,আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।

বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা-স্বল্প পুজিতে স্মার্ট ব্যবসা

বর্তমানে অনেকে আছেন যারা বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা-স্বল্প পুজিতে স্মার্ট ব্যবসা করতে চান। তবে বর্তমান যুগে অল্প পুজি বা বিনা পুঁজিতেব্যবসা করা বেশ মুশকিল বা কঠিন। তবে এ জিনিসটা তখনই সহজ হয়ে উঠবে যখন আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী বা অভিজ্ঞ হবেন ও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে আগ্রহিত। তাদের জন্যই আমি বেশ কিছু স্বল্প বা না বুঝিতে ব্যবসা করার কিছু উপায় নিয়ে এসেছি। চলুন সেগুলো জেনে নিন

ব্লগ বিজনেসঃ যে সকল ব্যক্তির অল্প পুঁজি বা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে শুরু করতে চান তাদের জন্য ব্লক বিজনেস একটি অনেক ভালো প্ল্যাটফর্ম। তবে এই বিজনেস করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের রাইটার বা কনটেন্ট রাইটার হতে হবে। কারণ ব্লক বিজনেস মানেই ব্লক রাইটিং এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা।

আপনার ব্লগ কনটেন্ট যত বেশি ভালো এবং উন্নত মানের হবে তত বেশি ক্রেতার মনে পণ্য বা সার্ভিসটি কেনার জন্য উদ্বেগ তৈরি হবে। আপনার লেখার মান বা কনটেন্ট যদি ভালো না হয় তাহলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট বা ব্লকটিকে ভালো র‍্যাংকিংয়ে রাখবে না এবং আপনার সার্ভিস বা পণ্যটি তেমন বিক্রয় হবে না।

যদি আপনার কনটেন্ট ভালো হয় তাহলে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন আপনার কন্টেন্ট বা ব্লকটিকে ভালো র‍্যাংকিং এ রাখবে এবং আপনার পণ্য বা সার্ভিসটিতে ভিজিটরের পরিমাণ বাড়বে এবং আপনার পণ্য বা সার্ভিসটি বিক্রির পরিমাণও বেড়ে যাবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিনা পুঁজিতে অনেক একটি বেশি লাভজনক ব্যবসা। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো দূর থেকে বা নিজে সেখানে না থেকে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেওয়া যেমন ফাইল তৈরি করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পরিচালনা, বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর সাথে যোগাযোগ, মেইল পাঠানো এবং গ্রহণ আরও বিভিন্ন কাজ বোঝায়।

এই কাজগুলো আপনি নিজেও করতে পারেন এছাড়া আপনি নিজে একটি ভার্চুয়াল টিম তৈরি করে বিভিন্ন এজেন্সিতে নির্দিষ্ট ফি এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট দিতে পারেন। এ ব্যবসা করতে আপনার কোন প্রকার পুঁজি প্রয়োজন হবে না।

ড্রপশিপিং ব্যবসাঃ বিনা পুঁজি বা স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন। ড্রপ শিপিং ব্যবসা এমন এক ধরনের ব্যবসা যেখানে আপনি অন্যের পণ্য নিজের অনলাইন স্টোরে গ্রাহকের নিকট প্রদর্শন করাবেন এবং কোন গ্রাহক যখন পণ্যটি কোন বা সার্ভিসটি ক্রয়ের জন্য অর্ডার করবে তখন আপনি সে অর্ডারটি মেইন মালিকের কাছে পৌঁছে দেবেন।

মালিক তখন সে পণ্যটি গ্রাহক বা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবে। এখানে আপনার লাভ হচ্ছে আপনি যখন অন্যের পণ্য নিজের অনলাইন স্টোরে প্রদর্শন করাচ্ছেন তখন আপনি ইচ্ছা মতো দামে পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লেখার সময় গ্রামাটিক্যাল বাংলা ও ইংলিশ ভুল সংশোধন

যেমন ধরুন একটি খাটের মূল্য ১২০০০ হাজার টাকা, আপনি পণ্যটি আপনার অনলাইন স্টোরে রাখার সময় ১২২০০ হাজার টাকার দাম নির্ধারণ করে পণ্যটির অর্ডার নিলেন এবং মেইন পণ্যের মালিকের কাছে অর্ডারটি ১২০০০ টাকায় দিয়ে দিলেন। এখানে ২০০ টাকা আপনার লাভ থাকলো। এভাবে খুব সহজেই অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার স্টোর খুলে আপনার কোন পণ্য বা সার্ভিস ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন কনসালটেন্টঃ বর্তমানে অনলাইন কনসালটেশন ব্যবসা বেশ লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে। অনলাইন কনসাল্টেশন বিনা পুঁজিতে লাভজনক একটি ব্যবসা। অনলাইন কনসাল্টেশন ব্যবসা হল এমন এক ধরনের ব্যবসা যেখানে আপনার কোন একটি বিষয় থাকতে হবে।

সেটা যে কোন বিষয়ই হোক যেমন রূপচর্চা শরীরচর্চা অনলাইন ইনকাম এর বিভিন্ন পথ বিনিয়োগ খেলাধুলা ডিজিটাল মার্কেটিং চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি আরও বিভিন্ন বিষয়। এ সকল বিষয়ের যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনি অনলাইনে মানুষকে পরামর্শ নিতে পারেন।

তবে এ ব্যবসা করার আগে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট খুলে নিতে হবে এটা থাকলে আপনার বেশ ভালো হবে। কারণ ওয়েবসাইট থাকলে আপনার ধীরে ধীরে ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তারা আপনার ওয়েবসাইটে এসে আপনার সার্ভিস বা আপনার পরামর্শ ক্রয় করবে এবং সে বিষয়ে আপনার সাথে বিভিন্ন তথ্য বিনিময় ও অভিজ্ঞতা আপনার সাথে শেয়ার করতে পারবে ।

এছাড়াও আপনার ফিডব্যাক গুলো নতুন গ্রাহক খুব সহজেই দেখতে পাবে। এর সাথে সাথে আপনার নতুন গ্রাহকের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। ফলে খুব সহজে আপনি বিনা পুঁজিতে ধীরে ধীরে লাভবান ব্যবসায়িক হতে পারবেন।

ট্রেনিং সেন্টারঃ আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা পারদর্শী সে বিষয়ে নিয়ে নিজের বাড়িতে বা আপনি যেখানে থাকেন সেখানে ছোট একটি ট্রেনিং সেন্টার খুলতে পারেন। যেমন ধরেন আপনি সেলাইয়ের কাজে পারদর্শী। তাহলে আপনার রুমে বা ঘরে দুই একজন করে সেলাইয়ের কাজ শিখাতে পারেন এছাড়াও আপনি রূপচর্চা বিষয় পারদর্শী হলে সে বিষয়ে কিছু সংখ্যক মানুষকে কোর্স করাতে পারেন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪

আমরা অনেকেই আছি যারা চাকরির তুলনায় ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী। এর কারণ হচ্ছে চাকরিতে সময় এবং অন্যের অধীনস্থ সব সময় থাকতে হয় অন্যদিকে ব্যবসা নিজের অধীনস্থ এবং অধিক লাভের সুযোগও থাকে।

তবে আমরা অনেকেই সঠিক ব্যবসা বা ব্যবসাটি লাভজনক কিনা তা না জেনেই অনেক সময় ব্যবসা শুরু করে দেই ফলাফল ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য আজ আমি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ গুলো কি তা নিয়ে আলোচনা করব।

অনলাইন ব্যবসাঃ
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ও সহজ ব্যবসা হয়ে উঠেছে অনলাইন ব্যবসা এবং এ ব্যবসা শুরু করতে অধিক পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া কোন প্রকার দোকানের ভাড়া, অতিরিক্ত কর্মচারী, কর্মচারীদের বিভিন্ন খরচ এর সকল বাড়তি খরচ লাগে না।

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি আরও বিভিন্ন। এ সকল প্লাটফর্মে আপনি আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন এবং অন্যের পণ্য নিজের অনলাইন স্টোরে রেখে বিক্রি করতে পারেন। এখানে গ্রাহকের কাছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা বা সার্ভিস অনলাইনে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয়।

ইনভেস্ট ম্যানেজমেন্টঃ অধিক পরিমাণে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে আপনি ইনভেসমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করতে পারেন। ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা আপনি সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে পরিচালনা করতে পারলে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এ ব্যবসা করতে আপনার অধিক পরিমাণে মূলধনেরর প্রয়োজন হবে না। তবে প্রথম অবস্থায় এ ব্যবসা আপনি করতে চাইলে ভালো হবে কয়েকজন সহকারী সাথে নিয়ে করা।

আচার ব্যবসাঃ বর্তমানে অনলাইন হোক বা অফলাইন যেকোনো সাইডি হোক না কেন আচারের ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এটি বেশ সহজ ও লাভজনক। কারণ আপনি বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন রকমের ফল দিয়ে সুস্বাদু, টাটকা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং গুণগত মান অক্ষুণ্য রেখে আচার তৈরি করলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

বুটিক শিল্পঃ অনলাইনে ও অফলাইনে আরেকটি বেশ জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে বুটিক শিল্প। এ ব্যবসার জন্য প্রতি পরিমাণে মূলধন এর প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা ও কাজের সৌন্দর্যতা যথেষ্ট একজন লাভবান ব্যবসায়িক হতে। এ শিল্প চাহিদা যেমন অফলাইনে রয়েছে তেমনি অনলাইনেও এর চাহিদা বেশ ব্যাপক। এজন্য অল্প সময়ের ভিতরে একজন লাভবান ও সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায় এ ব্যবসার মাধ্যমে। এছাড়া এ ব্যবসা ঘরে বসে ছোট একটা রুমেও করা যাই।

রেস্টুরেন্টঃ
মানুষ যত দিন বেঁচে আছে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা ততদিন টিকে আছে। মানুষ শুধু মাত্র খুঁজে কোথায় সুস্বাদু গুণগতমান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার পাওয়া যাবে। মানুষ কখনোই দেখেনা কোন রেস্টুরেন্ট পর এবং কোনটি ছোট।

এর জন্য প্রথম অবস্থায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে ছোট কিংবা বড় অল্প পুঁজিতে খাবারের গুণগত মান সুস্বাদু ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঠিক রেখে খাবার তৈরি করলে আপনার ব্যবসা অল্প সময়ে লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে।

কমিউনিটি সেন্টারঃ লাভজনক ব্যবসার তালিকায় আপনি কমিউনিটি সেন্টার রাখতে পারেন। কারণ বিবাহ কিংবা জন্মদিন যে কোন অনুষ্ঠানেই আমাদের একটি জায়গার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ঘনবসতি হয়ে যাওয়ার কারণে বড় ধরনের জায়গা খুঁজে পাওয়া মানুষের জন্য। যার কারনে মানুষ যে কোন অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেন্টারে করে থাকে। এজন্য অল্প সময়ে লাভবান হতে চাইলে কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবসা করতে পারেন।

ফার্মিং ব্যবসাঃ বর্তমানে ফার্মিং ব্যবসা বেশ লাভজনক। আপনি যদি আপনার ফার্মে কোন কেমিক্যাল ছাড়া যে কোন সবজি বা মুরগি পালন করতে পারেন তাহলে আপনার চাহিদা কখনোই কমবে না। এর কারণ বর্তমানে মানুষ বেশ সচেতন হওয়ায় কেমিক্যাল ও ক্ষতিকার পদার্থ মিশ্রিত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকছে এবং অর্গানিক পণ্য বেশি খোঁজে।

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসা করার ১২টি টিপস

সামান্যপুজে রয়েছে এবং একটি লাভজনক ব্যবসা করতে চান এবং ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক কিছু টিপসজানতে চান তাহলে আজকে এ পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমি সে সকল ব্যাক্তিদের জন্য এ পোস্টটি লিখছি যারা অল্প পুজিতে একটি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান। চলুন জেনে নিই ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসা করার ১২টি টিপস। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-

ফুড ভ্যানঃঅল্প পুঁজিতে বেশ ভালো এবং লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ফুড ভ্যান। আপনি স্বল্প পুঁজিতে ফুড ভ্যান কিনে যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে চিকেন বার্গার কাবাব রোল হালিম নুডুলস ফুচকা টিকা ইত্যাদি খাবার গরম গরম সকলের সামনে পরিবেশন করলে এবং খাবারের মান ও গুণ ঠিক রাখলে আপনি বেশ লাভবান হবেন। এ সকল ব্যবসায় দ্বিগুণ লাভ থাকে।

টিফিন ডেলিভারিঃ বর্তমানে টিফিন ডেলিভারি বেশ জনপ্রিয় ব্যবসা হয়ে উঠেছে। এতে শুধু আপনাকে ঘরে বসে খাবার রান্না করতে হবে এবং অফিস আদালত বা বিভিন্ন কর্ম প্রতিষ্ঠানে দুপুরের খাবার ডেলিভারি করতে হবে। এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোন দোকান ভাড়া করার প্রয়োজন নেই নিজের বাড়িতে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। তবে খাবারের মান সুস্বাদু গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখলে এ ব্যবসা থেকে আপনি বেশ লাভবান হবেন।

চায়ের দোকানঃ
মাত্র অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে চাইলে এবং অধিক লাভ করার ইচ্ছা থাকলে আপনি চায়ের দোকান করতে পারেন। এ ব্যবসা এমন এক ধরনের ব্যবসা যেখানে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পরিমাণও লাভ করা যায়।এজন্য শুধুমাত্র আপনাকে এমন একটি স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে লোকবল অনেক বেশি থাকে। এ ব্যবসা করতে ব্যবহৃত মালামাল বা উপকরণের সংখ্যা অনেক কম এবং দামেও সস্তা।

মোবাইল রিচার্জঃ মোবাইল রিচার্জ বেশ লাভজনক ব্যবসা কারণ বর্তমানে আমাদের সকলের হাতে একটি হলেও ফোন রয়েছে এবং তাতে কথা বলার জন্য রিচার্জ এর প্রয়োজন। এ ব্যবসায় কোন ক্ষতি নেই কারণ যতদিন পর্যন্ত মানুষের হাতে ফোন রয়েছে ততদিন পর্যন্ত এ ব্যবসা চলবে। আপনি মোবাইল রিচার্জ করা ছাড়াও দোকানে মোবাইলের বিভিন্ন পার্টসও বিক্রি করতে পারেন।

মিনারেল ওয়াটার ব্যবসাঃ অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে আপনি মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা করতে পারেন। এতে বেশি পরিমাণে উপকরণ বা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র আপনার পানি পরিষ্কার করার জন্য কিছু উপকরণ লাগবে যার মূল্য অনেক কম।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ বর্তমানে কোন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বা ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সকল ব্যবসায়িকের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। বড় বড় কোম্পানি বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করার জন্য আলাদাভাবে লোক নিয়োগ দেওয়া হয় তবে ছোটখাটো ব্যবসার ক্ষেত্রে আলাদাভাবে লোক নিয়োগ দেয়া হয় না।

আপনি একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট কর্মী হতে পারলে ছোট কিংবা বড় ব্যবসায়ীদের অনলাইন ভিত্তিক সকল কাজ করে বেশ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে বই বিক্রিঃ
অল্প পুজিতে বা ১০ হাজার টাকায় বিনা ক্ষতি বা রিক্সমুক্ত ব্যবসা করতে চাইলে আপনি অনলাইনে বই বিক্রি ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে আপনি বই বিক্রি করতে পারেন যেমন ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বা ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বই বিক্রি। বিভিন্ন নতুন নতুন আইডিয়া কাজের লাগিয়ে ধীরে ধীরে আপনি এই ব্যবসা থেকে প্রচুর লাভ করতে পারবেন।

ওয়েডিং প্লানারঃ অল্প পুজিতে বেশি লাভবান ও রিক্সমুক্ত আরেকটি ব্যবসা হচ্ছে ওয়েডিং প্লানার। বর্তমান অনেক পরিবার আছে যারা ওয়েডিং এর সময় নিজেরা কোন প্রকার ঝামেলা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েডিং প্লানার খোঁজে যারা বিয়ের যাবতীয় সবকিছু দেখাশোনা করবে। আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবসায়ী জিনিসপত্র কিনে খুব সহজে অল্প টাকাতে ওয়েটিং প্ল্যানার হয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেলঃ
বর্তমানে এখন ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা অল্প পুজিতে সহজ টাকা ইনকাম এর রাস্তা হয়ে উঠেছে। এর জন্য আপনার শুধু একটি ফোন বা ল্যাপটপ হলেই হবে এবং সেখানে নিয়মিত কোন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে হবে।এভাবে খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন

কন্টেন রাইটারঃ
কনটেন্ট রাইটার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত সময়ের ভেতরে টাকা ইনকামের একটি ব্যবসা। এজন্য শুধুমাত্র আপনার একটি ফোন বা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে এবং সেখানে একটি ওয়েবসাইট খুলে লেখার মান উন্নত রেখে নিয়মিত কনটেন্ট লিখতে হবে এবং গুগল এ পাবলিশ করতে হবে।

টেলিকমঃ
হয়তো আপনার বাড়ির আশেপাশে কেউ না কেউ এ টেলিকম ব্যবসা করছে। এটি অল্প পুজিতে লাভবান ব্যবসা। এ ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনার একটি ফোন এবং ফোনে প্রতিটি সিমের অপারেটর থাকতে হবে। সকল সিমগুলোতে অল্প পরিমাণে রিচার্জ রেখে আপনি খুব সহজে এ ব্যবসা করতে পারবেন এছাড়াও বিকাশ রকেট ও নকল এর এজেন্ট হয়ে মোবাইল ব্যাংকিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে শিক্ষা প্রদানঃ
আপনি যদি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন সেটা যে কোন বিষয়ে হোক না কেন তাহলে আপনি খুব সহজে অনলাইনে সে বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে যে কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে মানুষকে শিক্ষা দেন বা গুগল মিট ব্যবহার করে সরাসরি লাইভে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন টাকার বিনিময়।

ড্রপ শিপিংঃ
শুধুমাত্র ১০০০০ টাকায় লাভবান ব্যবসা করতে চান তাহলে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন। এর জন্য শুধুমাত্র আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে যেখানে আপনি ড্রপ শিপিং করতে পারেন। ড্রপ শিপিং ব্যবসা হল আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে যেখানে আপনি অন্যের পণ্য কমিশনের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে প্রচার করবেন করবেন। এখানে শুধু আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার খরচ বহন করতে হবে।

ভিডিও এডিটিংঃ আপনি যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে সামান্য ধারনা থেকে থাকে তাহলে উক্ত বিষয়টি ভালো করে শিখে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে এই ব্যবসায়ী প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কোন মানুষ যখন ফেসবুক ইউটিউব বা অন্যান্য যে কোন অনলাইন প্লাটফর্মে ভিডিও পোস্ট করে তখন সে পোস্টটি সরাসরি পোস্ট করে না এডিটিং করার পর পোস্ট করে।

আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ভিডিওটা হতে পারেন তাহলে আপনার কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং এই অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ প্রথম অবস্থায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বড় পরিসরে করার কোন প্রয়োজন নেই এজন্য ছোট পরিসরে একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি করে সেখানে খাবার গুণগত মান সুস্বাদু ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে খাবার তৈরি করলে আপনার ব্যবসা বেশ ভালো চলবে। কারণ মানুষ বড় বা ছোট রেস্টুরেন্ট দেখে না দেখে খাবারের স্বাদ, খাবারের স্বাদ ভালো হলে মানুষ দূর থেকেও আপনার রেস্টুরেন্টে এসে খাবার খাবে।

অনলাইনে বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রিঃ
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসায়িক আইডিয়ার মধ্যে এটি একটি অল্প পুজিতে বেশ লাভবান ব্যবসা। এজন্য আপনাকে শুধুমাত্র অল্প পরিসরে বিউটি প্রোডাক্ট কিনে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রয় করতে পারবেন। কসমেটিক ব্যবসায় দ্বিগুণ লাভ রয়েছে। অনলাইনে এমন ব্যবসা বেশ ভালো চলে ফলে অল্প দিনে আপনি দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।

ওয়েবসাইট বিক্রয়ঃ বর্তমানে সকলের ব্যবসা বা কোন প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে। আপনি যদি একজন ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যবসায়ীর কাছে ওয়েবসাইট বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে।

ফাস্টফুডের ব্যবসাঃ
১০ হাজার টাকায় লাভবান ব্যবসা করতে চাইলে আপনি ফাস্টফুড এর ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে যেখানে সেখানে মানুষ ফাস্টফুড এর ব্যবসা করছে। এজন্য আপনার শুধুমাত্র প্রয়োজনে কিছু মালামাল কিনে, যে সকল স্থানে প্রচুর জনবল রয়েছে সেখানে কাবাব, বার্গার, পিজ্জা ইত্যাদি ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য বিক্রি করতে পারেন।

ফটোগ্রাফিঃ
আপনার কাছে যদি একটি ক্যামেরা থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারবেন। এজন্য আপনি আপনার এলাকায় বাজে সকল স্থানে বেশি জনবল রয়েছে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সকল স্থানে একটি ছোটখাট দোকান নিতে পারেন এবং টাকার বিনিময়ে ফটো তুলে দিতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে পেজ তৈরি করে সেখানে ফটোগ্রাফি সার্ভিস দিতে পারেন বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে ফটোগ্রাফি করতে পারেন।

বুটিক শিল্পঃ
বর্তমানে অনলাইনে বুটিক শিল্প বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এজন্য শুধুমাত্র আপনাকে বুটিক বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে এবং অনলাইনে এর বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনার গুটিক শিল্প প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়াও বেশি ভালো ফলাফল পেতে হলে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আপনার শিল্প প্রদর্শন করতে পারেন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ভক্তের সংখ্যা বাড়বে এবং ইনকামও বাড়বে।

কোচিং সেন্টারঃ আপনি যদি কোন অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন যেমন রূপচর্চা বা শরীর চর্চা, বুটিক শিল্প, শিক্ষা বিষয়ক কোচিং ইত্যাদি আরবি বিভিন্ন বিষয়ে আপনি কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন। এর জন্য আপনাকে প্রথম অবস্থায় বড় আকারের কোচিং খোলার কোন প্রয়োজন নেই। প্রথমে আপনি নিজের বাড়িতে বা রুমে কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন এবং টাকার বিনিময়ে যেকোনো শিক্ষা দিতে পারেন।

সিজনাল ব্যবসাঃ
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম ব্যবসা হচ্ছে সিজনাল ব্যবসা। যে সিজনে যে পণ্যটি বেশি ব্যবহৃত হয় আপনি সে ব্যবসাটি অল্প পরিসরে করতে পারেন। যেমন ধরুন শীতকালের মৌসুমী শাকসবজি আপনি বিক্রি করতে পারেন বা শীতকাল জামাকাপড় অথবা শীতকালীন ফল বিক্রি করতে পারেন।এ সকল ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে কারণ সেই সিজনে সেই জিনিসটি মানুষ অবশ্যই ব্যবহার করবে এবং কিনবে।

চা-সিঙ্গারার ব্যবসাঃ অল্প পুঁজিতে বেশ লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে চা সিঙ্গারার ব্যবসা। এর জন্য আপনাকে বেশি পরিমাণে জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র আপনাকে এমন একটি স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে প্রচুর পরিমাণে লোকবল রয়েছে। সঠিক স্থান নির্বাচন করতে পারলে দেখবেন সহজেই আপনি আপনার ব্যবসায় লাভবান হবেন।

বেকারি ব্যবসাঃ
ঘরে বসে খুব সহজেই অল্প পুজিতে আপনি বেকারের ব্যবসা করতে পারেন। এটি আপনি অনলাইন ও করতে পারেন এজন্য অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনি এ বিষয়টি প্রচার করবেন এবং অর্ডারে হলে টাকার বিনিময়ে বেকারি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবেন।

একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার ১২টি টিপস

একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে অবশ্যই সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও অভিজ্ঞতা জানা দরকার। এজন্যই আজ আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার ১২টি টিপস নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিই সে টিপসগুলো কি-

  • আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে ব্যবসা করবেন তার মার্কেট ভ্যালু কেমন তা অবশ্যই জানতে হবে।
  • সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে প্রতিযোগিতা কেমন
  • নতুন অবস্থায় ব্যবসা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মূলধনের পরিমাণ বিবেচনা করা
  • যে বিষয়ে ব্যবসা করবেন তা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
  • ব্যবসায় বিভিন্ন নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে হবে
  • প্রথম অবস্থায় ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে হবে
  • ব্যবসায় নিয়োজিত কর্মচারী অবশ্যই দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে
  • অবশ্যই ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিক ধৈর্যশীল হতে হবে
  • উৎপাদিত পণ্য বা সার্ভিসটির গুণগত মান অবশ্যই সঠিক রাখতে হবে
  • উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে
  • পণ্যটির প্রচার বা মার্কেটিং ভালোভাবে করতে জানতে হবে
  • অবশ্যই মিতব্যয়ী হতে হবে।

পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা-গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪

আপনি যদি সারা বিশ্ব জুড়ে আপনার ব্যবসার বিস্তার ঘটাতে চান বা গ্রামে থেকে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে হয়তো আপনাদেরমনে এমন প্রশ্ন জাগতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা-গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ গুলো কি। চলুন এ সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নিন।

পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
বিশ্বজুড়ে আপনার ব্যবসার বিস্তার বা ছড়াতে চাইলে আপনি অনলাইন এ ব্যবসা করতে পারেন বা আপনি যদি জানতে চান পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ২০২৪ তাহলে আমি বলব তা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা। কারণ বর্তমান সকল ব্যবসা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে এসেছে।

এটা হয়তো বাংলাদেশে নতুন তবে অন্যান্য দেশে বা বিশ্ব জুড়ে সকল ব্যবসা এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে এসেছে। এজন্য আপনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে উন্নতি ও লাভবান ব্যবসায়িক করতে চাইলে অনলাইনে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করুন।

আরো পড়ুনঃ জীবনের রঙিন স্বপ্ন ও বাস্তবতা স্বপ্ন

আপনার ব্যবসা অনলাইন ভিত্তি করার জন্য অনলাইন বিভিন্ন প্লেস রয়েছে যেমন সিপিএম মার্কেটিং ইউটিউব মার্কেটিং এফিলেট মার্কেটিং ফেসবুক মার্কেটিং ইনস্টাগ্রাম প্রিন্টারেস্ট ইত্যাদি। এর ফলেযেমন আপনার ব্যবসার উন্নতি ও লাভজনক হবে তেমনি বিশ্বজুড়ে আয়রন সৃষ্টি করবে।

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪

আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা অনেকেই মনে করি গ্রামে কোন ব্যবসা করে লাভবান বা প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয় শুধুমাত্র শহরে ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। গ্রামের এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যা করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ গুলো কি।

মোবাইল রিপেয়ারিংঃ
গ্রাম হোক বা শহর মোবাইল রিপেয়ারিং বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। কারণ আমাদের সকলের কাছে এখন একটি হলেও ফোন রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে আমাদের ফোন কোন কোন সময় সমস্যা বা নষ্ট হয় এবং রিপেয়ারিংয়ের প্রয়োজন হয়।

গ্রামে ফোনের কোন প্রকার সমস্যা হলে বেশ বিপদে পড়তে হয় কারণ ফোনের সমস্যা ঠিক করতে শহরে আসতে হয়। তবে আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন এবং গ্রামে একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা করেন তাহলে আপনার সে ব্যবসা বেশ ভালো চলবে। মোবাইল রিপেয়ারিং কাজ যে কেউ মাত্র দুই মাসের প্রশিক্ষণেই শিখতে পারবে।

মুদিখানার দোকানঃ
গ্রামে মুদিখানার দোকান বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি যদি আপনার দোকানে সকল ধরনের উপাদান বা পণ্য অল্প পরিসরে হলেও রাখেন তাহলে গ্রামের মানুষ শহর না গিয়ে আপনার কাছ থেকে নেবে। এতে করে যেমন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি কম হবে তেমনি আপনার ব্যবসাও লাভজনক হয়ে উঠবে।

চায়ের দোকানঃ গ্রামে মানুষ যেখানে সেখানে বসে কিছুক্ষণ গল্প করতে বেশ পছন্দ করে। আপনি যদি গ্রামে ছোট পরিসরে চায়ের সাথে বিস্কুট, পুরি, সিঙ্গারা বিক্রি করেন তাহলে গ্রামের সকল মানুষ আপনার দোকানে বসে কিছু গল্প করবে এবং খাবার খাব। তবে এ ব্যবসা অবশ্যই এমন স্থানে করবেন যেখানে অনেক লোকবল সব সময় থাকে।

ঠিকাদারি ব্যবসাঃ
গ্রামের মানুষ বেশ পরিশ্রমী ও দক্ষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে দিনমজুর কাজগুলোতে। এর জন্য আপনি বেশ কিছু পরিশ্রমীয় ও দক্ষ লোকবল একত্রে করে শহরে তাদের দিয়ে কন্টাকে বিভিন্ন কাজ করাতে পারেন। যার ফলে আপনি অনেক বড় মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

বীজ ও স্যারের ব্যবসাঃ
গ্রাম অঞ্চল মানে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপন্ন হবে। আর এই ফসল উৎপাদনের জন্য যে বীজ ও স্যারের প্রয়োজন হয় তা কৃষকরা শহর থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসে। তবে এই বীজ ও সারের ব্যবসা যদি আপনি গ্রামে করতে পারেন তাহলে আপনি যেমন কৃষকের ভোগান্তি ও কষ্ট নির্মূল করতে পারবেন তার সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে অর্থ প্রদান করতে পারবেন।

ব্যবসায়ের লাভজনকতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়?

কোন ব্যক্তি ব্যবসা করার আগে প্রথমে চিন্তা করেন এ ব্যবসায় কি পরিমান লাভ বা ক্ষতি হবে। এর উপর নির্ভর করে সকল ব্যক্তি ব্যবসা শুরু করেন। এজন্য কোন ব্যবসা শুরু করার আগে তো ব্যবসাটি কি পরিমাণ লাভ বা ক্ষতি হবে তা জেনে ব্যবসা শুরু করা ভালো। তবে ব্যবসায়ের লাভজনকতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? চলুন জেনে নিই।

প্রথমতো আপনাকে ব্যবসায়ী কি পরিমানে টাকা ইনভেস্ট করেছেন তা নির্ণয় করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কি পরিমাণ অর্থে বিক্রি করেছেন তার মোট হিসাব জানা থাকতে হবে। যেমন ধরুন আপনি যেমন ধরুন আপনি একটি বিস্কিট তৈরি করতে দুই টাকা খরচ করেছেন এবং বিক্রি করেছেন পাঁচ টাকায়। এখানে আপনার ইনভেস্ট হল দুই টাকা এবং বিক্রিত মূল্য ৫ টাকা।

এখান থেকে এবার আপনি লাভ নির্ণয় করতে হলে বিক্রয়মূল্য ও ইনভেস্ট মূল্য বিয়োগ করতে হবে। বিয়োগ করার পর যে ফল পাবেন সেটা হল আপনার লাভ। এভাবে আপনি আপনার ব্যবসা লাভ ক্ষতি খুব সহজে নির্ণয় করতে পারবেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা কি কি?

একজন সফল উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হিসেবে কোন ব্যবসা করার আগে সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি জানা দরকার তা হল সেই দেশের জনগণ সেই পন্য বা সার্ভিসটি গ্রহণ করবে কি না বা সে দেশের পরিস্থিতি ও জনগণের পছন্দ কেমন।

আমরা যদি বাংলাদেশে কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে সে দেশের অবস্থা, পরিস্থিতি, জনগণের পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গবেষণা করার পর ব্যবসা শুরু করবেন। এজন্য আজ আমিবাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা কি কি? তা জানাবো আপনাদের চলুন জেনে নেই সেগুলো কি।

  • ফার্মেসী ব্যবসা
  • রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
  • বিভিন্ন খামার (যেমন গরু ছাগল মুরগি হাঁস ইত্যাদি)
  • অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসা
  • মোবাইল সার্ভিসিং বা মোবাইল ফোনের ব্যবসা
  • নার্সারি
  • বিভিন্ন এজেন্সি
  • ঠিকাদারি
  • হস্ত ও কুটির শিল্প
  • চা, সিংগারা ও পুরীর দোকান
  • ফাস্টফুডের দোকান

লেখকের মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এ পোষ্টের মাধ্যমে এমন কিছু ব্যবসার তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে যা আপনার জীবনে কখনো না কখনো অবশ্যই কাজে আসবে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোষ্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে সকল ব্যবসার সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url