গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, শুকনা বরই'র আচার তৈরি রেসিপি ও বরই সংরক্ষণের উপায়? ইত্যাদি আরো বড়ই সম্পর্কে বা বড়ই এর আচার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বড়ইয়ের আচার বা বরই সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে এবং সুস্বাদু ভাবে বরই আচার তৈরি করতে পারবেন।

ভূমিকা

শীত আগমনেরকিছুদিন পর থেকে বাজারজুড়ে টক মিষ্টি ও শুকনো বড়ই এ বাজার ভরে যায়। বড়ই আমাদের দেশীয় ও শীতকালীন মৌসুমীর ফল হওয়া এতে কোন ক্ষতিকর বা বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয় না বিধায় খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। এজন্যই আজ আমি বড়ই বা বড়ই এর আচার সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য দিতে চেষ্টা করেছি।
যেমন গর্ভ অবস্থায় উপকারিতা, অপকারিতা শুকনো বরই এর আচার তৈরির রেসিপি, তেঁতুল ও বরই এর আচার তৈরি রেসিপি, বড়ইয়ের আচার সংরক্ষণের উপায় বড়ই এ কি কি ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে এটাতে আরো বড় সম্পর্কে এমনি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

বরই আচার সংরক্ষণের উপায়?

আমরা সকলে বড়ই আচার খেতে পছন্দ করি কিন্তু বিভিন্ন কারণে কিছু সময়ের ভেতরে বড়ইয়ের আচার নষ্ট হয়ে যায়। বরই আচার সংরক্ষণের উপায়? অনেকের প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সম্পূর্ণ পুষ্টি পড়ুন।

আপনার বরের তৈরি খেতে সুস্বাদু এর আচার অনেকদিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবেন বা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন আপনি যদি হাজারটি ঠান্ডা করে বেশি পরিমাণে সরিষার তেল ও সিরকা ব্যবহার করে রাখতে পারেন। তৈরিকৃত আচারটি প্লাস্টিকের বয়ানে না রেখে কাচের বয়ানে রাখতে পারেন।

এছাড়াও অনেকদিন পর্যন্ত রাখতে চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখলে আপনি আপনার পরিচিত দুই বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখতে পারবেন।

শুকনা বরই'র আচার তৈরি রেসিপি ও বরই সংরক্ষণের উপায়?

বরই আচার পছন্দ নয় এমন ব্যক্তি খোজা মুশকিল। আমরা সকলেই বড়ই আচার খেতে পছন্দ করি। শীতের সাথে সাথে বাজারে টক মিষ্টি বড়ই দেখা যায়। আমাদের দেশে বিভিন্নভাবে বড়ই আচার তৈরি করা হয় তবে সবচেয়ে সুস্বাদু ও সহজ ভাবে আজ আমি আপনাদের জন্য শুকনা বরই'র আচার তৈরি রেসিপি ও বরই সংরক্ষণের উপায়? জানাবো। বড়ই সুস্বাদু আচার সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত ভাবে তৈরি করতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো-

শুকনো বোরো এর আচার তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • শুকনো বরুই-এক কেজি
  • তেজপাতা-দুই থেকে তিনটি
  • জয়ফল দারচিনি এলাচ জয়ত্রী গুড়ো
  • গোটা জিরে-এক চামচ
  • শুকনো মরিচের গুঁড়ো
  • পাঁচফোড়ন- এক টেবিল চামচ গুড়া
  • হলুদ গুঁড়া- আধা চামচ
  • জিরার গুড়া- এক টেবিল চামচ
  • শুকনা মরিচ- ৮ থেকে ১০টি
  • হোয়াইট ভিনেগার- আধা কাপ
  • চিনি- এক কাপ
  • আদা বাটা- এক চামচ
  • সরিষার তেল- এক কাপ
  • রসুন কুচি-২ টেবিল চামচ
শুকনা বরই আচার তৈরি প্রণালীঃ বাজার থেকে বড়ই কেনার পর তা কয়েকদিন ভালো করে রোদে শুকিয়ে নেবেন।বড়ইগুলো শুকিয়ে আসলে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। বরই এ যেন কোন বোটা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। বড়ই যেন কোন প্রকার পানি না থাকে এর জন্য সম্ভব হলে রাতে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখবেন এবং সকালে আচার তৈরি করবেন।

আচার তৈরি করার জন্য শুকনো বরইগুলো একটি কড়াইয়ে নিয়ে হাফ চামচ লবণ ও হাফ চামচ হলুদ সহকারে আসতে জাল দেবেন। বরই সিদ্ধ হয়ে আসলে। আলাদা একটি কড়াইয়ে হাফ কাপ সরিষার তেল, ৪ থেকে ৫টি শুকনা মরিচ, এক চামচ গোটা জিরা ভালো করে ভেজে নেবেন। ভাজা হয়ে আসলে আদা, রসুন পেস্ট দিয়ে দেবেন।

এরপর সিদ্ধ করা বড়ইগুলো ভালো করে মসলার সাথে কষাবেন। বরইগুলো যখন ভালোভাবে কষে আসবে তখন জয়ফল, জয়ত্রী, দারচিনি, এলাচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে দেবেন এবং আস্তে আস্তে কষাবেন। যখন দেখবেন আচার থেকে তেল বেরিয়ে আসে তখন শুকনো মরিচ গুঁড়ো, পাঁচফোড়ন ও গোটা শুকনো মরিচ ভাজা গুঁড়ো দিয়ে দেবেন।

পাঁচ থেকে দশ মিনিট এ অবস্থায় কষাতে থাকবেন। যখন দেখবেন আচার আঠালো হয়ে এসেছে তখন ভিনেগার ও সামান্য পরিমাণে পাঁচফোড়ন গুড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নেবেন। আপনার পছন্দ অনুসারে কয়েকটি রসুনের কোয়াও নিতে পারেন। বরই নামানোর আগে লক্ষ্য রাখবেন যেন বেশি না শুকনো থাকে।

কারণ বেশি শুকনো অবস্থায় বোরই নামালে পরবর্তীতে আরো বেশি শক্ত হয়ে যাবে। ঠান্ডা হয়ে আসলে কাঁচের বয়ম এ আচারটি সংরক্ষণ করুন। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন যে বয়ম এ আচারটি সংরক্ষণ করবেন সেটা যেন অবশ্যই গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে ভালো করে শুকিয়ে নেবেন। ফ্রিজে রাখলে দুই বছর পর্যন্ত এ বড়ই খেতে পারবেন।

বরই ও তেতুলের আচার রেসিপি -কোন জাতের বরই ভালো

বরই ও তেতুলের আচার রেসিপি বাঙালির কাছে বেশ জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি খাবার। খিচুড়ি হোক বা যে কোন খাবারের সাথে তেতুল ও বরই আচার খাওয়ার স্বাদের তুলনা হয় না। চলুন জেনে নিই বরই ও তেতুলের আচার রেসিপি -কোন জাতের বরই ভালো।

আচার তৈরি উপকরণ

  • শুকনা বড়ই- ১কেজি
  • তেঁতুলের পেস্ট- ১ কাপ
  • শুকনা মরিচ- ১৫ থেকে ২০ টি
  • চিনি বা গুড়- ১ কাপ
  • ধনে গুড়া- ২ চামচ
  • জিরা গুঁড়- ২ চামচ
  • ভিনেগার- ২ চামচ
  • আদা বাটা- ১ চামচ
  • রসুন বাটা- ১ চামচ
  • কয়েকটি রসুনের কোয়া
  • হলুদ- ১ চামচ
  • তেজপাতা- ২থেকে ৩টি
  • গোটা জিরা- ১ চামচ
  • লবণ স্বাদ অনুসারে
  • সরিষার তেল- ১ কাপ
  • পাঁচফোড়ন গুড়ো
  • দারচিনি, এলাচ, জয়পুর, জয়ত্রী পরিমান মত
তৈরি প্রণালীঃ বাজার থেকে শুকনো বরই কিনে আনার পর ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন দুই থেকে তিনবার কারণ শুকনো প্রচুর পরিমাণে ভালো বা ধুলা থাকে। ধোয়া হয়ে গেলে বরইগুলো লবণ ও হলুদ সহকারে ভালো করে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধ হয়ে আসলে পানি ভালো করে ছেঁকে নেবেন বা সম্পূর্ণ পানি জাল দিয়ে শুকিয়ে নেবেন।

অন্য একটি প্যানে এক কাপ পরিমাণ সরিষার সরিষার তেল তেজপাতা ও গোটা জিরা দিয়ে ভালো করে ভেজে নেবেন। ভাজা হয়ে আসলে এক চামচ আদা ও এক চামচ রসুন দিয়ে ভালো করে কষাবেন। কষানো হয়ে আসলে সেদ্ধ করা বড়ই ও পেস্ট করা তেতুল ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।

পাঁচ থেকে ছয় মিনিট কষানোর পর দারচিনি এলাচ জয়ফলজয়ত্রী এবং শুকনা মরিচ গুলো ভেজে ভালো করে গুঁড়ো তৈরি করে নেবেন সামান্য গুড়ো রেখে সম্পন্ন দিয়ে দেবেন। এরপর ধনে গুঁড়ো জিরে গুঁড়ো পাঁচফোড়ন গুলো চিনি বা গুড় ভালো করে মিশিয়ে নেবেন আপনার পছন্দ অনুসারে সামান্য কয়েকটি রসুনের আস্তো কোয়া দিতে পারেন স্বাদ অনুসারে লবণ ও ঝাল অনুসারে গুড়া মরিচ দিতে পারেন।
সকল উপকরণ দেয়া হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ভালো করে জাল দিতে হবে এবং ডাল ঘুটনি দিয়ে ভালো করে বোরগুলো ম্যাশ করে নিতে হবে। বড়গুলো যখন আঠালো অবস্থায় হয়ে আসবে তখন সিরকা এবং আচারের সামান্য রাখা মসলা টুকু দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নেবেন।

ঠান্ডা হয়ে আসলে একটি শুকনো কাজের বই মেয়ে লিখে দেবেন। ফ্রিজে না রেখে তিন থেকে চার মাস ব্যবহার করতে পারবেন এবং ফ্রিজে রাখলে ২ বছর পর্যন্ত খেতে পারবেন সুস্বাদু তেঁতুল ও বরই এর আচার।

গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় খাদ্য খেতে ইচ্ছা হয়। যার ভেতর অন্যতম হচ্ছে বরই এর আচার বা কাঁচা টক মিষ্টিবড়ই। গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন-

  • বরই এ হয়ে থাকা পলিস্যাকারাইডট গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের কারণে পেটে ব্যথা হয় এ পেটে ব্যথা দূর করতে বা কমাতে পারে বরই।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের বুকের দুধে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হতে পারে এই ক্ষত দূর করতে বড় খেতে পারেন।
  • বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে টক জাতীয় খাদ্য খেলে গর্ভবতী মায়েদের বমি ভাব দূর হয় এর জন্য বমি ভাব দূর করতে বরই খেতে পারেন।
  • গর্ভবতী মায়েরা বমি করার পর অস্বস্তি ভাব বা অতিরিক্ত পরিমান দূর করতে পারেন।
  • বড়ই এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়েদের শরীরকে অ্যান্টিবডি করে তুলে।
  • গর্ভঅবস্থায় মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দেয় রোগ থেকে মুক্তি পেতে করে খেতে পারেন।
  • পেট ফাঁপা, বমি ভাব, বদহজম এ সকল সমস্যার গর্ভাবস্থার জন্য বেশ বিপদজনক হতে পারে এজন্য এর থেকে নিস্তার পেতে বরই খেতে পারেন।
  • রক্ত সঞ্চালন ও রক্ত সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে বড় বেশি সাহায্য করে এর জন্য খেতে পারেন।
  • হার্ট সুস্থ ও আর বিরক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে

গর্ভবস্থায় বড়ই খাওয়ার অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণ বরই খেলে বেশ উপকারিতা হয়েছে যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জানো অত্যন্ত জরুরী। চলুন জেনে গর্ভবস্থায় বড়ই খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি -

  • বড়ই যেহেতু সামান্য পরিমাণে চিনি রয়েছে এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • বরই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গর্ভবতী মায়েদের ও গর্ভে থাকা বাচ্চার ঠান্ডা জনিতবিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গর্ভবতী মায়ের কাশি হতে পারে।
  • টক জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অনেক সময় ঔষধের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
  • গর্ভবতী মেয়েদের যদি কোন খাবারে এলার্জি থাকে তাহলে ডক্টর পরামর্শ অনুসারে বরই খাবেন।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া বা বদহজম হতে পারে যা গর্ভবস্থায় বেশ বিপজ্জনক

কুলে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়?

শীতের মাঝামাঝি অবস্থায় বাজারে অনেক রকমের কুল বা বরই পাওয়া যায় যার স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর অনেক উপাদান রয়েছে। তবে হয়তো আমরা অনেকেই খুলে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়? তা জানি না। চলুন জেনে নি ইকুলে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়?

বিভিন্ন ডক্টরের মতে ৫০গ্রাম কূলে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা নিম্ন দেয়া হলো

  • খাদ্যশস্য- ৩৯.৫ কিলো ক্যালরি
  • জলীয় অংশ- ৩৮.৯৩ গ্রাম
  • শর্করা-১০.১১ গ্রাম
  • ভিটামিন এ- ২০ আইএসএ
  • আমিষ- ০.৬ গ্রাম
  • রিবোফ্লোবিন- 0.0২ গ্রাম
  • জিংক- ০.০২৫ মিলিগ্রাম
  • থায়ামিন- ০.০১ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম- ১.৫ মিলিগ্রাম
  • নিয়াসিন- .০.০৪৫ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম- ১২৫ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি- ৩০.৪০৫ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস- ১১.৫ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি- ৩৪.৫ মিলিগ্রাম
  • ম্যাঙ্গানিজ- ০.০৮৪ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ১০.৫ মিলিগ্রাম
  • লৌহ- ০.২৪ মিলিগ্রাম

বরই বেশি খেলে কি হয়? বরই ইংরেজি নাম কি

বরই বেশ সুস্বাদু ও দেশীয় একটি ফল। শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে হওয়া কোন প্রকার কেমিক্যাল বা ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হয় না। তবে কোন কিছুই অতিরিক্ত যেমন আমাদের শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তেমনি বড়েও যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেশ ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেই বরই বেশি খেলে কি হয়? বরই ইংরেজি নাম কি

  • মিষ্টি বরই এ সামান্য পরিমাণে চিনি থাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • কিছু মানুষের এলার্জি রয়েছে এজন্য বরই খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সামান্য টেস্ট করে দেখবেন বড়ই আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে বড়ই খেলে ডায়রিয়া বা বদ হজম জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে বড়ই খেলে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ হতে পারে যেমন সর্দি কাশি ইত্যাদি
  • আপনি যদি বলে অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে আপনার পেটে ব্যথা বা বুকে ব্যথা হতে পারে।

বরই ইংরেজি নাম কি

বরই বা কুল বিভিন্ন নামে আমরা দেখে থাকি। তবে আমরা অনেকেই ইংরেজি নাম বা বৈজ্ঞানিক নাম জানিনা। কুল এর ইংরেজি বা বৈজ্ঞানিক নাম হল জিজিপুশ জিজিইপুস(Zizipus zizyphus)। ইংরেজিতে বড়ই কে চাইনিজ ডেট(Chinese date) বলা হয়।

বরই আচারের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

বরই আচারের যেমন স্বাদ ও গন্ধে ভরপুর তেমনি এর পুষ্টি গুনাগুন ও অনেক বেশি। এছাড়া ও যে কোনো খাবারের সাথে খেলে খাবারের স্বাদও বাড়িয়ে দেয।বরই আচারের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন-

  • বরই আচারে খাদ্য হজম শক্তির উপাদান রয়েছে যা আপনার পাকস্থলীর হজম ক্রিয়া সচল রাখতে সহায়তা করে।
  • আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • পেট পরিষ্কার করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রং দূর করে
  • বরই এ রয়েছে ইন্সিমোনিয়া উপাদান যা অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্ত করে
  • বড়ই থাকা শক্তিশালী ক্যালসিয়াম আমাদের ব্রেনকে সতেজ রাখে
  • বড়ই থাকা ক্যালসিয়াম সুদের হার ক্ষয় ও হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে
  • বরই এর আচার বা চাটনি অনেক সুস্বাদু তাই যেকোনো খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়
  • বড়ই থাকা পলিফেনল উপাদান যা আমাদের ব্রেনের বিকাশ ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • থাকা উপাদান আমাদের শরীরের কগনেটিভ ফাংশনের উন্নয়ন ঘটায়
  • আপনার মনকে তাৎক্ষণিক সতেজ ও রিফ্রেস করতে চাইলে বরের আচার খেতে পারেন
  • মানসিক চিন্তা ও ক্লান্তি দূর করতে চাইলে খেতে পারেন
  • যকৃতের বিভিন্ন সমস্যা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • বরোই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে
  • রক্ত বিশুদ্ধ করে
  • রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে
  • রক্ত থেকে ক্ষতিকর অভিশপ্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে
  • বরই এ থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে অ্যান্টিবডি করে
  • বড়ই থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ যেমন ক্যান্সার টিউমার ইতাদের কোষকে বৃদ্ধি হতে বোধ করে
  • বড়ই থাকা ফাইটো কেমিক্যাল দেহের বিভিন্ন জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ রোধ করে
  • হার্টের বিভিন্ন সমস্যা এবং আটকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
  • বরই হয়ে থাকা ক্লোরোজেনিক এসিড আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • বড়ই থাকা ফাইবার আমাদের অতিরিক্ত ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে আনে
  • বড় হয়ে থাকা পলিফেন ও লস আমাদের শরীরের রক্তচাপ আলোচনা স্বাভাবিক রেখে হাট সচল ও সুস্থ রাখে এবং কার্ডিও ভাস্কুলার এর ঝুঁকি কমায়।
  • বড়ই থাকা আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে বিধায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে বা ক্ষতিকর দেহ কোষ তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে।
  • আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা সহজে মেটায়।
  • সহজলভ্য ও শীতকালীন মৌসুমী ফল হওয়া এতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে এটি একটি ন্যাচারাল ও দেশীয় ফল যা আমাদের সকলের খাওয়া উচিত।

লেখক এর মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে গর্ব অবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও বড়ুয়ের আচার তৈরির রেসিপি সম্পর্কে চতুর্থ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।। আশা করি অপরুপ্ত আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে বড় এর আচার এবং গর্ভাবস্থায় বড় এর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url