ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানতে চান। খাবার খাওয়ার পরে শুরু হয় বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা। এ সমস্যা গুলো থেকে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে দশটি ঘরোয়া উপায় জেনে নিস্তার পেতে চান। তাহলে আজকে এ পোস্টটি আপনার জন্য, সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি আপনার মন মত খাবার চিন্তামুক্ত ও তৃপ্তি সহকারে খেতে পারবেন কারণ খাবার খাওয়ার পরে যে গ্যাস নামক সমস্যা সৃষ্টি হয় তা আপনার চিরতরে দূর হয়ে যাবে তাও ঔষধ ছাড়া শুধুমাত্র ঘরোয়া কিছু সামান্য উপকরণ দিয়ে।

ভূমিকা

বর্তমান যুগে ছোট বড় ও শিশু সকলের এই গ্যাস নামক রোগ রয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের খাবারে অতিরিক্ত ভেজাল ও খাদ্যভাস সঠিক নয়।এ ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা সকলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি।কিন্তু এতে গ্যাস কমাতো দূরের কথা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য সহজ কিছু ব্যায়াম, গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে দশটি ঘরোয়া উপায় গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না, কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না, গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায় কি এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ইত্যাদি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করেছি।

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আপনি আপনার গ্যাস স্থায়ীভাবে দূর করতে পারবেন এবং সুস্থ,সবল ও প্রানোবন্ধক জীবন উপভোগ করবেন।

গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে দশটি ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে গ্যাস এমন একটি রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সকলের ঘরে ঘরে রয়েছে এর হাত থেকে বাঁচতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কখনো এ ডাক্তার কখনো ওই ডাক্তার কখনো এই ওষুধ কখনো ওই ওষুধ। কিন্তু কোন ঔষধ ও গ্যাস ভালো করতে পারে না। ওষুধ খেলে সামান্য কমে না খেলে বেড়ে যায় এই সমস্যা সকলের ঘরে ঘরে। চিরতরে খুব সহজে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে দশটি ঘরোয়া উপায় ও পদ্ধতি নিম্নে আলোচনা করা হলো-
  • ডাবের পানি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো এসিড যা খুব সহজে খাবার কে হজম করতে ও হজম ক্ষমতা বেড়াতে সাহায্য করে। ফলে খুব দ্রুত আমাদের গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারিনি আমি তো ডাবের পানি খেয়ে। অবশ্যই আমরা নিয়মিত একটি করে ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো।
  • পুদিনা পাতার পানি গ্যাসের সমস্যায় আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের অস্বস্তি সৃষ্টি করে যেমন পেট ফাঁপা বমি ভাব পেটের ব্যথা ইত্যাদি আরো কত সমস্যা। এ সমস্যাগুলো খুব সহজে দূর করতে পারে পুদিনা পাতা এক কাপ পানিতে ৭ থেকে ৮ টি পুদিনা পাতা ভালো করে ফুটিয়ে নিন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন খেলে খুব সহজে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
  • রসুন যার গুনের কোন শেষ নেই কখনো এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এখনো ঠান্ডা জনিত রোগের সমস্যা দূর করতে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু কিন্তু আমরা কি জানি রসুনের গ্যাস এর সমস্যার সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেটে এসিড ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক করার ক্ষমতা। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন আপনার পেটকে সকল প্রকার গ্যাস জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
  • লবঙ্গ ডক্টরদের মতে লবঙ্গ খাওয়ার সাথে সাথে তা পেটের বিভিন্ন গ্যাস জনিত সমস্যা সমাধান করতে শুরু করে। লবঙ্গ তে বিভিন্ন প্রকার গ্যাস জনিত সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্রবেশের সাথে সাথে গ্যাসের মাত্রা কমে বমি ভাব বুকে জালা অস্বস্তিকর ঢেকুর দ্রুত নির্মূল করে।
  • এলোভেরা মূলত আমরা রূপচর্চার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি এটা খেলে আমাদের ভেতর থেকে রূপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানে যাদুর মত কাজ করে। এলোভেরা পেটের সকল এসিডিট উপাদানকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা সমাধান হয়।
  • আদা দ্রুততম সময়ে গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে আদার বিকল্পে আর কোন কিছু নয়। আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা দ্রুত পেটের ফাঁপা খিচুনি বমি ভাব দূর করতে পারে। এজন্য হঠাৎ বেশি গ্যাসের সমস্যা হলে আদা কুচি কুচি করে খেয়ে ফেলুন।
  • পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার প্রোটিন যা পেটের হজম শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। নিয়মিত পেঁপে খেলে খুব দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনার সকল গ্যাসের সমস্যা সমাধান করবে।
  • কলা গ্যাসের সমস্যা আমাদের সকলের কমবেশি রয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে তখন হয় যখন পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ।কলা পেটের অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করে প্রতিদিন অন্তত দুইটি করে কলা আপনার সুস্থ ও প্রাণবন্ধক রাগবে।
  • কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেটের বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা সমাধান করে। নিয়মিত একটি করে কমলা খেলে খুব সহজেই পেটের বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা সমাধান হবে।
  • টক দই মূলত খাবার হজম করতে না পারার জন্য গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় আর এই সমস্যায় খুব দ্রুত সমাধান করতে পারে টক দই টক দই খুব সহজে খাবার হজম করতে সহায়তা করে ও হজম খুব পাকস্থলীর হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না

গ্যাসের সমস্যা মূলত অস্বাস্থ্যকর ও বাইরের খাবারের ফলে হয়ে থাকে। বাইরেরও অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেতে যতটাই সুস্বাদু হোক না কেন তার পরিণত তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর। যাদের গ্যাস জনিত সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ভালো করে এটা বুঝি। এর জন্য গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না বা কি কি খাওয়া যাবে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবারঃ গ্যাস জনিত ভয়াবহ রোগ হওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সহজেই অসুস্থ করে ফেলে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে তার মধ্যে অন্যতম হল গ্যাস জনিত রোগ।
গ্যাস জনিত রোগ হলে আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এই গ্যাস থেকে আলসার এবং আলসার থেকে প্রাণঘাতির রোগ ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হব এবং গ্যাস জনিত রোগ হলে অবশ্যই তেল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করব।

বাইরের ভাজাপোড়া খাবারঃ বাইরের খাবার কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মুখরোচক হওয়ায় এবং আমাদের চোখ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাসের জন্য আমরা অনেকেই বাইরের ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারি না। যার ফল হিসেবে আমরা পায় গ্যাস জনিত রোগ ও অস্বাস্থ্যকর শরীর।

মানুষের মেইন সম্পদ হলো তার সুস্থ শরীর। এজন্য আমাদের অবশ্যই সুস্থ শরীর রাখতে বাইরের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

অতিরিক্ত প্রাণীর প্রোটিন জাতীয় খাবারঃ গ্যাসের জনিত রোগ হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া। প্রাণী প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের পাকস্থলী হজম করতে একটু বেশি সময় নেই। আর এই প্রাণীর প্রোটিন জাতীয় খাবার যদি সব সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে আমাদের পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং অতিরিক্ত গ্যাসের সৃষ্টি ক করে।

এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি ওজন বেড়ে যাওয়া অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে চর্বি জমে যাওয়া ইত্যাদি জনিত জনিত রোগের সৃষ্টি করে। আমরা অনেকেই জানি এ সমস্যাগুলো কতটা ভয়াবহ। এজন্য আমাদের অবশ্যই এ ভয়াবহ রোগ গুলো থেকে বাঁচার জন্য অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

কাঁচা ছোলাঃ আমরা সকলেই জানি কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস রয়েছে তাদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ কাঁচা ছোলা হজম হতে একটু সময় নেয়। এতে যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তাদের গ্যাসের সমস্যা আরও বেশি বাড়তে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত রোগের সৃষ্টি করে।

এজন্য যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারা সকালে খালি পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে খাঁচা ছোলা খাওয়া বন্ধ করুন।

বিভিন্ন প্রকার কচুর তরকারিঃ কচু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। কচুর তরকারি অনেকে অনেক বেশি পছন্দ করে।কিন্তু যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তাদের শরীরের জন্য এটা মোটেও ভালো নয়। খুঁজে জড়িত সকল তরকারি গ্যাস জড়িত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ রয়েছে তারা এ খাবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।

দুগ্ধ জাত খাবারঃ দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সহায়তা করে।প্রতিটি ডক্টরের মতে প্রতিদিন অবশ্যই সকল বয়সের সকলকে এক গ্লাস পরিমাণে দুধ খাওয়া উচিত।কিন্তু যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস জনিত রোগ রয়েছে তারা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

দুধ অনেক সময় পেট ফাঁপা পেট ভারি হয়ে যাওয়া বমি বমি ভাব ইত্যাদির সৃষ্টি করে। এজন্য যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারা দুধ দুগ্ধ জাত খাবার থেকে বিরত থাকবেন।

অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবারঃ চর্বি জাতীয় খাবার হজম হতে অনেক বেশি সময় নাই অনেক সময় তা হজম হয় না। ফলে আমাদের পাকস্থলীতে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন ডায়রিয়া।চর্বি জাতীয় খাবার যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর তেমনি আমাদের পেটের জন্যও বেশ ক্ষতি করা।আর যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তাদের জন্য তো এটি অনেক বেশি ক্ষতিকর।

খাবার পর কোমল পানীয় খাওয়াঃ আমরা অনেকেই ভারী খাবার খাওয়ার পর কোমর পানিও খেয়ে থাকে। আমাদের ভেতরে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কোমল পানিও খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। কিন্তু এর উল্টোটা ঘটে আমাদের শরীরের সাথে। কোমর পানিতে রয়েছে শুধু প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড।যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আমরা অবশ্যই কখনোই খাবার খাওয়ার পর বা যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারা কখনোই এ কোমর পানিও পান করবো না।

বিভিন্ন প্রকার বাদামঃ বাদাম আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য সুস্থ ও সরল রাখতে সহায়তা করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন চর্বি ও ফাইবার। যা আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো এবং দ্রুত গ্যাসের সৃষ্টি করে। কারণ বাদাম জাতীয় খাবার হজম হতে একটু বেশি সময় নেই ফলে গেছে সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে কাজুবাদামে বেশি পাকস্থলীতে গ্যাসের সৃষ্টি করে।

দানাদার বা বিচি জাতীয় খাবারঃ দানাদার বা বিজাতীয় খাবার হজম হতে বেশ সময় নেয় বিশেষ করে ভুট্টা ও মটরশুঁটি। ভুট্টা ও মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের পাকস্থলী হজম করতে বেশ সময় নেই ফলশ্রুতি হিসেবে আমরা আমাদের পাকস্থলীতে সৃষ্টি হয় গ্যাসের। এজন্য যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারা দানাদার বা বিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবো।

কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না

আমাদের দেশে অনেক ধরনের ফল রয়েছে যা খেয়ে খুব সহজেই আমাদের গ্যাসের সমস্যার সমাধান করতে পারি। ফল যেমন আমাদের শরীরকে তরতাজা সুস্থ সবল প্রাণবন্তক রাখে তেমনি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত বিভিন্ন রোগ সংক্রমিত হওয়া থেকে খুব সহজেই রক্ষা করে।

নিম্নে কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না এবং আপনি খুব সহজে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারবেন-
  • তরমুজে ৯০% রয়েছে পানি। আমরা সকলেই জানি অতিরিক্ত পানি খাওয়ার ফলে খুব সহজে গ্যাস দূর হয়। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে পারি না। এজন্য খুব সহজে ও সহজলভ্য ফল হিসেবে আমরা তরমুজ খেতে পারি। এটি খুব সহজে আপনার গ্যাস জনিত সকল সমস্যা সমাধান করবে এবং আপনার পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখবে।
  • কলা পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম জমে গেলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। কলা খুব সহজে এ সোডিয়াম দূর করতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুইটি করে কলা খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে এবং এটি খেতে সুস্বাদু ও সহজলভ্য একটি ফল।
  • নারিকেল অনেকেই মনে করেন নারকেলে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। নারকেলে থাকা উপাদান আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পাকস্থলীতে সকল রকমের প্রদাহকে কমাতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিদিন নারকেল খেয়ে আমরা খুব সহজে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারি।
  • পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে ফাইবার আমাদের পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দেশের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • লেবু অনেকেই মনে করেন লেবু খেলে গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল। ডক্টরের মতে প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে একটি লেবুর রস চিপে প্রতিদিন খেলে পেটে গ্যাস জনিত সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়।
  • পেঁপেতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীর সুস্থ সবল ত্বকে উজ্জ্বল প্রাণবন্ত হোক চুল মসৃণ রাখতে যেমন বেশ কার্যকারী তেমনি আমাদের পেটকে ঠান্ডা ও বিভিন্ন প্রকার প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। পেঁপে খুব সহজেই গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
  • আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার যা আমাদের ত্বক চুল ও পেটের জন্য বেশ কার্যকারী। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বিশেষ করে আপনার পেটের সমস্যা।
  • আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বমি লাইন নামক উপাদান। যা আমাদের পাচন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।বিশেষজ্ঞদের মতে আনারসে রয়েছে ৮৫% শুধু পানি। যা আমাদের শরীরের পাকস্থলীকে পরিষ্কার করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এজন্য আমাদের আনারস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়

গ্যাস এমন একটি রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে যা সকলেরই রয়েছে। এটা যে কতটা কষ্টদায়ক ও অস্বস্তিকর তা একমাত্র যে ব্যক্তির আছে সে জানে। এ অস্বস্তিকর কষ্টদায়ক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সকলেই বাজারে বিভিন্ন প্রকার ওষুধের দিকে ধাবিত হচ্ছি। কিন্তু আপনার এ সমস্যা মোটেও সমাধান দিতে পারে না এ ঔষধ গুলো।

এজন্য আমি আজকে আপনাদের জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় নিয়ে এসেছি। এবার আপনি বলবেন যে ওষুধ ছাড়া শুধুমাত্র ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার গ্যাস দূর হচ্ছে কিনা।
  • মৌরি থাকা উপাদান আমাদের পাচনতন্ত্রকে প্রদাহ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যাদের অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারা নিয়মিত মৌরি ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে পারি। এতে খুব সহজে আপনি গ্যাস জনিত সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • এলাচ দ্রুত সময়ের ভিতরে গ্যাস দূর করতে চাইলে আপনি এলাচ খেতে পারেন। এলাচ দ্রুত সময়ের বমি ভাব বুক জ্বালাপোড়া অস্বস্তি ভাব দূর করতে পারি।
  • লবঙ্গ একটি মসলা। কিন্তু এটি আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে যেমন অতিরিক্ত গ্যাস হলে অসস্তিভাব বুক জ্বালা পোড়া করা বমি বমি ভাব ও মুখের দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর করতে পারে। হঠাৎ গ্যাসের সমস্যা সমাধানে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ মুখে রেখে দিলে খুব সহজে গ্যাসের সমস্যা সমাধান হয়।
  • জিরা হঠাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে আপনি জিরা খেতে পারেন। জিরা আমাদের পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখতে ও পাচন প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে।
  • দারুচিনি হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো ও এক গ্লাস পানি ভালো করে গরম করে খেলে দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনার গ্যাস জড়িত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হবে।
  • কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ বলতে আমরা কালোজিরা কে বুঝি। এমন কোন রোগ নেই মৃত্যু ব্যতীত যে কালোজিরা সমাধান করতে পারে না। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে গ্যাস জড়িত সকল সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যাবে।
  • ইসবগুল আমাদের পাকস্থলীর পাচক ক্রীড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকারী এই ইসবগুল। রাত্রে ২ চা চামচ ইসবগুল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সকালে উঠে খেয়ে নিন এতে আপনার গ্যাস জনিত যত রকমের সমস্যা রয়েছে তা খুব সহজে সমাধান করে দেবে।
  • ঠান্ডা দুধ বিভিন্ন প্রকার তেলাক্ত ও ভাজাপোড়া যুক্ত খাবারের ফলে পাকস্থলীতে সৃষ্টি এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে এসিড ডিটি মুক্ত পাকস্থলী তৈরি করতে ঠান্ডা দুধ বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুতরাং গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে এক গ্লাস পরিমাণে ঠান্ডা দুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • পান আমরা অনেকে মনে করি পান খাওয়া খারাপ অভ্যাস কিন্তু এটা মোটেও খারাপ অভ্যাস নয়। কারণ পান যদি আমরা চুন খড় ইত্যাদি সাধারণ মানুষ যেভাবে পান খায় সেগুলো বাদ দিয়ে যদি স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে পান খায় যেমন কালোজিরা জিরা মৌরি মধু দারুচিনি এলাচ নং ইত্যাদি দিয়ে পান খায় তাহলে এটা খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভিতর গ্যাস দূর করবে।
  • আলুর রস গ্যাসের সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করতে পারে আলোর রস। আলু থেকে খুব ভালো করে রস বের করে নিতে হবে। এক গ্লাস গরম পানিতে তিন থেকে চার চামচ আলুর রস দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন এতে খুব সহজে আপনার অতিরিক্ত গ্যাস দূর হয়ে যাবে।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায় কি

আমরা অনেকে আছি যারা গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য ওষুধ খেতে চায়না এজন্য আমরা খুঁজি ভেষজ উপায়। এটা ন্যাচারাল ও প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় বিধায় কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি সৃষ্টি হয় না। বাজারে যেসব গ্যাসের ঔষধ পাওয়া যায় তা দেখার সমাধান তো করতে পারেনা অথচ শরীরের নানকের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।

নিম্নে কিছু গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায় কি ও এর সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত আলোচনা চেষ্টা করলাম-
  • সরষে খুব সহজেই গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারে সরিষা। আমরা রান্না করার সময় পূরণ হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাবারের সরিষা ব্যবহার করতে পারি যেন উক্ত খাবার আমাদের গ্যাসের সৃষ্টি করতে না পারে। এজন্য আমরা নির্মিত বিভিন্ন খাবারের পূরণের মাধ্যমে সরিষা ব্যবহার করব।
  • তুলসী পাতা আমরা সাধারণত তুলসীর পাতা ঠান্ডা জনিত সমস্যার সমাধানে খেয়ে থাকি। কিন্তু তুলসী পাতার রস পেটের বিভিন্ন রকমের প্রদাহ জনিত সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও চার থেকে পাঁচটি পাতা ধুয়ে এমনি খেয়ে নিলেও খুব সহজেই পেটের বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা সমাধান করে।
  • ছেয়া সিড বর্তমানে আমরা সকলেইছেয়া সিড চিনি। যা আমরা ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খেয়ে থাকি। আমাদের ওজন কমে কখন যখন পেটে বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এজন্য আমরা বিভিন্নভাবে ছেয়া সিড খেতে পারি এক ঘন্টা ভিজে তার ভেতরে দুই থেকে তিন চা চামচ লেবু দিয়েও খেতে পারে এতে খুব তাড়াতাড়ি গ্যাসের সমস্যার সমাধান হয়।
  • হলুদ গ্যাসের সমস্যার সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এন্টিবায়োটিক জাতীয় উপাদান। যা হলুদে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। অতিরিক্ত গ্যাসে আমরা দুই থেকে তিন চাচা চামচ হলুদে রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত সময়ের ভেতরে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হয়।
  • পেয়ারা পাতা পেটের ব্যাথা পেটের খিচুনি হজমে সমস্যা প্রতিনিয়ত পেটে ভূট ভূট শব্দ ইত্যাদি সকল সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে পেয়ারের পাতা। নিয়মিত হাতকা পেয়ারার পাতা সমাধান হয়ে যাবে।
  • আদার রস পেটের বিভিন্ন রকম গোলযুগের সমস্যা সমাধানে এর ছুটি মেলা ভার। আদারস কচি কচি করে লবণ দিয়ে খেতে পারে এছাড়া চা হিসেবে উপকারিতা পাবেন।
  • বেকিং পাউডার আমরা বিভিন্ন রকম খাবার তৈরিতে যেমন কেক বিস্কুট পাউরুটি ইত্যাদি আরো অনেক মজাদার খাবার তৈরিতে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বেকিং পাউডার পেটের সকল সমস্যার সমাধানে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমাণে বেকিং পাউডার মিশে খেলে খুব সমস্যা দূর হয়।
  • অ্যাপেল সিডার ভিনেগার প্রাচীনকালের মানুষের খাবার খাওয়ার আগে বা পরে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার প্রথা ছিল। তারা এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ এপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতো। এতে ভারী খাবার খাওয়ার পরে যে বদহজম সৃষ্টি হয় তা হওয়া থেকে বাধা সৃষ্টি করে এবং সকল পেটের সমস্যা দূরে রাগ রাখতো।
  • অলিভ অয়েল স্বাস্থ্য ও পেটের জন্য বেশ উপকারী। মূলত অলিভ অয়েল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভাজাপোড়া তৈরি করলেও গ্যাস জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এজন্য যারা ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রতি একটু বেশি পাগল তারা অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। এটা আপনার গ্যাস জনিত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
  • জলপাই তেল যাদের গ্যাসের অতিরিক্ত সমস্যা রয়েছে তারা অন্যান্য কোন তেল ব্যবহার না করে জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার স্বাস্থ্য ও হজম জনিত বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যাবে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
  • ঘোল গ্যাসের সমস্যা দূর করতে আমাদের প্রয়োজন প্রোবায়োটিক নামক উপাদান। এই উপাদান ঘোল বা দই জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এজন্য আমাদেরকে হঠাৎ গ্যাস জনিত সমস্যা দেখা দিলে দই বা ঘোল খেতে পারি এতে সহজে আমরা গ্যাস নামক ব্যাধি থেকে মুক্ত পাব।
গ্যাসের সমস্যা দূর করতে আমরা কত রকমের কতই না ওষুধ খেয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অন্যান্য ওষুধের চেয়ে গ্যাসের ওষুধ সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হয়ে থাকে এ থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের দেশে কত পরিমাণ গ্যাসের রোগী রয়েছে।

আমরা খুব সহজ কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে গ্যাস জনিত ব্যাধি থেকে আরাম ও স্বস্তি পেতে পারি। আজ আমি কয়েকটি খুব সহজ ও দ্রুত গ্যাস দূর করার কার্যকারী ব্যায়াম সম্পর্কে বলবো।

চাইল্ডস পোচঃ এমন একটি ব্যায়াম যা খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারবেন। প্রথমে বাচ্চারা যেভাবে বসে থাকে সেভাবে বসবেন এবার নামাজের সিজদার ভঙ্গিতে মাঠের সাথে লাগিয়ে যাবেন। হাঁটু যেন মাটির সাথে মিশে থাকে এবং হাত দুটি সাট করে মাটির সাথে রাখতে হবে। মাথার থুতনি হাঁটুর সাথে ঠেকিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট রাখবেন। এটা দুই তিন বার একই নিয়মে করতে হবে। এভাবে খুব সহজ উপায়ে আপনি আপনার গ্যাস দূর করতে পারবেন।

সিটেড টুইস্টঃ এটা খুবই একটি সহজ ব্যায়াম এবং খুব সমস্যার সমাধানে কাজ করে। প্রথমে সাধারণভাবে বসুন। পা দুটো সামনে সামান্য বাড়িয়ে দিন। হাত দুটো নামাজে হাত বাধার মত করে বাঁধন। এবার হাত দুটিকে এবং মাথা একবার ডান দিকে ও একবার বাম দিকে ঘোরান। এভাবে এক থেকে দুই মিনিট করতে থাকুন দেখবেন খুব সহজে আপনার পেটের গ্যাস দূর হয়ে যাবে।

সাইকেলিং পোচঃ সাইকেলিং পৌঁছে এটি গ্যাস দ্রুত সময়ের ভিতরে দূর করতে বেশ কার্যকারী একটি ব্যায়াম। মাটিতে ভালো করে শুয়ে পড়ুন এবার হাটু এবং মাথা মাটি থেকে সামান্য উপরে তুলুন। পা দুটো সাইকেলের মতো ঘোরাতে থাকুন। এটি একটি দুই মিনিট করতে পারেন এভাবে আপনি ৫ থেকে ১০ মিনিট করাতে পার্থক্য অনুভব করবেন।

যৌগো মুদ্রা পোচঃ এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে আপনি খুব সহজে চিরতরে গ্যাস জড়িত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি ও স্বস্তি পাবেন। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে সুখ আসনে বসুন। বসার ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে পেটের কাছে রাখুন। এবার আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নেন করুন এবং নিশা ছাড়ার সময় আস্তে আস্তে কথাকে মাটির সাথে ঠেকানোর চেষ্টা করুন।

মাথা মাটিতে রাখা অবস্থায় যতক্ষণ থাকতে পারেন ততক্ষন রেখে আস্তে আস্তে আবার নিঃশ্বাস ছাড়ো। এভাবে দুই তিন বার করুন দেখুন আপনার গ্যাসের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে গিয়েছে।

পাওয়ান মুক্তাসন পোচঃ এ ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। শোয়ার পর দুই পা হাঁটু মোরে পেটের কাছে নিয়ে আসুন এবং দুই হাত দিয়ে দুই পাকে চেপে ধরুন এমন ভাবে চেপে ধরুন যেন পেটের উপর চাপ পড়ে। এ সময় অবশ্যই শ্বাস প্রশ্বাস সঠিক রাখবেন। যতক্ষণ পারবেন এই অবস্থায় থাকবেন। এভাবে দুই থেকে তিনবার করবেন। এভাবে খুব সহজ একটি ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার গ্যাস দূর করতে পারেন।

উথিথা পাদাসন পোচঃ এই আসন করার জন্য প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর পা দুটোকে ৯০ ডিগ্রী করে উপরের দিকে তুলুন। এভাবে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব থাকুন। এই পোচ তিন থেকে চার বার একই নিয়মে করতে থাকুন এতে আপনি অনেক বেশি স্বস্তি ও আরাম পাবেন।

ধনুরাসন পোচঃ এ ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে ও উভোর হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটোর হাঁটু মুড়ে ফেলুন এবং দুই হাত দিয়ে পা দুটিকে ধরুন। ভালো করে ধরা হয়ে গেলে মাথায় এবং পা যতটা সম্ভব উপরের দিকে নিয়ে আসুন। অবশ্যই আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিক রাখবেন। এভাবে তিন থেকে চার বার একই নিয়মে বসে থাকুন খুব সহজেই আপনার গ্যাস হয়ে যাবে।
এছাড়া খাবার খাওয়ার পর কখনোই বসে বা শুয়ে যাবেন না। খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই সামান্য একটু হাঁটাচলা করবে এতে আপনার শরীরে গ্যাস তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করবে। এ সামান্যটুকু হাঁটার ফলে আপনার খাবার দ্রুত হজম হবে এবং স্বাস্থ্য ও শরীর ভালো থাকবে।

লেখক এর মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এ পোষ্টটির মাধ্যমে ঘরোয়া সামান্য কিছু ন্যাচারাল ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে গ্যাস মুক্ত রেখে আপনাকে সুস্থ ও সরল রাখার কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে।আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি করে আপনি উপকৃত হয়েছেন।আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের জীবনকে গ্যাস মুক্ত রাখতে সহায়তা করুন।এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url