কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে

আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে হাতে চামড়া ওঠে, হাতের খসখসে ভাব দূর করার ক্রিম, হাতের চামড়া ওঠার ঔষধের নাম এটাতে আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পুষ্টি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে হাতে চামড়া ওঠা নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে সেগুলোর অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং অবশ্যই কোমল ও মসৃণ হাত উপহার পাবেন।

ভূমিকা

শীত আগমনের সাথে সাথে আমাদের ত্বক, চুল ও হাতের চামড়া ওঠা জড়িত বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগি। তবে হাতে চামড়া উঠলে আমাদের বেশি সমস্যা হয়। কারণ হাত দিয়ে আমরা সারাদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি। অনেক সময় এ চামড়া থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হয় ফলে অনেক বেশি জ্বালা ও রক্ত পড়ে।

এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য হাতের চামড়া ওঠার কারণ ও প্রতিকার, হাতে চামড়া কুঁচকে যাওয়ার কারণ,কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে, হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও হাতের চামড়া ওঠার ঔষধের নাম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে হাতের চামড়া ওঠার সকল সমস্যার সমাধান পাবেন এবং নরম ও মসৃণ হাত পাবেন।

আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

হাতের চামড়া মোটা করার উপায়

আমরা অনেকে হাতে চামড়া মোটা করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। এ সম্পর্কে সঠিক ও উত্তর ও সমাধান জানতে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

আমরা অনেকেই আছি যারা শুধুমাত্র ত্বককে ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিকাল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করে থাকি যার ফলে আমাদের শরীরের চামড়া দ্রুত পাতলা হয়ে যায়। এতে করে আমরা সামান্য রোদে বা কোন কাজ করতে গেলে শরীর জ্বালা করে, অল্পতে হাতে বা ত্বকে ফসকা পড়ে যায় হাতের রগ গুলো দেখা যাচ্ছে,ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। এটি মূলত আমাদের ত্বকের ব্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। ব্যারিয়ার হলো আমাদের ত্বক যা তিনটি লেয়ারে থাকে লেয়ার থাকে যেমন-

আন্ডা মিসঃ সকল প্রকারের ধুলোবালি, ময়লা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ও জীবাণু থেকে ত্বককে রক্ষা করার কাজ হলো আন্ডা মিস।

ডামিসঃ ত্বকে সব সময় মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখার কাজ হলো ডামিস

হাইপো ডামিসঃ আমাদের ত্বকের সবচেয়ে নিচের স্তর হল হাইপো ডামিস যা আমাদের ত্বকের সকল টিস্যু ও স্তরকে সুরক্ষা রাখে।

আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট বা ক্ষতিকর প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি তখন আমাদের এই স্তরগুলো নষ্ট হয়ে যায় বা স্তরগুলোর শক্তি অনেক কমে যায়। নিম্নে কিছু হাতের চামড়া মোটা করার উপায় দেয়া হলো-

  • প্রথমত আমরা ত্বক ফর্সা করার জন্য যে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থগুলো ব্যবহার করছে তা অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে।
  • আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারি যা অবশ্যই পিএইচ এর মান কম হতে হবে।
  • হাতের চামড়া মোটা করার জন্য বা পাতলা ভাব দূর করার জন্য টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
  • আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক পিএস লেভেল হল ৪.৫ থেকে ৫.৫। এ মাত্রা থেকে বেশি মাত্রার পিএস যুক্ত প্রোডাক্ট কখনো ব্যবহার করা যাবে না।
  • চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে হাতের সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায় এ নষ্ট দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সিরাম ব্যবহার করতে পারেনল।
  • অবশ্যই হাতের চামড়া মোটা করতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
  • হাতে চামড়া মোটা করার জন্য সানস্ক্রিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি আমাদের চামড়া পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • এছাড়া হাতে মুলতানি মাটি এলোভেরা ও থানকুনির পাতার রস একসাথে ভালো করে মিশে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন এতে খুব দ্রুত হাতে চামড়া মোটা হয়ে যাবে।

হাতের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার কারণ

বয়সের কারণে বা অপুষ্টিতে ভোগার কারণে অনেক সময় আমাদের হাতে চামড়া কুঁচকে যায়। এ খুচকে যাওয়া আমাদের কেন হয় আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন জেনে নেই হাতের চামড়া কুচকে যাওয়ার কারণ গুলো কি কি-

  • হাতের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা শুধু মুখের যত্ন করি কিন্তু হাতের যত্ন করতে ভুলে যাওয়া বা না করা।
  • রোদে বের হওয়া সময় হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা। যার ফলে সূর্য থেকে আগত বেগুনি রশ্মি গুলো আমাদের হাতের কোষগুলো ড্যামেজ করে দেয় এবং হাতের চামড়া কুঁচকে যায়।
  • ঘুমানোর আগে হাতে নাইট ক্রিম ব্যবহার না করা।
  • হাতের চামড়া কে হাইড্রেট না করা।
  • গোসল করার পর হাতে চামড়ায় কোন প্রকার মশ্চারাইজার ব্যবহার না করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা।
  • সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর মশ্চেরাইজার ব্যবহার না করা।
  • কখনো ম্যানিকিওর না করানো।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে হাত দিয়ে পানি নাড়াচাড়া করা।
  • ঘরের বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন কাপড় খাচা, বাসন মাজা ইত্যাদি করার সময় গ্লাভস ব্যবহার না করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান খাওয়ার ফলে
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে বা কম পানি পান করলে

হাতের চামড়া উঠার কারণ ও প্রতিকার

হাতের চামড়া ওঠার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা অনেকে জানতে চাই। এজন্যই আজ আমি আপনাদের জন্য শীতে বা অন্যান্য যে কোন ঋতুতে ত্বকে চামড়া ওঠা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু টিপস ও ট্রিকস নিয়ে এসেছি। চলুন জেনে কিভাবে হাতে চামড়া ওঠা প্রতিকার করা যায় এবং কি কারণে ওঠে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

আরো পড়ুনঃ তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

শীত আগমনের সাথে সাথে আমাদের হাতে পায়ের চামড়া উঠা শুরু হয়ে যায়। এটি একটি সাধারণ বিষয়। এটি সাধারণ বিষয় তখন হবে যখন এটি বছরজুড়ে হবে না। বছর জুড়ে দেখা দিলে অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। চর্ম বিশেষজ্ঞ ডক্টরদের মতে হাতে পায়ে চামড়া ওটাকে কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিচা বলা হয়। সকল ডক্টরের মতে চামড়া ওঠা রোগ মূলত বংশগতভাবে হয়ে থাকে। এছাড়া অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা না করা ও হতে পারে।

হাতে চামড়া ওঠার প্রতিকার
তিলের তেল, গোলাপজল ও গ্লিসারিনঃ তিলের তেল গোলাপজল ও গ্লিসারিন হাতে চামড়া ওঠা রোধ করতে বেশ কার্যকারী একটি প্যাগ। এক চামচ গ্লিসারিন এক চামচ গোলাপ জল ও এক চামচ তিলের তেল ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং পুরো হাতে ভালো করে মাসাজ করুন। ভালো ফলাফল পেতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই হাতে চামড়া ওঠা বন্ধ করতে পারবেন

হাত ভেজা না রাখাঃ যে সকল ব্যক্তির প্রচুর পরিমাণে পানির কাজ করে থাকেন,তাদের হাতে চামড়া বেশি ওঠে। এজন্য যে সকল কাজে পানি বেশি ব্যবহার করতে হয় বিশেষ করে রান্নার কাজে যেমন বাসন মাজা,কাপড় খাঁচা ইত্যাদি এ কাজগুলো করার সময় অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করবেন। এছাড়া অন্যান্য সময় পানি ব্যবহার করলে দ্রুত হাত শুকানোর ব্যবস্থা করব।

সয়াবিনের গুড়াঃ আমাদের হাতও পায়ে চামড়া ওঠা বন্ধ করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে সোয়াবিনের গুরা। এজন্য একটি পাত্রে সয়াবিন দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে গুড়ো করে নিতে হবে। নিয়মিত এ গুড়া গোসলের আগে বা পরে হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করলে দ্রুত হাতে চামড়া উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। এটি আমাদের হাত পরিষ্কার করতে ও ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

লবণ ও শ্যাম্পুঃ উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ শ্যাম্পু ও অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখুন। ভিজে আসলে আলতোভাবে নরম কাপড় দিয়ে চামড়া গুলো আস্তে আস্তে তুলতে হবে। এর ফলে আপনার হাতে যে সকল মৃত কোষের চামড়াগুলো রয়েছে তা উঠে আসবে।

দুধ চিনি ও অলিভ অয়েলঃ এক চামচ গুঁড়ো দুধ হাফ চামচ চিনি ও এক চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশে পেস্ট তৈরি করে হাতে মাসাজ করতে থাকুন। ১০ মিনিট পরে দেখবেন হাতের মৃত চামড়াগুলো নরম হয়ে উঠে যাচ্ছে। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

অলিভ অয়েলঃ হাতকে সব সময় নরম ও কোমল রাখতে অবশ্যই গোসলের আগে এবং পরে অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে হাত-পা ম্যাসাজ করে নিবেন। এতে করে আপনার হাতের রুক্ষতা শুষ্কতা ও চামড়া উঠা রোগ কখনোই হবে না।

দুধ ও উষ্ণ জলঃ দুই থেকে তিন চামচ গুড়া দুধ ও দুই চামচ গরম জল একসাথে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে তুলোর সাহায্যে হাতের যে সকল স্থানে বেশি চামড়া উঠছে সেই স্থানগুলোতে লাগান। নিয়মিত ভাবে ব্যবহারে পরিবর্তন আপনি নিজে লক্ষ্য করতে পারবেন।

মুলতানি মাটিঃ মুলতানি মাটি যেমন আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী তেমনি হাতে চামড়া ওঠা রোধ করতেও বেশ কার্যকারী। এর জন্য দুই থেকে তিন চামচ মুলতানি মাটি এক চামচ থানকুনি পাতার রস ও এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেশ তৈরি করুন আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন।

ময়েশচারাইজারঃ ত্বকে সুস্থ সবল রাখতে মশ্চেরাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরনের মশ্চারাইজার রয়েছে যা আমরা ঘর ভাবে তৈরি করতে পারি বা বাজার থেকে কিনতে পারি যেমন গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম মিনারেল অয়েল, ল্যানলিন , ল্যাকটিক অ্যাসিড, শিয়া বাটার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি।

এছাড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাবার যেমন আমিষ, জিংস, লৌহ ও বিভিন্ন রকমের ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে খুব সহজেই হাতের চামড়া উঠা রোধ করা সম্ভব।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে

বর্তমানে শীত আগমনের সাথে সাথে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যার ভেতরে একটি অনেক বড় ধরনের সমস্যা হল হাতের চামড়া ওঠা। যার ফলে আমরা হাত দিয়ে কোন কাজ করতে বেশ কষ্টবোধ হয় যেমন রান্না করা, খাবার খাওয়া, হাত দিয়ে কোন কাজকর্ম দ্রুত না করতে পারা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। চলুন জেনে নেই কোন ভিটামিনের অভাবে হাতে চামড়া উঠে। নিম্নে যে সবার ভিটামিনের অভাবে চামড়া উঠে তার নাম গুলো দেয়া হলো-
  • ভিটামিন "ডি"
  • ভিটামিন "সি"
  • ভিটামিন "ই"
  • প্রোটিন
  • লৌহ
  • জিংক

হাতের চামড়া উঠা বন্ধ করার উপায়

হাতে চামড়া ওঠা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। বর্তমানে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি এ রোগের মূল কারণ। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে চলুন জেনে কিভাবে হাতে চামড়া ওঠা বন্ধ করা যায়-
  • টক দই ও বেসন মিশানো পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
  • টমেটো, লেবু ও মধুর পেস্ট ব্যবহার করবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে।
  • নিয়মিত এলোভেরা জেল হাতে মাসাজের মাধ্যমে।
  • প্রোটিন যুক্ত খাবার নিয়মিত খাবেন।
  • লৌহ ও জিংক যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা নিয়মিত রাখবেন।
  • নিয়মিত মৌসুমী শাকসবজি ও মৌসুমী ফল খাবেন।
  • হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে।
  • গোসলের আগেও পরে মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
  • রোদে বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিম ব্যবহার করবেন।
  • কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে।
  • মাসে একবার থেকে দুইবার ম্যানিকিওর অবশ্যই করাবেন।
  • হাত সব সময় শুষ্ক রাখার চেষ্টা করবেন।
  • হলুদ ও মধুর পেস্ট লাগাতে পারেন।
  • গুঁড়ো দুধ ও জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন।
  • গোসলের আগেও পরে অলিভ অয়েল দিয়ে হাত ম্যাসাজ করে নেবেন।

হাতের চামড়া উঠার ওষধের নাম

আমরা অনেকে হাতে চামড়া ওঠার ঔষধ নাম সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু সঠিক তথ্য ও সমাধান না পাওয়ার জন্য আমাদের হাতে চামড়া ওঠা আরো বেড়ে যায়। চলুন জেনে হাতে চামড়া ওঠার ওষুধের নাম গুলো কি কি।
  • ক্লপিরকস ক্রিম ১%(Clopirox cream1%)
  • টপিক্লো এস ক্রিম(TopicloS cream)

হাতের খসখসে ভাব দূর করার ক্রিম।

হাতের খসখসে ভাব দূর করার ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ক্রিমটির "পিএইচ" লেভেল ৪.৫ থেকে ৫.৫ এর ভেতরও হয়। তবে "পিএইচ" লেভেল ছয় পর্যন্ত হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু "পিএইচ" এর মাত্রা ৭ থেকে ৮ এর ভেতরে হলে অবশ্যই সেটি আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেই হাতের খসখসে ভাব দূর করার জন্য কি ক্রিম ব্যবহার করবেন-
  • ক্লিনজার
  • টোনার
  • মশ্চারাইজার
  • সানস্ক্রিন
উপরোক্ত ক্রিমগুলো অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র সানস্ক্রিন বাদে। ক্রিমগুলো বিভিন্ন কোম্পানির আপনি নিতে পারেন তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন "পিএইচ" লেভেল সঠিক মাত্রার আছে কিনা।

লেখক এর মন্তব্য

আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার হাতের চামড়া ওঠা বন্ধ করে নরম ও কোমল হাত কিভাবে পাবেন তার কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের হাতের চামড়া ওঠা রোগ দূর করতে সহায়তা করুন। এবং আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url