বর্তমান আবহাওয়া ও ধুলাবালি আমাদের চুলকে
রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন গড়ে তুলছে। এজন্য আমাদের চুলের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন। যা ঘরোয়া ভাবে খুব অল্প ও সহজলভ্য উপাদান দিয়ে এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব।
ভূমিকা
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রকার হেয়ার প্রোডাক্ট রয়েছে,যা দাবি করে চুলের রক্ষতা, শুষ্কতা দূর করে চুলকে ঘন,মজবুত ও দ্রুত লম্বা করবে। কিন্তু তার উল্টোটাই আমাদের চুলের সাথে ঘটে। কারণ এ সকল প্রোডাক্টে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল ও ক্ষতিকারক পদার্থ যা চুলকে ডেমেজ করে ফেলে।এজন্যই আমরা অনেকে খুঁজি ঘরোয়া, প্রাকৃতিক, ন্যাচারাল, সহজ ও সহজলভ্য কিছু।
এজন্য আপনাদের চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়, চুল গজানোর তেলের নাম কি? হেয়ার প্যাক ইত্যাদি নিয়ে এসেছি যা খুব দ্রুত আপনার চুলকে লম্বা, নতুন চুল গজাতে, স্ক্যার্ফ সংক্রমণ জনিত সমাধার, খুশি, চুলের আগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি চুলের সমস্যা ঘরোয়া ভাবে সমাধান। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লে আপনি আপনার চুলের সমস্যা খুঁজে পাবেন এবং সমাধান করতে পারবেন এজন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।
৭ দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায়
চুল মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঘন মজবুত ও লম্বা চুল পছন্দ করেনা এমন মেয়ে খোজা দায়। লম্বা চুল সকল মেয়ে চায় তার হোক। এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য ঘরোয়া ভাবে ৭ দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায়, টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে এসেছি নিম্নে এগুলো দেয়া হলো-
অ্যালোভেরা নিম পাতা ও নারিকেল তেলঃ এলোভেরা নিম পাতা ও নারকেল তেল চুল ঘন মজবুত ও লম্বার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উপাদান। প্রথমে একটি অ্যালোভেরা থেকে সম্পূর্ণ জেল বের করে নিতে হবে এরপর ২থেকে ৩টি ডাল বা ২ থেকে ৩ কাপ পরিমাণে নিমপাতা নিয়ে নিতে হবে।
নিম পাতা ও অ্যালোভেরা চুলায় হালকা আচে জাল দিতে হবে। নিম পাতা ও অ্যালোভেরা ভালোভাবে একসাথে মিশে যাওয়ার পর এর ভেতরে ১ কাপ পরিমাণ নারিকেল তেল দিয়ে দিতে হবে।
১৫ থেকে ২০ মিনিট ভালোভাবে অল্প আছে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। ছাকনির সাহায্যে ভালো করে তেল গুলো ছেকে নিতে হবে।
ঠান্ডা বা উষ্ণ গরম অবস্থায় মাথায় ভালো করে মাসাজ করে নিতে হবে। ভালো করে মাসাজ করলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় এতে লম্বা ঘন ও মজবুত হয়। গোসলের ঘন্টা আগে বা রাত্রে ঘুমানোর আগে ভালো করে মাথায় করে নিয়ে সকালে বা দুইদিন পরে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহারে পার্থক্য আপনি নিজে উপলব্ধি করতে পারবেন। এতে নিম থাকার জন্য আপনার ছেলে কোন প্রকার খুকশি বা উকুন থাকলে তা খুব সহজে দূর হবে।
সরিষার তেল ও পেঁয়াজঃ সরিষার তেল ও পেঁয়াজ আমাদের চুলেরজন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা সকলেই জানি। আগে দাদি ও নানীরা চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে তাদের চুল অনেক বেশি মজবুত ঘন ও লম্বা থাকতো। আর পেঁয়াজে থাকা সালফার নতুন চুল গজাতে, চুলের আগা মজবুত করতে ও লম্বা করতে সহায়তা করে।
চলুন জেনে নেই কিভাবে সরিষার তেল ও পেঁয়াজ দিয়ে মাত্র এক সপ্তাহে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করা যায়।
প্রথমে দুইটা পেঁয়াজ খোসা সহ চার থেকে পাঁচ টুকরো করে নিতে হবে। এরপর এক কাপ সরিষার তেল বা অর্ধেক সরিষার তেল ও অর্ধেক নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ও নিতে পারে। কিন্তু সরিষার তেল অবশ্যই থাকতে হবে। এবার সরিষার তেল ও পেঁয়াজ একটু প্যানে অল্প আছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া করে জাল দিয়ে নিতে হবে।
ছাখনার সাহায্যে তেল আলাদা করে নিতে হবে। তেল উষ্ণ থাকা অবস্থায় ব্যবহার করা চুলের জন্য বেশ কার্যকরী হয় কিন্তু বেশি গরম থাকা যাবে না। এরপর ভালো করে চুলের ও কালকে ভালো করে মাসাজ করে নিতে হবে এটি আপনি গোসলের আগে বা রাত্রে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে ধুয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহারে আপনার চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি ও চুল ওঠা সহজে বন্ধ হবে।
আমন্ড অয়েল ও মেথিঃ আমন্ড অয়েল চুল মজবুত ঘন ও প্রাণবন্ত থাকতে বেশ কার্যকারী একটি তেল এবং মেথি সাধারনত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় কিন্তু মেথিতে থাকা গুনাগুন আমাদের চুলকে মজবুত ঘন লম্বা ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নিম্ন এ তেল তৈরির প্রণালী দেওয়া হল-
এক কাপ পরিমাণ আমার রয়েল এর সাথে দুই থেকে তিন চামচ কাস্টার্ড অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানোর পর দুই থেকে তিন চাচা চামচ মেথি এই তেলের ভিতরে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তেলটিকে সারা রাত এভাবে রেখে দিতে হবে।
একদিন পর তেলটি ব্যবহার করলে মেথিতে থাকা সকল গুনাগুন তেল অবজারভ করে নেবে। এবার তেলটি ভালো করে চুলের স্কার্ফে ব্যবহার করুন। এটি এমন একটি কার্যকারী উপায় যা আপনি ব্যবহারের এক সপ্তাহ মধ্যেই এর ফলাফল বুঝতে পারবেন।
এলোভেরা ও নিম পাতাঃ অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা প্রোটিও লাইটি উপাদান চুলের গ্রোথ জাদুর মতো বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকারী। নিম পাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুলকে নতুন ভাবে গজাতে কালফের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে চুলকে মজবুত ঘন ও প্রাণবন্ত করে। আজ আমি আপনাদেরকে এই সুপার উপাদান গুলো দিয়ে তৈরি দ্রুত চুল বৃদ্ধি করার তেল তৈরি করার প্রণালী নিম্নে দেয়া হলো-
প্রথমে দুই কাপ পরিমাণ নিম পাতা ও একটি এলোভেরা ভালো করে পরিষ্কার করে তার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে একটি প্যানে এক কাপ পরিমাণ নারকেল তেল দেব এবং আস্তে আস্তে জাল দেবো তেলটি গরম হয়ে আসলে এর ভেতরে নিমপাতা ও অ্যালোভেরার পেস্ট তিন থেকে চার চামচ দিয়ে নিব। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তা চাকলার সাহায্যে থেকে নেব।
তেলটি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে আপনার নতুন চুল গজাতে চুল ঘন মজবুত ও চুল সিল করতে বেশ কার্যকারী এই তেল।
অলিভ অয়েল ও ডিমঃ দ্রুত চুল মজবুত ঘন ও বৃদ্ধিতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকারী একটি তেল এছাড়াও ডিমের গুনাগুনও অলিভ অয়েল এর মতই এটি খুব দ্রুত চুলকে বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই দুইটি উপাদানের শুধু মিশ্রিত করে একটি জাদুঘরের তেল তৈরি হয় যা আপনার চুলকে জাদুর মত খুব দ্রুত লম্বা করা দিবে কিভাবে তৈরি করতে হবে।
প্রথমে একটি পাত্রে যতটুকু আপনার চুলের জন্য প্রয়োজন ততটুকু অলিভ অয়েল নিয়ে নেবেন বা ৩ থেকে ৪ চামচ।একটি ডিম ভালো করে তেলের সাথে মিশ্রিত করে নেবেন। মেশানো হয়ে গেলে গোসলের আধাঘন্টা বা এক ঘণ্টা আগে ভালো করে ১০ মিনিট পর্যন্ত চুলের এই তেলটি মাসাজ করে নেবেন।
মাসাজ শেষে চুলটি একটি খোপা করে আধাঘন্টা রেখে দেবেন। আধা ঘন্টা রাখার পর কোন হারবাল বা কেমিক্যাল মুক্ত কোন শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নেবেন। এই তেলটি এমন একটি তেল যা ব্যবহারে অবশ্যই আপনি আপনার চুলের বৃদ্ধি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন। একবার ব্যবহারে এটি অনেক বেশি কার্যকর। বেশি ভালো ফলাফল পেতে অবশ্যই সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করবেন।
চুল লম্বা করার হেয়ার প্যাকঃ রুক্ষ শুষ্ক প্রাণহীন চুল বাড়তে সহজে বাড়তে যায় না এজন্য প্রথমে আমাদের চুলকে রুক্ষ শুষ্ক প্রাণীর প্রাণহীনতা দূর করতে হবে এজন্য সবচেয়ে সহজ ও ঘরোয়া বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারি হেয়ার ব্যাগ।হেয়ার প্যাক চুলের জন্য কতটা গুরুত্ব তা আমরা সকলেই জানি।
হেয়ার প্যাক তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার উপকরণের প্রয়োজন হয় যা আমাদের চুলকে সতেজ প্রাণবন্তক ও দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে। এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য ঘরোয়া কিছু হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়ম নিম্নে আলোচনা করলাম। এর যেকোনো একটি হেয়ার প্যাক আপনি ব্যবহার করতে পারেন সবগুলো হেয়ার প্যাগের কাজ একই।
প্রথম হেয়ার প্যাক তৈরিতে যে সকল উপকরণ প্রয়োজন
- মেহেদি
- টক দই
- ডিম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
প্রথমে একটি পাত্রে হাফ কাপ পরিমাণ পেঁচকৃত মেহেদী নিয়ে নেব এরপর একে একে উপরোক্ত সকল উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে নেব। যেমন তিন থেকে চার চা চামচ টক দই, একটি ডিম, দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল।উপকরণগুলো ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে প্যাকটি গোসলের এক ঘন্টা আগে সমস্ত চুলে ও কালকে মাসাজ করে নেব।
মাসাজ শেষে আধা ঘন্টা বা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হেয়ার প্যাকটি রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেব এবং অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করব। সপ্তাতে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে আপনার চুলের রক্ষতা শুষ্কতা দূর হয়ে দ্রুত চুল বৃদ্ধি হবে।
দ্বিতীয় হেয়ার প্যাক তৈরিতে যে সকল উপকরণ প্রয়োজন
- মেথি
- টক দই
- লেবু
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- ডিম
তিন থেকে চার চা চামচ মেথি সারারাত হাফ কাপ পানিতে রেখে ভিজিয়ে রাখবো। সারারাত ভেজানোর পর পানি সহ মেথি গুলোর পেস্ট তৈরি করে নেব। এরপর চার থেকে পাঁচটা চামচ টক দই দুই চামচ লেবু দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও একটি ডিম এর ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নেব। উপরোক্ত সকল উপকরণে চুলের জন্য বেশ উপকারী ও যাদুকরী উপাদান।যা চুলকে দ্রুত মজবুত প্রানোবন্ধক নতুন চুল গজাতে ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দ্রুত ও ভালো ফলাফলের পেতে অবশ্যই সপ্তাতে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন।
তৃতীয় হেয়ার প্যাক তৈরিতে উপকরণ
কেশরাজ সম্পর্কে না বললেই নয়। চুল সুস্থ সবল মজবুত লম্বা ও প্রাণ বন্ধুক এ ছাড়া চুলে যত প্রকারের সমস্যা রয়েছে তার সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে এই কেশরাজ। চুলের সকল পুষ্টি উপাদানের যোগান দিতে পারে এই কেশরাত। কেশরাতকে এমনিতে নাম দেয়া হয়নি কেসরাজ অর্থাৎ কেসের রাজা বা চুলে রাজা।
একটি পাত্রে হাফ কাপ পরিমাণে কেশ রাজের পেস্ট, হাফ কাপ পরিমাণে মেহেদির পেস্ট একটি ডিম একটা চামচ আদার রস ও একটা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে এর পেস্ট তৈরি করে নেব। পেজটি গোসলের আগে ভালো করে সমস্ত চুলে ম্যাসাজ করে নেব। এক ঘন্টা পর্যন্ত চুলে এই পেজটি রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেব।
ব্যবহারের পর পরই আপনি আপনার চুলের মধ্যে কি পরিবর্তন এসেছে আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার মন মত চুল পেতে অবশ্য সপ্তাহেতে দূর থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন।
চতুর্থ প্যাক তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ
- অ্যালোভেরা জেল
- জবা ফুল
- মেথি
- রসুন
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- লেবু
অ্যালোভেরা যেমন
ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী তেমনি চুল ও কাল্পের জন্য অনেক বেশি উপকারী এলোভেরার গুণের শেষ নেই। তেমনি জবা ফুল ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চুলকে উজ্জ্বল চুলের গোড়া মজবুত দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে জবা ফুলে থাকা উপাদান।
এক কাপ পরিমাণ এলোভেরা জেল দুই থেকে তিন চাচা চামচ মেথির পেস্ট এক চামচ রসুন এর রস দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও দুই চাকা চামচ লেবু ভালো করে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করে নিন পেজটি আপনার চুলে প্রয়োগ করুন। প্রানো বন্ধু চুল পেতে অবশ্যই সপ্তাহে তিন থেকে চারবার গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারেন।
পঞ্চম হেয়ার প্যাক এর উপকরণ
- কলা
- জবা ফুল
- লেবু
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- অ্যাপেল সিডার
- মধু
একটি কলা ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে, তিন থেকে চারটি জবা ফুলের পেস্ট, ২৪ চামচ লেবুর রস দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক চা চামচ এপেল সিডার ও একটা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে এর পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর ভালো করে আপনার চুলে ও স্কার্ফে মাসাজ করুন। এতে আপনার চুলের রক্ত চলাচল বা ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পাবে ফলে চুল বৃদ্ধি ও মজবুত ঘন হবে।
চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার উপায
চুল দ্রুত লম্বা প্রানো বন্ধুক উজ্জ্বল সতেজ ঘন ও মজবুত চায়না এমন মেয়ে পাওয়া মুশকিল। সকলে চায় তার চুল যেন সবচেয়ে সুন্দর ও বড় হয়। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। যা অনেক সময় আমাদের চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। এজন্য চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার উপায় এবং কিছু টিপস দেয়া হলো-
চুলের স্কার্ভে যেন কখনো ধুলাবালি বা ময়লা না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ধুলাবালি বা ময়লা চুলের গোড়াকে প্রাণহীন করে তোলে এবং দুর্বল করে তুলে ফলে চুল ওঠার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- চুল কখনো গরম পানি দিয়ে ধৌতো করবো না। গরম পানি চুলের আদ্রতা কেড়ে নেয়। যার ফলে চুল রুসকো শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুল ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায়। এর জন্য আমরা সব সময় চুল উষ্ণ গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করব।
- যাদের চুল এর আগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই মাঝে মাঝে চুলের আগা কাটা বা ড্রিম করার চেষ্টা করব এতেও চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- চুলে প্রতিদিন তেল দেওয়ার চেষ্টা করব এবং তা যেন অনেকক্ষণ ধরে মাসাজ করা হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখব। কারণ মাসাজের চুলের কালভে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় বা ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় চুল পড়া বন্ধ হয় ও চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- অবশ্যই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বিভিন্ন হেয়ার ব্যাগ ব্যবহার করব অবশ্যই তা যেন ঘরোয়া ভাবে তৈরি হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখব।কারণ বাইরে যে সকল হেয়ার প্যাক গুলো তৈরি করা হয় সেগুলোতে ন্যাচারাল উপাদানের গুনাগুন অনেকাংশে কম থাকে। যা অনেক সময় চুলের ক্ষতিও করে এজন্য আমরা ঘরোয়া তৈরি বিভিন্ন হেয়ার ব্যাগ ব্যবহার করব।
- ঘরোয়া ভাবে তৈরি বিভিন্ন প্রকার সিরাম সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করব এতে চুলের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে ও চুল নরম এবং কালকের রুক্ষতা শুষ্কতা দূর হয় এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই আমরা কন্ডিশনার ব্যবহার করব। কন্ডিশনার চুলের রুক্ষ তাকে দূর করে এবং প্রানো বন্ধ ও ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
- চুলে বিভিন্ন প্রকার স্টাইলিং প্রোডাক্ট যেমন বিভিন্ন প্রকার কালার করা কোকড়ানো করা বা সেন্ট করা করা ইত্যাদি স্টাইলিংগুলো না করার চেষ্টা করব। এতে চুল খুব সহজে রুক্ষ শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়।
- গোসলের আগে অবশ্যই চুলে যে কোন তেল দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে মাসাজ করার চেষ্টা করব। এতে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মাঝে মাঝে চুলকে মাসাজ করার চেষ্টা করব। ডিমের সাদা অংশ চুলের গোড়াকে মজবুত করে দ্রুত বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সহায়তা করে।
- ভেজা চুল কখনোই আঁচড়ানো চেষ্টা করব না এতে চুলের আগা ফেটে যায় এবং চুল ফেটে যায় কারণ ভেজা অবস্থায় চুল অনেক বেশি নরম থাকে।
- কখনোই টাইট করে কোন কিছু দিয়ে বাধবো না এতে চুলের আগা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং চুল দ্রুত বাড়তে বাধা সৃষ্টি করে।
চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়
আমরা অনেকেই আছি যারা বাইরের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চায় না। আমরা সবসময় খুজি ঘরোয়া কিছু টোটকা। যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ও ন্যাচারাল ভাবে তৈরি কিছু সহজ উপায়। তাদের জন্য আজ আমি চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায় ও টিপস নিয়ে আলোচনা করছি। সম্পূর্ণ টিপস এবং ট্রিকসগুলো পড়ার অনুরোধ রইল-
- ঘর ভাবে চুল লম্বা করার জন্য আমরা ঘরোয়া ভাবে তৈরি কিছু তেল ব্যবহার করতে পারি যেমন নারকেল তেল পেঁয়াজ মেথি কালোজিরা ইত্যাদি উপকরণ ভালো করে গরম করে ঠান্ডা করে রেখে মাঝে মাঝে চুলে ভালো করে মাসাজ করতে পারি এতে চুল দ্রুত লম্বা হয়।
- অলিভ অয়েলের সাথে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা চামচ কালোজিরা মেথি ইত্যাদি মিশিয়ে তেলের ভিতরে রেখে দিতে পারি এবং ব্যবহার করার সময় তা ঝাঁকিয়ে ব্যবহার করতে পারি। এতেও চুল দ্রুত লম্বা হয়।
- নারকেল তেলের সাথে দুটি তেজপাতা একটি পেঁয়াজ কুচি কুচি করে একটা চামচ কালজিরা এক চা চামচ মেথি একটি দারচিনি ইত্যাদি উপকরণ অল্প অল্প তাপে ১৫ থেকে ২০মিনিট জাল দেয়ার পর ঠান্ডা করে বোতলে রেখে ব্যবহার করতে পারি এতে চুল দুটো মজবুত ও লম্বা হয়।
- হাফ কাপ পরিমাণ চাল একগ্লাস পরিমাণ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিয়ে উক্ত পানি আমরা মাঝে মাঝে চুলে স্প্রে করতে পারি এতে চুল সব সময় সতেজ মজবুত ও দ্রুত লম্বা হতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
- অলিভ অয়েল ও একটি ডিম এর পেস্ট তৈরি করে ১০ মিনিট মাসাজ করার পর আধা ঘন্টা রেখে গোসল করলে খুব দ্রুত ও কার্যকারী উপায় এটি যা চুলকে লম্বা করতে সাহায্য করে।
- আমরা ঘরোয়া ভাবে চুলের জন্য বিভিন্ন প্যাড বা মাস্ক তৈরি করতে পারি এটিও চুল লম্বা করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যেমন মেথির পাউডার ও হাফ কাপ দুধ ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথায় প্রয়োগ করতে পারি উপকার হয়।
- কেশরাজ মেহেদী ও ডিমের মিশ্রণে তৈরি প্যাক চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকারী একটি মার্কস। এই ব্যাগটি খুব দ্রুত চুলকে লম্বা করতে পারে।
- ডিমের সাদা অংশের মাসাজ চুলের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করতে সকালের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে এবং প্রাণবন্তক চুল করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- কাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা যেকোনো প্যাড বা তেলের সাথে এই কাজটা অয়েল ব্যবহার করতে পারি যা দ্রুত চুল বৃদ্ধি করবে।
- পেঁয়াজের রস চুলের জন্য কতটা উপকারী আমরা সকলেই জানি ঘরোয়া সহজ ও সহজলভ্য এই পেঁয়াজ। পেঁয়াজের থাকা সালফার খুব সহজে চুলকে মজবুত কালো ঘন ও বৃদ্ধি করতে পারে।
- চুলে কোন প্রকার জোট বা এলোমেলো রাখা যাবে না।এতে চুল আচড়ানোর সময় চুল ভেঙে যায় এবং অনেক বেশি পরিমাণে চুল উঠে যায় এজন্য অবশ্যই চুল দ্রুত বৃদ্ধি ও ঘন রাখতে মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস তৈরি করব।
- জলপাইয়ের তেল চুলের জন্য বেশ উপকারী কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ও মেগা ফ্যাটি ও এসিড যা দ্রুত চুলকে বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
চুলের জন্য কোন তেল ভালো হবে?
চুল দ্রুত লম্বা ঘন মজবুত প্রানো বন্ধক করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তেল। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা চুলের জন্য কোন তেল ভালো হবে? চুলের জন্য বিভিন্ন রকমের তেল রয়েছে। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো তেলগুলো পোস্টটি পুরো পড়লে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন আপনার চুলের জন্য কোন তেলটি উপযোগী।
সরিষার তেল চুলের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা এখন না জানলেও আমাদের দাদি ও নানীরা অবশ্যই তা জানে।আমাদের দাদী নানীদের চুলগুলো শেষ বয়স পর্যন্ত ঘন মজবুত ও লম্বা দেখাতো। কারণ তারা চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতো।সরিষার তেলে থাকা উপাদান গুলো আমাদের চুলকে স্থায়ীভাবে প্রানো বন্ধক করে তোলে।
নারিকেল তেলে চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী রয়েছে যা চুলের কাল্পকে কোমল করতে দ্রুত চুল বৃদ্ধি করতে ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিজ্ঞানীদের মতে নারিকেল তেলে কোন প্রকার প্রদাহ হয় না এজন্য আমরা আমাদের চুলের নিশ্চিন্তায় এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করতে পারি।
অলিভ অয়েল এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড ভিটামিন "ই" ও মশ্চারাইজার। যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টির যোগান চুল দ্রুত বৃদ্ধি পুনরায় চুল গজাতে ও চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুলের আদ্রতা ধরে রাখে। চুলকে নরম ও হালকা রাখতে এ তেল বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
তিলের তেল যারা একটু আয়ুর্বেদিক জাতীয় জিনিস পছন্দ করেন তারা অবশ্যই তিলের তেল চুলের জন্য করতে কালকে থাকা খুশি দূর করতে কাছে বিভিন্ন রকম সংক্রমণের সৃষ্টি হয় তা দ্রুত কমাতে এতে বেশ কার্যকরী ভূমিক পালন করে।
ক্যাস্টর অয়েল যাদের প্রচুর পরিমাণে চুল ওঠার সমস্যায় ভুগছেন চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় না চুল উসকো শুষ্ক ও প্রাণহীন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে তাদের শরীরে প্রোস্টাগলেটিন বা পিজিডি দুই হরমোনের কমতি রয়েছে। যা একমাত্র খুব সহজে ও দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে কাস্টার অয়েল।
আমন্ড অয়েল বর্তমান যুগে মেয়েরা কর্মের জন্য অনেক জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় এর জন্য আমরা সব সময় মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারি না তাদের জন্যই হল আমন্ড অয়েল। আমান্ড অয়েলে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলকে হালকা রাখে ও চিপ চিপে হাওয়া থেকে দূরে রাখে এর সাথে চুলে সকল পুষ্টি উপাদান ও চুলকে দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে।
জোজবা ওয়েল যাদের চুল একটু বেশি শুষ্ক আদ্রতার অভাব রয়েছে ময়লা হওয়ার কারণে চুলের স্থলবে খুশি ও বিভিন্ন সংক্রমণের সৃষ্টি হয় তাদের জন্য অয়েল অত্যন্ত জরুরী। জোজবা ওয়েল খুব দ্রুত চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং কাল্ভের খুশি দূর করে।
চুল গজানোর তেলের নাম কি?
বর্তমানে কেমিক্যাল ও ক্ষতিকারক বিভিন্ন চুলের প্রোডাক্ট ব্যবহারে আমাদের চুল দ্রুত উঠে যাওয়ার সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগছি। আসলে চুল ওঠাটা সমস্যা নয় সমস্যা হল যখন সে চুল গজায় না। চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন রকমের তেল রয়েছে আমরা ঘরোয়াভাবে তৈরি করতে পারি। চলুন দেখে নেই চুল গজানোর তেলের নাম কি? এবং কিভাবে তা ঘরোয়াভাবে তেল তৈরি করতে পারি-
টি ট্রি অয়েল এটি একটি প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন অয়েল।এতে প্রচুর চুলের সমস্যার সমাধানের গুনাগুন রয়েছে। এতে রয়েছে চুলে ফাঙ্গাস জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যার সমাধান ইত্যাদি আরও অনেক গুণের সম্পূর্ণ এই তেল। এ সমস্যাগুলো সমাধান করে খুব দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে এই তেল।
অর্গান অয়েল এ তেল চুলের গোড়ার বিভিন্ন প্রকারের প্রদাহ খুব শী কালভে চুলকানি চুলের আগা ফেটে যাওয়া চুল ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাদূর করে দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম অয়েল দ্রুত চুল গজাতে। এ ওয়েল বেশ কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে। এ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ভিটামিন ডি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা দ্রুত চুল গজাতে যাদুর মত কাজ করে।
লেভেন্ডার অয়েল টাক জাতীয় মাথায় চুল গজাতে পারে এই তেল। এ তেলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি মাইক্রো বিয়াল এই উপাদানই চুলকে দ্রুত চুল করাতে সাহায্য করে।
জোজবা অয়েল কালকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেমন শুষ্কতা অতিরিক্ত খুব সে যা চুল গজাতে বাধা সৃষ্টি করে এগুলো খুব সহজে দূর করতে পারে জোজবা ওয়েল এজন্য নিয়মিত ব্যবহার করুন আর আপনার মাথার চুল দ্রুত গজাতে বৃদ্ধি করতে ও প্রাণবন্ত করুন।
জলপাইয়ের তেল চুল গজাতে প্রয়োজন ভিটামিন ই যা জল পাই এ ভরপুর রয়েছে এ তেল আমরা ঘরে ও তৈরি করে ব্যবহার করতে পারি এতে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাবেন। রোজ ব্যবহারে আপনি আপনার মনমতো ফলাফল ও চুল পাবেন।
নিমের তেল আমরা সকলেই জানি নিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান যা বিভিন্ন প্রকার চুলকানি খুকশী উকুন ইত্যাদি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ সমস্যাগুলো দূর করে খুব সহজেই চুলকে নতুন ভাবে গজাতে সাহায্য করে নিমের তেল।
কেমোমাইল এসেন্সিয়াল অয়েল এ তেল চুলের বিভিন্ন রকমের প্রদাহ জ্বালা ও বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ হতে রক্ষা করে দ্রুত চুল গজাতে এবং চুল কোমল করতেও সহায়তা করে।
সিডার উড এসেন্সিয়াল অয়েল আমরা অনেকেই চুলে বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণজনিত রোগে ভুগি যার কারণে চুল দ্রুত উঠে যায় চুল দ্রুত তার পুষ্টি গুনাগুন হারাতে থাকে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাই। এর সকল সমস্যাগুলো খুব সহজে ফিডা রোড এসেন্সিয়াল অয়েল দূর করে চুলকে তার আগের অবস্থায় ফিরে আনে অর্থাৎনতুন চুল গজিয়ে চুলের উজ্জ্বলতা ও মুচলতা বাড়ায়।
রোজমেরী এসেন্সিয়াল অয়েল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল যা কালভীর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে চুল এর উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে কালকের উজ্জীবিত সতেজ করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য আমরা অবশ্যই এ তেল ব্যবহার করব।
পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল অনেক সময় চুল বিভিন্ন প্রকার হরমোন জনিত সমস্যায় উঠে যায় এ সমস্যাগুলো খুব সহজে দূর করতে পারে পেপারমেন্ট এসেনশিয়াল অয়েল। এ তেল খুব সহজেই কালকের সজীব ও সতেজ করে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
চুলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
- চুল কখনোই ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখবো চুলের আগার নষ্ট হয়ে যায়।
- ভেজা অবস্থায় চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবো না।
- চুল শুকানোর জন্য কোন প্রকার ইলেকট্রনিক আইটেম ব্যবহার করব না।
- চুল শুকানোর জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করব।
- চুল কখনো শক্ত খাবার দিয়ে বাধবো না।
- নরম বা কোমল জাতীয় ব্যান্ড দিয়ে চুল বাধবো।
- রাতে ঘুমানোর সময় চুল শক্ত করে কখনো বেঁচে থাকবো না।
- চুল মাঝে মাঝে আচরানোর চেষ্টা করব।
- চুল আঁচড়ানোর চিরুনির ফাঁকগুলো যেন বেশি থাকে।
- গরম পানি দিয়ে কখনো চুল পরিষ্কার করবো না।
- শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করব।
- কমপক্ষে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ভালো করে মাথায় মাসাজ করে তেল ব্যবহার করব।
- সপ্তাহ দুই থেকে তিন দিন অবশ্যই ঘরোয়া ভাবে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করবে।
লেখকের মন্তব্য
রাইম বাটন আজকে এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনার চুলের যত রকম সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করে লম্বা করার কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা।করেছে আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলো অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের চুলের সকল সমস্যার সমাধানে সাহায্য করুন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url