মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তিটি কে?
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তিটি কে? বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বা সম্মানী ভাতা কত? ইত্যাদি আরো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক উত্তর আপনি পাবেন এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আপনার তাদের প্রতি সম্মান আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
ভূমিকা
বর্তমানে আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা কথা বলা কোন কিছু করা সকল কিছুই করতে পারি। এটা করতে পারার পেছনে লাখ লাখ শহীদের প্রাণ রয়েছে। এই শহীদদের কারণে আজ আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাস সকল কিছুর ত্যাগ সাহসিকতা ও বীরত্বের প্রকাশ এই স্বাধীনতা।
এর জন্যই আমি আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বেসামরিক ব্যক্তিটি কে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ কি, কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত তালিকা উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক, মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব কয়টি ও কি কি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কতজন সেক্টর কমান্ডো ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানী ভাতা কত, তাদের সন্তানরা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে, বীর মুক্তিযোদ্ধা নারী কয়জন ছিলেন ও তাদের নাম ইত্যাদি আরো মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইংরেজি নাম কি?
আমরা অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইংরেজি নাম কি? জানতে চাই। চলুন জেনে নেই এর সঠিক ইংরেজি শব্দটা কি। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
বীর মুক্তিযুদ্ধারা বাংলাদেশের জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ সন্তান। যাদের কারণে আমাদের এই লাল সবুজের পতাকা অর্জিত হয়েছে। এজন্যই বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধদের জন্য সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সেজন্যই বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সামান্য প্রতিদান হিসেবে বীর মুক্তিযুদ্ধের ইংরেজি সামর্থকশব্দ নির্ধারণ করে দিয়েছে যা হলো হিরোইক ফ্রিডম ফাইটার (Heroic Freedom Fighter)। সাম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের এই সামর্থক শব্দটি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট ও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এই গেজেটে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সামর্থক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে হলে হিরোইক ফ্রিডম ফাইটার ব্যবহার করতে হবে এবং এই গ্যাজেটে আরো প্রকাশ করা হয় যেকোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে অবশ্যই বীর শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮ এর ধারা অনুসারে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত করতে হবে। এ আইন অনুসারে জাতীয় সংসদে বীর মুক্তযুদ্ধদের নিয়ে কাজ করার মন্ত্রণালয়ের কমিটিগন ১৩ তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন মুক্তিযুদ্ধের নামের পূর্বে অবশ্যই বির শব্দটি ব্যবহার করতে হবে তা বলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ কি?
আমাদের বাংলাদেশ নামক এ রাষ্ট্রকে ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জন করা হয়েছে। এছাড়াও লক্ষ কোটি বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে যারা এ যুদ্ধে মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। এই বীর মুক্ত যোদ্ধাদের ঋণ হয়তো আমরা কখনোই শোধ করতে পারবোনা।
কিন্তু অল্প হলেও হয়তো ঋণ শোধ করার চেষ্টা করতে পারি। এজন্যই বাংলাদেশ সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার আত্মীয়-স্বজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়-স্বজন পরিবার সকলের জন্য একটি মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ কি? আমরা অনেকেই তা জানিনা। এই মন্ত্রণালয়ের কাজ হল শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ মূলক কাজ করা।
এছাড়াও এ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের সকল স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা তাদের কল্যাণের জন্য তহবিল পরিচালনা করা আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে বীর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? চলুন জেনে। উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হল-
দেশের জন্য যুদ্ধ ও শহীদ করা ব্যক্তিদের জন্য আমাদের হয়তো সঠিক প্রতিদান দিতে কখনোই পারবো না। তবে তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য হয়তো আমরা সামান্য কিছু হলেও করার চেষ্টা করতে পারি। এর জন্য বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি মন্ত্রণালয় গঠন করে।
যা মূলত শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কাজ করবে। তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা , কল্যাণমূলক পদক্ষেপ এছাড়াও যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তাদের সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি আরও বিভিন্ন কাজ করে থাকে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
এ মন্ত্রণালয় ২০০১ সালের অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখে গঠিত হয়। এ মন্ত্রণালয়টি ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর হওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখলে মন্ত্রীপরিষদ এটি বাতিল করে দেয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আরো কিছু প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর রয়েছে যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলর।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা উপজেলা ভিত্তিক
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা উপজেলা ভিত্তিক২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে চলুন জেনে নিই সে তালিকাটি
বিভাগ বরিশাল
উপজেলা
- ন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, পিরোজপুর, সদর মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর।
- তালতলী, বেতাগী, আমতলী, পাথরঘাটা, রামনা ও বগুড়া সদর।
- রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, বাউফল, পটুয়াখালী সদর, দুমকি, কলাপাড়া, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ।
- উজিনপুর, আগইলঝাড়া, মুলাবি, বাবুগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল সদর, হিজলা, বানারীপাড়া ও গৌরনদী।
- রাজাপুর, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি
- তাজমুদ্দিন, ভোলা সদর, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও দৌলতখান
বিভাগ চট্টগ্রাম
উপজেলা
- রাঙ্গামাটি সদর, ইউনিয়ন, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলা, বড়কুল উপজেলা, নানিয়ারচর উপজেলা, কাউখালী, লংঙ্গদু উপজেলা, বিলাইছড়ি উপজেলা, চূড়াছড়ি উপজেলা, কাপ্তাই উপজেলা।
- থানছি, আলী, কদম, রোহাংছড়ি, বন্দরবান সদর, নাইক্ষ্যছড়ি, লামা।
- নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, হাতিয়া, সেনবাগ, কবিরহাট।
- সরাইল, আখাউড়া, নাসিরনগর, বাঞ্জারামপুর, নবীনগড়, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সদর।
- রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর।
- শাহরাস্তি, চাঁদপুর সদর, মতলব(উঃ), ফরিদগঞ্জ, মতলব(উঃ), হাইমচর, কচুয়া ও হাজিগঞ্জ।
- গুইমারা, দিখিনালা, রামপুর, খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, লক্ষ্মীছুরি, রাঙ্গামাটি, মহালছুরি ও মানিকছড়ি।
- লালমাই, বড়ুয়া, তিতাস, ব্রাহ্মণপাড়া, লালন, নাঙ্গলকোট, বুড়িচং, মুরাদনগর, চান্দিনা, মেঘনা, চৌদ্দগ্রাম, মোহরগঞ্জ, কুমিল্লা সদর, দক্ষিণ লাকসাম, দাউদকান্দি, কুমিল্লা আদর্শ সদর, দেবিদ্বার, হোমনা।
- সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফেনী সদর ও ফুলগাজী।
- উখিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, রামু কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালী।
বিভাগ ঢাকা
উপজেলা
- ঢাকা মহানগর, ধামরাই, সাভার, দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ।
- জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, সৈয়দপুর সদর, ডামুডা, নারিয়া ও গোসাইরহাট।
- টঙ্গী, গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ।
- টুঙ্গিপাড়া, গোলাপগঞ্জ, সদর মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া।
- শিবপুর, বেলাপুর, রায়পুরা, মনোহরদী, পলাশ ও নরসিংদী সদর।
- তাড়াইল, অক্টোগ্রাম, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, নিকলী, ভৈরব, মিঠামইন, হোসেনপুর, কুলিয়ারচর, ইটনা, কিশোরগঞ্জ সদর, করিমগঞ্জ ও কটিয়াদী।
- রুপগঞ্জ, আড়াই হাজার, নারায়ণগঞ্জ সদর, সোনারগাঁও ও বন্দর।
- শিবচর, কালকিনি, রাজজৈর ও মাদারীপুর সদর।
- টুঙ্গিবাড়ি, গজারিয়া, শ্রীনগর, লৌহজং, সিরাজদিখান ও মুন্সিগঞ্জ সদর।
- সিংগাইর, দৌলতপুর, শিবালয়, ভিওর, সাটুরিয়া, হবিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর।
বিভাগ খুলনা
উপজেলা
আরো পড়ুনঃ হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে
- তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও কালীগঞ্জ।
- শরণখোলা, বাগেরহাট সদর, রামপুর, চিতলমারি, মোড়েলগঞ্জ, ফকিরহাট, মংলা, কচুয়া ও মোল্লাহাট।
- নড়াইল সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া।
- জীবননগর, আলমডাঙ্গা, দামুরহুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর।
- নড়াইল সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া।
- শার্শ, অভয়নগর, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া, যশোর সদর, চৌগাছা, কেশবপুর ও জিকলগাছা।
- মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর।
- শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ড, মহেশপুর, ঝিনাইদহ সদর, কোড চাঁদপুর ও কালীগঞ্জ।
- শ্রীপুর, মাগুরা সদর, শালিখা ও মোহাম্মদপুর।
- খুলনা মহানগর, বাটিয়াঘাটা, তেরখাদা, দাকোপ, রুপসা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, কয়রা ও পাইকগাছা।
- মিরপুর ভেড়ামারা কুষ্টিয়া সদর দৌলতপুর কুমারখালী ও খোকসা
বিভাগ রাজশাহী
উপজেলা
- উল্লাপাড়া, বেলকুচি, তারা চৌহালী, সিরাজগঞ্জ সদর, কামালখণ্ড, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও রায়গঞ্জ।
- সোনাতলা, আদমদিঘী, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শেরপুর, ধুনট, শাহজাহানপুর, দুপচাচিয়া, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, নন্দীগ্রাম ও কাহালু।
- রাজশাহী মহানগর, বাঘা, তানোর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, পাবা, চারঘাট, মেহেরপুর ও গোদাগাড়ী।
- সাপাহার, আত্রাই, রানীনগর, বদলগাছি, পোরশা, ধাম্রাই হাট, পত্নীতলা, মান্দা, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর ও নওগাঁ সদর।
- সুজানগর, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া বেড়া, পাবনা সদর, ভাঙ্গুড়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর ও ফরিদপুর।
- সিংড়া, বাঘহাতিপাড়া, নাটোর সদর, বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর ও লালপুর।
- শিবগঞ্জ, ভোলাই হাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর ও নাচোল।
বিভাগ রংপুর
উপজেলা
- ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, হরিপুর ও পীরগঞ্জ।
- পার্বত্যপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, বিরল, খানসামা, বোছাগঞ্জ, কাহারোল, চিড়িরবন্দর, হাকিমপুর, ফুলবাড়িয়া ও ঘোড়াঘাট।
- তারাগঞ্জ, বন্দরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর ও রংপুর সদর।
- সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী।
- তেতুলিয়া, আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবিগঞ্জ।
- উলিপুর, ভুরুঙ্গামারী, রমারী চর, রাজিবপুর, রাজারহাট, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও কুড়িগ্রাম সদর।
- সৈয়দপুর উপজেলা, ডিমলা, নীলফামারী সদর, ডোমার উপজেলা, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা।
- লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, আদিতমারি, লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ।
বিভাগ সিলেট
উপজেলা
- সিলেট মহানগর, বালাগঞ্জ, উসমানীনগর, বিয়ানীবাজার, যোগীগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কানায় হাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনহাট, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।
- শায়েস্তাগঞ্জ, আজমিরিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, বানিয়াচং, মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর।
- তাহিরপুর, বিশ্বস্তপুর, সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, সালল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, জগন্নাথপুর, ধরমশালা ও দোয়ারাবাজার।
- শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, রাজনগর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুলাউড়া।
বিভাগ ময়মনসিংহ
উপজেলা
- শ্রীবুদ্ধি, ঝিনাইগাতি, শেরপুর সদর, নগলা ও নালিতাবাড়ী।
- সরিষাবাড়ী উপজেলা, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, জামালপুর সদর ও মাদারগঞ্জ।
- পূর্বধলা, আটপাড়া, নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর, মদন, খালিয়াচুরি, কেন্দুয়া ও কমলাকান্দা।
- ত্রিশাল, ভালুকা, তারাকান্দা, ধোবাউড়া, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, নান্দাইল, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ সদর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা ২০২৪
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কর্মরত মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা ২০২৪ প্রকাশ করেছেন। চলুন দেখি নিই সেই তালিকা
বিভাগ বরিশাল
জেলা-উপজেলা
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সাজনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- পিরিজপুর- ন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, পিরোজপুর, সদর মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর।
- বরগুনা- তালতলী, বেতাগী, আমতলী, পাথরঘাটা, রামনা ও বগুড়া সদর।
- পটুয়াখালী- রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, বাউফল, পটুয়াখালী সদর, দুমকি, কলাপাড়া, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ।
- বরিশাল- উজিনপুর, আগইলঝাড়া, মুলাবি, বাবুগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল সদর, হিজলা, বানারীপাড়া ও গৌরনদী।
- ঝালকাঠি- রাজাপুর, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি
- ভোলা- তাজমুদ্দিন, ভোলা সদর, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও দৌলতখান
জেলা-উপজেলা
- রাঙ্গামাটি- রাঙ্গামাটি সদর, ইউনিয়ন, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলা, বড়কুল উপজেলা, নানিয়ারচর উপজেলা, কাউখালী, লংঙ্গদু উপজেলা, বিলাইছড়ি উপজেলা, চূড়াছড়ি উপজেলা, কাপ্তাই উপজেলা।
- বান্দরবান- থানছি, আলী, কদম, রোহাংছড়ি, বন্দরবান সদর, নাইক্ষ্যছড়ি, লামা।
- নোয়াখালী- নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, হাতিয়া, সেনবাগ, কবিরহাট।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া- সরাইল, আখাউড়া, নাসিরনগর, বাঞ্জারামপুর, নবীনগড়, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সদর।
- লক্ষীপুর- রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর।
- শাহরাস্তি, চাঁদপুর সদর, মতলব(উঃ), ফরিদগঞ্জ, মতলব(উঃ), হাইমচর, কচুয়া ও হাজিগঞ্জ।
- খাগড়াছড়ি- গুইমারা, দিখিনালা, রামপুর, খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, লক্ষ্মীছুরি, রাঙ্গামাটি, মহালছুরি ও মানিকছড়ি।
- কুমিল্লা- লালমাই, বড়ুয়া, তিতাস, ব্রাহ্মণপাড়া, লালন, নাঙ্গলকোট, বুড়িচং, মুরাদনগর, চান্দিনা, মেঘনা, চৌদ্দগ্রাম, মোহরগঞ্জ, কুমিল্লা সদর, দক্ষিণ লাকসাম, দাউদকান্দি, কুমিল্লা আদর্শ সদর, দেবিদ্বার, হোমনা।
- ফেনী- সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফেনী সদর ও ফুলগাজী।
- কক্সবাজার- উখিয়া, চকরিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, রামু কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালী।
বিভাগ ঢাকা
জেলা-উপজেলা
- টাঙ্গাইল-টাঙ্গাইল, সখিপুর, ভুলজাপুর, নগরপুর, দেলদুয়ার, মির্জাপুর, ধনবাড়ী, মধুপুর, ঘাটাইল, গোলাপপুর ও কালিহাতী
- ঢাকা- ঢাকা মহানগর, ধামরাই, সাভার, দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ।
- শরীয়তপুর- জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, সৈয়দপুর সদর, ডামুডা, নারিয়া ও গোসাইরহাট।
- গাজীপুর- টঙ্গী, গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ।
- গোলাপগঞ্জ- টুঙ্গিপাড়া, গোলাপগঞ্জ, সদর মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া।
- নরসিংদী- শিবপুর, বেলাপুর, রায়পুরা, মনোহরদী, পলাশ ও নরসিংদী সদর।
- কিশোরগঞ্জ- তাড়াইল, অক্টোগ্রাম, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, নিকলী, ভৈরব, মিঠামইন, হোসেনপুর, কুলিয়ারচর, ইটনা, কিশোরগঞ্জ সদর, করিমগঞ্জ ও কটিয়াদী।
- নারায়ণগঞ্জ- রুপগঞ্জ, আড়াই হাজার, নারায়ণগঞ্জ সদর, সোনারগাঁও ও বন্দর।
- মাদারীপুর- শিবচর, কালকিনি, রাজজৈর ও মাদারীপুর সদর।
- মুন্সিগঞ্জ- টুঙ্গিবাড়ি, গজারিয়া, শ্রীনগর, লৌহজং, সিরাজদিখান ও মুন্সিগঞ্জ সদর।
- মানিকগঞ্জ- সিংগাইর, দৌলতপুর, শিবালয়, ভিওর, সাটুরিয়া, হবিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর।
বিভাগ খুলনা
জেলা-উপজেলা
- সাতক্ষীরা- তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও কালীগঞ্জ।
- বাগেরহাট- শরণখোলা, বাগেরহাট সদর, রামপুর, চিতলমারি, মোড়েলগঞ্জ, ফকিরহাট, মংলা, কচুয়া ও মোল্লাহাট।
- নড়াইল- নড়াইল সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া।
- চুয়াডাঙ্গা- জীবননগর, আলমডাঙ্গা, দামুরহুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর।
- নড়াইল- নড়াইল সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া।
- যশোর- শার্শ, অভয়নগর, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া, যশোর সদর, চৌগাছা, কেশবপুর ও জিকলগাছা।
- মেহেরপুর- মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর।
- ঝিনাইদহ- শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ড, মহেশপুর, ঝিনাইদহ সদর, কোড চাঁদপুর ও কালীগঞ্জ।
- মাগুরা- শ্রীপুর, মাগুরা সদর, শালিখা ও মোহাম্মদপুর।
- খুলনা- খুলনা মহানগর, বাটিয়াঘাটা, তেরখাদা, দাকোপ, রুপসা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, কয়রা ও পাইকগাছা।
- কুষ্টিয়া- মিরপুর ভেড়ামারা কুষ্টিয়া সদর দৌলতপুর কুমারখালী ও খোকসা
বিভাগ রাজশাহী
জেলা-উপজেলা
আরো পড়ুনঃ জীবনের রঙিন স্বপ্ন ও বাস্তবতা স্বপ্ন
- শিবগঞ্জ- উল্লাপাড়া, বেলকুচি, তারা চৌহালী, সিরাজগঞ্জ সদর, কামালখণ্ড, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও রায়গঞ্জ।
- বগুড়া- সোনাতলা, আদমদিঘী, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শেরপুর, ধুনট, শাহজাহানপুর, দুপচাচিয়া, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, নন্দীগ্রাম ও কাহালু।
- রাজশাহী- রাজশাহী মহানগর, বাঘা, তানোর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, পাবা, চারঘাট, মেহেরপুর ও গোদাগাড়ী।
- নওগাঁ- সাপাহার, আত্রাই, রানীনগর, বদলগাছি, পোরশা, ধাম্রাই হাট, পত্নীতলা, মান্দা, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর ও নওগাঁ সদর।
- পাবনা- সুজানগর, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া বেড়া, পাবনা সদর, ভাঙ্গুড়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর ও ফরিদপুর।
- নাটোর- সিংড়া, বাঘহাতিপাড়া, নাটোর সদর, বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর ও লালপুর।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ- শিবগঞ্জ, ভোলাই হাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর ও নাচোল।
বিভাগ রংপুর
জেলা উপজেলা
- ঠাকুরগাঁও- ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, হরিপুর ও পীরগঞ্জ।
- দিনাজপুর- পার্বত্যপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, বিরল, খানসামা, বোছাগঞ্জ, কাহারোল, চিড়িরবন্দর, হাকিমপুর, ফুলবাড়িয়া ও ঘোড়াঘাট।
- রংপুর- তারাগঞ্জ, বন্দরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর ও রংপুর সদর।
- গাইবান্ধা- সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী।
- পঞ্চগড়- তেতুলিয়া, আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবিগঞ্জ।
- কুড়িগ্রাম- উলিপুর, ভুরুঙ্গামারী, রমারী চর, রাজিবপুর, রাজারহাট, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও কুড়িগ্রাম সদর।
- নীলফামারী- সৈয়দপুর উপজেলা, ডিমলা, নীলফামারী সদর, ডোমার উপজেলা, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা।
- লালমনিরহাট- লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, আদিতমারি, লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ।
বিভাগ সিলেট
জেলা-উপজেলা
- সিলেট- সিলেট মহানগর, বালাগঞ্জ, উসমানীনগর, বিয়ানীবাজার, যোগীগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কানায় হাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনহাট, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।
- হবিগঞ্জ- শায়েস্তাগঞ্জ, আজমিরিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, বানিয়াচং, মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর।
- সুনামগঞ্জ- তাহিরপুর, বিশ্বস্তপুর, সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, সালল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, জগন্নাথপুর, ধরমশালা ও দোয়ারাবাজার।
- মৌলভীবাজার- শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, রাজনগর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুলাউড়া।
বিভাগ ময়মনসিংহ
জেলা-উপজেলা
- শেরপুর- শ্রীবুদ্ধি, ঝিনাইগাতি, শেরপুর সদর, নগলা ও নালিতাবাড়ী।
- জামালপুর- সরিষাবাড়ী উপজেলা, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, জামালপুর সদর ও মাদারগঞ্জ।
- নেত্রকোনা- পূর্বধলা, আটপাড়া, নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর, মদন, খালিয়াচুরি, কেন্দুয়া ও কমলাকান্দা।
- ময়মনসিংহ- ত্রিশাল, ভালুকা, তারাকান্দা, ধোবাউড়া, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, নান্দাইল, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ সদর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ।
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কয়টি ও কি কি?
১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে তার স্বীকৃতি হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধের খেতাব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কয়টি ও কি কি? চলুন জেনে নিন। ১৩৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে খেতাব প্রদানের প্রস্তাব রাখেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী মে মাসে সরকারি মন্ত্রী সভায়।
১৬ই মে মন্ত্রিসভায় বীরত্ব প্রদানের এই কিতাবটি দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমতি দেয়। এ প্রকল্পে মোট চারটি পর্যায়ে খেতাব প্রদানের করা হয় যেমন-
সর্বোচ্চ পদঃ সর্বোচ্চ পদ এই খেতাবটি পেতে হলে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে অর্থাৎ মৃত্যুর ছুটি ছিল এমন এমন অবস্থায়ও দেশের ক্ষতিসাধনকারী দের সাথে যুদ্ধ বা মোকাবেলা করতে হবে।
উচ্চপদঃ উচ্চ পদ এ কিতাবটি অর্জন করতে হলে অবশ্যই দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশের জন্য কিছু করার যোগ্যতা থাকতে হবে তবে সর্বোচ্চ পদ এর তুলনায় কিছুটা কম।
প্রশংসিত পথঃ এ কিতাবটি অর্জন করতে হলেও উপরের দুইটি পদের মতো যোগ্যতা থাকতে হবে তবে তাদের চাইতে সামান্য কম।
বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রঃ উপরোক্ত তিনটি পদের তুলনায় কোন জীবন ঝুঁকির কাজ না করেও বীরত্ব মূলক কাজ করলে এ কেতাব দেয়া হয়।
উনি৭২ সালের ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখে বীরত্ব সূচকে খেতাবগুলোর নতুন নামকরণ করা হয় যেমন
- সর্বোচ্চ পদমর্যাদা খেতাব-বীরশ্রেষ্ঠ
- উচ্চপদ মর্যাদার খেতাব-বীর উত্তম
- প্রশংসনীয় পদমর্যাদার খেতাব-বীর বিক্রম
- বীরত্ব সূচক প্রশংসা পত্রের খেতাব-বীর প্রতীক
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কতজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কতজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন? হয়তো আমরা একথা অনেকেই জানিনা। চলুন জেনে নেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য কতটি সেক্টর গঠন করা হয়েছিল এবং সে দায়িত্বে কতজন কমান্ডো ছিলেন। নিম্নে বক্তব্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আশা করি উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
1971 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে লাখ লাখ বাঙালি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিল। স্বাধীনতা ও বিজয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলগত কারণে বাংলাদেশকে ১১ টি যুদ্ধ সেক্টর ভাগ করতে হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ই জানুয়ারির ১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরে যুদ্ধ অঞ্চলের অধিনায়কদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনে 11 টি যুদ্ধ সেক্টর বাংলাদেশকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১ নং নম্বর সেক্টরঃ তৎকালীন নোয়াখালী জেলা ফেনী পার্বত্য চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম নিয়ে ১ নম্বর সেক্টর গঠন করা হয়। এই এক নম্বর সেক্টরে দায়িত্ব পান মেজর রফিকুল ইসলাম। এর আগে এক নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব ছিল মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে।
২ নং নাম্বার সেক্টরঃ ফরিদপুর জেলা ঢাকা জেলা কুমিল্লা জেলার অংশ নিয়েই দুই নম্বর সেক্টর গঠিত হয়। আর এ সেক্টরে দায়িত্ব ছিলেন মেজর খালেদ মুসাররফ।
৩ নং নাম্বার সেক্টরঃ তিন নম্বর সেক্টর গঠিত হয় কুমিল্লা জেলার অংশ ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ নিয়ে। তিন নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর কে এম শফিউল্লাহ। পরবর্তী সময়কালে এ দায়িত্ব পালন করেন এ এম এন নুরুজ্জামান।
৪ নং নাম্বার সেক্টরঃ ৪ নম্বর সেক্টর গঠিত হয় সিলেট জেলার অংশ নিয়ে। আর এ সেক্টরে দায়িত্ব নেন মেজর সি আর দত্ত।
৫ নং নাম্বার সেক্টরঃ ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় ৫ নাম্বার সেক্টর এর দায়িত্ব পালন করেন মেজর মীর শওকত আলী।
৬ নং নাম্বার সেক্টরঃ ৬ নম্বর সেক্টর দিনাজপুর ও রংপুর জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয়। এই সেক্টরের দায়িত্ব পান উয়িন কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
৭ নং নাম্বার সেক্টরঃ পাবনা জেলা রংপুর রংপুর জেলার অংশ বগুড়া ও রাজশাহী জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় ৭ নাম্বার সেক্টর। এই সেক্টরের নেতৃত্ব দেন মেজর নাজমুল হক। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় সেপ্টেম্বর মাসে নিহত হলে এই দায়িত্ব পান লে কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান।
৮ নং নাম্বার সেক্টরঃ খুলনা যশোর কুমিল্লা বরিশাল ও ফরিদপুর জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় ৮ নম্বর সেক্টর নেতৃত্ব দেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। লে কর্নেল এম আগমন জোর ৮ ই আগস্ট এই সেক্টরের অধিনায়কের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
৯ নং নম্বর সেক্টরঃ ফরিদপুর পটুয়াখালী বরিশাল ও খুলনা জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় 9 নম্বর সেক্টর এর দায়িত্ব নেই মেজর আব্দুল জলিল। ইনার পরবর্তী সময়ে এই দায়িত্ব নেন মেজর জয়নুল আবেদীন।
১০ নং নাম্বার সেক্টরঃ ১০ নম্বর সেক্টর গঠন করা হয় প্রধান সেনাপতি নিয়ন্ত্রণে সমগ্র বাংলাদেশের নৌ সেক্টর।
১১ নং নম্বর সেক্টরঃ ময়মনসিংহ রংপুর ও সিলেট জেলার অংশ নিয়ে গঠিত হয় 11 নম্বর সেক্টর প্রথমে দায়িত্ব পালন করেন মেজর জিয়াউর রহমান পরবর্তী সময়ের দায়িত্ব পালন করেন মেজর আবু তাহের। সর্বশেষ এবং নম্বর সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেন হামিদুল্লাহ খান।
১৯৭১ সালে ৯ মাস যাবত ১১ সেক্টরের এ মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানে পাকহানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় ফিরিয়ে আনে।
মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তিটি কে?
মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম কেতাব প্রাপ্ত একজন বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন তিনি হলেন আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মোট ৬৭ জনকে এ উপাধি দেয়া হয়। সর্বশেষ এই উপাধি পান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ। মরণোত্তর সহ সর্বমোটবীর উত্তম ছিলেন ৬৯ জন।
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীন ও বিজয়ী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে শুধু পুরুষেরাই ভূমিকা রাখেননি এই যুদ্ধে নারীরাও সমান ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪ চলুন জেনে নিন।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের কাছ থেকে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন রাষ্ট্র করতে যে সকল নারী বীরত্ব ও সাহসিকতার ভূমিকা দিয়েছেন তাদেরকে বীর প্রতীক কেতাব দেয়া হয়। তারা ছিলেন দুইজন।
- ক্যাপ্টেন ডাক্তার আর রহমান
- তারামন বিবি
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বা সম্মানী ভাতা কত?
বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালে নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে দেশের মায়ায় মোহমিত সেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানী হিসেবে প্রতি মাসে ভাতা প্রদান করে থাকেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বা সম্মানী ভাতা কত? হয়তো আমরা তা জানি না।
তবে অবশ্যই আমাদের সকলের এই তথ্যটি জানা দরকার। বাংলাদেশ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের জন্য প্রতিমাসে ২০০০০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করে থাকেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেন।
আরো পড়ুনঃ শীতে পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
আমাদের দেশের জন্য নিজের জীবন বিসর্জনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যেন কোনো প্রকার কষ্ট ও জীবন চলতে অসুবিধা না হয় এর জন্য সকল ক্ষেত্রে বাস সেক্টরে তাদেরকে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার এ ভাতা নিতে যেন কোন প্রকার মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট না হয় এর জন্য ফোনে এ টাকা প্রদান করে থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ সুবিধা ২০২৪
বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের জন্য যে কষ্ট ও ত্যাগ দেখে গিয়েছে তা হয়তো আমরা কখনোই ফিরিয়ে দিতে পারব না। তারা যে আমাদের দেশের জন্য সাহসিকতা বীরত্ততা নিজের প্রাণের কোন মূল্যই না দিয়ে দেশের স্বাধীনতা আমাদের জন্য কতটা মূল্যবান তা দেখিয়ে গিয়েছে।
যারা এই স্বাধীনতা ও দেশের বিজয় নিয়ে এসেছে তারা অনেকেই হয়তো এই দুনিয়াতে বেছে নেই। এজন্যই আমাদের দেশের সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ সুবিধা ২০২৪ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা করেছেন যেমন-
- শিক্ষা ক্ষেত্রে কোটা
- চাকরি ক্ষেত্রে কোটা
- বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোটা
- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে কোটা
- মুক্তিযোদ্ধারাতে স্বজনদের ভাতা
- সম্মানী ভাতা প্রদান করে
- বাড়ি তৈরি তৈরি করে দেওয়া
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটা
- বিনা সুদে লোনের ব্যবস্থা
- বিভিন্ন প্রকারের বাহিনীতে যোগের কোটা
- বিনা খরচে বিদেশে যাওয়া সুবিধা
বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪
১৯৭১ সালে অসীম সাহসিকতা ত্যাগ আত্মত্যাগ পরিবারের ভালবাসা ও মোহ বিসর্জন করে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে যে সকল ব্যক্তিরা দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করেছিল তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কিছু খেতাব দ্বারা ভূষিত করার অনুমোদন দেয়। সেই অনুসারে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪জানুন এ পোস্টে। বীরশ্রেষ্ঠ খেতা প্রাপ্তি মুক্তিযোদ্ধা হলেন ৭জন।
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪
আমরা সকলেই ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সম্পর্কে জানি কিন্তু এর যুদ্ধের সময় কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কি খেতাবপ্রাপ্ত দেওয়া হয় তা আমরা হয়তো জানি না। চলুন জেনে নেই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোট কতজন ২০২৪
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে বর্তমানে বীরত্ব সূচকপ্রাপ্ত খেতাব গ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৫২ জন।
- বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তি- ৭ জন
- বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্তি- ১৭৪ জন
- বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্তি- ৬৭জন
- বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্তি- ৪২৪ জন
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত কে?
আমরা এমন এক স্বাধীন দেশের বসবাস করি যে দেশের লাখ লাখ জনগণ নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র পাক হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে স্বাধীন ও বিজয়ী করে নিয়ে এসেছে। কারা এই দেশকে স্বাধীন অভিজয় করেছে আমাদের সকলেরই উচিত তাদের সম্পর্কে জানা।
আরো পড়ুনঃ বেকারত্ব ছেলের জীবনের কথা বেকার ছেলে
এজন্যই আমি আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত কে? ছিলেন তার উত্তর দেব। তিনি ছিলেন জামালপুর সাব সেক্টর সেকেন্ড ইন কমান্ডো চার নম্বর সেক্টরের। পরবর্তী সময়ে তিনি সাবসেক্টর কমান্ডো ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামরিক সাহসিকতা বীরত্বতা ও ত্যাগের কারণে শহীদ খাজা নাজিম উদ্দিন ভুয়া কে বীর উত্তম খেতাব দ্বারা ভূষিত করা হয়।
লেখকের মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে বীর মুক্তিযুদ্ধদের নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি. আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে আমাদের স্বাধীনতা প্রদানকারী সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url