অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
আজকের আলোচ্য বিষয় অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম
টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৪, অনলাইনে কিভাবে টিকিট বাতিল করবেন এবং বাতিলকৃত টিকিটের টাকা
কিভাবে ফেরত পাবেন ইত্যাদি অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতির সম্পর্কে নিম্নে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে অনলাইনে টিকিট কাটা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়ম অনলাইনে
ট্রেনের টিকিট কেটে ট্রেন যাত্রা বা ট্রেন ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দময় ও আনন্দময় করতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে স্মার্ট ও আধুনিকায়ন করতে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক
পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরই প্রেক্ষিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেল ব্যবস্থাকে স্মার্ট ও
আধুনিক করার জন্য অনলাইনে etictet.railway.gov.bd ও "রেল সেবা" ওয়েবসাইট বা
অ্যাপস এ টিকিট কাটার নিয়ম জারি করেন। তবে এ ব্যবস্থার নতুন হাওয়ায় সাধারণ
মানুষের জন্য অনেক বেশি ভোগান্তি বা অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাদের জন্য আজ আমি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, টিকিট কাটতে কি কি
প্রয়োজন হয়, অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম, অনলাইনে টিকিট কাটার সময়,
রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম, টিকিট অনলাইনে ডাউনলোড করার নিয়ম, অনলাইন টিকিট বাতিল
করার পর টাকা ফেরত এর নিয়ম এবং কয় টাকা পাবেন ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য দেওয়ার
চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট উপরে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর নাম কি?
যাত্রীদের ট্রেন ভ্রমণ বা ট্রেন যাতায়াত বা ঈদে যাত্রীদের বাড়ি ফেরার সহজ ও নিরাপদ করার জন্য রেল
মন্ত্রণালয়ের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। টেনে
যাতায়াতকারী যাত্রীদের সহজে সঠিকভাবে এবং নিরাপদে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারে এর
জন্য অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করেছে।
এছাড়াও টিকিটের কালোবাজারি অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে ডিজিটাল ও
স্মার্ট করার জন্য সরকারি উদ্যোগে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যাত্রীদের ট্রেনের
টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন গ্যাঞ্জাম টিকিট না পাওয়া ভোগান্তি ইত্যাদি আরো
বিভিন্ন ভোগান্তি নিরসন নিরসন হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে। এখন আপনি বলতে পারেন
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর নাম কি?
এই অ্যাপের নাম হল "রেল সেবা"।
এটা আপনি মোবাইল ফোনের প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও রেলওয়ে
মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনি টিকিট কাটতে
পারেন। এটা হল রেলওয়ে ই টিকিট
etictet.railway.gov.bd.। আপনি এই
লিংকে গিয়ে আপনার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে যেকোনো সময় যে কোন স্থানে টিকিট কাটতে
পারবেন।
ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে?
ট্রেন যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ আরামদায়ক আনন্দময় হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক মানুষই এ
যাতায়াত ব্যবস্থাকেই বেশিরভাগ বেছে নেয়। তবে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল
ও স্মার্ট করার উদ্দেশ্যে নতুন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম করেছে। এ
নিয়ম ব্যতীত আপনি কখনোও ট্রেন ভ্রমণ বা যাতায়াত করতে পারবেন না। চলুন জেনে নেই
ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর ও সমাধান-
- প্রাপ্ত বয়স্ক বা ১৮ বছর ব্যক্তিদের জন্য এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড নম্বর লাগবে। এ ব্যতীত আপনি কখনোই অনলাইনে টিকিট কাটতে বা যাতায়াত করতে পারবেন না।
- অপ্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছরের নিচে বাচ্চাদের জন্য জন্ম নিবন্ধন পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর প্রয়োজন হবে এর ব্যতীত কখনো ট্রেন ভ্রমণ বা যাতায়াত করতে পারবেনা।
- প্রবাসী ব্যক্তিদের জন্য ট্রেন ভ্রমণ বা যাতায়াত বাংলাদেশ করতে চাইলে অবশ্যই পাসপোর্ট দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে।
- অনলাইনে টিকিট বা কাউন্টারে টিকিট কাটতে ও ট্রেনে যাতায়াতের সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সঙ্গে রাখতে হবে।
- অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনাকে অবশ্যই ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হবে।
- আপনার ব্যবহারিত ফোন নম্বর।
- আপনি যেখানে বসবাস করেন সেখানকার ঠিকানা ও পোস্টা কোড।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি কার্ডের নম্বর
জন্মতারিখ ইত্যাদি তথ্য দেওয়ার পর টিকিট কাটতে হবে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত
দেয়া হয়েছে।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইন সময়
দূরদূরান্ত পথ কম খরচে আনন্দময়, স্বাচ্ছন্দ ও আরামদায়ক ভাবে যাতায়াত করতে আমরা
অনেকেই ট্রেন যাতায়াতকে বেছে নিন। বর্তমানে অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থার কারণে আমরা
ঘরে বসে কিংবা যেখানে সেখানে বসেই টিকিট কাটতে পারছি। এছাড়াও লম্বা লাইন টিকিট
ভোগান্তি কালোবাজারি ধাক্কাধাক্কি ইত্যাদি অসুবিধা থেকে নিস্তার পাওয়ায় আমরা
অনেকেই ট্রেন যাতায়াতকে শীর্ষে রাখছি।
আমরা অনেকেই মনে করি টেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে আমরা যেকোনো সময় কাটতে পারি
কিন্তু আপনাদের এ ধারণাটি ভুল। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইন সময় রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আপনি অনলাইনে টিনের অগ্রিম টিকেট কাটতে চাইলে
আপনি রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা মধ্য কোন প্রকার টিকিট কাটতে পারবেন না।
অর্থাৎ অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে পাঁচ দিন আগে
সকাল ৭টা থেকে রাত ১১ঃ৪৯ মিনিট সময়ের মধ্যেটিকিট কাটতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে
যে কোন সময় সরাসরি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে যেকোনো সময়ের টিকিট বা অগ্রিম টিকিট
কাটতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমান ভাড়া ২০২৪
অনলাইনে অগ্রিম টিকিট কাটতে চাইলে পূর্বের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে নিদর্শনা ছিল
রেল যাতায়াতকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই ১০ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবের। তবে
যাত্রীবাহীদের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৯ মার্চ ২০ ২১ সালে এ নিয়ম পরিবর্তন
করে পাঁচ দিন আগে অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়মের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়
আমরা অনেকেই মনে করি অনলাইনে যেকোনো সময় অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় টিকিট
কাটতে পারব। তবে আপনার এ ধারণাটি ভুল। আপনাকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়
সম্পর্কে না জানলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। আপনি অনলাইনে টিকিট কাটতে চাইলে
অবশ্যই আপনাকে সকাল ৭টা ৫৯ অর্থাৎ সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টার মধ্য টিকিট কাটতে
হবে।
এর পরবর্তী সময়গুলোতে আপনি টিকিট কাটতে পারবেন না। আপনি চাইলে যেকোনো সময়
স্টেশনে গিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক
হলে পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড ও নিজের জন্ম নিবন্ধন সহকারে রেলওয়ে টিকিট
কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যেকোনো সময়।
ট্রেনের টিকেট কত দিন আগে বুক করা যায়?
আমরা অনেকে আছি যারা ট্রেনে ভ্রমণ কিংবা ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন যাতায়াত
বেছে নেই। আপনি যদি ট্রেনে যাতায়াত বা ভ্রমণ আরামদায়ক ও আনন্দময় করতে চান
তাহলে আপনার অবশ্যই জানা দরকার ট্রেনের টিকেট কত দিন আগে বুক করা যায়? আপনি যদি এ
বিষয়ে সঠিক তথ্য না জেনে ট্রেনে ভ্রমণ বা যাতায়াত করেন তাহলে আপনি অনেক বেশি
ভোগান্তিতে পড়বেন।
কারণ আগে টিকিট বুক না করলে আপনি সিট না পেয়ে পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে যাওয়ার মত
সমস্যায় ভুগতে পারেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। বাংলাদেশ
রেল কর্তৃপক্ষ তথ্য অনুসারে পূর্বে ১০ দিন আগে কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কোন
তারিখের জন্য টেনের টিকিট বুক করে রাখে তাহলে অবশ্যই তিনি টিকিট ও সিট পাবে। তবে
এ সময় অনেক লম্বা হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এ সময় ১০
দিনের পরিবর্তে ৫দিন করা হবে।
ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের জনগণকে বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং দেশের
মানুষকে আধুনিক করার জন্য ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন
ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার
ট্রেনের টিকিট কাটাকে অনলাইনে বা স্মার্ট ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে।
এতে যেমন দেশের জনগণ ট্রেনের টিকিট কাটতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি
পাচ্ছে তেমনি সহজে কোন প্রকার লম্বা লাইন ব্যতীত ঘরে বসেই যে কোন সময় আনন্দময়
এর ট্রেন যাতায়াতের টিকিট কাটতে পারছে। তবে এ ব্যবস্থা নতুন হওয়ায় অনেকেই
জানিনা কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় এবং এর রেজিস্ট্রেশন করতে। এর জন্যই আজ
আমি আপনাদের মাঝে ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানাবো। চলুন জেনে নিন বিভিন্ন ধাপের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন
করার নিয়ম-
ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ধাপ-১ঃ অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য
আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে
etictet.railway.gov.bd. বা
"রেল সেবা" যেতে হবে। সেখান থেকে
Register অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ধাপ-২ঃ Register অপশনে
ক্লিক করলে আপনার সামনে নিমুক্ত একটি বক্স আসবে যেখানে আপনার কাছে আপনার সচল
মোবাইল নাম্বার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর জন্ম তারিখ চাইবে। আপনাকে এগুলো সঠিক
তথ্য প্রদান করতে হবে। সকল তথ্যপ্রধান হয়ে আসলে I`m not a robot অপশনে
ক্লিক। করতে হবে ক্লিক করার পর Verify করতে হবে। ভেরিফাই হওয়ার পর
SUBMIT DATA অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ধাপ-৩ঃ সকল তথ্যগুলো রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে সাবমিট হওয়ার পর। আপনার সামনে আরো একটি বক্স আসবে
যেখানে আপনাকে পুনরায় মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর, জন্ম তারিখ,
ইমেইল এড্রেস, পোস্টা কোড, বর্তমান ঠিকানা, যেকোনো আট সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিতে
হবে। সম্পূর্ণ তথ্য পূরণ হওয়ার পর COMPLETE REGISTATION অপশনে ক্লিক করে
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ধাপ-৪ঃ আপনাকে ভেরিফাই করার জন্য
আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড আসবে সে কোডটি নিম্নোক্ত
বক্সে তিন মিনিট সময়ের মধ্যে দিতে হবে। কোডটি দেওয়া শেষে
CONTINU অপশনে ক্লিক করবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
বাংলাদেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ২৬ শে মার্চ ২০২২ সালে নতুন নিয়মে ট্রেনের
টিকিট কাটার আদেশ জারি করে। পূর্বের নিয়মে টিকিট কাটার সকল রেজিস্ট্রেশন
বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে আপনাকে ট্রেন ভ্রমণ বা যাতায়াতের জন্য নতুন
নিয়মের টিকিট কাটতে হবে। চলুন জেনে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪-
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-১ঃ অনলাইনে টিকিট কাটতে চাইলে
প্রথমে আপনাকে যে কোন একটি ব্রাউজারে যেতে হবে। ধরুন আপনি google
ব্রাউজারে গিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ওয়েবসাইটে বা অ্যাপস
etictet.railway.gov.bd ও "রেল সেবা" যেতে হবে।
এরপর আপনার সামনে এমন একটি বক্স আসবে। যেখানে আপনাকে তথ্য দিতে হবে আপনি কোথা
থেকে কোথায় যেতে চাচ্ছেন কত তারিখে টিকিট নিতে যাচ্ছেন কোন শ্রেণীর টিকিট
নেবেন ইত্যাদি তথ্যগুলো দেয়ার পর SEARCE TICKETS অপশনে ক্লিক করবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-২ঃ এবার আপনার সামনে নিম্নতো
এমন একটি বক্স আসবে যেখানে আপনার কাছে চাইবে আপনি কোন ট্রেনে যেতে চাচ্ছেন,
ধরুন আপনি বনলতা এক্সপ্রেস(BANALATA EXPRESS-792) ট্রেনে যেতে চাচ্ছেন
তাহলে আপনাকে এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৩ঃ এবার আপনার সামনে এমন একটি
বক্স আসবে যেখানে আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কোন সেটে অর্থাৎ কত নম্বর সিটে
যাতায়াত করতে চাচ্ছেন। নিম্ন তো চিত্র অনুসারে আপনি যেকোনো একটি সিটের অপশনে
ক্লিক করতে পারেন। সিট হয়ে যাচাই করা হয় আসলে আপনাকে
CONTINUE PURCHES অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৪ঃ এবার আপনি স্ক্রল করতে
করতে নিচের দিকে আসবেন। যেখানে আপনার কাছে টিকিটের টাকা পরিষদের জন্য নগদ
বিকাশ বা রকেট আসবে। আপনি যে মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে চান সেই মাধ্যমটি
বেছে নেবেন এবং CONFIRM PURCHASE অপশনে ক্লিক করবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৫ঃ ধরুন আপনি বিকাশে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে যাচ্ছেন তাহলে আপনাকে বিকাশ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে আপনার সামনে নিম্নত একটি
বক্স আসবে যেখানে আপনার কাছে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার চাইবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৬ঃ বিকাশ নাম্বার দেওয়া
হলে ফোনে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে সেই কোডটি নিহত অপশনে বসিয়ে দেবেন
এবং VERIFY অপশন এ ক্লিক করবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৭ঃ ক্লিক করার সাথে
আপনার টিকিট কনফার্ম হয়ে এবং নিম্নত্র একটি ডেসক্রিপশন বা তথ্য বলি
আপনার সামনে আসবে। এখান থেকে আপনি আপনার টিকিট দিয়ে প্রিন্ট করতে
পারবেন।টিকিট প্রিন্ট করার জন্য Print Your Tickets Now অপশন এ
ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ধাপ-৮ঃ ক্লিক করার পর আপনার
সামনে নিম্ন তো আরেকটি বক্স আসবে যেখানে আপনাকে POF নামক একটি
অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করে টিকিটটি সেভ করে নেবেন। আপনার যদি
নিজের সব প্রিন্টার থাকে তাহলে টিকিট টিফিন করে নেবেন তা না হলে যে কোন
কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্ট করে নেবেন।
উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি অনলাইনে ঘরে বসে ট্রেনের
টিকিট কাটতে পারবেন।
ট্রেনের টিকেট কিভাবে ডাউনলোড করব?
ট্রেন ভ্রমণের জন্য বর্তমানে অনলাইনে টেনের টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক হয়ে
গিয়েছে। তবে এ ব্যবস্থা সঙ্গে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত না থাকার কারণে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটি সমস্যা হলো
আমরা অনেকেই ট্রেনের টিকিট কাটার পর তা ডাউনলোড করতে ভুলে যায়। আপনি যদি
ট্রেনের টিকিট কাটার পর ডাউনলোড করে না নিন তাহলে আপনি ট্রেন ভ্রমণ বা
যাত্রা করতে পারবেন না।
কারণ আপনি যখন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন তখন আপনার টিকিটটি অনলাইনে
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রদান করে। আপনি যখন টিকিটটি ডাউনলোড করবেন তখন
সেখানে প্রিন্ট অপশন আসবে আপনি কম্পিউটারের দোকানে বা আপনার যদি নিজেই
প্রিন্টার মেশিন থাকে তাহলে প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করে প্রিন্ট করে নিতে
পারেন। এ পোস্টের মধ্যে আমি ট্রেনের টিকেট কিভাবে ডাউনলোড করব? আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লেজানতে পারবেন।
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৪
উপরেই আমি অনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় এর নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি।অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৪ চান তাহলে
উপরোক্ত নিয়ম অনুসারে অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। আপনি যদি অগ্রিম টিকিট
কাটতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত তারিখের পাঁচ দিন আগে আপনাকে টিকিট
বুকিং করে রাখতে হবে।
তা না হলে আপনি সেই তারিখে টিকিট নাও পেতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি ১০শে
ডিসেম্বর ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর ৫ দিন আগে
অর্থাৎ ৫ই ডিসেম্বর অগ্রিম টিকিটের জন্য বুকিং দিয়ে রাখতে হবে।
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
বর্তমানে রেলওয়ে ব্যবস্থাকে স্মার্ট এবং আধুনিক করার জন্য অনলাইনে টিকিট
কাটার পদ্ধতি চালু হয়েছে। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটেন এবং কোন কারণে
তা ফেরত দিতে চান তাহলে কিভাবে তা বাতিল করবেন অনলাইনে এবং টাকা কিভাবে
ফেরত পাবেন তার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি সঠিক তথ্য না জানেন তাহলে
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নিই ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার
নিয়ম ২০২৪ সাল-
ধাপ-১ঃ প্রথমে আপনি যে ওয়েবসাইট বা অ্যাপস থেকে টিকিট ক্রয়
করেছেন সে অ্যাপে ঢুকবেন। ধরুন আপনি
etictet.railway.gov.bd ও "রেল সেবা" ঢুকেছেন। এরপর আপনি
নিম্নচিত্র অনুসারে অপশন প্রথম My Tickets ক্লিক করবেন এরপর
CANCEL TICKET ক্লিক করবেন।
ধাপ-২ঃ তৃতীয় ধাপে আপনার সামনে নিম্নচিত্র অনুসারে একটি বক্সে
আসবে সেখানে আপনার টিকিট বিষয়ক কিছু তথ্য আসবে অর্থাৎ আপনি কয় টাকা
দিয়ে টিকিট কিনেছেন, টিকিট বাবদ কয় টাকা সার্ভিস চার্জ কাটা হয়েছে
তাতে আরও বিভিন্ন তথ্য আসবে। এখানে আপনাকে CONFIRM CANCELLATION
অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-৩ঃ এরপর নিম্ন তো বক্স অনুসারে আপনার সামনে একটি বক্স আসবে
যেখানে আপনার কাছে ভেরিফিকেশন কোড চাইবে। এই কোডটি আপনি টিকিট কাটার সময়
যে ফোন নাম্বারটি দিয়েছেন সেই নাম্বারে এসএমএস যাবে। নিম্নের স্থানে ৬
ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোডটি বসাবেন এবং VERIFY অপশনে ক্লিক
করবেন।
ধাপ-৪ঃ চতুর্থ ও শেষ ধাপে আপনার সামনে নিম্নোক্ত একটি বক্স আসবে
সে বক্স OKAY অপশনেকনে ক্লিক করলে আপনার ট্রেনের টিকিট ফেরত
দেওয়ার পদ্ধতি শেষ হয়ে যাবে এরপর। আপনি যে মাধ্যমে পেমেন্ট করেছেন সে
মাধ্যমে আপনার টাকা ফেরত আসবে। তবে এ টাকা কবে ফিরে আসবে তা নির্দিষ্ট
কোন সময় ফিল করতে কখন জানাননি। তবে আনুমানিকভাবে।৫ থেকে ৭ দিনের ভেতরে
টাকা ফেরত চলে আসবে।
যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট বা রেলওয়ে সেবা অ্যাপস
থেকে টিকিট কাটবে মূলত তারাই ট্রেনের টিকিট বাতিল বা ফেরত পাবে। তবে
আপনি যদি অনলাইন থেকে টিকিট কেটে স্টেশনে গিয়ে ছিরে ফেললে অনলাইনে
টিকিটটি আর বাতিল বা ফের ত দিতে পারবেন না।
ট্রেনের টিকিট ফেরত দিলে কত টাকা পাওয়া যাবে?
আপনার অনেকেই জানতে চান অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দিলে কত টাকা পাওয়া যাবে? বা বাতিল করলে কত টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যায়। আপনি অনলাইনে টিকিট
কাটার সময় পেমেন্ট গেটওয়ে যে মাধ্যমে অর্থাৎ বিকাশ, রকেট, বা নগদ
পেমেন্ট করেছেন আপনার রিফান্ডেবল টাকা সেই পেমেন্ট গেটের মাধ্যমে ফিরে
আসবে।
তবে রিফান্ডেবল টাকা কত দিনের ভেতরে ফেরত আসবে তা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ
বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি। তবে আনুমানিকভাবে পাঁচ থেকে সাত দিনের ভেতরে
টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
- আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কেনার ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে বাতিল তাহলে আপনার পেমেন্টের ১০% অথবা ৪০ টাকা পর্যন্ত কেটে রাখবে। তবে টিকিট কাটার সময় অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের চার্জ কাটা হয় এ চার্জগুলো আপনি ফেরত পাবেন না।আপনার টিকিটের আসল মূল্য থেকে ১০% কেটে আপনাকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
- ধরুন আপনার ট্রেনের টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা যেখানে সার্ভিস ২০ টাকা চার্জ সহ টিকিটের মোট মূল্য দাড়ায় ২২০ টাকা। কিন্তু আপনাকে রিফান্ড দেওয়ার সময় ২০০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেটে ১৪০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
- আপনি যদি ট্রেনের টিকিট কাটার ২৪ ঘন্টা পর বাতিল করেন ভাড়া থেকে ২৫% পর্যন্ত কাটা হবে। ১২ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়া থেকে ৫০% কাটা হবে।
- ৬ ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে ভাড়া থেকে৭৫% কাটা হবে
- ট্রেনে চলা ৬ ঘন্টার কম সময় আগে যদি আপনি ট্রেনের টিকিটের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার সে আবেদন গ্রহণ অর্থাৎ টিকিট বাতিল করলে আপনাকে কোন প্রকার টাকা ফেরত দেয়া হবে না।
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বটন আজকে এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার
নিয়ম রেজিস্ট্রেশন টাকা ফেরত টিকিট বাতিল ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে
কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরেও সম্পন্ন পোস্টে পড়ে
আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে অনলাইনে টিকিট
কাটার পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করুন। এমন আরও তথ্য জানতে
আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url