মশা তাড়ানোর উপায় কি-মশা মারার স্প্রে নাম

আপনি যদি মশা বাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য মশা তাড়ানোর উপায় কি-মশা মারার স্প্রে নাম, কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় ইত্যাদি আরো মশা চিরতরে বাড়ি থেকে তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
মশা তাড়ানোর উপায় কি-মশা মারার স্প্রে নাম
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি মশার উৎপাত ও মশা জনিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির জন্য চিরতরে মশা তাড়ানোর সঠিক উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার পরিবারকে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা করতে পারবেন।

ভূমিকা

মশার উৎপাতে বিরক্ত নয় এমন পরিবার পাওয়া হয়তো মুশকিল। তবে এর উৎপাতের চাইতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মশা থেকে হওয়া মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ। যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়। এর থেকে আমরা সকলেই এর থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য বাজার হতে বিভিন্ন ধরনের মশা মারার বা তাড়ানোর উপকরণ বা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি।
তবে বাংলাদেশ মশা তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা মাত্রা অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ও কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন কয়েলে। যা আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ও রোগ সৃষ্টি করে।

আজ আমি আপনাদের মাঝে মশা তাড়ানোর ঘরোয়া ভাবে তৈরি প্রাকৃতিক কিছু সহজ উপকরণ দিয়ে জাগ্রত সময়ের ভেতরে আপনার বাড়ি থেকে মশা তাড়িয়ে দেবে কোন প্রকার আপনার স্বাস্থ্য ক্ষতি সাধন না করে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে মশার তাড়ানোর সঠিক উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

মশা তাড়ানোর উপায় কি-মশা মারার স্প্রে নাম

ঘরে কিংবা বাইরে মশার বিস্তার ও উৎপাত দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর থেকে নিস্তার পেতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। তবে আমরা বেশিরভাগ মশা থেকে নিস্তার পেতে কয়েল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই কয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ও বাচ্চাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ছয় থেকে সাত ঘন্টা কয়েল জ্বালানোর ফলে ১৪০টি সিগারেট থেকে যে ধোয়া উৎপন্ন হয় সে পরিমাণ ধোয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।

তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন কয়েল আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তবে মশা কামড়ানোর ফলে এর দ্বারা তৈরি বিভিন্ন জীবাণু আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে যেমন চিকুনগুনিয়া, পিত জ্বর, ম্যালেরিয়া, জিকা ভাইরাস, ফাইলেরিয়া এছাড়াও মশার এই কামড় আমাদের অনেকের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। এজন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে মশা তাড়ানোর উপায় কি-মশা মারার স্প্রে নাম নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করব

মশা তাড়ানোর উপায় কি

ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে মশার উৎপাত ও মশা থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিম্নে মশা তাড়ানোর উপায় কি সেগুলো সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

জমানো পানি: বাড়ির আনাচে-কানাচে কোন স্থানে জমে থাকা পানি রাখা যাবে না কারণ মশা মূলত বংশবিস্তার এ জমে থাকা পানি থেকে করে। এর জন্য আপনি যদি ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে মশার বিস্তার ঠেকাতে চান এবং মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে চান তাহলে কোন স্থানে জমে থাকা পানি দেখলেই সেটা পরিষ্কার করে ফেলে দেবেন। এটা সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি মশা তাড়ানোর।

নারিকেলের আঁশ: নারিকেলের আঁশ মশা তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকরী। এর জন্য আপনি নারিকেলের ওপরের শক্ত অংশ বা আজকে ভালো করে শুকিয়ে ছোট টুকরো করে ধূপদানিতে রেখে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট আগুন ধরিয়ে রাখুন দেখবেন পুরো ঘর থেকে মশা পালিয়ে গিয়েছে।

রঙিন কাপড়: কিছু কিছু মশা রয়েছে সেগুলো রঙিন কাপড় দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং সে সকল ব্যক্তিকে বেশি কামড়ায়। মশা লাল, কালো ও নীল এমন ধরনের কাপড় দ্বারা বেশি আকৃষ্ট হয়। এজন্য এ ধরনের কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাকুন এবং হালকা রঙের কাপড় পরিধান করুন।

নিমের তেল: নিমে যেহেতু এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিফাঙ্গাস ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এর জন্য এর গন্ধ পোকামাকড় কিংবা মশা একেবারে সহ্য করতে পারে না। মশার কামড় থেকে নিস্তার পেতে সম্পূর্ণ শরীরে নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও আপনি ঘরের আনাচে-কানাচে নিমের তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে বাড়িতে মশা প্রবেশ করতে পারবে না।

নিম পাতা পোড়ানো: নিমপাতা যা মশা তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকরী। আপনি যাতে শুধুমাত্র নিম পাতার একটি ডাল বাড়িতে রাখেন তাহলেও আপনার বাড়ি থেকে অনেকটা মশার উৎপাত কমে যাবে এছাড়াও আপনি একেবারেই বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে চাইলে নিমপাতা শুকনো করে ধূপদানিতে কিছুক্ষণ আগুন জ্বালিয়ে রেখে দিন দেখবেন ঘর থেকে সকল মশা পালিয়ে গিয়েছে।

লেবু ও লবঙ্গ: লেবু ও লবঙ্গের গন্ধ মশার যম। এর জন্য একটি লেবুকে অর্ধেক করে নিন এবং লবঙ্গের ফুলের অংশটি উপরের দিকে রেখে 6 থেকে সাতটি লবঙ্গ লেবুতে গেথে দিন। এভাবে টুকরো করা লেবুগুলো ঘরের আনাচে-কানাচে কিছুদিন রেখে দিন দেখবেন ঘর থেকে মশা পালিয়ে গিয়েছে।

ক্যাটনিপ ওয়েল: ক্যাটনেট অয়েল যা শরীরে লাগালে মশা আপনার ধারের কাছেও ঘেষবে না। এটি এমন এক ধরনের তেল যা যার গন্ধ মশা একেবারে সহ্য করতে পারে না এবং দূরে পালিয়ে যায়।

কর্পূর: কর্পূর মশা তাড়ানোর বেশ কার্যকারী পদ্ধতি এটি। একটি পাত্রে ৫০ গ্রাম কর্পূর এর ট্যাবলেট নিয়ে পানি দ্বারা পূর্ণ করে ঘরের কোনায় কোনায় রেখে দিন। দুই থেকে তিন দিন পর পানি পরিবর্তন করবেন। দেখবেন কিছুদিনের ভেতরে বাড়ি থেকে মশা একেবারে দূর হয়ে গিয়েছে।

হলুদ বাল্ব লাগানো: মশা মূলত হলুদ আলো থেকে দূরে থাকে অর্থাৎ হলুদ আলো মশার একেবারে সহ্য হয় না। এজন্য মশার উৎপাত কমাতে চাইলে আপনি বাড়িতে এবং বাড়ির বাইরে হলুদ বাল্ব গুলো লাগাতে পারেন। অথবা বাল্বে ও হলুদ কালারের সেলোটেপ দিয়ে জড়িয়ে জ্বালাতে পারেন এতেও হলুদ আলো বের হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যের পরে ঘরে এবং ঘরের বাইরে হলুদ বাল্ব জানাবেন এতে অনেকটাই মশার উৎপাত কমে যাবে।

তুলসির গাছ: পুদিনা পাতা, লেমন গ্রাস ইত্যাদি পাতার মতো তুলসী পাতার গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। এর জন্য আপনি আপনার ঘরের কিংবা ঘরের বাইরে চারিপাশে টপে অথবা টপে তুলসির পাতা লাগিয়ে জানালার ধারে কিংবা মাটিতে তুলসী পাতার গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে আপনার ঘরে মশা প্রবেশ করবে না।

চা পাতা পোড়ানো: ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে, কাঠ কয়লা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ওপর দিয়ে শুকনো চা পাতার গুড়াগুলো ছিটিয়ে দিতে পারেন এতে যে ধোয়া হবে এর প্রভাবে ঘর থেকে সকল মশা ও মাছি পালিয়ে যাবে।

নারিকেলের তেল: নারিকেলের তেল ও নিমপাতার তেল একসঙ্গে সমপরিমাণে মিশে ত্বকে ও সম্পূর্ণ শরীরে লাগিয়ে নিতে পারেন এতে মশার কামড় থেকে রেহাই পাবেন।

পুদিনা পাতার: জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলজির এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে পুদিনা পাতায় রয়েছে মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষমতা। এর জন্য আপনি কয়েকটি পুদিনা পাতা পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে এর গন্ধ পুরো ঘরে ছুরি দিতে পারেন 

এছাড়াও আপনি কয়টি পুদিনা পাতায় একটি পানি ভর্তি পাত্রে কিছু দিনের জন্য রেখে দিতে পারেন এর গন্ধে মশা এবং বিভিন্ন পোকামাকড় বাড়ি থেকে সহজে দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি পুদিনা পাতার তেল তৈরি করে পুরো শরীরে মাখতে পারেন এতে আপনার শরীরে মশা কামড়াবে না।

পেপারমিন্ট অয়েল: পেপারমেন্ট অয়েল মশা তাড়ানোর জন্য দারুন একটি উপায়। এটির সুগন্ধ অনেক সুন্দর এবং মশাও দ্রুত তাড়ানোর কাজ করে

তেজপাতা: একটি মাটির পাত্রে সাত থেকে আটটি ঘি মাখানো তেজপাতা নিয়ে নিবেন এরপর তেজপাতা গুলো আগুন জ্বালাবেন। আগুন যখন জ্বলে উঠবে তখন ওপর দিয়ে কর্পূর অল্প অল্প করে ছিটিয়ে দেবেন এভাবে যতক্ষণ আগুন জ্বলবে ততক্ষণ অল্প অল্প করে কর্পূর দিতে থাকবেন দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো ঘরে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়েছে এই সুগন্ধি আপনার ভালো লাগলে মশাদের একেবারেই পছন্দ হবে না ফলে ঘর থেকে সকল মশা বেরিয়ে যাবে এবং মারা যাবে।

লেমন গ্রাস: লেমন গ্রাস এমন এক ধরনের গাছ যে কাছে রয়েছে সাইট্রোনেলা অয়েল এর সুগন্ধ এতটাই শক্তিশালী যে এর গন্ধে মশা আশেপাশে থাকতে পারেনা। এজন্য আপনি ছোট টবে থাই লেমন গ্রাস বাড়ির আশেপাশে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে ঘরের ভেতরে মশা কিছুতেই প্রবেশ করতে পারবে না।

ইউক্যালিপটার তেল: আপনি মশা তাড়ানোর জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন এই তেলটির সুগন্ধ অনেক সুন্দর এবং এর গন্ধে মশা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না। 

ফ্যান চালু রেখে: মশা যেহেতু অনেক বেশি হালকা এজন্য ফ্যানের বাতাসে উড়তে পারে না ফলে মশা ঘরে বাইরে চলে যায়। আবার অনেক সময় দ্রুত ফ্যান চলার কারণে ফ্যানের পাখায় মশা মারা যায়।

ঘরোয়া ভাবে তৈরি মশা মারার স্পেন নাম

কোন প্রকার ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার না করে শুধুমাত্র ঘরোয়া ভাবে প্রাকৃতিক কিছু সামান্য উপকরণ দিয়ে আপনি খুব সহজেই মশা তাড়ানোর স্প্রে তৈরি করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই ঘরোয়া ভাবে তৈরি মশা মারার স্পেন নাম গুলো ও তৈরি পদ্ধতি-

রসুনের স্প্রে: একটা রসুনকে কুচিকুচি করে অথবা আস্ত রসুন দুই গ্লাস পানিতে ভালো করে সিদ্ধ করে নেবেন এবং পানি ছেকে নেবেন। স্প্রে বোতলে পানি গুলো ঢেলে বাড়ির আনাচে কানাচে ছিটিয়ে দেবেন দেখবেন বাড়িতে মশার উৎপাত কমে গেছে।

সুগন্ধি স্প্রে: যে কোন ধরনের সুগন্ধি মশা সহ্য করতে পারে না। এর জন্য আপনি গায়ে যে কোন ধরনের সুগন্ধি লাগিয়ে রাখতে পারেন ফলে আপনাকে মশা কামড়াবে না।

নিম পাতার স্প্রে: ৩০ থেকে ৪০টি নিমপাতা দুই গ্লাস পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নেবেন। পানি ঠান্ডা হয়ে আসলে ছাকনি দিয়ে ছেকে নেবেন এবং স্প্রে বোতলে ঢেলে বাড়ির আশেপাশে ছেটাবেন এছাড়াও আপনি নিম পাতার গুড়া করে পানির সাথে গুলিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

পুদিনা পাতার স্প্রে: পুদিনা পাতার গন্ধ মশা যম। মশা তাড়ানোর জন্য আপনি পানি ভর্তি একটি পাত্রে সাত থেকে আটটি পুদিনা পাতা তিন চার দিনের জন্য যে কোন স্থানে রেখে দিতে পারেন এবং অবশ্যই দুইদিন পর পর পানি অবশ্যই পরিবর্তন করবেন দেখবেন কিছুদিনের ভিতরে আপনার বাড়ি থেকে মশার উৎপাত কমে গেছে এছাড়াও আপনি ১০ থেকে ১২ টি পুদিনা পাতা এক গ্লাস পানিতে গরম করে স্প্রে বোতলে ঢেলে স্প্রে করতে পারেন পুরো বাড়িতে এতেও একই ফলাফল পাবেন।

কেরোসিন তেলের স্প্রে: একটি বোতলে কেরোসিন ও এক চামচ কর্পূর ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলের ঢেলে সম্পূর্ণ বাড়িতে স্প্রে করতে পারেন এতে বাড়ি থেকে মশা উপদ্রব কমে যাবে।

হলুদের স্প্রে: এক চামচ হলুদ, এক চামচ মরিচের গুড়, এক চামচ কর্পূর চার ভাগের এক ভাগ আস্ত লেবু ও এক গ্লাস পানি ভালো করে ফুটিয়ে নেবেন। ঠান্ডা হয়ে আসলে একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নেবেন এবং স্প্রে বোতল ভালো করে ঝাকিয়ে বাড়ির আনাচে-কানাচে ও চারিপাশে ছিটিয়ে দেবেন।

বাজার হতে কিনা মশা মারার স্প্রের নাম

নিম্নে বাজার হতে কিনা মশা মারার স্প্রের নাম গুলো দেয়া হলো-

  • কালো হিট(kala HIT)-125ml- (lime/Original)
  • হেট ফিক(HIT FIK)- 320 ml- (CSD/Others)কালো হিট(Kala HIT)- 40 ml (Original/Lime)
  • কালো হিট(Kala HIT)-700 ml (Lime/Original)
  • কালো হিট(Kala HIT)- 625 ml (Lime/Original)
  • কালো হিট(Kala HIT)- 400 ml (Lime/Original)
  • কালো হিট(Kala HIT)- 200 ml (Lime/Original)
  • ফিনিশ লিকুইড স্প্রে(FINIS LIQUID SPRAY)
  • গুড নাইট পাওয়ার শট স্প্রে( Goodnight Power Shots Spry)
  • এ এস আই অ্যারসোল ইনসেক্ট স্প্রে( ACI AEROSOL INSECT SPRY)

সবচেয়ে শক্তিশালী মশা তাড়ানোর ঔষধ কোনটি?

দিন দিন কেমন মশার উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি মশা অনেক বেশি শক্তিশালী ও মশা বাহিত রোগের সংখ্যা ও রোগ মারাত্মক হয়ে উঠছে এর জন্য আমাদের প্রয়োজন সবচেয়ে ভালো ও শক্তিশালী মশা তাড়ানোর ঔষধ বা পদ্ধতি এখন আপনি বলতে পারেন সবচেয়ে শক্তিশালী মশা তাড়ানোর ঔষধ কোনটি?

মশার তাড়ানোর বাজারে যে সকল ঔষধ রয়েছে সেগুলোর তুলনায় সবচেয়ে ভালো, সহজ, দ্রুত ও শক্তিশালী উপাদান হলো কর্পূর। কর্পূর মশা তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকারী উপাদান। এর গন্ধ মশা একেবারে সহ্য করতে পারে না। বাজারে আপনি এটি গুরু অথবা ট্যাবলেট আকারে পাবেন। এটি আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন মশা তাড়ানোর জন্য।
বিভিন্ন উপকরণ অথবা শুধুমাত্র কর্পূর পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করে অথবা যেকোন স্থানে রেখে দিও আপনি ঘর থেকে চিরতরে দ্রুত সময়ের ভেতরে মশা তাড়াতে পারবেন। তাহলে এখন আমরা বলতেই পারি সবচেয়ে শক্তিশালী মশা তাড়ানোর ঔষধ হলো কর্পূর।

মশা মারার ওষুধের নাম কি?

অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জাগতে পারে মশা মারার ওষুধের নাম কি? একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে মশা মারার জন্য যে ঔষধ গুলো ব্যবহৃত হত সেগুলো দিয়ে বর্তমানে এখন আর মশা মরছে না। এজন্য অনেকে মশা নিধনের জন্য মশা মারার ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করছে।

তবে মশার নিধনের জন্য আপনি ঘরোয়া ভাবে তৈরি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মশা তাড়ানোর স্প্রে ও পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে।এছাড়াও বাড়ির আশেপাশে কিংবা ফুলের টপে কোন প্রকার পানি বা ময়লা আবর্জনা ঝোপঝাড় কেটে ফেলে পরিষ্কার করে মশা নিধন করতে পারবেন এবং ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে।

মশা মারার ওষুধ কতটা নিরাপদ?

বর্তমানে বাংলাদেশে মশা মারার ঔষধ বলতে কয়েল ও স্প্রেকে বোঝায়। বাংলাদেশে মশার কয়েল ও স্প্রে এর বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে বাংলাদেশে মশার ঔষধ বাজারজাত করতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকটি পণ্যকে বিশেষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্ল্যান থেকে লাইন চেঞ্জ নিতে হবে। তাদের মতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫০ টির বেশি মশা মারার ঔষধ এর প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের মশা মারার ঔষধ এর ভেতরে কোন মশা মারার ওষুধ কতটা নিরাপদ? কিভাবে বুঝবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাণী বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক জানিয়েছেন মশা তাড়ানোর জন্য আপনি যে কয়েল স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করছেন তা যদি ঘরের মশা মারার সাথে সাথে ঘরের অন্যান্য পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ যেমন টিকটিকি মারা যায় তাহলে বুঝবেন সেটা মানব দেহের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর ও মারাত্মক।

মূলত মশার যে ঔষধ রয়েছে এতে এমন পরিমাণে কিনা আসুকবাহিত ব্যবহার করতে হবে যা শুধুমাত্র মশা তাড়াবে কিন্তু মশা মারবে না। কিন্তু আমাদের দেশে এমন অনেক মশার ঔষধ রয়েছে যা মশা মেরে ফেলে। এমন মশার ঔষধ আপনার কাছে থাকলে বুঝবেন সেটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানব শরীরের জন্য মশার ঔষধে কি পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

মানুষ যেন মশার ঔষধে কোন প্রকার ক্ষতি না হয় এবং সহনশীল হয় এমন মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। বাংলাদেশে যে ধরনের মশার ঔষধ ব্যবহার করা হয় এতে ইমিপোথ্রিনন,বায়ো-অ্যালোথ্রিন, ডেল্ট্রামেথ্রিন, পারমেথ্রিন,ডেল্ট্রামেথ্রিন ইতালি রাসমনি পরতো ব্যবহার করা হয়। তবে বিভিন্ন মশার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মাত্রার মশার ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

যেমন পূর্ণবয়স্ক যে মশা রয়েছে সে মশা যে ঔষধে নিধন হবে সেই ঔষদেই লার্ভা মশা নিধনে মোটেও কাজ করবে না। বিশেষ স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আমরা মশা নিধনের জন্য যে স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করি তা ঘরে ব্যবহারের পর অবশ্যই ঘরে ২০ মিনিট পর্যন্ত কোন ব্যক্তি প্রবেশ করবে না।

কত তাপমাত্রায় মশা চলে যায়?

আমরা হয়তো অনেকেই লক্ষ্য করেছি মশা শীতকালে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তাহলে এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে কত তাপমাত্রায় মশা চলে যায়? মশা শীতে কি মারা যায়? জি হ্যাঁ স্ত্রী মশা ও পুরুষ মশা ক্ষেত্রে শীতের আবহাওয়া দুই রকম প্রভাব ফেলে। শীতকালীন আবহাওয়ায় পুরুষ মশা মারা যায় এবং স্ত্রী মশা এক নিদ্রায় চলে যায়।

যখন পরিবেশে হালকা গরম আবহাওয়া বিরাজ করে তখন স্ত্রী মশাই এই এই নিদ্রা থেকে জেগে ওঠে এবং বংশবিস্তার করার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাবার অর্থাৎ রক্তের জন্য ছুটে বেড়ায়। মশা শরীরের নিজস্ব কোন আদ্রতা বা তাপমাত্রা নেই মশা আবহাওয়ার আদ্রতা বা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। কার্যকলাপের জন্য এবং তার শক্তি সঞ্চালনের জন্য আদ্রতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আবহাওয়ার তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত মশা তার কার্যকলাপ চালিয়ে যায় কিন্তু এর ওপরে তাপমাত্রা হলে মশা তার কার্যকলাপ কমে ফেলে অর্থাৎ কামড়ানো কমিয়ে দেয়। এছাড়াও শীত মৌসুমে মশা চলে যায়। তাহলে এখন আমরা অবশ্যই বলতে পারি মশাই এমন কিছু তাপমাত্রা রয়েছে যে সকল তাপমাত্রায় চলে যায়।

কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়

মশার উৎপাত আমাদের জীবন চলার পথে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটায়। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ছাড়া এই মশা। অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই মশা। আমরা এটি নিধন করার জন্য কত কিছুই না করে থাকে তবে মশার নিধনের ঔষধ হিসেবে আমরা অনেকেই কয়েল ও বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ব্যবহার করে থাকি।

অনেক সময় এ কয়েল ও স্প্রে মশার নিধন করার সাথে সাথে আমাদের শরীরেরও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করে। এজন্য আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন নিম্নে কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

প্রথম উপায়

উপকরণ

  • কর্পূর
  • সরিষার তেল
  • রসুন
  • তেজপাতা
তৈরি পদ্ধতি: একটি ছোট মাটির পাত্র নেবেন পাত্রে এক কোয়া রসুন কুচি, সামান্য পরিমাণে তেজপাতা গোড়া ও সামান্য পরিমাণে কর্পূর ভালো করে মিশিয়ে এর ভেতরে সরিষার তেল দিতে হবে। তেলটি এমনভাবে দেবেন যেন সমস্ত উপকরণ তেলে নিমজ্জিত থাকে। এরপর তেলে একটি প্রদীপ জ্বালানোর সলতে দেবেন। সলতের মুখ পাত্রের সামনে সামান্য বের করে রাখবেন এবং সে অংশে আগুন জ্বালিয়ে দেবে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনার ঘরের আশেপাশেও মশা ঘোরাফেরা করবে না।

দ্বিতীয় উপায়

উপকরণ

  • কর্পূর
  • গুড়া মরিচ
  • হলুদ গুঁড়ো
  • চা পাতা
  • লেবু/ ভিনেগার
  • টুথপেস্ট
তৈরি পদ্ধতি: সামান্য পরিমাণে কর্পূর, এক চামচ মরিচের গুঁড়ো, ১ চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চামচ চা পাতা, কুচি করা অর্ধেক লেবু অথবা এক চামচ ভিনেগার ও এক চামচ টুথ পেস্ট। সকল উপকরণ গুলো ভালো করে মিশিয়ে এক কাপ পানি ব্যবহার করবেন।এরপর সকল উপকরণগুলো ভালো করে জাল দেবেন। উপকরণগুলো ফুটে আসলে ঠান্ডা করে থেকে নেবেন স্প্রে বোতলে করে সম্পূর্ণ বাড়িতে স্প্রে করবেন দেখবেন বাড়িতে আর মশা প্রবেশ করবে না।

তৃতীয় উপায়ে

উপকরণ

  • নিমপাতা
  • কর্পূর
তৈরি পদ্ধতি: ৪০ থেকে ৫০টিএ নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেবেন। এরপর হাফ কাপ পানি দিয়ে নিমপাতা গুলো ফুটন্ত পর্যন্ত জাল দিবেন। এরপর গরম অবস্থায় এর ভেতর একটা চামচ কর্পূর যুক্ত করে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এবার এটি আপনি স্প্রে বোতলের মাধ্যমে সম্পন্ন বাড়িতে স্প্রে করতে পারেন।

চতুর্থ উপায়

উপকরণ

  • তেজপাতা
  • ঘি
  • নারিকেলের ছোঁয়া
  • কর্পূর
তৈরি পদ্ধতি: দুই থেকে তিনটি তেজপাতা কে ভালো করে ঘি দিয়ে মেখে নেবেন, নারিকেলের ছোঁয়া অল্প পরিমাণে নিয়ে একটি ধূপদানিতে রেখে আগুন জ্বালাবেন। আগুন জ্বলে উঠে এর ভেতরে সামান্য পরিমাণে কর্পূর ছিটিয়ে দেবেন এবং সম্পূর্ণ দরজা জানালা বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট এভাবে রেখে ঘরের সকল দরজা জানলা খুলে দেবেন দেখবেন বাড়ি থেকে সকল মশা পালিয়ে গিয়েছে এবং পুনরায় আর ফিরে আসছে না।

পঞ্চম পদ্ধতি

উপকরণ

  • কর্পূর
  • সরিষার তেল
  • তারপিন তেল
  • সুগন্ধি
তৈরি পদ্ধতি: এক চামচ কর্পূর গুড়ো, এক চামচ সরিষার তেল, তিন চামচ তারপিন তেল ভালো করে তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত মিশে নিন। কর্পূর ভালো করে মিশ্রণের সাথে মিশে গেলে এর ভেতর সুগন্ধি প্রয়োগ করুন এবং ঘরের আনাচে-কানাচে দিয়ে রাখুন দেখবেন মশা এর গন্ধে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না।

মশার কয়েল কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

মশা থেকে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের মরণব্যাধি রোগ সৃষ্টি হয় এর জন্য আমরা মশা তাড়ানো বা মারার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। মশা থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, বার্মা ফরেস্ট জ্বর, জাপানি এনকেফেলাইটইস ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে যা থেকে আমরা নিস্তার পেতে সবচেয়ে বেশি মশা মারার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে থাকি।

তবে মশা থেকে হওয়া মরণব্যাধি রোগগুলো থেকে আমরা মুক্ত পেতে যে কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করি তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী বা মশার কয়েল কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এমন প্রশ্ন হয়তো আপনাদের অনেকের মনে জেগেছে। বাংলাদেশের মশা তাড়ানো বা মারার জন্য বিভিন্ন ধরনের কয়েল ও স্প্রে তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কয়েল বা স্প্রে তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বা কীটনাশ ব্যবহার করা হয়। যার নির্দিষ্ট মাথার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ মারাত্মক ক্ষতি করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় কয়েল ও স্প্রে রাসায়নিক ও কীটনাশক পদার্থ মেশানোর নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এর মাত্রা অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে মশা বা অন্যান্য পোকামাকড় যদি কয়েল বা স্প্রে মারা যায় তাহলে বুঝতে হবে সে কয়েলটি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে কয়েক জালানোর ফলে যদি পোকামাকড় বা মশা মারা না যায় শুধুমাত্র পালিয়ে যায় তাহলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। একটি কয়েল যদি অনবরত ৮ ঘন্টা জালানো হয় তাহলে তা ১৪০টি সিগারেট জ্বালানোর ধোঁয়ায় যে ক্ষতি হবে সে পরিমাণ ক্ষতি হবে বলে জানা গিয়েছে একটি গবেষণায়।

এছাড়াও মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত কয়েলের ধোয়ায় আমাদের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, কাশি, নাক জ্বালা, এলার্জি, ঠান্ডা জড়িত সমস্যা, অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেহেতু কয়লে বিভিন্ন ধরনের ভারী পদার্থ যেমন- অ্যামোনিয়াম, কার্সিনোজিনস, ক্রোমোডিয়াম ইত্যাদি থাকে এজন্য নিয়মিত ঘরে কয়েল চালানোর ফলে নিঃশ্বাসে এর ধোঁয়া আমাদের ফুসফুসে গিয়ে ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে।

এটা মূলত প্রথম অবস্থায় কাশি থেকেই শুরু হয়ে শ্বাসকষ্ট ও দেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও যে সকল ব্যক্তির এলার্জির, চুলকানি র‍্যাশ, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের মশার কয়েল বেশ মারাত্মক হতে পারে এবং অনেকের এর ধোঁয়ায় বা গন্ধে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা করতে পারে কারণ এর ধোয়া বেশ তীব্র ও অস্বস্তিকর।

মশার কয়েল কি শিশুর উপর প্রভাব ফেলে?

আমরা অনেকেই আছি যারা বাচ্চাকে মশার কামড় বা মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে নিস্তার দেওয়ার জন্য মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের অনেকের মা বাবার মনে হয়তো এমন প্রশ্ন জাগে মশার কয়েল কি শিশুর উপর প্রভাব ফেলে? জি হ্যাঁ মশার কয়েল বাচ্চাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আপনার বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে কখনোই কোনোভাবেই মশার কয়েল তার সামনে জানাবেন না।

কারণ মশার কয়েলে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও কীটনাশ মিশ্রণ করা থাকে যা ধোয়ার মাধ্যমে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যজনিত ক্ষতি সাধন করে। আমাদের বড়দের অনেকেরই কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে লড়াই করার মত শারীরিক ক্ষমতা রয়েছে তবে বাচ্চাদের শরীর অনেক দুর্বল ও নাজুক হয়ে থাকে।

তবে আমি এটা বলছি না যে মশার কয়েল ধোঁয়া বড়দের শরীরে কোন প্রকার প্রতি সাধন করে না। মশার কয়েল বড়দের শরীরেরও বেশ ক্ষতিসাধন করে। এর জন্য অবশ্যই এমন মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা বা পদ্ধতি ব্যবহার করবেন যেগুলো আপনার বা আপনার সন্তানের কোন প্রকার শারীরিক মানসিক ক্ষতি সাধন না করে।

লেখক এর মন্তব্য

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যের কোন প্রকার ক্ষতির সাধন না করে মশা তাড়ানোর কিছু উপায় সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টে পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় ও পদ্ধতি জানিয়ে সহায়তা করবেন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url