সাবুদানার উপকারিতা ও অপকারিতা-আসল সাবুদানা চেনার উপায়
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় সাবুদানার উপকারিতা ও অপকারিতা-আসল
সাবুদানা চেনার উপায়, সাবুদানা খেলে কি মোটা হয় ইত্যাদি আরো সাবুদানা সম্পর্কে
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টে পরে সাধনা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার
অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক সাবুদানা চিনে এবং এর অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এর উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা
ছোটবেলায় সাবুদানা খাইনি এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে ছোট
কিংবা বড় সকলেই সাবুদানা খাচ্ছি বিভিন্ন ধরনের মজাদার ও লোভনীয় খাবার ও
ড্রিঙ্কস/শরবত তৈরি
করে। কারণ বর্তমানে মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ সচেতন। সাবুদানায় থাকা উচ্চ
স্টার্চ যেমন- আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি তেমনি ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত
ও বেশি শক্তিশালী করে, ফাইবার ওজন কমাতে করে, পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ
জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ
আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও সোডিয়াম, জিংক, খনিজ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
উপাদান রয়েছে সাবুদানায়। এজন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে সাবুদানার উপকারিতা,
অপকারিতা, আসল সাবুদানা চিনার উপায়, সাবধানে কি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবে
কিনা এবং সাবুদানা খেলে ওজন বাড়ে না কমে ইত্যাদি আরো সাবুদানা সম্পর্কে নিয়মে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি করলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
সাবুদানা কি দিয়ে তৈরি হয়
জ্বর কিংবা বাচ্চাদের প্রথম খাদ্য হিসেবে অথবা ব্যায়াম করার ফলে শরীরে বেশি
শক্তিশালী, গরমে শরীরকে শীতল করতে এবং শরীরে পাওয়ার বুস্টার হিসেবে সকলের কাছে
বেশ পরিচিত সাবুদা।না। তবে আমরা কি জানি সাবুদানা কি দিয়ে তৈরি হয় এটা কি গাছে
ধরে, হাতে না মেশিনে তৈরি হয়। চলুন জেনে নেই। সাবুদানা মূলত ক্যাসাভা নামক গাছের
মূল উদ্ভিজ্জ থেকে প্রস্তুত করা হয়।
ভাত এবং ভুট্টার পরে অনেক গ্রীষশন প্রজাতির অঞ্চলে কার্বোহাইড্রেটের তৃতীয়
বৃহত্তর উৎস হচ্ছে ক্যাসাভা। ক্যাসাভার পুষ্টিগুণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে
স্টার্চ এবং ক্যালসিয়াম ফসফরাস ভিটামিন আয়রন খনিজ লোহা প্রোটিন ইত্যাদি
পুষ্টিগুণ খুবই কম পরিমাণে থাকে।
সাবুদানা কিভাবে তৈরি হয়
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানলাম সাবুদানা মূলত ক্যাসাভা নামক গাছের মূল উদ্ভিজ্জ
থেকে প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু সাবুদানা কিভাবে তৈরি হয় এই ক্যাসাভা বানানোর গাছ
থেকে এমন প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে। ক্যাসাভা কে ভালোভাবে
প্রক্রিয়াজের পর খাওয়া হয় নয়তো এটি আমাদের শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
বিশ্বে নাইজেরিয়া সবচেয়ে বেশি ক্যাসাভা উৎপাদনকারী দেশ এবং থাইল্যান্ড
ক্যাসাভার বৃহত্তম রপ্তানিকারী দেশ। সাবুদানা তৈরি করতে প্রথমে ক্যাসাভা গাছের
বক্ষনিও মূল উদ্ভিজ্জ সংরক্ষণ করা হয়। এরপর একটি মেশিন দ্বারা এটি বাছাই
প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাছাই প্রক্রিয়ার পর একটি কনফেয়ার বেল্ট
মেশিন দ্বারা ঝাঁকনির মাধ্যমে ক্যাসাভায় লেগে থাকা মাটি, ধুলোবালি ও ময়লা
পরিষ্কার করা হয়। এরপর ক্যাসাভা মূল থেকে ছাল গুলো আলাদা করা হয়।
এবার ক্যাসাভা গুলোকে একটি গ্রাইনডারে পাঠানো হয় যেখানে এগুলোকে খুবই মিহি ভাবে
গুঁড়ো করা হয়। এই গরুগুলোকে অধিক পরিমাণ পানি মিশে ভালো করে পরিষ্কার করে ধোয়া
হয়। পরিষ্কার করার পর এগুলোর মার্ক যুক্ত পানি গুলো আলাদা করা হয়। এই মার্ক
যুক্ত পানি গুলো ছয় ঘন্টার ও অধিক সময় ধরে শুকানো হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত এগুলো
ঘন আকার না নেই।
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এই ঘন মার্ক পাউডারের চার্ক গুলোকে পরিষ্কার আবারও পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে শুকানো
হয় যেন এগুলো মিহি গুড়োর আকারে রূপ নেই। সাবুদানা বানাতে এই গুরুগুলোকে পানি
মিশিয়ে আটার ডো এর মত তৈরি করা হয়। এরপর এ আটার ডো গুলোকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছোট
ছোট বলে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছোট ছোট খুব সুন্দর সাবুদানা তৈরি
হয়।
এই সাবুদানা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়
যেমন-ফালুদা, সাবু চুপ ইত্যাদি এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ড্রিংকস তৈরিতেও সাবুদানা
ব্যবহার করা হয় যা অনেকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
সাবুদানার পুষ্টিগুণ
সাবুদানায় ক্যালোরি, শর্করা, পানি ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ব্যতীত অন্যান্য পুষ্টি
উপাদান অতি সামান্য পরিমাণ রয়েছে কিন্তু সাবুদানা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে
মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টি এবং গুনাগুন ও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। চলুন জেনে নেই
সাবুদানার পুষ্টিগুণ গুলো কি কি-
নিম্নে ১০০ গ্রাম সাবুদানায় কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা তুলে ধরা
হলো-
- ক্যালরি- ৩৩২ kcal
- পানি- ১১ গ্রাম।
- শর্করা- ৮৮.৭ গ্রাম।
- কার্বোহাইড্রেট- ৮৩ গ্রাম।
- ক্যালসিয়াম- ২০ মিলিগ্রাম।
- ফাইবার- ১ গ্রাম।
- ফসফরাস- ৭ মিলিগ্রাম।
- জিংক- ১১% (RDI)
- পটাশিয়াম- ১১ মিলিগ্রাম।
- আয়রন- ১.৫৮ মিলিগ্রাম।
- ম্যাগনেসিয়াম- এক মিলিগ্রাম।
- সোডিয়াম- এক মিলিগ্রাম।
- ভিটামিন বি ৫-০.১৩৫ মিলিগ্রাম।
- ভিটামিন বি১- ০.০০৪ মিলিগ্রাম।
- ফ্যাট- ০.০২ গ্রাম।
- প্রোটিন- ০.১৯ গ্রাম।
- ফাইবার- ০.৯ গ্রাম।
- ভিটামিন বি ৬- ০৮ মিলিগ্রাম।
সাবুদানার উপকারিতা ও অপকারিতা-আসল সাবুদানা চেনার উপায়
সাবুদানা আমরা মায়েরা সবচেয়ে বেশি ভালো চিনবো, কারণ এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়
বাচ্চাদের খাদ্য হিসেবে। তবে এর বিভিন্ন উপকারিতার কারণে বর্তমানে ছোট কিংবা বড়
সকলেই সাবুদানা বা সাগু খেয়ে থাকে। সাবুদানা মূলত স্টার্চ জাতীয় একটি
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং দ্রুত সময়ের ভেতর তৈরি পুষ্টিকর খাবার এটি। এজন্য আজ
আমি আপনাদের মাঝে সাবুদানার উপকারিতা ও অপকারিতা-আসল সাবুদানা চেনার উপায়
ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য আলোচনা করব চলুন জেনে নিন-
সাবুদানার উপকারিতা
সাবুদানার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু কোন কিছু খাওয়ার পূর্বে
অবশ্যই তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা তথ্য জরুরী এবং সেটি আমাদের শরীরে কি কি ধরনের
কাজ করবে এবং কি কি উপকারে আসবে তা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা অত্যন্ত জরুরী।
এজন্য আমি আপনাদের মাঝে সাবুদানের উপকারিতা সম্পর্কে এবং কি কি শারীরিক সমস্যা
দূর করতে সহায়তা করে এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করলাম-
- ঋতুস্রাবের সময় বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- রক্ত চাপ কমাতে সহায়তা করে।
- ফ্লু ও জ্বর হলে ক্ষুধা মন্দা ও দুর্বলতা দূর করতে।
- হাড় মজবুত ও দৃঢ় করতে সহায়তা করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ সারাতে সহায়তা করে।
- খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি করে।
- বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সারাতে সহায়তা করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের যত্নে।
- শরীরের শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলতে সহায়তা করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- চুলের যত্নে ও চুল উজ্জ্বল করে।
- শরীরকে শীতল করে।
- শরীরে দ্রুত ক্লান্তি দূর করে।
ঋতুস্রাব: ঋতুকালীন সময়ে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরে রক্ত
ক্ষরণ বা স্পটিক হয় তা কমাতে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে বেশ সহায়তা করে
সাবুদানায় থাকা ফোলেট ও ক্যালরি।
রক্তচাপ কমাতে: বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে কিংবা শুধুমাত্র সাবুদানা রান্না
করেও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন ব্যক্তিরা খেতে পারেন। এতে থাকা পটাশিয়াম
হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে হৃদরোগের বিভিন্ন সমস্যা স্ট্রোক হার্ট
অ্যাটাক ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা
করে।
ফ্লু ও জ্বর: আমাদের সকলেরই জ্বর কিংবা ফ্লু হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল ও
ক্ষুধা কমে যায় ফলে শরীর আরো বেশি দুর্বল হয়ে যায়। এ দুর্বলতা ও ক্ষুদা মন্দা
দূর করতে সাবধানে বেশ কার্যকারী। এর জন্য আপনি সাবুদানার খিচুড়ি খেতে পারেন এতে
থাকা প্রোটিন, ক্যালোরি ও পটাশিয়াম আপনার শরীরের শক্তি ফিরে আনবে, খাবারের রুচি
বৃদ্ধি করবে এবং ফ্লু ও জ্বর দ্রুত সারাতে সহায়তা করবে।
হাড় মজবুত: ছোট বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য সাবুদানা বেশ উপকারী। প্রথমত
এটি অনেকটা নরম এবং সুস্বাদু অপরদিকে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা
বয়স্ক ও বাচ্চাদের হাড় মজবুত ও দৃঢ় করতে সহায়তা করে। এছাড়াও বয়স্কদের
মেরুদন্ডের কশেরুকার হাড়, মাজা হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া, হাত ও
পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়া ঝুঁকি ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া
রোগ অর্থাৎ অস্টিওপরোসিস রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে সাবুদানা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: সাবুদানা আমাদের হজম ক্রিয়া উন্নত করতে বেশ সহায়তা
করে। কারণ এটি একটি আঁশ ও ফাইবার জাতীয় খাদ্য। এছাড়াও এটি একটি দ্রুত পানিতে
দ্রবণীয় খাবার ফলে মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে এছাড়াও খাবার পরিপাক করতে
সহায়ক এমন স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর
করতে বেশ সহায়ক হয় সাবুদানা।
রুচি বৃদ্ধি: খাবারের প্রতি অনীহা, ক্ষুধা না লাগা, খাবার জিহ্বায় স্বাদ
না লাগা ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়তা করে সাবুদানা। সাবুদানা আমাদের
জিহ্বার স্বাদকোরকে জাগিয়ে তোলে এবং জিহ্বায় খাবারের স্বাদ লাগাই ফলে খাবারের
স্বাদ লাগে এবং রুচি ফিরে আসে।
প্রদাহ দূর: যেহেতু সাবুদানা পানিতে দ্রুত দ্রবণীয় হয়ে পানি শোষণ করতে
পারে ফলে শরীরে পানির ঘাটতি সহজে মেটাতে পারে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে এছাড়াও এতে
থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়ের জয়েন্টে বিভিন্ন ব্যথা ও প্রদাহ কমাতেও
সহায়তা করে এবং ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মেটাতে পারে সাবুদানা।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া কোষ বিভাজন
রোগসমূহের সমষ্টি নাম হচ্ছে ক্যান্সার। এমন অনেক ক্যান্সার রয়েছে যেগুলো প্রথমত
টিউমার হিসেবে শুরু হয়ে পরবর্তীতে কোষগুলোর বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটিয়ে
প্রি-ক্যান্সারে পরিণত হয়। সাবুদানায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর দুটি পুষ্টি উপাদান
ফ্লেভানয়েড ও ট্যানিন রয়েছে যা ক্যান্সারের ফ্রি রেডিক্যালগুলো নষ্ট করতে
সহায়তা করে এবং প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে: সাবুদানা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক ভেষজ ফেস মাক্স। সাবুদানার
সাথে সামান্য পরিমাণ মধু ও দুধ মিশে ফেস মার্কস হিসেবে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে
থাকা পটাশিয়াম, বিভিন্ন ভিটামিন ত্বকের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে ত্বককে নরম,
মসৃণ ও প্রাকৃতিকভাবে ত্বক থেকে উজ্জলতা বের করে আনে।
শক্তি যোগায়: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত
পরিশ্রমের পর সাবুদানার তৈরি শরবত খেয়ে থাকে। কারণ এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে
কার্বোহাইড্রেট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ লবণ, শর্করা ও ফাইবার
আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে পারে। ফলের শরীরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে
ক্লান্তি দূর হয়ে শরীরকে সতেজ ও প্রাণবন্ধক করে তোলে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: সাবুদানা হল জলে দ্রুত দ্রবণীয় তন্তু অর্থাৎ যা সহজেই
পানিতে দ্রবণীয় হয়ে যায়। যেহেতু সাবুদানা খুব সহজেই জলে দ্রবণীয় হতে পারে ফলে
এটি মলে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে মলকে নরম ও সহজে নির্গমের সাহায্য করে এছাড়াও
এটি একটি আজ জাতীয় খাদ্য যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের খাবার সহজে পরিপাক করতে
সহায়তা করে। ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের নালী পরিষ্কার হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি
পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ নিরাময় করতেও সহায়তা করে।
ওজন বৃদ্ধি: যে সকল খেলাতে প্রচুর পরিমাণে শারীরিক শক্তির প্রয়োজন
এবং যে সকল মা-বাবা শিশুদের ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন তারা সাবুদানা খাওয়াতে
পারেন কারণ এটি একটি উচ্চ ক্যালরি ঘন সম্পূর্ণ খাবার। যার শরীরে তাৎক্ষণিক
ক্লান্তি দূর করে, শক্তি যোগায় এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সাবুদানায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা
আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত
ক্ষতিকর এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে এমন জীবাণুকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে
সাবুদানা। যেমন অত্যন্ত মারাত্মক কোষ হচ্ছে ফ্রি রেডিক্যাল যা আমাদের শরীরে হাতের
বিভিন্ন সমস্যা ও প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী।
গর্ভাবস্থায়: গর্ভবতী মায়েদের জন্য সাবুদানা বেশ উপকারী কারণ সাবুদানায়
রয়েছে ফোলেট ও ভিটামিন বি৬ যা গর্ভে থাকা ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা
করে এছাড়াও গর্ভকালীন শারীরিক বিভিন্ন ক্লান্তি দূর করতেও সহায়তা করে। তবে যে
সকল গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা গর্ভাবস্থায় সাবুদানা খাওয়া থেকে
বিরত থাকবেন। কারণ সাবুদানাই রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা ক্যালরির পরিমাণও বৃদ্ধি
করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
চুল উজ্জ্বল: চুল পড়া বন্ধ করতে, চুল বৃদ্ধি করতে, খুকশী, গুঁড়া মজবুত,
স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করতে বেশ সহায়তা করে সাবুদানাই থাকা অ্যামিনো
এসিড, প্রোটিন ও ক্যারোটিনয়েড। এ সকল পুষ্টি উপাদান চুলকে উজ্জ্বল, ঘন ও সিল্কি
করে তোলে।
সাবুদানার অপকারিতা
অবশ্যই কোন কিছুর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু ব্যক্তি, কিছু সময় এবং কি
পরিমানে খেতে হবে এর উপর নির্ভর করে এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আমি আপনাদের
মাঝে সাবুদানার কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য খাওয়ার নিষেধ এবং কোন সময় খাওয়া যাবে
না, কিভাবে খেতে হবে এবং কি পরিমানে খেতে হবে তার ওপরে নির্ভর করে সাবুদানার
অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করলাম-
ওজন বৃদ্ধি: আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন থাকে অথবা ওজন কমাতে চান
তাহলে আপনার অবদান অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাবে কারণ এতে
রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালরি ও স্টার্চ যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে আপনি
যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সাবুদানা সাথে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনযুক্ত বাদাম
যুক্ত করে খেতে পারেন এতে আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য সাবুদানা খাওয়া তেমন উপকারী নয়।
কারণ এতে থাকা শর্করা ও উচ্চ ক্যালোরি ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করতে পারে।
হৃদরোগ বৃদ্ধি: এতে থাকা উচ্চ ক্যালোরি, শর্করা, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার
রয়েছে ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত বৃদ্ধির সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: অতিরিক্ত পরিমাণে সাবুদানা খেলে বদহজম, বমি, বুক
জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে কারণ এতে থাকা উচ্চ
ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার রয়েছে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হিসেবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে।
লিভারের ক্ষতি: সাবুদানায় থাকা স্টার্চ, প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন
ভিটামিন ও ক্যালোরি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অতিরিক্ত বমি ও লিভারের বিভিন্ন ক্ষতি
হতে পারে।
শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: এতে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে স্টার্চ রক্তে শর্করার
মাত্রা বৃদ্ধি করে।
আসল সাবুদানা চেনার উপায়
সাবুদানা সহজে হজমশীল এবং সহজ শর্করা জাতীয় একটি খাদ্য এছাড়াও এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল,
ভিটামিন বি, খনিজ লবণ ইত্যাদি উপাদান সামান্য পরিমাণে রয়েছে। ছোট-বড় এর পুষ্টি
উপাদান ও গুণাগুণের জন্য সকলেই বর্তমানে খাচ্ছে। এর জন্য বাজারে নকল সাবুদানা ও
পাওয়া যাচ্ছে। তবে সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজে আসল সাবুদানা চিনতে
পারবেন চলুন জেনে নিয়ে আসল সাবুদানা চেনার উপায়-
- আসল সাবুদানা এবং নকল সাবুদানা অচেনা সবচাইতে সহজ উপায় হলো দুই রকমের দুইটি সাবুদানা বাজার হতে কিনে এনে দুইটি পাত্রে আলাদাভাবে পানি ভর্তি একটি পাত্রে এক ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রেখে দেবেন। এক ঘন্টা ভেজানোর পর যে সাবুদানা গুলো হাতে নিয়ে চাপ দিলে একেবারে গলে যাবে সেগুলো নকল অর্থাৎ সেগুলো আটা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিধায় একেবারে গলে যাচ্ছে এবং যে সাবুদানা গুলো হাত দিয়ে চাপ দেয়ার ফলে গলে যাচ্ছে কিন্তু সামান্য দানা থেকে যাচ্ছে সেগুলো আসল কারণ সেটি সাবুদানা গাছের শেকর থেকে তৈরি করা হয়েছে বিধায় এক ঘন্টা পানিতে ভেজানোর বড় সম্পূর্ণভাবে গলে যাচ্ছে না।
- আসল সাবুদানা ঘোলাটে লালচে সাদা ভাব রয়েছে এবং নকল সাবুদানা স্বচ্ছ সাদা ধব ধবে হয়ে থাকে।
- আসল সাবুদানার সাইজগুলো সবগুলো একই রকমের হয়ে থাকে কিন্তু নকল সাবুদানা সবগুলো দানা একই সাইজের হয় না।
- আসল সাবুদানা রান্নার পূর্বে অবশ্যই ১০ মিনিট ভিজে রাখবেন কারণ আসল সাবুদানা ভিজে না রাখলে রান্না করতে অনেক বেশি দেরি হবে অর্থাৎ তার দানাগুলো নরম হতে বেশ সময় লাগবে অপরদিকে নকল সাবুদানা আপনি যদি না ভিজিয়ে রেখেও রান্না করেন তাহলে পানির মত পাতলা হয়ে যাবে।
- আসল সাবুদানা রান্নার পর সাদা ধবধবে হয়ে যাবে এবং দানাগুলো স্বচ্ছ দেখা যাবে অপরদিকে নকল সাবুদানা রান্নার পর কালচে বর্ণ হবে এবং দানাগুলো স্বচ্ছ বোঝা যাবে না।
- যে সাবুদানার দানাগুলো সচ্ছ দেখা যাবে সেগুলো আসল কারণ সাবুদানা মূলত একটি গাছের শিকড় থেকে তৈরি করা হয় এবং যে দানাগুলো গলে যাবে সেগুলো মূলত আটা দিয়ে তৈরি বিধায় সেগুলো পানিতে জাল দেওয়ার ফলে গলে যায়।
১০০ গ্রাম সাবুদানায় কত ক্যালরি?
অতিরিক্ত পাতলা ব্যক্তি মোটা হওয়ার জন্য এবং একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে
নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালোরির প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু সাবুদানা আমাদের শারীরিক
বিভিন্ন সমস্যা এবং পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করে এর জন্য অনেকেই
জানতে চান ১০০ গ্রাম সাবুদানায় কত ক্যালরি? এবং তা আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি
মেটাতে পারবে কিনা।
মূলত ১০০ গ্রাম সাবুদানায় রয়েছে ৩৩২ ক্যালোরি। প্রতিদিন একজন সুস্থ
প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ১৬০০ গ্রাম থেকে ২৪০০ গ্রাম পর্যন্ত এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক
সুস্থ পুরুষের প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৩০০০ গ্রাম ক্যালরির প্রয়োজন হয় অপরদিকে একজন
শিশুর দৈনিক ১০০০পরিমাণ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি ১০০
গ্রাম সাপোর্ট না খেলে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ দৈনিক ক্যালোরের প্রয়োজন তার
অনেকটাই পূরণ করতে পারবে সাবুদানা।
সাবু খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে?
ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের রোগ যা মূলত অন্যান্য রোগের মত নয়। এটি একবার হলে তা
সারা জীবনের জন্য নিজেকে বিভিন্ন খাবার, চলাফেরা, নির্দিষ্ট নিয়ম কানুনের ভেতরে
চলতে হবে। এর জন্য যে কোন খাবারই হোক না কেন, যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিসে রয়েছে
তাদের মনে সব সময় এ প্রশ্নটি জাগে এই খাবারটি কি ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া যাবে
এই খাবারটি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়বে।
তেমনি সাবুদানার ক্ষেত্রেও অনেক ডায়াবেটিস রোগীর প্রশ্ন সাবু খেলে কি ডায়াবেটিস
বাড়ে? না কমে। মূলত সাবুদানা রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, উচ্চ
ক্যালরি ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা হজম প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে,
হাড় মজবুত করতে, শরীরে শীতলতা প্রদান করতে ইত্যাদি। এ সকল সমস্যাগুলো অবশ্যই
ডায়াবেটিস রোগীর শরীর থেকে দূর করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়
তাহলে আমরা বুঝতে পারছি সাবুদানা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তেমন কোনো ক্ষতি
নয়। কিন্তু সাবুদানায় উচ্চ ক্যালরি ও ফাইবার রয়েছে। যা ডায়বেটিসের রোগীর জন্য
মোটেও ভালো না। তাই অবশ্যই সাবু ডায়াবেটিস রোগী খেতে চাইলে একটি নির্দিষ্ট
মাত্রায় অথবা ভালো ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খাবেন।
সাবুদানা খেলে কি ঠান্ডা লাগে
আমরা অনেকেই আছি যারা বাচ্চাদের প্রথম শক্ত খাবার খাওয়ানো হিসেবে সাবু খাইয়ে
থাকে। কারণ এটি সহজ হজম হওয়ায়, ওজন বৃদ্ধিতে এবং শরীরের শক্তি জোগাতে সহায়তা
করে। তবে বর্তমানে শুধু বাচ্চাই নয় বড়রাও সাবুর পুষ্টি উপাদান পাওয়ার জন্য
খাচ্ছে বিশেষ করে ব্যায়াম করার পর পেশি শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং গরমকালে শরীরকে
ঠান্ডা রাখতে।
যেহেতু গরমকালে এটি শরীরকে শীতল রাখে এজন্য অনেকেরই ধারণা সাবুদানা শীতকালে কিংবা
অতিরিক্ত খেলে ঠান্ডা লাগা সম্ভব না রয়েছে। কিন্তু এমন ধারণাটা একেবারে সঠিক
নয়। সাবু সাথে বাচ্চাদের কিংবা বড়দের ঠান্ডা লাগার কোন সম্পর্ক নেই। তবে সাবুতে
যদি কারো এলার্জি থাকে তাহলে অ্যালার্জির কারণে ঠান্ডা জনিত সমস্যা হতে পারে তবে
শুধু এলার্জির কারণে যে ঠান্ডা জড়িত সমস্যা হবে তা মোটেও নয় এলার্জির ফলে
শরীরের বিভিন্ন স্থানে রেসের হতে পারে।
তবে যেহেতু বাচ্চার একটু বেশি সংবেদনশীল এবং বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক
কম এজন্য যেকোন খাবার প্রথম অবস্থায় খাওয়ালে তা থেকে তাদের কিছু সমস্যা হতে
পারে। তবে লক্ষ্য রাখবেন যদি বাচ্চাদের প্রথম অবস্থায় সুযোগ হাতে কিছু
অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে সাবু
খাওয়াবেন। কিন্তু সাবুদানা খেলে কি ঠান্ডা লাগে এমন প্রশ্নের উত্তর হল 'না'।
সাবুদানা খেলে কি মোটা হয়
আমরা অনেকেই মনে করি সাবুদানা খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় কিন্তু একটি স্বাভাবিক
মাত্রায় সাবুদানা খেলে ওজন বৃদ্ধির পরিবর্তে ওজন ঝরাতে পারে। সাবুদানা খেলে কি
মোটা হয় প্রশ্ন সকলের মনে জাগাটাই স্বাভাবিক কারণ সাবধানে রয়েছে উচ্চ ক্যালরি।
আর ক্যালরি আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কিন্তু ১০০ গ্রাম সাবধানে রয়েছে
মাত্র ৩৩২ ক্যালোরি কিন্তু একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য এর চেয়ে অধিক পরিমাণে
নিয়মিত সুস্থ রাখতে ক্যালোরি প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
সাবুদানাই ক্যালরি ছাড়াও রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান যা ওজন
নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে এছাড়াও সাবধানে রয়েছে অ্যামিনোলসলিনিয়া চেন
যুক্ত এক প্রকার গ্লুকোজ যা হজম হতে বেশি সময় নেই ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক
রাখে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফলে সহজেই ওজন কমে। তবে আপনি
যদি মাত্র অতিরিক্ত পরিমাণে সাবুদানা খেয়ে থাকেন তাহলে এতে থাকা উচ্চ ক্যালোরি
আপনার ওজন বাড়াতেও সাহায্য করবে।
সাবুদানার দাম কত
আমরা সাবুদানার উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম
কিন্তু সাবুদানার দাম কত হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। সাবুদানা যদি আপনি অনলাইন
থেকে ১০০ গ্রাম সাবুদানা খেলতে চান তাহলে ডেলিভারি চার্জসহ এর দাম পড়বে ১৩০ টাকা
থেকে ১৫০ টাকা। এটা বিভিন্ন সময়ে কম বেশি হতে পারে। যেহেতু সাবুদানা বাংলাদেশে
উৎপন্ন হয় না বাহিরের দেশ হতে আমদানি করা হয় এজন্য এর দাম ওঠানামা করে।
লেখকের মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে সাবুদানা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার
চেষ্টা করেছি। আশা করি ও প্রত্যাশ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের
সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকারিতা, অপকারিতা, আসল সাবুদানা চেনার উপায় এবং
খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সাবুদানা সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করবেন। এমন আরো তথ্য
জানতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন, ফলো করুন, এবং শেয়ার করুন।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url