বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

আসসালামু আলাইকুম/আদাব,আজকের আলোচ্য বিষয় বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো, বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি ছাড়াও আরো বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ঘামাচি পাউডার এবং ঘামাচি দূর করা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধানও উত্তর পাবেন সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজে বাচ্চা শরীরকে ঘামাচি মুক্ত রাখতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমানে ঘামাচি কিংবা, দুর্গন্ধ অথবা বাচ্চাকে শুষ্ক রাখতে আমরা পাউডার ব্যবহার করে থাকি। তবে সবচেয়ে বেশি আমরা বাচ্চাকে ঘামাচির ফলে চুলকানি, ক্ষত, ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, র‍্যাশ ও জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করার জন্য পাউডার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন পাউডারটি সবচেয়ে ভালো এবং কিভাবে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক ও ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করে বাচ্চার ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতি না করে ঘামাচি জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করা সম্ভব।
এজন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে ঘরোয়াভাবে কিছু উপকরণ ব্যবহার করে ঘামাচি দূর করা উপায়, বাচ্চাদের ঘামাচি হলে মা-বাবাদের কি কি করণীয় রয়েছে, ঘামাচি হলে ক্রিম ব্যবহার করা যাবে কিনা ইত্যাদি আরো ঘামাচি সম্পর্কে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

প্রচন্ড অতিরিক্ত গরমে বাচ্চাকে ঘামাচি জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে নিরাপত্তা দিতে আমরা অনেক মা-বাবা পাউডার ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। তবে বাচ্চাদের কোন প্রোডাক্ট কেনার পূর্বে এবং বাচ্চাদের ত্বকে কোন প্রকার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পাউডার কিংবা ক্রিম ব্যবহার করবে। নিম্নে আমি সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত যে সকল পাউডার গুলো বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিম্নে তুলে ধরলাম-

মি মি ফ্রেশ ফিল বেবি পাউডার- Mee Mee Fresh Feel Baby Powder)-200g-179 রুপি

  • ডার্মা-কোলজিস্ট থেকে প্রমাণিত এ পাউডার বাচ্চাদের ঘামাচি ও ত্বকের জন্য নিরাপদ।
  • এই পাউডারটি আপনি বাচ্চাদের গোসলের পর, ডাইপার চেঞ্জ করার সময় এবং বাচ্চাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য দিনের যেকোনো সময় লাগাতে পারেন।
  • মাইক্রো বায়োলজিক্যালি থেকে প্রমাণিত এই পাউডারটি সদ্য জন্মিত বাচ্চার জন্য নিরাপদ।
চিকো টালকাম বেবি পাউডার- Chicco Talcum baby powder-150g-189 রুপি

  • এ পাউডারটি বাচ্চাদের ত্বক স্মুথ ও মশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে
  • এ পাউডারটিতে রয়েছে জিংক অক্সাইড, অ্যালান টোন, ক্যাস্টর অয়েল, সোডিয়াম ফসফেট যা বাচ্চার ইরিটেশন ও রেসেজ দূর করতে সহায়তা করে।
  • এটা বাচ্চা স্ক্রিনে প্রটেকশন লেয়ার তৈরি করে ফলে বাচ্চা সতেজ অনুভূত করে।
  • পাউডারটি দ্রুত বাচ্চার ঘাম শোষণ করে এবং ত্বকের লেয়ার গুলো ক্ষতি হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।
হিমালিয়া বেবি পাউডার- Himalaya Baby Power, 400g

  • এই পাউডারটি বাচ্চাকে ঠান্ডা রাখে।
  • শরীরের অতিরিক্ত ঘাম দ্রুত শোষণ করে এবং ত্বক মশ্চারাইজ করে।
  • এ পাউডারটি প্রকার কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ বা কালার দিয়ে তৈরি করা হয় না বিধায় এটা বাচ্চা ত্বকের কোন প্রকার ক্ষতি করে না।
সেবামেড বেবি পাউডার - Sebamed Baby Powder 200g-645 রুপি

  • এ পাউডারটি জার্মানিতে তৈরি করা হয় এবং এটি বিশেষ করে বাচ্চাদের গরমের সময় ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ডাইপারের ফলে র‍্যাশ দূর করতে এবং এতে থাকা অলিভ অয়েল ত্বকে নরম ও বিভিন্ন প্রকার শুষ্কতা থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • এছাড়াও ত্বককে নতুনভাবে রিপেয়ার করতেও সহায়তা করে এই পাউডার।
বায়োটিক ডিজনি মিকি বেবি পাউডার- Biotique Disney Mickey Baby Powder-150g-135 রুপি

  • ঠান্ডায় এ পাউডার দিয়ে বাচ্চার শরীর মসৃণ নরম রাখে।
  • এটি খুব সহজেই বাঁচার শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে যাওয়া রোধ করে।
  • এই পাউডারটি বাচ্চার ত্বককে উজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে।
হিমালয় বেবি পাউডার - Himalaya Baby Powder-200g-135 রুপি

  • এই পাউডারটিতে রয়েছে ন্যাচারাল জিঙ্ক, অলিভ অয়েল, খুস-খুস, আমার অয়েল,,yashada bhasma, ভিটিভার।
  • এই পাউডারের থাকা জিন অক্সাইড বাচ্চার ত্বককে ঠান্ডা, ফ্রেশ ও সুস্থ রাখে।
  • পাউডারে থাকা খুসখুস তোকে ঠান্ডা রাখে এবং yashada bhasma বাচ্চার ত্বককে শুষ্ক ও মসৃণ করে।
মামা আর্থ ডাস্টিং বেবি পাউডার উইথ অরিজিনাল উইট্মেন্ট- Mamaearth Dusting Baby Powder With Original Oatmerl-150g-199 রুপি

  • এই পাউডারটি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয় বিধায় এটি বাচ্চার ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতি করে না এবং বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ, শুষ্কতা, চুলকানি দূর করে।
  • এতে কোন প্রকার আর্টিফিশিয়াল গন্ধ বা ক্ষতিকারক কেমিক্যাল নেই এটি বাচ্চার ত্বক হতে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়।
দ্যা মম কো-The Mom Co. Talc-Free Natural Baby Powder With Corn Starch-200g-486 রুপি

  • পাউডারটিতে বাচ্চাদের ত্বকের জন্য কোন প্রকার ক্ষতি করে এমন কেমিক্যাল বা উপাদান মিশানো নেই।
  • নিয়মিত পাউডারটি ব্যবহারে বাচ্চার ত্বক হবে শুষ্ক, মসৃণ, ইরিটেশন মুক্ত, র‍্যাশ মুক্ত সতেজ, নরম ও কোমল ত্বক।
  • পাউডারটিতে রয়েছে চামলিল অয়েল, জোজোবা ওয়েল, ক্যালেন ডুলা অয়েল কনটাচ।
মাদার স্পর্শ ট্যালক - Mother Sparsh Talc - -Free Natural Dusting Powder for Babies-100g-225 রুপি

  • এ পাউডারের অ্যান্টিবায়োগ্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বাচ্চার শরীর হতে অতিরিক্ত আদ্রতা শোষণ করে এবং ত্বককে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু ও ছাত্ররা আক্রমণ হতে সুরক্ষা দেয়।
  • দ্রুত টক হতে অতিরিক্ত আদ্রতা শোষণ করে নেয়।
  • এতে থাকা সালফেট, ভিটামিন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষিত রাখে।
পিজন বেবী পাউডার - Pigeon Baby Powder-200g-190 রুপি

  • এই পাউডারটি সম্পূর্ণভাবে অর্গানিক/প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
  • বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ, ইরিটেশন ইত্যাদি সমস্যা খুব সহজেই দূর করে পাউডারটি।
  • এই পাউডারটির গন্ধ ফ্রেশ দুধের মত এবং এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান গুলো বাচ্চার শরীরকে নরম, মসৃণ করে ও ত্বকের রুক্ষ-সূক্ষ্ম এবং বাচ্চার বিভিন্ন অংশ ভাত পড়ে যাওয়া সহজে দূর করে।
বাটার বিন বেবি- Burt`s Been Talc-Free Natural Dusting Baby Power-200g-1249 রুপি

  • এটি সম্পূর্ণরূপে বাচ্চাদের ত্বকের জন্য সুরক্ষিত একটি পাউডার ক্ষতি করে না।
  • এটি সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষিত হয়েছে যে এ পাউডার টিপস বাচ্চাদের ত্বকের জন্য কোন প্রকার ক্ষতি করে না এবং বাচ্চাদের ত্বকে ঘামাচি জনিত বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজে দূর করতে সহায়তা করে।

বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় কি

গরমে বাচ্চারা ঘামবে এটাই স্বাভাবিক তবে অতিরিক্ত ঘামা বাচ্চাদের অনেক সময় বেশ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়-সম্পূর্ণ শরীরে ঘামাচি, ঘামাচি থেকে চুলকানি, র‍্যাশ ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়। এজন্য বাচ্চারা ঘামলে আমাদের কি কি করা উচিত প্রত্যেকটি মা-বাবার জন্য তা জানা অত্যন্ত জরুরী। আমারও একটি বাচ্চা আছে এবং আমার বাচ্চা ঘামলে আমি কি করে থাকি এবং আমার সামান্য অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের ঘামাচি হলে করণীয় কি-

  • বাচ্চা ঘামার সাথে সাথেই নরম কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ঘামগুলো মুছে দেবেন যত দ্রুত সম্ভব।
  • বাচ্চা অতিরিক্ত ঘামার ফলে জামা ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব সেই জামা খুলে ফেলতে হবে নতুবা তা শুকিয়ে বাচ্চার ঠান্ডা জড়িত বিভিন্ন রোগ হওয়া সম্ভব না থাকে।
  • গরমে বাচ্চাকে নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করাবেন।
  • খেলাধুলা কিংবা স্কুল থেকে আসার সাথে সাথে বাচ্চার জামা খুলে দেবেন এবং গোসল করাবেন। এছাড়াও কোন কারণবশত অতিরিক্ত ঘেমে গেলে সম্পূর্ণ শরীর নরম কাপড় দিয়ে মুছে দেবেন।
  • বাচ্চাদের সব চাইতে মাথা ঘামে এজন্য লক্ষ্য রাখবেন মাঝেমাঝে নরম হালকা ভেজানো পানি দিয়ে মাথা মুছে দেওয়ার।
  • গোসলের সময় অবশ্যই সাবান এবং স্যাভলন ব্যবহার করবেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি দিয়ে গোসল করার করাবেন।
  • বাচ্চাকে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
  • গোসলের পর অবশ্যই বাচ্চাকে ঘামাচি রোদ হোক পাউডার লাগালে দেবেন।
  • বাচ্চাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ফলের শরবত ও পানি বেশি করে খাবেন।
  • মাঝে মাঝে বাচ্চা কে খালি গায়ে রাখতে পারেন।
  • সুতি ও ঢিলেঢালা জামা কাপড় পরানোর অভ্যাস করুন।
  • প্লাস্টিক, লাইলন লাইলনের কাপড় পরানো থেকে বিরত থাকুন।
  • মাঝে মাঝে বাচ্চাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বা অনেক গাছপালা রয়েছে এমন স্থানে নিয়ে যান।
  • ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত কোন প্রকার ক্রিম বাচ্চাদের ত্বকে ব্যবহার করবেন না।
  • কিছুক্ষণ পর পর সমস্ত মুখমণ্ডল, হাত-পা ধুয়ে দেবেন।
  • ঘামাচির ফলে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, র‍্যাশ দেখা দিলে বেবি তারকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বালাপোড়া, চুলকানির ফলে ঘা হয়ে গেলে অবশ্যই অনুসারে অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করবেন।
  • ঘামাচির কারণে বাচ্চার গা জ্বালা করলে নরম কাপড়ে বরফের টুকরো রেখে ঘামাচি স্থানগুলোতে ঘষে দিতে পারেন।
  • ডাবের পানি, লেবুর শরবত ইতালি তরল জাতীয় পানীয় ও শরবত খাওয়াবেন যাতে বাচ্চা শরীরে পানি শূন্যতা দেখা না দেয়।
  • বাচ্চাকে সব সময় পাতলা এবং নরম জামা পরাবেন।
  • নিয়মিত বাচ্চাকে গোসল করাবেন এবং একদিন দুইদিন পর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।

বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করতে পারবেন বা বাচ্চাদের শরীরে ঘামাচির যেন না হয় এর কিছু পূর্ব প্রস্তুতি পারেন। ঘামাচি বাচ্চাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক। বাচ্চাদের ঘামাচি হলে সম্পূর্ণ শরীরে জ্বালাপোড়া করে ফলে বাচ্চা প্রচুর কান্না করে। অনেক সময় বাচ্চারা ঘামাচি স্থান অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানোর কারণে ঘা হয়ে যায়।

এর জন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে বাচ্চাদের শরীরে অল্প ঘামাচি থাকা অবস্থায় যে সকল ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজে বাচ্চাদের শরীর হতে ঘামাচি দূর করতে পারবেন তা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিয়ে বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো-

পানি পান করা: অতিরিক্ত ঘামের ফলে আমাদের শরীরে ঘামাচি হয়। কিন্তু এই ঘামাচির চাইতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়া। এর শরীরে যেন পানির ঘাটতি অতিরিক্ত পরিমাণে খামার কারণে না হয় সেজন্য বাচ্চাদের অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করাতে হবে। শুধুমাত্র আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় না বরং বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও 
আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায় যেমন-বাই কার্বনেট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান। র এর জন্য শুধুমাত্র পানি খেলেই শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতে মেটানো সম্ভব নয় এর সাথে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন মৌসুমীর ফল রয়েছে সেগুলোর জুস অবশ্যই বাচ্চাকে নিয়মিত খাওয়াবেন। যেমন-আনারস, বেদেনা, আম, বেল, পেঁপে, বাঙ্গি ইত্যাদি। এগুলো খেলে যেমন পানির ঘাটতি মেপে তেমনি শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি ও সহজেই মিটে যাবে।

বরফ: বরফ ঘামাচি হলে বাচ্চাদের শরীরে বেশ অস্থির প্রদান করে থাকে। বাচ্চাদের শরীরে ঘামাচির ফলে র‍্যাশ, চুলকানি, অতিরিক্ত জ্বালা অনুভূতি হয়। এ সকল কিছু ঘামাচির সমস্যা দূর করার জন্য একটি নরম কাপড়ে বরফের কয়েকটি টুকরা নিয়ে বাচ্চাদের শরীরে ঘষে দিতে পারেন।

এতে বাচ্চা অনেক বেশি স্বস্তি অনুভূত করবে। তবে কখনোই বরের সরাসরি বাচ্চাদের শরীরে লাগাবেন না। এতে ঠান্ডা জড়িত বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে বরের বাচ্চাদের শরীরে ঘষবেন না এতে ঠান্ডা জনিত সমস্যা ও হতে পারে।

নিমপাতা ও মধু: অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামাচির কারণে সমস্ত শরীর জ্বালা অনুভূত হয়। তবে ঘরোয়া ভাবে ঘামাচির দূর করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান নিমপাতা ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, জীবাণু খুব সহজেই ধ্বংস করতে পারে।

এর জন্য শুধুমাত্র নিমপাতা বাচ্চার গোসল করানো পানির ভেতরে ১০ থেকে ১২ টি পাতা দিয়ে দশ থেকে বিশ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে নেবেন এবং ঠান্ডা করে বাচ্চাকে সে পানি দিয়ে গোসল করাবেন। কিছুদিন এভাবে গোসল করলে দেখবেন বাচ্চার শরীর হতে সমস্ত ঘামাচি দূর হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আপনি নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে বাচ্চার সমস্ত শরীরে গোসলের পূর্বে লাগিয়ে গোসল করে ধুয়ে দিতে পারেন এতে ও বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ঘামাচির ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানি, র‍্যাশ ও জ্বালা কমাতে সহায়তা করে। এজন্য আপনি বাঁচার গোসলের পানিতে সামান্য পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করতে পারেন অথবা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে বাচ্চা সমস্ত শরীর মুছে দেবেন। এতে বাচ্চা স্বস্তি অনুভূত করবে।

চন্দন ও গোলাপজল: চন্দন আমাদের ত্বকে নরম, কোমল ও ঠান্ডা রাখতে বেশ সহায়তা করে। ঘামাচির ফলে যেহেতু অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানি অনুভূত হয় এমন অবস্থায় ঠান্ডা কোন কিছু শরীরে ব্যবহার করলে বেশ অস্থির অনুভূত হয়। এর জন্য আপনি চন্দন, গোলাপ জল ও সামান্য পরিমাণে মধুর পেস্ট তৈরি করে ঘামাচি স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।এই পেজটি ব্যবহারে অনেকটা ঘামাচি হতে মুক্তি পাবেন এবং স্বস্তি অনুভূত করবেন।

পাকা পেঁপে: ঘামাচি থেকে শরীর স্বস্তি দিতে পাকা পেঁপের পেস্ট সমস্ত শরীরে লাগাতে পারেন। পাকা পেঁপের ঠান্ডা অনুভূতি আমাদের শরীরে ঘামাচির ফলে হওয়া বিভিন্ন অস্বস্তি থেকে বেশ স্বস্তি পাওয়া যাবে।

বেসন ও মধু: বেসন ও মধু দুটোই ঘামাচির ফলে ত্বকে হওয়া চুলকানি দূর করতে বেশ করে এর জন্য একটি পাত্রে বেসন, মধু ও গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে পেজ তৈরি করে ঘামাচি স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন এটি আপনি গোসলের পূর্বে কিংবা যে কোন সময় অস্বস্তি অনুভূত হলে ব্যবহার করতে পারেন।

এলোভেরা ও নিমপাতা: অ্যালোভেরা আমাদের ত্বক চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী আমরা সকলেই জানি, তবে ঘামাচি থেকে স্বস্তি দিতেও বেশ কার্যকারী অ্যালোভেরা জেল। এর জন্য আপনি আপনার বাচ্চার শরীরে শুধুমাত্র এলোভেরা জেলের মাসাজ করে দিতে পারেন অথবা একটি পাত্রে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে ও অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে তৈরিকৃত পেস্টটি গোসলের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পূর্বে বাচ্চার সমস্ত শরীরে মাসাজ করে গোসল করে দিবেন। দেখবেন কিছুদিন ব্যবহারে বাচ্চার শরীর হতে খামাচি দূর হয়ে গিয়েছে।

ওটস: ওটসও ঘামাচি নিয়ন্ত্রণে বেশ সহায়তা করে। এর জন্য ওটস ভেজানো পানি দিয়ে বাচ্চাকে গোসল করাতে পারেন। এতে বাচ্চারা ঘামাচির ফলে শরীরে র‍্যাশ, দুর্গন্ধ, চুলকানি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

ধনেপাতা ও গোলাপজল: ঘামাচি হতে অনেকটাই স্বস্তি প্রদান করে ধনেপাতা পেস্ট, মুলতানি মাটি, মধু ও গোলাপজলের তৈরি পেস্ট। নিয়মিত গোসলের পূর্বে কিংবা যেকোনো সময় ঘামাচির ফলে শরীরে অসস্তি বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হলে পেস্টিটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ধনেপাতা অতি শক্তিশালী অ্যান্টি সেপটিক গুন সম্পূর্ণ উপাদান।

মুলতানি মাটি ও গোলাপজল: ঘামাচির ফলে চুলকানি, অস্বস্তি দূর করার জন্য ঘামাচি স্থানে মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের এর পেজ তৈরি করে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে অনেক বেশি স্বস্তি অনুভূত করবেন।

শসা ও অ্যালোভেরা: শসা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। শসা যেমন ঘামাচির ফলে ত্বককে হওয়া জ্বালাপোড়া থেকে মুক্ত দিয়ে ঠান্ডা রাখবে, তেমনি এলোভেরা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে বিশেষ করে ঘামাচির কারণে অতিরিক্ত চুলকানির ফলে ক্ষত ও র‍্যাশ ছাড়াতে।

এজন্য একটি পাত্রে ন্যাচারাল অ্যালোভেরা জেল ও শসা ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচি স্থানগুলোতে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও এই পেজটির ভেতরে সামান্য পরিমাণ নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন এতে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায় কি?

বাচ্চাদের কোন প্রকার সমস্যা হলে মা-বাবাদের অনেক বেশি চিন্তায় পড়ে যায়। তেমনি গরমে বাঁচাতে ঘামাচির ফলে চুলকানি, র‍্যাশ, ক্ষত, জ্বালাপোড়া কারণে বাচ্চাদের অতিরিক্ত কান্না মা-বাবাদের বেশ চিন্তা একটি কারণ। এর জন্য অনেক মা-বাবায় জানতে চান বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার উপায় কি?

তাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আজ আমি আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের মাঝে বাচ্চাদের খামচি দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ আমার একটি ছোট বাচ্চা রয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন সময় আমি কিভাবে আমার বাচ্চাকে ঘামাচি থেকে দূরে রাখি তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো-

  • বাড়িতে ঘরোয়া ভাবে তৈরি বিভিন্ন রকমের মৌসুমী ফল দিয়ে জুস খাওয়াবেন।
  • অতিরিক্ত গরম পড়লে লেবু, সামান্য লবণ মিশে শরবত তৈরি করে খাবেন। কারণ লেবুতে রয়েছে অতি শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ঘামাচি দূর করতে বেশ সহায়তা করে।
  • বেশি বেশি করে পানি পান করাতে হবে এবং অতিরিক্ত গরম পড়লে স্যালাইন খাওয়াবেন।
  • সপ্তাহে গ্রীষ্ম মৌসুমে দুই থেকে তিন দিন নিমপাতা ফুটানো পানি ঠান্ডা করে গোসল করাবেন অথবা নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে সমস্ত শরীরে মাখিয়ে গোসল করাবেন। এতে কখনোই শরীরে ঘামাচি বের হবে না।
  • আমরা অনেকে আলু রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করে থাকি কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া ওর‍্যাশ রশেজ থেকে স্বস্তি দেবে আলুর রস।
  • মাঝে মাঝে শরীরে মুলতানি মাটি ও চন্দন এর সাথে সামান্য পরিমাণ মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে সমস্ত শরীরে মাখিয়ে দিবেন। দেখবেন অতিরিক্ত গরমে বাচ্চা সুস্থ উন্নত করবে।
  • অ্যালোভেরা জেল ও মধু বাচ্চা শরীরে মাসাজ করবেন ঘামাচি স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখবেন দেখবেন বেশ স্বস্তি অনুভূত করবে আপনার বাচ্চা।
  • লাউ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এর কোন তুলনা নেই। এর জন্য বাচ্চাকে লাউয়ের রস তৈরি করে সমস্ত শরীরে লাগিয়ে দেবেন দেখবেন ঘামাচিতে হওয়া অতিরিক্ত জ্বালা থেকে বাচ্চা মুক্ত করবে।
  • ঘামাচি স্থানে বেসন, গোলাপ জল ও মধুর তৈরি পেস্ট লাগিয়ে দেবেন দেখবেন বাচ্চাদের ঠান্ডা অনুভূত করবেন এবং ঘামাচি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
  • বাচ্চা বাহির থেকে আসলে অবশ্যই গোসল করাবেন।
  • রোদে কখনোই বেশিক্ষণ রাখবেন না।
  • সবসময় ছায়াযুক্ত এবং গাছপালা ও প্রাকৃতিক বাতাস রয়েছে এমন এমন শীতল স্থানে বাচ্চাকে রাখবেন।
  • পাতলা ও নরম জামা পরাবেন রেশমের বা পলিস্টার যাতে কাপড় পড়ানো থেকে বিরত থাকবেন।
  • পানির ঘাটতি এবং শরীরে শক্তি জগতে তরমুজ মৌসুমী ফল হিসেবে বাঁচায়ে খাবেন এবং ঘামাচির জ্বালানিবারনেও ঘামাচি স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঘামাচির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ও ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন বাচ্চার শরীর।
  • আদার রস আমাদের রান্নাঘরে মসলা হিসেবে বেশ পরিচিত তবে এটি ঘামাচি দূর করতেও বেশ কার্যকারী। আদার রস আপনি একটি পাত্রে নিয়ে সামান্য গরম করে নেবেন এবং ঠান্ডা হয়ে আসলে বাচ্চার শরীরে যে সকল স্থানে ঘামাচি রয়েছে সকল স্থানের লাগিয়ে দেবেন দেখবেন স্বস্তি অনুভূত ও ঘামাচি কমে গেছে।

বাচ্চাদের ঘামাচির ক্রিম

গ্রীষ্মকালীন সময়ে অতিরিক্ত গরমে বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং এর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাউডার। কিন্তু আমরা অনেকেই জানতে চাই বাচ্চাদের ঘামাচির ক্রিম রয়েছে কিনা। ঘামাচি একটি সাধারণ বিষয় বাচ্চাদের শরীলের জন্য। এটি অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীরের ঘর্মগ্রন্থিরতে এক ধরনের জীবাণু তৈরি হয় সেটি হল স্টেফ এপিডারমাইডিস নামক জীবাণু।

আমাদের শরীরের ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবেই ঘাম নিঃসরণ হয় তা কোন ক্ষতির বিষয় নয়। তবে তা অতিরিক্ত পরিমাণে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কিন্তু এই ঘাম থেকে হওয়া ঘামাচি জ্বালাপোড়া, র‍্যাশ ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে, নিয়মিত গোসল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, 
বেশি বেশি পানি পান করা ও ন্যাচারাল এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি পাউডার ব্যবহার করে খুব সহজে ঘামাচি থেকে নিস্তার পাবেন। তবে খামাচি থেকে অতিরিক্ত চুলকানির ফলে ফুসকুড়ি, ক্ষত ও সংক্রমনের সৃষ্টি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং তাদের পরামর্শ অনুসারে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

কোন পাউডার শিশুর জন্য নিরাপদ?

যাদের বাচ্চা রয়েছে তাদের সকলেরই গ্রীষ্মকালের একটি বড় ধরনের সমস্যা হল বাচ্চার শরীরে অতিরিক্ত ঘামাচির ফলে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ক্ষত, সমস্ত শরীর লাল হয়ে যাওয়া, র‍্যাশ সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং এগুলো দূর করার জন্য আমরা অনেকেই বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের পাউডার ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু অনেকেই এই প্রশ্নের ভোগেন কোন পাউডার শিশুর জন্য নিরাপদ? বাজারে অনেক ধরনের নামিদামি বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার জন্য পাউডার পাওয়া যায় তবে আপনি একজন সচেতন এবং বাঁচার ত্বক সুরক্ষার জন্য এমন পাউডার বেছে নেবেন যেগুলো প্রাকৃতিক ও ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে আপনার বাচ্চার ত্বক অনুসারে কোন পাউডারটি ভালো হবে তা জেনে নিবেন।

কারণ সকল বাচ্চার ত্বক একরকম নয় এবং সব ধরনের পাউডার বাচ্চাকে শুট করে না। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে কিছু পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করে বাচ্চাকে ঘামাচি থেকে দূরে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি পাউডার ব্যবহার করতে চান অবশ্যই পাউডারের গায়ে লেখা উপাদান গুলো পড়ে নিবেন এবং সেটি মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রোডাক্ট কিনা তাও লক্ষ্য রাখবেন।

বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার নাম

বাচ্চাদের ঘামাচি পাউডার নাম
আপনার বাচ্চার ঘামাচি জনিত বিভিন্ন সমস্যার জন্য যদি পাউডার নাম জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। আমি আপনাদের মাঝে কিছু বাচ্চাদের ঘামাচির পাউডারের নাম নিম্নে উল্লেখ করলাম-

  • মি মি ফ্রেশ ফিল বেবি পাউডার
  • জনসন‘স বেবি পাউডার ব্লজমস
  • মাদার স্পর্শ ট্যালক
  • হিমালয়া হারবাল বেবি পাউডার
  • চিকো টালকাম বেবি পাউডার
  • মামা আর্থ ডাস্টিং বেবি পাউডার উইথ অরিজিনাল উইট্মেন্ট
  • সিবেমড বেবি পাউডার
  • পিজান বেবি পাউডার
  • দ্য মমস কো. ট্যালক ফ্রী বেবি পাউডার
  • বাটার বিন বেবি
  • বায়োটিক ডিজনি মিকি পাউডার, তুলসী এবং লাল চন্দনের পাউডার
  • সফটনেস বেবি পাউডার
  • আর্থি সোপা বেবি ডাস্টিং পাউডার

লেখকের মন্তব্য

ক্রাই বাটন আজকে এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনার বাচ্চার ঘামাচি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া ন্যাচারাল ও প্রাকৃতিক উপায়, বিভিন্ন পাউডার এর নাম ইত্যাদি ছাড়াও ঘামাচির সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। হয়েছেন আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলো অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে তাদের বাচ্চার শরীরে ঘামাচি দূর করার উপায় গুলো এবং ঘামাচি দূর করার বিভিন্ন পাউডার গুলোর নাম জানিয়ে সহায়তা করবেন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট ও ফলো করুন। আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url