সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,আজকের আলোচ্য বিষয় সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম, দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, খেজুর খেলে ওজন বাড়ে না কমে ইত্যাদি আরো খেজুর নিয়ে নিম্ন আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে খেজুর নিয়ে আপনার মনে যত প্রশ্ন রয়েছে তার সকল উত্তর ও সমাধান পাবেন এবং সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে শরীরকে সুস্থ, সবল ও প্রানোবন্ধক রাখতে পারবেন শুধুমাত্র খেজুর খেয়ে।
ভূমিকা
খেজুর এমন একটি
পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে প্রতিরোধ করে,
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে রক্ষা করে, পেটের বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা যেমন- গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া, পেটে জ্বালা, আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি এছাড়াও
মস্তিষ্কের বিকাশ ও সচল, ওজন নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভবতী নারীর বিভিন্ন
সমস্যার সমাধান এটাতে সমস্যা গুলো খুব সহজে সমাধান করতে পারে খেজুর।
আরো পড়ুনঃ
আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়
এরজন্য আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং এর সকল
পুষ্টি উপাদান দিয়ে নিজের শরীরকে সবসময় সুস্থ সবল ও প্রাণবন্তক রাখা। আমাদের
সকলের জানা উচিত সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম, অপকারিতা এবং
কয়টি করে খেতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে ছাড়াও খেজুর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
নিম্নে আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
আজ আমি আপনাদের জন্য নিম্নে সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের শরীর সুস্থ সবল রাখতে যে সকল পুষ্টি উপাদান
প্রয়োজন সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাতে পারে খেজুর। আশা করি
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন-
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
মস্তিষ্ক সচল রাখতেঃ
খেজুরে থাকা
পুষ্টি উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ প্রানোবন্ধক ও সুস্থ রাখে। সকালে খালি
পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেলে সারা দিনের ক্লান্তি, কাজ করার প্রতি আগ্রহ,
শরীরে শক্তি যোগায় এবং সারাদিনের প্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং পুষ্টি উপাদানের
যোগান দেয়। এছাড়া মেধা বিকাশে বিশেষ করে বাচ্চাদের বিশেষ ভূমিকা রাখে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারিতাঃ গর্ভবতী নারীদের জন্য সকল পুষ্টি
উপাদান সবসময় ভরপুর থাকা প্রয়োজন। এর যোগান খুব সহজে দিতে পারে
খেজুর।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফাইবার ভিটামিন এ
সি ডি খনিজ এ ছাড়া অনেক পুষ্টি গুণে ভরপুর। একজন গর্ভবতী মহিলা দিনের দুই
থেকে তিনটি নিয়মিত খেজুর খেলে তার সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সহজে মেটানো
সম্ভব হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ফাইবার আমাদের শরীরের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কাটাতে
ক্ষুধা কম রাখতে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখে। কম কম খাবার
খাওয়া মাকুদা কম লাগার জন্য আপনার শরীরে যে ঘাটতি দেখায় দিবে তার সহজে
মেটাতে পারবে খেজুর।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাঃ যারা কোষ্ঠকাঠি রোগে ভুগছেন তারা তা নিরাময়ের
জন্য নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। খাদ্যকে সহজেই হজম করতে
সহায়তা করে এবং মুখের লালাকে খাবারের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে খাদ্য বৃদ্ধি
করায়।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেঃ আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
সঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আমাদের
শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ বা সঞ্চালন করে। নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেজুর
খেলে আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিলের মাত্রা সঠিক থাকবে।
হার্টের সমস্যা দূর করতেঃ যাদের হার্টের সমস্যা বা হার্ট দুর্বল
রয়েছে তারা নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর আমাদের হার্টকে মজবুত
এবং হৃদরোগের কোন সমস্যা থাকলে তা খুব সহজে দূর করতে পারে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকে কালচে ভাব,
ব্রণ, চোখে নিচ দিয়ে কালো ভাব, মেস্তা, ত্বক কুচকে যাওয়া, উস্কো ও রুক্ষ
ত্বক ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। খেজুর খুব সহজে সকল সমস্যা থেকে দূর করে
আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে ফর্সা ভাব, সৌন্দর্য বের করে আনে এবং ত্বকে সবসময়
টনটনে রাখে। নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন।
চুলের যত্নেঃ আমরা অনেকের রুক্ষ, শুষ্ক, চুল ঝরে পড়ে যাওয়া, নতুন
চুল না গজানো, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, মাথায় অনেক খুশী, চুল লম্বা না হওয়া
ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিপ্রদানের ঘাটতির
কারণে হয়ে থাকে। খেজুর আমাদের শরীরের সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে চুল
মজবুত, ঘন, প্রাণবন্ধুক ও উজ্জ্বল করে তোলে।
খুসখুসে কাশি দূর করতেঃ যাদের খুসখুসে কাশি সহজে ভালো হতে যাচ্ছে না
তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। এছাড়া রাত্রে এক গ্লাস
পানিতে ৭টি থেকে ৮টি খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে একটা চামচ মধু মিশিয়ে
খেতে পারেন। এতে খুব দ্রুত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আপনার খুসখুসে কাশি দূর
হয়ে যাবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ খেজুর আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে শরীরকে সুস্থ সবল রাখে। নিয়মিত যাদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের
কখনোই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হবে না যেমন ক্যান্সার। খেজুর আমাদের শরীরে
বিভিন্ন রোগ জীবাণু, ও ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সাথে যুদ্ধ করে। এর জন্য খেজুর কে
বলা হয় ক্যান্সার প্রতিরোধ। কারণ এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতেঃ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের
হজম ক্রিয়া বদহজম পাচন ক্রিয়া বুকে জ্বালা পেটে ব্যথা বিভিন্ন প্রকার
প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মতে নিয়মিত সকালে খালি পেটে
তিন থেকে চারটি খেজুর খেলে পেটের বিভিন্ন প্রকার বোধাও থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
কর্মশক্তি বৃদ্ধিঃ আমাদের সকালবেলা বিভিন্ন কর্মে বের হতে হয়। এজন্য
আমাদের সকালের নাস্তা হতে হবে অত্যন্ত গুণে ভরপুর কোন খাদ। যা আমাদের
সারাদিনের ক্লান্তি, কর্ম করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, সারাদিন চাঙ্গা, প্রফুল্ল মন
এবং কর্মশক্তি বৃদ্ধি করবে। এজন্য আপনার নিয়মিত সকালে নাস্তার খাবার হিসেবে
চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন যা আপনার মন ও শরীরের কর্মশক্তি বৃদ্ধি
করবে।
হৃদরোগ প্রতিরোধকঃ আমাদের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণে হৃদরোগ এবং
স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আমাদের
হৃদরোগ প্রতিরোধক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমাতেঃ খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর থেকে
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। যারা নিয়মিত খেজুর
খান তাদের শরীরে কখনোই খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি হবে না। ফলে আপনার
শরীর সবসময় সুস্থ সবল ও প্রাণবন্ধক থাকবে।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে তো আমরা অনেক তথ্য জানলাম
এবং হয়তো এ সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। কিন্তু খালি পেটে খেজুর
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সঠিক তথ্য বা ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী কারণ
কোন খাবারে সঠিক পুষ্টি উপাদান ও গুণাগুণ পেতে হলে অবশ্যই তা কিভাবে খেতে হবে
এবং কখন খেতে হবে সেটা জানলেই সে খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান ও গুনাগুন পাব।
তাই চলুন জেনে নিন খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম।
- সকালে খালি পেটে নাস্তার হিসেবে নিয়মিত চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।
- সকালে এবং দুপুরের মাঝখানে ক্ষুধা লাগলে খেতে পারেন।
- বিকালে নাস্তা হিসেবে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।
- রাত্রে ঘুমানোর আগে ছয় থেকে সাতটি খেজুর খেতে পারেন।
- রাত্রে ভেজানো ছয় থেকে সাতটি খেজুর এক গ্লাস পানি।
- রাত্রে ৬ থেকে ৭ টি খেজুরের সাথে ৭ থেকে ৮ কিসমিস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এগুলোর পানি খেতে পারেন।
- রাত্রে ৬ থেকে ৭টি খেজুর ভেজানো পানির সাথে সকালে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- দুধ ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- খেজুর বিভিন্ন রকমের বাদাম কিসমিস ঘি ও মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
সম্পর্কে জানতে পারলাম যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক ও এটি কিভাবে খেলে বেশি
উপকৃত হবে এবং পুষ্ট উপাদান অনেক বেশি ও ভরপুর হয়েছে কিন্তু সকালে খালি পেটে
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা।
আরো পড়ুনঃ
খালি পেটে খেজুরের রস খেলে কি হয়?
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। নিম্নে উক্ত
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- খেজুরে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে সকালে খালি পেটে ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেলে হঠাৎ ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা এ ফল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- আমাদের যাদের শরীরে পড়ার সময়ের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে রয়েছে তারা অবশ্যই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ খেজুর পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে খালি পেটে খেজুর খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার অনেক সময় আমাদের গ্যাস্টিক, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন তারা বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ খেজুর ফল প্রচন্ড মিষ্টি হয়ে থাকে। এজন্য অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে তারা অল্প পরিমাণে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
আমরা সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম এবং পুষ্টিগুণ কতটা তা
সম্পর্কে অবহিত হলাম। কিন্তু দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে কি আমরা
জানি। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন নিম্নে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- একটি মাত্র খেজুরে পুষ্টি উপাদান প্রোটিন ২.৪ থেকে ৫.৭, ফাইবার ৬. ৫ থেকে ১১.৭ শতাংশ, কার্বনের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ।
- প্রতিদিন নিয়মিত একজন সুস্থ ব্যক্তি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম বা তিন থেকে চারটি অনায়াসে খেতে পারেন।
- ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারেন। তবে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খেজুর খাবেন।
- যাদের অতিরিক্ত ওজন তারা প্রতিদিন নিয়মিত দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারেন।
- যাদের ওজন বাড়তে চায় না বা কম ওজন তারা নিয়মিত চার থেকে পাঁচটি অথবা সাত থেকে আটটি খেজুর খেতে পারেন।
- যাদের শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম রয়েছে তারা ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খেজুর খাবেন তবে নিয়মিত করে দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারেন।
- যাদের অতিরিক্ত গ্যাস বুক জ্বালাপোড়া হজম ক্রিয়ায় সমস্যা রয়েছে তারা নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি খেজুর খেতে পারেন
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আইরন স্নেহ জাতীয় পদার্থ যা আমাদের হাটকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।
খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে না কমে?
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে না কমে? নিম্নে উক্ত বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি সঠিক তথ্য ও
উপকৃত হতে পারবেন -
ওজন কমাতেঃ খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত
ক্ষতিকর পদার্থ, কোলেস্টেরল ও মেদ কমাতে সহায়তা করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের ক্ষুধা লাগা এবং খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে সহায়তা
করে। কম খাবার খাওয়ার ফলে যে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতে হয় তা খেজুর নিজেই
মেটিয়ে দেয় ফলে খুব সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন বাড়াতেঃ আমাদের শরীর অতিরিক্ত কোন কিছুই নিতে পারে না ফলে তার
বিপরীত ক্রিয়া করে। খেজুরের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটে। খেজুর আমাদের শরীরে ওজন
কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেলে তার উল্টোটা ঘটে অর্থাৎ
আমাদের শরীরে ওজন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এজন্য অবশ্যই খেজুর খাবেন কিন্তু
অতিরিক্ত পরিমাণে নয়।
- যারা ওজন বাড়াতে চান তারা বিভিন্নভাবে খেজুর শুধু খেজুর খেয়ে ওজন বাড়াতে পারবেন। যেমন দুধ ও খেজুর ৭ থেকে ৮টি খেজুর একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত খান। দ্রুত আপনার ওজন বাড়বে।
- সাত থেকে আটটি খেজুর এবং সাত থেকে আটটিকিসমিস সারারাত এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালে খালি পেটে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- এক কাপ খেজুর হাফ কাপ মধু বিভিন্ন প্রকারের বাদাম যেমন কাঠবাদাম কাজু পেস্তা ইত্যাদি এক কাপ পরিমাণে, এক কাপ ঘি ইত্যাদি ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত সকালে এবং রাত্রে খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও
নিয়ম এবং কি নিয়মে খেলে ওজন বাড়বে এবং কি নিয়মে খেলে ওজন কমবে। এর
উপকারিতা এতটাই বেশি যে একটি নির্দিষ্ট ও সঠিক নিয়মে খেলে ওজন বাড়বে এবং
সঠিক নিয়মে খেলে ওজন কমবে।
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
দুধ ও খেজুর দুটোই পুষ্ট গুনে ভরপুর খাদ্য। একে অপরে কোনটাই পুষ্টি উপাদানে কম
নয়। আজ আমি দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত
আলোচনা করলাম-
ভিটামিনঃ খেজুর ও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেমন ভিটামিন
"এ"," বি২"," বি৫", "বি৩"," বি১" ও "এ২" যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টি উপাদান গুলো একসাথে খুব সহজে দুটি খাবার খাওয়ার ফলে
আপনি পেতে পারেন। সকল ভিটামিন গুলোর শুধুমাত্র দুধ ও খেজুরে এই পুষ্টি উপাদান
গুলো বেশি পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।
আয়রনঃ মানব দেহকে সুস্থ সবল রাখতে সঠিক মাত্রায় শরীরে আয়রন থাকা
অত্যন্ত প্রয়োজন। খেজুর এবং দুধে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা আমাদের
হৃৎপিণ্ডকে দুর্বল হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
করে। যাদের হৃৎপিণ্ড জনিত রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর ও দুধ খেয়ে খুব সহজে
ওষুধ ব্যতীত নিরাময় করতে পারবেন।
প্রোটিনঃ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্ব
এবং এর ঘাটতি হলে কতটা মারাত্মক ক্ষতি আমাদের শরীরের জন্য হতে পারে তা আমরা
সকলেই জানি। খেজুর এবং দুধকে বলা হয় প্রোটিন সমৃদ্ধ গুণে ভরপুর খাদ্য। শরীরে
সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের যোগান দিতে এদের জুরি মেলা ভার।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
একটি উপাদান। যার ঘাটতিতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় যেমন হাড়
ক্ষয়, পেশি দুর্বল, মারি দুর্বল ইত্যাদি আরো নানাবিধ সমস্যা। এ সকল সমস্যা
থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত খান খেজুর ও দুধ।
বিভিন্ন প্রকারের সংক্রমণঃ বর্তমানে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ যেমন গলা, ব্যথা, সর্দি,
কাশি, জ্বর খুব সহজে আক্রমণ করতে পারে। এজন্য আমাদের শরীরের প্রতি বিশেষ
যত্নবান ও দেখভাল করতে হবে। এ সকল সংক্রমণ , ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে নিজেকে
মুক্ত রাখতে নিয়মিত খেজুর ও দুধ খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বাড়ানোঃ প্রাপ্তবয়স্ক বা
অপ্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই বর্তমান যুগে মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি করতে
বিভিন্ন কাজে দ্রুত দক্ষ হওয়ার জন্য স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা
অত্যন্ত জরুরী। খেজুরে ও দুধে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন
আমাদের মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনাকে উন্নত ও দক্ষ করে তোলে।
উচ্চ রক্তচাপঃ খেজুর এবং দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম
আয়রন পটাশিয়াম ও সোডিয়াম যা দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা
রাখে। এছাড়া এ সকল উপাদান আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এ দূর করতে এবং
ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এজন্য নিয়মিত খেজুর ও দুধ খেয়ে নিজের
শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন।
হাড় মজবুতঃ দুধু ও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি
ক্যালসিয়াম আয়রন। যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। বর্তমানে
মহিলাদের বিশেষ করে হাঁটু, মাজা, গিরায় গিরায় ব্যথা ইত্যাদি হয়ে থাকে এজন্য
মেয়েদের নিয়মিত রাত্রে বা সকালে এক গ্লাস দুধের সাথে দুই থেকে তিনটি খেজুর
মিশিয়ে খান এবং অনুভব করবেনকতটা আরাম মিলেছে।
ঘুম ভালো হওয়াঃ বিশেষজ্ঞদের মতেরাত্রে ঘুমানোর আগে নিয়মিত করে
যারা দুধ ও খেজুর খান তাদের অনেক ভালো ঘুম হয়। যাদের ঘুম হয় না এবং ঘুম জনিত
বিভিন্ন সমস্যার রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার
অভ্যাস করে তুলুন। কারণ দুধে ও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বায়োঅ্যাক্টিভ
প্রোপার্টিজ যা আমাদের শরীর থেকে স্টেজ কমিয়ে ঘুম হতে সহায়তা করে।
জীবনী শক্তি বাড়ায়ঃ দুধু ও খেজুরে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
উপাদান রয়েছে। যার ফলে এই দুটো যদি আপনি কম্বিনেশন করে খান তাহলে আপনার শরীরে
অতিরিক্ত শক্তি অনুভব করবেন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এ দুটি উপাদান একসাথে
খেলে আপনার হজম ক্রিয়া সঠিক রয়েছে কি না।
চোখের সমস্যা দূর করেঃ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মতে বর্তমানে অল্প
বয়সেই বেশি ভাগ মানুষের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেমন চোখে
বিভিন্ন ধরনের অঞ্জনি, ঝাপসা দেখা, লাল হয়ে যাওয়া,ছানি পরা, চোখের ভেতর খুজ
খুজ করা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা যার মূল কারণ শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
উপাদানের ঘাটতি।, বিশেষজ্ঞের মতে যারা নিয়মিত খেজুর ও দুধ খান তাদের দৃষ্টি
শক্তি তীক্ষ্ণ হয়। এজন্য নিয়মিত খেজুর খান।
প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ দুধু ও খেজুর দুটি উপাদানে বিভিন্ন পুষ্টি
উপাদান ভরপুর রয়েছে, যা নারী ও পুরুষ দুইজনের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ
কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক গ্লাস দুধে সাত থেকে আটটি খেজুর সারারাত ভিজে রাখুন
সকালে ভালো করে এগুলো মিশিয়ে নিন এবং সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন
এতে দুজনারি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বেশি ভালো ফলাফল পেতে দুধ হিসেবে ছাগলের
দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
শরীরের শক্তি যোগায়ঃ যাদের অতিরিক্ত শরীর দুর্বল, মাথা ঘোরার,
দ্রুত বিভিন্ন রোগে আক্রমণ করতে পারে। তারা নিয়মিত খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেতে
পারেন। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এছাড়া
দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ ভরপুর উপাদান। অবশ্যই তারা নিয়মিত খেজুর ও
দুধ খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
পুরুষদের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
মহিলাদের তুলনায় পুরুষের বেশি পরিমাণে পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এমন কিছু
পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলোর ঘাটতি হলে পুরুষদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
সৃষ্টি হতে পারে। সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার এমন উপকারিতা ও এমন কিছু নিয়ম
রয়েছে যেগুলো পুরুষের অনেকটাই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাতে
পারে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে নিম্নে পুরুষদের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা পুরুষের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়াবেটিস রয়েছে এবং সহজে নিয়ন্ত্রণে আসছে না তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
- পুরুষের বিভিন্ন ধরনের বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা রয়েছে যা খেজুর খেয়ে খুব সহজে সমাধান করা যায়।
- হার্টের সমস্যা বা হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে খেজুর।
- উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে খেজুর।
- পুরুষের বার্ধক্য দূর করতে নিয়মিত খেজুর খান।
- যে সকল পুরুষের বীর্য পাতলা তারা বীর্য ঘন করতে নিয়মিত খেজুরের সাথে বিভিন্ন প্রকার বাদাম, মধু ও ঘি বা মাখন মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আরামদায়ক ও ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে খেজুর।
- হাঁটু ব্যাথা, গিরায় গিরায় ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি সহজে দূর করতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- চোখের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেজুর খান।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন বা চর্বি কাটাতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমাতে খেজুর খান।
- চুল পড়ে যাওয়া, নতুন চুল গজানোর, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে খেজুর খান
- পুরুষের রোদে ত্বক পুড়ে যাব, রুক্ষ-শুষ্ক প্রানহীন, কালকে ভাব দূর করতে নিয়মিত খেজুর খান।
- মস্তিষ্ক সচল এবং কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত খেজুর খান।
- খুসখুসে কাশি দূর করতে নিয়মিত রাত্রে খেজুর ভেজানো পানি সকালে খালি পেটে মধু দিয়ে খান।
- গ্যাস্টিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ দূর করতে নিয়মিত খেজুর খান।
ওজন কমাতে কোন খেজুর খেলে ভালো হয়
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খেজুর বিভিন্ন দেশ থেকে আসে তবে ওজন কমাতে কোন খেজুর
খেলে ভালো হয় তা অনেকেই জানতে চান। নিম্নে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো-
খেজুর হলো আল্লাহ তাআলার একটি নিয়ামত। আমাদের দেশে বা বিশ্বের যত রকমের খেজুর
রয়েছে সকল খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে। কেউ
সকালে খালি পেটে খেজুর খেয়ে এর উপকারিতা গ্রহণ করে এছাড়াও বিভিন্ন আরও নিয়মে
খেয়ে থাকে। সকল খেজুর আমাদের শরীরকে সুস্থ, সবল, প্রানোবন্ধক, ওজন কমাতে এবং
সকল রকমের রোগ জীবাণু ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুনঃ চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়
এছাড়া পবিত্র কুরআনে রয়েছে কোন ব্যক্তি যদি সকালে খালি পেটে ৭টি আজওয়া খেজুর
খেয়ে থাকে তাহলে যদি বিষ পান করে সেটাও পানি হয়ে যাবে।নিম্নের কিছু খেজুরের
নাম দেয়া হলো যেগুলোর যেকোনো একটি খেয়ে খুব সহজে আপনি আপনার ওজন কমাতে
পারবেন-
- সাফাওয়ি
- আমবাই
- সুগাই
- মরিয়ম
- আজওয়া
- আলজেরিয়ান
- মেডজুল
- মাবরুম
- ডাব্বাস
- নাগাল
- আলজেরিয়ান
- খুরমা
- জাহদি
লেখক এর মন্তব্য-সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার
উপকারিতা অপকারিতা ও নিয়ম জানার মাধ্যমে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল রাখার কিছু
তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি করে আপনি উপকৃত
হয়েছেন আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে খেজুরের উপকারিতা অপকারিতা ও নিয়ম
জানিয়ে সুস্থ সবল রাখতে সহায়তা করুন। এমন আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট
নিয়ম সেট করুন, আসসালামু আলাইকুম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url