বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল
খাওয়ার সঠিক সময়, খালি পেটে বেল খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি। বেল সম্পর্কে এগুলো
প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও যদি বেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশাকরি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বেল সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে
তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়ম, পদ্ধতি, পরিমাণ, সময়সীমা
ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিক ভাবে বেল খেতে পারবেন।
ভূমিকা
বেলকে ইংলিশে উড অ্যাপেল বলা হয়। অ্যাপেল যেমন উপকারী তেমনি দেশীয় ফল হিসেবে
বেল অনেক বেশি উপকারী। শুধু বেলই উপকারী সব এ ফলের গাছের সবকিছু মানবদেহের জন্য
আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে ভেষজ ঔষধি হিসেবে বেশ পরিচিত। প্রখর গরমে শরীরকে ঠান্ডা ও
সতেজ করতে, শরীরে ক্লান্তি দূর করতে, রমজান মাসে আখের গুড়ের সঙ্গে বেল মিশিয়ে
সর্ব তৈরি করে শরীরকে চাঙ্গা করার জন্য কিংবা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে
ক্ষেত্রে বেলের কার্যকারিতা অনেক বেশি।
এজন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক
সময়, খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, কাদের জন্য বেল খাওয়া নিষেধ,
বেল খেলে ওজন বাড়ে না কমে, ডায়াবেটিস রোগীরা বেল খেতে পারবে কিনা ইত্যাদি আরো
বেল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পন্ন
পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
আজ আমি বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনাদের
মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং বেল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানানোর চেষ্টা করব
যা শুনে হয়তো আপনারা অবাক হবেন। চলুন জেনে নিয়ে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় এর মধ্যে বেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য-
বেলের উপকারিতা
এই গরমে নানা রকম ফলের মধ্যে বেল অন্যতম। বেল অতি পরিচিত ও সকলের পছন্দনীয় একটি
ফল। অন্যান্য পুষ্টিকর ফলের মধ্যে বেল অন্যতম। অতিরিক্ত গরমে প্রাণ জুড়াতে বেলের
শরবতের জুড়ি নেই। পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক, অর্শ রোগ ইত্যাদি মলদ্বারের
রোগ যাদের রয়েছে তাদের জন্য বেল বেশ উপকারী।
বেল আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে বেল বলতে এখানে ছোট
আকারের কদবেল কে নয় বড় বেলগুলোকে বোঝানো হচ্ছে। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ ও সি। বেলে থাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি,
লিভার সুস্থ, ডায়াবেটিস, রক্ত পরিষ্কার, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা
করে এবং ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি প্রখর,
চোখের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পুষ্টি জোগাতে যোগায়, চোখের কোলন ক্যান্সার ও চোখের
বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে বিভিন্ন। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে
আলোচনা করব বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য। প্রথমে চলুন জেনে নেই বেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেল এক মহা ঔষধ। বেলে থাকা
মেথানল নামক পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার কমাতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের বেল শরবত করে না খেয়ে বরং পাকা বেল এমনিতেই ছেলে বেশি ভালো
ফলাফল পাবেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে: হজম শক্তি উন্নতিতে সহায়তা করে বেল ফলে হজম শক্তি
বৃদ্ধি পায়। কারণ বেলে রয়েছে খাদ্য আঁশযা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং হজম
বৃদ্ধি করে। বেল এর যে বিকলন বা বীজ রয়েছে সেগুলো অন্ত্রের মধ্য গিয়ে বিভিন্ন
উপকারী পরিবেশ তৈরি করে যার ফলে খাদ্য সহজে হজম হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।
শরীর সতেজ রাখতে: শরীর সতেজ রাখতে বেলের শরবতের জুড়ি নেই। বেলা রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালরি ও যা দেহে এনার্জি বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা
রাখে। মেল পেশীকে মজবুত করে ফলে শরীর সতেজ থাকে। তাই গরমের দিনে শরীরকে সতেজ
রাখতে প্রতিদিন পাকা বেলের শরবত পান করুন।
রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি: বেলা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং গ্রীষ্মকালীন ছোঁয়াচে বা বসন্তকালীন
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে বেল।
রক্ত পরিষ্কার করতে: বেল রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে ফলে রক্ত সঞ্চালন
স্বাভাবিক থাকে এছাড়াও বেল শরীর থেকে টক্সিন বের করতে ও সহায়তা করে ফলে শরীর
ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে।
গ্যাস্ট্রিক কমাতে: বেলা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ন্যাচারাল ফাইবার বা খাদ্য
আঁশ যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ফলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং
গ্যাস্ট্রিক জনিত কারণে হওয়া পেটে ব্যথা ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বেলের শরবত
খেলে মুক্তি পাওয়া যায়।
লিভার সুস্থ রাখতে: লিভার সুস্থ রাখার মূল উৎস হতে পারে বেল। কারণ বেলায়
রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা লিভার ভালো রাখতে সহায়তা করে। বেলে থাকা থিয়ামিন ও
রাইবোফ্লাবিন লিভারের শক্তি বৃদ্ধি করে। তাইলে লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত বেল
খান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: বেল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সহায়তা করে।
যেহেতু বেল পরিপাকের সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে। ফলে নিয়মিত বেলে শরবত খেলে
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থাকলে তা অনেকটাই দূর হয়ে যায়। পাকা বেলের আঁশ বের করে চিনি
দিয়ে পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ক্ষেত্রে বেশ উপকার
পাবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে: দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে
বেলের উপকারিতার কোন জুড়ে নেই। বেলে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য অত্যন্ত
উপকারী। বেলের পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি কেটে যায়। এছাড়াও
যারা নিয়মিত বেল খায় তাদের চোখের বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম
থাকে।
ব্লাড প্রেসার কমাতে: বেল ব্লাড প্রেসার কমাতে সহায়তা করে। সাধারণত
যেভাবে পাকা বেলে শরবত খাওয়া হয় ঠিক সেভাবেই নিয়মিত বেলে শরবত খেলে আপনার
ব্লাড প্রেসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কিডনি সুস্থ রাখতে: কিডনি সুস্থ রাখে বেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ
বেলে থাকা উপকারি উপাদানগুলো কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে ফলে কিডনির
বিভিন্ন রোগ হতে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য অনেক চিকিৎসক কিডনি রোগে
আক্রান্ত রোগীদের বেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে: বর্তমানে ক্যান্সার রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বেল খান। কারণ বেলের রয়েছে আন্টি পুলেফেরেটিভ ও
অ্যান্টিক মোটাজান উপাদান আর এই দুইটি উপাদানই টিউমার হতে বাধা সৃষ্টি করে এবং
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
ত্বক সুস্থ রাখতে: বেল ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বেলে রয়েছে প্রচুর
খাদ্য আসছে ত্বকের বেশ উপকারী। বেল খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে ত্বক
মসৃণ ও ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
ডায়রিয়া কমাতে: কাঁচা বেল ডায়রিয়া রোগীদের জন্য অবর্ত ঔষধ। আপনি যদি
অনেকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগে ভুগছেন তাহলে অবশ্যই ডক্টরের শরণাপন্ন হবেন তবে অল্প
পরিমাণ ডায়রিয়া হলে আপনি ঘরোয়াভাবে কাঁচা বেলকে স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে
গুড়ো করে নেবেন। এক চামচ বেলের গুঁড়ো পাউডার এর সঙ্গে ব্রাউন সুগার ও গরম পানির
সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। দিনে দুইবার একই নিয়মে খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
আলসার নিরাময়: আনসার নিরাময়েও বেলের বেশ কার্যকারিতা রয়েছে। তবে আপনার
যদি অনেক বেশি বা অতিরিক্ত পরিমাণে দীর্ঘ সময়ের আলসার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই
ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ সেবন করবেন বা পরামর্শ অনুসারে চলাফেরা ও খাবার
খাবেন। কারণ আলসার রোগীদের বেশ ভেবেচিন্তে খাবার খেতে হয় এবং অনেক খাবার বাদ
দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ইসবগুলের ভুসির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কিন্তু পাকা বেলে আলসার কমাতে সাহায্যকারী ফাইবার রয়েছে এর জন্য আপনি যদি
সপ্তাহে তিন দিন পাকা বেলের শরবত খান তাহলে অনেকটাই আলসার নিয়ন্ত্রণে আসে তবে
অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে গ্রহণ খাবেন।
যক্ষা কমাতে: আপনি হয়তো শুনে অবাক হবেন কিন্তু বেল যক্ষা কমাতেও সহায়তা
করে। পাকা বেলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা যক্ষা কমাতে সহায়তা
করে। তবে আপনি যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্রাউন সুগারের সঙ্গে
বা মধু মধু দিয়ে বেলের শরবতের সঙ্গে খেতে হবে ঘুমানোর পূর্বে এভাবে ৪০ দিন খেলে
বেশ উপকার পাবেন।
আর্থ্রারাইটিস কমাতে: আর্থ্রারাইটিস উপশম করেন বেল। আর্থ্রারাইটিস এমন এক
ধরনের সমস্যা যা বর্তমানে শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যে নয় কম বয়সের মানুষেরও
হচ্ছে। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে ঘাটে ঘাটে ব্যথা, চলাফেরা করতে সমস্যা ইত্যাদি।
বেলায় থাকা এন্টি এমপ্লিমেন্টরি উপাদান এ ব্যাথার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে বা
সাহায্য করতে পারে।
দাঁতের স্কার্ভি কমাতে: স্কার্ভি হলো দাঁতের এক ধরনের সমস্যা যা মূলত
ভিটামিন সি এর অভাবে হয়ে থাকে অর্থাৎ দাঁতের ক্ষয়। দাঁতের ক্ষয় হলে বেল এই রোগ
প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে। আমরা দেখেছি বেল ভিটামিন সি এর অন্যবদ্ধ উৎস। আমরা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শরীরে পূরণ করতে পারি।
অভ্যন্তরীণ সার্বিক স্বাস্থ্য ধরে রাখতে: বেলে রয়েছে ফ্যানোলিক কম্পাউন্ড
যা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই গাছের সকল অংশই এন্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর। আর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। ড্যামেজ কোষ থেকে ফ্রি
ডেডডিকাল হাওয়া কমায়। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্য কমায় এবং ত্বকের
যৌবন ধরে রাখে।
ম্যালেরিয়া কমাতে: এটা হয়তো আপনি কখনো শুনেন নি বেলের এই গুণটিও রয়েছে।
ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল নিয়ে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার এক চামচ শুকনো
বেলার গুঁড়ো সঙ্গে তুলসির পাতার রস ও মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে অসাধারণ
ফলাফল পাবেন।
রক্ত শুদ্ধ করতে: আমাদের শরীরে প্রধান হচ্ছে রক্ত। রক্তের মাধ্যমে
পুষ্টিগুণ সব অংশে পরিহিত হয়। এর জন্য রক্ত শুদ্ধ থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। বেল এ
রক্ত শুদ্ধ করতে বেশ ভালো কাজে দেয়। কিছুটা পাকা বেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে শরবত
করে খেলে আপনার রক্ত শুদ্ধ করতে বেশ সহায়তা করবে এছাড়াও কিডনি, লিভার ও সুস্থ
রাখতে সহায়তা করবে।
এনার্জি বৃদ্ধি করতে: শরীরে এনার্জি বাড়ায় এনার্জি যুক্ত খাবার।
বর্তমানে আমাদের অনেক কর্মব্যস্ততা বসে থাকার মোটেও সময় নেই অনেকের। আর কর্ম
ব্যস্ততায় কর্ম করার সমর্থ্য বা সুস্থ থেকে কর্ম করার জন্য প্রয়োজন এলার্জি। এর
জন্য আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন যে কোন কোন খাবার খেলে শরীরে
এনার্জি বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য অনেক এনার্জিযুক্ত খাবারের মধ্যে বেলও একটি।
১০০ গ্রাম ব্যালেন্স রয়েছে ১৪০ ক্যালোরি শক্তি রয়েছে। বেল আমাদের মেটাবলিজম
বৃদ্ধি করে এবং এতে হাই প্রোটিন রয়েছে বিধায় শরীর দ্রুত সজাগ হয় ফলে আমরা অনেক
সময় ধরে এনার্জিটিভ থাকতে পারি এবং অনেক কাজ করতে পারে।
আমাশয় কমাতে: আমাশায় কমাতে বেলের কাছে যেন এক ম্যাজিক রয়েছে। কচি বেল
টুকরো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত সেই পানি পরের দিন সকালে ছেকে খেয়ে
নিন দেখবেন বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
এছাড়াও বেলের আরও বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যেমন-
- হাত-পা জ্বালাপোড়া প্রশম করতে সহায়তা করে।
- প্রসাব ক্লিয়ার করতে ও প্রসবের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- বুক জ্বালা কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
- মাথা ব্যথায় স্বস্তি প্রদান করে।
- চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে।
- ঋতুস্রাব ক্লিয়ার হতে সহায়তা করে।
- ঘনঘন সর্দি কমাতে সহায়তা করে।
- জন্ডিস জন্ডিস রোগে স্বস্তি প্রদান করে।
- গুড়া কৃমি নিঃসরণের সহায়তা করে।
- বমি ভাব, বদহজম, অম্বল দূর করতে সহায়তা করে।
- মল বা স্টুন ত্যাগ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
- ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
- দাঁতের মাড়ি ব্যথা প্রশম করতে সহায়তা করে।
- পানিবসন্তের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
- হাঁটু বা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। স্কাল
- চুলের স্কালফে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে চুলকে মসৃণ ও লম্বা করতে সহায়তা করে।
- হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
উপরোক্ত সম্পূর্ণ আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল
খাওয়ার সঠিক সময় এর মধ্যে বেল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি সম্পূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন বেল খাওয়ার কত বেশি উপকারিতা
রয়েছে। তবে উপরোক্ত উপকারিতা ছাড়াও বেলের আরো শতাধিক উপকারিতা রয়েছে। চলুন এখন
জেনে নেই বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় এর মধ্যে বেলের
অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু সঠিক তথ্য-
বেল খাওয়ার অপকারিতা
এখন আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব বেল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। বেল অনেক
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হলেও একটানা দীর্ঘ সময় ধরে পাকা বেল খেলে তা স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর। পাকা বেল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অন্ত্রের ছিদ্র হতে পারে। তবে
কাঁচা পেলে এমন সমস্যা হয় না। পাকা বেল পেটের দুর্গন্ধ বায়ু দূর করে কিন্তু
কচিকাঁচা বেলে উপকারী যা পেটের বায়ু নাশক হিসেবে কাজ করে।
ডায়েটিশিয়ানদের মতে বেল শ্বেতসার, প্রোটিন এবং ধাতব লবণ সমৃদ্ধ হলেও এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তবে অপকারিতার চেয়ে বেলে
উপকারিতা অনেক বেশি। এছাড়াও যে সকল ব্যক্তির কোন প্রকার এলার্জির জনিত রোগে
আক্রান্ত রয়েছেন তাদের বেলের শরবত অল্প পরিমাণে খেয়ে পরিক্ষিত হওয়া উচিত কারণ
অনেক সময় এনার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিদের এলার্জি পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এনার্জি
লক্ষণ হিসেবে গায়ে চুলকানি,
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
শ্বাসকষ্ট, শরীরে যে কোন স্থানে ফুলে যাওয়া, ইত্যাদি দেখার সাথে সাথে অবশ্যই
ডক্টর শরণাপন্ন হবেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও নিয়মিত বা প্রতিদিন বেলের শরবত
খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ বেলা রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যার রক্তে শর্করা
মাত্রাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারে এবং আপনি যদি কোন প্রকার রোগের জন্য ওষুধ
খেয়ে থাকেন তাহলেও ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে বেলা খাবেন কারণ অনেক সময় বেল
বিভিন্ন ধরনের ওষুধের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে করতে পারে।
এছাড়া আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন অবস্থায়
নিয়মিত বেলের শরবত খেতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর কাছে
পরামর্শ নিয়ে খাবেন কারণ এমন সময় বিশেষ বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অনেক বেশি
জরুরী। তাই শুধু বেল নয় যেকোনো ধরনের ফল বেশি পরিমাণে খেলে বা না বুঝে না জেনে
ডক্টরে পরামর্শ ব্যতীত কোন খাবার খেলে হিতের বিপরীত হবে। তাই সুস্বাস্থ্য বজায়
রাখতে শুধু ফলই নয় যে কোন খাবারই পরিমাণ মতো খেতে হবে।
বেল খাওয়ার সঠিক সময়
উপরোক্ত সম্পন্ন আলোচনা থেকে আপনারা বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন
এখন আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব বেল খাওয়ার সঠিক সময়। বেল আমরা মূলত বেশিভাগ
মানুষ শরবত হিসেবে খেয়ে থাকি শরীরের ক্রান্তি দূর করতে, শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে
আনতে, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য।
আপনি যদি নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডক্টরের পরামর্শ মোতাবেক সকালে
খালি পেটে কিংবা রাত্রে খাবারের মাঝামাঝি সময়ে বেলা শরবত খান তাহলে আপনার পেটের
বিভিন্ন সমস্যা দূর হতে সহায়তা করবে এবং সকালে পেট পরিষ্কার ও মলত্যাগের সুবিধা
হবে এবং আপনি যদি সকালে শরবত খান তাহলে সারাদিন কর্ম করার এনার্জি পাবেন এছাড়াও
আপনি যদি দুপুরের অত্যন্ত
প্রখর গরমে শরীরকে সতেজ, ক্লান্তিমুক্ত ও এনার্জি ফুল করতে চান তাহলে পাকা আখের গুড়ের সঙ্গে বেলের মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে বেল আপনি যেকোনো সময়ই খান
না কেন সকাল, দুপুর কিংবা রাতে পুষ্ট গুনাগুন ও উপকারিতা আপনার শরীরকে সুস্থ
রাখতে বিশেষ সহায়তা করবে।
উপরোক্তে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে বেলের কিছু সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা
করি বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে আপনি
অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি বেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন কারণ আমি নিম্নে বেল সম্পর্কে জানা অজানা আরো বিভিন্ন
সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চলুন জেনে নিই বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় ছাড়াও বেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা-
- বেলে কি কি ভিটামিন আছে?
- খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে বেল খাওয়ার অপকারিতা
- পাকা বেল খেলে কি সুগার বাড়ে?
- বেল কাদের খাওয়া উচিত নয়?
বেলে কি কি ভিটামিন আছে?
এতক্ষণ আমরা জানলাম বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। কোন খাবার যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে
সকলের কাছে পরিচিত তা যদি আপনি খান তাহলে তা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে এর
উপকারিতা ও অপকারিতা ,খাওয়ার সঠিক সময় জানার পাশাপাশি বেলে কি কি ভিটামিন আছে?
বা পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর ১২ টি ঘরোয়া উপায়
তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
জানানোর পাশাপাশি বেলে কি কি ভিটামিন আছে? তা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। বেলের
পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের চেয়ে অত্যন্ত বেশি। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে বেল খাওয়া
যায়। বেলায় রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম
এর মত মূল্যমান পুষ্টি উপাদান।
চলুন জেনে নেই প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাসে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে-
- ভিটামিন বি-১- ০৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি-২- ০.০২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি-৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি-৬ ১.১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন-এ ৫৫ মিলিগ্রাম
- পানি-৫৪. ৯৬ থেকে ৬১.৫ গ্রাম
- প্রোটিন-১.৮ থেকে ২.৬২ গ্রাম
- স্নেহ পদার্থ-০.২ থেকে ০.৩৯ গ্রাম
- শর্করা-২৮.১১ থেকে ৩১.৮ গ্রাম
- ক্যারোটিন-৫৫ মিলিগ্রাম
- থায়ামিন-০.১৩ মিলিগ্রাম
- রিবোফ্লোবিন-১.১৯ মিলিগ্রাম
- এসকরবিক এসিড-৮ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন-১.১ মিলিগ্রাম
- টারটারিক এসিড-২.১১ মিলিগ্রাম
- চর্বি- ০. ২ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম- ৩৮ মিলিগ্রাম
- আমিষ-২. ৬ গ্রাম
- লোহা-০.৬ মিলিগ্রাম
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
বেল সুষম ও সাশ্রয়ী একটি ফল। বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক
সময় সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী তেমনি আপনি যদি খালি পেটে বেল খেতে চান তাহলে এর
কোন উপকারিতা পাবেন কিনা বা শরীরে কি প্রতিক্রিয়া ঘটবে তা জানাও অত্যন্ত জরুরী
এজন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
ভরা পেটে কিংবা অন্য যেকোনো সময় বেল খাওয়ার চাইতে খালি পেটে বেল খাওয়ার
উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। বেলে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা নরম এবং সহজে
পাচনশীল একটি খাবার এজন্য খুব সহজে পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে। এ ছাড়া আরও
বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে খালি পেটে বেল খেলে। যা আপনি উপরোক্ত বেলের ৪০ টি
উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
খালি পেটে বেল খাওয়ার অপকারিতা
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
সম্পর্কে বিস্তারিত। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বেল খালি পেটে বেল খাওয়ার কোন
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে কিনা বা খালি পেটে বেল খাওয়ার অপকারিতা
সম্পর্কে। খালি পেটে বেল খেলে কোন অপকারিতা নেই। তবে দীর্ঘ সময় বা পরিমাণের ওপর
নির্ভর করে খালি পেটে বেল খেলে কিছু অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে
পারে।
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে বা ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত তিন থেকে চার মাস বা বেশি
সময় ধরে খান তাহলে আপনার কনস্টপেশন এর সমস্যা, অন্ত্রের ছিদ্র, এলার্জি,
ডায়াবেটিক্স ইত্যাদি আরো সমস্যা হতে পারে। এর জন্য এজন্য যেকোনো ফল বা খাবার
অনেক বেশি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হলেও তা অতিরিক্ত পরিমাণে বা দীর্ঘ সময় ধরে
খাওয়া যাবেনা তা না হলে আপনার উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা বেশি হতে পারে।
পাকা বেল খেলে কি সুগার বাড়ে?
অনেকের মনে যেমন প্রশ্ন ছিল বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক
সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার তেমনি বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীদের মনে প্রশ্ন
জাগে পাকা বেল খেলে কি সুগার বাড়ে? বা পাকা বেল কি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে
পারবে। ডায়াবেটিস রোগীদের মনে এমন প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক কারণ ডায়াবেটিস
রোগীদের অনেক খাবার খাওয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
পাকা বেল খেলে সুগার বাড়ে না কিন্তু নিয়মিত বা প্রতিদিন খেলে সুগার বাড়ার
সম্ভাবনা রয়েছে কারণ বেলা রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে
বা দীর্ঘ সময় বা প্রতিদিন খেলে রক্তের শর্করা পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে এবং সুগার
বেড়ে বেড়ে যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস রোগীদের বেল খেতে বেশি
ইচ্ছা হলে শরবত করে না খেয়ে শুধু বেল খাওয়া তাই ভালো বা পুড়িয়ে বেল খাওয়া
তাই বেশি ভালো। এতে সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।
বেল খেলে কি ওজন বাড়ে?
যারা ওজন কমাতে চান তারা সব সময় জানতে চায় কোনটা খেলে ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে
আসবে বা কোন খাবারটিতে কম ক্যালরি রয়েছে। যারা ওজন কমাতে চান তারা বেলের ৪০ টি
উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় জানার সাথে সাথে বেল খেলে কি ওজন
বাড়ে? তা জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
এক গ্লাস পরিমাণ বেলের শরবতে খুবই অল্প পরিমাণে অর্থাৎ ১৪০ থেকে ১৫০ ক্যালোরি
থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জন্য দৈনিক ১৬০০ ক্যালোরি থেকে ২৪০০ ক্যালোর
প্রয়োজন হয় এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের জন্য প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৩০০০
ক্যালরির প্রয়োজন হয়। যেখানে এক গ্লাস পাইলে শরবতে মাত্র ১৪০ থেকে ১৫০ ক্যালোরি
থাকে।
আরো পড়ুনঃ আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা
এজন্য যারা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাদের জন্য চিনি বা আখের গুড়
ব্যতীত পুদিনা পাতা, সামান্য গোলমরিচ ইত্যাদি মিশিয়ে খেলে খুব সহজে ওজন খেতে
পারেন। এছাড়াও বেল পেট পরিষ্কার করতে বা পেটের জীবাণু মলকে নরম করে বলের মাধ্যমে
বের করে দিতে সহায়তা করে ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না এবং যেহেতু বেল আঁশ বা
ফাইবার জাতীয় ফল
এজন্য পেট অনেকক্ষণ ধরে ভরা থাকে ফলে খুদা কম লাগে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ হিসেবে বেল
কাজ করে। এই আলোচনা থেকে হয়তো আপনার এখন বুঝতে পেরেছেন বেল খেলে ওজন বাড়ে না
বরং নিয়ন্ত্রণে আসতে সহায়তা করে।
বেল কাদের খাওয়া উচিত নয়?
বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে যেমন জানা দরকার
তেমনি বেল কাদের খাওয়া উচিত নয়? অর্থাৎ এমন কোন রোগ যে রোগ থাকলে বেল খাওয়া
যাবেনা তাদের জন্য বেল খাওয়ার পূর্বে তা জানা অবশ্যই প্রয়োজন। যেহেতু বেল ভেষজ
ঔষধি গুনে ভরপুর একটি ফল।এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের বেল খাওয়ার পূর্বে
অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে বেল খেতে হবে।
যেমন- অতিরিক্ত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি বা সব সময় ডায়াবেটিস ওঠা নামা
করে, অতিরিক্ত ব্লাড প্রেসারে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ক্ষেত্রে, অ্যালার্জি থাকলে,
অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থাকলে, ওষুধের মিথস্ক্রিয়া,
ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি, গর্ভাবস্থায় বা বুকের দুধ খাওয়ানো নারীর ক্ষেত্রে
ইত্যাদি আরও জটিল রোগে বা সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি অবশ্যই ভালো বা নিজস্ব
ডক্টর এর পরামর্শ অনুসারে বেলা শরবত খাবেন।
লেখকের মন্তব্য-বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার সঠিক সময়
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে বেলের ৪০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বেল খাওয়ার
সঠিক সময় ইত্যাদি তথ্য ছাড়াও বেল সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জানা-অজানা তথ্য
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি
উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবের সাথে বেল সম্পর্কে জানানোর জন্য পোস্টটি শেয়ার করবেন। এমন আরো
তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ফলো করে
রাখুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন, আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url