বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি

আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি, গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা ইত্যাদি। বেলের শরবত সম্পর্কে এগুলো প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও যদি বেলের শরবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বেল এর শরবত সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্য সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়ম, পদ্ধতি, পরিমাণ ও সময়সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিকভাবে শরবত খেতে পারবেন।

ভূমিকা-বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি

হারবাল কিংবা আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে বেলের প্রতিটা অংশের বেশ উপকারীতা রয়েছে যেমন- বেলের পাতা, মূল, কাণ্ড, বেলের বিচি, কাঁচা-পাকা বেল, কচি বেল, বেলের শরবত ইত্যাদি এজন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি, গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা, গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, বেল খাওয়ার সঠিক সময়, 
খালি পেটে বেল এর শরবত খাওয়ার উপকারিতা, বেল এর শরবত খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও বেলের শরবত এর গুনাগুন ও পুষ্টি উপাদান সম্পর্কেও আপনাদেরকে সঠিক ধারণা দিতে পারব। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন এজন্য সম্পূর্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করববেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই বেলের শরবতের উপকারিতা ও এর রেসিপি গুলো। প্রথমে আমরা আলোচনা করব বেলের শরবতের উপকারিতা সম্পর্কে-

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা

বাল সম্পর্কে আমাদের মনে অনেকের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি মধ্যে প্রথমে ব্যারে শরবতের ৩৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলুন জেনে নিন-

১০০ গ্রাম বেল এ যেহেতু ভিটামিন বি-১- ০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২- ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি-৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৬ ১.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ৫৫ মিলিগ্রাম, পানি-৫৪. ৯৬ থেকে ৬১.৫ গ্রাম, প্রোটিন-১.৮ থেকে ২.৬২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ-০.২ থেকে ০.৩৯ গ্রাম, শর্করা-২৮.১১ থেকে ৩১.৮ গ্রাম, ক্যারোটিন-৫৫ মিলিগ্রাম, থায়ামিন-০.১৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লোবিন-১.১৯ মিলিগ্রাম, এসকরবিক এসিড-৮ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন-১.১ মিলিগ্রাম, 

টারটারিক এসিড-২.১১ মিলিগ্রাম, চর্বি- ০. ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৩৮ মিলিগ্রাম, আমিষ-২. ৬ গ্রাম, লোহা-০.৬ মিলিগ্রাম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে এজন্য আমরা এ থেকে বুঝতে পারি যে বেলের শরবত তৈরি করে খেলে এর উপকারিতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বেশি তাই চলুন জেনে নেই বেলের শরবতের উপকারিতা- বেলের শরবত এর সাতটি রেসিপি মধ্যে বেলির শরবতের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-

  • বেল একটি আঁশ বা ফাইবার সম্পূর্ণ ফল হওয়ায় এটির শরবত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • বেলের শরবতে যেহেতু মিথানোর নামক পুষ্টি উপাদান রয়েছে হলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি ছাড়া নিয়মিত শরবত না খায় ভালো এবং খেলে অবশ্যই ডক্টরে পরামর্শ অনুসারে খাবেন।
  • শরীরে ক্লান্তি এবং গরমে অনুভূতি দূর করতে বেশ ভালো কাজ করে বেলের শরবত যা আপনার শরীরকে সাথে সাথে সতেজ অনুভূতি ও ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করবে।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব সহজেই শরীরে বৃদ্ধি পায়।
  • ফাইবারযুক্ত খাবার হওয়া এটি খুব সহজে পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে ফলে শরীর হতে বিভিন্ন টক্সিন জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে যায়।
  • গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ কমাতেও বেশ সহায়তা করে বেলা শরবত।
  • বেলে থাকা বিটা ক্যালরিন লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • লিভারের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে বেলের শরবতে থাকা থিয়ামিন ও রাইবোফ্লাবিন
  • বেল এর শরবতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ও দৃষ্টি শক্তি প্রখর করতে সহায়তা করে।
  • চোখের ছানি পড়া ও চোখের বিভিন্ন রোগ কমাতেও সহায়তা করে ব্যালে শরবত।
  • কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও টিউমার নিরাময়ের বেলা থাকা আন্টি পুলেফেরেটিভ ও অ্যান্টিক মোটাজান উপাদান বেশ সহায়তা করে।
  • ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে বেলের শরবতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
  • ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে ও সহায়তা করে বেল শরবত।
  • আলসার নিরাময় ও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে বেলের শরবত।
  • যক্ষা কমাতে ও সহায়তা করে বালের শরবত।
  • আর্থ্রারাইটিস রোগ অর্থাৎ ঘাটে ঘাটে ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা চলাফেরা সমস্যা ইত্যাদি প্রশমন করতেও সহায়তকালের বেলে থাকা এন্টি এমপ্লিমেন্টরি উপাদান।
  • বেল এ ভিটামিন সি দাঁতের স্কার্ভি রোগ অর্থাৎ দাঁতের ক্ষয় কমাতেও সহায়তা করে।
  • ত্বকের বার্ধক্য কমিয়ে ত্বকের যৌবনতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
  • ম্যালেরিয়া রোগ কমাতে ও সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • রক্ত শুদ্ধ ও পরিষ্কার করতে ও সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি করতে পারে বেলের শরবত।
  • হাত পা জ্বালাপোড়া বা শরীর জ্বালাপোড়া প্রশমন করতেও সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • প্রসবের ক্ষয় ও প্রসাব সঠিকভাবে হওয়াতে সহায়তা করে বেলা শরবত।
  • অতিরিক্ত মাথা ব্যথার স্বস্তি প্রদান করে বেলা শরবত।
  • খুশি দূর করতে এবং চুলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে চুলকে ঘন, লম্বা করতে সহায়তা করে।
  • দাঁতের মাড়িতে প্রচন্ড ব্যথা প্রশমন করতে অনেকটা সহায়তা করে বেলা শরবত।
  • ত্বকে ব্রণ, মেস্তা ইত্যাদি দূর করতেও সহায়তা করে।
  • বদহজম, বমি বমি ভাব কমাতেও সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • জন্ডিস রোগ এ স্বস্তি প্রদান করে বেলের শরবত।
  • ঘন ঘন সর্দি জ্বর কমাতে ও সহায়তা করে বেলের শরবত।
  • মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত পেট ব্যথা বা ক্লিয়ার করতেও অনেকটা সহায়তা করে বলে শরবত।
  • ওজন কমাতেও সহায়তা করে বেলে শরবত।
  • হার্ট ব্লক বা ক হার্ট অ্যাটাক হওয়া থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে ফলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
  • বসন্তকালীন বিভিন্ন রোগ বা পানিবসন্ত হাওয়া থেকেও বেশ সহায়তা করে বেলের শরবত।এতক্ষন আমরা জানলাম
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন বেলের হাজারো উপকারিতার মধ্যে মাত্র ৩৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন এখন আমরা জেনে নেইবেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি মধ্য থেকে ব্যালের শরবত বানানোর সাতটি রেসিপি-

বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি

আজকের আলোচ্য বিষয় বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি এখন আমরা আলোচনা করব সাতটি শরবত বানানোর রেসিপি সম্পর্কে চলুন জানি। গরমে অনেকে বেলের ঠান্ডা শরবত খেতে বেশ পছন্দ করেন। বেলের শরবতের প্রশংসা অনেকেই শুনেছি। পুষ্টিবিদরা বেলের শরবতের প্রশংসা করেন তবে তারা বাড়িতে তৈরি শরবতের কথা বেশি বলে থাকেন। বেলের শরবত নানা রকমের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে এবং চুল পড়া ঠেকায়। বেল পেটের নানা রোগ সারাতে জাদুর মত কাজ করে। বেল এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও পটাশিয়াম। তবে বেলের শরবত তৈরি বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে তাই চলুন জেনে নেই বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি মধ্যে শরবত বানানোর সাতটি রেসিপি-

বেলের শরবতের প্রথম রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল- দুইটি
  • চিনি/আখের গুড়/মধু-স্বাদ অনুসারে
  • লবণ-স্বাদ অনুসারে
  • পানি-চার গ্লাস
কাঁচা বেল পাকা বেল, বেলের ছাল ফুল পাতা ও মূল সবই অনেক বেশি উপকারী। তবে বেলা সরবো তৈরি করতে আপনার পাকা বেল নেবেন বেল নাকের কাছে নিয়ে যদি একটু সুন্দর গন্ধ পান তাহলে বুঝবেন সেটি পাকা এছাড়াও দুটি বেল একসাথে নিয়ে বারি দিলে শব্দ শুনে ও বুঝতে পারবেন। বেল যত পাকা হবে এর সুস্বাদু তত বেশি হবে।
বেল ফাটানোর জন্য আপনারা কোন শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করতে পারেন তাহলে উপরের আবরণটি খুব সহজে ফেটে যাবে। একটি চামচের সাহায্যে বেলের ভেতরের শাঁস গুলো আলাদা আলাদা করে একটি বড় পাত্রে রাখুন। বেলের শক্ত আবরণের ভেতরেও অনেক শাঁস লেগে থাকে যা খেতে বেশ সুস্বাদু। একটু সময় আপনি বেলের শক্ত আবরণে লেগে থাকা শাঁস গুলো তুলে নেবেন কারণ এগুলো দিয়ে শরবত তৈরি করে বেশ সুস্বাদু হবে।

সমস্ত বেল শক্ত আবরণ থেকে আলাদা করে একটি পাত্র দেখে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়ে শাঁসগুলো আলাদা করে নেবেন। শাঁসগুলো এমনিতেই বেশ নরম হয়ে থাকে তবে একসাথে জমাট বন্ধ থাকে এজন্য আলাদা করে নেবেন। অনেকেই বলে শাঁস গুলো ব্লেন্ড করে নেয় ভুলে এমন কাজটি করবেন না। বেলের শরবত ব্লেড করতে হয় না এতে এতে কিন্তু আপনার শরবত তিতা হয়ে যাবে। আমি আপনাদেরকে যেভাবে শরবতটি তৈরি করার নিয়ম জানাচ্ছি অবশ্যই সেভাবে করার চেষ্টা করবেন কারণ এভাবে আপনি তৈরি করলে আপনি বেলের আসল সাধ ও উপকারিতা পাবেন।

অল্প অল্প করে পানি দিয়ে বেল থেকে এর শাঁস গুলো পাতলা করে শাঁস থেকে আঁশগুলো ও বিচি গুলো দেখবেন খুব সহজে আলাদা হয়ে। আঁশগুলো ও বিচি গুলো আপনি হাত দিয়ে ছেকে ছেকে তুলে ফেলে দিতে পারেন অথবা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ছাকনির সাহায্যে আঁশগুলো ও বিচি গুলো খুব সহজে আলাদা করতে পারবেন। আপনি যদি দুইটি বড় পাকা বেল নেন তাহলে দুই গ্লাস পরিমানে পানি দিয়ে আঁশগুলো ও বিচি গুলো খুব সহজে আলাদা করতে পারবেন। এভাবে বেল কে আপনি ফ্রিজে ১০ দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
যখন আঁশগুলো ও বিচি গুলো আলাদা হয়ে যাবে তখন এর ভেতর আরো দুই গ্লাস পানি দিয়ে নেবেন। এরপর এর ভেতরে আপনার পছন্দ অনুসারে বা স্বাদ অনুসারে এর ভেতরে চিনি মিশাবেন। আপনারা স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যদি চিনি খেতে চান তাহলে অবশ্য অর্গানিক চিনি টি ব্যবহার করবেন এছাড়া এর ভেতরে মধু বা আখের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। এরপর সামান্য পরিমাণ আপনার স্বাদ অনুসারে লবণ মিশাবেন। সকল উপকরণ দেয়া হয়ে গেলে ভালো করে কিছুক্ষণ পর্যন্ত শরবতটি নাড়াতে থাকবেন।

বেলের শরবত এর দ্বিতীয় রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল -২০০ গ্রাম
  • দুধ- ৩০০ মিলি
  • চিনি/মধু/আখের গুড়-স্বাদ অনুসারে
  • লবণ-স্বাদ অনুসারে
উপরোক্ত নিয়মে বেল হতে আঁশগুলো ও বিচি গুলো আলাদা করে ২০০ গ্রাম বেলের কাথ, দুধ ৩০০ মিলি, লবণ স্বাদ অনুসারে এবং অর্গানিক চিনি বা মধু বা আখের গুড় বেলের মিষ্টির ওপর নির্ভর করে বা আপনার স্বাদ অনুসারে দেবেন। এরপর সমস্ত উপকরণ ভালো করে চিনি গলা পর্যন্ত মেশাবেন। আমি ইচ্ছা করলে এটি ফ্রিজের কিছুক্ষণ রেখেও খেতে ঠান্ডা করে ও খেতে পারেন বা এমনিও খেতে পারেন।

বেলের শরবত এর তৃতীয় রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল -২০০ গ্রাম
  • বিট লবণ-হাফ চামচ
  • লেবুর রস- এক চামচ
আঁশগুলো ও বিচি গুলো ছাড়ানো পাকা বেল ২০০ গ্রাম, স্বাদ অনুসারে বা হাফ চামচ বিট লবণ ও এক চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশালে তৈরি হয়ে গেল খুব সহজে সুস্বাদু বেলের শরবত। আপনি চাইলে এর ভেতরে ঠান্ডা পানি বা বরফের কিউট ব্যবহার করতে পারেন।

বেলের শরবত এর চতুর্থ রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল-২০০ গ্রাম
  • টক দই-২ চা চামচ
বেলের এই শরবতটি তৈরি করা অনেক বেশি সহজ এবং অনেক বেশি উপকারী। এই শরবতটি তৈরি করার জন্য আমরা শুধু টক দই ব্যবহার করব। গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা বা সতেজ কিংবা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী টক দই। দুই চামচ টক দই ভালো করে ফেটে ২০০ গ্রাম বেলের জুস মিশিয়ে তৈরি হয়ে গেল খুব সহজ এবং উপকারী বেলের শরবত। আপনারা চাইলে এর ভেতরে বরফের টিউব ব্যবহার করতে পারেন।

বেলের শরবতের পঞ্চম রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল-২০০ গ্রাম
  • ছাতু- এক চা চামচ
  • বিট লবণ-স্বাদ অনুসারে
  • লেবুর রস-এক চা চামচ
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এই শরবতটি বেশ উপকারী কারণ এতে কোন প্রকার চিনি ব্যবহার করা হয় না, আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী না হন তাহলে এর ভিতরে সামান্য চিনি মধু বা আখের গুড় ব্যবহার করতে পারেন। ২০০ গ্রাম বেলের জুসের সঙ্গে একটা চামচ ছাতু ভালো করে মিশিয়ে নেবেন এরপর স্বাদ অনুসারে বিট লবণ ও এক চামচ লেবুর রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন।

বেল এর শরবতের ষষ্ঠ রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল-২০০ গ্রাম
  • ইসুবগুলের ভুষি-একটা চামচ
  • চিনি/মধু/আখের গুড়-স্বাদ অনুসারে
বেল এবং ইসুবগুলের ভুষি দুটোই আমাদের পেটের ও শরীরের জন্য বেশ উপকারী । দুইটি উপকরণীই ঠান্ডায় শরবত হিসেবে শরীরকে ক্লান্তিহীন, সতেজ ও পেট ঠান্ডা রাখতে সকলে খেয়ে থাকে। আর এ দুটি উপকরণে যদি একসাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আপনি আরো বেশি উপকৃত হবেন। এর জন্য ২০০ গ্রাম ব্যালে জুসের ভেতরে এক চা চামচ ইসবগুলের ভুষি, স্বাদ অনুসারে চিনি/মধু/আখের গুড় ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন তবে অবশ্যই ইসুবগুলের ভুষি দেওয়ার সাথে সাথে খেয়ে নিবেন ইসবগুলের ভুসি অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখে খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

বেল এর শরবতের সপ্তম রেসিপি

উপকরণ
  • পাকা বেল-২০০ গ্রাম
  • টক দই-তিন চা চামচ
  • চিনি-স্বাদঅনুসারে
  • বিট লবণ-স্বাদ অনুসারে
  • কাজুবাদাম-চার থেকে পাঁচটি
  • চেরি ফল-এক থেকে দুইটি
  • কিসমিস-এক চা চামচ

আঁশগুলো ও বিচি গুলো পাকা বেলের জুস ২০০ গ্রাম, টক দই তিন চা চামচ, চিনি স্বাদ অনুসারে, বিট লবণ স্বাদ অনুসারে ইত্যাদি উপকরণ গুলোকে একটি মিক্সারে নিয়ে এক মিনিটের ও কম সময় ধরে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর সামান্য ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গ্লাসে পরিবেশন করুন কাজুবাদাম, চেরি ফল ও কিসমিস দিয়ে।
আশা করি উপরুক্ত সম্পন্ন আলোচনা থেকে আপনি বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এ পোষ্টটিতে আমি বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি ছাড়াও বেলে শরবত সম্পর্ক আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। যেমন-
  • গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা
  • বেলের শরবতের অপকারিতা
  • গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা
  • বেলের শরবত কখন খেতে হয়
  • খালি পেটে বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা
আশা করি বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি সম্পর্কে জানা ছাড়াও এগুলো প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।

গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি মধ্যে এখন আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়া যাবে কিনা। গর্ভাবস্থায় এমন একটি সময় যখন আপনি ইচ্ছা অনুসারে যে কোন খাবার খেতে পারবেন না। তাই চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় ব্যারে শরবত খাওয়া সঠিক হবে না ভুল হবে এর সঠিক তথ্য-

ইতিমধ্যে গ্রীষ্মকাল চলে সে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তীব্র তাপমাত্রা। গর্ভাবস্থায় এমনিতে অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভূত হয় গরম সে ক্লান্তি ভাব আরো বাড়িয়ে দেয়। গর্ভাবস্থা এ ক্লান্তি ভাব দূর করতে ঔষধি বা ভেষজ প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ভরপুর ফল হিসেবে আপনি বেলের শরবত খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম বেল এ প্রায় ৫৪ থেকে ৬১ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ থেকে ২.৬২ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.২ থেকে ০. ৩৯ গ্রাম ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ভরপুর এই বেল।
যেহেতু বেলে বেলে যে পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য গর্ভ অবস্থায় খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাই আমরা বুঝতে পারছি একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য গর্ভাবস্থায় অবশ্যই বেল খেতে পারবে তবে সকলের গর্ভ অবস্থার পরিস্থিতি এক রকম হয় না এজন্য অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা ভালো ডক্টর এর কাছে সঠিক তথ্য বা পরামর্শ অনুসারে গর্ভ অবস্থায় বেল খাওয়া যাবে কিনা জেনে নিবেন।

বেলের শরবতের অপকারিতা

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি যেমন জানা জরুরী তেমনি অবশ্যই জানার জরুরি বেলের শরবতের অপকারিতা সম্পর্কে। বেলের শরবতে তেমন কোন অপকারিতা নেই তবে এর পরিমাণ, নিয়মাবলী, খাওয়ার সঠিক সময় তাদের সম্পর্কে না জেনে থাকে খেলে অবশ্যই আপনার শরীর এর বিপরীত ক্রিয়া করবে। শুধু বেল ই নয় যে কোন খাবারে যেগুলো অত্যন্ত পুষ্টি গুণের সব ভরপুর কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অর্থাৎ মাত্রাতিরিক্ত, সঠিক নিয়মে না খাওয়া ইত্যাদি

সঠিক তথ্য না জেনে খেলে এর অবশ্যই উপকারিতা চাইতে অপকারিতা বেশি হবে স্বাস্থ্যের জন্য। এর জন্য প্রথমত বেল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সঠিক পরিমাণ জেনেই খাবেন এবং দ্বিতীয়তঃ সঠিক নিয়ম জেনে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরা বেল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন কারন বেল প্রাকৃতিকভাবে শর্করা সম্পন্ন একটি ফল। এতে যে পরিমাণে সরকার রয়েছে তার ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের পরিমাণ বাড়াবে না কিন্তু শরবত তৈরি করার ক্ষেত্রে যদি চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য মিশিয়ে খান তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাবে।

এছাড়া ডায়াবেটিস রোগ কখনোই নিয়মিত শরবত খাবে না তবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে গ্রহণ করবে। এছাড়া আপনি যদি মাত্র অতিরিক্ত পরিমাণে বেলে সরবত খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা

ইতোমধ্যে আমরা বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা-

  • প্রতিটি মানুষের দেহে পুষ্টিগুণ রক্তের মাধ্যমে সরবরাহিত হয় তাই রক্ত শুদ্ধ থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। গর্ভ অবস্থায় শরবত খেলে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয় এবং পরিশুদ্ধ হয়।
  • গর্ভাবস্থায় বেলে সরবতের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে শরীর হতে ক্লান্তি অনেকটা দূর হতে সহায়তা করবে।
  • গর্ভাবস্থায় বেল খেলে কিডনির সমস্যা ও অনেকটা সমাধান হতে সহায়তা করবে।
  • গর্ভাবস্থায় যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে বা গর্ব অবস্থায় পূর্বে ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি বেলা সরবত খেতে পারেন তবে চিনি ছাড়া কারণ বেলা রয়েছে মিথানল নামক পুষ্টি উপাদান যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সহায়তা করে। তবে গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে তাদের জন্য শরবতের চাইতে শুধু বেল খাওয়াটায় বেশি উত্তম।
  • গর্ভাবস্থায় বেলে শরবত খেলে গর্ভে থাকা বাচ্চার বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটতেও সহায়তা করে।
  • একজন গর্ভবতী হিসেবে গর্ভঅবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য আপনাকে বেশ ভোগান্তির কারণ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত শরবত খেতে পারেন।
  • বেলের অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে পেপটিক আলসার দূর করতে সহায়তা করে। সপ্তাহে তিনদিন ব্যালে শরবত খেলে আলসার রোগীরা অনেকটাই স্বস্তি অনুভূত করে।
  • গর্ব অবস্থায় অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগে যা বাঁচার জন্য মোটেও ভালো না যা বাচ্চার বৃদ্ধি ও বিকাশকে অনেকটা বাধাগ্রস্ত সৃষ্টি করে সে ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত বেল এর শরবত খেতে পারেন। বেল এর শরবত ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার কারণ হচ্ছে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে কোন প্রকার চিনি মিষ্টি থাকে না ফলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকতে সহায়তা করে এবেলে শরবত।
  • বেল হচ্ছে বিটা ক্যালোটিনের প্রধান উৎস আর বিটা ক্যালোট্রিন গর্ভের বাচ্চা মানসিক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও বেল হচ্ছে লিভার ভালো রাখার মূল চাবির কাঠি। বেলা রয়েছে থিয়ামিন ও রাইবোফ্লাবিন এই দুই উপাদান ও লিভারে শক্তি ও কার্যকারিতাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

বেলের শরবত কখন খেতে হয়

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি সম্পর্কে যেমন জানা জরুরী তেমনি বেলের শরবত কখন খেতে হয় অর্থাৎ কখন খেলে বেশি উপকারিতা পাবেন এবং কখন খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা পাওয়ার চাইতে ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিকরা বেশি হবে তা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী চলুন এ সম্পর্কে জেনে নিন সঠিক তথ্য-
বেলের শরবত আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন তবে অবশ্যই এটি খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে কিংবা আধা ঘণ্টা আগে খাওয়াটা বেশি ভালো স্বাস্থ্যের জন্য এছাড়াও আপনি সকালে খালি পেটেও খেতে পারেন ফলে আপনার সারাদিনের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তি অনুভূত হবে না। দুপুরে তীব্র তাপের গরমে বেলে শরবত আমাদের সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি শরবত। আপনি এটি দুপুরেও খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে পানি ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট উপাদানের ঘাটতি খুব সহজে মেটে যাবে।

খালি পেটে বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা

বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি জানা যেমন জরুরী তেমনি খালি পেটে বেলের শরবত খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে কিনা তা জানাও জরুরী। খালি পেটে বেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। খালি পেটে বেল খেলে সবচেয়ে ভালো যে উপকারিতা তা পাওয়া যায় তা হলো সারাদিন কর্ম করার কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সারাদিন কোন প্রকার ক্লান্তি অনুভূত হয় না। এ ছাড়াও শরবতে সামান্য লেবু চিনি ছাড়া খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়।

তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা আপনি খালি পেটে শরবত খেলে পাবেন যা আমি উপরোক্ত বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি তে আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

লেখক এর মন্তব্য-বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে বেলের শরবতের ৩৫টি উপকারিতা-বেলের শরবত বানানোর ৭টি রেসিপি ইত্যাদি ছাড়াও বেল সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জানা-অজানা তথ্যের বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্ট উপরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে বেলের শরবত সম্পর্কে জানানোর জন্য পোস্টটি শেয়ার করুন। এমন আর তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করে রাখুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন, আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url