ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ডাব খেলে কি প্রেসার বাড়ে, ডাবের পানি কতক্ষন ভালো থাকে ইত্যাদি।
ডাবের পানি সম্পর্কে এগুলো প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও যদি ডাবের পানি সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ডাবের পানি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন সমস্যা
রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক, নিয়ম, পদ্ধতি, পরিমাণ ও
সময়সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিকভাবে ডাবের পানি খেতে পারবেন।
ভূমিকা
ডাবের পানি সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ, পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুস্বাদু সম্পূর্ণ পানীয়।
একবার এক দ্বীপে একজন লোক প্রায় ৪০ দিন পর্যন্ত আটকা পড়ে গিয়েছিল এবং সে
ব্যক্তি সে দিবে শুধুমাত্র ডাবের পানি খেয়ে জীবিত ছিল। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি
যে ডাবের পানি কতটা ভরপুর ও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর জন্য আজ আমি
আপনাদের মাঝে ডাবের পানির হাজারো উপকারিতার মধ্যে মাত্র ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করব এবং ডাবের পানি কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়, কত সময় পর্যন্ত
ডাবের পানি ভালো থাকে, উচ্চ রক্তচাপ বা প্রেসার এর রোগী ডাবের পানি খেলে প্রেসার
বাড়বে কিনা ইত্যাদি আরো ডাবের পানি সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা
করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন এর জন্য সম্পন্ন পোস্টে পড়ার
বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের আলোচ্য বিষয় ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা। চলুন এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন। আপনারা কি জানেন এই পৃথিবীতে যত পরিমান পানি রয়েছে তার
মাত্র ৩% পরিস্কার পানি এবং ১.২% খাবার উপযুক্ত পানি আর এই ১.৫% খাওয়ার উপযুক্ত
পানিকে পরিশোধিত করে না খায় বা ফিল্টার করে না খায় তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ
লেদ, আর্সেনিক, এন্টিমনি, অ্যালুমিনিয়াম এবং বেরিয়াম এর মত ক্ষতিকারক খনিজ
পদার্থ বিদ্যমান থাকে।
যেগুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি ঘটাতে পারে এবং আমরা সে জলকে
যদি পরীক্ষা করে দেখি তাহলে তাতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং
ভাইরাস রয়েছে কিন্তু ডাবের জল এমন এক ধরনের জল যাকে কোন প্রকার পরিশোধিত করার
প্রয়োজন পড়ে না বা ফিলটার করার প্রয়োজন পড়ে না কারণ এটি প্রাকৃতিক ভাবেই
পরিশোধিত একটি পানি এবং এতে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস না থাকে কোন
প্রকার ক্ষতিকারক
মিনারেল শুধু তাই নয় ডাবের পানির ভেতরে এত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সাইটোকাইয়েন্স ভরপুর মাত্রাতে রয়েছে যা শুধু আপনাকে
উপকারিতায় দিতে পারে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা চলুন জেনে নেই এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-
ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা
ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে প্রথমে আমরা আলোচনা করব ডাবের পানির
উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
এনার্জি বৃদ্ধি করতে: বর্তমানে এনার্জি ড্রিংস এ বাজার রমরমা হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে তরুণদের ভেতরে বিভিন্ন এনার্জি ড্রিঙ্কগুলো খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।
বিভিন্ন এনার্জিটিক ক্রিমগুলো আপনাকে সাময়িকভাবে কিছু সময়ের জন্য এনার্জি
শরীরের দিলেও শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিস সাধিত হয়।
কারণ বাজারে যে সকল এনার্জি ড্রিংক গুলো পাওয়া যায় সেগুলোতে থাকে প্রচুর
পরিমাণে চিনি, কার্বোহাইড্রেট,
প্রচুর পরিমাণে আর্টিফিশিয়াল কালার, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার বিভিন্ন ধরনের
ক্ষতিকারক কেমিক্যাল যেগুলো আপনার শরীরকে ক্ষতি ছাড়া কখনোই উপকারিতা কখনোই দিতে
পারে না। এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে চাইলে আপনি ১০০ টাকা দিয়ে
এনার্জি না খেয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বা ৮০ টাকা মূল্যের ডাবের পানি খেতে পারেন।
ডাবের ভেতরে থাকা প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো
আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জেটিভ করে তুলবে। শুধু এনার্জি নয় ডাবের পানি থেকে
আপনি শারীরিকভাবে অন্যান্য ও বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন। তাই এই গ্রীষ্মকালে
কার্বনেটের ড্রিঙ্ক না খেয়ে ডাবের পানি খান এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার
চেষ্টা করুন।
ওজন কমাতে: একটা ডাবের ভেতরে যত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় মোটামুটি তার
থেকে আপনি ১৯ ক্যালোরি পেতে পারেন কিন্তু আপনি জানেন কি ২০০ এমএল কোল্ড ড্রিংক এর
মধ্যে বা কার্বনেটেড ড্রিংকস এর মধ্যে প্রায় ১৩৭ থেকে ১৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত
পাওয়া যায়। তাই যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে বা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চাইলে
সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসাবে কার্বনেট এর ড্রিংসের জায়গাতে অবশ্যই
ডাবের পানিকে যুক্ত করুন।
টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডাবের পানিতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে
ম্যাগনেসিয়াম। এই ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের যে সমস্যা
সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে অতএব আপনি যদি একজন টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে
থাকেন তাহলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে ডাবের পানি আপনাকে অনেকটাই উপকারী
দিতে পারে কিন্তু এ বিষয়ে ডায়বেটিস রোগীদের অবশ্যই মনে রাখা
প্রয়োজন ডাবের পানির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৫৪। হিসাব অনুসারে ৫৪ হল লো
গ্লাইসেমিক এনডিক্স কিন্তু এটি যেহেতু লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের একেবারে বর্ডার
লাইন এ আছে তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে সারাদিনে একটি ডাবের বেশি খাওয়া
যাবে না।
উচ্চরক্তচাপ কমাতে: ডাবের পানিতে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে পটাশিয়াম। আর যে
সকল খাবারের মধ্যে পটাশিয়াম থাকে সেগুলো আমাদের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে
সহায়তা করে এটা আমরা জানি। তাই ডাবের পানি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রনে আদেশ
সাহায্য করতে পারে যদি আপনি একজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন।
বার্ধক্যের সমস্যা দূর করতে: ডাবের পানিতে থাকে ভরপুর মাত্রায়
সাইট্রোকাইন্স। সাইট্রোকাইন্স বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন এই প্রোটিন আমাদের শরীরের
সেলগুলোকে হেলদি ওয়েতে গ্রোথ হতে সহায়তা করে। এই সাইট্রোকাইন্স আমাদের ইমিউনিটি
সিস্টেমকে স্টিমুলেট করে এবং ইমিউনিটি পাওয়ার কে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই
সাইট্রোকাইন্স আমাদের অ্যান্টি এজিং ইফেক্ট দিতে পারে যার ফলে আমাদের অল্প বয়সে
শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা সহজে হয় না যদি আপনার খাদ্য
তালিকায় মাঝে মাঝে ডাবের পানি রাখেন।
ডিহাইড্রেট কমাতে: ডাবের পানি আপনার শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স বজায়
রাখতে সাহায্য করে। তাই হয়তো আপনারা লক্ষ্য করবেন আমাদের যখন ডায়রিয়া বা
ডিহাইড্রেট সমস্যা হয় তখন ডক্টর ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই
ডাবের পানি আমাদের পুরো শরীরকে হাইড্রেট করার সাথে সাথে আমাদের শরীরে
ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স কে বজায় রাখতে ও সাহায্য করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে: ডাবের পানির উপস্থিতি বেশ কিছু উপকারী এনজাইনের হজম
ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজমের উন্নতির ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ফলে
খাবার খাওয়া মাত্রই তা এতই এটা এত ভালোভাবে হজম হয়েছে এটা শরীরে অন্ত্রের হজম
না হওয়ায় শরীরে মেদ বা চর্বি জমার সুযোগ পায় না। ফলে খুব সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে
আসে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: রাইবোফ্লোবিন, থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং
পায়রোগ্লাবিন এর মত উপকারী উপাদানের ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের
অন্ত্রের এতটাই শক্তি বৃদ্ধি পায় যে বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া
শরীরে আক্রমণ করার সুযোগ পায় না। এছাড়াও ডাবের পানিতে উপস্থিতি অ্যান্টি
ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল প্রপার্টিস না নাকি সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে
বিশেষ সহায়তা করে।
মাথা ব্যথা কমাতে: ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা
দেখা দিলে বা অ্যাটাক করলে অনেক ডক্টর এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম এ সকল সমস্যা
দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কিডনি সুস্থ রাখতে: প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে
ডাবের পানি কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
স্ট্রেস কমাতে: বেশকিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডাবের পানিতে উপস্থিত
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের অন্ত্রে প্রবেশের পর স্ট্রেস কমাতে বিশেষ
সাহায্য করে।
দাঁতের সরক্ষায়: ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
পটাশিয়াম, খনিজ লবণ ফসফরাস এর উপস্থিতি ও উচ্চ মাত্রায় । এ সকল পুষ্টি উপাদান
দাঁতের মাড়িকে করে মজবুত।শুধু তাই নয় ডাবের পানি আপনার কাডিওভাস্কুলার হেলথকে
সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে
এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
- ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের হার্টের মাসেল গুলিকে, আমাদের ব্লাড সার্কুলেশন এর যে সকল আটারি বা ব্লাড ভেসেল গুলো রয়েছে সেগুলোকে অক্সিলেটিভ ড্যামেজের হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করে।
- ডাবের মধ্যে রয়েছে এন্টিথমবোটিকস প্রপার্টিজ। এই এন্টিথমবোটিকস প্রপার্টিজ সহজে আমাদের ব্লাডকে ক্লট হতে দেয় না। যখন আমাদের ব্লাড সহজে ক্লট হয় না তখন হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্টকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যেতে সহায়তা করে।
- ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের ঘনঘন পাতলা পায়খানা বা বমি হলে শরীরে খনিজের ও পানির ঘাটতি দেখা দেয় আর এই ঘাটতি খুব সহজে অনেকটাই মেটাতে পারে ডাবের পানি।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে।
- ত্বককে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তোকে উজ্জ্বলতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- ত্বকের ব্রণ দূর করতো বেশ সহায়তা করে ডাবের পানি।
- শরীরে পানির ঘাটতি কমায় ঘাটতি কমে।
- হার্ট সুস্থ রাখতে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।
- ডাবের পানি দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া অনেকটাই দূর করে ডাবের পানিতে থাকা খনিজ লবণ।
- ডাবের পানি দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাকে কমিয়ে শরীরকে করে ঠান্ডা।
- ত্বকে জল বসন্তের দাগ কিংবা বিভিন্ন ছোট ছোট দাগের জন্য ডাবের পানিতে মুখ নিয়ম মুখ ধুলে খুব সহজে এ সকল দাগ দূর হয়ে যায়।
- ডাবর পানিতে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- যেহেতু ডাবের পরিমাণে ফাইবার ভরপুর রয়েছে ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে ও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- প্রসবের মাধ্যমে শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
- কর্ম করার ক্ষমতা বা কর্মশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
- থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
- ইউরিন ইনফেকশন হওয়া থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
- শরীর হতে অতিরিক্ত চিনি শোষণ করতে সহায়তা করে।
- গ্যাস্ট্রিক কমাতে সহায়তা করে ডাবের পানি।
- শরীরে অনেকক্ষণ পর্যন্ত আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
- শরীরে পানি শূন্যতা হতে দেয় না।
- ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে।
- ত্বকে রোদে পোড়া কালচে ভাব বা দাগ দূর করতেও সহায়তা করে।
- কিডনির পাথর হওয়া হতে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলারা মাঝে মাঝে একটি করে কচি ডাব খেতে পারে তবে কখনোই প্রতিদিন খাওয়া যাবেনা।
- পেশি মজবুত করতে সহায়তা করে।
- হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে যেহেতু এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম করার পরে, খেলাধুলা করে বা ঘাম ঝরানো ব্যক্তিদের জন্য পানির পর ডাবের পানি সর্বোত্তম পানি।
- শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্র কমাতে সহায়তা করে ও ডাবের পানি এবং হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
- ডাবের পানি আমাদের দেহ কোষগুলোকে সতেজ ও সজ্জবিত করতে সহায়তা করে।
- রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
- ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের চুল ও নখের সুস্থতা ও বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ডাবের পানির ৫৫টি অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে ডাবের পানির উপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করলাম এখন ডাবের পানির অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন জেনে
নেই। ডাবের পানি অনেক বেশি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরপুর হলেও একটানা দীর্ঘ সময়
ধরে, সঠিক নিয়মে না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে।
শুধু ডাবের পানি নয় যেকোনো ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে খেলে বা না বুঝে না জেনে ডঃ
পরামর্শ ব্যতীত খেলে ইতের বিপরীত ঘটবে। এর জন্য সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে শুধু
ডাবের পানি নয় যে কোন খাবার অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। চলুন জেনে নেই ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে ডাবের পানির অপকারিতা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া গুলো কি কি
- ডাব খেলে কিডনি ভালো থাকে কিন্তু কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ কারণ কিডনি অকার্যকর হলে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের হয় না ফলে ডাবের পানির পটাশিয়াম এবং দেহের পটাশিয়াম একত্রে মিলে কিডনি ও হৃদপিণ্ড অকার্যকর করে দিতে পারে। এর জন্য যাদেরকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ডক্টরের পরামর্শ মোতাবেক চলাফেরা করুন।
- ডাবের পানি খেলে ওজন কমে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে ফলে ওজন কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি হতে পারে এজন্য অবশ্যই পরিমাণটা নির্ধারণ করে ডাবের পানি পান করবেন।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি খেলে উচ্চ রক্তচাপ অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে কারণটা পানিতে থাকার সোডিয়াম রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে।
- যে সকল ব্যক্তিদের হাইপারটেনশন রয়েছে বা হাইপার টেনশনে ভুক্তভোগী রোগীরা ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ হাইপারটেনশনে অনেক সময় শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য যখন ডাবের পানি খাবেন তখন ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম এবং শরীরে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পটাশিয়াম একত্রে মিলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এজন্য যে সকল ব্যক্তি হাইপারটেনশনে ভুগছেন তারা ডঃ পরামর্শ ব্যতীত বা প্রয়োজন ব্যতীত কখনোই ডাবের পানি পান করবেন না।
- যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস রয়েছে তারা কখনো খালি পেটে ডাবের পানি খাবেন না কারণ এতে গ্যাস্ট্রিক বৃদ্ধি হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত বা অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে অর্থাৎ রক্তের চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে কারণ এক কাপ ডাবের পানিতে রয়েছে ৬.২৬ গ্রাম বা ১.৫ চামচ চিনি থাকে তাই সুগার বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
- ডাবের পানিতে অনেকেরই এলার্জির প্রতিক্রিয়া হয়। এজন্য যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে বা পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে ডাবের পানি পান করবেন নতুবা শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
- যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি খাচ্ছেন তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালরি যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- লো ব্লাড সুগারের রোগীরা ডাবের পানি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন এবং যদি খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন কিনা জানার পরে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে যেমন ডাবের পানি খাওয়া মোটেও ভালো নয় তেমনি রক্তে সোডিয়ামের মাত্র কমে গেলেও ডাবের পানি খাওয়া মোটেও ভালো নয়। তবে অবশ্যই সতর্কতা হিসেবে ডক্টরের পরামর্শ মোতাবেকি চলার চেষ্টা করবেন।
- ডাবের পানি ইংরেজি কি
- ডাবের পানিতে কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে
- ডাবের পানি কতক্ষন ভালো থাকে
- ডাব খেলে কি প্রেসার বাড়ে
- ডাবের পানি সংরক্ষণের উপায়
- ডাবের পানি কখন খাওয়া ভালো
ডাবের পানি ইংরেজি কি
আমরা তো ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু ডাবের
পানির ইংরেজি কি এটা কি আপনি জানেন। অনেকেই হয়তো জানেন না ডাবের পানির ইংরেজি হল
Canned water।
ডাবের পানিতে কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে
আমরা জানলাম ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা কিন্তু ডাবের পানিতে কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে তা কি আমরা সকলেই জানি চলুন জানি-
- ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে চলুন জানি কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে
- জলীয় অংশ- ৯৫ গ্রাম
- মোট খনিজ পদার্থ- ০.৩ গ্রাম
- আমিষ- ২.৩ গ্রাম
- শর্করা- ২.৪ গ্রাম
- চর্বি- ০.১ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম- ১৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস- ০.০১ মিলিগ্রাম
- আয়রন- ০.১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি- ১০.১১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি২- ০.০২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি- ৫ মিলিগ্রাম
- খাদ্যশক্তি- ২৩ কিলোক্যালরি
ডাবের পানি কতক্ষন ভালো থাকে
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কিন্তু অনেকেই জানতে চান ডাবের পানি কতক্ষন ভালো থাকে। ডাবের পানি মূলত বাইরে দুই
তিন ঘন্টার বেশি না রাখাই ভালো। ডাব কাটার পর ডাবের পানি বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে
নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং ডাবের ডাবের পানি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
ডাবের পানি যদি আপনি এক থেকে দুই ঘন্টার ভেতরের না খান তাহলে রেফ্রিজারেটরে এয়ার
টাইট কন্টেইনারের ভেতরে রাখতে পারেন তবে অবশ্যই এক থেকে দুই দিনের বেশি রাখবেন
না। দুই দিনের বেশি হলে এর পুষ্টিগুণ আগুন নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। তবে ডাবের
পানি ফ্রেশ খাওয়ায় সবচেয়ে ভালো।
ডাব খেলে কি প্রেসার বাড়ে
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য। তবে যাদের হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে
তারা অনেকে আছেন যারা ডাবের পানি খেতে চান এবং জানতে চান ডাবের পানি খেলে কি
প্রেশার বাড়ে। ডাবের পানিতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে লবণ ও খনিজ জাতীয় পদার্থ।
যার কারণে অনেকেই মনে করেন ডাবের পানি খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে বা বাড়তে
পারে। তবে এটা মোটেও সত্য নয়। ডাবের পানিতে যে লবণ খনিজ ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ও
সোডিয়াম রয়েছে তা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান বিধায় এটি উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় না।
এছাড়াও ডাবের পানিতে থাকা ফটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্তনালী প্রসারিত করে ফলে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে যাদের সব সময় উচ্চ রক্তচাপ ওঠানামা করে এবং যদি উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে
থাকেন ও পাশাপাশি ডাব খাচ্ছেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। এর জন্য অবশ্যই যে
সকল রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ বা পেশার রয়েছে তারা ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে ডাবের
পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ডাবের পানি সংরক্ষণের উপায়
ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী তেমনি ডাবের
পানি সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে ও জানা জরুরি। এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে
নারিকেল চাষ হয় এবং তারা জানতে চান কিভাবে অনেকগুলো ডাবের পানি একসঙ্গে সংরক্ষণ
করা যায়। চলুন জেনে নেই। থেকে প্রথমে কচি ডাব থেকে সকল পানি পরিষ্কার কাপড়
দিয়ে থেকে আলাদা করে নিতে হবে। অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ডাবের পানিতেকোন
প্রকার আশ না থাকে।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর ১২ টি ঘরোয়া উপায়
এরপর যে কন্টেইনারে বা কাছের ময়মে ডাবের পানি গুলো সংরক্ষণ করতে হবে সেগুলোকে ৯৫
থেকে ১০০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় কমপক্ষে 10 মিনিট পর্যন্ত করে রাখতে হবে।
পাস্তুরাইজেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে ডাবের পানি সঙ্গে ০.০৫ পার্সেন্ট
কার্বনক্সিমিথাইল সেলুলোজ এবং ১০০ পিপিএম পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইড যুক্ত করতে
হবে।
এরপর গরম পানিতে ফোটানো কাঁচের বয়াম বা কন্টেইনার গুলোতে গরম অবস্থাতে ডাবের
পানি রেখে দিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শুষ্ক ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করে রেখে
দেবেন। এভাবে আপনি ডাবের পানিকে কমপক্ষে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত খুব ভালোভাবে
সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
ডাবের পানি কখন খাওয়া ভালো
ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী তেমনি স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে এবং ডাবের পানির সঠিক উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে
ডাবের পানি কখন খাওয়া ভালো। ডাবের পানি খাওয়া সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে সকালে বা
সকালে ১১:০০ টা থেকে ১২:০০ টার মধ্যে।
যাদের ডাবের পানি খেলে গ্যাস হয় তারা খাওয়ার আধাঘন্টা আগে কিংবা খাওয়ার
আধাঘন্টা পরে খেতে পারেন এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
এছাড়াও যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তারা খালি পেটে এবং সন্ধ্যার পরে
ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যে সকল ব্যক্তির ঠান্ডা জড়িত সমস্যা রয়েছে
বা সর্দি কাশি আছে তারা রুম টেম্পারেচারে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে ডাবের
পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
অনেক সময় ডাব থেকে পানি বের করার সময় পানিটা ঠান্ডা থাকে এর জন্য ডাব থেকে পানি
বের করার পর কিছুক্ষণ রেখে ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এখানে ডাবের পানি
খেলে ঠান্ডা লাগে না বরং রুম টেম্পারেচার বা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে ঠান্ডা বা
সর্দি কাশি লাগতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য-ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
ছাড়াও ডাবের পানি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জানা-অজানা তথ্য বিস্তারিত
আলোচনার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করে। আশা করি উপরুক্ত সম্পন্ন পোস্টি পড়ে আপনি
উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলো অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবের সাথে ডাবের পানির ৫৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাতে
পোস্টটি শেয়ার করুন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করে রাখুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন, আসসালামু
আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url