ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

আসসালামু আলাইকুম/আদাম, আজকের আলোচ্য বিষয় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়, ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি।এগুলো প্রশ্নর উত্তর ছাড়াও ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়, পদ্ধতি, পরিমাণ, সময়সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিকভাবে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারবেন।

ভূমিকা

ইসবগুলের ভুষি বা স্পা গুলহাস্ক বা সিলিয়াম হাস্ক বিভিন্ন নামে আমাদের সকলের কাছে বেশ পরিচিত। তবে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও এর গুনাগুন এবং পুষ্টি উপাদান একই কিন্তু আমরা একে বেশিরভাগ পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ সমাধানে জন্যই ব্যবহার করে থাকি বা খেয়ে থাকি বা চিনে থাকি।
তবে আমাদের সকলের জানা দরকার ইসুবগুলের ভুষি শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা হয় না।এটি সঠিক নিয়মে বা পদ্ধতিতে খেলে আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ খুব সহজেই ইসুবগুলের ভুষি দ্বারা সমাধান করা সম্ভব। এজন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়,

ইসবগুলের ভুষিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, ওজন কমাতে সবগুলোর ভুসি খাওয়ার নিয়ম ইসুবগুলের ভুসিতে কত ক্যালরি থাকে, ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক সময় ইত্যাদি ছাড়াও আরো সম্পর্কে নিম্নে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে না জানার কারণে আমাদের অনেক সময় শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় আর এই শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন যেন না হতে হয় এজন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে এসব গুলোর ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসুগুলোর ভুসি খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব-

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

বর্তমানে সকলেই ইসবগুলের ভুষি চেনে। তবে যে সকল ব্যক্তির কোষ্ঠকাঠির বা পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের কাছে ইসবগুলের ভুষি বেশ পরিচিত কারণ আমরা অনেকেই মনে করি ইসবগুলের ভুষি শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যা রোগের সমাধানে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণই ভুল ইসবগুলের ভুষি কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যা ছাড়া ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এটি ডায়াবেটিস, অ্যাসিডিটি, পাইলস, আমাশয়, ডায়রিয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা হাত পা জ্বালাপোড়া ও ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারিতা রয়েছে।

যেহেতু ইসবগুলের ভুষি এই সকল রোগ সমাধানে ব্যবহার হয় কিন্তু এসব রোগের ক্ষেত্রে কিভাবে ইসবগুলের ভুষি খেতে হবে অর্থাৎ কি নিয়মে খেতে হবে তা আমরা অনেকে জানি না। আমরা দেখেছি আমাদের মুরুব্বীরা সারারাত ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখত এবং সকালে খালি পেটে সেটা খেত। তবে বর্তমানে আমরা অনেকে আছি যারা এই নিয়মে ইসবগুলের ভুষি খেয়ে থাকি।

কিন্তু এই পদ্ধতিতে বা নিয়মে ইসবগুলের ভুষি খেলে আমাদের উপকারিতার থেকে অপকারিতা বেশি হবে স্বাস্থ্যের জন্য। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা পরিমান হচ্ছে ১ থেকে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি সঙ্গে এক গ্লাস পানির ভেতরে দিয়ে সামান্য নাড়িয়ে সাথে সাথে খেয়ে নেওয়া। কারণ ইসবগুলের ভুষি যখন আপনি সামান্য সময় ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন দেখবেন তা ফুলে গিয়েছে ইসবগুলের ভুষির এই ফুলে যাওয়াটাই যেন পেটের ভিতরে গিয়ে হয় এজন্যই এটা সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে।

তাহলে আপনি এর সঠিক উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও আপনি ইসবগুলের ভুষি যে সমস্যার জন্য খাচ্ছেন সে সমস্যার ভালো ফলাফল পেতে হলে বেশি বেশি পানি ও ফাইবার যুক্ত খাবার বা শাক-সবজি বেশি বেশি খাবেন। চলুন জেনে নিন নিম্নে আরো ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এর মধ্যে ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক নিয়ম ভাদ্র আশ্বিন সম্পর্কে বিস্তারিত-

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ক্ষেত্রে: ইসবগুলের ভুষি মূলত গুল্ম জাতীয় গাছ থেকে তৈরি হয় যা অনেকটা রবিশস্য। আমাদের দেশে ইসবগুলের ভুষি খুব সহজেই আমরা পেয়ে থাকি এটা বাজারে প্যাকেট হিসেবে ও খোলা পাওয়া যায় তবে প্যাকেট কিংবা খোলা দুইটি ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পরিষ্কার করে খাবেন।

আমরা যদি ইসবগুলের ভুষি পানির সঙ্গে খেয়ে থাকি অর্থাৎ আমাদের যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা ব্লুটিং এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমরা এক গ্লাস পানিতে প্রতিদিন খেতে পারি কিন্তু পরিমাণটা নির্ধারণ করাটা অত্যন্ত জরুরী। এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ এর বেশি পরিমাণে ইসুবগুলের ভুসি খেলে উল্টো আমাদের শরীর কষা বা অন্যান্য শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এজন্য অবশ্যই আমরা স্বাভাবিকভাবে এক গ্লাস পানির সঙ্গে অবশ্যই এক চা চামচ পরিমাণ ভুষি অল্প সময় ধরে ভিজিয়ে খেয়ে নেব। এতে ইসবগুলের ভুষি খুব সহজে আমাদের গ্যাস্ট্রিক, ব্লটিংয়ের ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা সহজে দূর করতে সাহায্য করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ক্ষেত্রে: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি তবে এখন আমি আপনাদের মাঝে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বা সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করছি। আমাদের কারো যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে আধা চা চামচ সমপরিমাণে ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

এখানে যে সকল ব্যক্তিরা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ইসবগুলের ভুষি খাবেন তাদের অবশ্যই পানির পরিমাণটা বেশি রাখতে হবে। তবে অবশ্যই যেন ইসবগুলের ভুষির পরিমাণ আধার এক চা চামচ থেকে পৌনে এক চামচের বেশি না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য করবেন। আমাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা অনেকেই মনে করি পানিতে দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেয়ে নিলে মল পাতলা হয়ে যাবে এবং দ্রুত নির্গমন হবে অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়ে যাবে কিন্তু তা মোটেও সঠিক নয়।
ইসবগুলের ভুষি মূলত কখনোই আমাদের মূল পাতলা বা শক্ত করে না। ইসবগুলের ভুষি যেহেতু একটি ফাইবারযুক্ত খাবার সেহেতু এটি আমাদের পানির সাথে মিশে জেলাটিন আকার ধারণ করে মূলত এটি এর মূল কাজ। পানি যখন বেশি থাকে তখন জেলাটিনটি নরমাল থাকে ফলে মল নরম করতে সাহায্য করে এবং এটি আমাদের অন্তরে গিয়ে মূল সহজে ত্যাগ করতে সহায়তা করে কিন্তু আমরা যখন ইসবগুলের ভুষি বেশি পরিমাণে নিয়ে অল্প পানিতে মিশিয়ে খাবো তখন কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

বিভিন্ন ডক্টরের মতে যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ রয়েছে তারা খালি পেটে কিংবা ভরা পেটে সকালে ও রাত্রে দুইবার চুলগুলো বসে খেতে পারে। অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপনি এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত ইসবগুলের ভুষি খেতে পারেন তবে সাধারণ কোষ্ঠকাঠিন্যর ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন খেলে আপনার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।

ডায়রিয়া রোগের ক্ষেত্রে: ডায়রিয়া জনিত রোগ বা লুজ মোশন অথবা বারে বারে টয়লেটে যাওয়া সমস্যা দেখা দিলেও অল্প পানিতে একটু বেশি পরিমাণে এসব গুলার বসে নিয়ে অর্থাৎ তিন থেকে চার চা চামচ নিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিই তাহলে অনেকটাই কিছু কোন সময়ের জন্য আপনার ডায়রিয়া যদি তোর সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে কিন্তু আমাদের অনেকের মনে ভয় থাকে যে ইসবগুলের ভুষি শুধুমাত্র পেট ক্লিয়ার করার জন্য যার ফলে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণই ভুল।

যেহেতু ইসবগুলের ভুষি সম্পূর্ণ সলিবল ফাইবার যা আমাদের শরীরে গিয়ে দ্রুত শোষণ করতে পারে। যার জন্য অনেক ডক্টর এর মতে কিডনি সমস্যা বা অন্যান্য যে কোন সমস্যার মাঝখানে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আপনার যদি এমন কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ইসবগুলের ভুষি সেবন করবেন।

লুজ মোশন বা ডায়রিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে যারা দুধ খেতে পারেন তারা দুধের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন তবে দুধ না খেতে পারলে টক দইয়ের সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন। টক দই থাকা প্রোবায়টিক যা আমাদের ঘাটের সমস্যা ও সমাধান করবে। এছাড়াও আপনি শুধুমাত্র সাদা পানি সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন।

ওজন কমাতে ক্ষেত্রে: ইসবগুলের ভুষিতে কোন প্রকার এনার্জি বা ক্যালরি থাকে না ফলে ওজন কমানোর জন্য ইসবগুলের ভুষি বেশ কার্যকারী একটি খাবার হতে পারে। ইসবগুলের ভুষিতে থাকা ফাইবার এবং যেহেতু এটি পানিতে মিশিয়ে ফুলে যায় ফলে পেট অনেক সময় পর্যন্ত ভরা থাকে ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন সহজে নিয়ন্ত্রণে আস্তে সহায়তা করে।

তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ইসবগুলের ব্যবহৃত পানির পরিমাণটা অবশ্যই সঠিক রাখতে হবে তা না হলে উল্টো আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য অবশ্যই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম পানি বা ঠান্ডা পানির সঙ্গে এক চা চামচ পরিমাণে এসব ভুল মিশিয়ে খাবেন। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যে কোন প্রকার ফলের জুসের সঙ্গে অথবা অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে বা গরম পানিতে সামান্য পরিমাণে লেবু, পুদিনা পাতা ইত্যাদি মিশিয়ে অল্প সময়ে রেখে ইসুবগুলের ভুষি খেয়ে নেওয়া।

প্রসাবের জ্বালাপোড়ার ক্ষেত্রে: প্রসাবে জ্বালাপোড়া, হাত-পা জ্বালাপোড়া কিংবা মাঝে মাঝে প্রসাব হলুদ রঙের হয় তারা নিয়মিত প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ইসুবগুলের ভুষি, ২ চা চামচ আখের গুড় দিয়ে তৈরি শরবত এর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এই শরবতটি আপনি ৭ থেকে ১০ দিন খেতে পারেন। এতে আপনার প্রসবের জ্বালাপোড়া ও প্রসবের রং পরিবর্তন হতে সহায়তা করবে।

আমাশয় বা আই বি এস রোগের ক্ষেত্রে: আমাশয় বা আইবিএস রোগের ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুষি বেশ কার্যকরী। কিন্তু ইসবগুলের ভুষি আমাশয় এর জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না তবে এটি পেট থেকে আমাশয়ের জীবাণুকে বের করে দিতে সহায়তা করে। এর জন্য আপনি যদি নিয়মিত সাত থেকে দশ দিন ইসবগুলের ভুষি খান তাহলে আপনার আমাশয় রোগ অনেকটাই কমে যাবে।

ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় নিয়ে আলোচনা করছি যেখানে আমি আপনাদের জানাবো ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিভাবে ইসবগুলের ভুষি সঠিক নিয়মে খাবেন। অনেক ডক্টরি গবেষণায় থেকে জানা গিয়েছে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসবগুলের ভুষি বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

কারণ ইসবগুলের ভুষি আমাদের শরীরের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সকে নিয়ন্ত্রণে আনে অর্থাৎ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যার কারণে অনেক ডায়বেটিস চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন রকমের ফলের জুসের সঙ্গে মাঝে মাঝে এক চা চামচ ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ইসুবগুলের ভুষি ফলে চুষে থাকা গ্লাইসেমিককে নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই এই জুস মাঝে মাঝে পান করবেন এটি নিয়মিত ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য মোটেও ভালো নয়। তবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে আপনার ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ পূরণ করে নেবেন।
রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলে কমাতে: ইসবগুলের ভুষির সঠিক নিয়মে খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টের মাত্রা কমানো অনেকটাই সম্ভব হয়। কারণ ইসবগুলের ভুষি হল একটি ফাইবার জাতীয় খাদ্য এবং পেট পরিষ্কার এবং পেটকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে থাকা বিভিন্ন জীবাণুকে সহজে মলত্যাগের মাধ্যমে বের করে দেয় যার কারণে আমাদের রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্র কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে অবশ্যই ইসুবগুলের ভুষি এক চা চামচ নিয়ে ২৪০ মিলিলিটার পানিতে সামান্য গুলিয়ে অল্প সময়ের ভেতরে বা সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে তাহলেই এর সঠিক গুনাগুন ও ফলাফল পাবেন।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

যে সকল ব্যক্তির পেটের সমস্যা বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত রোগ রয়েছে তাদের ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে ইসবগুলের ভুষি খেয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতিতে বা পরিমাণে না খাওয়ার কারণে আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছে না। তাহলে আজ আপনি যদি ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো-

খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে খেলেও বেশ ভালো ফলাফল পাবেন এবং যে উদ্দেশ্যে খাচ্ছেন তা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া বেশিভাগ ডায়েটিসিয়ান ডক্টররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে সকল ব্যক্তির সকালে কাজে বের হয় তাদের জন্য ইসবগুলের ভুষি রাতে খেলে বেশ কার্যকারিতা পাবে কারণ তাদের সকালে ভালোভাবে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সারাদিন বেশ প্রফুল্ল ও ক্লান্তিহীন থাকবে।

এছাড়া যে সকল ব্যক্তি বাড়িতে থাকবেন তারা ইচ্ছা করলে সকালে খালি পেটেও ইসুবগুলের ভুষি খেতে পারেন। তবে সকলের শরীর এক রকম না এজন্য আপনার শরীর কখন ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা পাচ্ছে সে সময় অনুসারে আপনি ইসবগুলের ভুষি সকালে খালি পেটে কিংবা রাত্রি ঘুমানোর পূর্বে খেতে পারেন। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ও ডায়েটিশিয়ানরা সবগুলোর ভুসি পরামর্শ কারণ যখন কোন ব্যক্তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাই বা কমাতে চায় তখন যদি নিয়মিত

ইসবগুলের ভুসি খায় তাহলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণ মানে ক্যালরি মুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা এবং খাবারের পরিমাণকে অনেক কমিয়ে আনতে হয় এর জন্য ফাইবারে চাহিদা পূরণে এবং রেগুলার ডায়েট করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখে ইসবগুলের ভুষি। এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে ইসবগুলের ভুষি খালি পেটে খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে তাই চলুন জেনে নেই ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এর মধ্যে খালি পেটে সেগুলির ভুসি খেলে কি হয় এর বিস্তারিত সঠিক তথ্য-

  • ইসবগুলের ভুষি যেহেতু একটি আঁশ জাতীয় খাদ্য ফলে খুব সহজে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পাকস্থলীর দেওয়ালে পিচ্ছিল পাতলা স্তর তৈরি করে যা রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও খাদ্য হতে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শোষণ হতে বাধা সৃষ্টি করে ফলে রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা সরে যায় এবং হার্ট সুস্থ থাকে ও ধমনীতে ব্লক সৃষ্টি হতে বাধা সৃষ্টি করে।
  • সকালে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খেলে ইসুবগুলের থাকায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষয় রোধ হতে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
  • নিয়মিত খালি পেটে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইসবগুলের ভুষি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে।
  • সকালে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে যে সকল ব্যক্তির আর্থারাইটির এর রোগী বিশেষ করে ইউরিক এসিড হওয়া ব্যক্তিদের ইউরিক এসিডের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
  • খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করবে।
  • হজম প্রক্রিয়া ভালো ও পেটকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
  • শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবে না।
  • শরীর হতে ক্লান্তি দূর করবে।
  • পেট ঠান্ডা ও গ্যাস্ট্রিক মুক্ত রাখতে সহায়তা করবে।
  • ডায়রিয়া রোগের ক্ষেত্রে অল্প পানিতে ৭থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুষি খেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
  • নিয়মিত খালি পেটে আমাশয় জনিত রোগের কারণে ইসবগুলের ভুষি খেলে অনেকটা উপকারিতা পাবেন।
  • বুক জ্বালাপোড়া বা হাত-পা জ্বলা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত খালি পেটে ঠান্ডা দুধের সঙ্গে বা টক দইয়ের সঙ্গে ১ থেকে দেড় চামচ স্কুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন এতেও বেশ উপকারিতা পাবেন।
  • সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষির শরবত খেলে খুব সহজে পাকস্থলী থেকে অতিরিক্ত এসিডিটি বা জীবাণু খুব সহজেই মলের মাধ্যমে নির্গত হবে।
  • সকালে খালি পেটে খেলে পাচনতন্ত্রকে উন্নতি করে অতিরিক্ত চর্বি বৃদ্ধি হতে প্রতিরোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ইসুবগুলের ভুষি যেহেতু ফুলে কয়েক গুণ বেশি বৃদ্ধি পায় ফলে সকালে খালি পেটে খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
  • খাদ্যনালীতে হওয়া প্রদাহের লক্ষণ কমাতেও সকালে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষির বেশ উপকারিতা পাবেন।
  • সকালে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ২ চা চামচ মিশিয়ে খেলে অশ্ব রোগের ব্যথা অনেকটাই কমাতে সহায়তা করবে।
  • খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেলে পেটের বিভিন্ন পীরাও নিরাময় হতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
  • ইসুবগুলের ভুষি খালি পেটে খাওয়ার পর এটি আমাদের পেটের ভিতরে একটি আবরণের সৃষ্টি করে ফলে আমরা যখন অম্লজাতীয় বা অ্যাসিড জাতীয় খাবার খায় তখন তা থেকে আমাদের শরীরে বা পেটে ক্ষতি কম হয়।
উপরোক্ত সম্পন্ন আলোচনায় আমরা ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খেলে কি হয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এগুলো ছাড়াও এসব ভুল সম্পর্কে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে এজন্য আজ আমি আপনাদের জন্য এসব সম্পর্কে আমার কাছে আসা কিছু প্রশ্ন সেগুলোর উত্তর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব চলুন ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি হয় ইত্যাদি ছাড়াও

  • ইসবগুলের ভুসি ইংরেজি নাম-ইসবগুলের ভুসি দাম
  • ইসবগুলের ভুসি গাছ-ইসবগুলের ভুসি ছবি
  • ইসবগুলের ভুষিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে
  • ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
  • ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়
  • ইসবগুলের ভুসিতে কত ক্যালরি থাকে?
  • ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক সময়

ইসবগুলের ভুসি ইংরেজি নাম-ইসবগুলের ভুসি দাম

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় আপনারা হয়তো উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ইসবগুলের ভুসি ইংরেজি নাম-ইসবগুলের ভুসি দাম কত। কোন কিছু খাওয়ার আগে যেমন সে খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান, উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা দরকার তেমনি তা কেনার পূর্বে অবশ্যই তার ইংরেজি নাম ও জিনিসটি কত দাম তা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।

এজন্য আজ আমি আপনাদের মাঝে ইসবগুলের ভুষির ইংরেজি নাম ও দাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। ইসবগুলের ভুষির বৈজ্ঞানিক নাম হল প্ল্যানটাগো অফটা( Plantago ovata) এটি হচ্ছে Plantaginaceae পরিবারের Plantago গণের একটি গুল্ম। ইংরেজিতে একে (blond plantain, desert Indianwheat, blondsyllium, ispaghu)।
ইসুবগুলের ভুষির ইংরেজি হল সিলিয়াম হাস্ক( Psyllium Husk)। ইসুবগুলের গাছের বীজের খোসা থেকে ইসবগুলের ভুষি তৈরি করা হয় এই খোসাগুলো দেখতে ফ্লি মাছের মত দেখতে হওয়ায় এর নামকরণ ইংরেজিতে এটি রাখা হয়। গ্রীক ভাষায় সিলা (psylla) অর্থ এক রকমের মাছিকে বোঝানো হয় যা দেখতে ডানা বিহীন ফ্লি মাছি।

ইসবগুলের ভুসি দাম

ইসবগুলের ভুসি দাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে গরমে কিংবা রমজানের সময় এর দাম দ্বিগুণ বেড়ে যায় তবে সাধারণভাবে ইসবগুলের ভুসি ১৬০০ থেকে ২১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত দামে বিক্রয় করা হয়।

ইসবগুলের ভুসি গাছ-ইসবগুলের ভুসি ছবি


ইংরেজিতে স্পা গুলহাস্ক বা সিলিয়াম হাস্ক বলা হয় ইসবগুলের ভুষিকে। আমরা ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়, এর দাম কত ইত্যাদি ছাড়াও এর পুষ্টি উপাদান , খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানব এ পোষ্টের মাধ্যমে কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা ইসবগুলের ভুসি গাছ-ইসবগুলের ভুসি ছবি অর্থাৎ কোন গাছ থেকে হয় এবং দেখতে কেমন তা হয়তো অনেকেই চিনি না বা জানিনা চলুন চিত্রের মাধ্যমে ইসুবগুলের ভুষির গাছ ও ইসুবগুলের ভুষির ছবি দেখি নেই-

ইসবগুলের ভুসি গাছ

ইসবগুলের ভুসি গাছ নিম্নে দেওয়া হলো-
ইসবগুলের ভুসি গাছ

ইসবগুলের ভুসি ছবি

ইসবগুলের ভুসি ছবি নিম্নে দেয়া হলো-
ইসবগুলের ভুসি ছবি

ইসবগুলের ভুষিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সম্পর্কে জানা যেমন অত্যন্ত জরুরী তেমনি ইসবগুলের ভুষিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা সম্পর্কেও সঠিক ধারণা ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ইসবগুলের ভূষিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারী মূলক কাজ করে থাকে। চলুন জেনে নেই এক চা চামচ ইসবগুলের ভুষিতে কি পরিমানে পুষ্টি উপাদান রয়েছে-

  • সলিবল ফাইবার(শোষিত আঁশ)- ৭০%
  • অশোষিত আঁশ- ৩০%
  • ফ্যাট- ০ শতাংশ
  • ক্যালোরি- ৫৩ শতাংশ
  • সোডিয়াম- ১৫ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ৩০ মিলিগ্রাম
  • আয়রন- ০.৯ মিলিগ্রাম
  • শর্করা- ১৫ গ্রাম
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট- ০ গ্রাম
  • কোলেস্টেরল -০ মিলিগ্রাম
  • ফাইবার- ৮৭.৫০%
  • কার্বহাইড্রেট- ৮০%
  • জল- ২০%
  • শক্তি - ৩৫০ ক্যালরি

ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি কিন্তু অনেকেই জানতে চান ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম। বর্তমানে অনেকে স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ সচেতন হওয়ায় অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে চাই। কিন্তু সঠিক খাবার বা তথ্য না জানার কারণে আমরা অনেকেই তা করতে পারছি না।

খুব সহজে এবং স্বাস্থ্যের কোন প্রকার ক্ষতি না করে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে খুব সহজেই আমরা ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুষি খেতে পারি। তবে ইসুবগুলের ভুষি দিয়ে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সতর্ককারী বিষয় হচ্ছে এর পরিমাণ এবং পানির পরিমাণ সঠিক রাখা। ওজন কমানোর জন্য ইসবগুলের ভুষির সঠিক পরিমাণ হচ্ছে এক চামচ থেকে সর্বোচ্চ দুই চামচ এবং পানির পরিমাণ ২৪০ মিলি লিটার।

তবে ওজন কমানোর জন্য আপনাকে ইসুবগুলের ভুষির সাথে সাথে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি, ফাইবার যুক্ত খাবার ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। সহজে এবং দ্রুত সময়ের ভেতরে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যদি ওজন কমাতে চান তাহলে নিয়মিত খালি পেটে উষ্ণ গরম ২৪০ মিলি লিটার পানির সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ লেবুর রস ও এক চামচ বা দুই চামচ ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি

টক দই ও ইসুবগুলের ভুষি: টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এবং ওজন কমাতেও বেশ সহায়তা করে জন্য যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে ২ চা চামচ ইসুবগুলের ভুষির সঙ্গে তিন চা চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন।

বেল ও ইসুবগুলের ভুষি: বেল ও ইসুবগুলের ভুষি দুটোই আমাদের পেটের জন্য বেশ উপকারী এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের সমস্যা ও সহজে মল ত্যাগ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ২৪০ লিটার বেলের শরবতের সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিতে পারেন।

আখের গুড় ও ইসবগুলের ভুষি: আখের গুড় বা আখের গুঁড়ে শরবত দুটোই আমাদের পেটের জন্য এবং পেট ঠান্ডা রাখতে বেশ উপকারী এ সর্বোচ্চ সঙ্গে আপনি সামান্য পরিমাণে ইসুবগুলের ভুষি এক থেকে দুই চামচ মিশিয়ে খান তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এই দুইটি পুষ্টি উপাদান।

বিভিন্ন ধরনের ফলে জুস ও ইসুবগুলের ভুষি: বিভিন্ন ধরনের ফলে জুস ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে এর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলে যোগের সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষির মিশিয়ে খেতে পারেন।

দুধ ও ইসুবগুলের ভুষি: সকল প্রকার পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হচ্ছে দুধ। আমরা যখন ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া কন্ট্রোলে আনি তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়, এই ঘাটতি মেটানোর জন্য আপনি নিয়মিত এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি নিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং সকল ধরনের উপাদানের ঘাটতি মিটে যাবে।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে যদি আমাদের সঠিক ধারণা থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি ইসবগুলের ভুষি দিয়েই ওজন কমাতে পারবেন।

ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়

ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে কি হয় সম্পর্কে জানার যেমন জরুরী তেমনি ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায় এবং কতদিন খেলে আমাদের শরীরে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ইসুবগুলের ভুষি সাত থেকে দশ দিনের বেশি খাওয়া উচিত নয়। তবে ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে সর্বোচ্চ ১ থেকে দুই মাস খাওয়া যায়।

তবে আপনি যদি ইসবগুলের ভুষি বছরজুড়ে খান তাহলে আপনার পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন- আপনার পেট সব সময় ভুট ভুট জনিত সমস্যা হতে পারে, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও এটি কিছু কিছু ঔষধের শোষণেও বাধা দেয়। যার জন্য আপনি যদি কোন প্রকার ওষুধ খেয়ে থাকেন এবং ইসুবগুলের ভুষি খেতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনার ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খাব।
এছাড়া ইসবগুলের ভুষি দীর্ঘ সময় ধরে খেলে অন্ত্র নিজে থেকেই ধীরগতি করে তোলে একে বলে লেজি লেজি বাউল অর্থাৎ ইসবগুলের ভুষি না খেলে আপনার টয়লেট হবে না বা মলত্যাগ সহজে হবে না। এর জন্য অবশ্যই এসব গুলের ভুষি এক টানা ৭ থেকে ১০ দিন খাওয়ার পর ১৫ দিন বন্ধ রেখে আবার শুরু করতে পারেন এভাবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় জেনে খেলে এর কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দেবে না।

ইসবগুলের ভুসিতে কত ক্যালরি থাকে?

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়, ইসুবগুলের ভুষিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে জানার যেমন জরুরী তেমনি ইসবগুলের ভুসিতে কত ক্যালরি থাকে? তা জানাও জরুরী কারণ ক্যালোরি যেমন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন তেমনি অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তাদের জন্য তা মোটেও ভালো নয়।

তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসবগুলের ভুষি খেতে চান তাদের ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এবং কিভাবে ইসুবগুলের ভুসি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে আসবে তা জানার সাথে সাথে ইসুবগুলের ভুষিতে কত ক্যালরি রয়েছে তা জানতে হবে। ১০০ গ্রাম ইসবগুলের ভুষিতে রয়েছে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি। যা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়।

কারণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ নারীর জন্য প্রতিদিন ১৬০০ ক্যালোরি থেকে ২৪০০ ক্যালোর প্রয়োজন হয় এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের জন্য প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। যা ১০০ গ্রাম ইসবগুলের ভুষি দিয়ে সামান্য পূরণ হবে যা যা ওজন বেড়ে যেতে মোটেও সাহায্য করবে না। বরং এটা খেলে আপনার ওজন কখনোই বাড়বে না সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতিতে গ্রহণ করলে।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক সময়

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া ছাড়াও সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে থাকেন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক সময় কখন। এসব ভুলের ভুষি মূলত খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় আপনি যদি ইসুবগুলের ভুষি খালি পেটে যেকোনো সময় খান বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এবং রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে। এতে আপনি ইসবগুলের সঠিক উপকারিতা ও কার্যকারিতা পাবেন।

কারণ এই দুইটি সময়েই ইসুবগুলের ভুষি তার সঠিক গুণাগুণটি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে। সকালে খালি পেটে কিংবা রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে হিসেবগুলোর ভুসি খেলে আপনার সকালে ভালোভাবে মল ত্যাগ হবে অর্থাৎ পেট পরিষ্কার বা সুস্থ থাকবে এবং পেটের সকল জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া মলের মাধ্যমে নির্গত করে দেবে।

লেখক এর মন্তব্য-ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম-খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় ইত্যাদি তথ্য ছাড়াও এসব গুলো সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টে পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে তাদেরকে ইসুবগুলের ভুষি সম্পর্কে জানিয়ে সহায়তা করবেন। এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ও ফলো করে রাখুন, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url