মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম, নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ ইত্যাদি মেথি সম্পর্কে এগুলো প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও যদি আরো কিছু জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি করার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
আশাকরি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি আপনার শরীরের সকল সমস্যা ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে স্বাস্থ্য সুস্থ সবল ও প্রাণবন্তক রাখতে সক্ষম হবেন। এজন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম, নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ, ইত্যাদি তথ্য জেনে আপনি কিভাবে উপকৃত হবেন। মেথি এমন একটি পুষ্টি উপাদানের ভরপুর খাদ্য যা আমরা মেথির শাক মসলা ও তরকারিতে ফোরন হিসাবে খাবারের সুস্বাদু বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও কিভাবে মেথি আমা দের শরীরকে সুস্থ রাখবে,বিভিন্ন কঠিন রোগ থেকে মুক্ত রাখবে।
যেমন ডায়াবেটিস,ক্যান্সার,ঠান্ডা জনিত রোগ,অতিরিক্ত পেটে চর্বি জমা,ওজন বেড়ে যাওয়া ,গ্যাসজনিত বিভিন্ন সমস্যা- বদহজম,বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব,পাচন ক্রিয়ায,শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবংপুরুষ ও মহিলাদের জন্য মেথি নিয়মিত খাওয়া কতটা পরিমাণ জরুরী ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি।

মেথি কাদের খাওয়া উচিত নয়? কিভাবে খেলে ক্ষতি হবে এবং কতটা পরিমাণে খেতে হবে তার নিয়ম কানুন আমি আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন এবং নিয়মিত মেথি খাওয়ার উপকারিতা গুলো আপনি জানতে পারবেন।

মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

আজ আমি আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করব মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য নিয়ে। মেথি আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনে আসছি গরম মসলার একটি উপাদান হিসেবে। তবে রান্নার বাইরেও রয়েছে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মধ্যে প্রথমে মেথির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা-অজানা কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নিন-

মেথির উপকারিতা
মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মধ্যে মেথির ৪১টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন উপকারিতা গুলো জেনে নিই-

ডায়াবেটিস: যারা অলরেডি ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তারা যদি নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ মেথি সারারাত ভিজে সকালে পানিটি খালি পেটে পান তাহলে আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে সহায়তা করবে মেথি ভেজানো এই পানি। কারণ মেথিতে রয়েছে গ্লেকটোম্যানান আর গ্লেকটোম্যানান কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবারের শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার কারণে শরীরের ভিতরে গ্লুকোজ এর মাত্রা অতিরিক্ত বাড়তে পারে।

এছাড়াও মেথিতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার এবং বিভিন্ন রকমের এমন পুষ্টি উপাদান যা খুব সহজে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে। এর জন্য ওষুধের পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীরা মেথি ভেজানো পানি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারী খান তাহলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হার্ট সুস্থ: যে সকল ব্যক্তির হার্টের সমস্যা বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে থাকে। বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল যেটা হলো অ্যালগিল। যে সকল ব্যক্তিদের বয়স ২৫ থেকে ৫৫ তাদের অর্থাৎ যে বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি সে বয়সে নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে অ্যালগিল এর পরিমাণ অর্থাৎ খারাপ কোলেস্ট্রলের মাত্রা সহজে বেড়ে যাবে না অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত মেথি খেলে মেথি আপনার শরীরের ট্রাইগ্লিসারেটেডের কম করতে সাহায্য করবে। মেথিতে থাকা স্টেরিওডাল সেপোনিনস উপাদান এসডিএল এর পরিমাণটা বাড়ায় এবং এলডিএল এর পরিমাণ কমায় অর্থাৎ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে করে খুব সহজে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বা সহনীয় পর্যায়ে রাখে।

চুলের ক্ষেত্রে: চুল পড়া কমাতে, নতুন চুল গজাতে চুল, দৃঢ়, ঘন ও মজবুত করতে মেথির জুরি মেলা ভার অর্থাৎ চুলের যত্নে আমাদের সকলের মনে প্রথমে যে উপাদানটির কথা মনে পড়ে তা হল মেথি। এর কারণ হলো মেথিতে লিথিসিন নামক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুলের হাইড্রেশন যোগায় এছাড়াও মেথির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি যা চুলের পুষ্টি যোগায়।

ফলে আপনি যদি নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খান তাহলে আপনার চুলের সকল সমস্যা অনেকের সমাধান হয়ে যাবে। আপনার হয়তো অনেকের লক্ষ্য করেছেন হারবাল যে সকল চুলের যত্নে তেল বা বিভিন্ন প্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেগুলোর গায়ে অবশ্যই মেথি লেখা থাকে।

চুলের খুকশি কমাতে ও চুল লম্বা করতে: কিছু মেথি দানাকে মিক্সার গাইন্ডারে গ্রাইন্ড করে পাউডার বানিয়ে নিন এই পাউডারের সঙ্গে নরমাল নারকেল তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি আপনিও একটি বয়ামে রেখে অনেকের পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। সপ্তাহে দুদিন যদি আপনি আপনার চুলের গোড়াতে বা স্কার্ফের মধ্যে ভালো করে ম্যাসাজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেওয়ার পর যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। 
দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার চুলের খোকশী ছাড়াও চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে গেছে এবং চুল লম্বা. ঘন ও মজবুত হচ্ছে। যেহেতু মেথি আয়রন ও প্রোটিনের খুব ভালো সোর্স সে তো আপনি যদি নিয়মিত মেথি খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার চুলের গোড়াকে মজবুত, লম্বা ও ঘন ভেতর থেকে গড়ে তুলবে। এছাড়াও এতে ফ্লাবোনায়েট ও স্যাপোনিন উপাদান ও আপনার চুলকে ভেতর থেকে নতুন চুল গজাতে, গোরা মজবুত করতে এবং চুলের গোড়ায় বা স্কার্ফে বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন থেকে ও সুরক্ষা দেয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি: হজমের ক্ষেত্রে মেথি বেশ দারুন কাজ করে। হজমের ক্ষেত্রে মেথি প্রোবায়টিক হিসেবে কাজ করে এবং পেটের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়াগুলো রয়েছে মাইক্রোব্যায়োডা এগুলোকে সুন্দর ব্যালান্সিং হিসেবে কাজ করে ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: ঘন ঘন জ্বর হওয়া প্রবণতা অনেকটাই কমায় মেথি কারণ মেথিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো মিনারেল, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিনস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

কিডনির সমস্যা: যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ও মেথি বেশ উপকারী। কারণ মেথিতে পলিফেলোনিক ফ্ল্যাবিনক নামক উপাদান রয়েছে যা কিডনির বিভিন্ন ফাংশন কে উন্নত করে। এছাড়াও মেথির মধ্যে যে অ্যামিনো এসিড গুলো রয়েছে ইনসুলেন্সের অ্যাক্টিভিটি গুলোকে বাড়িয়ে দেয় যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি সহায় হোক হিসেবে কাজ করে।

বুকের দুধ বাড়ায়: যে সকল মায়েরা বেস্ট মিল্ক বা স্তন্য দুগ্ধ সমস্যায় ভুগছেন সে সমস্ত গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে মেথি খেতে পারেন স্তন্য দুগ্ধ বাড়ানোর জন্য কারণ মেথির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফ্লাবনয়েড। যা মায়েদের বেস্ট মিল্কের প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয় এছাড়াও মেথির মধ্যে রয়েছে আরও এক ধরনের কম্পাউন্ড রয়েছে যার নাম হল ডিওজচেনেন(Diosgenin)। 

ডিওজচেনেন(Diosgenin) মায়েদের স্তনের মধ্যে দুগ্ধের ফ্লো বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ফ্লাইটো ইস্ট্রোজেন(Phytoestrogen) যা মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মত কাজ করে আর এটি যখন ইস্ট্রোজেন হরমোনের মত কাজ করে তখন মহিলাদের স্তনের মধ্যে দুধ বহনকারীদের ডাক বা টিউব গুলোকে স্টিমুলেট করে অর্থাৎ উজ্জীবিত করতে সহায়তা করে তাই আপনি যদি স্তন্য দুগ্ধ সমস্যায় ভুগছেন তাহলে নিয়মিত মেথি খেতে পারেন।

গলা ব্যাথা বা কাশি দূর করতে: মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের গলা ব্যথা বা কাশি, বিভিন্ন মৌসুমী রোগ কমন সমস্যা। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মেথি খেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে মেতে খেতে পারেন তাহলে আপনার গলার ভেতরে যে মিউকাস বা কফ জমে থাকে এগুলো ক্লিয়ার করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও মেথির মধ্যে রয়েছে ফেনোলিক এসিড, 

মেথির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাবোনায়েট এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে এবং তার ফলে আমাদের গলার ভেতরে ইনফ্লামেশন হয় আর এই ইনফ্লামেশন কমে যাওয়ার সাথে সাথে গলায় বিভিন্ন সমস্যা- গলা ব্যাথা, কাশি, শুষ্ক কাশি, কফ আসছি রোজা মো দিয়েছে পানিও নাইইত্যাদি সমস্যা গুলো অনেকটা কমে আসছে সহায়তা করে।

মৌসুমীর জ্বর: মেথির মধ্যে রয়েছে ডিইউএসযেনিন এবং সাপোনিন যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যার ফলে আপনি যেকোন প্রকার ভাইরাল কিংবা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে কিংবা যেকোনো ভাইরাল ফিভার বা মৌসুমীর জ্বর থেকে অনেকটা দূরে থাকতে পারবেন । এছাড়া আপনার যদি ভাইরাল হয়েও থাকে এটি যেন দ্রুত নিরাময় হয়ে যায় সেখান থেকেও আপনাকে সহায়তা করবে মিথি।

আয়রন এবং প্রোটিনের সোর্স হিসেবে: মেথি খুব ভালো আয়রন এবং প্রোটিনের সোর্স হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মিতালী শরীরে আয়রন ও প্রোটিনের ঘাটতি খুব সহজে মেটানো সম্ভব হবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে: মেথির মধ্যে এক ধরনের ওয়াটার সরিবল ফাইবার রয়েছে যার নাম হলো ল্যাকটোম্যানান। যার ফলে মেথি খেলে আমাদের পেট ভরা মনে হয় আমাদের ক্ষুধা কম লাগে ফলে আমরা যখন কম খাবার খায় তখন আমাদের ওজন কম করা বেশ সহজ হয়ে যায়। এছাড়াও ল্যাকটোম্যানান আমাদের মেটাবলিজমকে ঠিক রাখতে সহায়তা করে। 

আর আমাদের শরীরের যখন মেটাবলিজম ঠিক থাকে তখন ফ্যাট বার্নিং প্রসেস বা চর্বি কাটানো দ্রুত সহজ হয়ে যায় তাই আপনি নিয়মিতভাবে মেথি খেতে পারেন আপনার ওজন কম করার জন্য বা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে মেথিকে বলা হয় অব্যর্থক ভেষজ। আমাদের শরীর থেকে গ্যাস্ট্রিক কে পায়খানা এবং প্রসাবের মাধ্যমে বের করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত মেথি বীজ খেলে দেহে অন্ত্রের পলিফেলোলিক ফ্ল্যাবানট মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে আর এই উপাদান কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এছাড়াও কিডনি সেলের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে

  • ঋতুস্রাবের ব্যথা প্রশম করতে সহায়তা করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে মেথি।
  • সন্তান জন্মদানে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ।
  • বাতের ব্যথা প্রশম করতে সহায়তা করে।
  • লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে সহায়তা করে।
  • হৃদ যন্ত্র কে সুস্থ রাখে।
  • ত্বকের তারণ্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • রক্তে টক্সিন এর উপাদান শরীর হতে বের করতে সহায়তা করে।
  • হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
  • হাঁটুতে ব্যথা কিংবা গিরা গিরায় অথবা ঘাটে ঘাটে ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার সমাধানে ও সহায়ক হিসেবে কাজ করে তবে তা অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে সঠিক মাত্রায়।
  • শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে।
  • মহিলাদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • হার্ট স্ট্রোক বা হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • মেথির মধ্যে থাকা ট্রাইগ্লিসেরাইড মহিলাদের বেস্টে যে কোষগুলো ক্যান্সার সৃষ্টি করে সেগুলোকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
  • হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • মেথিতে থাকায় আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ভেতরে গিয়ে ব্রনের দাগ ও মেস্তা দূর করতে সহায়তা করে।
  • মেথি চোখের নিচের কালচেভাব, রোদে পোড়া কালো ভাব ও ত্বকের বিভিন্ন অবাঞ্ছিত দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
  • পেশির ব্যথা কমিয়ে পেশি মজবুত করতে সহায়তা করে।
  • ব্রঙ্কাইটিস ও বুকে কফ জমা বের করতে সহায়তা করে।
  • লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মধ্যে উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করি মেথির ৪০টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। এখন আমরা মেথির অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো চলুন জেনে নেই-

মেথি খাওয়ার অপকারিতা
এখন আমরা মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মধ্যে খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানব। মেথি মেথি রান্নার ক্ষেত্রে অতি সুস্বাদু মসলা হিসেবে আমাদের সকলের কাছে পরিচিত এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য উপকারিতা হিসেবে ও জনপ্রিয়। তবে উপকারিতা হোক না কেন দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত ফেলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে, দীর্ঘ সময় ধরে কিংবা সঠিক নিয়মে না খেলে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি এর কারণ হতে পারে যেহেতু আয়ুর্বেদিক খেতে ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

শারীরিক সমস্যা হিসেবে এটি আমাদের শরীরে যে সকল সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন- এলার্জি, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাতের সমস্যা, ডিএনএ এর সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা, পেটে ব্যথা, মেথি খাওয়ার পাশাপাশি কোন দোকান জটিল রোগের ঔষধ খেলে এর বিপরীত ক্রিয়া ঘটাতে পারে, ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের মাত্রা উঠানামা পারে ইত্যাদি আরবি কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে এজন্য অবশ্যই পরিমাণ বা মাত্রা, নিয়ম জেনে খাবেন।

এছাড়াও যে সকল ব্যক্তির কোন প্রকার এলার্জিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই অল্প পরিমাণে মেথি খেয়ে পরিক্ষিত হয়ে বা নিজস্ব ডক্টর এর পরামর্শ অনুসারে মেথি খাবেন তা না হলে আপনার এলার্জির কারণে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে এজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। তবে অবশ্যই সতর্ক বা লক্ষ রাখবেন যেন মিথি বাচ্চাদের না খাওয়ানো হয় কারণ মেথি বাচ্চাদের হঠাৎ সুগার লেভেল কমে দিতে পারে এজন্য সতর্ক থাকবেন এবং বেশি পরিমাণে কি নিয়ে সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত পেশার, ডায়াবেটিস রোগীরা মেথি ভেজানো পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

মেথি খাওয়ার নিয়ম
মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম এর মধ্য এখন আমরা নীতি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-

মেথি সবচাইতে বেশি খাওয়া ভালো পানিতে ভিজিয়ে তাই চলুন কিভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন অর্থাৎ কত সময় ধরে ভিজাবেন, কত পরিমানে এবং কতটুকু পানি নিয়ে মেথি খাবেন চলুন জেনে নিই-

এক টেবিল চামচ মেথি দানা অর্থাৎ ১৫ml চামচের এক চামচ পরিমাণে মেথি দানা দুই গ্লাস পানিতে ভেজা হবে। এর পরিমাণটাই মূলত মেথির ভালো উপকারিতার ওপর নির্ভর করে। এই নিয়মে আপনাকে মেথি দানা গুলো রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে ভেজাতে হবে এবং সকালে খালি পেটে চাকনা দিয়েছে ছেকে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। তবে মেথি দানা ভেজানো পানি খাওয়ার পর বেশিক্ষণ পর্যন্ত খালি পেটে থাকবেন না। 

অনেকেই আছেন যারা মিটে না ঘোরাঘুরি খান কিন্তু মেটে যেন ঘোরাঘুরি খেলে এর সঠিক পরিমাণটা বুঝা যায় না যেহেতু এজন্য সব কিছু খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। মেথি যেহেতু কেমিক্যাল কম্পনেন্ট এর জন্য অতিরিক্ত হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বিশেষ করে যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এবং সব সময় ডায়াবেটিস প্রেসার উঠানামা বা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে তাদের জন্য গুড়া করে মেটিক হওয়া মোটেও ভালো নয়। তবে আপনি যদি শুধুমাত্র দানা খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খাবেন।

উপরুক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানলাম মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম চলুন আমরা এখন এতে সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য জানি। নিম্নে আমি মেথির সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। চলুন জেনে নেই সেগুলো কি কি-

  • নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ
  • মেথি কাদের খাওয়া উচিত নয়?
  • মেথি কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর
  • গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
  • পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
  • মেয়েদের জন্য মেথির খাওয়ার উপকারিতা
চলুন জেনে নেই, মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর গুলোর বিস্তারিত। সম্পূর্ণ পোস্টে পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন এজন্য সম্পূর্ন পোস্টে পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল।

নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ

মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম মধ্যে এখন আমরা জানবো এ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য। মেথিকে বলা হয় সকল রোগ সারিয়ে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার সুপার ফুড। কারণ শরীরকে সুস্থ সবল রাখার সকল পুষ্টি উপাদান এতে বিদ্যমান রয়েছে যেমন পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, কপার, ভিটামিন "এ" "সি" "কে" বি ৬ ইত্যাদি সকল পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। নিয়মিত মেথি খেলে সারবে যেসব কঠিন রোগ নিম্নে আলোচনা করা হলো-

  • নিয়মিত সারারাত মেথি ভেজানো পানি খালি পেটে খেলে গ্যাস জনিত পেটের সকল সমস্যা ও পাকস্থলীর হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ে আমরা সকলেই অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগি ডায়াবেটিস কমতে চাই না কখনো বেশি কমে যায় ইত্যাদি এ সমস্যা থেকে খুব সহজেই নিস্তার পেতে পারেন নিয়মিত মেথি খেয়ে। মেথি খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
  • মেয়ে হোক বা ছেলে হোক সকলের রয়েছে চুল পড়া বা নতুন চুল না গজানো সমস্যা। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি বা চুলে মেথি লাগিয়ে বা খাওয়ার পরে দুই থেকে তিনটি মেথির দানা খেয়ে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন।
  • মাথার স্কার্ফে খুশকি, সংক্রমণজনিত বিভিন্ন রোগ, উকুন, দ্রুত চুল পেকে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া সকল সমস্যা মেথি খুব সহজে দূর করতে পারে। এছাড়াও চুলকে নরম উজ্জ্বল ও প্রানোবন্ধক রাখতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
  • বর্তমানে আমাদের খাদ্য অভ্যাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইউরিক অ্যাসিড। আমরা অনেকেই এই রোগ নিয়ে ভুগছি। মেথি খুব সহজেই শরীরের অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর কত বের করে দিয়ে রক্ত দূষণমুক্ত রেখে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে ফেলে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের রয়েছে তা শুধু ভুক্তভোগী বোঝে। এ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিয়মিত মেথি খেয়ে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন এবং সুস্থ ও ব্যথা মুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
  • শরীরে কোথাও ফুলে যাওয়া, হাঁটু বা গিরায় গিরায় ব্যথা এখন শুধু তা বয়স্কদের রোগ নয়। এসকল রোগ এখন সকলেরই দেখা দেয় যা খুব সহজেই নিয়মিত মেথি খেলে দূর হয়ে যায়।
  • বর্তমানে আমাদের আবহাওয়া অনেক বেশি দূষিত হওয়ার কারণে মানুষের বেশিরভাগ কাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হচ্ছে। এসব রোগ মেথি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করে তুললে কখনোই আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না।
  • শিশু হোক বা বড় ঠান্ডা জনিত রোগ সকালেরই হয়ে থাকে যেমন সর্দি-কাশি,জ্বর, মাথাব্যথা, বুকে কফ জমে থাকা, খুশখুসে কাশি, কফ না বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা। যা খুব সহজেই মেথির পুষ্টি উপাদান গুলো সারিয়ে দিতে পারে।
  • ত্বকের যত্নের জন্য আমরা অনেকেই বাজারের বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে থাকি যা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা, ব্রণ মুক্ত, ব্রণের দাগ দূর করতে, চোখের নিচে কালচে ভাব, মেস্তা, ত্বককে টনটনে রেখে নরম রাখতে মেথির পেস্ট বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • আমরা অনেকে অতিরিক্ত রক্তচাপে বা ব্লাড প্রেসারে ভুগছি। যা মেথি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। এজন্য যাদের ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

মেথি কাদের খাওয়া উচিত নয়?

মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনেছি এখন জানবে মেথি সম্পর্কে কিছু আরো বিস্তারিত তথ্য। মানব শরীরকে সুস্থ রাখতে যে সকল পুষ্ট উপাদান ও গুণাগুণ প্রয়োজন তার সকল পুষ্টি উপাদান মেথিতে রয়েছে। মেথি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা বলা যায় কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য মেথি খাওয়া উচিত নয় বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর জন্য আমি আপনাদের জন্য মেথি কাদের খাওয়া উচিত নয়? তা নিয়ে আলোচনা করছি আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি সঠিক তথ্য পাবেন।
গর্ভবতী নারীদের জন্য মেথি অনেক সময় বেশ ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।কারণ মেথিতে থাকা পুষ্টি উপাদান দ্রুত গর্ভপাতে বা নরমালে বাচ্চা হওয়াতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মেথি খাওয়ার ফলে সময়ের আগেই গর্ভপাত হয়ে যাই। এজন্য অবশ্যই গর্ভবতী নারীরা গর্ভ অবস্থায় কখনোই মেথি খাবেন না।

  • যাদের রক্ত জমাট বাধা জনিত রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন । কারণ মেথি রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। এজন্য অবশ্যই মেথি খাওয়ার আগে ভালো ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করবেন।
  • যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়াবেটিস রয়েছে তারা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। মেথি দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ হঠাৎ কমাতে পারে যা অনেক সময় ক্ষতি ও বিপর্যয়জনক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
  • মেথি খেতে বেশ তিতা স্বাদ। এজন্য অনেকেই কাঁচা মেথি খেতে পারেনা ফলে বমি ভাব,মাথা ঘোরা,অস্বস্তি অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
  • মেথি খেলে অনেক সময় এলার্জি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ফুসকুড়ি ইত্যাদি। এজন্য মেথি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে খাবেন।
  • মেথি পেটের সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে অনেক সময় ডায়রিয়া,পেটে ব্যথা ও হজম ক্রিয়া ব্যাহত হয়
  • কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয় কিন্তু মেথি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে নিলে মেথিতে থাকা উপাদান টেরাটোজেনিক এর জন্য গর্ভবতী নারীরা বাচ্চার জন্মদোষ সৃষ্টি করতে পারে তাই অবশ্যই নিতে খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা খাওয়া শুরু করবেন।
  • কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে বা দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া উচিত নয়। মেথি ও তার বাইরে নয় মেথি শুধুমাত্র শরীর সুস্থ ও সবল রাখার জন্য খেতে পারেন কিন্তু ঔষধ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি খাওয়া কখনোই উচিত হবে না। এতে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে । এছাড়া একটানা ছয় মাসের বেশি কখনো এটি সেবন করবেন না।
  • বাচ্চাদের কখনোই মেথি খাওয়াবেন না। এতে তাদের ঠান্ডা জনিত ও পেটের বিভিন্ন ক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

মেথি কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর

মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে এখন আমরা জানবো মেতে গেলে কিডনির কোন সমস্যা হয় কিনা এসব বিস্তারিত আলোচনা চলুন জানি।মেথি অন্যান্য বীজের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ও শরীর স্বাস্থ্য ও সবল রাখতে যার জুড়ি মেলা দায়ী। ত্বক, চুল, শরীর সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে খাবার সুস্বাদু করতে বা বৃদ্ধি করতে আমরা অনেকেই মেথি ব্যবহার করে থাকি কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। চলুন আজ জেনে নেই মেথি কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর কি না।

কোন খাবারই আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভালো নয় তা কোন প্রকার খাবার হোক বা ঔষধ বা কোন প্রকার বীজ হোক না কেন। যেমন মেথি। এমনিতে মেথিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল ও প্রাণোবন্ধুক রাখতে ভূমিকা পালন করে। বিচ বা দানা জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত অত্যন্ত ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।

আপনার যদি কিডনির অতিরিক্ত সমস্যা বা কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কখনোই মেথি খাবেন না। এতে আপনার অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আপনার সামান্য কিডনির সমস্যা থাকলে তা খেতে পারেন।
তবে এ বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবেন যেন তা সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন যেকোনো এক সময় খাবেন।তা সকালে খালি পেটে হতে পারে।মেথি ভেজানো পানি সকালে বা দুপুরে বা রাত্রে আপনার ইচ্ছা অনুসারী খেতে পারেন।আপনার যদি কিডনিতে পাথর জড়িত কোন সমস্যা থাকে তাহলে মেথির বীজ খুব সহজে তা দূর করতে পারবে।

মেথি কিডনিতে জমে থাকা মিনারেলকে খুব সহজে দূর করতে পারে। এছাড়া মেথি বীজের তুলনায় তেল বেশ কার্যকারী উপাদান রয়েছে যা কিডনির জন্য বেশ উপকারী। এজন্য আপনার কিডনির সমস্যা থাকলে বীজের তুলনায় মেথির তেল ব্যবহার করতে পারেন।
পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

মেথিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল ও প্রাণোবন্ধুক রাখতে বেশ কার্যকারী। মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত আমরা গুরুত্ব আলোচনা থেকে জেনেছি এখন আমরা জানবো পুরুষের জন্য মেথির খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা কেমন। পুরুষের জন্য মেথি খাওয়া বেশ উপকারী। কোন পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো-

মেথি খাওয়ার নিয়ম

  • রাত্রে মেথি দুই থেকে তিন চামচ একগ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সকালে সেই পানি খেতে পারেন।
  • মেথির পাউডার তৈরি করে তা দুধের সাথে এক থেকে দুই চামচ দিয়ে খেতে পারেন।
  • ভারী কোন কিছু খাওয়ার পরে তিন থেকে চারটি দানা চিবিয়েও খেতে পারেন।
  • এক চামচ মধু ও এক চামচ মেথির পাউডার ভালো করে পেস্ট তৈরি করে খেতে পারেন।
  • হাফ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও এক চামচ মেথির পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • মেথির চা তৈরি করে খেতে পারেন।
নিয়মিত মেথি খাওয়ার উপকারিতা

  • হজম শক্তি বা পাচন ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে।
  • নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সর্দি-কাশি কখনোই হবে না।
  • ত্বকের রুক্ষতা, শুষ্কতা ও মলিন হয়ে যাওয়া দূর করতে।
  • ত্বকের ব্রণ, মেছতা, ব্রণের দাগ, চোখের নিচে, কালো ভাব, ত্বক কালচে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি খুব সহজে দূর করতে মেথিকে সবসময় শীর্ষে রাখা হয়।
  • মেথি পুরুষের বার্ধক্যকে দূর করে তারণ্যকে স্থায়ী করে তোলে।
  • চুল পড়া ও নতুন চুল গজাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • খুকশী স্কার্ফে সংক্রমণজড়িত বিভিন্ন রোগ,উকুন,দ্রুত চুল পেকে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।
  • অম্ব্ল, পেট জ্বালা, বদহজম, পেটে ব্যথা ইত্যাদি খুব সহজে দূর করতে পারে।
  • নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে পেটে কখনো কৃমি তৈরি হবে না।
  • মেথি কিডনির কর্মক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • বিভিন্ন রকমের প্রাণঘাতী ক্যান্সার রোগ খুব সহজে নির্মূল করতে পারে বা হতে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে মেথি।
  • মেথি খুব সহজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখে।
  • বাতব্যথা যার ঔষধ এখনো তৈরি হয়নি যা খুব সহজেই মেথি সারাতে পারে।
  • মেথি খুব সহজে পিত্তথলিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা রোগ দূর করতে পারে বা নিরাময় করতে পারে।
  • পুরুষের শরীরের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন অত্যন্ত জরুরী যা মেথি খুব দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • পুরুষের যৌন ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য মেথি এক ধরনের মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী তেমনি গ্যাস্ট্রিক এর জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা ও অত্যন্ত জরুরী চলুন তা জেনে নেই। গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি নেই এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়। বর্তমান যুগে গ্যাস নামক এ ব্যাধি সকলের রয়েছে এবং এর থেকে নিস্তার পেতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু মেথি নিয়মিত খেলে খুব সহজে আমরা এই গ্যাস নামক ব্যাধি থেকে নিস্তার পেতে পারি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম জেনে আপনার গ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন।

  • নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি মেথি দানা চিবিয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন এভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে আপনি আপনার গ্যাস নির্মূল করতে পারবেন।
  • সারারাত একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সকালে ভিজিয়ে রাখা মেথির পানি খালি পেটে খেয়ে ফেলুন
  • একটা চামচ মেথির পাউডার এর সাথে হাফ চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেলে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
  • সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি মিথিদানা খেলে আপনার পেটের কৃমি ও বুক জ্বালাপোড়া খুব দ্রুত চলে যাবে।
  • হঠাৎ বদ হজমের সমস্যা দেখা দিলে চার থেকে পাঁচটি মেথি দানা বা এক চা চামচ মেথি পাউডার এক টুকরো আদা সহকারে খেয়ে নিলে দ্রুত স্বস্তি পাবেন।
  • বুক জ্বালাপোড়া বমি বমি ভাব অস্বস্তিকর অনুভূতি পেটের খিচুনি জন্য হাফ কাপ পানি সহকারে মেথি ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। মেথি সিদ্ধ করা পানি খেয়ে ফেলুন এতে দ্রুত উপকার পাবেন।
  • নিয়মিত খালি পেটে মেথি পানি বা মিথি চিবিয়ে খেলে আপনার পেটের চর্বি দ্রুত কেটে যাবে। এবং আপনার ওজন ও দ্রুত কমতে সাহায্য করবে।
  • পাকস্থলীর পাচন ক্রিয়া বা হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত খালি পেটে দুই থেকে তিন চাচা চামচ লেবুর রস মধু এক চামচ ও এক চামচ মেথি গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • মেথি আমাদের শরীরের ভেতরের সকল রকমের ক্ষতিকর পদার্থ বা টক্সিনকেন বের করে দিতে সহায়তা করে ফলে খুব দ্রুতই আপনার গ্যাসের সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
  • মেথি আপনার পুরাতন আমাশয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ খুব সহজেই দূর করতে পারে। নিয়মিত এক গ্লাস মেথির পানি খালি পেটে খেয়ে।
  • অনেকের মেথি খেতে তিতা অস্বস্তিকর বমি বমি ভাব মাথা ঘোরার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা খুব সহজেই রান্নার সাথে তিন থেকে চারটি দানা দিয়ে এর উপকার এবং পুষ্টি গুনাগুন নিয়ে সকল ধরনের রোগ থেকে বিশেষ করে গ্যাস জড়িত আপনার রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
মেয়েদের জন্য মেথির খাওয়ার উপকারিতা

মেয়েদের জন্য মেথির খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আলোচ্য বিষয় মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিন্তু মেয়েদের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও জানা অত্যন্ত জরুরী চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।সাধারণত মেয়েরা রান্না সুস্বাদু ও রান্নার পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে মেথি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু মেয়েদের জন্য মেথি নিয়মিত খাওয়া অত্যন্ত জরুরি ও কার্যকরী। মেয়েদের পুরুষ তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে হয়ে থাকে। এজন্য মেয়েদের নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে কেন মেয়েদের জন্য মেথির খাওয়ার উপকারিতা অনেক এবং অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার তা জানতে পারবেন-

  • মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে যৌগিক পদার্থ সাপোনির। যা মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের হরমোন জড়িত সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে।
  • মেয়েদের ঋতুকালীন সময় যত রকমের পেটে ব্যথা রয়েছে তা খুব সহজে দূর করতে পারে নিয়মিত মেথি খাওয়ার ফলে।
  • অনেক মেয়েদের ঋতুস্রাব নামক রোগ রয়েছেন যা আমরা অনেকে অবহেলা করি কিন্তু নিয়মিত মেথি খেলে খুব সহজে এবং দ্রুত তা দূর হয়ে যায়।
  • মেয়েরা ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ভোগে,প্রতিদিন সকালে পান করুন মেথির পানি।
  • মেথি চুলের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। দুই থেকে তিন চামচ মেথি সারারাত ভিজে সকালে তার পেস্ট তৈরি করে সাথে এক চা চামচ টক দই এর মিশ্রণ তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। এতে চুল তার হারানো উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরে পাবে।
  • উসকো শুষ্ক চুল, আগা ফেটে যাওয়া, মাথায় উকুন খুশী ইত্যাদি সমস্যা দূর করে চুলকে লম্বা করতে চান তাহলে নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি পান করুন।
  • মেথি শুধু চুলের জন্যই উপকারী নয় ত্বকের জন্য বেশ উপকার। ত্বকের রুক্ষতা, শুষ্কতা, প্রচুর ব্রণ,ব্রণের দাগ,মেস্তা ইত্যাদি দূর করে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করুন নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি পান করে।
  • ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমতে কতটা কষ্ট হয় আমরা সকলেই জানি কিন্তু মেথি ভেজানো পানি নিয়মিত খেলে খুব দ্রুত আপনার বাড়তি ওজন কমে যাবে।
  • পেটে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে বেশ উপকারী ও কার্যকারী ভূমিকা রাখে মেথি ভেজানো পানি।
  • হাঁটুর ব্যথা,গিরায় গিরায় ব্যথা,গাটে গাটে ব্যথা ইত্যাদি সকল সমস্যায় বর্তমান যুগের মেয়েরা ভুগছে। এ সমস্যাগুলো আমরা মেয়েরা খুব সহজে দূর করতে পারি মেথি ভেজানো পানি বা তিন থেকে চারটি দানা নিয়মিত চিবিয়ে খেয়ে।
  • হজম ক্ষমতা বা পরিপাক তন্ত্রের পাচন ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে মেথি।
  • বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের মতে মেয়েদের জরায়ু সংকোচন ও প্রসারণ এর সকল প্রকার যন্ত্রণা কমাতে মেথি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • গর্ভ অবস্থায় মেয়েদের মেথি খাওয়া ভালো কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ সময়ের পূর্বে জন্মদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েরা মেথি খাবেন।
  • মেয়েদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান সাইটো ইস্ট্রোজেন।যা মেয়েদের শরীরে থাকা প্রলাক্টিন নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়তা করে।
  • মেথি মেয়েদের শরীরকে সুগঠিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • মেয়েদের ঋতুকালীন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এ সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

লেখক এর মন্তব্য-মেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

রাইট বাটন আজকে এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্যমেথির ৪১টি উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আশা করি উপরোক্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করে তাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করুন।এমন আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন,আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url