ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম, ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও টক দই সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম ছাড়াও টক দই সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে, পদ্ধতি, পরিমাণ, খাওয়ার সঠিক সময় জানতে পারবেন এবং টক দই এর সকল পুষ্টি উপাদান ও গুনাগুন গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম

টক দই এমন এক ধরনের খাবার যাকে সুপার ফুড ও পুষ্টিগুণের ভান্ডার বলা হয়। যার মধ্যে এখন আমি আপনাদের মধ্যে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম, ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা, টক দই এর ক্ষতিকর দিক, টক দই খাওয়ার সঠিক সময়, রাতের টক দই খেলে কি হয়, সকালে টক দই খেলে কি হয় ইত্যাদি আরো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে নিম্নে তুলে ধরেছি।
এই আলোচনা থেকে আপনার টক দই ব্যবহারের ধারনাটি অবশ্যই পাল্টিয়ে যাবে কারণ আমরা অনেকেই জানি টক দই শুধুমাত্র রান্নার কাজে যেমন- বিরিয়ানি, খিচুড়ি, রোস্ট, রেজালা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় কিন্তু টক দই যে এতটা উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং এই সকল খাবারের সঙ্গে খেলে এত বেশি উপকারিতা হয় জেনে অবাক হবেন তাই চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ি এবং টক দই সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য জেনে নেই।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম

আজকের আলোচ্য বিষয় ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম। ওজন কমানো মোটেও সহজ কাজ নয়। দ্রুত সময়ের ভিতরে ওজন কমাতে চাইলে ব্যায়ামের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যে ভূমিকা রাখে সেটি হল খাদ্য অভ্যাস সঠিক করা অর্থাৎ খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখা যা অল্প পরিমাণে কিন্তু পুষ্ট গুণের অনেক বেশি এবং যেটি আমাদের অল্প পরিমানে খেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে পেটকে

ভরা রাখবে তার সাথে সাথে শরীরের সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে দেবে। আর বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের মধ্যে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, টক দই ওজন কমানোর অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। আর টক দই যে কতটা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার তা বলার অপেক্ষা রাখে না এছাড়াও এটি আমরা খুব সহজেই ঘরে বসেই তৈরি করতে পারব। টক দই থাকা ব্যাকটেরিয়া যেগুলো আমরা খালি

চোখে দেখতে পাই না তার মধ্যে সবচাইতে বেশি উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া হলো ল্যাকটোব্যাসিলাস। আমরা যখন টক দই খায় তখন এই জীবিত ব্যাকটেরিয়া আমাদের ডাইজে সিস্টেমে প্রবেশ করে পাকস্থলীর বিভিন্ন ফাংশনকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করার সাথে সাথে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও টক দই এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে কটিজল হরমোন লেভেল কে মেন্টেন

করতে সহায়তা করে আর এ কটি জল হরমোন বেশি হলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায় বা অভিসিতির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই চলুন দেরি না করে পুষ্টিগুণে ভরপুর বা সুপার ফুড এই টক দই ওজন কমানোর জন্য কিভাবে খেতে হবে অর্থাৎ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম গুলো জেনে নিন-
টক দই ও বিভিন্ন ধরনের ফল
টক দই ও বিভিন্ন ধরনের ফল: অনেকেই টক দই এমনি খেতে পারেন না তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল মিশিয়ে খেলে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার হবে তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এজন্য আপনারা টক দইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমীর ফল যেমন- কলা, স্ট্রবেরি, আপেল, কিউই, বেদনা, আঙ্গুর, চেরি, পাকা আম, রাসবেরি ইত্যাদি মিক্স করে খেতে পারেন।
টক দই ও মৌরি
টক দই ও মৌরি: টক দই ও মৌরি দুটিতেই এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শুধুমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যই যেমন-বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ ইত্যাদি। এর জন্যই হয়তো অনেকেই আছেন যারা মৌরি ভেজানো পানি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খেয়ে থাকেন। তবে শুধু মৌরি ও শুধু টক দই না খেয়ে দুটি উপাদান একসঙ্গে খেলে আপনার মেদ খুব সহজে এ দুটো উপাদান ছড়াতে সহায়তা করবে।
টক দই দিয়ে তৈরি রায়তা
টক দই দিয়ে তৈরি রায়তা: ওজন কমানোর জন্য টক দই দিয়ে তৈরি রায়তা বেশ ভালো কার্যকারী। পুদিনা পাতা, সামান্য কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ কুচি, চাট মসলা সামান্য গাজর, শসা, গোলমরিচের গুঁড়ো, সামান্য লবণ, টমেটো কুচি, জিরা গুড়া ও এক বাটি পরিমাণে টক দই নিয়ে সকল উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে রায়তা তৈরি করে বিকালে
কিংবা সকালের নাস্তা অথবা দুপুরে খাবারের সঙ্গে এই রায়টা রাখতে পারেন। এতে যে সকল উপকরণ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সবগুলো উপকরণ ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এর জন্য এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি ওজন কমাতেও বেশ সাহায্যকারী খাবার।
টক দই ও ফ্ল্যাক্স সিড
টক দই ও ফ্ল্যাক্স সিড: ফ্ল্যাক্স সিড চিয়া বীজ এর মতই অনেক বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। তবে ফ্ল্যাক্স সিড খাওয়ার পূর্বে প্যানে হালকা ভেজে নিয়ে টক দই সঙ্গে কয়েকটি পুদিনা পাতা ও এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড দিয়ে সকালের নাস্তা কিংবা বিকালের রাস্তায় খেতে পারেন।
টক দই দিয়ে চিয়া বীজ
টক দই দিয়ে চিয়া বীজ: বর্তমানে যারা স্বাস্থ্যের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল এবং ওজন কমাতে চান তাদের কাছে চিয়া বীজ বেশ জনপ্রিয় কারণ এর উপকারিতা ও পুষ্টি উপাদান এতটাই বেশি যে ব্যাক্তি এই বীজ একবার গ্রহণ করবে সে কখনোই তা ছাড়তে পারবেন না। বিভিন্ন গবেষণা চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরাও এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন এর উপাদান সম্পর্কে জেনে ওজন কমাতে এবং শরীর

সুস্থ রাখতে চিয়া বীজ খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চিয়া বীজ এ রয়েছে, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ইত্যাদি আরো নানা পুষ্টি উপাদান। এর জন্য আপনি দুটো ওজন কমাতে চাইলে বিভিন্ন রকম ফলের জুসের,সঙ্গে টক দই, পুদিনা পাতা সামান্য মধু ও দুধ ভালো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মিক্স করে নিয়ে উপর দিয়ে এক চা চামচ চিয়া বীজ ছিটিয়ে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অথবা সর্বোচ্চ

আধাঘন্টা অপেক্ষা করে খেয়ে নিন। এই পানীয়টি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। এই পানীয়টি আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন কারণ আমরা সকলেই জানি ওজন নিয়ন্ত্রণের আনতে পানি অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। এর জন্য পানির বিকল্প হিসেবে আপনি এই পানীয়টিও খেতে পারেন।
টক দই ও মধু
টক দই ও মধু: টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী তবে এর সামান্য টকভাবের জন্য আমরা অনেকেই খেতে পারি না ফলে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় পদার্থ মিক্স করে খায় বিশেষ করে চিনি। আর আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য টক দই খান আর সাথে চিনি দিয়ে খান তাহলে আপনার ওজন তো কমবে না

বরং দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকবে। তবে আমরা জানি মধু মিষ্টি হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী এর জন্য আপনি সকালের নাস্তায় টক দই ও সামান্য মধু মিশে খেতে পারেন এটি যেমন খেতে সুস্বাদু হবে তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ার সাথে সাথে ওজন ও নিয়ন্ত্রণে আনবে।
টক দই ও গ্রানোলা
টক দই ও গ্রানোলা: স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে পছন্দের তালিকায় সর্বপ্রথমে যে খাদ্যটি রাখে সেটি হল গ্রানোলা। গ্লাইনও না এমন এক ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য যা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় যেমন বিভিন্ন ধরনের বাদাম, মধু, ওটস বিভিন্ন ধরনের বীজ ইত্যাদি এর জন্য এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ভরপুর থাকে যেমন ভিটামিন এ বি সি ই ক্যালসিয়াম ফসফরাস ছাড়াও আরো

বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, হাড় মজবুত ও উন্নত করে, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সহায়তা করে। আর এ পুষ্টিগুণে ভরপুর লো ফ্যাট বা সুগার ফ্রি বা লো ক্যালসিয়ামযুক্ত গ্রানোলা এর সঙ্গে লো ফ্যাট টক দই মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে এগুলো সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
টক দই ও জোয়ান
টক দই ও জোয়ান: জোয়ান আমাদের পাকস্থালির অন্ত্রের প্রবেশ করে গ্যাস্ট্রিক , বদহজম, পেটের পিরা দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট হতে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বের করে পেটকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আর আমরা জানি পেট সুস্থ থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ অনায়াসে করা সম্ভব। এর জন্য আপনি টক দইয়ের সঙ্গে জোয়ান ছিটিয়ে খেলে কয়েক দিনের ভেতরে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
টক দই ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম
টক দই ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যালরি এবং শরীরে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর জন্য আপনি যেকোনো এক ধরনের খেজুর বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও ট্রাইফোট মিশিয়ে সকালের নাস্তা কিংবা বিকালের রাস্তায় খেতে পারে। এতে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে, অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরা থাকবে, অল্প খাবার খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কোন প্রকার কষ্ট উপাদানের ঘাটতিও ঘটবে না।
টক দই ও জিরা
টক দই ও জিরা: ফোড়ন কিংবা তরকারিতে আমিষ কিংবা নিরামিষ খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করতে রান্না ঘরে সকলের যে উপকরণটি সব সময় থাকে তা হল জিরা। চিড়া আমরা সকলেই চিনি বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করেন তারা হয়তো একটু বেশি চেনেন কারণ যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় আছেন তারা অনেকেই হয়তো জিরা ভেজানো পানি খাচ্ছেন। কারণ তারা জানে জিরা মেদ বা চর্বি ঝরাতে কতটা উপকারী। তবে টক দই এরসঙ্গে যদি জিরা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার মেদ বা চর্বি আরো অনেক বেশি দ্রুত সময়ের ভেতরে ঝরতে থাকবে।
টক দই ও ওটস
টক দই ও ওটস: ওজন নিয়ন্ত্রণ, শরীর সুস্থ রাখতে ওরসের ভূমিকা কতটা বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওরসে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম ফাইবার খুব সহজে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য টক দই ও ওরস দুটোই ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ ভালো কার্যকরী খাদ্য।
টক দই ও দারচিনি
টক দই ও দারচিনি: দারচিনিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম যে পুষ্ট উপাদানটি হয়েছে তা হলো অ্যান্টি-অক্সাইড আর এই অ্যান্টিঅক্সাইড ওজন কমানোর সাথে সাথে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে এর জন্যই আমরা যে কোন খাবারে স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধি করার জন্য দারচিনি ব্যবহার করে থাকি।
টক দই ও মাংস
টক দই ও মাংস: যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট করছেন তাদের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য হিসেবে চিকেন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর এই চিকেন কে আরো বেশি স্বাস্থ্যকর ও ক ওজন নিয়ন্ত্রক খাবার হিসেবে তৈরি করার জন্য চিকেন টি রান্নার সময় টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি মাংসে থাকা প্রোটিন পাবেন তেমনি টক দই আপনার ওজন ঝরাতে সহায়তা করবে।
টক দই ও শশা
টক দই ও শশা: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শসা কতটা উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর জন্য আপনার সকালে নাস্তায় টক দই, পুদিনা পাতা, গোলমরিচ গুঁড়ো ও শসা কুচি ইত্যাদি সকল উপকরণ ভালো করে মিক্স করে খেতে পারেন।
টক দই ও চিড়া
টক দই ও চিড়া: সকালের নাস্তা হিসেবে ওজন কমানোর জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হতে পারে টক দই ও চিড়া। চিড়া ওরস এর মতন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ও কার্যকারিতা। এর জন্য আমরা অনেকেই করছে পরিবর্তে চিড়া খেয়ে থাকি।
টক দই ও লাউ
টক দই ও লাউ: লাউ আমাদের শরীরকে কতটা ঠান্ডা রাখে এবং শরীর হতে টক্সিন জাতীয় পদার্থ এবং চর্বি ঝরাতে কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। আর এই লাউ যদি আমরা টক দই দিয়ে খায় তাহলে এর পুষ্টিগুন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এর জন্য ওজন কমানোর প্রসেসে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন লাউ ও টক দই।
টক দই ও গুড়
টক দই ও গুড়: আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য টক দই খেতে চান কিন্তু টক দইয়ের সাহায্যে আপনার পছন্দ না হয় তাহলে চিনি কিংবা মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবারের পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। গুড় যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকটা ভূমিকা রাখে এজন্য চর্বি বা ওজন ঝরানোর প্রসেসে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের পরিবর্তে টক দই ও গুড় একসঙ্গে খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। তবে ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম ছাড়াও নিম্নে টক দই সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি টক দই সম্পর্কে নিম্নের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে ও টক দই সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জেনে উপকৃত হবেন। যেমন-

  • ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা
  • সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা
  • টক দই এর ক্ষতিকর দিক
  • রাতে টক দই খেলে কি হয়
  • খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়
  • টক দই কখন খাওয়া উচিত
  • টক দই এর ইংরেজি কি
ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা

ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা

আমরা ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনেছি কিন্তু ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে টক দই কিভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে চলুন জেনে নেই। টক দই যে একটি অতি পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুপার ফুড তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টক দইয়ের হাজারো গুণ ও উপকারিতা রয়েছে।

টক দই রয়েছে প্রচুরপরিমাণে জীবিত ব্যাকটেরিয়া যা খালি চোখে দেখা যায় না আর সে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া হলো ল্যাকটোব্যাসিলাস। আমরা যখন টক দই খাই তখন ওই সমস্ত ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো জীবিত অবস্থায় আমাদের শরীরের দাঁতের মধ্যে বা ডাইজেস সিস্টেমের মধ্যে প্রবেশ করে এবং আমাদের সিস্টেম এর ফাংশনকে সুস্থ

রাখতে সহায়তা করার সাথে সাথে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় ফলে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বেরিয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের শরীরে এক ধরনের স্ট্রয়েড হরমোন রয়েছে যার নাম হল কটিজ। আমাদের শরীরে যখন এই কটিজল হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তখনই আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায় বা অভিষেটির মতো সমস্যায়। এর জন্য আপনি যদি ওভারওয়েট বা অভিসিটি মত

সমস্যা কমানোর প্রসেসে থাকেন এবং নিয়মিত টক দই খান তাহলে টক দই আমাদের শরীরের এই কটিজল হরমোন এর লেভেল কে মেইনটেইন করতে সহায়তা করবে ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি থেকে আপনি খুব সহজে দূরে থাকতে পারবেন। এর জন্যইপ আপনি যখন টক দই খান তখন টক দই আমাদের শরীরের ৬১% ফ্যাট বার্ন করে এবং ২২% সামগ্রিক ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ আলোচনা থেকে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা কতটা বেশি।

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আলোচ্য বিষয় ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম তবে আমাদের সকলের জানা উচিত সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। টক দই হলো বিভিন্ন পুষি উপাদানে ভরপুর একটি খাবার তবে আমরা সে সকল পুষ্টি উপাদান তখনই পাবো যখন সেটা সঠিক নিয়মে এবং সঠিক সময় খাব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সকালে টক দই খান কিন্তু এই টক দই সকালে খেলে আপনি কি কি উপকার পাবেন চলুন জেনে নিই-

  • টক দই হলো একটি সুপার ফুট যা দুধের তুলনায়ও বেশি পুষ্টগুণ রয়েছে যেমন- এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন- ভিটামিন বি ১২, বি ২ ইত্যাদি। যার ফলে আপনি যদি সকালবেলা টক দই খেয়ে কর্মে বেরিয়ে যান তাহলে সারাদিনে আপনার এ সকল পোস্ট উপাদানের ঘাটতি হবে না এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
  • যেহেতু দুই কে প্রোবায়োটি সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান ভরপুর রয়েছে ফলে আমরা যদি দিনের শুরুটা টক দই খেয়ে শুরু করেন তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়া ভারসাম্য সঠিক থাকবে এবং ডায়রিয়া, পেট ফোলা , বদহজম, গ্যাস্ট্রিক থেকে দূরে থেকে আপনার পাকস্থলী সারাদিন সুস্থ থাকবে।
  • ওজন কমানোর ক্ষেত্রে টক দইয়ের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। টক দই যেহেতু উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে এবং সকল ধরনের পুষ্টির ঘাটতে হয় না ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং খুব সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • টক দই থাকা বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ইত্যাদি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে এবং শরীর থাকা বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে ফলে আমাদের পেটের ডাইজেস সিস্টেমের ফাংশন গুলো সুস্থ থাকে।
  • টক দই রয়েছে দুধের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ক্যালসিয়াম মাত্র এক কাপ টক দই রয়েছে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ফলে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এক কাপ পরিমাণে টক দই খান তাহলে আপনার হাড় মজবুত, পেশি শক্তিশালী, হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকতে সহায়তা করবে।
  • সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনের কর্মব্যস্ততাই আমাদের বিভিন্ন টেনশন ও মানসিক চাপে থাকতে হয় কিন্তু সকালে টক দই ই খেলে আপনি খুব সহজে এই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন কারণ টক দই যে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা আমাদের পেটের মধ্যে প্রবেশ করে সেরোটেনিন হরমোনাল সেগ্রেশন বাড়িয়ে দেয় আর এই সেরোটেনিন হরমোনালই হল হ্যাপি হরমোন আর যখন এই সেরোটেনিন হরমাল বেশি বেশি সেকুলেশন হতে থাকে তখনই মেন্টাল স্ট্রেস বা ডিপ্রেশন খুব সহজেই কমে যায়।

টক দই এর ক্ষতিকর দিক

আমরা ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম, উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু টক দই এর ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। টক দইয়ের হাজারো উপকারিতার মধ্যে সঠিক নিয়ম, খাওয়ার পদ্ধতি ও পরিমাণ না জেনে খেলে কিছু মারাত্মক ক্ষতি কর দিক রয়েছে চলুন সে দিকগুলো জেনে নেই-

  • আমরা জানি টক দই একটি ন্যাচারাল প্রোবায়োটিক খাদ্য যার ফলে একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত টক দই খেলেরক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে এছাড়াও যদি টক দই মিষ্টি জাতীয় পদার্থ যেমন- চিনি সহকারে খায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে চিনি ছাড়া সপ্তাহের ২ থেকে ৩ দিন খেতে পারেন।
  • টক দই তৈরির ২ থেকে ৩ দিন পর থেকে এর পুষ্টি গুণাগু নষ্ট হয়ে যেতে থাকে যার ফলে এর সঠিক পুষ্টি গুনাগুন বা উপকারিতা কোনটাই পাবেন না অনেক সময় এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলে।
  • টক দইকখনো গরম করে বা গরমস্থানে রেখে খাবেন না এতেও পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট ও টক দই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যার কারণে কিডনি রোগীদের খুবই অল্প পরিমানে টক দই খেতে বলা হয় তবে আপনি যদি খেতে চান এবং কিডনি রোগ হন তাহলে অবশ্যই আপনার ডক্টরের সাথে পরামর্শ করেই খাবেন।
  • অ্যাজমা বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি টক দই সরাসরি ফ্রিজ থেকে বের করে খেলে এ সকল রোগ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি এজন্য অবশ্যই ফ্রিজ থেকে বের করে নরমাল টেম্পারেচারে এনে খাবেন।
  • টক দই মাত্রা অতিরিক্ত বা পরিমাণের অতিরিক্ত খেলে শরীর এর বিপরীত ক্রিয়া প্রদর্শন করে এর জন্য অবশ্যই টক দই ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের অধিক পরিমাণে খাবেন না।
  • বেগুনের তরকারি, মাছের তরকারি ইত্যাদি তরকারিতে সম্ভব হলে টক দই ব্যবহার না করে খাবেন।

রাতে টক দই খেলে কি হয়

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম জানার মতো আপনাদের মনে অনেকেরই রাতে টক দই খেলে কি হয় এ প্রশ্ন উত্তর জানার ইচ্ছা থাকতে পারে এজন্যই আজ আমি আপনাদের মাঝে রাতে টক দই খেলে কোন প্রকার ক্ষতি হয় কিনা এ সম্পর্কে জানাবো-

মূলত টক দই যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে এতে রাতে টক দই খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম কিন্তু বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে রাতের বেলা খেলে কিছু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা যদি সন্ধ্যার পর থেকে যেকোনো একসময় খান তাহলে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুলতে পারেন বা ঠান্ডা সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু ক্ষতি রয়েছে যেমন- যে সকল ব্যক্তির দুধজাতীয় খাবার খেলে
পেটে সমস্যা হয় তাদের গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হতে পারে, বদহজম হতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে, ডায়রিয়া হতে পারে ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ এতে অত্যাধিক পরিমাণে প্রোবায়োটিক উপাদান রয়েছে। যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের ব্রণ ও ত্বকের টিস্যু ড্যামেজ হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য সতর্কতা হিসেবে রাতের বেলা বা সন্ধ্যার পর থেকে টক দই না খাওয়াই ভালো।

টক দই কখন খাওয়া উচিত

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম, উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তোমরা জানলাম কিন্তু টক দই কখন খাওয়া উচিত তার সম্পর্কে কি আপনার সঠিক ধারণা রয়েছে। টক দই খাওয়ার সঠিক সময় ও কিন্তু এর পুষ্টি পুষ্টিগুনাগুন আপনার শরীরে কতটা উপকার বয়ে নিয়ে আসবে অনেকাংশে নির্ভর করে। যেমন- টক দই রাত্রে খেলে আপনি এর সঠিক গুনাগুনের সঠিক উপকারিতা

পাবেন না কিন্তু আপনি যদি টক দই সকালে কিংবা দুপুরে খাবার আধা ঘন্টা পরে কিংবা ভারী কোন তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরে যদি খান তাহলে এর গুনাগুনের সঠিক উপকারিতা পাবেন। এজন্য আমরা অবশ্যই টক দই সঠিক পরিমাণে সকালে কিংবা দুপুরে অথবা বিকালে খাওয়ার চেষ্টা করব সন্ধ্যার পরে কিংবা রাত্রে যতটা সম্ভব টক দই খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

টক দই এর ইংরেজি কি

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম যেমন টক দই খাওয়ার সময় জানা জরুরি তেমনি ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশে জীবনযাপনের জন্য সকল কিছুর ইংরেজি মিনিং জানা অত্যন্ত জরুরী তাই এখন আমি আপনাদের মাঝে টক দই এর ইংরেজি কি তা বলব টক দই এর ইংরেজি হল Sour Yoghurt। আশা করি এটা জেনে উপকৃত হয়েছেন।

লেখক এর মন্তব্য-ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম, ওজন কমাতে টক দই এর উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও টক দই সম্পর্কে অনেক জানাও অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url