ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
আজ আমি আপনাদের যে রেসিপিটি জানাবো তা হল ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে
আইসক্রিম বানানোর রেসিপি, আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয় ইত্যাদি। আইসক্রিম তৈরীর
আরো কিছু টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম
বানানোর রেসিপি ও আইসক্রিম সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই
সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে, পরিমাণ এবং পদ্ধতিতে জেনে ঘরে বসে
আইসক্রিম তৈরি করতে পারবেন বিভিন্ন প্রকারের।
ভূমিকা
গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড গরমে আমাদের প্রথমে যে খাবারটির কথা মনে পড়ে তা হল
আইসক্রিম আইসক্রিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। ছোট বড় সকলেই
একবার হলেও গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড রোদে আইসক্রিম খেয়ে থাকে। তবে সঠিক পরিমাণ
পদ্ধতি না জানার কারণে আমরা অনেকেই এই আইসক্রিম ঘরে তৈরি করি না। কিন্তু ঘরে তৈরি
করলে আপনি খুব অল্প সময়ে অল্প খরচেই ঘরের সামান্য উপকরণ দিয়েই তৈরি করতে
পারবেন।
আর আমি আজ আপনাদের যেভাবে তৈরি করার নিয়ম জানাবো এতে আপনার আইসক্রিম টি বাজারের
দশটি আইসক্রিমের তুলনায় অনেক সুস্বাদু হবে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে ঘরোয়া
পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি, আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা
ও আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয় ইত্যাদি ছাড়াও আইসক্রিম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
আজকের আলোচ্য বিষয় হলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর
রেসিপি। আর আমি যে ১২ ধরনের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি দেখাবো তা শুধুমাত্র
ন্যাচারাল ফল দিয়েই হবে। কারণ আমি একজন মা আর জানি একজন মা তার সন্তান এবং তার
পরিবারের সদস্যদের কখনোই আর্টিফিশিয়াল বা বাইরের খাবার খাওয়াতে কতটা
দ্বিধাদ্বন্দে থাকে।
তাই চলুন দেরি না করে ঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণ ও অল্প খরচে স্বাস্থ্যকর ও
সুস্বাদময় প্রাণ ঠান্ডা করা খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে
আইসক্রিম বানানোর রেসিপি গুলো জেনে নিন-
ঘরোয়া পদ্ধতি আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
প্রথমে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি এর
মধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতি আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি জেনে নেব। গ্রীষ্মকাল আগমনের
সাথে সাথে যেন সকলেরই অপেক্ষা শেষ হয় পাকা আম বা কাঁচা আম খাওয়ার জন্য। একটি
বছর অপেক্ষা করার পর আসে এই আম।
একটি বছর অপেক্ষা পর আসে আম তেমনি আম নিয়ে আসে তীব্র গরম ও প্রচন্ড ঠান্ডা
জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি নেশা যেমন আইসক্রিম। আর এই আম দিয়ে যদি যদি সুস্বাদু
ময় ও প্রাণ ঠান্ডা করা আইসক্রিম তৈরি করে যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাই চলুন
জেনে নেই খুব সহজে ঘরা বলতে আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি-
আমের আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- পাকা আমের রস- ১ থেকে ২ কাপ কাপ
- কনডেন্স মিল্ক- ১/৪ কাপ
- চিনি- ১ কাপ
- হুইপক্রিম- ১ কাপ
- কনফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ
ঘরোয়া পদ্ধতি আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরির প্রণালী: প্রথমে
একটি প্যানে আমের রস ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে জেলের মতো তৈরি করে ঠান্ডা করে
নেবেন। এবার কনডেন্স মিল্ক ও আপনার স্বাদ অনুসারে চিনি মিশিয়ে নেবেন। এবারএকটি
ব্লেন্ডারের আমের রস, কনডেন্স মিল্ক, হুইপক্রিম ইত্যাদি সবগুলো উপকরণ ঢেলে
নেওয়ার পর এখন ব্লেন্ডারের ঢাকনা লাগিয়ে নিয়েছি ব্লেন্ড করে নিন
এক থেকে দেড় মিনিট পর্যন্ত ব্লেন্ড করলে আপনারা দেখতে পাবেন আইসক্রিম সুন্দর
স্মোথ মিশ্রণ তৈরি হয়ে। আপনার কাছে যদি হুইপক্রিম না থাকে তাহলে দুধকে ভালো করে
জাল দিয়ে ঘন করে নেবেন তাহলেও আপনি আইসক্রিমের আসল স্বাদ পাবেন। এবার আমরা
তৈরিকৃত মিশ্রণটি একটি সাইডে রেখে পাকা একটি আমকে ছোট ছোট কিউব আকারে কেটে নেব।
আইসক্রিম যে পাত্রে জমাবেন তাতে প্রথমে কিউব করা পাকা আমের টুকরোগুলো দিয়ে দেবেন
তবে এটা অপশনাল আপনি এই আমগুলো দিতেও পারেন নাও পারেন তবে দিলে আইসক্রিমটি খেতে
বেশ সুস্বাদু হয়। আমের টুকরোগুলো ভালো করে সাজানো হয়ে আসলে উপর দিয়ে তৈরি
মিশ্রণগুলো ঢেলে দেবেন এবং আইসক্রিম জমার পাত্রটি
হালকা করে ঝাঁকিয়ে নেবেন যেন ভেতরে কোন প্রকার বাতাস না থাকে আর বাতাস থাকলেও
যেন তা বেরিয়ে যায়। এখন এ তৈরিকৃত আমের আইসক্রিম টি জমানোর জন্য ফ্রিজে ১২
ঘণ্টার জন্য রেখে দেবেন। ১২ ঘন্টা পর দেখবেন আপনার আইসক্রিমটি জমে গিয়েছে এবং
ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন প্রাণ ঠান্ডা করা আমের সুস্বাদুময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে
আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাঁচা আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে এখন আমি
আপনাদের মাঝে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাঁচা আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি জানাবো আর এই
প্রচন্ড গরমে টক মিষ্টি কাঁচা আমের আইসক্রিম টি আপনার কলিজা, মন ও প্রাণ ঠান্ডা
করে দেবে। আর এই কাঁচা আমের আইসক্রিম তৈরি করা যাবে শুধুমাত্র ঘরোয়া কিছু সহজ
উপকরণ দিয়ে তাই চলুন রেসিপিটি জেনে নিন-
কাঁচা আমের আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- মাঝারি সাইজের কাঁচা আম- ৪টি
- ধনেপাতা- হাফ কাপ
- পুদিনা পাতা- ১৫ থেকে ২০ টি
- চিনি- হাফ কাপ
- লবণ- ১/৪ টেবিল চামচ
- বিট লবণ- ১/৪ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ- ১ টি
- কনডেন্স মিল্ক- ১/৪ কাপ
- হুইপক্রিম- হাফ কাপ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাঁচা আমের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে
আমগুলো একটি পাত্রে গরম পানি সহকারে সেদ্ধ করে নেব খোসা সহ। আমগুলো সেদ্ধ হয়ে
আসলে ঠান্ডা করে আমি খোসা এবং বীজ বের করে নেব। এবার ব্লেন্ডারে আম ও সমস্ত উপকরণ
সঠিক পরিমাপের দিয়ে ব্লেন্ড করে নেব এক থেকে দেড় মিনিট। যে পাত্রে আইসক্রিম
বসাবেন সেই পাত্রে ব্লেন্ডারের তৈরিকৃত পিউরিটি ভালো করে
আরো পড়ুনঃ কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি বানানোর নিয়ম
বসিয়ে নেবেন এবং অবশ্যই পাত্রটি ভালো করে ঝাকিয়ে নেবেন যেন ভেতরে কোন প্রকার
ফাঁপা না থাকে এবং ফ্রিজে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার জন্য রেখে দেবেন বা আইসক্রিম জমা না
পর্যন্ত। এবার ঠান্ডা ঠান্ডা প্রাণ জুড়ানো টক, মিষ্টি ,ঝাল কাঁচা আমের ঘরোয়া
খুব সহজে উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিন কাঁচা আমের আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডাবের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে সবচাইতে বেশি
প্রাণ জুড়ানো ও সুস্বাদু ময় আইসক্রিম হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডাবের আইসক্রিম
বানানোর রেসিপিটি কারণ আমরা সকলেই ডাব খেয়ে থাকি প্রচন্ড গরমে প্রাণকে ঠান্ডা
করার জন্য আর এই ডাব দিয়ে যদি আইসক্রিম তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে তার স্বাদ
যেন আরো বেড়ে যায় তাই চলুন খুবই সামান্য উপকরণ দিয়ে খুবই সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে
ডাবের আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি-
ডাবের আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- ডাবের পানি- ১ কাপ
- ডাবের শাঁস- ১ টি অথবা ২টি ডাবের
- গুড়া চিনি- ২ টেবিল চামচ
- হুইপড ক্রিম- ১ কাপ
- কনডেন্সড মিল্ক- আধা কাপ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডাবের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে একটি
পাত্রে হুইপড ক্রিম নিয়ে বিটারে সাহায্য অথবা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালো করে বিট
করে নেবেন যেন ক্রিমগুলো ফাঁপা হয়ে যায় অর্থাৎ পাত্র যেন সম্পূর্ণ পূর্ণ হয়ে
যায় । ফাঁপা ক্রিমগুলোর সঙ্গে গুড়া চিনি ভালো করে মিশিয়ে নেব এবং এতে অল্প
অল্প করে কনডেন্স মিল্ক ও ভালো করে মিশিয়ে নেব।
এবার ডাবের অর্ধেক পরিমাণে আঁশগুলো ডাবের পানি সহকারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নেব
এবং অর্ধেক পরিমাণের আঁশগুলো ছোট ছোট কিউব আকারে কেটে নেব। এবার ডাবের আঁশ ও
ডাবের পানির মিশ্রণ ও ছোট ছোট আকারে কেটে রাখা ডাবের আঁশ এর সঙ্গে সমস্ত উপকরণ
ভালো করে মিশিয়ে নেব।
সমস্ত উপকরণ ভালো করে মেশানো হয়ে আসলে যে পাত্রী আইসক্রিম জমাবো সে পাত্রটিতে
সমস্ত উপকরণ ঢেলে হালকা ঝাকিয়ে নেব যেন কোন প্রকার ফাঁপা না থাকে এবার এই
মিশ্রণটি ফ্রিজে ছয় থেকে সাত ঘন্টা রেখে দেবো। যে পাত্রে আইসক্রিম জমাবেন সে
পাত্রটি যেন অবশ্যই ঢাকনা সহ হয়। আইসক্রিমটির সম্পূর্ণ জমে আসলে ঠান্ডা ঠান্ডা
পরিবেশন করুন প্রাণ, মন ও কলিজা ঠান্ডা করা ডাবের আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তালের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
আমরা আলোচনা করছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
যার মধ্যে আরেকটি অন্যতম ও পুষ্টিগুণে ভরপুর আইসক্রিম হল তালের আইসক্রিম। তাই
চলুন দেখি না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তালের আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি জেনে নিন-
তালের আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- তালের ক্বাথ- আধা কাপ
- কনডেন্সড মিল্ক- আধা কাপ
- দুধ- ১ কাপ
- ডাবল ক্রিম- ১ কাপ
- গ্রেট করা চকলেট ও মিক্সড ফ্রুটস জেলি।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তালের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে
বিটারের সাহায্যে ভালো করে ক্রিম কে ফেটিয়ে নিতে হবে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট
ফেটানোর পর সমস্ত উপকরণ ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে আবারো তিন থেকে চার মিনিট ফেটে
নেবেন। যত ভাল করে সমস্ত মিশ্রণগুলো ফেটানো হবে তত ভালো ও সুস্বাদু আইসক্রিম তৈরি
হবে।
যে পাত্র আইসক্রিম বসাবেন সে পাত্রটি অবশ্যই ঢাকনা সহ নিয়ে সমস্ত মিশ্রণটি ঢেলে
দেবেন এবং হালকা ঝাকিয়ে নেবেন। এবার দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য মিশ্রণগুলো ফ্রিজে
রেখে আবারো বের করে বিটারের সাহায্যে ফেটে নেবেন এবং পুনরায় দুই থেকে তিন ঘন্টার
জন্য ফ্রিজে রেখে দেবেন। এই নিয়মে দুইবার করবেন তাহলে আইসক্রিম বেশ সুস্বাদু ও
ফ্লাপি হবে।
এই নিয়মে দুইবার করার পর আইসক্রিমের ওপর দিয়ে সাজানোর জন্য আপনার ইচ্ছামত যে
কোন উপকরণ দিয়ে তিন থেকে চার ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দেবেন এবং ঠান্ডা ঠান্ডা
প্রাণ জুড়ানো খুব সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তালের আইসক্রিম উপভোগ
করুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুলফি আইসক্রিম রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে সবচেয়ে
প্রাচীনতম আইসক্রিম হল কুলফি আইসক্রিম তাই আজ আমি আপনাদের সেই পুরনো দিনের কুলফি
আইসক্রিমের স্বাদ ফিরে আনার জন্য সহজ কিছু উপকরণ দিয়ে অরিজিনাল ঘরোয়া পদ্ধতিতে
কুলফি আইসক্রিম রেসিপিটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুলফি আইসক্রিম রেসিপি এর উপকরণ
- গুঁড়া দুধ- ২ কাপ
- পানি- ৩ কাপ
- চিনি- ২ টেবিল চামচ
- ডিমের কুসুম- ২টি
- কনডেন্সড মিল্ক- আধা কাপ
- কর্ণফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ
- কাঠবাদাম, পেস্তা ও কাজুবাদাম স্বাদমতো
- জাফরান ১ চিমটি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুলফি আইসক্রিম রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে একটি পাত্রে
পানি, গুড়া চিনি, কনডেন্সড মিলমিল্ক, দুধ, কর্নফ্লাওয়ার ও ডিমের কুসুম ইত্যাদি
উপকরণগুলো ইলেকট্রিক লিটারের সাহায্যে বা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালো এক থেকে দেড়
মিনিট প্লেন করে নেবেন। ভালো করে সমস্ত উপকরণ গুলো ব্লেন্ড করা হয়ে আসলে
মিশ্রণগুলো একটি প্যানে নিয়ে মৃদু আছে গণনা হওয়া পর্যন্ত জাল দিতে থাকবেন এবং
অনবরত নাড়তে থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন চার্জার ফ্যান বাংলাদেশ প্রাইস
মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসলে ঠান্ডা করে নেবেন এবং যে পাত্রে আইসক্রিম বা কুলফি জমাবেন
তাতে ঢেলে নেবেন। আপনার ইচ্ছা অনুসারে বিভিন্ন প্রকারের বাদাম, চকলেট, ফ্রুট
ইত্যাদি দিয়ে ডিপ ফ্রিজে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার জন্য রেখে দেবেন। খুব সহজেই তৈরি হয়ে
গেল আপনার ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামান্য কিছু উপকরণ ব্যবহার করে কুলফি আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মালাই আইসক্রিম রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে বাচ্চাদের
জন্য সবচাইতে বাচ্চা এবং বড়দের জন্য অথবা যারা জিম করেন তাদের জন্য সবচাইতে বেশি
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আইসক্রিম হতে পারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মালাই আইসক্রিম
রেসিপিটি। কারণ এখন আমি যে মালাই আইসক্রিম রেসিপিটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো তা
বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়ে তৈরি করব তাই চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নি-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মালাই আইসক্রিম রেসিপি তৈরির উপকরণ
- গরুর দুধ- ৫০০ মিলিলিটার
- গুঁড়া দুধ- ৩ টেবিল চামচ
- কনডেন্সড মিল্ক- ৩ টেবিল চামচ
- চিনি- ৩ টেবিল চামচ
- কর্নফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ
- কাজুবাদামগুঁড়া- ৩ টেবিল চামচ
- কাঠবাদামগুঁড়া- ৩ টেবিল চামচ
- স্ট্রবেরি এসেন্স- ৩ ফোঁটা
- কাজুবাদামকুচি- ২ টেবিল চামচ
- কাঠবাদামকুচি- ২ টেবিল চামচ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মালাই আইসক্রিম রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে জাল দিয়ে
৫০০ মিলিলিটার গরুর দুধকে ২০০ ml কমিয়ে 300 ml এ নিয়ে আসতে হবে। দুধ যাদের সময়
অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দুধের কোন প্রকার স্বর্ণা জমে আর যদি সামান্য ঝড়
জমে যায় তাহলে তা ভালো করে নেড়েচেড়ে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।
এবার আস্তে আস্তে সকল উপকরণ দুধের সঙ্গে মিশাতে থাকবেন আর দুধ নাড়াতে থাকবেন
যেনো দুধে কোন প্রকার দানা না জমে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। দুধের মিশ্রণটি
একেবারে ঘন হয়ে আসলে অর্থাৎ দুধ বাদামী বর্ণ ধারণ করলে এতে আপনার ইচ্ছা অনুসারে
যে কোন ফ্লেভার যুক্ত করে ভালো করে নাড়াচাড়া করে চুলা বন্ধ করে দেবেন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে আসলে যে পাত্রে কুলফি জমাতে চান বা কুলফির মোল্ডে যদি জমাতে
চান তাহলে তাতে ভালো করে ঢেলে ওপর দিয়ে সামান্য সমস্ত বাদামের কুচি ছিটিয়ে
দিয়ে ফ্রিজে সাত থেকে আট ঘন্টা রেখে দিন এবং ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবর্তন করুন মালাই
কুলফি।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তরমুজের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
আজ আমরা আলোচনা করছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
যার মধ্যে এখন আমরা স্বাস্থ্যকর তরমুজের সাদ আইসক্রিমে দেওয়ার জন্য খুব সহজ কিছু
উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তরমুজের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি টি জানাবো চলুন
জানি-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তরমুজের আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- তরমুজ- ১ টি মাঝারি
- গুঁড়ো চিনি- ১/৪ কাপ
- কর্ণ ফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ
- দুধ- ২০০ মিলিলিটার
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তরমুজের আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: তরমুজ
ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে ভিজে ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড
করে জুস করে নিতে পারেন অথবা ছাকনিতে রেখে ঘষে ঘষে জুস বের করে নিতে পারেন। জুস
বেরিয়ে আসলে এর ভেতরে গুড়ো চিনি, কনফ্লাওয়ার, দুধ ইত্যাদি সকল উপকরণ
মিশিয়ে লো হিটে হালকা ঘন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকবেন এবং অনবরত নাড়া
দিতে থাকবে। মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসলে ঠান্ডা করে আইসক্রিম মোল্ডে ঢেলে ফ্রিজে ৮
থেকে ১০ ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা পরিবেশন করুন তরমুজের আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভ্যানিলা আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে ছোট বড়
সকলেরই খুব পছন্দনীয় আরেকটি আইসক্রিম হচ্ছে আইসক্রিম। তাই চলুন খুব সহজে সাধারণ
কিছু উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভ্যানিলা আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি জেনে নিন-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভ্যানিলা আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- হুইপড ক্রিম- ১ কাপ
- ভ্যানিলা এসেন্স- ১ চা চামচ
- কনডেন্সড মিল্ক- ৫ টেবিল
সাজানোর জন্য
- বিভিন্ন রকমের বাদাম
- গ্রেট করা চকলেট ও মিক্সড ফ্রুটস জেলি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভ্যানিলা আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: একটি
পাত্রে হুইপড ক্রিম ইলেকট্রিক মিলিটারের বিটারের সাহায্যে ভালো করে ফেটে নিতে হবে
অন্তত ৪ থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত। ভালো করে ফেটে আসে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে আবারো তিন
থেকে চার মিনিট ফেটে নিতে হবে। এবার যে পাত্রে আইসক্রিম জমাবেন তাতে সম্পূর্ণ
মিশ্রণটি ঢেলে ডিপ ফ্রিজে দুই ঘন্টার জন্য রেখে দিবেন।
দুই ঘন্টা পর মিশ্রণটি আবারও বের করে বিটারের সাহায্যে ফেটে নিতে হবে এবং আবারও
দুই ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দুই ঘন্টা পর বের করে বিটারের সাহায্যে ফেটে নিয়ে
উপর দিয়ে সাজানোর উপকরণগুলো দিয়ে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। জমে
আসলে ঠান্ডা ঠান্ডা সুস্বাদু ময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ভ্যানিলা আইসক্রিম উপভোগ
করুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকলেট আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে বাচ্চাদের
সবচেয়ে বেশি প্রিয় আইসক্রিম হচ্ছে চকলেট আইসক্রিম। তাই এখন আমি আপনাদের মাধ্যমে
আপনাদের মাঝে ঘরোয়া কিছু সামান্য উপকরণ দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে দেখাবো ঘরোয়া
পদ্ধতিতে চকলেট আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকলেট আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- চকলেট সিরাপ- পরিমাণ মতো
- হুইপড ক্রিম- ১ কাপ
- কোকো পাউডার- ২ টেবিল চামচ
- কনডেন্সড মিল্ক- হাফ কাপ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকলেট আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে
হুইপড ক্রিম একটি পাত্রে নিয়ে হ্যান্ড বিটার বা ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ভালো করে
দুই থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত ফেটিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় আপনি যে
পাত্রে হুইপড ক্রিম বিট করবেন সে পাত্রটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে তারপর
সে পাত্রে বিটারের সাহায্যে ফেটানো।
এরপর কোকো পাউডার ও কনডেন্সড মিল্কে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে হুইপড ক্রিম এর সাথে
ভালো করে মিশিয়ে বিটারের সাহায্যে আবারো দুই থেকে তিন মিনিট ফেটে নিতে হবে। এরপর
তৈরিকৃত মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে বের করে আবারো বিটারের
সাহায্যে এক থেকে দুই মিনিট ফেটে নিতে হবে। এতে আইসক্রিমে বরফ জমবে না।
এভাবে আবারো আইসক্রিম টিকে ফ্রিজে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিবেন। আপনি চাইলে ফ্রিজে
রাখার পূর্বে এর উপর দিয়ে চকলেটের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে দিতে পারেন। আইসক্রিম জমে
আসলে উপর দিয়ে চকলেট সিরাপ দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা মন জুড়ানো ঘরে তৈরি করুন
বাচ্চাদের জন্য চকবার আইসক্রিম। আর এই আইসক্রিম খেতেও দেখতে কোন অংশে বাজারে
আইসক্রিমের তুলনায় কম নয়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকবার আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে এখন আমি
আপনাদের মাঝে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকবার আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি তুলে ধরব-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকবার আইসক্রিম বানানোর উপকরণ
- হুইপ ক্রিম- ১ কাপ
- গুঁড়া দুধ- ১ টেবিল চামচ
- ভ্যানিলা এসেন্স- ২ চা-চামচ
- তরল দুধ- ৩-৪ কাপ
- চকলেট- আধা কাপ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চকবার আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে একটি
পাত্রকে ফ্রিজে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে হালকা ঠান্ডা করে এতে হুইপ ক্রিম
দিয়ে বিটারের সাহায্যে ভালো করে বিট করে নিতে হবে এক থেকে দুই মিনিট। এক থেকে
দুই মিনিট বিট করার পর এতে গুড়া চিনি মিশিয়ে দিয়ে আবারো এক মিনিট ফেটিয়ে নিতে
হবে বিটারের সাহায্যে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
এবার এতে গুঁড়ো দুধ, তরল দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে আবারও
বিটারের সাহায্যে বিট করে নিতে হবে বা ফেটে নিতে হবে। এরপর যে পাত্রে আইসক্রিম
জমাবেন সে পাত্রে মিশ্রণ গুলো ঢেলে ফ্রিজে দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য রেখে দিবেন।
এর ফাঁকে চকলেট ডাবল বয়লারে দিয়ে গলিয়ে নিন। দুই থেকে তিন ঘন্টা পর আইসক্রিম
ফ্রিজ থেকে
বের করে ওপর দিয়ে গলানো চকলেট ঢেলে আবারো ফ্রিজে তিন থেকে চার ঘন্টা রেখে দিতে
হবে। চকবার আইসক্রিম পরিবেশন এর পূর্বে অবশ্যই আইসক্রিম সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে
কমপক্ষে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পরে খাবেন এতে চকলেটের ছাঁচটা সহজে আইসক্রিম হতে
বেরিয়ে আসবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে এখন ঘরোয়া
পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি চলুন জেনে নেই-
উপকরণ
- স্ট্রবেরি- ১০টি
- হুইপ ক্রিম- ২ কাপ
- কনডেন্সড মিল্ক- ১ কাপ
- চিনি- ২ টেবিল-চামচ (স্বাদমতো)
- লাল খাবার রং- ১ ফোঁটা
- স্ট্রবেরি এসেন্স- ১ চা চামচ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী: আস্ত
স্ট্রবেরি গুলো বিলিন্ডারে সাহায্যে ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিতে হবে। এবার হুইপ
ক্রিম বিটারের সাহায্যে ভালো করে ৫ থেকে ৬ মিনিট পর্যন্ত বিট করে নেবেন। হুইপ
ক্রিম যতক্ষণ না পর্যন্ত ফোমের মত হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করার পর এর ভিতর
কনডেন্সড মিল্ক, স্ট্রবেরি এসেন্স,
স্ট্রবেরি পিউরি ও চিনি দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট আবারো বিট করে নেব। সমস্ত
উপকরণগুলো ভালো করে বিটারের সাহায্যে মিশ্রিত হয়ে আসলে একটি এয়ার টাইট বক্সে
সমস্ত উপকরণ ঢেলে দিয়ে ডিপ ফ্রিজে সাত থেকে আট ঘন্টার জন্য রেখে দেবো। এভাবে খুব
সহজে তৈরি হয়ে গেল স্ট্রবেরি আইসক্রিম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে অরেঞ্জ বা কমলার আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি মধ্যে এখন ঘরোয়া
পদ্ধতিতে অরেঞ্জ বা কমলার আইসক্রিম বানানোর রেসিপিটি চলুন জেনে নিন-
উপকরণ
- কমলার রস- ১ কাপ
- গুঁড়া দুধ- ২ কাপ
- পানি- আড়াই কাপ
- কর্নফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ
- তরল গ্লুকোজ- ১ চা-চামচ
- চিনি- পৌনে এক কাপ
- ক্রিম- ১ টিন
- জেলেটিন গলানো- ১ টেবিল চামচ
- চিনি- ২ টেবিল চামচ দিয়ে করা মেরাং
- সিএমসি পাউডার গোলানো- ১ টেবিল চামচ
- ডিমের সাদা অংশ- ২টা
ঘরোয়া পদ্ধতিতে অরেঞ্জ বা কমলার আইসক্রিম বানানোর রেসিপি তৈরি প্রণালী:
ফ্রিজে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দেওয়া একটি পাত্রে ক্রিম ও কমলার রস
লিটারের সাহায্যে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভালো করে বিট করে নিতে হবে। অন্যদিকে গুড়া
দুধ, চিনি, কনফ্লাওয়ার ও পানি একসঙ্গে দিলদারের সাহায্যে বিলীন করে একটি প্যানে
গণনা হওয়া পর্যন্ত জাল দিতে হবে। ঘন হয়ে আসলে অন্য একটি পাত্রে মিশ্রণগুলো ঢেলে
নিন এরপর গরম অবস্থাতে
এতে তরল গ্লুকোজ মিশে ভালো করে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। ঠান্ডা হয়ে আসলে বিট করা
ক্রিম ও কমলার রসের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে আবারো বিটারের সাহায্যে বিট করে নিতে
হবে যতক্ষণ পর্যন্ত ফোমের মত না হয়ে যায়। ভালো করে বিট হয়ে আসলে একটি পাত্রে ৩
থেকে ৪ ঘন্টার জন্য আইসক্রিমটি জমানোর জন্য রেখে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
৩ থেকে ৪ ঘন্টার পর আবার বের করে বিটারের সাহায্যে দুই থেকে তিন মিনিট বিট করে
আবারো ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার জন্য। এভাবে তিন থেকে চার বার করবেন।
চারবার বিট করার সময় মিশ্রনের ভেতরে মেরাং ও ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ভালো করে বিট
করে ফ্রিজে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে। এভাবে হয়ে গেল আপনার ঠান্ডা
ঠান্ডা অরেঞ্জ বা কমলার আইসক্রিম।
এগুলো আইসক্রিম ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম রয়েছে যেগুলো বাচ্চাদের বেশ
প্রিয়। এর জন্য বাইরে থেকে আইসক্রিম না কিনে খুব অল্প খরচে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২
ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি গুলো জেনে নিন। এছাড়াও রয়েছে
স্ট্রবেরি-মালাই আইসক্রিম, অরেঞ্জ বা কমলার মালাই আইসক্রিম, পেস্তা আইসক্রিম,
বিভিন্ন রকমের বাদাম দিয়ে মিশ্রিত আইসক্রিম, নারকেলের আইসক্রিম, মিক্স ফ্রুট
আইসক্রিম, চকলেট আমন্ড আইসক্রিম ইত্যাদি।
আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি গুলো
জানলাম কিন্তু আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি বা আমাদের শরীরে আইসক্রিম
খেলে কি কি উপকার পাবো তা সম্পর্কেও আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি তাই আজ
আমি আপনাদের মাঝে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
ছাড়াও আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে দেয়া হলো
- আইসক্রিম শরীরে চর্বি এবং কার্বোহাইডেট সরবরাহ করায় তাৎক্ষণিক এনার্জি ও শক্তি বৃদ্ধি করে।
- আইসক্রিমের বিভিন্ন ধরনের খনিজ সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে তাই শরীরের খনিজের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।
- প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে আইসক্রিম কারণ এতে ক্রিম ও দুধ রয়েছে।
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে আইসক্রিম।
- খনিজের উৎস হওয়ায় এটি হাড় মজবুত করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে আইসক্রিম।
আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয়
আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি, আইসক্রিমের
উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু আইসক্রিমের অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক রয়েছে তার
সম্পর্কেও আমাদের অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন জেনে নিয়ে আইসক্রিম খেলে কি
ক্ষতি হয়-
- অত্যাধিক পরিমাণে আইসক্রিম খেলে কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অত্যাধিক পরিমাণে বা ডেট এক্সপায়ারি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ আইসক্রিম নিয়মিত খেলে।
- আইসক্রিম ফুসফুসের রূপকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
- গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা যেমন- সর্দি-কাশি জ্বর ইত্যাদির মত সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত নিয়মিত আইসক্রিম খেলে।
- আইসক্রিম তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের শর্করা জাতীয় পথ ব্যবহার করা হয় ফলে হজম শক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
- নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ক্যালরি ও চর্বি জমে ওজন অনিয়ন্ত্রিত হারে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে আইসক্রিম খেলে কারণ এতে দুগ্ধ জাতীয় পদার্থ বেশি ব্যবহার করা হয়।
- হার্টের রোগীদের হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে আইসক্রিম।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত আইসক্রিম মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ভবতী মহিলা আইসক্রিম খেলে গর্ভবতী মায়ের সাথে সাথে গর্ভে থাকা বাচ্চার ও ঠান্ডা জনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লেখক এর মন্তব্য-ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ১২ ধরনের দুধ দিয়ে
আইসক্রিম বানানোর রেসিপি ও আইসক্রিম খেলে কি ক্ষতি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে
জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছে। আমাদের
আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে
জানানোর জন্য পোস্টটি শেয়ার করবেন। এমন আরও তথ্য রেসিপি জানতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি
শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান বা রেসিপি জানতে চান তাহলে
কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করবেন আশা করি,
আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url