খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও
ভুনা খিচুড়ি রেসিপি, মসুর ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি ইত্যাদি। খিচুড়ি
রান্নার আরো কিছু টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি
রেসিপি সম্পর্কে আপনার যত সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধানও উত্তর পাবেন এবং
সঠিক নিয়মে, সঠিক পরিমাণ ও সময়সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে সঠিক পদ্ধতিতে ১০
ধরনের খিচুড়ি ও ভুনা খিচুড়ি রান্না করতে পারবেন।
ভূমিকা
সামান্য ঝিরিঝিরি বৃষ্টি কিংবা ঠান্ডা আবহাওয়া অথবা বর্ষাকাল যেন মনে করিয়ে
দেয় আমাদেরকে খিচুড়ি, বিরিয়ানি খাওয়ার কথা। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি খিচুড়ি
রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি সম্পর্কে। খিচুড়ি খেতে আমরা
সকলেই পছন্দ করি কিন্তু পানি, চাল , ডাল ইত্যাদির সঠিক পরিমাণ না জানার কারণে
বাড়িতে রান্না করা হয় না হয়তো অনেকেরই।
আরো পড়ুনঃ
কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি বানানোর নিয়ম
আর তাই আজ আমি আপনাদেরকে পুরনো দিনের সেই নানী দাদাদের হাতে রান্না করা খিচুড়ি
স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য পুরনো দিনের পদ্ধতিতে ১০ রকমের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক
বেশি উপকৃত হবেন এবং খিচুড়ির আসল স্বাদ ও গন্ধ খুঁজে পাবেন।
খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন কিছু সহজ উপকরণ ও পদ্ধতি মাধ্যমে খিচুড়ি রান্নার ১০
ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি সম্পর্কে জানাবো যেগুলো আপনি রান্না করলে
পুরনো দিনের সেই সুস্বাদু ও মনোমুগ্ধকর গন্ধের খিচুড়ির কথা মনে পড়ে যাবে তাই
চলুন সে পুরনো দিনগুলোর খিচুড়ির স্বাদ ও গন্ধ পাওয়ার জন্য খিচুড়ি রান্নার ১০
ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-
প্রথমে আমরা খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি এর
মধ্যে খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেব চলুন জেনে নেই
খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি
দাদী নানীদের হাতে রান্না করা বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন স্বাদের সেই খিচুড়ির স্বাদ
ও গন্ধ যেন হারিয়ে গিয়েছে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের
রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে এখন খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আরে খিচুড়িগুলো আপনারও যদি বাড়িতে রান্না করেন
তাহলে অবশ্যই আপনাদের দাদী নানীদের হাতে রান্না করা খিচুড়ির স্বাদ ও গন্ধ পাবেন-
পঞ্চপদী ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে অন্যতম ও
সুস্বাদুময় খিচুড়ি হচ্ছে ঞ্চপদী ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি। যার স্বাদ ও
গন্ধ মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না তাই চলুন জেনে পঞ্চপদী ডালের খিচুড়ি রান্নার
রেসিপিটি জেনে নেই-
পঞ্চপদী ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপির উপকরণ
- যেকোনো ধরনের চাল- ২কাপ
- মসুরের ডাল- দেড় কাপ
- মাসকালাই- দেড় কাপ
- মুখ ডাল-দেড় কাপ
- ছোলার ডাল-দেড় কাপ
- অড়হর ডাল-দেড় কাপ
- আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ- ৫/৬টি
- এলাচ- ৪/৫টি
- দারচিনি- ২টি
- তেল- আধা কাপ
- লবণ- স্বাদ অনুসারে
- টমেটো কুচি- আধা কাপ
- গরম পানি- ১০ কাপ
বাগারের উপকরণ
- ঘি- ২ টেবিল চামচ
- আস্ত জিরা- আধা চা চামচ
- পেঁয়াজ কুচি- ৩ টেবিল চামচ
- আদা কুচি- ১ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচ- ২/৩টি
- আদা কুচি- ১ টেবিল চামচ
- খিচুড়ি মসলা-১টেবিল চামচ
- লালমরিচের গুড়া-হাফ চা চামচ
- কালোজিরা-১ চা চামচ
পঞ্চপদী ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপির তৈরি প্রণালী: পোলাও চাল কিংবা
সাধারণ চাল ও সব ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশে ভালো করে ধুয়ে ২ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে
রাখুন। দুই ঘণ্টা হয়ে আসলে চাল এবং ডালগুলো পানি থেকে পানি ঝরিয়ে রাখুন এবং যে
পাত্রীর খিচুড়ি রান্না করবেন সেটির চুলায় বসিয়ে দিন। পাতিলটি গরম হয়ে আসলে
এতে তেল দিয়ে নিন তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা,
কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ লাল হয়ে আসলে এর ভেতরে আদা ও রসুন এর পেস্ট, হলুদ, সামান্য গুড়া মরিচ,
খিচুড়ি মসলা ইত্যাদি দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন এরপর কুচি করা টমেটো দিয়ে দিন।
সামান্য মসলাগুলো কষিয়ে নেয়ার পর চাল ও ডালগুলো মসলার সঙ্গে হালকা ভেজে পরিমাণ
মত পানি দিয়ে প্রথমে মাঝারিয়া এবং পরে নিম্ন আছে ৫ থেকে ৭ মিনিট ঢাকনা দিয়ে
রেখে দিন।
এবার বাগানের জন্য অন্য একটি প্যানে ঘি গরম করে এর ভেতরে, কালোজিরা, আস্ত জিরা,
শুকনা মরিচ, পেঁয়াজকুচি, আদা কুচি ও সামান্য লাল মরিচের গুড়া দিয়ে ভেজে নিন।
সুন্দর একটি গন্ধ চলে আসলে রান্না করা খিচুড়ির ভেতরে দিয়ে দিন এবং ৩ থেকে ৫
মিনিট মৃদু আছে ঢেকে রাখুন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন পঞ্চবতি ডালের খিচুড়ি
আপনি চাইলে উপর দিয়ে সামান্য গিয়ে ছিটিয়ে দিতে পারেন।
গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
যাদের কাছে মাংসপ্রিয় তাদের জন্য খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা
খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে সবচাইতে লোভনীয় খিচুড়ি হচ্ছে গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি
তাই চলুন দেরি না করে গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপিটি জেনে নিন-
গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপি উপকরণ
- গরুর মাংস-১কেজি
- যে কোন ধরনের চাল-আধা কেজি
- মুগ ডাল-১কাপ
- মসুর ডাল-১ কাপ
- লবঙ্গ- ৩/৪টি
- গোলমরিচ-৩/৪টি
- এলাচ-৩/৪টি
- তেজপাতা-দুইটি
- কালো এলাচ-৩/৪টি
- দারচিনি-২/৩টি
- আদাবাটা- ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- আদা কুচি-১ চা চামচ
- খিচুড়ি মশলা-২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ চা চামচ
- সরিষার তেল-১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি-দেড় কাপ
- ঘি-২ টেবিল চামচ
গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে গরুর মাংসগুলো ভালো
করে ধুয়ে গুড়া মসলা বাটা মশলা, এক চা চামচ লেবু ও সরিষার তেল দিয়ে ভাল করে
মাখিয়ে ২০থেকে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন। এবার মুগ ডাল ভালো করে একটি
তাওয়াতে হালকা করে ভেজে ভেজে নিন। মসুর ডাল, চাল ও ভেজে রাখা মুগ ডাল ভালো করে
পানি দিয়ে ধুয়ে থাকলে ছাঁকনিতে পানি ঝরানোর পর্যন্ত রেখে দিন।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের মাংসে কি এলার্জি আছে
এবার যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে পাত্রটি চুলায় বসে সরিষার তেল দিয়ে
দিন। সরিষার তেল গরম হয়ে আসলে এতে গোটা মসলা যেমন- দারচিনি, নং, তেজপাতা, এলাচ
ইত্যাদি দিয়ে দিন। সামান্য তেলে ভেজে পেঁয়াজ কুচিগুলো বাদামী বর্ণ হওয়া
পর্যন্ত ভেজে নিন। এবার আদা ও রসুনের পেস্ট, খিচুড়ির মসলা, কালো এলাচ, লবঙ্গ,
স্বাদ অনুসারী লবণ, হলুদ, গুড়া মরিচ ইত্যাদি উপকরণগুলো দেয়া হয়ে আসলে ৫ থেকে ৬
মিনিট মশাগুলো
ভালো করে কষিয়ে বা মসলাগুলো থেকে যখন তেল বেরিয়ে আসবে তখন এতে মাংস দিয়ে
দেবেন। মাংসগুলো মসলার সঙ্গে ৬ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত কষিয়ে নেবেন। কষানোর সময়
পানির প্রয়োজন হলে পানি ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু পানিটি অবশ্যই গরম পানি
ব্যবহার করবেন। ভালো করে মাংসগুলো ভালো করে কষানো হয়ে আসলে এতে ১০ কাপ পরিমাণে
পানি দিয়ে ফুটিয়ে নেব।
পানি ফুটে আসলে এতে ধুয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে দেব এবং ঢাকনা দিয়ে প্রথমে
মাঝারি আছে ৭ থেকে ৮ মিনিট রাখবো এবং মৃদু আছে ২০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকনা দিয়ে দমে
রেখে দেবো। রান্না হয়ে আসলে খিচুড়ির ওপর দিয়ে ঘি ছিটিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করে
গরম গরম পরিবেশন করুন গরুর মাংসের ভুনা খিচুড়ি।
আচারি ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
আচারি খিচুড়ি নাম শুনলেই যেন মুখে জল চলে আসে তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে খিচুড়ি
রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে এখন যে রেসিপিটি রান্না
সম্পর্কে জানাবো তা হল আচারি ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
আচারি ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি উপকরণ
- পোলাওয়ের চাল-৩ কাপ
- মুগ ডাল-দের কাপ
- সরিষার তেল-আধাকাপ
- পেঁয়াজ কুচি-১ কাপ
- আদা কুচি-১ টেবিল চামচ
- রসুন কুচি-৬/৮ কোয়া
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
- টমেটো কুচি-আধা কাপ
- এলাচ-৩/৪টি
- লবঙ্গ-২/৩টি
- তেজপাতা- ২টি
- দারচিনি-২টি
- হলুদ-১ চা চামচ
- মরিচের গুড়া-আধা চা চামচ
- জিরা গুড়া- ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া-১ চা চামচ
- স্বাদ অনুসারে লবণ
- গরম পানি-আট কা হ্যাঁ ওষুধ খেলেন হ্যালো হ্যালোপ
ফোড়নের জন্য উপকরণ
- আস্ত জিরা-১ চা চামচ
- আস্ত সর্ষে-১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ ৩/৪টি
- যেকোনো ধরনের আচার- ৩ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ-৮/১০টি
আচারি ভুনা খিচুড়ি রান্নার রেসিপি তৈরি প্রণালী: যেহেতু আচারি খিচুড়ি মুগ
ডাল দিয়ে বিশেষ সুস্বাদু হয় এজন্য মুগ ডালকে প্রথমে ভালো করে সামান্য লালচে রং
পর্যন্ত ভেজে নেবেন এবং ভালো করে ধুয়ে ১ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে দেবেন। ডাল
ভিজিয়ে রাখার সময় পোলাওয়ের চাল ও ভালো করে ধুয়ে পানি থেকে তুলে এক ঘন্টা
বাইরে রেখে দেবেন পানি ঝরানোর জন্য।
যখন খিচুড়ি রান্না শুরু করবেন তখন ডাল পানি থেকে তুলে ছেঁকে নেবেন এবং পুনরায়
পোলার চালটি পানিতে ধুয়ে নেবেন। এবার যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে পাত্রে
তেল গরম করে এর ভেতরে ফোড়ন হিসেবে আস্ত সরিষা, আস্ত জিরা, আস্ত কাঁচা মরিচ দেবেন
এবং এর সাথে সাথে পেঁয়াজকুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, দারচিনি, এলাচ, নং, তেজপাতা,
লবঙ্গ ইত্যাদি গরম মসলা গুলো দিয়ে সামান্য ভেজে নেবেন পেঁয়াজ লাল হওয়া
পর্যন্ত।
এরপর আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে মসলাগুলো কষে নেবেন।
মসলাগুলো কষানোর মাঝখানে স্বাদ অনুসারে লবণ, গুড়া মশলাগুলো, টমেটো ও খিচুড়ি
মসলা দিয়ে আবারো ভালো করে মসলা থেকে তেল না ছাড়া পর্যন্ত কষাতে থাকবেন।
মসলাগুলো থেকে তেল বেরিয়ে আসলে অর্থাৎ মসলাগুলো ভালো করে রান্না হয়ে আসলে এর
ভেতরে চাল ও ডাল দিয়ে আবারো ভাল করে ৫ মিনিট পর্যন্ত ভেজে নেবেন।
চাল ডাল গুলো মশলার সঙ্গে ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে এর ভেতরে ফুটন্ত গরম পানি
দিয়ে দিবেন। পানিতে বল উঠলে এতে আপনার ইচ্ছা অনুসারে যেকোনো আচার ও আস্ত
কাঁচামরিচ দিয়ে ৫ মিনিট পর্যন্ত মাঝারি আছে এবং ৫ মিনিট পর্যন্ত অল্প আছে রেখে
ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবেন। ১০ মিনিট হয়ে আসলে ঢাকনা তুলে ভালো করে নাড়াচাড়া করে
আবারো ২ থেকে ৩ মিনিট দমে রেখে দেবেন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন আচারি ভুনা
খিচুড়ি।
কারিপাতা ফোড়নে সবজি রান্নার রেসিপি
এখন আমি আপনাদের মাঝে খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
মধ্যে যে রেসিপিটি সম্পর্কে জানাবো তা হল কারিপাতা ফোড়নে সবজি খিচুড়ি। এ
খিচুড়িটি হয়তো আপনারা অনেকেরই খাওয়া হয়নি তবে খিচুড়িটিতে কারিপাতা ব্যবহার
করার জন্য খিচুড়ির স্বাদ ও ঘ্রাণ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায় তাই চলুন কারিপাতা
ফোড়নে সবজি রান্নার রেসিপিটি জেনে নিন-
কারিপাতা ফোড়নে সবজি খিচুড়ি উপকরণ
- পোলাওয়ের চাল/সাধারণ চাল/লাল চাল/পোলার খুঁদ-২ কাপ
- মসুর ডাল-১ কাপ
- ফুলকপি
- আলু
- গাজর
- মটরশুঁটি
- বরবটি
- সরিষার তেল-আধা কাপ
- পেঁয়াজ কুচি- এক কাপ
- আদা কুচি-১টেবিল চামচ
- এলাচ-৩/৪টি
- লবঙ্গ-২টি
- তেজপাতা-২ইটি
- দারচিনি-২টি
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া-১ চা চামচ
- মরিচের গুঁড়া-আধা চা চামচ
- জিরা গুড়া-আধা চা চামচ
- ধনে গুঁড়া-আধা চা চামচ
- কাঁচামরিচ-৮/১০ টি
- গরম পানি-৫ কাপ
- স্বাদ অনুসারে লবণ
ফোড়নের জন্য উপকরণ
- কারি পাতা
- আস্ত জিরা-১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৩/৪টি
- কালোজিরা-১ চা চামচ
কারিপাতা ফোড়নে সবজি রান্নার রেসিপি তৈরি প্রণালী: চাল ও ডাল
আধাঘন্টা পর্যন্ত পানিতে ভিজে রেখে ভালো করে ধুয়ে সম্পূর্ণ পানি ঝরে যাওয়া
পর্যন্ত রেখে দিন। যে হাঁড়িতে বা পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন তাতে ফোড়ন হিসাবে
কারি পাতা, শুকনা মরিচ, আস্ত জিরা, কালোজিরা ইত্যাদি দিয়ে দিন। এবার পেয়াজ
কুচি, আদা কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ইত্যাদি গরম মসলা গুলো পেঁয়াজে বাদামী
বর্ণ আসা পর্যন্ত ভেজে নিন।
পেঁয়াজে বাদামী বর্ণ চলে আসলে এতে আদাবাটা, রসুন বাটা, হলুদ, স্বাদ অনুসারে লবণ,
খিচুড়ি মসলা ইত্যাদি দিয়ে হালকা মসলাগুলো সব কষে নেব। ৫ মিনিট পর্যন্ত মসলাগুলো
ভালো করে কষানো হয়ে আসলে এতে সবজিগুলো ও টমেটো কুচি দিয়ে আরো কিছু নেড়েচেড়ে
ভালো করে কষে নেব যতক্ষণ না মসলা হতে তেল বেরিয়ে আসে।
মসলা হতে তেল বেরিয়ে আসলে এতে পানি ঝরে রাখা চাল ডালগুলো দিয়ে দেব এবং আবারও
কিছুক্ষণ চাল ডালগুলো ২ থেকে ৩ মিনিট কষিয়ে নেব সমস্ত মসলার সঙ্গে। চাল ও ডাল
সমস্ত মসলার সঙ্গে ভালো করে মিশে আসলে এতে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে দিব এবং বলক
আসলে এতে আস্ত কাঁচামরিচ ও সামান্য ঘি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অল্প
আছে রেখে দেব। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন কারিপাতা ফোড়নে সবজি খিচুড়ি।
সবজি খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা
খিচুড়ি রেসিপি সম্পর্কে কিন্তু সকল খিচুড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি গুণে
ভরপুর খিচুড়ি হচ্ছে সবজি খিচুড়ি। এই খিচুড়ি শুধুমাত্র বড়দের জন্যই নয় বরং
এটি আপনি আপনার শিশুকেও পুষ্টিগুনে ভরপুর খাদ্য হিসেবে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত
যুক্ত করতে পারেন বা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের সকল পুষ্টি প্রদানের জন্য বা ঘাটতি মেটানোর জন্য খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন। তাই চলুন জেনে সবজি খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি-
সবজি খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- চাল-আধা কেজি
- মুগডাল-আধা কাপ
- মসুর ডাল-আধা কাপ
- ইচ্ছামত সবজি-যেমন-গাজর, টমেটো, ফুলকপি, আলু, বাঁধাকপি, মটরশুটি, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, পেঁপে, পটল ইত্যাদি সকল সবজি গুলো আধা কাপ করে নেবেন।
- পেঁয়াজ কুচি-১ কাপ
- আদা বাটা-১ চা চামচ
- রসুন বাটা-২ চা চামচ
- এলাচ-২/৩টি
- দারচিনি-২/৩টি
- তেজপাতা-২টি
- লবঙ্গ-২/৩টি
- গোলমরিচ-২/৩টি
- নং-২/৩টি
- কাঁচা মরিচ-৪/ ৫টি
- গুড়া মরিচ-১ চা চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- হলুদ-১/২চামচ
- ঘি-১ টেবিল চামচ
- তেল-১ কাপ
ফোড়নের জন্য উপকরণ
- আস্ত জিরা-১ চা চামচ
- কালোজিরা-১ চা চামচ
- সরিষা-১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৩/৪টি
সবজি খিচুড়ি রান্নার রেসিপি তৈরি প্রণালী: মুগ ডাল একটি প্যানে ভালো করে
ভেজে নেবেন এরপর চাল, মসুর ডাল ও মুগ ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য রেখে
দিন। যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে পাত্রটি চুলায় বসিয়ে তেল গরম করতে রেখে
দিন তেল গরম হয়ে আসলে পূরণের উপকরণ গুলো দিয়ে এতে পেঁয়াজ কুচি ও সমস্ত গোটা
মসলা দিয়ে দেবেন।
পেঁয়াজ বাদামি বর্ণ হয়ে আসলে এতে আদাবাটা ও রসুন বাটা সহ অন্যান্য উপকরণগুলো
দিয়ে ভালো করে মসলাগুলো কষিয়ে নেবেন। মসলা গুলো কষানো হয়ে আসলে এতে স সকল
সবজিগুলো ও ধুয়ে রাখা পানি ঝরানো চাল ডাল দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবেন।
ভালো করে মসলা সঙ্গে সবজি ও চাল ডাল কষানো হয়ে আসলে এতে ৬ কাপ পরিমাণে
ফোটানো গরম পানি দিয়ে দেবেন এবং মাঝারি আছে ৫ থেকে ১০ মিনিট ও অল্প আছে দশ মিনিট
ঢাকনা দিয়ে দমে রেখে দেবেন। রান্না হয়ে আসলে ভালো করে খিচুড়িটা নেড়ে উপর
দিয়ে ঘি ছিটিয়ে আরো ৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে দমে রেখে দিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন
সবজি খিচুড়ি।
ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
মাছ দিয়ে খিচুড়ি হয়তো আপনি শুনে অবাক হবেন কিন্তু এটি খেতে কতটা সুস্বাদু ও
মজার একবার খেলে বুঝতে পারবে তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের
রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদুময় ইলিশ
মাছ দিয়ে কিভাবে খিচুড়ি রান্না করা হয় তার রেসিপিটি আপনাদের জানাবো তাই চলুন
জেনে নেই ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি-
ইলিশ খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- ইলিশ মাছ-৬ টুকরো
- মসুর ডাল-১ কাপ
- মুগ ডাল-১ কাপ
- পোলাও চাল-৩ কাপ
- সয়াবিন তেল-১কাপ
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- দারচিনি-২/৩টি
- এলাচ-২/৩টি
- নং-২/৩টি
- কালো এলাচ-২/৩টি
- সাদা ও কালো গোলমরিচ- ২/৩টি
- তেজপাতা-২টি
- পেঁয়াজ কুচি-১ কাপ
- হলুদ-১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ-৬ থেকে ৭টি
- লবণ সাধ অনুসারে
ফোড়নের জন্য উপকরণ
- আস্ত জিরা-১ চা চামচ
- আস্ত সরিষা-১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৩ থেকে ৪টি
ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে প্যানেসরিষার তেল গরম
করে এতে ইলিশ মাছ গুলো। যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে পাত্রে তেল গরম দিয়ে
ফোড়নের জন্য আস্ত জিরা,শুকনা মরিচ ও আস্ত সরিষা দিয়ে দেবেন এরপর এতে
পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি বর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভেজে নেবেন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে
আসলে এতে আদা রসুন বাটা, গোটা মসলা বা গরম মসলা গুলো, হলুদ ইত্যাদি বাকি
উপকরণগুলো দিয়ে ভাল করে মসলা কষে নেবেন মসলা হতে তেল
বেরিয়ে আসলে এতে ধুয়ে রাখা পানি ঝরানো চাল ও ডাল গুলো দিয়ে আবারো ভাল করে
মসলার সঙ্গে ৫ মিনিট পর্যন্ত কষে নেবেন। চাল মসলাগুলো সঙ্গে ভালো করে কষানো হয়ে
আসলে এতে দশ কাপ পরিমাণে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন ১০
মিনিট পর্যন্ত। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়েচেড়ে আবারো পানি না শুকানো
পর্যন্ত ঢেকে রেখে দিন।
পানি শুকিয়ে আসলে অর্ধেক পরিমাণে খিচুড়ি আলাদা করে তুলে রাখবেন এবং হাড়িতে
থাকা অর্ধেক খিচুড়ির ওপরে ভেজে রাখা ইলিশ মাছগুলো সুন্দর করে তার সাজিয়ে রেখে
দেবেন এবং ওপর দিয়ে বাকি তুলে রাখা খিচুড়িগুলো দিয়ে দেবেন। এরপর ওপর দিয়ে
আস্ত কাঁচামরিচ মাঝখান দিয়ে সামান্য চিরে রাখা, পেঁয়াজের বেরেস্তা দিয়ে আবারো
১০ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে দমে রেখে দেবেন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন ইলিশ
মাছের খিচুড়ি।
ডিমের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
অনেক কিছু নিয়েই তো খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম তাই চলুন
এখন খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি এর মধ্যে ডিমের
খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটি জেনে নিন-
ডিমের খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- ডিম-৪টি
- পোলাও চাল বা যেকোনো ধরনের চাল-দুই কাপ
- গাজর- ১টি
- মটরশুঁটি-১ কাপ
- আলু-২টি
- ফুলকপি-১ কাপ
- পটল-আধা কাপ
- পেঁপে-আধা কাপ
- পেঁয়াজকুচি-১ টেবিল চামচ
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- তেল-আধা কাপ
- দারচিনি-২/৩টি
- এলাচ-২/৩টি
- লবঙ্গ, গোলমরিচ-২/৩টি
- লবণ-সাধ অনুসারে
- তেজপাতা-২টি
- মরিচের গুঁড়া-২ চা চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- ধনিয়া গুড়া- ১ চা চামচ
- খিচুড়ি মসলা-২ চা চামচ
- ঘি-২ টেবিল চামচ
ফোড়নের জন্য উপকরণ
- আস্ত জিরা-১ চা চামচ
- শুকনা মরিচ- ৪থেকে ৫টি
- কালোজিরা- ১ চা চামচ
- আস্ত সরিষা-১চা চামচ
ডিমের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি তৈরি প্রণালী: ডিমগুলো ভালো করে গরম পানিতে
সেদ্ধ করে নেবেন, সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে কিউব করে কেটে হালকা করে তেলে ভেজে
নেবেন এবং চাল ও ডালগুলো ভালো করে ধুয়ে সমস্ত পানি ঝরে যাওয়ার জন্য একটি
ছাঁকনিতে রেখে দেবেন। যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে পাত্রে ঘি এবং তেল গরম
করে এর ফুরনের উপকরণগুলো দিয়ে দেবেন।
এবার পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেবেন পেঁয়াজগুলো বাদামী বর্ণ হয়ে আসলে এতে আধা বাটা
গরম মসলা ও অন্যান্য সকল উপকরণগুলো দিয়ে ভালো করে ৬ থেকে ৭ মিনিট কষে নেবেন
যতক্ষণ না পর্যন্ত মসলা হতে তেল বেরিয়ে আসে। এবার এতে হালকা ভেজে রাখা সবজি ও
ধুয়ে রাখা পানি ঝরানো চাল ও ডালগুলো দিয়ে আরো পাঁচ থেকে ছয় মিনিট কষে নেব।
ভালো করে কষা হয়ে আসলে এতে ছয় কাপ পরিমাণে পানি বা চালের দ্বিগুণ পরিমাণে পানি
দিয়ে দিবেন এবং অবশ্যই যেন পানিটি ফুটন্ত গরম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। পানিতে
বলক চলে আসলে এতে সিদ্ধ করা হালকা ভেজে রাখা ডিমগুলো ও আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে ২০
থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত দমে রেখে দিন। আপনি চাইলে ডিমগুলো ভাজতেও পারেন আবার
শুধুমাত্র সিদ্ধ করেও দিয়ে দিতে পারেন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে সামান্য
নেড়েচেড়ে উপর দিয়ে ঘি ছিটিয়ে দিয়ে আবারো ৫ মিনিট দমে রেখে গরম গরম পরিবেশন
করুন ডিমের খিচুড়ি।
মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্যে সবচাইতে বেশি
জনপ্রিয় সকলের মাঝে খিচুড়ি হচ্ছে মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি। সামান্য বৃষ্টি
হলেই যেন সকলের মাঝে মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি খাওয়ার আলাদা একটি মনে উৎসাহ
চলে আসে। তাই চলুন দেরি না করে মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি রেসিপিটি জেনে নিন-
মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি উপকরণ
- পোলাও চাল বা ইচ্ছা অনুসারে যে কোন চাল-আধা কেজি
- মুরগির মাংস-১ কেজি
- মুগ ডাল-১ কাপ
- মসুরের ডাল-১ কাপ
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ক টেবিল চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- ধনে গুড়া-১ চা চামচ
- সরিষার তেল-১ কাপ
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- দারচিনি-২/৩টি
- এলাচ, কালো এলাচ-২/৩টি
- লবঙ্গ, সাদা ও কালো কালো গোলমরিচ- ৩/৪টি
- খিচুড়ি মসলা- ২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ চামচ
- কাঁচামরিচ-৬/৭ টি
- গুড়া মরিচ-২ চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৪/৫টি
- তেজপাতা-দুইটি
- তেল-দেড় কাপ
- ঘি-২ টেবিল চামচ
মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি তৈরি প্রণালী: চাল ও ডাল গুলো ভালো করে ধুয়ে পানি
ঝরানোর জন্য একটি ছাঁকনিতে রেখে দিন। এবার যে পাত্রে খিচুড়ি রান্না করবেন সে
পাত্রে ঘি ও তেল গরম করে এতে আস্ত মসলাগুলো যেমন-দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, শুকনা
মরিচ, লবঙ্গ, কালো ও সাদা গোলমরিচ ইত্যাদি উপকরণগুলো ফোড়ন দিয়ে দিন।
এবার পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে পেঁয়াজগুলো বাধাবি বর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভালো করে
ভেজে নেবেন এবং ভাজা হয়ে আসলে এতে আদা রসুন পেস্ট, হলুদ, লবণ, ধনিয়া ও জিরা
গুঁড়ো, গুড়া মরিচ ইত্যাদি গরম মসলা গুলো দিয়ে ভালো করে মসলাগুলো কষিয়ে নিন।
আপনি চাইলে সামান্য পানি দিয়ে ও কষাতে পারেন। মসলাগুলো ভালো করে কষানো হয়ে
আসলে এতে মাংসগুলো দিয়ে দেবেন এবং ভালো করে মসলাগুলো কষিয়ে নেবেন। মসলার সঙ্গে
মাংস ভালো করে কষানো হয়ে আসলে এতে ধুয়ে রাখা চালু ডালগুলো দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ
পর্যন্ত কষিয়ে নেব। এভাবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত কষানো হয়ে আসলে দশ কাপ
পরিমাণে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে উচ্চ তাপে ৮ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিব।
এবার ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে আবারও ২০ মিনিটের জন্য অল্প তাপে দমে রেখে দেব। ২০
মিনিট হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে ঘি উপর দিয়ে ছিটিয়ে আবারো পাঁচ মিনিটের জন্য দমে
রেখে দেব। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন মুরগির মাংসের ভুনা খিচুড়ি।
মসুর ডালের খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
মুসুর ডালের খিচুড়ি আমাদের সকলের কাছে বেশ সুস্বাদু একটি খিচুড়ি। মুসুর ডালের
খিচুড়ি রান্না করলেই গোটা ঘর খিচুড়ির গন্ধে সুবাসিত হয়ে যায় তাই চলুন খিচুড়ি
রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্য এখন মসুর ডালের খিচুড়ি
রান্নার রেসিপিটি জেনে নিন-
মসুর ডালের খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- মসুর ডাল-১ কাপ
- যে কোন চাল-আধা কেজি
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- ধনে গুড়া-১ চা চামচ
- সরিষার তেল-১ কাপ
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- দারচিনি-২/৩টি
- এলাচ, কালো এলাচ-২/৩টি
- লবঙ্গ, সাদা ও কালো কালো গোলমরিচ- ৩/৪টি
- খিচুড়ি মসলা- ২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ চামচ
- কাঁচামরিচ-৬/৭ টি
- গুড়া মরিচ-২ চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৪/৫টি
- তেজপাতা-২টি
- তেল-দেড় কাপ
- ঘি-২ টেবিল চামচ
মসুর ডালের খিচুড়ি রান্নার তৈরি প্রাণী: প্রথমে মসুর ডাল আধাঘন্টা
পর্যন্ত ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। আধাঘন্টা হয়ে আসলে আবারও চাল সহকারে ভালো
করে ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য একটি ছাঁকনিতে রেখে দিন। এবার যে পাত্রের খিচুড়ি
রান্না করবেন সে পাত্রে সমস্ত গোটা মসলা বা গরম মসলাগুলো দিয়ে দেবেন।
এবার পেয়াজ কুচি গুলো বানর বর্ণ করে এতে আদাবাটা রসুন বাটা সহ সমস্ত গুড়া
মসলাগুলো দিয়ে ভালো করে ৫ থেকে ৬ মিনিট কষিয়ে নেবেন মসলা হতে যতক্ষণ না পর্যন্ত
তেল বেরিয়ে আসবে। মসলা ভালো করে কষানো হয়ে আসলে ধুয়ে রাখা মসুরের ডাল ও চাল
মসলাগুলোর সাথে ভালো করে মিশিয়ে ৫ থেকে ৬ মিনিট আবারো কষিয়ে নেব।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
চাল ও মসলা ভালো করে কষানো হয়ে আসলে এতে চালের দ্বিগুণ পরিমাণে পানি দিয়ে
উচ্চতা তাপে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবো। ৫ থেকে১০ মিনিট পর ঢাকনা
খুলে ভালো করে নেড়েচেড়ে উপর দিয়ে গোটা কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারো অল্প আছে ১৫
থেকে ২০ মিনিট রেখে দেবো। ঢাকনা খুলে উপর দিয়ে ঘি-সিটি দিয়ে আবারো ৫ মিনিটের
জন্য দমে রেখে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মসুর ডালের সুস্বাদু খিচুড়ি।
ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
ভুনা খিচুড়ি আপনি মাছ, মাংস বা সবজি যে কোন কিছু দিয়ে রান্না করলে বে সুস্বাদময় হয়। কিন্তু আজ আমি আপনাদের মাঝে মাছ মাংস ডিম দিয়ে নয় শুধুমাত্র মুগ ডাল দিয়ে কোন খিচুড়ি কিভাবে রান্না করবেন তার রেসিপিটি জানাবো। তাই চলুন খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি মধ্য এখন ভুনা খিচুড়ি রেসিপিটি জেনে নিন-ভুনা খিচুড়ি রান্নার উপকরণ
- পোলাও চাল বা যেকোনো চাল-৩ কাপ
- মুগডাল-১ কাপ
- আদা বাটা-১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
- জিরা গুড়া-১ চা চামচ
- ধনে গুড়া-১ চা চামচ
- সরিষার তেল-১ কাপ
- পেঁয়াজকুচি- ১ কাপ
- দারচিনি-২/৩টি
- এলাচ, কালো এলাচ-২/৩টি
- লবঙ্গ, সাদা ও কালো কালো গোলমরিচ- ৩/৪টি
- খিচুড়ি মসলা- ২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ-৬/৭ টি
- গুড়া মরিচ-২চা চামচ
- শুকনা মরিচ-৪/৫টি
- তেজপাতা-২টি
- তেল-দেড় কাপ
- ঘি-২ টেবিল চামচ
ভুনা খিচুড়ি রেসিপি তৈরি প্রণালী: একটি প্যানে মুগ ডাল না ধুয়ে হালকা
তাপে ভালোভাবে হালকা করে ভেজে নেবেন। মুগডাল ভাজা হয়ে আসলে চাল ও মুগ ডাল ভালো
করে ধুয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ছাকনাতে ভালো করে ছেঁকে পানি ঝরিয়ে নেব। এরপর যে
পাত্রে খিচুড়ি রান্না করব সে পাত্রে তেল ও ঘি গরম করে এর ভেতরে গোটা মসলা বা গরম
মসলাগুলো যেমন-দারচিনি এলাচ লবঙ্গ তেজপাতা শুকনো মরিচ আস্ত জিরা কালোজিরা ইত্যাদি
দিয়ে ফোড়ন দিয়ে নেব।
ফোন দেয়া হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ দিয়ে দেবো এবং পেঁয়াজ বাদামী বর্ন হয়ে আসলে
এতে আদা রসুন পেস্ট ও অন্যান্য গুঁড়ো মসলা এবং বাকি উপকরণ গুলো দিয়ে ভালো করে ৫
থেকে ৬ মিনিট কষিয়ে নেব। কষানো হয়ে আসলে এতে ঢেকে রাখা চালু ডাল দিয়ে আবারো
পাঁচ থেকে ছয় মিনিট মসলার সঙ্গে বসাবো। ভালোভাবে চাল ডাল মসলার সঙ্গে কষানো হয়ে
আসলে এতে চালের দ্বিগুণ পরিমাণে পানি দিয়ে দেব পানিটি অবশ্যই ফোটানো গরম পানি
হতে হবে
উচ্চতা তাপে থেকে ৫ থেকে ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবো। ৫ থেকে ১০ মিনিট পর
ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়েচেড়ে উপর দিয়ে গোটা কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারো অল্প আছে
১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দেবো। ঢাকনা খুলে উপর দিয়ে ঘি-সিটি দিয়ে আবারো ৫ মিনিটের
জন্য দমে রেখে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মসুর ডালের সুস্বাদু খিচুড়ি।
লেখক এর মন্তব্য-খিচুড়ি রান্নার ১০ ধরনের রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ি রেসিপি
রাইন পার্ট ওয়ান আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে খিচুড়ি রান্নার দশ ধরনের
রেসিপি ও ভুনা খিচুড়ির রেসিপি সম্পর্কে জানা অজানো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছে। আশা করি উপুক্ত সম্পন্ন পোস্টে
পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে জানানোর জন্য পোস্টটি শেয়ার করবেন। এমন আরো
তথ্য ও রেসিপি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে
রাখুন, ফলো করে রাখুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য
জানতে চান বা রেসিপি জানতে চান তাহলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন, আসসালামু
আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url