আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত ইত্যাদি। এছাড়াও আখরোট
সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ
রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি
খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত ছাড়াও আখরোট সম্পর্কে আপনার যত
প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে ও
পরিমাণ জানতে পারবেন এবং আখরোট
বাদামের
সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা-আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
আজ আমি আপনার মাঝে আলোচনা করছিআখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত, আখরোট এর পুষ্টিগুণ, আখরোট গাছের
ছবি-আখরোট এর দাম কত, আখরোট কোন সময় খাওয়া উচিত?, খালি পেটে আখরোট খেলে কি হয়,
গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও আকর্ষ সম্পর্কে আরও বিভিন্ন
জানা অজানা
তথ্য নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়লে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, ওজন নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি,
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত হাড়ের বিভিন্ন
সমস্যা দূর, গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা দূর ওই গর্ভাবস্থায় গর্ভে থাকা বাচ্চার
সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখা ছাড়াও ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অনেক বেশি উপকৃত
হবেন।
কারণ এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র স্বাস্থ্য উপকারিতা
বয়ে নিয়ে আসে। তাই আশা করিআখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত ছাড়াও নিম্নে আখরোট সম্পর্কে লেখা
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
আজকের আলোচ্য বিষয় আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম।
আখরোট এমন এক ধরনের ড্রাই ফুড যা আপনি যদি নিয়মিত মাত্র দুই থেকে তিনটি খেতে
পারেন তাহলে ওই দুই থেকে তিনটি আখরোটের মধ্যে আপনি এত পরিমান ভিটামিন, মিনারেল,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এত পরিমাণে মেডিসিনাল কম্পাউন্ড পেতে পারেন
যা অন্যান্য খাবার থেকে একসঙ্গে পাওয়া মুশকুল হয়ে পড়ে। তাই আজ আমি আপনের মাঝে
এই সুপারস্টার সুপার ফুড আখরোট বা ওয়ালনাটের বেশ কিছু অসাধারণ এবং সাইন্টিফিকালি
স্বাস্থ্য উপকারিতা, অপকারিতা অর্থাৎ কোন মানুষদের
একেবারেই আখরোট খাওয়া উচিত নয় এবং খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি বা নিয়ম সম্পর্কে
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করি সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়বেন এবং আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
জেনে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য জেনে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
আখরোটের উপকারিতা
আখরোটের এত বেশি পুষ্ট উপাদান রয়েছে যে এর হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তবে
এখন আমি আপনাদের মাঝে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
এর মধ্যে প্রথমে আখরোটের উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে
বিভিন্ন জানা অজানা আখরোট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সামান্য কিছু উপকারিতার তথ্য নিম্নে
তুলে ধরার চেষ্টা করলাম-
হার্ট সুস্থ: আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম এর
মধ্যে সর্বপ্রথমে আমরা আখরোট কিভাবে হার্ট সুস্থ রাখে এ সম্পর্কে জানব। আখরোটের
মধ্যে আলফা নিলোনিয়েট এসিড নামক বিশেষ এক ধরনের ওমেগা ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
এছাড়া এ আখরোটের মধ্যে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো
আমাদের রক্ত থেকে এলডিএল বা খারাপ
কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে রক্তে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
করতে সহায়তা করে। সবকিছু মিলিয়ে হার্টের ফাংশান ভালো রাখতে বা সুস্থ রাখতে বা
হার্ট হেলথকে প্রটেক্ট করার জন্য আখরোট অত্যন্ত উপকারী। তবে আপনার রক্তে যদি
অত্যাধিক পরিমাণে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে আখরোট কিন্তু আপনাকে
চিন্তা ভাবনা করে খেতে হবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে: আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম মধ্যে আরেকটি আখরোটের গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি।
কোথায় রয়েছে খোসা ছাড়ানো আখরোট দেখতে আমাদের ব্রেনের মতো দেখতে হয়ে থাকে। তাই
আখরোট আমাদের ব্রেনের জন্য উপযোগী। এর কথার পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কিন্তু কোন
ব্যাখ্যা নেই।
কিন্তু এটা বলা যেতে পারে আখরোটের মধ্যে এত পরিমানে হাই কোয়ালিটির
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, এত পরিমানে এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে
এছাড়া এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ব্রেনের ফাংশনিংকে আরো
বেশি ইমপ্রুভ করতে সাহায্য করে, আমাদের ব্রেনের সেল গুলি যাতে ড্যামেজ না হয় সে
দিক থেকে সাহায্য করতে পারে এবং কংনেটিভ ডিজেনারেশন মত যে সমস্যা অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে
এনজাইমা বা পারকিনসন ডিজিস মত সে সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় সে
সমস্যা থেকেও আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে আখরোট। এ ছাড়া আখরোট
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে তাই যে সমস্ত পড়ুয়ারা নিয়মিত ভাবে
পড়াশোনা করছেন বা অত্যাধিক লেখাপড়া করছেন তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য আখরোট
খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: আখরোট আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
এই বিষয়ে ২০১৮ সালে ১৯৪ জন মানুষ নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয় সেই মানুষদেরকে
প্রতিনিয়ত আখরোট খাওয়ানো হয় আট সপ্তাহ পর্যন্ত। ৮ সপ্তাহ পরে দেখা যায়
প্রত্যেকটি মানুষের ঘাটের মধ্যে বা ডাইজেস্ট সিস্টেমের মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া
মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সে সমস্ত মানুষের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
তা এটা আমরা বলতে পারি নিয়মিত আখরোট খাওয়ার অভ্যাস আপনার ঘাটের মধ্যে উপকারী
ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
থাকে। এছাড়া আখরোটের মধ্যে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি আপনার ডাইজেস্টিভ
সিস্টেম এর মধ্যে যদি কোন ইনফ্লামেশন থেকে থাকে সেই ইনফ্লামেশনকেও কিন্তু কম করতে
সাহায্য করে আখরোট।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে: আখরোটের মধ্যে ইলাজিট্রেনিন বিশেষ এক ধরনের
পলিফেনলস থাকে আর এ পলিফেনলস আমাদের ঘাটের মধ্যে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া
ইউরোলিথিন এ পরিণত করতে পারে এবং এ ইউরোলিথিন আমাদের শরীরের মধ্যে করোরেক্টাল
ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, বেস্ট ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার ইত্যাদি
ক্যান্সার
গুলোর ঝুঁকি কম করে দিতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া আপনি যদি একজন ক্যান্সার
পেসেন্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রেও আপনার শরীরের মধ্যে যে ক্যান্সার সেল বাসা বেঁধে
রয়েছে তাদের সাথে লড়াই করে সেই সেলগুলিকে ড্যামেজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং
আপনাকে সুস্থ করতে সাহায্য করতে পারে আখরোট।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ওয়ালনাট বা আখরোট টাইপ টু
ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ২০১৬ সালে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ১০০ জন রোগীদের
প্রতিদিন এক টেবিল চামচ করে এই ওয়ালনাট অয়েল বা আখরোটে তেল খেতে দেওয়া হয়।
তিন মাস পরে দেখা যায় সে সমস্ত রোগীদের ফাস্টিং ব্ল্যাক সুগার এবং এইচবিএ১সি
যথেষ্ট পরিমাণে কম হয়েছে। তা এটা আমরা বলতে পারি আখরোট বা ওয়াল নাট টাইপ ২
পেসেন্ট ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের করতে সাহায্য করতে পারে।
বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে: প্রতিনিয়ত এ আখরোট খাওয়ার অভ্যেস আপনার শরীরে
অ্যান্টি এজিং ইফেক্ট দিতে পারে। তার কারণ আখরোটের মধ্যে থাকা হাই কোয়ালিটির
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এবং মিনারেল
আপনার শরীরে আন্টিএজিং ইফেক্ট দিতে পারে অর্থাৎ অল্প বয়সে আপনার শরীরে
বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যাওয়ার যে সমস্যা সে সমস্যা সমাধান
আরো পড়ুনঃ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
করতে পারে এবং এই এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের পুরো শরীরের সাথে সাথে আমাদের শরীরের
প্রত্যেকটি অর্গানএর সেলগুলিকে অক্সিরেটিভ ড্যামেজ এর হাত থেকে দূরে রাখে এবং
অর্গানগুলি যাতে ঠিকঠাক ভাবে ফাংশেনিং করতে পারে সেদিক থেকে সাহায্য করে। আমাদের
স্কিনের সেলগুলোকে অক্সিরেটিভ ড্যামেজের থেকে দূরে রেখে রিংকেল, ফাইন লাইন,
পিগমেন্টেশন ইত্যাদির মত সমস্যা থেকে দূরে রাখতে ও সাহায্য করতে পারে।
চুল বৃদ্ধি: চুলের গোড়ার মধ্যে যে সমস্ত হেয়ার ফলিকল গুলো রয়েছে
সেগুলোকে অক্সিরেটিভ হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুল ঝরে পড়া, অল্প
বয়সে চুল পেকে যাওয়া ইত্যাদির মত সমস্যাও হতে দেয় না আখরোটে থাকা হাই
কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এবং
মিনারেল।
কোলেস্টেরল কমাতে: আখরোটে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা প্রদান করে বা সুস্থ রাখে
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এছাড়া
উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে এবং আমাদের কাডিও ভাস্কুলার সিস্টেম এর জন্যএ
সকল পুষ্টি উপাদান গুলো।
ওজন কমায় : নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারণ আখরোট ওমেগা
থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, ফাইবার এর অনেক ভালো একটি উৎস।
ত্বকের বলিরেখা কম করতে: বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়
এর কারণ হলো ফ্রী র্যাটিক্যাল কিন্তু নিয়মিত আখরোট খাওয়ায় আখরোটে থাকা
ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী র্যাটিক্যাল কম করতে সহায়তা করে ফলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের বলি রাখা কমতে থাকে।
শুক্রাণুর মান উন্নত করে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে: পুরুষের শুক্রাণুর মান
উন্নত করে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে আখরোট। গবেষণায় দেখা যাই
যে আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিরেটিভ চাপ কমায় যা পুরুষদের যৌন বিভিন্ন
সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
অনিদ্রা দূর করে: ঘুম ভালো হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায় এবং এর সাথে সাথে শরীর সুস্থ ও সরল হয়। মানুষের ভালো ঘুমের জন্য
প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মেলাটোনিন। এই মেলাটনিন আমাদের শরীরে
সঠিক মাত্রায় থাকলে ঘুম ভালো হয় আর আখরোটে মেলাটোনিন এর পরিমাণ অত্যাধিক
পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি আপনার অনিদ্রা দূর করে গভীর ও প্রশান্তির ঘুম
উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট যুক্ত করুন।
গর্ভাবস্থায় উপকারী: গর্ভাবস্থায় একজন
গর্ভবতী
মহিলার বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে যেমন- থিয়ামিন, ফোলেট, ফলিক এসিড,
রাইবোফ্লাভিন ইত্যাদি একসঙ্গে একটি খাবারে পাওয়া মুশকিল তবে আখরোটে এ সকল পুষ্ট
উপাদান অত্যাধিক পরিমাণে রয়েছে। এর জন্য একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায়
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় এ সকল পুষ্ট প্রদানের ঘাটতি মেটানোর জন্য নিয়মিত
আখরোট খেতে পারে।
গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য উপকারী: গর্ভাবস্থায় একজন নারীর গর্ভে থাকা বাচ্চার
সঠিক গঠন বিকাশ এবং এলার্জিজনিত কোন সমস্যা যেন না হয় তার জন্য খাদ্য তালিকায়
আখরোট রাখতে পারে কারণ আখরোটে রয়েছে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, ফলিক এসিড
যা গর্বে থাকা বাচ্চার এ সকল সমস্যা গুলো খুব সহজে দূর করতে সাহায্য করতে পারি।
শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে: আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
১০টি খাওয়ার নিয়ম এরমধ্যে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আঁকফুটের উপকারিতা হলো শিশুদের
মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানো। আখরোটে ভিটামিন ই, মেলাটোনিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা
করে থাকে। তাই ছোট থেকে আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার শিশুর
মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হবে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আধুনিক জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার
অভ্যাসের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বর্তমানে ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে
হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে আকর্ষ সেবন করেন উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর কারণ হলো আখরোটে ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া
যায় যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি উচ্চ
রক্তচাপ নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন আপনার খাদ্য তালিকায় আখর যুক্ত করতে
পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু, ভাইরাস ও
ব্যাকটেরিয়া বেড়ে চলেছে। তাই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
বিভিন্ন খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে খুব সহজে আমাদের শরীর বিভিন্ন জীবাণুর দ্বারা
সংক্রমিত হবে তবে। তাই এ সকল ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ও ভাইরাসর এর বিরুদ্ধে
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
লড়াই করার জন্য এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে বৃদ্ধি করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায়
আখরোট রাখতে পারেন কারণ আখরোট এ রয়েছে ভিটামিন বি ৬, খনিজ যেমন তামা এবং বিভিন্ন
ধরনের ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
যার শরীরের ইমমনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে।
হাড় মজবুত করে: আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
এর মধ্যে আরেকটি বিশেষ উপকারিতা হিসেবে কাজ করে আখরোট আর তা হলো হাড় মজবুত করতে।
আখরোটে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামে একটি প্রয়োজনীয়
ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদির
মত হাড় মজবুত করার গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা আপনার হার হাড় ক্ষয় হয়ে
যাওয়া বা ফেটে যাওয়া হাত থেকে খুব সহজে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে এর জন্য হাড়
মজবুত এবং দৃঢ় করতে চাইলে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট যুক্ত করতে পারেন
বিশেষ করে ৩০ এর উপরে বয়সের মহিলাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত।
স্ট্রেস কমায়: বর্তমানে কর্মব্যস্ততা এবং জীবন চলার মান এতটাই কঠিন হয়ে
গিয়েছে যে মানুষের ভেতরে স্ট্রেস বেড়েই চলেছে। স্ট্রেস দূর করার জন্য বা জীবন
চলার মান স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য আমাদের এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যা এই
স্টেজকে কমিয়ে তুলবে যেমন আখরোট। আখরটে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আলফা লাইনোলেনিক এসিড, ফাইবার,
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি আর এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো খুব সহজেই
স্ট্রেস মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আজ আমরা আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করছি কিন্তু আখরোট এতবেশি পুষ্টিগুনে ভরপুর, যে এর উপকারিতা
সম্পর্কে বলে শেষ করা সম্ভব নয় উপরোক্ত ছাড়াও আখরোটের উপকারিতা যেমন-
- আখরোটে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় গ্যাস্ট্রিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে সাহায্য করে।
- থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে আখরোট।
- হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্ট ও গাটের ব্যথা দূর করতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে আখরোট।
- চোখের নিচের কালো ছাদ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে আখরোটে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
- কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা ও দূর করা সম্ভব নিয়মিত আখরোট খাওয়ার ফলে।
- নার্ভ সিস্টেম বেটার করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে আখরোট।
- এনজাইমা বা আর্থারাইটিস সমস্যা দূর করতে পারেন নিয়মিত খেয়ে।
- রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে আখরোট।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম এর মধ্যে আখরোটের উপকারিতা সম্পর্কে যেন অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। তবে
এগুলো ছাড়াও আখরোটের হাজারো উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না।
আখরোটের অপকারিতা
আমরা আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে আখরোটের
অপকারিতা সম্পর্কে জানব। আখরোট এতটাই পুষ্টগুনে ভরপুর যে আখরোটের অপকারিতা নেই
বললেই চলে। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিত রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি যদি
এটি মাত্র অতিরিক্ত খান বা সঠিক নিয়মে বা সঠিক
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
সময়ে না খান তাহলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়া বিভিন্ন রোগীদের জন্য
আখরোট খাওয়ার নিষেধ রয়েছে। তাই চলুন দেরি না করে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে আখরোটের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-
- যে সমস্ত ব্যক্তিদের বাদাম জাতীয় খাবারের এলার্জি রয়েছে তাদের আখরোট খাওয়ার পরে যদি কোন ব্য এলার্জেটিক লক্ষণ দেখা দেয় সে সকল ব্যাক্তিদের জন্য আখরোট খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
- যে সকল ব্যক্তি নিয়মিত রক্ত পাতলা করার জন্য ওষধ সেবন করে থাকেন তারা তাদের খাবারে আখরোট যুক্ত করবেন কিনা তা অবশ্যই ডঃ এর অনুমতি নিয়ে বা পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- রক্তে যদি ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে আখরোট খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকা ভালো।
- গলব্লাডার স্টোন, কিডনি স্টোন এর মত যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আখরোট না খাওয়াই ভালো।
- লিভারের সমস্যা হতে পারে।
- গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- আপনার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে তাহলে কারো আপলোড খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ কাল আখরোটে রয়েছে ফাইটেটস শরীরের আয়রন শুষে নিতে পারে।
- পরিমাণের অতিরিক্ত অর্থাৎ ৫টির অধিক আখরোট খেলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, পেট ফাঁপা, বমি ভাবের মত সমস্যা দেখা যেতে পারে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম এর মধ্যে আখরোটের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। আমরা
সকলেই জানি অতিরিক্ত কোন খাবার খেলে সে খাবারটি যত বেশিই পুষ্ট গুনে ভরপুর হোক না
কেন তা আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বয়ে নিয়ে
আসে। তাই আমরা সকলে চেষ্টা করব আমাদের শরীরকে সুস্থ ও বিভিন্ন খাবারের সঠিক
উপকারিতা নিজের ভেতরে নেওয়ার জন্য সঠিক পরিমাণে বা পদ্ধতিতে জেনে বুঝে খাওয়ার
চেষ্টা করা।
আখরোট খাওয়ার নিয়ম
আখরোট কতটা উপকারী ও স্বাস্থ্যকর খাবার তা আমরা আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে আখরোটের উপকারিতা থেকে জানতে পেরেছি কিন্তু এই
সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুনাগুন পেতে হলে আমাদের অবশ্যই আখরোট খাওয়ার নিয়ম
সঠিকভাবে জানতে হবে তা না হলে এর সঠিক উপকারিতা আমাদের শরীরে কখনোই প্রবেশ করবে
না কারণ
আপনি কীভাবে আখরোট খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া আপনাদের নিজেদের দায়িত্ব ফলে
যখন আপনি আখরোট খান তখন যেন আখরোটের সঠিক উপকারিতা ও গুনাগুন গুলো পান। তাই চলুন
দেরি না করে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে
আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা থেকে জেনে নিই-
- শীতকালে যেকোনো সময় দুই থেকে তিনটি আখরোট নিয়ে পাউডার তৈরি করে বা এমনি খেতে পারেন।
- গ্রীষ্মকালে রাত্রে দুই থেকে তিনটি আখরোট পানিতে ভিজিয়ে সকালে ভেজানো পানি সহ আখরোট খেতে পারেন বা পেস্ট তৈরি করে খেতে পারেন।
- ব্লকের নার্ভ খোলার জন্য এক চামচ মধু ও দুইটি আখরোট নিয়ে এর পাউডার তৈরি করে নিন। শীতকালে খেতে চান তাহলে পাউডার তৈরি করে মধুর সহকারে জানেন কি আয়ুর্বেদিক এর জন্য ভালো অনেক গবেষণায় দেখা গেছে খান এবং গ্রীষ্মকালে খেতে চাইলে রাত্রে ভিজিয়ে সকালে যেকোনো সময় আখরোটের পেস্ট তৈরি করে কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে এতে সামান্য মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
- আখরোট চেষ্টা করবেন কখনো শুকনা না খাওয়ার কারণ এর ফলে গ্যাস্ট্রিক বা বদহজম অথবা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আখরোট সবসময় ভিজিয়ে পেস্ট করে বা গুড়া করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ভে ভেজানো আখরোটের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি কারণ এতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার সামগ্রী। আরে উচ্চ ফাইবার এর কারণেই আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে আসে। শুকনো আখরোটে উপস্থিত এনজাইম ইনহিবিটর এবং ফাইটিক অ্যাসিড থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো না কিন্তু আপনি যখন আখরোট ভিজে রাখবেন তখন এই এসিড গুলো সরে যাবে ফলে এর উপকারিতা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
- আখরোটে সেল নরম এমন আখরোট খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আখরোট পেস্ট করে বা গুড়া অথবা কুচিকুচি করে কেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এক ঘন্টা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে সকালের সামান্য হাঁটাহাঁটি করে খালি পেটে কিংবা বিকালে খেতে পারেন। আখরোট খাওয়ার এই নিয়মটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। কারণ আখরোটের পুষ্টি গুনাগুন ও দুধের পুষ্টি গুণাগুণ একসাথে মিলে অনেক ভালো পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার তৈরি হয়। এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আখরোট এর তেল খাওয়া অনেক বেশি উপকারী এর জন্য এক টেবিল চামচ আখরোটে তেল সকালে খেতে পারেন।
- ত্বকের জন্য আখরোট মুখে খাওয়া কিংবা আখরোটের তেল দুটোই বেশ উপকারী। আপনার যদি ত্বক খসখসে বা রুক্ষ হয় তাহলে আখরোটা তেল নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
- আখরোট এর পেস্ট বা গুড়ো মাংস, বিস্কুট, ফিন্নির সাথে, পায়েসের সাথে, কফি, কেক, দই, মাছ, পোলাওয়ের সাথে, মিষ্টির সাথে, সালাদের সাথে এবং মাখনের সাথে মিক্স করেও খেতে পারেন। তবে এইভাবে খেলে আখরোটের উপকারিতা আরো বেড়ে যাবে। অনেকে বাদাম গুঁড়া করে কফির ওপর দিয়ে ছিটিয়ে খেয়ে থাকে।
- আখরোট খাওয়ার আরো একটি ভালো কার্যকরী স্বাস্থ্য উপায় হল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে যুক্ত করে আখরোট খাওয়া। যেমন কমলা , লেবু , জাম্বুরা , পোমেলো। এমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সাথে যুক্ত করে খেলে আমাদের শরীরে বাদামের পুষ্টি উপাদানের সহজেই শোষণ করতে পারবে।
- আখরোট সব সময় চেষ্টা করবেন লবণযুক্ত বা চিনিযুক্ত খাবারের সাথে না খাওয়ার কারণ চিনে যুক্ত বা লবণযুক্ত খাবারের সঙ্গে এর সংযোজন ঘটলে এ সুপারফুর্তির উপকারিতা বা পুষ্টিগুণগুলো হ্রাস পায়
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন এ বাদাম সম্পর্কে
শুধুমাত্র আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম এ নিয়ে আমি
আলোচনা করছি না নিম্নে আখরোট সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
১০টি খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও আখরোট সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
পড়বেন যেমন-
- আখরোট এর পুষ্টিগুণ
- প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত
- আখরোট গাছের ছবি-আখরোট এর দাম কত
- আখরোট কোন সময় খাওয়া উচিত?
- খালি পেটে আখরোট খেলে কি হয়?
- গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
আখরোট এর পুষ্টিগুণ
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত সম্পর্কে আমরা জানলাম কিন্তু আমরা যে আখরোট খাব এতে কি কি পুষ্টি
উপাদান অর্থাৎ আখরোট এর পুষ্টিগুণ গুলো কি কি তা সম্পর্কেও আমাদের সঠিক ধারণা
থাকা জরুরী। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিন-
প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে রয়েছে,
- প্রোটিন-১৫.২ গ্রাম
- স্নেহ পদার্থ-৬৫.২ গ্রাম
- ফাইবার-৬.৭ গ্রাম
- ভিটামিন- ২০ IU
- ক্যালসিয়াম- ৯৮ মি.গ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম- ১৫৮ মিগ্রা
- পটাসিয়াম- ৪৪১ মিগ্রা
- জিংক- ৩.০৯ মিগ্রা
- সোডিয়াম-১ মিলিগ্রাম
- ওমেগা-৩, ১৫%
- ফ্যাট-৬৫%
- ম্যাংগানিজ
- কপার
- এর প্রোটিনের মধ্যে অনেকগুলো অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত
ইতোমধ্যে আমরা আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম,
প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত উপরোক্ত বিস্তারিত আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি
কিন্তু আমাদের শুধু এ বিষয়ে জানলেই হবে না আখরোট খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের
প্রতিদিন কয়টি আখরত খাওয়া উচিত এ সম্পর্কেও সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী।
কারণ আমরা সকলেই জানি কোন খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এর উপকারের তুলনায়
অপকারিতাই বেশি হয়। এমনটা আখরোটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আখরোট ওমেগা থ্রি ফ্যাটি
এসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ক্যালোরি ফ্যাট ইত্যাদি কুষ্টু বদনে অনেক বড়
একটি উৎস। আপনি যদি অত্যাধিক পরিমাণে আকর্ষণ করে তাহলে আপনার
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা বিশেষ করে ওজন বেড়ে যাওয়া ছাড়াও আরো বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ বা ডক্টরদের মতে একজন সাধারণ
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ১ আউন্স আখরোট সেবন করতে পারেন যা প্রায় ৪ থেকে
৭টি খোসাযুক্ত আখরোটের সমান পরিমাণে হয়ে থাকে। তবে এক আখরোট খাওয়ার বিভিন্ন
বয়স অনুসারে বিভিন্ন হয়ে থাকে এবং ওজন অনুসারে ও বিভিন্ন হয়ে থাকে।
যেমন ১৮ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের প্রতিদিন করে ২টি করে আখরোট খাওয়ার পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। এজন্য অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিবেচনা করে প্রতিদিন সঠিক
মাত্রায় আখরোট খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং যারা বিশেষ কোনো রোগে আক্রান্ত বিশেষ
করে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে আখরোটের
পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
আখরোট গাছের ছবি-আখরোট এর দাম কত
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত সম্পর্কে যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার মনে অবশ্যই জাগতে পারে এত
বেশি উপকারী এবং পুষ্টিপূর্ণে ভরপুর আখরোট গাছের ছবি-আখরোট এর দাম কত অর্থাৎ
আখরোট গাছটি দেখতে কেমন এবং এর দাম কত। তাই চলুন আখরোর গাছের ছবি-আখরোট এর দাম কত
জেনে নিন-
আখরোট গাছের ছবি
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত জানার সাথে সাথে আমরা এখন আখরোট গাছের ছবি দেখব এবং জানব আখরোট গাছ
কত বড় হয়। ওয়ালনাট আখরোট গাছের ইংরেজি নাম এবং জুগ্লান্স রেজিয়া এর বৈজ্ঞানিক
নাম। এই গাছটি জুগল্যান্ডাসি গোত্রের একটি পর্ণমোচী বৃক্ষ যারা জোকার ভাষায়
অনুবাদ করলে হয় রিজিয়া। আখরোট গাছ সাধারণত ১০ মিটার থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত
লম্বা হয়। আখর গাছের পাতাগুলো দেখতে পালকের মতো মনে হয়। পাতাগুলোর দৈর্ঘ্য ৭-৩৫
ইঞ্চি বিশিষ্ট হয়ে থাকে। নিম্নে আখরোট গাছের ছবি দেওয়া হল-
আখরোট এর দাম কত
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত সম্পর্কে পড়ে এতক্ষণে আমরা বুঝতে পেরেছি আখরোট কত বেশি উপকারী ও
মূল্যবান একটি বাদাম। এতে যে পরিমাণ উপকারিতা ও পুষ্ট গুণ রয়েছে তার তুলনায় এর
দাম খুবই কম। তবে আমাদের আখরোটের এই উপকারিতা ও পুষ্টিগুনাগুন
পাওয়ার জন্য আখরোট কেনার পূর্বে আখরোট এর দাম কত এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা
অত্যন্ত জরুরি। আখরোট বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য উপযোগী আবহাওয়া নয়। যার কারণে
এটি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় বিশেষ করে চীন থেকে আখরোট বেশি আমদানি করা
হয় তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন দামে আখরোট বিক্রি
হচ্ছে।
তবে এ আখরোটের দাম সাইজ এবং কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হয়।
এছাড়া আমদানির উপর নির্ভর করেও এর দাম কম বেশি হতে থাকে। সাধারণত ১০০ গ্রাম
আখরোটের দাম ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয় এবং কেজি প্রতি আখরোটের
দাম ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে
আখরোট কোন সময় খাওয়া উচিত?
ইতোমধ্যে আমরা আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম,
প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু আপলোড কোন সময় খাওয়া
ভালো অর্থাৎ কোন সময় খেলে আমরা এর সঠিক উপকারিতা গুলো পাব এ সম্পর্কে জানতে হলে
অবশ্যই আমাদের আপলোড খাওয়ার সঠিক সময় জানতে হবে।
আখরোটে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা অত্যাধিক মাত্রায় বিদ্যমান রয়েছে যার
ফলে সঠিক সময় না খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন ডক্টরের মধ্যে আখরোট সবসময় রাত্রে ভিজিয়ে অথবা ৬
থেকে ৭ঘন্টা ভিজিয়ে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা হাঁটাচলা করে সকালে খালি পেটে
খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম।
এতে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়
সাথে সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ও সহজ হয়ে পড়ে। এছাড়া সারাদিন উচ্চ রক্তচাপ বা
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্লান্তি অনুভূত হয় না সব সময় ফ্রেশ অনুভূত হয়,
সারাদিন ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে, রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের
উপকারিতা পাবেন।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে যুক্ত করেও খেতে পারেন বা
বিভিন্ন ফলের সঙ্গে যুক্ত করে খেতে পারেন যেকোনো সময় বিকেলের নাস্তার সময়ও খেতে
পারেন।
খালি পেটে আখরোট খেলে কি হয়?
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত সম্পর্কিত আমরা জেনেছি কিন্তু আপনি যদি এতগুলো উপকারিতা জেনে কখনো
খালি পেটে আপলোড খেতে চান তাহলে আপনি কি জানেন খালি পেটে আপলোড খেলে কি হয়? খালি
পেটে আখরোট খেলে কোন প্রকার ক্ষতি তো হয় না
বরং অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় যা আপনি ভরা পেটে সেই স্বাস্থ্য উপকারিতা
পাবেন না। সকালে খালি পেটে কিংবা বিকেলে খালি পেটে আপলোড ভেজানো আখরোট খান তাহলে
এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পলিস্যাচুরেটেড,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, উচ্চ ফাইবার,
হাই কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, কপার ইত্যাদি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান
হার্ট যন্ত্র সুস্থ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্নায়ুগত সমস্যা দূর করেন,
বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিহত, ডায়াবেটিস, খারাপ কোলেস্ট্রল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল
বৃদ্ধি, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক, মস্তিষ্কের বিকাশ, গর্ভবতীদের গর্ভ অবস্থায় সকল
পুষ্টির যোগান,
আরো পড়ুনঃ
আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, গর্ভে থাকা বাচ্চার সঠিক বিকাশ ও গঠন প্রদান করে,
ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি আরো বিভিন্ন শারীরিক ও স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বিভিন্ন
রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে এই পুষ্টিগুণে ভরপুর অসাধারণ বাদাম আখরোট। এ থেকে
আমরা বুঝতে পারছি যে খালি পেটে আখরোট খাওয়া কতটা উপকারী।
গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট
খাওয়া উচিত সম্পর্কে আপনি জানলেন কিন্তু আপনি যদি একজন গর্ভবতী হন তাহলে
গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি একই পাবেন। এ সম্পর্ক যদি আপনার
সঠিক ধারণা থাকে তাহলে চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে-
- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার জন্য আখরোট খাওয়া পুষ্টির পাওয়ার হাউজ হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ এতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা একসঙ্গে একটি খাবারে পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। আপলোড হলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার যা খুব সহজে গর্ভে থাকা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ, সঠিক গঠন, ভ্রূণের সঠিক বিকাশ ছাড়াওবাচ্চা জন্মের সময় বিভিন্ন ঝুঁকির সম্ভাবনা কয়েক গুণ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে।
- আখরোট খনিসমৃদ্ধ পুষ্টিগুণের অনেক বড় একটি উৎস। এতে থাকা আইরন, জিংক ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম মতো খনিজ গর্ভবতী মহিলার হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং হাড় মজবুত করে এবং গর্ভে থাকা বাচ্চার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের ওজন বেড়ে যাওয়া অনেক বড় একটি সমস্যা আর এ সমস্যা দূর করার জন্য হাই কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , প্রোটিন এবং উচ্চ হাইপার সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করতে পারেন কারণ এতে ক্যালরি থাকা সত্ত্বেও উপরন্ত উপকরণ গুলোর কারণে ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আখরোট খাওয়ার পরিমাণ বা মাত্রার সঠিক জেনে খাবেন নতুবা হিতের বিপরীত হতে পারে।
- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে গর্ভঅবস্থায় গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে আখরোট খায় তাহলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে অনেক বেশি দূরে থাকে কারণ আখরোট মাতৃকালীন সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে এবং ইন্সুরেন্স সংবেদনশীলতা উন্নতি করে ডায়াবেটিসের ঝুকি কয়েক গুণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মহিলার অনেক সময় মানসিক স্ট্রেস এর সমস্যা সৃষ্টি হয় যা দূর করার জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট যুক্ত করতে পারেন। আখরটে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আলফা লাইনোলেনিক এসিড, ফাইবার, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি আর এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো খুব সহজেই স্ট্রেস মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো হয় আপনি আপনার ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কি পরিমাণে আখরোট খাবেন তা জেনে খাওয়া।
লেখকের মন্তব্য-আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের আখরোটের ৩৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং ১০টি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত ইত্যাদি ছাড়াও আখরোট
সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা
করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url