চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও
চিনা বাদাম সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার
বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও চিনা বাদাম
সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন
এবং সঠিক খাওয়ার নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং চিনা বাদাম এর সঠিক স্বাস্থ্য
উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা-চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা। আখরোট, কাজুবাদাম,
কাঠবাদাম, আমন্ড ইত্যাদি বাদাম গুলোর মত হাজারো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সম্পূর্ণ চিনা
বাদাম অপরদিকে হে বাদাম অন্যান্য বাদাম গুলো তুলনায় দামে অনেক বেশি কম এবং খেতেও
সুস্বাদু।
তাই শুধুমাত্র এ বাদাম সম্পর্কে অর্থাৎ চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমি
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করিনি সম্পর্কে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আমি নিম্ন বিস্তারিত
আলোচনা করেছি যেমন ধরুন চিনা বাদামের পুষ্টি গুনাগুন,
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়, চিনাবাদাম
কতটুকু খাওয়া উচিত, কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার
উপকারিতা, চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি। আর এগুলো সম্পর্কে যদি
বিস্তারিত জানা অজানা এবং সিক্রেট
তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। কারণ এতে রয়েছে
হাজারো কষ্ট উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র স্বার্থের উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। তাই
আশা করি চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায়
চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও নিম্নে সিনেমাধন সম্পর্কে লেখা সম্পন্ন
আর্টিকেলটি পড়বেন।
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
আজকের আলোচ্য বিষয় চীনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম। কাঠবাদাম, আমন্ড,
আখরোট, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি বাদামগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী এটা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। কিন্তু এগুলো বাদামের দাম
তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেশি হওয়ার কারণে
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা চাইলেও প্রতিদিন এ
বাদামগুলো খেতে পারেনা। সে দিক দিয়ে এই পিনাট বা চিনা বাদাম যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।
কারণ এর দাম খুবই অল্প, সহজলভ্য এবং তার সাথে সাথে সঠিক মাত্রাতে ও সঠিক পদ্ধতিতে
বা নিয়মে ব্যবহার করতে পারেন মোটামুটি ওই সমস্ত বাদামের সমান উপকারিতা আপনি পেতে
পারেন।
চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে হাই কোয়ালিটির প্রোটিন। ১০০ গ্রাম চিনা
বাদামে রয়েছে ২৫ থেকে ২৬ গ্রাম হাই কোয়ালিটির প্রাকৃতিক প্রোটিন। এর মধ্যে খুবই
অল্প পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলেও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলি
আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এর সাথে সাথে
এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ।
পুষ্টিগুণ বলতে এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, নিয়াসিন, জিয়াজ্যানথিন,
কপার, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি সব কিছু মিলেমিশে চিনা বাদাম
বা পিনাট আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে উপকারী দিতে পারে। তাই চলুন
দেরি না করে চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত নিম্ন আলোচনা থেকে জেনে নিন-
চিনা বাদাম এর উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এরমধ্যে প্রথমে
আমরাচিনা বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব। চিনা বাদামের অজস্র উপকারিতা রয়েছে
যা অসাধারণ এবং ম্যাজিকাল। তাই চলুন দেরি না করে চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম মধ্যে প্রথমে চিনা বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন
বিস্তারিত আলোচনা থেকে জেনে নেই-
ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি: চীনা বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গুড
ফ্যাট, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে সকল
কিছু মিলে আমাদের শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়তা করে চীনা
বাদাম।
হার্ট সুস্থ: চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি
অ্যাসিড এবং মনো আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এর সাথে সাথে চিনা বাদামে রয়েছে
কোলেস্টেরল লোয়ারিং এফেক্ট। সবকিছু মিলেমিশে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে
কম করতে সাহায্য করে আপনার হার্টের মাসেলগুলোকে অ্যাক্টিভ করে রাখতে সাহায্য করে,
হার্টের মাসল গুলোকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: অনেকেই মনে করেন যাদের রক্তে অনেক বেশি কোলেস্টেরল
রয়েছে তারা চেনা বাদাম খেতে পারবে না। চিনা বাদামে কোন প্রকার কোলেস্টেরল থাকে
না কিন্তু এতে ভালো ফ্যাট রয়েছে। যেহেতু এতে ফ্যাটের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি
থাকে ফলে সঠিক নিয়মে বা পরিমাণে না খেয়ে আপনি যদি
অধিক পরিমাণে প্রতিনিয়ত খেতে থাকেন তবে আপনার রক্তে ট্রাই গ্লিসারএড এর মাত্রা
বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা থাকতে পারে। যা আপনার হার্টের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই
যদি আপনি চিনা বাদাম খেয়ে আপনার কোলেস্টেরল এবং হার্ট হেলকে সুস্থ রাখতে চান
তাহলে অবশ্যই চীনা বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং পরিমাণের ওপর বিশেষ নজর দেবেন।
গলব্লাডার স্টোন: যতদিন যাচ্ছে গলস্টোন বা গলব্লাডার স্টোন এর প্রভাব
মানুষের মধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে দেখা দিচ্ছে। ইউএসএ তে করা একটি সার্ভে
অনুযায়ী, ইউ এস এর প্রায় ১০% থেকে ২৫% মানুষ গলস্টোন বা গলব্লাডার স্টোন এ
ভুগছেন। বাংলাদেশ কিংবা ইন্ডিয়াতেও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বেশ কিছু গবেষণা এটি
প্রমাণিত হয়েছে, আপনি যদি মাঝারি মাত্রাতে প্রতিনিয়ত পিনার্ট বা চিনা বাদাম
খেতে পারেন তাহলে আপনার গলব্লাডার স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৫% পর্যন্ত কম
হতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: চিনা বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
পলিফেলোনিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট(Poiyphenolic Antioxidant) এবং পি কুমারি
অ্যাসিড(p-Coumaric acid) এগুলি আমাদের শরীরে অন্যান্য ক্যান্সারের সাথে সাথে
স্টমাক ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকখানি কম করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে
থাকা পিটাস্টাসস্টারোল ক্যান্সারাস টিউমারের গ্রোথকে কিন্তু প্রটেক্ট করতে পারে
এবং নতুন করে আমাদের শরীরে যাতে কোন প্রকার কোন ক্যান্সারাস টিউমারের উৎপত্তি না
হয় সেদিক থেকে ও সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও ডিপ্রেশন দূর: চিনা বাদামের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের
অ্যামাইনো এসিড রয়েছে যার নাম হল ট্রিপটোফ্যান।ট্রিপটোফ্যান আমাদের ব্রেনের
মধ্যে সেরোটেনিনের মেনটেন লেভেলকে মেন্টেন করতে সাহায্য করে।সেরোটেনিনের লেভেল
যখন মেন্টেন থাকে তখন কিন্তু এনজাইটি, ডিপ্রেশন এমন যদি আপনার সমস্যা থাকে সে
সমস্যা থেকে কিন্তু আপনি খুব সহজে বেরিয়ে আসতে পারবেন এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে
বিশেষ সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস পেশেন্টের জন্য পিনার বা চিনা বাদাম কে
সুপার ফুড হিসাবে মানা হয়। এর কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং তার সাথে সাথে হাই কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও
গুড ফ্যাট সহ বিভিন্ন ধরনের এমন স নিউট্রিয়েন্ট যেগুলো আপনার ডায়াবেটিসকে
কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও চীনা বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স লো হওয়ার জন্য একজন ডায়াবেটিস পেশেন্ট
নিশ্চিন্তে নির্দ্বিধায় চিনা বাদাম খেতে পারেন। চিনা বাদামের ইনডেক্স মাত্র ১৪
এবং চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। আর এই ম্যাগনেসিয়াম একজন
টাইপ ২ ডায়াবেটিস পেশেন্টদের ইনসুলেন্স রেজিস্টেন্সের সমস্যা সমাধান করতে পারে
এবং ডায়াবেটিক্স কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু
স্ন্যাক্স হিসেবে চিনা বাদাম অন্যতম খাবার হতে পারে। এর কারণ সিনেমা নামের মধ্যে
যে পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে সে পুষ্টিগুণ গুলো গর্ভ অবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার
পুষ্টির ঘাটতি তো মেটাবেই তার সাথে সাথে গর্ভস্থ শিশুর ব্রেনের বিকাশ ঘটাতে
সাহায্য করবে, গর্ভস্থ শিশুর ব্রেন বা স্পাইনাল কডের যাতে কোন প্রকারের ডিফেক্ট
না থাকে সে দিক থেকেও বিশেষ সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে
থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন মাঝারি মাত্রায় চিনা বাদাম খেতে পারেন।
বার্ধক্যের ছাদ দূর করতে: চীনা বাদামের মধ্যে রেসভারেট্রল(Resveratorl)
নামক অ্যান্টিএজিং ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যে ফাইটোকেমিক্যাল আমাদের এজিং প্রসেসকে
কিন্তু স্লো-ডাউন করে দেয় যার ফলে কম বয়সে আপনার শরীরে বয়সে ছাপ পড়ার মতো যে
সমস্যা সে সমস্যা কিন্তু সহজে হয় না এবং তার সাথে সাথে চিনা বাদামের মধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি বা এসকর্বিক অ্যাসিড।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
যেগুলো আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে আমাদের শরীরকে ফ্রি
রেডিকেলের যে অক্সিরেটিভ স্ট্রেস এই অক্সিডেন্ট স্ট্রেসের হাত থেকে দূরে রাখে এবং
সহজে আপনার স্কিনের মধ্যে ফাইন লাইন, রিংসা, পিম্পেল বা পিগমেন্টেশন যে সমস্যা সে
সমস্যাও কিন্তু হতে দেয় না। তাই আপনার বয়স্ক ধরে রাখার জন্য নিয়মিত মাঝারি
মাত্রায় চিনা বাদাম খেতে পারেন।
এনার্জি বৃদ্ধি: বাদামে রয়েছে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো
আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান যা
আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এর জন্য আপনার শরীরে
তাৎক্ষণিক ক্লান্তি দূর করতে চাইলে বা এনার্জি বৃদ্ধি করতে চাইলে চীনা বাদাম
নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
সর্দি, কাশি, জ্বর হতে প্রতিরক্ষা: নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে এতে থাকা অ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে
ফলে মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু, ফাংগাল ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ হয় এবং
সর্দি-কাশি ও জ্বর হতে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে: এক মুঠো চিনা বাদামে রয়েছে ১২০ ক্যালোরি। যদিও এই ফ্যাট
উপকারী কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় প চিনা বাদাম খান তাহলে আপনার
ওজন দ্রুত বাড়তে থাকবে। কারণ শুধুমাত্র এক মুঠো বাদাম থেকে যদি আপনি এত বেশি
ক্যালরি পান তাহলে দৈনন্দিন বিভিন্ন খাবারে আপনি আরও বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করবেন।
একজন সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ১৬০০ থেকে ২৪০০ ক্যালোরি
প্রয়োজন পড়ে। এ থেকে খুব সহজে বোঝা যাচ্ছে আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
নিয়মিত চীনা বাদাম খেতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: চিনা বাদামের উচ্চ ফাইবার ফাইবার, প্রোটিন, ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের পাকস্থলীর হজম ক্রিয়া বা ডাইজেস সিস্টেমকে উন্নত করতে
সহায়তা করে।
শ্বাসকষ্ট অ্যাজমা এলার্জি আর্থারাইটিক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চিনা বাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা
আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে প্রতিরোধ করে। ফলে আপনি যদি নিয়মিত আপনার
খাদ্য তালিকায় চিনাবাদাম রাখেন তাহলে খুব সহজে আপনার শরীরের রোগ প্র প্রতিরোধ
ক্ষমতা উন্নত হবে ফলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা
পাবেন।
ওজন কমাতে: ওজন কমানোর জন্য আমাদের শরীরে প্রয়োজন কিছু ভালো ফ্যাট যা
শরীর হতে চর্বি কাটাতে সহায়তা করবে। চীনা বাদামে রয়েছে গুড ফ্যাটি অ্যাসিড,
প্রোটিন ও ফাইবার যা আমাদের ওজন কমানোর প্রসেসে অনেক বেশি সহায়তা করে।
ত্বক সুস্থ: ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনা বাদাম নিয়মিত খেলে আপনার
স্তরের স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা, উজ্জ্বল, ও বিভিন্ন ধরনের
সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে। এছাড়াও এতে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো
আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থা হাইড্রেট রাখে এবং ত্বকে গ্লো এনে দেয়।
দাঁত ও হাড় মজবুত: সিনেমা নামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রন
ম্যাঙ্গানিজ ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দাঁতের বিভিন্ন রোগ যেমন দাঁতের ক্ষয়,
টাভিটি, মাড়ি ফুলে যায় ইত্যাদি খুব সহজেই সমাধান করতে সাহায্য করে অপরদিকে চিনা
বাদামে উপস্থিত ফসফরাস এবংএ অন্যান্য সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের হাড়রের ক্ষয়
অনুরোধ করতে অনেক বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: চিনা বাদামে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,
ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান খুব সহজে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা
করে।
পাকস্থলী ক্যান্সার প্রতিরোধ: চিনা বাদাম পাকস্থলী ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে
লড়াই করে। পলিফেলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চিনা বাদামে উচ্চমাত্রায় উপস্থিত থাকে
যা পাকস্থলী ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বাদামে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন ই আর
ভিটামিন ই আমাদের শরীরের থাকা কণাগুলো মধ্যে ছড়িয়ে কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
সহায়তা করে ফলে শরীরে কোন ক্ষত হলে তা যেন দ্রুত সেরে যায়। এজন্য আপনার শরীরে
ভিটামিন ই এর ঘাটতি মেটানোর জন্য এবং কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত চীনা
বাদাম খেতে পারেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার
নিয়ম এরমধ্যে চিনা বাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত
হয়েছেন। আশা করে চিনা বাদাম সম্পর্কে আপনাদেরকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পেরেছি। চিনা
বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম মধ্যে চিনা বাদামের
অপকারিতা, নিয়ম ও চীনা বাদাম সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য জানতে সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
চিনা বাদামের অপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে এখন আমরা চিনা
বাদামের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা
করব। কোন খাবার সেটা যত বেশি স্বাস্থ্য উপকারী বা পুষ্টি উপাদানের ভরপুর হোক না
কেন সে খাবারটি যদি আপনি
অতিরিক্ত বা সঠিক নিয়ম এবং পরিমাণে না খান তাহলে আপনি সে খাবারের উপকারিতা তো
পাবেন না বরং স্বাস্থ্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন হবে তাই চলুন চিনা বাদামের ৩০টি
উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে চিনা বাদামের সঠিক উপকারিতা
পাওয়ার জন্য চিনা বাদামের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
- অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রা অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে হজম ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে ফাইটিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় আর আমরা জানি ফাইটিক অ্যাসিড নিজে সরাসরি হজম হতে পারে না হলে আমাদের হজম ক্রিয়াকেও বাধা সৃষ্টি করে থাকে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অত্যাধিক পরিমাণে চীনা বাদাম খেলে চীনা বাদাম আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণে বা প্রবেশে বাধা প্রদান করে এবং মিনারের শোষণ কমে দেয় যেমন আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি এর কারণ এতে থাকা ফাইটিক এসিড।
- যে সকল ব্যক্তির অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ওঠা নামা করে, বাদামে এলার্জি, আর্থাইটিস, হার্টের রোগ,শ্বাসকষ্টে, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা বা রোগ রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে সিনেমাদান খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এতে থাকা ওমেগা ৬ ফ্যাটি এ সকল রোগ বাড়াতে পারে।
- এলার্জি সমস্যা যাদের বাদামে কিংবা বিদেশে জাতীয় খাবারে এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই চীনা বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- আপনি যদি ওজন কমানোর প্রসেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই সাবধানে ও এবং সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করেই চিনা বাদাম খাবেন কারণ চীনা বাদামে থাকা ও তাদের পরিমাণে ফ্যাট ও ক্যালরি ওজন দ্রুত বাড়াতে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।
- পূর্বে আমরা জেনেছি চিনা বাদামে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা মূলত ওমেগা ৬। এ সকল পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে শরীরের সাথে এগুলো বিক্রিয়া করে টক্সিন সৃষ্টি করে। এর জন্য অবশ্যই আমরা নির্দিষ্ট মাত্রায় চিনা বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করব।
- ব্লাড প্রেসার এর রোগী অত্যাধিক পরিমাণে চীনা বাদাম খেলে বাচিনা বাদাম লবন দিয়ে ভেজে খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে এতে থাকা ফেনোলিক যৌগ ট্যানিন ও ফাইবার ইত্যাদি পরিপাকতন্ত্রের হজম ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারেফেনোলিক।
- থাইরয়েড রোগীদের অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য এ সকল রোগী অবশ্যই অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে কারণ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চিনা বাদাম খান তাহলে এতে থাকে ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড শরীরের প্রবেশ করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডেকে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি হরমোন কনভার্ট করে। ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার
নিয়ম এর মধ্যে চিনা বাদামের অপকারিতা সম্পর্কে বা শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে উপকারিতা ও অপকারিতা জানা ছাড়াও চিনা বাদাম খাওয়ার
সঠিক নিয়ম এবং চিনা বাদাম সম্পর্কে বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য জানতে সম্পন্ন পোস্ট
করার বিশেষণ অনুরোধ রইল।
চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে এখন আমরা চিনা
বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা থেকে আপনাদেরকে জানানোর
চেষ্টা করব। চিনাবাদাম এর চিনা বাদামের সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে আপনাকে
অবশ্যই চিনা বাদাম সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে তা না হলে কখনো আপনি সে পুষ্টি
উপাদানের ভরপুর খাবারের সঠিক উপকারিতা পাবেন না তাই চলুন দেরি না করে চিনা
বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে চিনা বাদাম খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই
- আপনি যদি চিনা বাদাম কাঁচা খান তাহলে এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া শারীর বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করতে পারে আবার আপনি যদি তা ভেজে খান তাহলে এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণ আগুন নষ্ট হয়ে যায় এর জন্য চিনা বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম এবং উপকারী ও স্বাস্থকারী পদ্ধতি হচ্ছে ভিজিয়ে খাওয়া। বিভিন্ন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের মতে চিনাবাদাম রাতে ভিজে সকালে উঠে নাস্তায় খেতে পারেন।
- চিনা বাদাম রাত্রে ভিজে সকালে খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আধাঘন্টা কিংবা এক ঘণ্টা হাঁটাচলা করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং প্রত্যেকটি দানা ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- চিনা বাদাম অনেকদিন ধরে স্টোর করে রাখা হয় ফলে এর খোসার উপরে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জন্ম নেয়। ভিজিয়ে রাখলে সে সকল দূষিত জীবানু ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়।
- পানিতে আপনি যদি চিনা বাদাম ভিজিয়ে রাখেন তাহলে এতে থাকা ফাইটিক এসিডের পরিমাণও কমিয়ে আসে আর আমরা জানি ফাইটিক এসিড আমাদের শরীরে খনিজ ও মিনারেল জাতীয় পদার্থ প্রবেশে বাধা প্রদান করে।
- বিশেষজ্ঞদের মতে চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পর অন্তত ১৫ মিনিট পরে পানি খাওয়া উত্তম।
- অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খেলে আমাদের বদহজমের মত সমস্যা সৃষ্টি হয় যা মূলত বাদামে থাকা ফেনোলিক যৌগ ট্যানিন এর কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চিনাবাদাম ভিজিয়ে রেখে খান তাহলে এ ক্ষতিকারক উপাদানের মাত্রা অনেকটা কমে আসে ফলে পরিপাকতন্ত্রে হজমের তেমন কোনো সমস্যা বা জটিলতা সৃষ্টি হয় না।
- এর যেকোনো এক সময় একটি শসা ও কিছু ভেজানো চিনা বাদাম খান দেখবেন কিছুদিনের ভিতরে আপনার অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
- এছাড়াও চিনা বাদাম বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে যুক্ত করেও খেতে পারেন এতে বাদামের গুনাগুন ও পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি বেড়ে যায়। যেমন পোলাও, ফিরনি, আইসক্রিম,পায়েস ইত্যাদি।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন এই চিনা বাদাম
সম্পর্কে শুধুমাত্র চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে চিনা বাদাম সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা
অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও চিনা বাদাম সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় গুলো
বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- চিনা বাদামের পুষ্টি গুনাগুন
- গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়
- চিনাবাদাম কতটুকু খাওয়া উচিত
- কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের পুষ্টি গুনাগুন
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে
জানলাম কিন্তু আমরা যে চিনা বাদাম খাব কিন্তু চিনা বাদামের পুষ্টি গুনাগুন কি
পরিমানে রয়েছে তা কি আপনারা জানেন। চিনা বাদামের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে সঠিক
ধারণা থাকলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে কোন পুষ্টি উপাদানের
প্রয়োজন এবং আপনি চীনা বাদাম থেকে তা সঠিক পরিমাণে পাবেন কিনা। তাই চলুন চিনা
বাদামের পুষ্টি গুনাগুন গুলো জেনে নিন-
১০০ গ্রাম চিনা বাদাম থেকে আমরা পাই,
- খনিজ- ২.৯ গ্রাম
- আশ- ১.৭ গ্রাম
- ক্যালোরি- ৬৫৫
- প্রটিন- ২০.৮ গ্রাম
- তেল- ৫৮.৯ গ্রাম
- শর্করা- ১০.৫ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম- ২৩০ মিলি গ্রাম
- লৌহ- .৫ মিলি গ্রাম
চিনা বাদামে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
- মনো অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটস
- পলি অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটস
- প্রোটিন
- ডায়েটারি ফাইবার
- ফ্যাটি অ্যাসিড
- ফাইবার
- কার্বোহাইড্রেট
- লিউটিন
- জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স
- মিনারেলস যেমন
- ক্যালসিয়াম
- পটাশিয়াম
- ফসফরাস
- ম্যাগনেশিয়াম
- আয়রন জিংক
- ম্যাঙ্গানিজ
- কপার
- সেলেনিয়াম
গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত
আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনেছি কিন্তু আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হন এবং চীনা
বাদাম খেতে চান তাহলে গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা
আপনার অত্যন্ত জরুরী। গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী গর্ভবতী
মহিলা ও গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য।
চিনা বাদামে যে পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে তা মূলত আখরোট যা অতি মূল্যবান একটি বাদাম
এতেও সে পরিমাণ রয়েছে। ছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন ভিটামিন
বি১, বি ৪, বি ৫, বি ৬, সি ও ই এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,
পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান ভরপুর রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
চিনা বাদামে থাকা ফোলেট, প্রোটিন ও ফলিক অ্যাসিড গর্ভে থাকা বাচ্চার মানসিক
বিকাশ, দৈনিক বেড়ে ওঠা এবং একজন মহিলার জন্ম অক্ষমতা ও মেরুদন্ডের বিভিন্ন
সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া একজন গর্ভবতী মহিলা যদি তার ডায়েটে
বা খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কিনা বাদাম রাখে তাহলে চীনা বাদামে থাকা ম্যাঙ্গানিজ
গর্ভে থাকা শিশুর হাড় মজবুত, স্বাস্থ্যকর বিকাশ ও গর্ভবতী মহিলার হাড়ের বিভিন্ন
সমস্যা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
গর্ভ অবস্থায় অনেক সময় অনেক গর্ভবতী মহিলার রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মত
সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর জন্য গর্ব অবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে প্রচুর পরিমাণে
এমন খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি যেন শরীরে রক্ত উৎপাদন দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। আর
এ রক্ত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন আয়রন জাতীয় খাবার আর আর চিনাবাদাম আয়রনের অনেক
ভালো একটি দুর্দান্ত উৎস।
ফলে গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলা যদি তার খাদ্য তালিকায় চীনবাদাম যুক্ত করে
তাহলে অ্যানিমিয়া মত সমস্যা থেকে খুব সহজেই দূরে থাকতে পারবে। তবে সকল গর্ভবতী
মহিলার গর্ভ অবস্থা বা পরিস্থিতি একরকম নয় এছাড়া গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলে গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা যতই বেশি হোক
না কেন চিনা বাদাম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার ডক্টরের সাথে পরামর্শ নিয়েই চিনা
বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানেন চলুন জানি। রাত্রে একমুঠো চিনা বাদাম ভিজে সকালে
খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে দেখবেন ম্যাজিকের মত আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে।
ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ব্লাড প্রেসার, মস্তিষ্কের ক্ষমতাহীনতা থেকে শুরু করে,
হারের ব্যথা সব কিছুরই যম হলো এই বাদাম। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার প্রোটিন ক্যালসিয়াম, সেলোনিয়াম,, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
অ্যামাইনো এসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টি উপাদান।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেলে এতে থাকা ফসফরাস আমাদের
হাড়ের স্বাস্থ্যের সমস্যায়, হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা
ইত্যাদি সারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিশু বয়স থেকে বাচ্চাদের নিয়মিত একমুঠো
ভেজানোর চিনা বাদাম খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি ও মানসিক বিকাশ দ্রুত বৃদ্ধি পায়
গবেষণায় দেখা গিয়েছে,
সাধারণ মানুষের তুলনায় চিনা বাদাম খাওয়া মানুষের কগনিটিক পাওয়ার অর্থাৎ মেধা
শক্তি বা স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি ভালো হয়। চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়,
বার্ধক্য জনিত অর্থাৎ বয়সের আগে বয়সের ছাপ ত্বকে পড়া রোধ করা, হজম শক্তি
বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরলের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চিনা বাদামে থাকা ফাইবার, প্রোটিন,
ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি টু ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম এ সকল
পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে মুক্তি এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনের
চাহিদা মেটায়, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্ত সরবরাহ
করতে সাহায্য করে এছাড়াও মরণব্যাধির রোগ ক্যান্সার হতেও সুরক্ষা প্রদান করে থাকে
এই চিনা বাদাম। তাই আপনারা খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন খালি পেটে চিনা বাদাম
খাওয়ার উপকারিতা জেনে।
চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ইতোমধ্যে উপরুক্ত আলোচনা থেকে আমরা সকলে জেনেছি
কিন্তু সিনেমা দাম খাওয়ার সঠিক সময় অর্থাৎ আপনি কখন খেলে এর সঠিক উপকারিতা টা
পাবেন তা সম্পর্কে চিনা বাদাম খাওয়ার পূর্বে জানা অত্যন্ত জরুরী
তাই চলুন দেরি না করে চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় জেনে নেই। চিনা বাদাম খাওয়ার
সঠিক সময় হল সারাদিনে যে কোন সময় যেকোনো সময় চেনা বাদাম খান এটি আপনাকে সমান
উপকারিতা দেবে। চিনা বাদাম খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
শাস্ত্র ও মর্ডান সাইন্স একই কথা বলছে,
চিনা বাদামের থেকে যদি আপনি একটা হেলথ বেনিফিট পেতে চান তাহলে অবশ্যই চিনা বাদাম
দিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপরে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। চিনা বাদাম খাওয়ার পরে
একটি বিষয় বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন সেটি হলো বাদাম খাওয়ার পরপরই পানি না খাওয়া।
এটা সকল খাবারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তবে চেনা বাদামের ক্ষেত্রে একটু বেশি।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
চিকিৎসকের মতে চিনা বাদাম খাওয়ার পর শরীর গরম হয়ে যায় তাই সাধারণত শীতকালে
চিনা বাদাম বেশি পরিমাণে কিনতে পাওয়া যায়। বাদাম খেলে শরীরের ভেতরে যে তাপ
উৎপন্ন হয় সে তার কিছুটা শরীরকে গরম করে আবার পানি খেলে শরীর হয়ে যায় ঠান্ডা।
বাদাম খেয়ে পানি খেলে সর্দি বা ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আবার বাদামের যেহেতু তেল থাকে পানি খাওয়ার পরে তেল ও পানি মিলে খাদ্যালিতে ফ্যাট
জমা করতে পারে ফলে আপনার তাৎক্ষণিক কাশি, এলার্জি, হাঁপানির মত সমস্যা সৃষ্টি হতে
পারে এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণে চুলকানিও হতে পারে। এর জন্য অবশ্যই বাদাম খাওয়ার
পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে পানি খাওয়া উত্তম।
চিনাবাদাম কতটুকু খাওয়া উচিত
ইতোমধ্যে আমরা চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম,
গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও চিনা বাদাম সম্পর্কে বিভিন্ন
তথ্য জানলাম কিন্তু চিনাবাদাম কতটুকু খাওয়া উচিত তা কি আমরা জানি। আপনি কি জানেন
চিনা বাদাম সঠিক পরিমাণে না খেলে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে যার কারণে
চিনা বাদাম খাওয়ার পূর্বে আপনাদের চিনাবাদাম কতটুকু খাওয়া উচিত অর্থাৎ চীনা
বাদাম খাওয়ার সঠিক পরিমাণ টা কি তার সম্পর্কে অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন
সঠিক উপকারিতা পাওয়ার জন্য চিনা বাদাম কতটুকু হওয়া উচিত তার সম্পর্কে জেনে নিন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তার এক্টিভিটি এবং স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে
প্রতিদিন ২৮ গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম চীনা বাদাম নিয়ে দ্বিধায় নিশ্চিন্তে খেতে
পারে। এক্টিভিটি বলতে আপনি যদি ধরুন প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে এক্সারসাইজ করছেন
বা জিমে যাচ্ছেন ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি আপনার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে সেক্ষেত্রে
আপনি ৫০ গ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন। আপনি যদি
কোন রোগের জন্য চিনা বাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে ২১ দিনের বেশি খাবেন না। কিন্তু এটি
এত বেশি একটি উপকারী খাবার যা আপনি ২১ দিন পর পুনরায় একইভাবে একই নিয়মে খেতে
পারেন। এছাড়াও আপনি যদি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য খেতে চান তাহলে
একদিন পরপর বা বা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন খেতে পারেন।
কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানলাম
কিন্তু কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা না হাজা বাদাম খাওয়া উপকারী এ
সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে অনেক মতভেদ ও প্রশ্ন রয়েছে। মূলত কাঁচা বাদাম কিংবা ভাজা
বাদাম অথবা ভেজানো বাদামের মধ্যে সর্বোত্তম বাদাম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ভিজিয়ে
রেখে খাওয়া।
তবে কাচা বাদামে যে পুষ্টি উপাদান বা উপকারী নেয় তা নয়। অনেক বেশি পুষ্টি
উপাদান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে কিছু কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ক্ষতির
কারণ। কাঁচা চিনা চিনাবাদাম খেলে হজম ক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে কারণ কাঁচা
চিনা বাদামে ফাইটিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে আমরা জানি
ফাইটিক অ্যাসিড নিজে সরাসরি হজম হতে পারে না হলে আমাদের হজম ক্রিয়াকেও বাধা
সৃষ্টি করে থাকে ফলে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি
সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনার যদি হজম জনিত কোন সমস্যা না থাকে তাহলে উপরোক্ত
উপকারিতা গুলো আপনি খুব সহজেই পাবেন নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে।
ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা
বিস্তারিত উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি কিন্তু আপনি ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে কি জানেন। ভাজা চিনা বাদাম খেলেও আপনি উপরোক্ত স্বাস্থ্য উপকরণ
গুলো খুব সহজেই পাবেন। তবে ভাজা ছিনা বাদাম খেলে আপনি
চিনা বাদামের পুষ্ট গুণাগুণ গুলো সামান্য কম পাবেন কারণ বাদাম ভাজার কারণে পুষ্টি
উপাদান গুলো কিছুটা নষ্ট হয়ে যায় এছাড়া আপনি যদি চিনা বাদাম ভাজার সময় কিংবা
খাবার সময় লবণ সহকারে খান তাহলে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মত সম্ভাবনা বেড়ে
যায়। কিন্তু ভাজা চিনা বাদাম অনেক বেশি সুস্বাদু ও মুখ্যরচক হওয়ায় অনেকেরই
বেশি পছন্দ। এর জন্য আপনি যদি ভাজা চিনা বাদাম খান তাহলে এর উপকারিতা পাবেন
কিন্তু এর পুষ্টি উপাদান কিছুটা কমে যাবে।
চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম মধ্যে আপনি যদি
শুধুমাত্র চিনা বাদামের উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন চিনা
বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ভাজা কিংবা কাঁচা এই দুই নিয়মে চিনা
বাদাম এ আপনি যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পাবেন তার চাইতে দ্বিগুণ পরিমাণে অর্থাৎ
চীনা বাদামের আসল স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনি চিনা বাদাম ভিজিয়ে খেলে পাবেন। আপনি
যদি কাঁচা চিনা বাদাম খান তাহলে এতে থাকা ফোলেট এর কারণে বদহজমের সমস্যা হতে পারে
আবার আপনি যদি ভেজে খান তাহলে এর পুষ্টি উপাদান অনেকটা কমে যাবে অপরদিকে আপনি যদি
সিনেমা দান ভিজিয়ে খান অর্থাৎ
রাত্রে ভিজে সকালে খান তাহলে আপনি এতে সামান্য কিছু ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে
সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ফলে আপনি শুধুমাত্র চিনা বাদামের উপকারিতা পাবেন।
চিনাবাদাম কাঁচা কিংবা ভাজা খেলে আমাদের বদহজমের মত সমস্যা সৃষ্টি হয় যা মূলত
বাদামে থাকা ফেনোলিক যৌগ ট্যানিন এর কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চিনাবাদাম
ভিজিয়ে রেখে খান তাহলে
এ ক্ষতিকারক উপাদানের মাত্রা অনেকটা কমে আসে ফলে পরিপাকতন্ত্রে হজমের তেমন কোনো
সমস্যা বা জটিলতা সৃষ্টি হয় না। এছাড়াও চিনা বাদাম অনেকদিন ধরে স্টোর করে রাখা
হয় ফলে এর খোসার উপরে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জন্ম নেয়। ভিজিয়ে
রাখলে সে সকল দূষিত জীবানু ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়। আশা করি উপরুক্ত আলোচনা
থেকে আপনি ক্লিয়ার হয়েছেন চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
লেখক এর মন্তব্য-চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের চিনা বাদামের ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম, গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি
ছাড়াও চিনা বাদাম সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে
জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার
আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url