পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি। এছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক খাওয়ার নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং পান্তা ভাত এর সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি ছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে বিভিন্ন জানা অজানা ব িভিন্ন তথ্য। দক্ষিণপূর্ব এশায় যে সকল অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপন্ন হয় এবং যে সকল দেশে ভাত প্রধান খাবার মূলত সে সকল দেশে পানিতে ভাত ভিজিয়ে খাওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে।
এসব এলাকায় আবহাওয়া অত্যন্ত গরম ও আর্দ্র হওয়ার কারণে ভাত খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণে এই খাবার দ্রুত নষ্ট হয় না। মূলত সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করেই এ পান্তা ভাতের প্রচলন শুরু হয়। পানির ভেতরে ভিজিয়ে রেখে যে পান্তা ভাত তৈরি করা হয় সেই পান্তা ভাত এবং পান্তা ভাতের পানি যদি আমরা নিয়মিতভাবে খেতে পারি

প্যানক্রিয়াটিক অ্যামাইলেজেন্ট এর মত উৎতচ্ছে এর কার্যকারিতাও বেড়ে যায় যেটি আমাদের শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে। তাই বিজ্ঞানী মহল পান্তা ভাতকে গরম ভাতের থেকে বেশি স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত করেছে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় নিয়ে আলোচনা করছি না,

পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ, পান্তা ভাত কখন খাওয়া উচিত?, পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয়, প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয়, পান্তা ভাত খেলে কি গ্যাস হয়, পান্তা ভাতে কত ক্যালরি, পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে কেন? ইতালি ছাড়াও আরো পান্তা ভাত সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করেছি। তাই আশা করি পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ছাড়াও নিম্নে পান্তা ভাত সম্পর্কে লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

আজ আমি আপনাদের মাঝে বাঙালির ঐতিহ্য ও বাঙালি হওয়ার প্রতীক পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করব। পান্তা ভাতের উপকারিতা নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন প্রবাদ বাক্য রয়েছে যেমন ধরুন, পান্তা ভাতের জল ৩ পুরুষের বল আবার অনেকে বলে থাকেন পান্তা ভাতের থালা পুষ্টিগুণের মালা আবার কেউ কেউ বলে থাকেন পান্তা ভাতের গ্রাসে সুস্থ জীবন হাসি।

এ পান্তা ভাত এমন একটি খাবার বিশেষ করে বাঙ্গালীদের জন্য, যে একবার খেয়েছে তার কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয় খাবার হয়ে গিয়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু পূর্বপুরুষদের এই বানানো এ সকল ছড়া বা প্রবাদগুলো কতটা যুক্তিযুক্ত ও কতটা অর্থবহ, কি বলছে বিজ্ঞানী মহল পান্তা ভাত কি সত্যি শরীরের জন্য উপকারী।

পান্তা ভাত যদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয় তাহলে কেন উপকারী। এ সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজ আমি আপনাদের মাঝে পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক ছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে আপনাদের মাঝে জানা অজানা খুঁটিনাটি বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
পান্তা ভাতের উপকারিতা

পান্তা ভাতের উপকারিতা

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে প্রথমে আমরা পান্তা ভাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। পান্তা ভাত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী বলে আমরা কিন্তু পান্তা ভাত কখনোই বানায় না। আমাদের রাত্রের বেঁচে যাওয়া ভাত সংরক্ষণ করে রাখার জন্যই আমরা ভাতে পানি ঢেলে রাখি পরের দিন তা পান্তা ভাতে রূপান্তরিত হয়।

এর কারণ ভাত এবং পানি একসাথে রেখে দেওয়ার জন্য বা ভাত পানির ভিতরে ডুবে থাকার জন্য ভাতগুলি অক্সিজেনের সংস্পর্শে যেতে পারে না যার ফলে ভাতগুলোতে ফার্মেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এই গাজন প্রক্রিয়া বা ফার্মেন্টেশন শুরু হলে ভাতের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আবির্ভাব হয় তার নাম হলো ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া(Lactobacillus Bacteria)।
এই ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এই ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে এক ধরনের কম্পাউন্ড রয়েছে পান্তা ভাতের মধ্যে যার নাম হলো ফাইটেড(Phytate)। এই ফাইটেড আমাদের শরীরে কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা এন্টি ক্যান্সার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

কিন্তু ভাতের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টিগুণকে দমন করে রাখে এই ফাইটেড। এই ল্যাকটোব্যাচেলার সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে ফাইটেড ভেঙ্গে যায় আর এই ফাইটেড ভেঙে যাওয়ার কারণে ভাতের মধ্যে যে সমস্ত পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে সে পুষ্টিগুণ গুলো কয়েক গুণ বেশি বেড়ে যায়। আর এজন্যই কিন্তু পান্তা ভাত আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

এছাড়াও প্রথম ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি বিভাগ পান্তা ভাত নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা চালিয়ে পান্তা ভাতের চমকপ্রদক বিভিন্ন উপকারিতা পেয়েছে। তাই চলুন দেরি না করে পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে পান্তা ভাত নিয়মিত খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য চমকপ্রদক যে সকল উপকারিতা হবে অর্থাৎ পান্তা ভাতের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেই-

হজম শক্তি বৃদ্ধি: নিয়মিত যদি আমরা পান্তা ভাত খেতে পারি তাহলে পান্তা ভাতের মধ্যে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার নাম হলো ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া। আর এই ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া ভাতের সঙ্গে আমাদের পেটের মধ্যে প্রবেশ করে। যার ফলে এই ল্যাকটোব্যাচেলাস ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে আমাদের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তাই প্রতিনিয়ত আপনি যদি আপনার পেটের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করছেন ফলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার, কোষ্ঠকাঠিন্যের, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ইরেটেবল বাউল সিস্টেম বা আই বি এস এর মত সমস্যা রয়েছে তাহলে আপনি কিন্তু নিয়মিত পান্তা ভাত খেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিতভাবে পান্তা ভাত খান তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাস্ট্রোইন্টাসস্টিনাল সিস্টেমের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

ত্বক ও চুলের পুষ্টি যোগায়: পান্তা ভাতকে ত্বকের সৌন্দর্যের বৃদ্ধের রহস্যকারী খাবারও বলা হয়। কারণ এটি আমাদের শরীরে মোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে পান্তা ভাত ফলের ত্বক মসৃণ, টানটান ও ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বেরিয়ে আসে। এছাড়াও চুলের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে পান্তা ভাতে যা চুলকে সিল্কি চুল ওঠা বন্ধ করতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া রোগের ক্ষেত্রে: পান্তা ভাতের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন এ আইরন আমাদের শরীরে আর বি সি বা লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি অ্যানিমিয়া রোগের পেশেন্ট হয়ে থাকেন বা অ্যানিমিয়ার মত রোগে ভুগছেন আপনি কিন্তু নিয়মিতভাবে পান্তা ভাত খেতে পারেন। এছাড়াও পান্তা ভাতের মধ্যে থাকা আইরন আমাদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে: ফার্মেন্টেশন বা গাজর প্রক্রিয়ার কারণে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তা ভাতে সে ফ্যাটের পরিমাণ কয়েক গুণ কমে যায় ফলে ওজন কমাতে পান্তা ভাত অনেকটা সাহায্য করে। তবে অবশ্যই তা সঠিক মাত্রায় খেতে হবে ১ থেকে ১.৫ কাপ ভাত খাওয়া উচিত।

হাড় মজবুত: পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে পান্তা ভাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে হাড় মজবুত করা। পান্তা ভাতের মধ্যে থাকা ভরপুর ক্যালসিয়াম আপনার হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যে সমস্ত বিভিন্ন প্রকার হাড়ের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন-অস্ট্রিওপোরোসিস, অস্টিওজেনেসিস ইনপারফেক্ট ইত্যাদির মত সমস্যা থেকে কিন্তু আপনি অনেকটাই দূরে থাকতে পারবেন।

এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি: পান্তা ভাতের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকারের এনজাইম বা উৎচ্ছেসক এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আরে এনজাইম আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে লাগে যেমন ধরুন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে, আমাদের খাবার হজম হতে, আমাদের মাংসপেশী বা নার্ভকে ভালোভাবে ফাংশনিং ইত্যাদি করতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন প্রদাহ কম করতে: পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পান্তা ভাতের উপকারিতা হচ্ছে শরীরে বিভিন্ন প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া রোধ করা।পান্তা ভাতের মধ্যে দুই ধরনের এসেনশিয়াল কম্পাউন্ড রয়েছে একটির নাম হল বিটা-স্টাস্টোরল(Beta Sitosterol) এবং আরেকটি হল ক্যাম্পেস্ট্রল(Campesterol)। আর এই বিটা-স্টাস্টোরল এবং ক্যাম্পেস্ট্রল আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকারের প্রদাহ এবং ব্যথা বেদনা কম করতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল কমাতে: পান্তা ভাতে থাকা এসেনসিয়াল কম্পাউন্ড বিটা-স্টাস্টোরল(Beta Sitosterol) এবং ক্যাম্পেস্ট্রল(Campesterol) আমাদের শরীরের টোটাল কোলেস্ট্রল এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য। যার ফলে আমাদের হার্ট ও সুস্থ থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে: ইসোরামেটিন-৭-o-গ্লুকোসাইড ফ্লাভোনয়েডের(Isorhamnetin-7-o-Glucoside Flavonoides) এই নামে এক ধরনের কম্পাউন্ড রয়েছে পান্তা ভাতের মধ্যে। আর এই কম্পাউনটি আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আমাদের শরীরে কোন ক্যান্সার সেল থেকেও থাকে সে ক্যান্সার সেলের সাথে লড়াই করতে সক্ষম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পান্তা ভাতের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি ৬, ভিটামিন ডি ১২, প্রোটিন এর সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম পাওয়ারকে বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনি নিয়মিতভাবে পান্তা ভাত খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

ব্লাড প্রেসার কমাতে: আমরা জানি সোডিয়াম আমাদের ব্লাড প্রেসার বাড়াতে বা রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম। তাই যে সমস্ত মানুষরা নিয়মিতভাবে ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন সে সমস্ত মানুষদের বলা হয় তারা যত সম্ভব সোডিয়াম জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। পান্তা ভাতের মধ্যে সোডিয়াম ৩০৩ মিলিগ্রাম এবং গরম ভাতের মধ্যে সোডিয়াম ৪৭৫ মিলিগ্রাম রয়েছে।
যেহেতু গরম ভাতে তুলনায় পান্তা ভাতে সোডিয়ামের মাত্রা কম রয়েছে এবং তার সাথে সাথে পান্তাভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আর এই পটাশিয়াম আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম কে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি হাই প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে কিন্তু আপনি নিয়মিত ভাবে পান্তা ভাত খেতে পারেন আপনার ব্লাড প্রেসার কে কন্ট্রোলে রাখার জন্য।

কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি: পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা ও কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কারণ এটি ফার্মেন্টেড বা গাজন প্রক্রিয়া যুক্ত খাবার।

অনিদ্রা দূর করতে: নিদ্রাহীনতা দূর করে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে পান্তা ভাত কারণ পান্তা ভাত যখন ফার্মেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়া রাখা হয় তখন এতে সামান্য কিছু অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ উৎপন্ন হয় ফলে শরীর ঝিমঝিম করে এবং ঘুম ভালো হয়।

শরীরের সতেজ ও ঠান্ডা রাখতে: পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে আপনি যদি বলেন পান্তা ভাতের ইনস্ট্যান্ট বা দ্রুত কার্যকারী উপকারিতা হচ্ছে শরীরকে সতেজ ও ঠান্ডা। শর্করা সমৃদ্ধ জলীয় খাবার ফলে শরীর ঠান্ডা, পানির অভাব মেটায়, শরীরের তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ রাখে ও সতেজ থাকে সাহায্য করে যার কারণে

পান্তা ভাতকে প্রাকৃতিক কুলার বলেও আখ্যায়িত করা হয় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জাদুর মতো কাজ করে বিধায়। পান্তা ভাতের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ইত্যাদি আর এগুলো পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরের সতেজ ও ঠান্ডা রাখে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস: টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সহায়তা করে পান্তা ভাত। পান্তা ভাতে গ্লাইসিমিক ইনডেক্স এর পরিমাণ খুবই অল্প পরিমাণ রয়েছে আর আমরা জানি যে সকল খাবারে গ্লাইসিমিক ইন্ডেক্স এর পরিমাণ বেশি রয়েছে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: এসেনসিয়াল কম্পাউন্ড বিটা-স্টাস্টোরল এবং ক্যাম্পেস্ট্রল আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্ট্রোল মাত্রা কমিয়ে ভালো কোস্টারের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে আর এই আর এই দুইটি কম্পাউন্ড পান্তা ভাতে রয়েছে যার কারণে পান্তা ভাত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

বার্ধক্য দূর করতে: ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হতে সুরক্ষা প্রদান করে এবং এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল অল্প বয়সে বাধ্যকে ছাপ পড়তে বাধা প্রদান করে।

রুচি বৃদ্ধিতে: রুচিবর্ধক হিসেবে কাজ করে পান্তা ভাত। পানিতে ভাত ভিজিয়ে রাখার জন্য যেহেতু এর পুষ্টিগুণ আগুন কয়েক গুণ বেড়ে যায় এবং এর সাথে বিভিন্ন ধরনের রুচি বর্ধক খাবার মিশিয়ে যেমন পেঁয়াজ, মরিচ, ডিম, মাছ ভাজা ইত্যাদি

প্রবায়োটিকের ভূমিকা: এমন দুইটি খাবার রয়েছে যে দুইটি খাবারে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এবং সে ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি হলো দই এবং অন্যটি হলো পান্তা ভাত। পান্তা ভাত এবং দই এ প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া মাত্রা বৃদ্ধি করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আমরা জানি অ্যান্টিঅক্সিন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। আর পান্তা ভাত এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় আমাদের শরীর থেকে খুব সহজেই ফ্রি রেডিকেল গুলো বের করে শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

ইনফ্লামেশন দূর করতে: বর্তমানে আমাদের অনেকেরই খাদ্যাভ্যাস সঠিক না থাকার কারণে বাইরের বিভিন্ন ধরনের খাবার আমরা গ্রহণ করি। যার কারণে আমাদের শরীরে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লামেশন এর সৃষ্টি হয় কিন্তু নিয়মিত পান্তা ভাত খেলে পান্তা ভাতের অ্যান্টি ইনফ্লামেশন গুণ শরীরে বাসা বাঁধা অজানা বিভিন্ন ইনফ্লামেশন রোধে বিশেষ সহায়তা করে।
পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে আশা করে পান্তা ভাতের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। তবে উপরোক্ত পান্তা ভাতের উপকারিতা ছাড়াও হাজারো পান্তা ভাতের উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা সম্ভব নয় তাই আপনাদের আংশিক পান্তা ভাতের উপকারিতা তুলে ধরলাম।
পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এরমধ্যে এতক্ষণ আমরা পান্তা ভাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু পান্তা ভাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানলেই হবে নানা বরং পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা বা শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি কি তার সম্পর্কেও আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন দেরি না করে পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক গুলো জেনে নেই-

  • গবেষণায় পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক তেমন কিছু পাওয়া যায়নি তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পান্তা ভাত খাওয়া ভালো বা ক্ষতিকর কিনা গবেষকরা এই নিয়ে এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
  • গবেষকদের মতে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পানি দিয়ে ভাত ভিজিয়ে রাখলে বা ফার্মেন্টেশন হলে সেখানে অ্যালকোহলের উপাদানের তৈরি হয় এবং সে ভাত খাওয়ার পর শরীর ঝিমঝিম করে এবং ঘুম ভাব হতে পারে।
  • এছাড়া পান্তা ভাত পরিষ্কার পাত্রে বা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভিজে রাখা না হয় তাহলে সেখানে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে এবং সে ভাত খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বলেছেন গবেষকরা।
  • পান্তা ভাত শুধুমাত্র বাঙ্গালী কিংবা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার নয় বা এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশে বাঙালির প্রতীক হিসেবে গণ্য নয় বিভিন্ন দেশেও এই পান্তা ভাত বিভিন্ন নিয়মে বা পদ্ধতিতে খাওয়া হয় যেমন ধরুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উড়িষ্যা, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ইত্যাদি স্থানে ও এ ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়া হয় তবে চীন ও জাপানেও পান্তা ভাত খাওয়া হয় কিন্তু বিভিন্ন প্রসেসিং ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি করে এর স্বাদ ও গন্ধ বাঙ্গালীদের পান্তা ভাতের থেকে অনেক বেশি আলাদা হয়।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন পান্তা ভাত সম্পর্কে শুধুমাত্র পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে পান্তা ভাত সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক ছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ
  • গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয়
  • পান্তা ভাত কখন খাওয়া উচিত?
  • পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয়
  • প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয়
  • পান্তা ভাত খেলে কি গ্যাস হয়
  • পান্তা ভাতে কত ক্যালরি
  • পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে কেন?

পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা উপযুক্ত আলোচনা থেকে জেনেছি কিন্তু পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ কি কি তা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন পান্তা ভাতের পুষ্ট গুনাগুন গুলো জেনে নেই।
পান্তা ভাত ও গরম ভাতের মধ্যে পুষ্টি গুণগত কি কি পার্থক্য রয়েছে অর্থাৎ পান্তা ভাতের মধ্যে এমন কি বেশি রয়েছে যার কারণে বিজ্ঞানী মহল গরম ভাতের তুলনায় পান্তা ভাতকে বেশি স্বাস্থ্যগুণ সম্পূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছে। তাই চলুন গরম ভাতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ রয়েছে নিম্নোক্ত থেকে জেনে নেই-

১০০ গ্রাম গরম ভাতের মধ্যে রয়েছে

  • আইরন-৩.৪ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম- ৩৫ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ২১ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম- ৪৭৫ মিলিগ্রাম
১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে রয়েছে

  • আইরন রয়েছে-৭২.৯১ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম-৮৩৯ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম-৮৫০ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম-৩০৩ মিলিগ্রাম
এছাড়াও পান্তা ভাতে রয়েছে পর্যাপ্ত মিনারেল যেমন

  • আইরন
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ফসফরাস
  • জিংক
বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে যেমন.

  • ভিটামিন বি ৬
  • ভিটামিন বি ১২
  • ভিটামিন কে
গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয়

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে পড়ে আশা করি অনেক বেশি উপকৃত হয়েছে কিন্তু আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হন এবং গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। পান্তা ভাত হল

ফরমানট্রেশন বা গাজন প্রক্রিয়ায় তৈরি একটি খাবার যা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পানিতে ভিজে রাখলে কিছুটা অ্যালকোহল জাতীয় উপাদান সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে যেহেতু গর্ভঅবস্থা অতি
সেনসিটিভ একটি পরিস্থিতি এর জন্য গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে পান্তা ভাত যে গর্ভে থাকা বাচ্চার কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করে তার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই তবে সতর্ক হিসেবে গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত একজন গর্ভবতী মহিলার খাওয়ার পূর্বে ডঃ পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত সবচেয়ে ভালো হয় এ অবস্থায় এটি এড়িয়ে চলা।
পান্তা ভাত কখন খাওয়া উচিত?

পান্তা ভাত কখন খাওয়া উচিত?

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানার পর হয়তো আপনি পান্তা ভাত খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হয়েছেন এবং পান্তা ভাত কখন খাওয়া উচিত? এ নিয়ে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। পান্তা ভাত খাওয়ার ঐতিহ্যবাহী নিয়ম হল

রাত্রের বেঁচে যাওয়া ভাত পরিষ্কার পাত্রে ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভাতগুলো ডুবিয়ে রাখা যেন হাতগুলো কোন ভাবে অক্সিজেনের সংস্পর্শে না আসতে পারে। এভাবে সারা রাত ঢেকে রেখে সকালে আপনার ইচ্ছামত আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাছ ভাজা,

বিভিন্ন রকমের বড়া, মরিচ, পেঁয়াজ ইত্যাদি সহকারে খাওয়া। তবে পান্তা ভাত রাত্রে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন যেহেতু এটি শর্করা সমৃদ্ধ জলীয় খাবার এবং এটি ইনস্ট্যান্ট শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ করে ফলে রাত্রে খেলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এজন্য রাত্রে খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয়

পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয়

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে আপনি যদি পান্তা ভাত খেতে চান এবং আপনার মনে প্রশ্ন জাগে পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয় তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। গরম ভাতে যে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে তা পান্তা ভাতের তুলনায় অনেক বেশি।
পান্তা ভাত সারারাত ভিজিয়ে রাখার জন্য বা ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার কারণে ফ্যাট ও কার্বোরেটের পরিমাণ অনেক বেশি কমে যায়। যার ফলে আপনি যদি ভাত ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় ভাত খেতে চান তাহলে গরম ভাতের তুলনায় পান্তা ভাত আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই ১ থেকে ১.৫ কাপের বেশি খাওয়া যাবে না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি পান্তা ভাত খেলে ওজন বাড়ে না বরং কমে।
প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয়

প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয়

ইতোমধ্যে আমরা পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু প্রতিদিন পান্তা ভাত খেলে কি হয় এটা কি আপনি জানেন। যেহেতু পান্তা ভাতের তেমন কোন ক্ষতিকারক দিক নেই বরং গরম ভাতে তুলনায় আমরা আগেই জেনেছি বিশেষজ্ঞদের মতে পান্তা ভাতে বেশি পুষ্টিগুণাগুণ ও

স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ফলে আপনি যদি প্রতিদিন পান্তা ভাত খেতে চান তাহলে আপনার শারীরিক কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না বরং উপরুক্ত পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক এর মধ্যে পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ছাড়াও হাজারো পান্তা ভাতের উপকারিতা পাবেন।

পান্তা ভাত খেলে কি গ্যাস হয়

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা পড়ে থাকলে অবশ্যই জানবো পান্তা ভাত খেলে কি গ্যাস হয়। পূর্বেই আমরা জেনেছি নিয়মিত যদি আমরা পান্তা ভাত খেতে পারি তাহলে পান্তা ভাতের মধ্যে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যার নাম হলো ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া।

আর এই ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া ভাতের সঙ্গে আমাদের পেটের মধ্যে প্রবেশ করে। যার ফলে এই ল্যাকটোব্যাচেলাস ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে আমাদের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিনিয়ত আপনি যদি আপনার পেটের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করছেন ফলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার,
কোষ্ঠকাঠিন্যের, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ইরেটেবল বাউল সিস্টেম বা আই বি এস এর মত সমস্যা রয়েছে তাহলে আপনি কিন্তু নিয়মিত পান্তা ভাত খেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিতভাবে পান্তা ভাত খান তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাস্ট্রোইন্টাসস্টিনাল সিস্টেমের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

পান্তা ভাতে কত ক্যালরি

ইতোমধ্যে আমরা পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু পান্তা ভাতে কত ক্যালরি রয়েছে এ সম্পর্কে ও সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। পান্তা ভাতের ক্যালরি মূলত চালের উপর নির্ভর করে আপনি যে চাল দিয়ে পান্তা ভাত তৈরি করবেন সে চালের ক্যালোরির পরিমাণ কত এর ওপরে এর ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সাধারণত এক কাপ পান্তা ভাতে ২০০-২৪২ ক্যালোরি পাওয়া যায়।
পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে কেন?

পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে কেন?

পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে জানার পর আপনি যদি পান্তা ভাত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে এবং আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে কেন? মূলত পান্তা ভাত তৈরি হয় ফরমেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যম দিয়ে। আর এই সময় পান্তা ভাতে ইথাইল অ্যালকোহল উৎপন্ন হয় যার কারণে আমাদের শরীর ঝিমঝিম ভাব হয় এবং ঘুম আসে।

লেখক এর মন্তব্য-পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের পান্তা ভাতের ২৫টি উপকারিতা ও পান্তা ভাতের ক্ষতিকর দিক, গর্ভাবস্থায় পান্তা ভাত খেলে কি হয় ইত্যাদি ছাড়াও পান্তা ভাত সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url