বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ইত্যাদি। এছাড়াও বোরহানিত
সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ
রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ছাড়াও বোরহানি সম্পর্কে আপনার
যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক
খাওয়ার নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং বোরহানির সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে
পারবেন।
ভূমিকা
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ইত্যাদি ছাড়াও বোরহানি
সম্পর্কে বিভিন্ন জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই খাবারের
প্রথম উৎপত্তি হলেও বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে কোন তেলাক্ত, ফ্যাট বা ভারী খাবার
আরো পড়ুনঃ
কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি বানানোর নিয়ম
যেমন- বিরিয়ানি, পোলাও, মাংস ইত্যাদি খাওয়ার পরে বোরহানি খাওয়ার প্রচলন চলে
আসছে। এই খাবারটি ছাড়া যেন বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। আর বোরহানি তৈরিতে
যে সকল উপকরণ ব্যবহার করা হয় সকল কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি
উপকারী যার কারণে এই খাবারের চাহিদা অনেক বেশি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি
এর গুনাগুন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি জাদুকরি কাজ করে। বিশেষ করে পেটের জন্য।
এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, হাড় মজবুত, পেট ঠান্ডা, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটানো, রুচি
বৃদ্ধি, ক্যান্সার প্রতিরোধক, ওজন নিয়ন্ত্রণ, রক্ত পরিষ্কার ইত্যাদি আরও হাজারো
স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে বোরহানি তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড
থাকে নিয়ে শুধু আলোচনা করছি না, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে, বোরহানি খেলে কি ওজন
বাড়ে, বোরহানি কতদিন ভালো থাকে, বোরহানির দাম কত ইত্যাদি ছাড়াও আরো বোরহানি
সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করেছি। তাই আশা করি বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ছাড়াও নিম্নে বোরহানি
সম্পর্কে লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি
আজ আমি আপনাদের মাঝে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি
সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। বোরহানি হচ্ছে টক দই দিয়ে তৈরি এক ধরনের সুস্বাদু
পানীয়। এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ঢাকা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামে আয়োজিত
বিয়ের খাবারের বোরহানি এখন একটি অপরিহার্য পানীয়।
আরো পড়ুনঃ টক দই এর ৪২ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এটি সাধারণত ভারী খাবার, যেমন-
বিরিয়ানি বা
পোলাও খাওয়ার পর পান করা হয়। বিয়ে বাড়ি বা হোটেলে অতিরিক্ত তেল যুক্ত মশলাদার
খাবার খেয়ে জিব্বা আড়ষ্ঠতা দূরীকরণে এটি খুবই কার্যকর। তাই চলো দেরি না করে
বেশি স্বাস্থ্য গুণসম্পন্ন বোরহানির, বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা থেকে জেনে নেই।
বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে আমরা প্রথমে
বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। বোরহানির হাজারো উপকারিতা রয়েছে কারণ
এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুনে ভরপুর উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় যার
শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে নিয়ে আসে তাই চলুন বোরহানি খাওয়ার ২৪টি
উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে প্রথমে বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনে নেই-
হাড় মজবুত: বোরহানি আমাদের অনেক স্বাস্থ্য উপকার করে থাকে। এতে রয়েছে
উচ্চমানের ক্যালসিয়াম, আমিষ, আয়রন যা আমাদের যা আমাদের হাড়ের গঠন ও ক্ষয়
পূরণে সাহায্য করে। এ
খনিজ সমৃদ্ধ: এতে খনিজ লবণ আছে বলে শরীরে খনিজ লবণে চাহিদা পূরণ করে।
সাময়িকভাবে বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা ও অরুচি অভাব দূর করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি
রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য হলো হজম
শক্তি বৃদ্ধি। বোরহানি মূলত আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট বা কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ খাবার দ্রুত পচন করে মলের মাধ্যমে বের করতে সাহায্য করে। আরে ফ্যাট ও
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরে যেন জমা না হয় এর প্রতিরোধের জন্য হজম
শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: এটি পেটের উপকারী হিসেবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে
তাদের জন্য এ পানিটি খুবই কার্যকরী। এতে দুধের চেয়েও বেশি ভিটামিন ও মিনারেল
রয়েছে যা দেহের সুস্থতার জন্য খুবই উপকারী।
জিব্বার আড়ষ্টতা দূর: বিয়ে বাড়িতে বা হোটেলে অতিরিক্ত তেলযুক্ত মসলাদার
খাবার খেয়ে জিব্বার আড়ষ্টতা দূরীকরণে এটি খুবই কার্যকরী।
পেট ঠান্ডা: বোরহানির প্রধান উপকরণ টক দইয়ে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে
যা আমাদের পেট ঠান্ডা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ: বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, টক
দই তৈরিতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে বা প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় টক দই
ফলে বোরহানি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে।
আর এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের অন্ত্রের প্রবেশ করে ক্ষতিকারক জীবাণু ও
ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং অন্ত্রের পরিবেশকে সুস্থ রাখে। আর এই
ব্যাকটেরিয়াকেই বলা হয় প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া যা বোরহানিতে অত্যাধিক
পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ: বোরহানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন
ডি যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে তাদের জন্য
বোরহানি অনেক উপকারী। ডায়রিয়া প্রতিরোধক: বোরহানিতে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড ও
ইলেকট্রিক অ্যাসিড যা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য
করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বোরহানিতে বিদ্যমান প্রবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া
শরীরের সকল ক্ষতিকার ক ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুকে ধ্বংস করে ভালো ব্যাকটেরিয়াকে
সজ্জীবিত করে ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: বোরহানি কোলন ক্যান্সার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী এবং
শারীরিক সুস্থতা যেমন জ্বর সর্দি কাশি এটাইতেও বেশ কার্যকরী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: বোরহানি মানুষের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়ক বিশেষ করে
অতিরিক্ত খাবার চাহিদা নিবারণ করে ওজন কমাতে বেশ কার্যকারী। ভারী খাবারের পর
বোরহানি পান করা হয় বিধায় এটি দ্রুত পচনশীল।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: এটি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ যার দরুন আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এছাড়াও শারীরিক
সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অস্ট্রিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিস: অস্ট্রিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিস রোগীর জন্য
বোরহানি বা টক দই অনেক উপকারী।
তৃষ্ণা মেটাতে: অত্যন্ত গরমে তৃষ্ণা মেটাতে শরবত হিসেবে বোরহানি ব্যবহার
করা হয়।
রক্ত পরিষ্কার করতে: বোরহানি তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
পুষ্টি উপাদান ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে কাঁচা মরিচ। আর আমরা জানি ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ খাবার আমাদের রক্ত পরিষ্কার ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভিন্ন উপকারী বয়ে আনে।
বুক জ্বালাপোড়া: প্রোবায়োটিকের মতো উপকারি ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাস
থাকার কারণে বোরহানি খুব সহজে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা বিশেষ করে বুক জ্বালা পেট
ফাঁপা বদ হজম ইত্যাদি দূর করতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি
রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত
হয়েছেন।
বোরহানি খাওয়ার অপকারিতা
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে এতক্ষণ আমরা
বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু যতই উপকারী হোক না কেন সঠিক
নিয়মে এবং পরিমাণে না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতার তুলনায় অপকারিতায় বেশি
হয় তেমনি বোরহানের ক্ষেত্রেও তাই এখন আমরা বোরহানি খাওয়ার অপকারিতা নিম্নে
আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
- যেহেতু টক দই রয়েছে ফলে অত্যাধিক পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হতে পারে।
- বিরানি খাওয়ার আগে থেকে যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা ভরে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- বোরহানিতে কাঁচা মরিচ ও অতিরিক্ত টক দই ব্যবহার করা হয় বিধায় অত্যাধিক পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হতে পারে।
- সঠিক মাত্রায় বোরহানি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এতে ব্যবহৃত চিনির কারণে অনেক বেশি।
- বাজার হতে বোরহানি কিনার পূর্বে অবসর সতর্ক থাকবেন কারণ অপরিষ্কার স্থানে বা অপরিষ্কার পাত্রে বোরহানি রাখা হলে সে বোরহানি খেয়ে ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা টাইফয়ের জনিত সমস্যা হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বোরহানি অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ এতে ব্যবহৃত চিনি ডায়াবেটিসের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- যাদের দুগ্ধ জাত খাবারে এলার্জি রয়েছে তারা বোরহানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এতে টক দই ব্যবহার করা হয় এবং টক দই দুধ দিয়ে তৈরি হয় ফলে এলার্জির হতে পারে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি
রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা ও বোরহানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে
জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
বোরহানি রেসিপি
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি
খাওয়ার উপকারিতা ও বোরহানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে হয়তো আপনি বোরহানি
খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জাগতে পারে কিন্তু বাজারে তৈরি বোরহানিতে যে সকল উপকরণ গুলো
ব্যবহার হয় সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না হয় আপনি যদি
ঘরে বসে বোরহানি রেসিপি জেনে তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য
আরও বেশি উপকারী হবে এছাড়াও ছোটখাটো বাড়ির অনুষ্ঠানে নিজে হাতে বোরহানি রেসিপি
জেনে তৈরি করে নিজের পরিবারকে খুশি করতে পারবেন। তাই চলুন দেরি না করে বোরহানি
খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি রেসিপি জেনে
নেই-
বোরহানি বানাতে কি কি উপকরণ লাগে?
বোরহানি বানাতে কি কি উপকরণ লাগে? এ প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে জাগতে পারে আমি
আপনাদের মাঝে সহজ কিছু উপকরণ ও বোরহানি তৈরির সহজ রেসিপিটি নিম্নে তুলে ধরলাম
উপকরণের পরিমাণ সহ-
- টক দই- ২কাপ
- পুদিনা পাতা পেস্ট-২ চা চামচ
- ধনেপাতা পেস্ট-২ চা চামচ
- বিট লবণ- আধা টেবিল চামচ
- সাদা সরিষা-১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি বা পেস্ট- ২ টেবিল চামচ
- ধনে গুঁড়া-১ চা চামচ
- জিরার গুড়া- হাফ চা চামচ
- সাদা গোলমরিচ গুঁড়া- ১টেবিল চামচ
- চিনি- ২ টেবিল চামচ
- পানি-পরিমাণ মতো
- লেবু- ১ চা চামচ
বোরহানি রেসিপি তৈরি প্রণালী: প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে পুদিনা পাতা,
ধনেপাতা, সাদা সরিষা ও কাঁচা মরিচ নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নেব
আপনি চাইলে সামান্য পানি ব্যবহার করতে পারেন। এবার একটি পাত্রে টক দই গুলো নিয়ে
হ্যান্ডউইচ দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ নাড়াতে থাকবেন এরপর একে একে সকল উপকরণ গুলো
দিয়ে দেবেন
যেমন- বিট লবণ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া, লেবুর রস, জিরা গুড়া, ধনে গুঁড়া ইত্যাদি
এবং হ্যান্ডউইসের সাহায্যে বা চামচের সাহায্যে নাড়াতে থাকবেন অনবরত। সকল
উপকরণগুলো ভালো করে মিশে আসলে ব্লেন্ডারে তৈরি কৃত পেস্টটিও দিয়ে আবারো ভালো করে
অনবরত নাড়তে থাকবো।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম
এভাবে সকল উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে আসলে তৈরি হয়ে গেল ঘরোয়া সামান্য কিছু
উপকরণ দিয়ে খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বোরহানি। আশা করিবোরহানি খাওয়ার ২৪টি
উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি এর মধ্যে বোরহানি রেসিপি জেনে উপকৃত হয়েছেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি
রেসিপি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন বোরহানি সম্পর্কে
শুধুমাত্র বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি নিয়ে আমি
আলোচনা করছি না নিম্নে বোরহানি সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি ছাড়াও বোরহানি সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- বোরহানিতে কোন এসিড থাকে
- বোরহানি খেলে কি ওজন বাড়ে
- বোরহানি কতদিন ভালো থাকে
- বোরহানির দাম কত
বোরহানিতে কোন এসিড থাকে
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি সম্পর্কে জেনে আশাকরি
অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন কিন্তু আপনি কি জানেন বোরহানিতে কোন এসিড থাকে। বোরহানি
তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারী উপকরণ ব্যবহার করা হয়। যার প্রধান উপকরণ
থাকে টক দই। যার কারণে এতে বিভিন্ন ধরনের এসিড বিদ্যমান থাকে যেগুলো আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বোরহানিতে চার ধরনের এসিড থাকে যেমন- এসিটিক
এসিড, ল্যাকটিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, অক্সালিক এসিড ইত্যাদি।
বোরহানি খেলে কি ওজন বাড়ে
ইতোমধ্যে বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে
কোন এসিড থাকে ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে আশাকরি আপনারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। তবে
অনেকে মনে করেন বোরহানি খেলে ওজন বাড়ে আপনার মনে কি বোরহানি খেলে কি ওজন বাড়ে
এমন কোন প্রশ্ন রয়েছে। থাকলে চলুন এর উত্তর জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ টক দই বানানোর ১০ ধরনের ঘরোয়া নিয়ম
বোরহানি সঠিক মাত্রায় ও সঠিক পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ে না বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে
আসে। যেহেতু বোরহানের প্রধান উপকরণ টক দই আর আমরা জানি টক দই আমাদের ওজন কমাতে
এবং স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী কারণ এতে রয়েছে প্রোবায়োটিকের মতো উপকারি
ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাস
যা আমাদের পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে, গ্যাস্ট্রিক এবং
শরীর হতে টক্সিন জাতীয় পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও চর্বি বা ফ্যাট
কাটাতেও সাহায্য করে টক দই। যার কারণে আপনি যদি সঠিক মাত্রায় নিয়মিত কোন ভারী
চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরে
বোরহানি খান তাহলে এটি আপনার সে অতিরিক্ত চর্বি বা ফ্যাট জমা হতে প্রতিরোধ করবে।
তবে আপনি যদি সঠিক মাত্রায় না খেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে বোরহানি খান তাহলে আপনার
ওজন বৃদ্ধিতেও এটি সাহায্য করবে। কারণ এতে টক দইয়ের পাশাপাশি চিনিও ব্যবহার করা
হয় যার কারণে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতেও পারে।
বোরহানি কতদিন ভালো থাকে
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-
বোরহানি রেসিপি,
বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ইত্যাদি জানার পর আপনি যদি ঘরে বহারী তৈরি করেন তাহলে
আপনার অবশ্যই জানা দরকার বোরহানি কতদিন ভালো থাকে। বোরহানি তৈরির পর আপনি যদি
নরমাল ফ্রিজে রাখেন তাহলে এটি দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ভালো
থাকে এবং খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ঝাঁকিয়ে নিয়ে খাবেন। তবে এর সঠিক উপকারিতা
পাওয়ার জন্য অবশ্যই তৈরির সাথে সাথে খেয়ে নেওয়া। তবে দুই থেকে তিন দিনের বেশি
কখনই রাখবেন তাহলে এর পুষ্টগুণ আগুন গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে পেট খারাপ বদহজম
গ্যাস্ট্রিক এর মত সমস্যা দেখে দেখা দিতে পারে।
বোরহানির দাম কত
বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড
থাকে এর মধ্যে আপনি যদি বোরহানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে বাজার হতে
বোরহানি কিনতে চান তাহলে আপনার বোরহানির দাম কত এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা
অত্যন্ত জরুরী। বোরহানি বিভিন্ন রকমের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
যেমন- টক দই, চিনি, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, ধনে গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, গোল মরিচের
গুঁড়া, বিট লবণ, লেবু ইত্যাদি আরো অনেক উপকরণ। যার কারণে এগুলোর মূল্য বাজার
দরের উপর নির্ভর করে বোরহানির মূল্য কম বেশি হতে থাকে। তবে বর্তমান বাজার অনুসারে
এক লিটার বোরহানির মূল্য ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এটি বাজার মূল্য
পরিস্থিতি অনুসারে কম বেশি হতে থাকে।
লেখক এর মন্তব্য
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের বোরহানি খাওয়ার ২৪টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-বোরহানি রেসিপি, বোরহানিতে কোন এসিড থাকে ইত্যাদি ছাড়াও বুরহানি
সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা
করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url