ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার
নিয়ম, স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয় ইত্যাদি। এছাড়াও ওমরা হজ সম্পর্কে
আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
ছাড়াও ওমরা হজ সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান
ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে, পদ্ধতি ও খরচ জানতে পারবেন এবং সুষ্ঠু ও
সুন্দরভাবে ওমরা হজ পালন করতে পারবেন।
ভূমিকা-ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার
নিয়ম,স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয়, হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য, ওমরা
হজ্জ করার নিয়ম ও দোয়া, ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪, ওমরা হজ করতে কত দিন
লাগে ইত্যাদি ছাড়াও ওমরা হজ সম্পর্কে আরো অনেক কিছু।
আরো পড়ুনঃ
বাংলা ইংরেজি আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৪ সাল
একজন মুসলমান হিসেবে সকল মুসলমানই জানে ইসলাম ধর্ম পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে যেগুলো
হল আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরীক নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর নবী ও রাসূল-এটি একজন মুসলমান হিসেবে সাক্ষ্য
দেওয়া, সলাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ সামর্থ্য অনুযায়ী পালন করা এবং
রমজান মাসে সিয়াম পালন করা বা রোজা রাখা।
যার ভেতরে হজ হচ্ছে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট, গুনাহ মাফ ও ইবাদতের জন্য সর্বোত্তম
স্তম্ভ। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন
এবং ওমরা হজ সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
আজকের আলোচ্য বিষয় ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম। মুসলমানদের জন্য
পাঁচটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে একটি হল হজ্জ আর এই হজ্জ শুধুমাত্র সে সকল
মুসলমানদের ওপর আল্লাহ তায়ালা ফরজ করে দিয়েছে যারা আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা
পূর্ণ ব্যক্তি। আর আপনি যদি একজন মুসলমান হন এবং আত্মীয়, শারীরিক সক্ষমতা পূর্ণ
ব্যক্তি হন তাহলে অবশ্যই আপনার উপরে
আল্লাহতালা এই পবিত্র হজ্জ ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,
"প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। (সুরা
আলে ইমরান ৯৭)"। ওমরা হজ ও হজের মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য রয়েছে যেমন হজ্জ
শুধুমাত্র জিলহজ মাসে অর্থাৎ আরবি মাসের শেষ দিকে পালন করা হয় অপরদিকে ওমরা অর্থ
সাক্ষাৎ করা বা জিয়ারত করা যেখানে
মুসলমানরা বায়তুল্লা মসজিদুল হারাম জিয়ারত করে থাকে আর এটি যে কোন সময় পালন
করা যায় অর্থাৎ জিলহজ মাসের শেষ দিকে বা হজ্জ এর সময় ছাড়া বছরের যে কোন সময়
আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবা শরীফ জিয়ারত, তাওয়াফসহ আরো নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন
মেনে চলাকে ওমরা বলা হয় অনেক হাদিস শরীফে এর অনেক বেশি ফজিলতের কথা বর্ণনা করা
হয়েছে যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে হজ করল এবং সকল প্রকার অশ্লীল ও গুনাহের
কাজ থেকে বিরত থাকল, সে যেন নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে বাড়ি ফিরল"। (বুখারি
১৫২১)। এ থেকে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারছি একজন মুসলমানের জন্য হজ পালন কতটা
গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত পূর্ণ। এর জন্য আমাদের অবশ্যই এই হজ পালন অবশ্যই সঠিক নিয়ম
অর্থাৎ ফরজ কয়টি ও পালন করার সঠিক
নিয়ম কি তা জেনে বুঝে হজ পালন করতে হবে। এর জন্য আমরা অনেকেই আছি যারা মূল হজ
পালনের পূর্বেই ওমরা হজ পালন করে সঠিক নিয়ম-কানুন ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাহ
ইত্যাদি,জেনে নিন। তাই চলুন দেরি না করে ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার
নিয়ম এর মধ্যে ওমরা হজের ফরজ কয়টি প্রথমে এটি জেনে নিন-
ওমরা হজের ফরজ কয়টি
ওমরা হজ সঠিকভাবে পালানোর জন্য অর্থাৎ যে নিয়ম গুলো বা কাজগুলো না পালন করলে
ওমরা পালন সঠিকভাবে হবে না তাকেই ওমরার ফরজ কাজ বলা হয় কারো মতে ওমরার ফরজ দুইটি
আবার কারো মতে এটা তিনটি তবে এখন আমি আপনাদের মাঝে ওমরার তিনটি ফরজ কাজ যেগুলো না
পালন করলে ওমরা পালন সঠিকভাবে হবে না তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করলাম-
ইহরাম পরিধান করা: আশা করি ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম এর
মধ্যে প্রথম এই ওমরা হজ পালনের খরচটি জেনে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। হজ পালন কিংবা
ওমরা হজের ক্ষেত্রে ইহরাম পরিধান করা ফরজ। ইহরাম অর্থ সকল প্রকার হারাম বা
নিষিদ্ধ যেগুলো আল্লাহ তা'আলা হজ বা ওমরা পালনের সময় নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলো থেকে
বিরত থাকা এবং এটি হজ বা ওমরা
পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশ্য যাতায়াতকারী যাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিকাত
অতিক্রম করার পূর্বেই একপ্রকার সেলাই বিহীন কাপড় পরিধানের পর থেকে শুরু হয় ও এই
ইহরাম পরিধান না করে মেকাত অতিক্রম করা একেবারেই জায়েজ নয় কারণ সঠিকভাবে নামাজ
আদায়ের জন্য আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট লাভের জন্য সকল প্রকার হারাম কাজগুলো থেকে
বিরত থেকে হালার ও বৈধ কাজগুলো
হালাল করি না আমাদের সময় আমরা যে তাকবীরে তাহরিমা বাঁধি তেমনি হজের ক্ষেত্রে এই
ইহরাম বাধা। ইহরাম পরিধান করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে, নখ
কাটা, নাভির নিচের গোঁফ কাটা, বগলের গোঁফ কাটা এবং পাকপবিত্র হয়ে গোসল করা ও
নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব কালীন মহিলাদের ও গোসল করা মুস্তাহাব।
এরপর ইহরাম পরিধান করতে হবে ছেলেদের জন্য সেলাই বিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড় এবং
অন্যদিকে নারীদের জন্য তাদের ইচ্ছা অনুসারে পর্দা সহকারে পোশাক পরিধান করতে হবে।
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম এর মধ্যে এই নিয়মটি ভালো করে বা
সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা: ওমরা হজ সঠিকভাবে পালনের আরেকটি ফরজ নিয়ম হলো
পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা। পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা এতটাই ফজিলতপূর্ণ আল্লাহ
তায়ালা করেছেন যে আল্লাহ তায়ালা একে নফল নামাজ আদায়ের চেয়েও বেশি ফজিলত পূর্ণ
ইবাদত। এছাড়াও কোন মুসল্লী যদি সঠিক নিয়মে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পবিত্র কাবা গৃহ
তাওয়াফ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে
দাসমুক্ত করার সমতুল্য সওয়াব প্রদান করবেন। তাওয়াফ করার সময় নারীদের ওমরায় রমন
ও ইজতিবা করার নিয়ম নেই তবে পুরুষদের অবশ্যই এই দুইটি কাজ করতে হবে। রমন পুরুষের
জন্য তাওয়াফ করা অবস্থায় করা সুন্নত। রমন হল তাওয়াফের সময় সাত চক্করের মধ্যে
প্রথম তিন চক্কর বীরদর্পে দুই কাঁধ ও শরীর হেলিয়ে-দুলিয়ে ঘন ঘন পায়ে দ্রুত হেটে
যাওয়া।
ইজতিবা ও তাবকালীন পুরুষের জন্য করা সুন্নত। ইজতিবা হল টপ করার সময় পুরুষদের
গায়ের সাদা চাদরটি দান বগলের নিচে দিয়ে চাদরটিকে উভয় মাথাকে বাম কাঁধের ওপর
দিয়ে সামনে এবং পেছনের দিকে ফেলে রাখা। ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার
নিয়ম এর মধ্যে এই নিয়মটি ভালো করে বা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।
সাফা-মারওয়া সাঈ করা: সাফা-মারওয়া সাঈ করা হয় মূলত পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ
করা আর এটি মূলত সাফা ও মাওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার সাঈ করা এটি করা ফরজ। এর
মধ্য দিয়েই ওমরা হজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আশা করি ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা
হজ্জ করার নিয়ম মধ্যে ওমরা হজের ফরজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে অনেক বেশি
উপকৃত হয়েছেন।
ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম এরমধ্যে এতক্ষণ আমরা ওমরা হজের ফরজ
কয়টি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম এখন আমরা ওমরা হজের ফরজ
কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম মধ্যে ওমরা হজ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
জানবো। আশা করি সম্পন্ন পোস্টটি পড়লে ওমরা হজ সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য
বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন তাই চলুন দেরি না করে ওমরা হজ করার নিয়ম
সম্পর্কে জেনে নেই-
সঠিক নিয়মে হজ বা উমরা হজ পালনের ফজিলত হিসেবে একটি হাদিসের হযরত আবু হুমায়রা
রাজিআল্লাহ তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছেহযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সঠিক নিয়মে এক ওমরা থেকে অপর ওমরা পালন করার মধ্যবর্তী
সময়ের মধ্যে হয়ে যাওয়া সকল পাপরাশি এমনিতেই মাফ হয়ে যায়।
আর মাবরুর হজ্জের বিনিময় নিশ্চিত জান্নাত। (বুখারি ১৭৭৩)। হাদিস থেকে হয়তো
আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওমরা হজ সঠিক নিয়মে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা কতটা ফজিলত
পূর্ণ এবং এর প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ তায়ালা কতটা নেয়ামত প্রদান করেছেন। প্রথমে
আমরা হজ পালনের তিনটি ফরজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি যেমন-
ওমরা হজ পালনের তিনটি ফরজ
- ইহরাম পরিধান করা
- পবিত্র কাবাগৃহ তাওয়াফ করা
- সাফা-মারওয়া সাঈ করা
হজ পালনের তিনটি ওয়াজিব রয়েছে
- মিকাত পার হওয়ার আগেই ইহরাম বাঁধা
- ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়ে সাঈ করা।
- মাথা মুণ্ডানো বা ছোট করা।
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট, সকল গুনাহ থেকে মাফ পাওয়ার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে হজ
বা ওমরা হজ পালন করতে হবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে ওমরা নিয়ত করতে হবে এবং সকল
নিয়ম মেনে মিকাত (ইহরামের জন্য নির্দিষ্ট স্থান) এ ইহরাম পরিধান করা করতে হবে।
অবশ্যই সতর্ক থাকবেন ইহরাম পরিধানের পূর্বে বা পবিত্র গোসলের পূর্বে সুগন্ধি
লাগানো যাবে তবে ইহরাম পরিধানের পর কোন প্রকার
সুগন্ধি লাগানো যাবে না। একটি হাদিসে হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত
হয়েছে, "আমি নিজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইহরাম পরিধানের
আগে তাঁকে সুগন্ধি মাখিয়ে দিতাম। (বুখারি, মসুলিম, হিদায়া) তবে ইহরাম বাঁধার পর
সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ করে দিয়েছেন। ইহরাম পরিধানের পর থেকে আরো কিছু
নিষিদ্ধ রয়েছে যেগুলো করা হালাল হলেও সে সময়ের জন্য
হারাম ঘোষণা করা হয়েছে যেমন- সেলাই যুক্ত কাপড় পরিধান করা, চুল কাটা, নখ কাটা,
স্ত্রী সহবাস করা, পুরুষের জন্য মুখমন্ডল ও ক মস্তক ঢাকা, শিকার করা, কোন প্রকার
প্রাণী ও হত্যা করা, সাবান বা শ্যাম্পু শরীরে ব্যবহার করা, যৌন উত্তেজনামূলক কোন
প্রকার আচরণ, চুল বা দাড়ি চিরুনি করা, জুতা ব্যবহার করা, কোন প্রকার গুনাহর কাজ
করা, ঘ্রানযুক্ত তেল ব্যবহার করা ইত্যাদি। ইহরামেয়ের সময়
আপনি বিভিন্ন ধরনের দোয়া পড়তে পারেন যেমন "আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল ওমরতা
ফা-ইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি"। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরাহর ইচ্ছা
করছি, আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। এরপর আপনি
পড়তে পারেন,"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা ওমরতান/ওমরাহ" (অর্থ : হে আল্লাহ! ওমরাহকারী
হিসেবে আপনার দরবারে হাজির)।
এবার আপনি তালবিয়া পাঠ করবেন যেভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ
করতেন "লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক।
ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক"। আর আপনি এ তালবিয়াটি
ইহরাম পরিধানের এরপর থেকে তাওয়াফ শুরুর আগ পর্যন্ত পড়তে পারেন এবং পুরুষরা এ
তালবিয়াটি অবশ্যই উচ্চস্বরে পড়বেন।
সঠিকভাবে ইহরাম পরিধান করা সহ অন্যান্য নিয়ম গুলো সম্পন্ন হলে পবিত্র কাবা শরীফ
সঠিক নিয়মে সাতবার তাওয়াফ করতে হবে এবং হাজরে আসওয়াদে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হবে
এবং হাতকে চুমু খেতে হবে তবে হাতে স্পর্শ করতে না পারলে ইশারা করবেন তবে হাতে
চুমু করবেন না এবং আপনি সুযোগ পেলে হাজরে আসওয়াদে চুমু খাবেন।
এবার বাইতুল্লাহকে বাম দিকে রেখে ডান দিক দিয়ে হাঁটতে থাকবেন এবং যখন রুকনে
ইয়ামাতিতে পৌঁছে যাবেন তখন কর্নার চুমু খাবেন এবং স্পর্শ করবেন না করতে পারলে
তাওয়াফ চালিয়ে যাবেন। হাজরে আসওয়াদতা ও ওয়াফের সময় কাবা শরিফ বামদিকে রেখে রুকনে
ইরাকি ও রুকনে স্বামী অতিক্রম করবেন এবং রুকনে ইয়ামাতিতে আসবেন
সেই সাথে সেই স্থানে তাকবীর, তালবিয়া ও তাসবিহ পড়তে থাকবেন। হাজরে আসওয়াদের
দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় বা পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় এটি অভিমুখ হয়ে তাকবির
পড়তে থাকবেন এবং তাওয়াফের অন্য দিকে আপনার ইচ্ছা অনুসারে দোয়া, কোরআন
তেলাওয়াত ও জিকির করতে পারেন। অবশ্যই তাওয়াফের সময় ইজতেবা ও রমল করবেন।
এরপর তাওয়াফ শেষ হয়ে আসলে মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ করবেন দুই
রাকাতের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে
সূরা ফাতিহার সাথে সুরা ইখলাস করবেন। নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করবেন এবং তা
অবশ্যই দাঁড়িয়ে পান করবেন এবং জমজমের পানি পান করার সময়
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়ারিযক্বাও ওয়াসি’আ, ওয়াশিফাআম মিন
কুল্লি দা’ঈ’।
হে আল্লাহ! আমাকে উপকারী জ্ঞান দান করুন! পর্যাপ্ত রিজিক দান করুন! সব রোগের শিফা
দান করুন। এরপর সাফা ও মাওয়া আরোহন করার নিয়ত করবেন এবং জমজমের পানি পান করার
সাথে সাথে ধীরে ধীরে তা আরোহন করতে থাকবেন।
যখন সাফা পাহাড়ের কাছে আসবেন তখন বলবেন, "ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন
শাআ‘ইরিল্লাহ"। এ আয়াতটি সাফা ও মাওয়া পাহাড় নিকটবর্তী সময়ে পড়বেন না
শুধুমাত্র সায়ির শুরুতে সাফা পাহাড় নিকটবর্তী সময়ে পরবেন। আয়াতটি পড়ার পর
পড়বেন "নাবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি"। অর্থ : আল্লাহ যা দিয়ে শুরু করেছেন আমরাও
তা দিয়ে শুরু করছি)।
এভাবে ধীরে ধীরে সাফা পাওয়ার উঠবেন এবং কাবা শরীফের দিকে তাকিয়ে বলবেন,
"আলহামদু লিল্লাহি আল্লাহু আকবার" এবং দুই হাত তুলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যেভাবে দোয়া করতেন সেভাবে দোয়া করবেন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি
শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহ, আনজাযা ওয়াদাহ, ওয়া নাসারা আবদাহ,
ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদা"।
উপর জিকিরটি প্রথমবার বলবেন এবং দোয়া করবেন দ্বিতীয়বার পড়বেন আবার দোয়া করবেন
এবং তৃতীয়বার পড়বেন কিন্তু দোয়া না করে মারওয়া পাহাড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা
হয়ে যাবেন এবং যখন সবুজ রঙের একটি চিহ্ন দেখতে পাবেন সেই স্থান থেকে যত দ্রুত
সম্ভব দৌড়াবেন এবং দ্বিতীয়বার সবুজ রঙে চিহ্ন দেখতে পেলে স্বাভাবিক গতিতে
হাঁটতে থাকবেন ও সবুজস্থানের চিহ্ন স্থানগুলোতে
"রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আ-আযযুল আকরাম"। এভাবে মারওয়া পাহাড় আহরণ করবেন
এবং সবুজ চিহ্নের স্থানগুলো অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর সকলে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটতে
থাকবেন। যখন সাফা পাহাড় থেকে মা পাহাড়ে উঠে যাবেন তখন কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে
পুনরায় সাফা পাহাড়ে যে সকল দোয়া করেছিলেন সেগুলো পুনরায় পড়বেন ও বলবেন।
এভাবে সম্পূর্ণ হয়ে আসলে পুনরায় মারওয়া পাহাড় থেকে সাফা পাওয়ারের উদ্দেশ্যে
হাঁটতে থাকবেন এবং পুনরায় যেভাবে যে স্থানগুলোতে হাটতে বলা হয়েছে সেগুলোতে
হাঁটবেন এবং যে স্থানগুলোতে দৌড়াতে বলা হয়েছে সেগুলোতে পুনরায় একই নিয়মে
দৌড়াবেন এবং হাঁটবেন এর সাথে সাথে যে দোয়াগুলো করেছিলেন সেগুলোও পুনরায় করবেন
এভাবে সাত চক্কর শেষ করে নেবেন অর্থাৎ সাফা
পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড় গেলে এক চক্কর এবং মারওয়া থেকে শাফা এলে এক চক্কর।
এভাবে সায়ি শেষ হয়ে আসলে বলবেন, "রব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস
ছামিউল আলিম" এবং পুরুষরা মাথামুণ্ডল করবেন বা চুল ছোট করে নেবেন ও মহিলারা
আঙ্গুলের এক কর পরিমাণে চুল কেটে নেবেন। এসকল নিয়ম গুলো সঠিক নিয়মে পালনের
মাধ্যমে সমাপ্ত হয় ওমরা হজ।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি। তবে এগুলো
ছাড়াও যদি ওমরা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার
বিশেষ অনুরোধ রইলো কারণ ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম ছাড়াও আমি
নিম্নে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি যেমন-
- হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য
- ওমরা হজ্জ করার নিয়ম ও দোয়া
- ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
- ওমরা হজ করতে কত দিন লাগে
- স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয়
হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত
উপরউক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখন আমরা আলোচনা করব হজ ও ওমরার মধ্যে
পার্থক্য। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সম্পন্ন
স্তম্ভ হচ্ছে হজ। যদিও মহান আল্লাহ তায়ালা এটি কিছু ব্যক্তির ওপর ফরজ করেছে।
যেখানে মূল হজের খরচ অনেক বেশি কিন্তু ওমরা হজের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। যার
কারণে প্রতিবছর হাজারো মুসল্লি ওমরা হজের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাগৃহে অবস্থান করে।
তবে হজ ও ওমরা হজের মধ্যে মূল পার্থক্য এবং প্রধান পার্থক্য হল হজ শুধু মাত্র
বিশেষ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পালন করতে হয় যেমন আরবি মাসের শেষের দিকে ৮ ই
জিলহজ্ব থেকে ১২ ই জিলহজ্ব পর্যন্ত পালন
আরো পড়ুনঃ ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমান ভাড়া ২০২৪
করা হয় অপরদিকে এই নির্দিষ্ট সময় গুলো বাদে ওমরা হয় আপনি বছরে যেকোনো সময়
পালন করতে পারবেন। তবে রমজান মাসে আপনি যদি ওমরা হজ পালন করেন তাহলে তা মূল হজের
সমান সোয়াব পাওয়া যায়। মূল হজে জামরাতুল আক্বাবাহ’তে কঙ্কন নিক্ষেপ করার সময়
মওকুফ করা হয়েছে তবে ওমরা হজের মধ্যে তাওয়াফ শুরু করার সময় তালবিয়া পড়া মওকুফ
করা হয়।
মূল হজে মুযদালিফায় ও আরাফাতে অবস্থানের সময় দুইটি নামাজ একসাথে আদায় করা এবং
তাওয়াফে বিদা ও তাওয়াফে কুদুম এর বিধান রয়েছে তবে ওমরা হজে তেমন কোন বিধান
নেই। মূল হজের ক্ষেত্রে কোন কারণবশত হজ নষ্ট হলে কোনভাবেই পোষানো সম্ভব নয় বরং
তা পরবর্তী বছর পুনরায় হজ পালনের
মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করতে হবে কিন্তু ওমরার ক্ষেত্রে কারণবশত ওমরা নষ্ট হলে একটি
মেষ বা ছাগল জবেহ করলে যথেষ্ট হবে। আশা করি উপরুক্ত আলোচনা থেকে ওমরা হজের ফরজ
কয়টি ও ওমরা হজ করার সঠিক নিয়ম এর সাথে সাথে ও হজ ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য কি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ওমরা হজ্জ করার নিয়ম ও দোয়া
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম এর মধ্যে আমি ওমরা হজ্জ করার নিয়ম ও
দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেখানে আমি খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে
কোথায় কোন দোয়াটি এবং কি নিয়মে পড়তে হবে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ
পোস্ট পড়লেই আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং সেখান থেকে জানা-অজানা ওমরা হজ
সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাবেন। ইনশাআল্লাহ। এর জন্য উপরোক্ত ওমরা হজের ফরজ কয়টি
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম এ পয়েন্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ
রইলো।
ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে আপনি হয়তো জানতে
চাইবেন ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালে। ওমরা হজ করতে মূলত বর্তমানে
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে যারা বিভিন্ন প্যাকেজ সুযোগ-সুবিধার ওপর নির্ভর
করে টাকার পরিমান নির্ধারণ করে থাকে। তবে ওমরা হজ বা হজ পালনের ক্ষেত্রে আপনি যদি
কোন ট্রাভেল এজেন্সি বা এজেন্সির সাহায্য নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই সরকার
অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- থ্রি স্টার ইকোনমিক্স ওমরা প্যাকেজে- ১৪ দিনের জন্য আপনার খরচ পড়বে ১,২৫,০০০ টাকা,
- ফোর স্টার প্লাটিনাম ওমরা হজ প্যাকেজে- ১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৬০,০০০ টাকা
- ৫ স্টার প্রিমিয়াম উমরা প্যাকেজ ২০২৪- ১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৯০,০০০ টাকা
- রমজানের শেষ দিনগুলোতে উমরা পালন ২০২৪-১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৭৫,০০০ টাকা
- ইতেকাফ কালীন উমরা অফার ২০২৪- ১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৪০,০০০ টাকা
- ঈদুল ফিতর পরবর্তী উমরা প্যাকেজ ২০২৪- ১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৪০,০০০ থেকে শুরু
- অফিস কলিগ কিংবা ফ্যামিলি মেম্বারদের নিয়ে দলবদ্ধ উমরা- ১২-১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,৪০,০০০ থেকে শুরু
- উমরা ও মিশর ট্যুর প্যাকেজ- ১২-১৪ দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ২,১০,০০০ টাকা
- ছাত্র ভাইদের জন্য ওমরা- ৭-১৪ দিন দিনের জন্য তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১,০০,০০০ টাকা থেকে শুরু
- বিবাহিত দম্পতিদের জন্য উমরা প্যাকেজ- ৭-১৪ দিন দিনের জন্য
- ফ্যামিলি ওমরা প্যাকেজ
উপরোক্ত প্যাকেজ গুলোর খরচ ভিসা ট্যাক্স ও ইন্সুরেন্স খরচসহ প্লেন বা বিমানের রিটার্নিং টিকেট, পিসিআর টেস্ট, হোটেল ও ভ্রমন পরিসেবা, পরিবহন সেবা ইত্যাদি সহ। আশা করি
ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সহ ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
ওমরা হজ করতে কত দিন লাগে
ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে জানার সাথে সাথে ওমরা হজ
করতে কত দিন লাগে তা একজন উমরা পালনকারী ব্যক্তির জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী। মূলত
ওমরা হজের জন্য বাংলাদেশ সরকার ৩০ দিনের ভিসা দিয়ে থাকে কিন্তু পূর্বের নিয়ম
অনুসারে সৌদি আরব সরকার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল একজন ওমরা হজ পালনকারী
ব্যক্তি সৌদি আরবে প্রবেশের পর থেকে
৩ মাস বা ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবে তবে সৌদি আরব সরকার থেকে নতুন
নির্দেশনা অনুযায়ী যেদিন থেকে ভিসা ইস্যু করা হবে সেদিন থেকে মোট ৯০ দিন একজন
ওমরা হজ পালনকারী ব্যক্তি সৌদি আরবে অবস্থান করতে পারবে। কিন্তু মূলত ওমরা হজ
করতে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। বাকি সময় গুলো আপনি সৌদি আরবের বিভিন্ন
ইসলামী দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘোরাফেরা করতে পারবেন। আশা করি প্রশ্নের সঠিক উত্তর
পেয়েছেন।
স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয়
ইতোমধ্যে আমরা ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে বা স্বপ্নে দেখে থাকেন ওমরা
হজ পালন করা কিন্তু স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয় এ সম্পর্কে কি আপনার
সঠিক ধারণা রয়েছে না থাকলে সম্পূর্ন পোস্ট করে বিশেষ অনুরোধ রইলো।
স্বপ্নের মূলত বিভিন্ন অর্থ থাকে কিছুটা কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তার ফলে হয়ে
থাকে আবার কিছুটা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা প্রদান করে
থাকে। যেমন আপনি যদি সবসময় বা অতিরিক্ত হজ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেন তাহলে
আপনার স্বপ্নে হজ পালন আসবে আবার আপনার যদি শুধুমাত্র এমনি হওয়ার পালনের স্বপ্ন
এসে থাকে তাহলে আপনি বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার কাছে
হজ পালন করার তৌফিক চাইতে পারেন। এতে হয়তোবা মহান আল্লাহ তায়ালার আপনাকে তার
ঘরে আসার তৌফিক দেবে আর একজন মুসলমানের জন্য হজ পালন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও
ফজিলতপূর্ণ তা শুধুমাত্র একজন ঈমানদার মুমিন ব্যক্তি বুঝতে পারেন। আশা করি
প্রশ্নের সঠিক উত্তরটা পেয়েছেন।
লেখক এর মন্তব্য-ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ করার নিয়ম
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ওমরা হজের ফরজ কয়টি ও ওমরা হজ্জ
করার নিয়ম, স্বপ্নে ওমরা হজ্জ করতে দেখলে কি হয় ইত্যাদি ছাড়াও ওমরা হজ
সম্পর্কে জানা ও অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা
করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url