কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
ইত্যাদি। এছাড়াও কলা সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি
কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ছাড়াও কলা সম্পর্কে
আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক
খাওয়ার নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং কলার সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা-কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে
কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি ছাড়াও
করা সম্পর্কে বিভিন্ন জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য এবং বিশেষজ্ঞ, হোমিওপ্যাথি,
আয়ুর্বেদিক ও চিকিৎসকের মতে কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কত বেশি উপকারী ফল তা
আলোচনা করব।
পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার প্রতিরোধক, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ওজন বৃদ্ধি,
ত্বকের সুস্থতা, হাড় মজবুত, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, হার্ট
সুস্থ, কিডনি সুস্থ, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী, রক্তস্বল্পতা দূর ইত্যাদি আরও
হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে শুধুমাত্র একটি কলাতে। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত
ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
নিয়ে শুধু আলোচনা করছি না কলা খাওয়ার সঠিক সময়, খালি পেটে কলা খেলে কি হয়,
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা, রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা ইতালি ছাড়াও কলা
সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করেছি। তাই আশা করি কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
ছাড়াও নিম্নে কলা সম্পর্কে লেখা পোস্টটি সম্পন্ন পড়বেন।
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত। কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ নেই
বললেই চলে। তার ওপর কলা অত্যন্ত সুস্বাদু, সহজলভ্য, দামে কম এবং একবার খেলে অনেক
সময় ধরে পেট ভরা থাকে। তার জন্য এই ফলটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল কিন্তু আপনি
জানেন কি
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
এই সহজলভ্য ও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফল যদি প্রতিদিন একটা করে খেতে পারেন তাহলে
আপনার শরীরের মধ্যে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে বা আপনার শরীর কি কি হেলথ বেনিফিট
এই কলা থেকে পেতে পারে আপনি জানলে আশা করি অবশ্যই বিস্তৃত হবেন। তাই চলুন দেরি না
করে কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত সম্পর্কে
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই-
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত এর মধ্যে
প্রথমে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। আপনারা যদি আপনাদের খাদ্য
তালিকায় প্রতিদিন একটা করে কলা যুক্ত করতে পারেন সেই কলা আপনাকে কি কি স্বাস্থ্য
উপকারিতা দিতে পারে। তাই আশা করব আজকের পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন
কারণ করা সম্পর্কে আজ আপনাদের মাঝে যে তথ্যগুলো জানাবো তা অত্যন্ত ইনফরমেটিভ জানা
অজানা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তাই চলুন প্রথমে কলা খাওয়ার ৩৭টি
উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত মধ্যে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনে নেই কারণ-
দুর্বলতা কাটাতে: কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা
খাওয়া উচিত এরমধ্যে কলার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো শারীরিক দ্রুত
দুর্বলতা কাটানো। পাকা কলা হলো পুষ্ট গুণের ভন্ডার। পাকা কলার মধ্যে রয়েছে যেমন
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল সবে মিলে মিশে কলা
একজন সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি মিডিয়াম সাইজ
কলার মধ্যে ক্যালোরি থাকে ১১০ ক্যালোরি অর্থাৎ কলা হাই ক্যালোরি ফুড। তাই আপনি
যদি দীর্ঘদিন ধরে দুর্বলতার মত সমস্যায় ভুগছেন বা অল্প কাজ করার সাথে সাথে যদি
আপনার শরীরের মধ্যে ক্লান্তি বোধ করছেন তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় কলা
যুক্ত করুন।
ওজন বৃদ্ধি: আপনার চেহারা যদি রোগা পাতলা হয়ে থাকে বা আপনার ওজন বাড়ানোর
চেষ্টা করছেন সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় কলা যুক্ত করতে পারেন
আপনি ম্যাজিক্যাল রেজাল্ট পাবেন। কারণ এটি হাই ক্যালরি সম্পন্ন ফল মাঝারি সাইজের
একটি কলাতে প্রায় ১১০ ক্যালরি রয়েছে।
কিডনি সুস্থ: একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত একটি করে কলা খাওয়া
ব্যক্তির কিডনি জনিত বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৪০ ভাগ কম
হয়ে যায়। কারণ এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের কিডনি সঠিকভাবে পরিচালনা বা
কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও কিডনি পাথর হওয়া সম্ভাবনা ও অনেক বেশি কম
করতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ: কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা
হার্ট সুস্থ রাখতে বেশ উপকারী পুষ্টি উপাদান। একটি মাঝারি সাইজের কলা একজন হার্ট
পেশেন্টের প্রায় ২৭ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্টোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমে
সাহায্য করে।
হাড় মজবুত: আমরা জানি আমাদের হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি জানেন কি কলার মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি মাত্রা
না থাকা সত্ত্বেও কলা আমাদের হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। কিভাবে অবাক হলেন,
কলার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের প্রিবায়োটিক থাকে যার নাম হল ফ্রকটোঅলিগো
স্যাকারাইড(Froctooligsaccharide)।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
এই ফ্রকটোঅলিগো স্যাকারাইড আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণকে বৃদ্ধি করেঅর্থাৎ
আপনি সারাদিন ধরে যে সমস্ত খাবার খাবেন সেই খাবারের মধ্যে দিয়ে যত পরিমান
ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে প্রবেশ করে ওই ফ্রকটোঅলিগো স্যাকারাইড ওই সমস্ত
ক্যালসিয়াম সহজে আপনার শরীরে এব্জাব করে এবং আপনার হাড়কে মজবুত করে রাখতে
সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: কলায় রয়েছে এক ধরনের সলিবল ফাইবার রয়েছে যার নাম হলো
পেকটিন। এই পেকটিন ফাইবার পেটের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে হজম শক্তি বাড়ায় এবং
কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম
আমরা জানি যে সমস্ত খাবারের মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে সে পটাশিয়াম
আমাদের শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়ামকে শরীরের বাইরে নিঃসরণ করতে সাহায্য করে এবং যে
সমস্ত মানুষরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় বুক চেঞ্জ সে সমস্ত মানুষের রক্তের চাপ কে
কম করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি একজন উচ্চ রক্তচাপের পেশেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে
প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কলাকে যুক্ত করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কলায় রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন এ,
বি, সি, ডি, ই, কে, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,
পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি স্বাস্থ্য প্রকারী বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান
যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফরে
নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় একটি করে কলা রাখলে খুব সহজে আপনার শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা
খাওয়া উচিত এর মধ্যে কলার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে হজম শক্তি বৃদ্ধি।
পাকা কলা আমাদের স্টমাক এসিডকে নিউট্রালাইজ করতে সাহায্য করে। তার সাথে সাথে কলার
মধ্যে বিশেষ এক ধরনের সলিবল ফাইবার থাকে যার নাম হল পেকটিন(pectin)।
এই পেকটিন আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। তাই আপনি যদি হজমের
সমস্যায় ভুগছেন বা আপনার যদি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান অবশ্যই আপনি প্রতিদিন
একটি করে কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: কলাতে এমন এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে যা ক্যান্সারের
কোষ বৃদ্ধি হতে প্রতিরোধ করে থাকে যার নাম হলো লেকটিন। এই লেকটিন আমাদের শরীরে
ক্যান্সার সৃষ্টিকারী যেমন ধরুন লিউকোমিয়ার কোষ বৃদ্ধি হতে প্রতিরোধ করে থাকে।
ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পাকা কলা অর্থাৎ
হলুদ রং থেকে যে কলা গুলো বাদামী বর্ণ ধারণ করেছে সে কলা গুলো খাওয়া থেকে বিরত
থাকাই ভালো কারণ সেগুলোতে সুগারের মাত্রা অনেক বেশি থাকে ফলে সুগারের মাত্রা
বেড়ে বেড়ে যেতে পারে তবে কম পাকা কলাতে যে শর্করার পরিমাণ থাকে তা
রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ এবং এটি কম হজম হয় ফলে রক্তে মিশে গিয়ে শর্করার মাত্রা
ঠিক রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর: কলার মধ্যে আমরা জানি প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এই
আয়রন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ আয়রন
আমাদের রক্তে আরবিসি বা লোহিত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যদি
আপনি একজন অ্যানিমিক পেসেন্ট বা রক্তাল্পতা মত সমস্যায় আপনি ভুগছেন তাহলে অবশ্যই
প্রতিদিন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক থেকে দুইটি কলা আপনি যুক্ত করুন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি: কলাতে এমন এক ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায় যা
ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে বৃদ্ধি হতে প্রতিরোধ করে থাকে যার নাম হলো লেকটিন। এই
লেকটিন আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন ধরুন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কোষ
লিউকোমিয়ার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়া: কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া
উচিত এর মধ্যে ডায়রিয়া প্রতিরোধে তো আমরা কলার উপকারিতা কতটুকু আমরা সকলেই
জানি। ডায়রিয়া বা লুজ মোশন হলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম
বেরিয়ে যায়। এই পটাশিয়াম শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দেখবেন খেয়াল করে
ডায়রিয়া পেশেন্টরা সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
সে ক্ষেত্রে সে ডায়রিয়া পেশেন্টকে কলা খাওয়াতে পারেন তাহলে কলার মধ্যে থাকা
প্রচুর পরিমাণে যে পটাশিয়াম রয়েছে পটাশিয়াম আমাদের শরীরে পটাশিয়ামের লেভেলকে
মেন্টেন করতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে কলার মধ্যে রয়েছে ৭০ থেকে ৭২% পানি
লেভেল যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেট করে রাখতে সাহায্য করে যা একজন লুজ মোশন বা
ডায়রিয়া পেশেন্টের জন্য অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ: কলা আমাদের পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড জমা হতে
বাধা প্রদান করে যার ফলে নিয়মিত একটি করে খাদ্য তালিকায় কলা রাখলে কলা আমাদের
পাকস্থলীর এসিড মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে এবং আনসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
পেশি শক্তিশালী: আগে আমরা আলোচনা করেছি কলা হলো রিচ ইন পটাশিয়াম অর্থাৎ
কলার মধ্যে পটাশিয়াম অত্যাধিক পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে। তাই যে সমস্ত মানুষেরা
নিয়মিতভাবে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করছেন বাজে সমস্ত মানুষেরা মাসেল বিল্ডিং করতে
চান তারা এক্স সাইজের পরে যদি কলা খেতে পারেন তাহলে
পটাশিয়াম ও সমস্ত মানুষের মাসেলকে রিকভার করতে সাহায্য করে এবং ওই সমস্ত
মানুষদেরকে মাসেলকে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী করে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলার
মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার জন্য এক্সারসাইজ করার সময় আপনি সহজে হাপিয়ে
পড়েন না এবং আরো অনেক বেশি সময় ধরে আপনি এক্সারসাইজ করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের হঠাৎ জ্বর কিংবা শারীরিক
দুর্বলতা দূর করার জন্য ঔষধ এর পরিবর্তে ডঃ অনেক সময় কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
থাকে এটি দ্রুত শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকারী
একটি ফল। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি
যা কলা খাওয়ার ফলে সঠিক মাত্রায় থাকে কারণ শর্করা আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব
দূর করে যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব সময় অত্যন্ত প্রয়োজন হয়।
মেন্টাল স্ট্রেস দূর: কলার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের অ্যামিনো এসিড রয়েছে যার
নাম হল ক্রিপটোপ্যান(Tryptophan)। এই ক্রিপটোপ্যান আমাদের শরীরে সেরিটোনিনের
মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সেরিটোনিন হল বিশেষ এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার।
যখন আমাদের মধ্যে সেরিটোনিনে মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন মুড সুইং
এর মতো সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার থেকে আমরা সহজে বেরিয়ে আসতে
পারি। তাই যদি দীর্ঘদিন ধরে মুড সুইং এর মত সমস্যায় ভুগছেন বা মনে করুন মেন্টাল
স্ট্রেস বা মেন্টাল এনজাইটি মতো সমস্যায় আপনি ভুগছেন অবশ্যই আপনার খাদ্য
তালিকায় প্রতিদিন একটা অথবা দুইটি করে কলা যুক্ত করুন।
বুক জ্বালাপোড়া: বুক জ্বালাপোড়া কিংবা পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে
দ্রুত নিরাময় পাওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত একটি করে কলা খেতে পারেন কলা আমাদের
পাকস্থলীর ক্ষতি ব্যাকটেরিয়া বিদ্যু হতে বাধা প্রদান করে ফলে গ্যাস্ট্রিকের মতো
সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব হয় এবং বুক জ্বলা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্ত
পাওয়া সম্ভব হয়। জন
ত্বকে লালচে ভাব: হঠাৎ কোনো কারণে ত্বক এ লালচে ভাব বা মশার কামড়ে ফুলে
ভাব দূর বা লালচে ভাব দূর করার জন্য কলার খোসা উক্ত স্থানে ঘষে নিতে পারেন এতে
দেখবেন ম্যাজিকের ফলাফল পাবেন। কলার খোসা সমস্ত ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার
করতে পারেন এতে থাকা ফ্যাট উপাদান ত্বকের ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দূর করে ত্বককে
সজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যথা দূর: কর্মব্যস্ততা কিংবা সারারাত পাটি করার ফলে আমাদের অনেকেরই
মাথাব্যথা বা মাথা ধরে। এ হ্যাংওভার দূর করার জন্য প্রতিদিন সকালে দুধ এবং কলা
দিয়ে তৈরি শেক তৈরি করে খেতে পারবেন দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে আপনার হ্যাং
হওয়ার ধীরে ধীরে কেটে এসেছে।
বার্ধক্য দূর করতে: কলায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের ক্লোজেন সংশ্লেষণের
জন্য, তোকে স্বাস্থ্য উন্নতি করার জন্য এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা বা ত্বকে বয়সের
ছাপ রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
অনিদ্রা দূর: কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,
ক্রিপটোপ্যান, ভিটামিন বি ৬ এর মত স্লিপ প্রমোটিং নিউট্রিয়েন্ট। এ স্লিপ
প্রমোটিং নিউট্রিয়েন্ট আমাদের যদি ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে সে ঘুমের সমস্যা
সমাধান করতে সাহায্য। তাই আপনি যদি ইনজোমেনিয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যা ভুগছেন
আপনার খাদ্য তালিকায় কলা যুক্ত করে দেখতে পারেন আপনি আশা করি অবশ্যই উপকৃত হবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: কলায় থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি আমাদের চোখের
স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর
করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ধূমপান আসক্তি কমাতে: আপনি যদি দীর্ঘদিনের ধূমপাই হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে
অবশ্যই অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় কলা কে যুক্ত করুন। তার কারণ কলার মধ্যে যে
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬ রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরের মধ্যে
নিকোটিন্সের প্রভাবকে কম করতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা
গিয়েছে কলা ধূমপানের আসক্তিকে অনেকটাই কম করতে সাহায্য করতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি: আমরা পূর্বে জেনেছি কলা পটাশিয়ামের ভান্ডার
আর এ পটাশিয়াম আমাদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
দাঁত উজ্জ্বল করতে: কলার উপরের অংশ বা খোসা দাঁতের মধ্যে মাজনের মত ঘষতে
পারেন মুহূর্তের মধ্যে আপনি খেয়াল করবেন আপনার দাঁতের উজ্জ্বলতা অনেকখানি বৃদ্ধি
পেয়েছে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: আমরা পূর্বেই জেনেছি ওজন বৃদ্ধিতে কলার ভূমিকা কত বেশি
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোন অন্য ফলের তুলনায় কলাতে
চিনি ও ক্যালোরের পরিমাণ বেশি রয়েছে তবে এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আস্থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিশেষ ভূমিকা রাখে কলা। আপনি
যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ পসেসে থাকেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষুধা পাওয়ার সময় একটি
করে কলা খান তাহলে এতে আপনার কখনোই ওজন বেড়ে যাবে না।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি
কলা খাওয়া উচিত এরমধ্যে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত
হয়েছেন। কলার উপরোক্ত ছাড়াও হাজারো উপকারিতা রয়েছে যা একটি পোস্টের মাধ্যমে
লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।
কলা খাওয়ার অপকারিতা
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত এর মধ্যে আমরা
এতক্ষণ কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা কলা খাওয়ার অপকারিতা
সম্পর্কে জানব।কোন খাবার যতই পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকুক না কেন সঠিক নিয়মে বা
পরিমাণ না জেনে খেলে সে খাবারটি আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে
পারে তেমনটি করার ক্ষেত্রেও এর জন্য আমাদের কলা খাওয়ার উপকারিতা জানার সাথে সাথে
কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কেও জানা অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন দেরি না করে সঠিক
নিয়মে না বা পরিমানে না খেলে বা কোন কোন রোগীদের জন্য কলা খাওয়ার অপকারিতা
রয়েছে সেগুলো নিম্নে আলোচনা থেকে জেনে নেই-
- অবশ্যই মনে রাখবেন কলার মধ্যে যে কার্বোহাইড্রেট থাকে এই কার্বোহাইড্রেট কিন্তু সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। আর এই সিম্পল কার্বোহাইডেট আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা খুব দ্রুততার সহিত বৃদ্ধি করতে পারে। তাই যে সমস্ত মানুষেরা ডায়াবেটিসের মত সমস্যায় ভুগছেন তারা কলা থেকে দূরে থাকায় ভালো হবে।
- খালি পেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এজন্য খালি পেটে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- এর সাথে সাথে অবশ্যই মনে রাখবেন যে সমস্ত কলা অতিরিক্ত পেকে যায় অর্থাৎ যে কলা হলুদ বর্ণ হতে হতে ব্রাউন বর্ণের হয়ে যায় সেই কলার মধ্যে কিন্তু সুগার কন্টেনও বৃদ্ধি পেতে থাকে তাই যদি আপনি একজন ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি পাকা কলা খাবেন কিনা যে সমস্ত কলা বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে সে কলা থেকে আপনি আরো বেশি দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রা অতিরিক্ত কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
- এর সাথে সাথে যারা ওবিসিটি বা ওভার ওয়েট এর মত সমস্যায় ভুগছেন সে সমস্ত মানুষদেরও কলা এভোয়েড করা ভালো।
- যে সকল ব্যক্তির শরীরে পড়াশোনার মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ কলা হচ্ছে পটাশিয়াম পুষ্টি উপাদানে এর একটি ভান্ডার। ফলে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খান তাহলে শরীরে মাত্রা বেড়ে গিয়ে কিডনি জটিলতা, হৃৎপিণ্ড, মাথা ঘোরা ও হাইপারক্যালিমিয়া রোগ হতে পারে।
- ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এর পেশেন্টরা কলা খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন আমরা আগেই আলোচনা করেছি কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে তাই যে সমস্ত মানুষেরা কনিক কিডনি ডিজিস এর সমস্যায় ভুগছেন সে সমস্ত মানুষদেরও কলা খাওয়া উচিত নয়।
- কলাতে টাইরামাইন নামক এক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ঠান্ডা জনিত সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে ফলে আপনার যদি ঠান্ডা জড়িত সমস্যা বিশেষ করে মাইগ্রেন রয়েছে তাহলে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অ্যাজমা, এলার্জি, হাঁপানি, আর্থারাইটিস, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যা থাকলে তারা রাতের বেলা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এতে সমস্যাগুলো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি
কলা খাওয়া উচিত এর মধ্যে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে
জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত মধ্যে কলা
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা দিনে কয়টি কলা খাওয়া
উচিত এ সম্পর্কে জানব। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, কে,
মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড,
ক্যারোটিনয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ইত্যাদি। যেহেতু এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
উপাদান অত্যাধিক পরিমাণে রয়েছে বিশেষ করে পটাশিয়াম যার কারণে বিভিন্ন গবেষণা ও
ডক্টরদের মধ্যে দিনে এক থেকে দুইটির বেশি কলা খাওয়া উচিত নয়। একটি মাঝারি
আকারের কলায় ৯ শতাংশ বা ৪২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে ফলে আপনার শরীরে যদি
আরো পড়ুনঃ টক দই বানানোর ১০ ধরনের ঘরোয়া নিয়ম
পটাশিয়ামের মাত্রা পূর্বে থেকে অত্যাধিক পরিমাণে থাকে এবং আপনি যদি অতিরিক্ত
পরিমাণে কলা খান তাহলে পটাশিয়াম ভারসাম্য তার বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে কিডনির সমস্যা, মাথাব্যথা, গ্যাস্ট্রিক,
ডায়াবেটিকস, হৃদপিন্ডের বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি
দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কলাতে ল্যাটেক্স নামক উপাদান রয়েছে ফলে অতিরিক্ত
পরিমাণে কলা খেলে এলার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এর জন্য অবশ্যই হাজারো গুন
সম্পন্ন এই কলার সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই সঠিক মাত্রায় কলা
খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি
কলা খাওয়া উচিত সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন কলা
সম্পর্কে শুধুমাত্র কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া
উচিত নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে কলা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা
অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত ছাড়াও কলা সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
- কলা খাওয়ার সঠিক সময়
- খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
- সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত সম্পর্কে আমরা
উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম কিন্তু ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
সম্পর্কে কি আপনার কোন ধারণা রয়েছে। কলার সঠিক উপকারিতা দিয়ে শরীরকে সুস্থ
রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ করাতে কি কি পুষ্টি উপাদান কি কি
পরিমাণে রয়েছে তা জানা অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন নিম্ন থেকে তা জেনে নিন-
১০০ গ্রাম কলায় রয়েছে,
- ১ টি কলায় ক্যালরি- ১০৯ কিলোক্যালরি
- আমিষ- ৭গ্রাম
- লৌহ- ০.৯০ মিলিগ্রাম
- প্রোটিন- ৭ মিলিগ্রাম
- শর্করা- ২৫গ্রাম
- চর্বি- ০.৮গ্রাম
- খনিজ লবন- ০.৯৮গ্রাম
- ভিটামিন বি-১ ০.১০মিগ্রা
- ভিটামিন বি-২ ০.০৫ মিগ্রা
- ভিটামিন সি- ২৪মিগ্রা
- ক্যালসিয়াম- ১৩মিগ্রা
- ক্যারোটিন- ০ ০ ০ ২৭মাইক্রোগ্রাম
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত
ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা জানলাম কিন্তু আপনি যদি উপরোক্ত
করার খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও হাজারো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর কলা হাজারো স্বাস্থ্য
উপকারিতা পেতে চান তাহলে কলা খাওয়ার সঠিক সময় জানা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের মতে কলা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালে অর্থাৎ সকাল ১১ টার
মধ্যে। এতে যেমন আপনি সারাদিনে কর্ম করার এনার্জি তেমনি সারাদিনে যে সকল পুষ্টি
উপাদান ক্ষয় হবে তা এটি পূরণ করিয়ে দেবে। যার কারণে বিশেষজ্ঞরা সকালে কলা
খাওয়ার কথা বলে থাকেন তবে খালি পেটে
কখনোই কলা খাবেন না প্রথমে কিছু খাওয়ার পরে তারপরে কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া কখনো সন্ধ্যার পর থেকে কলা খাবেন না কারণ কলার মধ্যে ৭০ থেকে ৭২% পানি
লেভেল রয়েছে ফলে আপনার ঠান্ডা জনিত সমস্যা থাকলে তা বাড়ি দিতে পারে অথবা ঠান্ডা
জনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত
ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জেনেছি
কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে কলা খান তাহলে খালি পেটে কলা খেলে কি হয় এবং এ
সম্পর্কে ডক্টররা কি বলে থাকে তা আপনি কি জানেন। খালি পেটে কলা খাওয়া থেকে বিরত
থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা।
আমরা জানি কলা যত বেশি পাকা হবে এতে সরকারের মাত্রা তত বেশি বেড়ে যাবে। এর জন্য
আপনি যদি খালি পেটে কলা খান তাহলে হঠাৎ আপনার শরীরে সরকারের মাত্রা বেড়ে যেতে
এটা শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বরং স্বাভাবিক মানুষের জন্য
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এছাড়াও খালি পেটে কলা খেলে এতে থাকা কম আঁশ ও সরল
কার্বোহাইড্রেট গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ফলে বমি ভাব মাথা ব্যথা
ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
ইতোমধ্যে আমরা কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত,
১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা
থেকে জেনেছি। হয়তো আপনাদের মনে আছে উপরে আমি কলা খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করেছি
আর সে উপকারিতা গুলো আপনি তখনই পাবেন
যখন আপনি কলা সকালে খাবেন। অর্থাৎ আমি যে উপকারিতা গুলো উপরে আলোচনা করেছি সেগুলো
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কলা খাওয়ার সঠিক সময় হল
সকালে এবং সে সময়ে আপনি কলার হাজারো পুষ্টি উপাদানের আসল স্বাস্থ্য উপকারিতা
পাবেন।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি
কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম কিন্তু রাতে কলা
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ও আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে কি বলছে
আপনি কি জানেন। কলাই রয়েছে হাজারো পুষ্টি উপাদান যার স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে সাথে কলা একটি ঠান্ডা জনিত ফল। যার
কারণে যে সকল ব্যক্তি ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরকে রাত্রে কলা খাওয়ার থেকে
বিরত থাকতো বলে ডক্টররা। যেহেতু ধীরগতিতে হজম হয় যার কারণে রাত্রে খেলে
গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়াও আপনি যদি সারাদিন
বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন এবং রাত্রে আপনার বুক জ্বালাপোড়া করে তাহলে
আপনি তা প্রশম করার জন্য একটি কলা খেতে পারেন এটা আপনি অনেকটা স্বস্তি বোধ করবেন
এবং রাত্রে ডিনারে আপনি যদি শুধুমাত্র কলা ও দুধ খান তাহলে আপনার সারাদিনের
ক্যালরির ঘাটতি
মিটে যাবে এবং অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে ক্লান্তিহীন আরামদায়ক ঘুম
উপভোগ করতে পারবেন। তবে কলা সকালে ও বিকালের দিকে খাওয়াটাই স্বাস্থ্যের জন্য
বেশি উপকারী এজন্য যাদের সমস্যা রয়েছে তারা আশা করি রাত্রে কলা খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন।
লেখক এর মন্তব্য-কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের কলা খাওয়ার ৩৭টি উপকারিতা ও
অপকারিতা-দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, ১ টি কলায় কত ক্যালরি ও কলার পুষ্টিগুণ
ইত্যাদি ছাড়াও কলা সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে
জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার
আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url