মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে ইত্যাদি। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে ছাড়াও মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে, পরিমাণ জানতে পারবেন এবং মিষ্টি কুমড়া সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে, মিষ্টি কুমড়া কোন ধরনের খাদ্য, মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে, মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম কি, মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়, মিষ্টি কুমড়া খেলে কি এলার্জি হয় ইত্যাদি ছাড়াও মিষ্টির কুমড়া সম্পর্কে আরো বিভিন্ন
জানা-অজানা তথ্য নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। মিষ্টি কুমড়া কতটা উপকারী ও পুষ্টিকরণে ভরপুর সবজি হয়তো আমরা সঠিক ধারণা না থাকলেও সামান্য ধারণা আমাদের সকলের মাঝে রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া এমন এক ধরনের সবজি যা বিভিন্ন রঙিন সবজি, ফল ও বাদামের ইত্যাদি

এমন কিছু কিছু পুষ্ট উপাদান রয়েছে যা এগুলো খাবারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রয়েছে। এর জন্য দেখবেন বাচ্চাদের খাবারের যে তালিকার থাকে সে খাবারে অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া যুক্ত করা হয়। তাই আশা করি মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও নিম্নে পোস্টটি সম্পন্ন করবেন।

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা। সকল ধরনের রঙিন ও পুষ্টগুণে ভরপুর সবজির ভেতরে সর্ব ওপরে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া এর জন্য একে সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ মিষ্টি কুমড়ার শুধু মাত্র যে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া যায় তা নয় মিষ্টি কুমড়ার ওপরের চামড়া,
মিষ্টি কুমড়ার বিচি, কুমড়ার ডগা, মিষ্টি কুমড়ার পাতার শাক ইত্যাদি আর এ সকল রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যাকে বলা হয় পুষ্টি উপাদানের ভান্ডার। তাই চলুন দেরি না করে এই ভান্ডারের অর্থাৎ মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে আমরা প্রথমে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। চলুন নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা থেকে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-

  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এবং মানসিক বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া।
  • মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে জিংক,ক্যারোটিনয়েড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা খুব সহজে প্রোস্ট্রেট প্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।
  • মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে অন্যতম বর্তমান যুগে উপকারিতা হচ্ছে চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান। চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- চোখে ছানি পড়া, বার্ধক্য জনিত দৃষ্টিশক্তি, রেটিনার কোষের সমস্যা ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • পেটের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু ও পেটের কৃমি দূর করতে বিশেষ সহায়তা করে মিষ্টি কুমড়া।
  • মাথার স্কাল্প বা খুশকি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া কারন এতে চুলের জন্য প্রয়োজনে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
  • মিষ্টি কুমড়ায় থাকা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন কে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয় ফলে আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাদত তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখেন তাহলে মৌসুমী ঠান্ডা জ্বর ও কাশি হতে অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব হবে।
  • মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন "এ", "বি", "সি", ও "কে" মানসিক চাপ, অতিরিক্ত টেনশন, মেজাজ খিটখিটে, অল্পতে রেগে যাওয়া, ডিপ্রেশন ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে রেখে মন শান্ত ও মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
  • মিষ্টি কুমড়া জিংকের অনেক বড় একটি সোর্স আর জিংক আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে যার ঘাটতির ফলে ত্বক ও চুলেরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন ত্বকে অল্প বয়সে বার্ধক্য জনিত লক্ষণগুলো দেখা যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায় ত্বক মলিন হয়ে যায় এবং চুলের ক্ষেত্রে চুল ঝরে পড়ে। এ সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকতে হলে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন।
  • ম্যাগনেসিয়াম ও অনেক বড় সোর্স ধরা হয় মিষ্টি কুমড়াকে। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া রাখেন তাহলে ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি পূরণের সাথে সাথে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার হাড় মজবুত, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হরমোনাল বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, স্নায়ুতন্ত্র সচল, মাংসপেশি সচল থাকবে ইত্যাদি।
  • যেহেতু মিষ্টি কুমড়া জিংকের অনেক বড় একটি সোর্স এবং এতে থাকা ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।
  • প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্বল শিশু জন্মে প্রতিরোধ বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের কার্যকরতা সচল করতে প্রয়োজন জিংক আর এর ঘাটতি মিটিয়ে সকল কিছু সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন।
  • রক্তশূন্যতা দূর, মাংসপেশি সঠিক গঠন, কর্মশক্তি বৃদ্ধি, শরীরের সঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ নতুন নতুন রক্ত কণিকা তৈরি ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন আয়রন আর এ আয়রনের জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন কারণ মিষ্টি কুমড়া রয়েছে অতিমাত্রায় লোহিত পুষ্টি উপাদান বা আয়রন।
  • মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে অধিক পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন জাতীয় পুষ্টি উপাদান যার ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন- গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, পেট ফাঁপা ইত্যাদি খুব সহজে সমাধান করা যায়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত উপকারী কারণ এদের রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, খনিজ, বিভিন্ন ভিটামিন যা গর্ভঅবস্থায় গর্ভকালীন মায়ের রক্তস্বল্পতা দূর করবে, বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে এবং বাচ্চা সুস্থ, সবল ভাবে ভূমিষ্ঠ করতে সহায়তা করবে।
  • মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি করে অস্টিওপোরোসিস এর মত সমস্যা সমাধানের সাহায্য করে থাকে।
  • রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে মিষ্টি কুমড়া।
  • মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
  • মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে আরেকটা অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আনা। বর্তমান যুগে খাদ্যা অভ্যাস সঠিক না থাকার কারণে সকলেরই ডায়াবেটিস জনিত মরণব্যাধি রোগটি দেখা দিচ্ছে। আর এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া তবে মাত্র অতিরিক্ত এবং প্রতিদিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং যাদের ডায়াবেটিস সহজে নিয়ন্ত্রণে আসে না তারা অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
  • শরীরে বিভিন্ন প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ও ব্যথা প্রশমন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া।
  • মিষ্টি কুমড়া রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ আর এই ম্যাঙ্গানিজ আমাদের বাতের ব্যথা, মস্তিষ্ক অস্বাভাবিক কার্যকলাপ, হৃদরোগ, আলজেইমার্স, মৃগীরোগ ইত্যাদি সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া কারণ মিষ্টি কুমড়া হল ফাইবার বা আশ যুক্ত একটি খাবারএবং এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম যার ফলে অনেকক্ষণ ধরে আমাদের পেটকে ভরা রাখে এবং ক্ষুধার পরিমাণকে কমিয়ে আনে ফলে খুব সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
  • ওজন বাড়াতে ও মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা অনেক বেশি কারণ মিষ্টি কুমড়া রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি যার ফলে আপনি যদি সামান্য বেশি পরিমাণে খান তাহলে আপনার ওজন বাড়বে তবে আপনি যদি কমানোর প্রসেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই সঠিক মাত্রায় খাবেন এবং কখনোই অতিরিক্ত খাবেন না।
  • কিডনি, লিভার ও হৃদযন্ত্রের জন্য মিষ্টি কুমড়া অনেক ভালো একটি কারণ এতে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা এগুলোকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ভিটামিন, ক্যারোটিনয়েড।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া কারণে এতে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে যার কারনে ছোট বাচ্চাদের প্রথম খাবার হিসেবে সেদ্ধ মিষ্টি কুমড়া খাওয়াতে বলা হয়ে থাকে। কারণ ছোট বাচ্চাদের হজম শক্তি খুবই কম থাকে ফলে যে কোন খাবার সহজে হজম করতে পারে না কিন্তু মিষ্টি কুমড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করে তাই এটি দেয়া হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের শরীরে সঠিক মাত্রায় পটাশিয়াম, খনিজ ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন যা মিষ্টি কুমড়ায় অত্যধিক পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।
  • অতিরিক্ত স্ট্রেস বা অ্য্যাংজাইটি ফলে বর্তমানে অনেকেরই অনিদ্রাদনিত জনিত সমস্যায় ভুগছেন আর এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের প্রয়োজন সেরোটোনিন ও ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড এটা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের এই অনিদ্রা জনিত সমস্যার সমাধান করে প্রশান্তির ঘুম প্রদানের সহায়তা করবে আর এ পুষ্টি উপাদান গুলো মিষ্টি কুমড়া বিদ্যমান রয়েছে।
  • মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ফাইটোস্টেরল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
  • হাড়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে হাড়ে সুক্ষ ফাটল, হাড় ক্ষয়, মাজা ও কোমর ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা সমাধান মিষ্টি কুমড়ার ভূমিকা অনেক বেশি কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ইত্যাদি যা হারের এসব সমস্যার সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা এতক্ষণ মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু মিষ্টি কুমড়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে তবে তা বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে যেমন আপনি যদি তা অতিরিক্ত পরিমাণে বা সঠিক নিয়মে না খান তাহলে নিম্নের সমস্যাগুলো আপনার দেখা দিতে পারে চলুন দেরি না করে মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে অপকারিতা গুলো জেনে নেই।

মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এতক্ষণ আমরা মিষ্টি গুলোর উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানব চলুন বিস্তারিত জেনে নেই-

  • অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রা অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে হজমের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন- গ্যাস্ট্রিক, পেটে ব্যথা, বদহজম, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ এতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার যা পেটে অতিমাত্রায় প্রবেশ করলে এ সকল সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • যেহেতু মিষ্টি কুমড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ফলে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খান তাহলে আপনার বেশি মাত্রায় রক্তের শর্করার মাত্রা কমে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • একজন সাধারণ মানুষের জন্য যে পরিমাণে ক্যালরির প্রয়োজন তার কিছুটা ঘাটতি মেটাতে পারে মিষ্টি কুমড়া তবে আপনি যদি অধিক পরিমাণে নিয়মিত খান তাহলে শরীরে ক্যালরি পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ওজন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া তবে অধিক পরিমাণে নিয়মিত খেলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে গিয়ে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তির পূর্ব থেকে অধিক পরিমাণে এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পূর্বে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
  • নিয়মিত যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পৃষ্ঠকমরা খান তাহলে আপনার ঠান্ডা জনিত সমস্যা বিশেষ করে গলা ব্যথা ও কাশি হতে পারে।
  • বাচ্চাদের অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ালে পেট ফাঁপা বা বদহজম বা ডায়রিয়া জনিত বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এর জন্য বাচ্চাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিশেষ সতর্ক অবলম্বন করবেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইলে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো কারণ নিম্নে আমি মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যেমন-

  • মিষ্টি কুমড়া কোন ধরনের খাদ্য
  • মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে
  • মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে
  • মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম কি
  • মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়
  • মিষ্টি কুমড়া খেলে কি এলার্জি হয়

মিষ্টি কুমড়া কোন ধরনের খাদ্য

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে উপরোক্ত আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিন্তু অনেকেই জানতে চান মিষ্টি কুমড়া কোন ধরনের খাদ্য মূলত মিষ্টি কুমড়া একটি ভিটামিন জাতীয় খাদ্য আর এর ভেতরে এত পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যে তা মাছ মাংস ডিম বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও কিছু কিছু ফলে তুলনা ও অধিক পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আশা করি এ থেকে বুঝতে পেরেছেন মিষ্টি কুমড়া কতটা উপকারী একটি খাদ্য।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে না কমে মূলত আপনি যদি ১০০ গ্রাম পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খান তাহলে আপনার ওজন বাড়বে না কারণ এতে রয়েছে ফাইবার এছাড়াও এতে অতি অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ক্যালরি এবং ভালো ফ্যাট
তবে আপনি যদি ১০০ গ্রাম এর অধিক পরিমাণে নিয়মিত খান তাহলে আপনার ওজন কমার পরিবর্তে বাড়বে। এর জন্য আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে ১০০ গ্রাম এর থেকে সামান্য বেশি পরিমাণে খেতে পারেন আর যদি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করবেন।

মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে

ইতোমধ্যে আমরা মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি কিন্তু আপনি যে খাবারটি খেতে চাচ্ছেন অর্থাৎ মিষ্টি কুমড়ার এত উপকারিতা জেনে খেতে চাচ্ছেন এতে অর্থাৎ মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে তা কি আপনি জানেন যদি না জানেন তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন রয়েছে

  • ভিটামিন সি- ১০ মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন এ- প্রায় ১,৯০০ মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন ই- ২.৫ মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন কে- ১ % ১.১ মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন বি৬ -৪% ১৬ মাইক্রোগ্রাম

মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ

আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন কিন্তু আমাদের মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ গুলো সম্পর্কেও ও জানা বা অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তাতে কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে তা জানা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন দেরি না করে মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ গুলো জেনে নেই

২৪৫ গ্রাম রান্না বা সেদ্ধ করা (লবণ ছাড়া) মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে-

  • প্রোটিন- ১.৭৬
  • আঁশ- ২.৭ গ্রাম
  • ক্যালরি- ৪৯
  • ফ্যাট- ০.১৭ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট- ১২ গ্রাম
  • এতে কোলেস্টেরল নেই
এ ছাড়াও এতে রয়েছে

  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন ই
  • রিবোফ্লোবিন
  • পটাশিয়াম
  • কপার
  • ম্যাংগানিজ
  • থায়ামিন
  • ভিটামিন বি৬
  • ফলিত
  • প্যানটোথেনিক
  • অ্যাসিড
  • নিয়াসিন
  • আয়রন
  • ম্যাগনেশিয়াম
  • ফসফরাস

মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম কি

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু ইতোমধ্যে আশা করি জানতে পেরেছেন কিন্তু মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম কি আপনারা কি জানেন যদি না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেই। মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম হল pumpkin, winter squash, gourd & squash. তবে সাধারণত বাংলাদেশে মিষ্টি কুমড়া ইংরেজি নাম pumpkin হিসেবেই অনেকেই চিনে থাকে।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়

মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা থেকে আমরা জানতে পেরেছি মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয় কিনা। তবুও আমি আপনাদের মাঝে বিস্তারিত বিষয়টি জানানোর জন্য আলোচনা করছি। মিষ্টি কুমড়া খেলে মূলত গ্যাস, বদহজম, পেটে ব্যথা, পেটের বিভিন্ন পীড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা গুলো সমাধান হয়।

আর এ সমস্যা গুলো মিস্টুকুমরা তখনই সমাধান করবে যখন আপনি এটি সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময় খাবেন কিন্তু আপনি যদি মিষ্টি কুমড়া সঠিক পরিমাণে বা সঠিক সময়ে না খান তাহলে এর বিপরীত অর্থাৎ আপনার মিষ্টি কুমড়া খেলে গ্যাস হতে পারে। কারণ এতে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার বা আঁশযুক্ত পুষ্টি উপাদান গুলো পেট অনেকক্ষণ ধরে ভারী লাগবে ফলে
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়াজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্যই আমি পূর্বে বলেছি কোন খাবার যতই পুষ্টি উপাদানের ভরপুর বা উপকারী হোক না কেন তার সঠিক মাত্রায় ও সঠিক পরিমাণে না খেলে উপকারের তুলনায় অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা শারীরিক ক্ষতি বেশি হয়।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি এলার্জি হয়

ইতোমধ্যে আমরা মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি তবে অনেকেই জানতে চান মিষ্টি কুমড়া খেলে কি এলার্জি হয় মূলত মিষ্টি কুমড়া খেলে কোন প্রকার এলার্জিজনিত সমস্যা হয় না কিন্তু আপনার যদি পূর্ব থেকে এলার্জি জড়িত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এলার্জিজনিত সমস্যা

যেমন- মুখ ফুলে যাওয়া, বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি বের হওয়া, লালচে ভাব, মাথা ঘোরা, বমি ভাব নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই যে সকল ব্যক্তির এলার্জির জন্য তো সমস্যা রয়েছে এবং মিষ্টি কুমড়া খেতে চান তারা অবশ্যই ডঃ পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

লেখক এর মন্তব্য-মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের মিষ্টি কুমড়ার ৩৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে ইত্যাদি ছাড়াও মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url