বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন ইত্যাদি। এছাড়াও বাসক পাতা সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। 
বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন ছাড়াও বাসক পাতা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক খাওয়ার নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং বাসক পাতার সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন। এ বাসক পাতায় এত বেশি স্বাস্থ্য উপকারী এবং বিভিন্ন রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয় যে শুধুমাত্র বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে আলোচনা করে
বাসক পাতার সম্পূর্ণ উপকারিতা বা এর সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানানো সম্ভব নয় তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন ছাড়াও বাসক পাতা গাছের ছবি, বাসক পাতা কখন খেতে হয়?,বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নাম, বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি।

আর এগুলো সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানা অজানা এবং সিক্রেট তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। কারণ এতে রয়েছে হাজার পুষ্টি উপাদান উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। তাই আশা করি বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন ছাড়াও নিম্নে বাসক পাতা সম্পর্কে লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি

আজকের আলোচ্য বিষয় বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি। বাসক পাতায় এত বেশি রোগের জন্য কার্যকারী যে স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয় তবে এখন আমি আপনাদের মাঝে বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবির মধ্যে প্রথমে বাসক পাতার উপকারিতা এর সামান্য কিছু উদাহরণ নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করেছি-

বাসক পাতার উপকারিতা

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি এর মধ্যে চলুন প্রথমে বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-

প্রসাবের সমস্যা: বাসক পাতার ফুল এবং একটা চামচ মিশ্রি এক গ্লাস পানি বিশ্বের সর্ব তৈরি করে খেলে প্রেশাবের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে জ্বালা-যন্ত্রণা অনেক বেশি দূর করতে সহায়তা করে।

পানি বিশুদ্ধ: পানি জীবাণুমুক্ত কিংবা বিশুদ্ধকরণ করতে আপনি পানির ফোটানোর সময় বাসক পাতা ব্যবহার করলে পানি বিশুদ্ধ হয়।

ফাঙ্গাস দূর করতে: ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের দাদও চুলকানি দেখা দেয় আর এ দাদ ও চুলকানি দূর করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে বাসক পাতা ও হলুদ এর জন্য বাসক পাতা পেস্ট করে এর ভেতরে সামান্য হলুদ মিশিয়ে দাদ বা চুলকানি স্থানে লাগিয়ে নিলে বেশ উপকার পাবেন।

ব্রংকাইটিস বা টিবি ও পুরনো কাশি: পুরনো কাশি কিংবা সর্দি, কাশি ও ব্রংকাইটিস এর মত রোগ থেকে উপশম পেতে চাইলে আপনি বাসক গাছের ছাল চূর্ণ ৮ থেকে ১০ গ্রেড মাত্রায় নিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশে খেতে পারেন এতে অনেক বেশি উপকারিতা পাবেন।

দাঁতের সমস্যা দূর করতে: দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি দেখা যায় তা হল দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে বাসক পাতার। এর জন্য বাসক পাতা পানিতে ভালো করে সেদ্ধ করে কুসুম গরম অবস্থায় কুলকুচি করলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

পাইলস দূর করতে: পাইলস নিরাময়ে বেশ সাহায্য করে বাসক পাতা। বাসক পাতার পেস্ট তৈরি করে একটি কাপড়ে মুড়িয়ে ভালো করে বেঁধে মলদ্বার স্থানে ঠ্যাক দিলে পাইলসের ব্যথা ও পাইলস নিরাময় অনেক বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

জন্ডিস প্রতিরোধ: বাসক পাতার ফুলের রস এর সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে জন্ডিসের রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়।

খিচুনি দূর করতে: খিচুনি রোগের সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য বাসক পাতার রস নিয়মিত খেতে পারেন যা আপনাকে খিচুড়ির মত সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়তা করবে।

হুপিং কাশি দূর করতে: শ্বেত বাসকের পাতা ও ছালের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে বড়দের হুপিং কাশি, কাশতে কাশতে দম বন্ধ হয়ে আসে এবং বাচ্চাদের বুকের ভেতর সবসময় ঘড়ঘড় শব্দ, অতিরিক্ত কাশির প্রকোপে শরীর নীলচে রং হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

খাবার সংরক্ষণ: বাসক পাতায় এমন কিছু ক্ষারীয় উপাদান রয়েছে যা কোন খাবারের ছত্রাক বা পোকামাকড় ধরতে বাধা প্রদান করে এর জন্য বিশেষ করে ফল প্যাকেজিং বা দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণের জন্য বাসক পাতা বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ: নিউমোনিয়া রোগে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে বাসক পাতার রস এর সাথে মধু।

ফোঁড়ার ব্যথা প্রশমে: ফোড়ার ব্যথা প্রশমে বেশ কার্যকারী বাসক পাতার পেস্ট এর জন্য ফোড়াই স্থানে বাসক পাতা পেস্ট করে লাগিয়ে দিলে ব্যথা অনেক বেশি প্রশম হয়।

যক্ষার ক্ষেত্রে: আপনার যদি যক্ষ্মা হয়ে থাকে তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে বাসক পাতার রস খেতে পারেন তবে যক্ষায় যদি কাশির সঙ্গে রক্ত আসে তাহলে আপনি লাল বাসক পাতা রস খেতে পারেন যা যক্ষা নির্মূল করতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।

এলার্জি প্রতিরোধে: এলার্জির ফলে শরীরে হওয়া বিভিন্ন ধরনের চুলকানি, ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে বাসক পাতা ফুলে যাওয়া লাল হয়ে যাওয়া স্থানে যদি বাসক পাতা পেস্ট করে লাগানো যায় তাহলে বেশ আরাম অনুভূত হয়।

অম্লপিত্ত রোগ: অম্লপিত্ত রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে বাসক পাতা এবং বাসক পাতার ছাল। এর জন্য প্রায় ২৫ গ্রাম বাসক পাতা ছাল ভালো করে ধুয়ে থেঁতো করে এক লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে জাল দিতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পানির পরিমাণ চার ভাগের এক ভাগে চলে আসে। এবার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন এতে আপনি বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

শরীরে দুর্গন্ধ দূর করতে: যাদের শরীরে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ বের হয় তা ঘামের কারণে হোক বা অন্য কোন কারণে শরীরের এই দুর্গন্ধ দূর করতেও বাসক পাতার পেস্ট বেশি উপকারী এর জন্য বাসক পাতা পেস্ট করে সমস্ত গায়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে গোসল করলে শরীর হতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়থানকুনি পাতার

গলা ব্যথা রোগ: গলা ব্যথা কিংবা গলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বাসক পাতার রস বেশ উপকারী এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

রক্ত পরিষ্কার করতে: বাসক পাতা রক্ত পরিষ্কার করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে রক্ত পরিষ্কার না থাকলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও পেটের সমস্যা। এর জন্য আপনাকে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার বাসক পাতার রস খেতে পারেন তাহলে বাসক পাতা আপনার রক্ত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।

উকুন দমনে: উকুন দমনের জন্য বাসক পাতার রস বেশ কার্যকারী এর জন্য শুধুমাত্র আপনি বাসক পাতার রস মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন মাথা থেকে সকল উকুন দূর হয়ে গিয়েছে।

হাঁপানি রোগ: আপনার যদি হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকে তাহলে বাসক পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে পেচিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পাতার ধোঁয়া নিঃশ্বাসে নিতে পারেন ফলে হাঁপানি কিংবা শ্বাসকষ্ট কিংবা টানের সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

ব্রণ দূর করতে: ত্বকের যত্নেও বাসক পাতার পেস্ট বেশ উপকারী বিশেষ করে ব্রণ নিরাময়ে। এর জন্য শুধুমাত্র বাসক পাতার পেস্ট তৈরি করে ব্রণ স্থানে লাগিয়ে দেবেন দেখবেন ব্রণ কমে গেছে এবং ব্যথা অনেক বেশি কমে এসেছে।

মাংসপেশির টানের ব্যথা প্রশম: বিভিন্ন কারনেও আমাদের মাংসপেশীতে টান ধরে এ টানের ব্যথা প্রচণ্ড হয়ে থাকে কিন্তু আপনি খুব সহজে বাসক পাতার মাধ্যমে এই টানের ব্যথা প্রশম করতে পারেন এর জন্য বাসক পাতার পেস্ট তৈরি করে এর ভেতরে সামান্য হলুদ ও চুন মিশিয়ে টান স্থানে লাগিয়ে দিলে ব্যথা প্রশম হয়।

কৃমির নাশক: পেটের কৃমি দূর করার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্রাম বাসক পাতা ঝাল ভালো করে থেঁতো করে এর ভেতরে চার থেকে পাঁচ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে পানির পরিমাণ যখন এক কাপের পরিমাণে হবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে খাবেন এর তিক্ততা স্বাদের কারণে কৃমি শরীর হতে বেরিয়ে আসবে।

মৌসুমী সর্দি-কাশি দূর করতে: ম্যালেরিয়া কিংবা মৌসুমী বিভিন্ন জ্বর সর্দি কাশি দূর করার জন্য বাসক পাতার ছাল এক লিটার পানিতে জাল দিয়ে চার ভাগের এক ভাগ করে দিনের দুই থেকে তিন বার খেলে মৌসুমী ভাইরাস থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: বাসক পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এজন্য আপনার খাদ্য তালিকায় বাসক পাতার রস কিংবা বাসক গাছের ছাল থেতো করে এক লিটার পানিতে সেদ্ধ করে পানির পরিমাণ চার ভাগের এক ভাগ নিয়ে এসে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে এটি।

কফ বের করতে: দীর্ঘদিন ধরে বুকের ভিতরে জমে থাকা কফ এর কারনে শ্বাসকষ্ট বা দীর্ঘস্থায়ী কাশি দূর করার জন্য আপনি এক চা চামচ মধুর সঙ্গে বাসক পাতার রস 1 থেকে 2 চামচ নিয়ে খেতে পারেন যার ফলে আপনার শরীর হতে পুরনো কফ বেরিয়ে আসবে।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি: ভেতর থেকে গায়ের রং ফর্সা কিংবা উজ্জ্বলতা বাড়াতে বাসক পাতার রসের সঙ্গে শঙ্খচিল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

বাতের ব্যথা: দাঁতের ব্যাথা প্রশম করতে বাসক পাতার কাথ বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে। এর জন্য প্রথমে বাসক গাছের ছাল ভালো করে থেতা করে নিতে হবে এবং এর সাথে বাসক গাছের পাতা নিয়ে ১ লিটার জল সহকারে জাল দিতে হবে এবং পানির পরিমাণ যখন চার ভাগের এক ভাগে চলে আসবে তখন চুলার আঁচ বন্ধ করে উক্ত কাথ এর সেক ব্যথায় স্থানে দিতে হবে এছাড়াও আপনি বাসক পাতা ভালো করে পিসি এর ভিতর চুন ও হলুদ মিশিয়ে ব্যথাইস্থানে আধাঘন্টার জন্য লাগিয়ে রাখতে পারেন এতেও আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।

ঋতু কালীন সমস্যা দূর করতে: সময়ে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার মত রয়েছে পেটে ব্যথা ,অতিরিক্ত পরিমাণে ব্লাড নির্গত, মাজা ব্যথা ইত্যাদি। এ সকল সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে বাসক পাতার রস।
আশা করি বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি এর মধ্যে বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।

বাসক পাতার অপকারিতা

এখন আমরা বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি মধ্যে বাসক পাতার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। সকল কিছু স্বাস্থ্য উপকারী খাবারের কিছু পাঁচশ পতিকরা রয়েছে তবে তা সে খাবারের ভেতরে থাকে না বরং আমাদের সঠিক পরিমাণে বা নিয়মে না খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাই চলুন কি কারনে বাসক পাতার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপকারিতা বয়ে নিয়ে আসতে পারি তা জেনে নেই অর্থাৎ বাসক পাতার অপকারিতা গুলো জেনে নেই-

  • বাসক পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, বদহজম, ডায়রিয়া ইফতারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • নিয়মিতভাবে এক লাগায়ে বাসক পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা একেবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ফলে। এজন্য কখনো বাসক পাতার নিয়মিতভাবে একলা গাঁড়ে খাবেন না।
  • বাসক পাতা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পাতা ভালো করে ধুয়ে নেবেন কারণ এর পাতাতে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক জন্মায় যা ধুয়ে না খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের কখনো বাসক পাতা খাওয়া উচিত নয় এতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ সতর্কীয় ভাবে বাসক পাতা খাওয়া জরুরী কারণ বাসক পাতা সামান্য বেশি খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যায় ফলে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হয়।
আশা করি বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি এর মধ্যে বাসক পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।

বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি এর মধ্যে এখন আমরা পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনি বাসক পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে এর পানি খেতে পারেন কিংবা পেস্ট তৈরি করে খেতে পারেন আবার

বাসক পাতার সঙ্গে এর ঝাল সহকারে খেতে পারেন অথবা বাসক পাতা সাথে বিভিন্ন রকমের উপকরণ যেমন তুলসী পাতা, মধু, মিশ্রি, চুন ইত্যাদি যুক্ত করে ও বিভিন্ন রোগের উপকারিতা পেতে পারেন। তবে বাসক পাতা কিংবা বাসক পাতা ছাল অথবা বাসক পাতার ফুল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন।
এছাড়াও আমি উপরোক্ত বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি এর মধ্যে বাসক পাতার উপকারিতা, অপকারিতা এবং বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং কোন রোগে কিভাবে কতটুকু পরিমানে বাসক পাতা খাবেন এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

বাসক পাতা গাছের ছবি

ইতোমধ্যে বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি জানার পর হয়তো আপনার বাসক পাতার ছবি অর্থাৎ বাসক পাতা চেনার বা এ পাতা দেখতে কেমন হয় তা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানার অনেক বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তাই চলুন দেরি না করে বাসক পাতা গাছের ছবি দেখে নেই-
বাসক পাতা গাছের ছবি
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন এই বাসক পাতা সম্পর্কে শুধুমাত্র বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে বাসক পাতা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি ছাড়াও বাসক পাতা সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় গুলো বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • বাসক পাতার ঔষধি গুন
  • বাসক পাতা কখন খেতে হয়?
  • বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নাম
  • বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য

বাসক পাতার ঔষধি গুন

ইতোমধ্যে আমরা বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি সম্পর্কে জানলাম কিন্তু এত গুণসম্পন্ন ও হাজারো উপকারে ভরপুর এ বাসক পাতার ঔষধি গুণ সম্পর্কেও আমাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন বাসক পাতার ঔষধি গুণ জেনে নেই। বাসক পাতার ঔষধি গুন অনেক বেশি কারণ এই পাতায় ক্ষারীয় পদার্থ ও তেল ভার্সিনিন রয়েছে আর এই ক্ষারীয় পদার্থ ও তেল জাতীয় পদার্থ

যা মূলত শ্লেষ্মানাশক হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত যা আমাদের লালা গ্রন্থিকে সক্রিয় করে। ফলে বাসক পাতা, বাসক পাতার ফুল, বাসক পাতার ছাল, বাসক পাতার সিরাপ, বাসক পাতা রস এবং নির্যাস আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে বিশেষ করে সর্দি কাশি জ্বর শ্বাসনালীর প্রদাহ, কৃমিনাশক, শ্বাসকষ্ট, বসন্ত, টিউমার, ঘামের গন্ধ, রক্ত বিশুদ্ধ, পানি বিশুদ্ধকরণ, গায়ের রং ফর্সা, পেশি ব্যথা ইত্যাদি।আর এ পাতার ভেষদ গুনাগুন বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত।

বাসক পাতা কখন খেতে হয়?

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে জানলে হবে না বাসক পাতার এ সকল উপকারিতা পেতে হলে বাসক পাতা কখন খেতে হয়? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন বাসক পাতা কখন খেতে হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জেনে নেই। বাসক পাতা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে আপনি খেতে পারেন তবে আপনার যদি সর্দি কাশি কিংবা কফ জনিত বিভিন্ন সমস্যা থাকে তাহলে

আপনি সকালবেলা খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি পাতা নিয়ে এর রস তৈরি করে খেতে পারেন অথবা এর সঙ্গে মধু কিংবা মিশ্রি মিশেও খেতে পারেন। এছাড়া আপনার যদি কোন বাজে সমস্যা থাকে যেমন ফোড়ার ব্যথা প্রশম, পেশির ব্যথা প্রশম, হাড়ের ব্যথা প্রশম, গায়ের দুর্গন্ধ দূর, বসন্ত, শরীরে জীবাণু দূর ইত্যাদি ক্ষে আসছিত্রে আপনি যেকোনো সময় বাসক পাতার রস, বাসক পাতার ফুল কিংবা এর ছাল ব্যবহার করতে পারেন।

বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নাম

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে আমরা জানলাম কিন্তু বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নাম কি আপনি কি জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেই। বাসক পাতা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল জাস্টিসিয়া আধাতোদা (Justicia adhatoda)।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে এ গাছ জন্মাতে দেখা যায়। ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় বাসক পাতাকে আডুসা, বানসা অথবা ভাসিকা নামে ডাকা হয়। ভারতবর্ষে এর উৎপত্তি হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এটি ব্যবসায়িকভাবে উৎপন্ন করা হচ্ছে। যেহেতু এটি আদ্র ও সমতলভূমিতে খুব ভালো জন্মে এজন্য এর উৎপাদন ও বাংলাদেশে অনেক ভালো পরিমাণে হচ্ছে।
বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য

বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য

বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে আপনারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন কিন্তু বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ বাসক গাছ দেখতে কেমন এর পাতা দেখতে কেমন এর ফল দেখতে কেমন এর ফুল দেখতে কেমন এবং এটি কোন মাটিতে এবং কোন সময় জন্মে তা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট আশা করি পড়বেন।

বাসক পাতার বৈশিষ্ট্য জানতে হলে প্রথমে বাসক পাতা গাছটি দেখতে কেমন চলুন এর বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নিন বাসক পাতার গাছ মূলত ৫থেকে ৬ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। সকল ঋতুতে এই গাছ সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে এর ডালগুলো হালকা হলুদ রঙের দেখা যায়। এই গাছের শাখা প্রশাখা অনেক বেশি হয়ে থাকে। আসা শ্রাবণ ঋতুতে এ গাছের ফুল ধরে।

ফুল ঘন এবং ছোট স্পাইকের উপরে ফোটে আর এই স্পাইক এর বৃত্তটি পাতার চেয়েও ছোট হয়। বাসকতার ফুলে তেমন কোন গন্ধ নেই। বাসক পাতার পাতা দেখতে বল্লমাকারের অর্থাৎ লম্বা বেশ বড়। এ পাতার বেশ গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। যে স্পাইক এর ওপরে ফুল ফোটে সেই স্পাইকের ওপর পাতার আকার উপপত্র থাকে যার গায়ের রং ঘন এবং শিরাটি অনেক মোটা থাকে।

ফুলের বর্ণ সাদা হয়ে থাকে এবং এর ওপরে বেগুনি কালারের দাগ থাকে ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। ফুল শেষ হয়ে আসলে এই গাছে ফল ধরতে থাকে। ফলটি দেখতে অনেকটা সুপারির আকৃতি হয়ে থাকে এবং এর মাঝখানে অনেকগুলো বীজ ভরা থাকে। এই গাছের বংশবিস্তার বৃদ্ধি করা যায় এর ডাল কেটে লাগানোর মাধ্যমে।
বাসক পাতার ডালের দৈর্ঘ্য ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার মধ্যে হলেই গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। ডাল রোপনের জন্য মে জুন মাসি সর্বোত্তম। এই গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে হালকা ভেজা হালকা ছায়া ও আর্দ্র স্থানে এর জমি উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু অথবা সমতল স্থানে লাগানো ভালো একটি গাছ থেকে অন্য গাছের দূরত্ব দুই থেকে তিন ফুট রেখে লাগানো ভালো।

আপনি বাসক গাছ জমির বাঁধ নির্মাণে, পতিত জমিতে, রাস্তার ধারে কিংবা পুকুরপাড় স্থানেও লাগাতে পারেন অথবা জমির সুরক্ষার ক্ষেত্রে লাগাতে পারেন কারণ বাসক গাছ বেশ ক্ষয়ের অধিকার অর্থাৎ বিভিন্ন প্রতিকূলতায় থাকতে পারে এছাড়া এই পাতায় অনেক বেশি দুর্গন্ধ হওয়ায় জমির ফসল সুরক্ষিত থাকে কারণ এই গাছ বা গাছের পাতা কোন প্রকার গবাদি পশু খায় না।

লেখকের মন্তব্য-বাসক পাতার ৩০টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের বাসক পাতার ৩৫টি উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও গাছের ছবি, বাসক পাতার ঔষধি গুন ইত্যাদি ছাড়াও বাসক পাতা সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url