ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম
ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক ইত্যাদি। এছাড়াও ত্বীন ও জয়তুন
সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ
রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি
উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক ছাড়াও ত্বীন ও জয়তুন সম্পর্কে আপনার যত
প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক খাওয়ার
নিয়মে ও পরিমাণ জানতে পারবেন এবং ত্বীন ও জয়তুন এর সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে
পারবেন।
ভূমিকা-ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
শরীরে শান্তির দূত হিসেবে ব্যবহৃত জয়তুন ও ত্বীন ফল আর এই দুইটি ফল সম্পর্কে আজ
আমি বিস্তারিত আলোচনা করব যেমন- ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি
উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক, জয়তুন ফলের দাম কত ও ত্বীন ফলের দাম,
জয়তুন ফল ছবি ও ত্বীন ফলের ছবি, জয়তুন গাছের ছবি ও ত্বীন ফল গাছ,
ত্বীন ফল english ও ত্বীন ফল কি ডুমুর, জয়তুন এর ইংরেজি নাম কি ইত্যাদি
ছাড়াও ত্বীন ও জয়তুন ফল সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি,
ওজন নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত,
হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর ছাড়াও আরো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান পাবেন এবং
অনেক বেশি উপকৃত হবেন। কারণ এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র
স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। তাই আশা করি ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি
নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক ছাড়াও নিম্নে ত্বীন ও জয়তুন
সম্পর্কে লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
আজ আমি আপনাদের মাঝে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করব আর বিভিন্ন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত
রয়েছে যার মধ্যে এই দুইটি ফল ও রয়েছে। শুধু তাই নয় পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা
ত্বীননামক একটি সূরা রয়েছে যেখানে আল্লাহতালা প্রথম আয়াতেই ত্বীন ও জয়তুন ফলের
কসম বা শপথ করেছেন।
আবার হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মা হাওয়া আল্লাহর নিষেধ অমান্য করে যখন
একটি ফল খেয়েছিলেন তখন বিবস্ত্র হয়ে পড়েছিলেন তখন এই ত্বীন ফলের পাতা দিয়েই
লজ্জা নিবারণ করেছিলেন। এ থেকেই স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে ত্বীন গাছ জান্নাতেও
রয়েছে অর্থাৎ এটি জান্নাতি ফল। আমরা নিঃসন্দেহে কোন প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব
ছাড়াই বুঝতে পারি যে,
এই দুইটি ফল কতটা বরকতময় ও উপকারী। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা এরশাদ
করেছেন সূরা মুমিনের, আরেকটি বৃক্ষ যা স্নাই পাহাড়ে হতে উৎপন্ন হবে এবং যা
মানবকল্যাণে তেল ও তরকারির কাজে ব্যবহৃত হবে। ( সূরা মুমিনের আয়াত নম্বর ২০ )।
ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে,
তোমরা জয়তুন তেল শরীরে মালিশ করো এবং তাহা সেবন করো কারণ এটা অনেক বেশি বরকতময়
একটি গাছ হতে উৎপন্ন হয়।( তিরমিজি শরীফের ১৮৫১ নম্বর হাদিস )। উপরোক্ত হাদিস
থেকে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারছি যে এই দুইটি ফল কতটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী কিন্তু এই উপকারিতা গুলো পেতে হলে সঠিক নিয়মে খেতে হবে তাই চলুন দেরি না
করে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা নিম্ন বিস্তারিত
আলোচনা থেকে জেনে নিন-
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর মধ্যে প্রথমেত্বীন ও
জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। ত্বীন ও জয়তুন ফল এতটাই বরকতময় ও
উপকারী ফল ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম নির্দিষ্ট নেই। তবে বিভিন্ন রোগের
সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি এটি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন এছাড়াও স্বাস্থ্য উপকারের
জন্য আপনি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন।
প্রথমে বলে রাখা ভালো পবিত্র আল-কোরআনে যে ত্বীন ও জয়তুন ফলের কথা উল্লেখ করা
হয়েছে তা আমাদের দেশে নেই। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়াতে এগুলো বেশি চাষাবাদ
হয়। চলুন দেরি না করে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
মধ্যে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন-
- জয়তুন থেকে ৪ ধরনের তেল তৈরি হয় যেমন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, পিওর অলিভ, এক্সট্রা লাইট এবং ওমেন্স অয়েল। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল আপনি কাঁচা অবস্থায় যেকোনো প্রকার সালাদ, বিভিন্ন রান্নায়, চুল কিংবা ত্বকে মাসাজ করতে পারেন।
- পিওর অলিভ তেল শরীরে শরীরের বিভিন্ন স্থানের ব্যথা প্রশমনের ক্ষেত্রে মালিশ কিংবা মাসাজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- এক্সট্রা লাইট রান্নাই কোন কিছু ভাজার বা ফ্রাই করার জন্য ব্যবহার করা হয় যেমন- মাছ ভাজা, ডিম ভাজা, সবজি ভাজা ইত্যাদি।
- জয়তুনের তেল, এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ পানি এবং ডায়াবেটিস না থাকলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে খেতে পারেন এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সমস্যাগুলো দূর করতে সহায়তা করবে তবে এগুলো প্রথমে আপনি হাফ চামচ করে নিয়েও খেতে পারেন।
- ওমেন্স অয়েল দীর্ঘ সময় ধরে যে সকল খাবারগুলো ভাজা হয় সে খাবারগুলো ভাজার জন্য এটেল ব্যবহার করা হয় যেমন- চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, পাকোড়া, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি।
- মৌসুমী বিভিন্ন রোগ যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি হলে ত্বীন ফল রান্না করে কিংবা ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন এবং জয়তুন ফল এর তেল তৈরি করে সমস্ত শরীরে মাসাজ করতে পারেন।
- আমাশয়ের রোগীরা যদি নিয়মিত কাঁচা অবস্থায় ত্বীন ফল চাবিয়ে খায় তাহলে আমাশয় নিরাময় হয়। এছাড়াও ত্বীন ফল ও আতপ চাল চিবিয়ে খেলেও খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হলে ত্বীন ফল মধু সহকারে খেলে পেটের ব্যথা অনেকটা কম হতে সাহায্য করে এবং জয়তুন ফল এর তেল পেতে মালিশ করলে কিংবা খেলে ও পেটের ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করবে।
- ত্বীন ফল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে নিয়মিত ত্বীন ফলের ভেজানো পানি খেলে ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়।
- ২ থেকে ৩টি ত্বীন ফল পানিতে ভিজে সামান্য মধু মিশিয়ে সকালে খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ত্বীন ও জয়তুন ফল মহা ঔষধ। একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত তিন ও জয়তুন ফল খেলে দ্রুত সময়ের ভেতরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
- মেয়েদের সাদা স্রাব দূর করতে দুধ, চিনি ও ত্বীন ফল একত্রে মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
- রক্ত আমাশের রোগীরা সপ্তাহে দুইদিন মধু ও ত্বীন ফল একত্রযুক্ত খেলে অনেক বেশি ভালো ফলাফল পাবেন।
- শরীর দুর্বল কিংবা মাথা ঘোরার মত সমস্যার ক্ষেত্রে ত্বীন ফল রান্না করে খেলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
- জয়তুনের ফল কাঁচা পেস্ট করে অথবা পাতা সহকারে পেস্ট করে মধু মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত ক্ষতস্থান সেরে যায়।
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর মধ্যে এখন আমরা ত্বীন ও
জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা থেকে জানবো।
বরকতপূর্ণ সুন্নতি ফল জয়তুন ও ত্বীন। তাহলে এগুলোর উপকারিতা কতটা বেশি এ
সম্পর্কে হয়তো সামান্য হলেও আপনি ধারণা পেয়েছেন। তাই দেরি না করে চলুন ত্বীন ও
জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর মধ্যে ত্বীন ও জয়তুন ফল
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-
জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা
জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব-
কোলেস্টেরল কমাতে: জয়তুন তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের খারাপ
পোস্টের মাত্রা কমে ভালো কোলেস্টের মাথায় বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
করে। এজন্য যাতে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের জয়তুনের
তেল নিয়মিত খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর
মধ্যে জয়তুন ফলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে আনা। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জয়তুনের তেল একটি মহা ঔষধ। কারণ
জয়তুনের তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। এতে থাকা
এন্টিবায়োটিক গুণ শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় আনতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ: জয়তুনের তেল ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
সমৃদ্ধ একটি তেল। যা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। বাচ্চাদের
জয়তুনের তেল কিংবা ফল খাওয়ালে শরীর সুস্থ থাকে এবং খুব সহজেই ভিটামিন ই এর অভাব
পূরণ হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রান্নায় নিয়মিত জয়তুনের তেল ব্যবহার করলে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিস অক্সিজেন সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে
সাথে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।
নিউট্রিশন অবজার্ভ করতে: আমরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি,
মাছ, মাংস খেয়ে থাকে এ সকল খাবারের পুষ্টি উপাদান বা নিউট্রিশন গুলো শরীরে শোষণ
করার জন্য একটু খাবারের সঙ্গে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে খুব সহজে আমরা সে সকল
খাবারের নিউট্রিশন গুলোর উপকারিতা গুলো পাব।
কিডনি স্টোন দূর করতে: জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। কিডনি স্টোন
বা টিউমার সারাতে ও বিশেষ ভূমিকা রাখে জয়তুন এ থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
উপাদান।
দাঁত সুস্থ: দাঁতের মাড়ি, ফোলা দাঁতে পোকা, দাঁতে ব্যথা, জয়েন্টের
ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রদাহ বা ব্যথা প্রশমন করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে এর
জয়তুনের তেল বা জয়তুন ফল।
কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশায়, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, বদহজম
ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্যান্য তেলের পরিবর্তে
জয়তুনের তেল ব্যবহার করতে পারেন সকল সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে অনেক বেশি
সহায়তা করবে।
রগ ফুলে যাওয়া: আঁকাবাঁকা হয়ে শিরা ফুলে যাওয়া কিংবা রগ ফুলে
যাওয়া স্থানে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেলের মাসাজ করলে উক্ত স্থানের ব্লাড
সার্কুলেশন বেড়ে যায় ফলের ব্যথা প্রশমিত হয় এবং ফুলে যাওয়া নিরাময় করতে
সাহায্য করে এই তেল।
হাড় মজবুত: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর
মধ্যে জয়তুন ফলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে হাড় মজবুত রাখা।
রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন- আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ইত্যাদি যা
আমাদের হারকিউ মজবুত এবং দেহ মন সতেজ রাখতে সহায়তা করে
বাতের ব্যথা প্রশমন: জয়তুনের তেলের রয়েছে আলফা নিলোনিক অ্যাসিড যা
ইনফ্লামেশন কমায় ফলে বাত ব্যথার জন্য আপনি জয়তুনের তেল ব্যবহার করতে পারেন
জয়তুন ফল ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: জয়তুনের তেল আমাদের শরীরে অবাঞ্ছিত বিভিন্ন কোষ বিধি
হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে আর এই অবাঞ্ছিত কোষবিতে হওয়া মানে ক্যান্সার।
জয়তুনের থেলে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এ সকল অবাঞ্ছিত লড়াই করেশরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে।
টক্সিন দূর করতে: ফেনোল, ভিটামিন সি এগুলো আমাদের লিভার ডি টক্সিন করে
অর্থাৎ লিভারের মধ্যে যে দূষিত পদার্থ গুলো জমে, ভারী মেটেরিয়াল থাকে শরীর থেকে
বের করতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারকে ঝরাতে, হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখে,
এনার্জি বেড়াতে সহায়তা করে অলিভ অয়েল।
রক্তশূন্যতা দূর করতে: শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে জয়তুনের তেল বেশ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জয়তুন তেলে থাকা পুষ্টি গুনাগুন যেমন- আয়রন,
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রক্তশূন্যতা খুব সহজে রোধ করতে সক্ষম। এর
জন্য যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা তাদের খাদ্য তালিকায় যতনের তেল যুক্ত করতে
পারেন।
বিভিন্ন প্রদাহ বা ব্যথা দূর করতে: জয়তুনের তেল বিভিন্ন প্রদাহ বা ব্যথা
নাশক হিসেবে কাজ করে। ব্যাথা স্থানে জয়তুনের তেল মালিশ করলে ব্যাথা থেকে দ্রুত
উপশম পাওয়া যায়।
ক্ষত নিরাময়: ক্ষত নিরাময়ে জয়তুনের তেল বেশ কার্যকরী। ক্ষতস্থানে জয়তুনের তেল
প্রয়োগ করলে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যায়। জয়তুনের ফল কাঁচা পেস্ট করে অথবা পাতা
সহকারে পেস্ট করে মধু মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত ক্ষতস্থান সুস্থ হতে থাকে।
গর্ভবস্থায়: গর্ভকালীন মায়েদের গর্ভাবস্থায় পেটে যে দাগ পড়ে তা দূর
করতে বেশ সাহায্য করে জয়তুনের তেল। এই তেল নিয়মিত পেটে মালিশ করলে পেটে বাচ্চা
জন্মের দাগ পড়ে না।
ত্বক ফর্সা: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর
মধ্যে জয়তুন তেলের আরেকটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে ত্বক
উজ্জ্বল রাখা।ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল করতে জয়তুনের তেল পেশ কার্যকারী। জয়তুন
তলের মাসাজ ত্বকে পুষ্টি যোগায়। নিয়মিত জয়তুন তেলের মালিশে গায়ের রং ফর্সা,
উজ্জ্বলতা, কোমল ও ত্বক মলিন হয়। এ ছাড়াও জয়তুন তেলে রয়েছে ভিটামিন সি,
ভিটামিন এ যা ত্বকের বিভিন্ন ইনফেকশন হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
চোখের নিচের কালো দাগ: অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন এ যা একটি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- চোখের নিচের কালো দাগ,
ব্রণ, কুঁচকে যাওয়া, এজিং স্পট ইত্যাদি দূর করে ত্বকেকে উজ্জ্বল করতে সহায়তা
করে।
চর্ম রোগের উপশম: চর্ম রোগ নিরাময়ে জয়তুনের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
জয়তুনের কাঁচা ফল পেস্ট করে ছত্রাক জাতীয়স্থানে বা চর্মস্থানে বা দাঁদ এর ওপরে
লাগালে এগুলো থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
বার্ধক্য দূর করতে: বর্তমান জীবনে কাজের অতিরিক্ত চাপ, মানসিক অশান্তি,
দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার কারণে মুখে অল্প বয়সেই বয়সের ছাপ দেখা
দিচ্ছে। নিয়মিত ত্বকে জয়তুনের তেল মাসাজ করলে এতে থাকা ফিনোল পুষ্টি উপাদান
বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক খুচকে যাওয়া রোধ হয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে: জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি যার মধ্যে
একটি হল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করো। মস্তিষ্কে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত
আপনার খাদ্য তালিকায় বিশেষ করে রান্নায় জাইতুনের তেল রাখতে পারেন।
চুলের যত্নে: জয়তুনের তেল মাথার চুলে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
পায় ফলে নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়, চুল ধরা বন্ধ হয় এবং সিল্কি ও
সুন্দর হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: জয়তুনের তেল আমাদের পরিপাকতন্ত্রের মলত্যাগ সহজ করে এবং
শরীরের বিভিন্ন টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং খারাপ ফ্যাট বা
চর্বি ঝরাতেও সাহায্য করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।
খুশকি দূর করতে: খুশকি দূর করতে হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও আন্টি
ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি লাগে যা অলিভ অয়েলে রয়েছে ফলে গোসলের আগে এটি ব্যবহার
করলে এ সকল সমস্যা থেকে খুব সহজেই দূরে থাকতে পারবেন।
হৃদ রোগ নিরাময় করে: আমাদের আটারিতে বা ধমনীকে ক্লিন করতে বেশ কার্যকরী
ভূমিকা রাখে অলিভ অয়েল। কারণ এতে আন্টি ইনফ্লামেটরি রয়েছে যা আমাদের ধমনীর
ব্লাড ফরমেশনে ক্লথ জমে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে ফলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক,
স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়াও এইচডিএল বা ভালো
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমিয়ে হার্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি: যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে নিয়মিত আপনি যতনে তেলের সঙ্গে
সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি
উপকারিতা মধ্যে জয়তুন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা
এখন আমরা ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর মধ্যে ত্বীন
ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা থেকে জানব-
যৌন শক্তি বৃদ্ধি: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
এর মধ্যে ত্বীন ফলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে যৌন শক্তি বৃদ্ধি
করা। প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসছে যৌন শক্তি বৃদ্ধির এবং যৌন উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য
দুধ ও ত্বীন ফল খাওয়ার নিয়ম। একত্রে এ দুটি পুষ্টি উপাদান খেলে এতে থাকা দস্তা,
ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান যা
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যৌনশক্তি ও উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি উপকারিতা
রয়েছে যার মধ্যে একটি হলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা। ত্বীন ফলে থাকা ফাইবার
শরীরে দ্রুত শোষিত হয় ফলে দ্রবীভূত এই ফাইবার আমাদের শরীর হতে অতিরিক্ত
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ মানে
হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ঝুঁকি কম তাই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ত্বীন ফল যুক্ত
করতে পারেন এছাড়াও ত্বীন ফলে থাকা পেকটিন শরীর হতে খারাপ কোলেস্টেরল গুলো কমাতে
সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: গবেষণায় দেখা গিয়েছে ত্বীন ফল উচ্চ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল ফলে মহিলাদের স্তন্য ক্যান্সার ও
হরমোন জনিত ভারসাম্য হীনতা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি
উপকারিতা এর মধ্যে ত্বীন ফলের আরেকটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে আনা। ত্বীন ফলে রয়েছে ডিকোসিন ইনসুলিনের বিকল্প হিসেবে
প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ২০০৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় যে
ত্বীন ফলের নির্যাস রক্তের ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই এর লেভেলকে স্বাভাবিক রেখে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর: ত্বীন ফলকে আয়রনের প্রাচুর্য বলা হয়। ফলে নিয়মিত
খাদ্য তালিকায় ত্বীন ফল রাখলে আপনার খুব সহজে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে
রক্তস্বল্পতা জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এই ফল বিশেষ সহায়তা করবে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: ত্বীন ফলে থাকা পটাশিয়াম মানবদেহের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পটাশিয়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যা
শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ফলে আপনি যদি নিয়মিত ত্বীন ফল খান তাহলে আপনার
উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করবে এটি।
হার্টের সুরক্ষা: ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। গবেষণায় দেখা
গিয়েছে যে, ত্বীন ফল মানব দেহে ট্রাই গ্লিসারাইড এর মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা
করে যা চর্বিযুক্ত কণা ও রক্তে প্রবাহে সঞ্চালিত হয় এবং হৃদরোগের একটি প্রধান
কারণ এছাড়া রক্তচাপ হ্রাস করার বৈশিষ্ট্যযুক্ত শুকনো ত্বীন ফলে থাকা উচ্চ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেল কে শরীর থেকে নির্মূল করতে
সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: ত্বীন ফলে উচ্চ আঁশ যুক্ত উপাদান গুলি স্বাস্থ্যকর
হজম ব্যবস্থা ও পরিপাকতন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে এভাবে খুব সহজেই ত্বীন ফল
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সমাধানের সাহায্য করে থাকে।
হাড় মজবুত: ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা এর
মধ্যে ত্বীন ফলের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে হাড় মজবুত রাখা। শুকনো
ত্বীন ফল ক্যালসিয়ামের অনেক ভালো একটি উৎস। মানবদেহে খনিজ পদার্থের প্রয়োজন
মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। যেহেতু
ক্যালসিয়াম শরীল দ্বারা উৎপন্ন হয় না তাই আমরা যা খাই তা দেহের প্রয়োজনে অবদান
রাখে সুতরাং আমাদের হাড়ের সুরক্ষায় ক্যালসিয়াম অনন্য উচ্চ হিসাবে আপনি আপনার
খাদ্য তালিকায় ত্বীন ফল রাখতে পারেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: ত্বীন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি
উন্নত করতে সহায়তা করে।দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় ম্যাকুলার অবক্ষয়ের কারণে যা
ভিটামিন এ পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই রোধ করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত ও রেটিনার বিভিন্ন
ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বক সুস্থ: ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা সম্ভব নিয়মিত ত্বীন ফলের আহার
যেমন এনজিমা, মিটিলেগো, সেরিআসিস ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হিসেবে ত্বীন
ফল ভূমিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। ডুমুরের অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত ত্বীন ফল সেবন আপনাকে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের
সুবিধা দেবে যেমন ত্বকের লাবণ্য ফিরে আসা, ত্বক উজ্জ্বল্য করা, ভেতর থেকে ফর্সা
ভাব বের করা ইত্যাদি।
চুলের যত্নে: বিশ্বের বিভিন্ন নাম করা কোম্পানি শ্যাম্পু তৈরিতে ত্বীন
ফলের নির্যাস ব্যবহার করে থাকেন। এটি চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী ও মশ্চারাইজার
করে থাকে।
মানসিক ডিপ্রেশ কমাতে: ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। ত্বীন
ফলে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ওমেগা ৬ ফেটে এসিড যা আমাদের ডিপ্রেশন,
স্মৃতিশক্তি লোপ, মানসিক চাপ ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে মূলত আমাদের শরীরে এই
পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে এ সকল সমস্যা দেখা দেয়।
ওজন কমাতে: ত্বীন ফলে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার। এজন্য ওজন কমার
জন্য আপনার দৈনন্দিন খাবারে অলিভ অয়েল বা ত্বীন ফল যুক্ত করতে পারেন। গবেষণায়
দেখা গিয়েছে যে ত্বীন ফল পরিপাকতন্ত্রের সবল করে তোলে এবং মেটাবলিজম উন্নত করতে
সাহায্য করে।
পেশী শক্তিশালী: আমাদের শরীরে থায়ামিনের অভাব সৃষ্টি হলে পেশী দুর্বল হয়ে
পড়ে যাকে বেরিবেরি রোগ বলা হয় কিন্তু আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় ত্বীন ফল
রাখেন তাহলে এ সমস্যা থেকে দূরে থাকা অনেকটা সম্ভব হয়ে যায় কারণ ত্বীন ফলে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থায়ামিন যা আমাদের শরীরে এই পুষ্টি উপাদানের অভাব খুব সহজে
মেটাতে সক্ষম।
হজমে উন্নতি: ত্বীন ফলে যেহেতু অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার বা আজ জাতীয়
পুষ্টি উপাদান রয়েছে ফলে পাক পরিপাকে সহায়তা হয় এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এর
জন্য আপনার ডায়রিয়া, বদহজম, পেট ফাঁপা, পেটে সমস্যা থাকলে খাদ্য তালিকায় ত্বীন
ফল যুক্ত করতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট ও মাথা ব্যথা: শ্বাসকষ্ট ও মাথা ব্যথা দূর দূর করতে ত্বীন ফল
বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এজন্য এ সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য আপনার খাদ্য
তালিকায় নিয়মিত দুই থেকে তিনটি ত্বীন ফল যুক্ত করতে পারেন।
ঋতুস্রাবের সমস্যা: ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। বিভিন্ন
মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত না হওয়ার সমস্যা রয়েছে আর এ সমস্যা থেকে দূরে থাকার
জন্য ত্বীন ফল ভেজানো পানি খেতে পারেন এটা বেশ কার্যকারী।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি
উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন এই দুটি ফল
সম্পর্কে শুধুমাত্র ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা নিয়ে
আমি আলোচনা করছি না নিম্নে ত্বীন ও জয়তুন ফল সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা
অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার
১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা ছাড়াও ত্বীন ও জয়তুন ফল সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
- জয়তুন ফলের দাম কত ও ত্বীন ফলের দাম
- জয়তুন ফল ছবি ও ত্বীন ফলের ছবি
- জয়তুন গাছের ছবি ও ত্বীন ফল গাছ
- ত্বীন ফল english ও ত্বীন ফল কি ডুমুর
- জয়তুন এর ইংরেজি নাম কি
জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা
অবগত হয়েছি কিন্তু জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক এই নিয়ে আমাদের মনে অনেকের বিভিন্ন
প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি রয়েছে। মূলত জয়তুন ও জলপাই দুইটি আলাদা ফল ও গাছ। জয়তুন ও
জলপাই ফল দেখতে কিছুটা একই রকম হলেও এদের উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যের দিকে বিভিন্ন
অমিল রয়েছে।
জয়তুন ফল বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে বেগুনি, হলুদ, কালো, লাল, সবুজ ইত্যাদি
কিন্তু জলপাই শুধুমাত্র কাঁচা অবস্থায় গাড়ো সবুজ রঙের হয়ে থাকে। জলপাই দেখতে
আকারে জয়তুন ফলে তুলনায় অনেক বড় হয় অপরদিকে জয়তুন ফল সরু ও ছোট হয়। জয়তুন
ফল কাঁচা বিভিন্ন সালাদ ব্যবহার করে কিংবা শুধুমাত্র খাওয়া যায় কিন্তু জলপাই
কাঁচা অবস্থায় অতিরিক্ত টক হওয়ার কারণে মিষ্টি কিংবা ঝাল বিভিন্ন
উপকরণ ব্যবহার করে খাওয়া হয় এছাড়া আচার তৈরি করে খাওয়া যায়। মূলত আমরা যে
অলিভ অয়েল বলে থাকি তা মূলত জয়তুন এর তেল। জলপাই দিয়ে তেল তৈরি করলে তা মোটেও
লাভজনক হবে না কারণ এর দিয়ে খুবই অল্প পরিসরে তেল বের হয়। জলপাই দিয়ে
শুধুমাত্র আচার তৈরি করা হয় তেল নয়। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন
জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক না দুইটি আলাদা আলাদা ফল। চলুন চিত্রের মাধ্যমে কোনটি জলপাই এবং কোনটি জয়তুন চিনে নেই-
জয়তুন ফল ছবি
জলপাই এর ছবি
জয়তুন ফলের দাম কত ও ত্বীন ফলের দাম
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
ইত্যাদি সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা বিস্তারিত উপরুক্ত আলোচনা থেকে জানলাম কিন্তু এত
সব উপকারিতা জানার পর আপনি যদি এই দুইটি ফল খেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জয়তুন
ফলের দাম কত ও ত্বীন ফলের দাম এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও তথ্য থাকা অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
ত্বীন ও জয়তুন এই দুইটি ফল মূলত বাংলাদেশে অধিক পরিমাণে উৎপাদিত হয় না এ ফলগুলো
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে থাকে যার কারণে এর মূল্য কিছুটা বেশি হয়ে
থাকে তবে এর উপকারিতার দিক দিয়ে এর দাম অনেক কম। প্রথমে বলে রাখা ভালো আমাদের
দেশে যে অলিভ বা জলপাই পাওয়া যায় তা এই জয়তুন নয়।
জয়তুন ফল কাঁচা অবস্থায় খেতে কেমন বেশি টক নয় কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত
জলপাই কাঁচা অবস্থায় প্রচুর টক থাকে। অপরদিকে ত্বীন ফল ডুমুর এক ফল নয়। দুটি
একই রকম দেখতে হলো সম্পূর্ণ আলাদা পুষ্টিগুণ। যেহেতু এ দুটি ফল ইউরোপিয়ান ও
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি
উৎপাদন হয় ফলে সে সকল দেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে। জয়তুন ফল ৩৫০ গ্রাম
২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয় এবং ত্বীন ফল ৫০০ গ্রামের মূল্য ১১৫০
থেকে ১২০০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হয়। তবে এ মূল্য আমদানির কমবেশির ওপর নির্ভর
করে কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।
জয়তুন ফল ছবি ও ত্বীন ফলের ছবি
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে হয়তো আপনি অবাক হয়েছেন এবং এর এত উপকারিতা জানার পর
হয়তো আপনি জয়তুন ফল ছবি ও ত্বীন ফলের ছবি দেখতে চান। জয়তুন ফল বিভিন্ন রংয়ের
হয়ে থাকে বেগুনি, হলুদ, কালো, লাল, সবুজ।
এই ফল জলপাই ফলের মতোই দেখতে কিন্তু তার চেয়ে আকারে ছোট ও সরু হয়ে থাকে। ত্বীন
ফল দেখতে দেশে বন জঙ্গল বা যোগ ঝাড়ে হওয়া কাকডুমুরের মতো দেখতে কিন্তু তার
চেয়ে বড় এবং রসালো ও সুগন্ধময় হয়ে থাকে। চলুন দেরি না করে জয়তুন ফল ছবি ও
ত্বীন ফলের ছবি দেখি নেই-
জয়তুন ফল ছবি ত্বীন ফলের ছবি
জয়তুন গাছের ছবি ও ত্বীন ফল গাছ
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
ইত্যাদি সম্পর্কে এ জানার পর হয়তো আপনার মনে জয়তুন গাছের ছবি ও ত্বীন ফল গাছ এর
ছবি দেখার আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। জয়তুন গাছ সবচেয়ে বেশি ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে
জন্মে। ফলে এর তেলের মান ও গুনাগুন অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়
জয়তুন ফল গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার লম্বা হয়ে থাকে এর পাতার উচ্চতা ৪ থেকে ১০
সেন্টিমিটার এবং প্রশস্ত ১ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে জয়তুন ফল আকারে
অনেক বড় এটি প্রায় এক থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
অপরদিকে ত্বীন ফল গাছ ৩ থেকে -১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এর পাতা খসখসে ও ঘন
হয়। ত্বীন ফল গাছ লাগানোর ছয় মাসের মধ্যে ফল দেয়া শুরু করলে এবং একবার শুরু
করলে ১২ মাস ফল দেয় প্রথম বছর ১ থেকে ২ কেজি দিলেও পরবর্তী বছর থেকে ৪ থেকে ২৫
কেজি পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে এর আয়ুকল ১০০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। চলুন এবার
জয়তুন গাছের ছবি ও ত্বীন ফল গাছ দেখি নেই-
জয়তুন গাছের ছবি
ত্বীন ফল গাছ
ত্বীন ফল english ও ত্বীন ফল কি ডুমুর
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা,
জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু আপনি কি ত্বীন ফল
english ও ত্বীন ফল কি ডুমুর এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকেন কারণ তিন ফল কি ডুমুর
এই নিয়ে আমার কাছে অনেক প্রশ্ন রয়েছে ও অনেক মানুষের এ নিয়ে অনেক বিভ্রান্ত
রয়েছে।
The Fig ত্বীন ফল english। genus ficus, Ficus carica ত্বীন ফল বৈজ্ঞানিক নাম।
সৌদি আরবে এই ফলটিকে ত্বীন নামে ডাকলেও আঞ্জির নামে পরিচিত ভারত, তুরস্ক, মিসর,
জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে সামান্য পরিষদের তিন ফল বাংলাদেশের উৎপাদিত হলেও
আমাদের দেশে যে ডুমুর রয়েছে তা এই ত্বীন ফল নয়। তবে বাংলাদেশে কাকডুমুর নামক এক
ধরনের বন জঙ্গলে বেড়ে ওঠা ডুমুরের সঙ্গে অনেকেই ত্বীন ফল মিলিয়ে ফেলি।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
বর্তমানে সমস্ত দেশ ছুড়ে ৮০০ প্রজাতির ডুমুর ফল রয়েছে যার মধ্যে ত্বীন ফল
সবচেয়ে বেশি উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ত্বীন ফল আকার অন্যান্য ডুমুরের তুলনায়
বড় হয় সুস্বাদ ও গন্ধ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং রসালো হয়। উর্দুতে এই ফলকে আঞ্জির।
ফল বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হলেও বাণিজ্যিকভাবেম ধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায়
চাষাবাদ করে থাকে। তবে বর্তমানে গাজীপুরের দক্ষিণ বারোতোপা গ্রাম, শ্রীপুর, মাওনা
চৌরাস্তায় এই বিশেষ ফলের প্রথম বাণিজ্যিক ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে গিয়ে
আপনি ডুমুর ও ত্বীন ফলের মধ্যে পার্থক্য তুলনা করতে পারবেন।
জয়তুন এর ইংরেজি নাম কি
ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক
ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী তেমনি জয়তুন খাওয়ার ক্ষেত্রে জয়তুন এর
ইংরেজি নাম কি তা জানাও জরুরী কারণ বর্তমান দেশ আধুনিক ও স্মার্ট দেশ। জয়তুন
আরবি শব্দ এর ইংরেজি অলিভ বা স্যেলন অলিভ।
এর তেলকে অলিভ অয়েল বলা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম এলেওকার্পাস সেরাটাস। সৌদি আরবে
জয়তুনকে Liquid Gold বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। জলফাই ও বাঙলায় জলপাই নামে
তামিলে ভেরাক্কাই (ক্কাই মানে ফল, অর্থাৎ ভেরা গাছের ফল) সিংহলিতে ভেরালু,
মালায়লমে কারা, মণিপুরিতে চোরফোন, অসমীয়া ইতালি দেশে পরিচিত।
লেখক এর মন্তব্য-ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার ১৫টি
নিয়ম ও ৪৫টি উপকারিতা, জয়তুন ফল আর জলপাই কি এক ইত্যাদি ছাড়াও ত্বীন ও জয়তুন
সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা
করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url