ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি। এছাড়াও ত্রিফলা সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও ত্রিফলা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং সঠিক নিয়মে ওপরিমাণ জানতে পারবেন এবং ত্রিফলা সঠিক উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম,ত্রিফলা কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন, ত্রিফলা কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়, ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়, ত্রিফলা তৈরির নিয়ম, ত্রিফলার দাম কতইত্যাদি ছাড়াও ত্রিফলা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য নিম্নে
বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। ত্রিফলা কতটা উপকারী ও পুষ্টিকরণে ভরপুর হয়তো আমরা সঠিক ধারণা না থাকলেও সামান্য ধারণা আমাদের সকলের মাঝে রয়েছে। ত্রিফলা কমলালেবুর চেয়ে ১৫-২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি, কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি,

আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি ইত্যাদি আরো কয়েকটি ফলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর জন্য দেখবেন যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে কিংবা শরীর সুস্থ রাখতে চায় অথবা খেলাধুলা করে, পেটের সকল সমস্যা দূর করতে চান তাদের খাদ্য তালিকায় এটি যুক্ত রয়েছে। তাই আশা করি ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও নিম্নে পোস্টটি সম্পন্ন করবেন।

ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

আজকের আলোচ্য বিষয় ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম। আমরা অনেকেই জানি ত্রিফলা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের সবচেয়ে বেশি বহুল ব্যবহৃত ঔষধ। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে ত্রিফলার ব্যবহার চলে আসছে। ত্রিফলা নাম থেকে আমরা বুঝতে পারছি এটি তিন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ বা ফলের সংমিশ্রণ আর এই তিনটি ফল হল হরিতকি, বহেড়া, আমলকি।

এই তিনটি ফলেরই নিজের নিজের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারী ও গুণ রয়েছে কিন্তু এই তিনটি ফলে সংমিশ্রণে যখন ত্রিফলার চূর্ণ তৈরি করা হয় তখন তার উপকারিতা ও গুনাগুন আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এ এই চূর্ণ আপনি বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারেন সমপরিমাণে তিনটি ফল নিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে চূর্ণ করে। তাই চলুন দেরি না করে ভীষণ সম্পূর্ণ ওষুধে ভরপুর ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই-

ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম মধ্যে প্রথমে আমরা ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। ভেষজ ঔষধি গুণসম্পন্ন ত্রিফলার হাজারো গুন ও উপকারিতা রয়েছে। তবে এর সঠিক উপরকারীতা ও গুনাগুন পেতে হলে যেমন ত্রিফলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে তেমনি এর খাওয়ার সঠিক নিয়ম, পদ্ধতি বা পরিমান

সম্পর্কেও সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কারণ খাওয়ার সঠিক নিয়ম পদ্ধতি জানলে আমরা এর সঠিক গুনাগুন বা উপকারিতা গুলো নিজের ভেতরে নিতে পারব। তাই চলুন দেরি না করে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম এবং ত্রিফলার হাজারো উপকারিতার মধ্যে সামান্য কিছু ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই-

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে ত্রিফলা যাদুকরী উপকারী হতে পারে আপনার জন্য। কারণ ত্রিফলা পাউডারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এ ফাইবার একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সুপারহিরো মতো কাজ করে। এর কারণ ফাইবার আমাদের শরীরের মধ্যে গিয়ে কার্বোহাইড্রেট এর শোষণকে কম করিয়ে দেয় এবং তার সাথে সাথে ত্রিফলা পাউডারের মধ্যে

যে হাইপোগ্লাইসোমিক এফেক্ট রয়েছে এ হাইপোগ্লাইসেমিক আমাদের শরীরের ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের যে সমস্যা সে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেশনের সমস্যাকে সমাধান করতে সাহায্য করে এবং ত্রিফলা পাউডারের মধ্যে ব্যবহৃত যে তিনটি ফল এই তিনটি ভেষজ ফলের মধ্যে একটি কমন মিনারেল রয়েছে সেটি হলো সেলেনিয়াম।

এই সেলেনিয়াম আমাদের শরীরে ইনসুলিন্সের সিক্রিশনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এই সেলেনিয়াম আমাদের শরীরে অ্যাক্টিভিটিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই ত্রিফলা চূর্ণের মধ্যে আপনি পেতে পারেন প্রচুর পরিমাণে হাই কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের প্যানেগ্লিয়াসের বিটা সেলগুলোকে অক্সিরেটিভ সেসেরেট থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে,

এই প্যানেগ্লিয়াসের বিটা সেলগুলিকে রিজেনারেট করে যাতে বেশি বেশি করে ইনসুলিন সিগ্নেশন হয় সেদিকে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে আপনি যদি একজন টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে ত্রিফলা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন এবং টাই একটু ডায়াবেটিসের রোগীরাও ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য ত্রিফলা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে ত্রিফলা পাউডার মুখের ভেতরে নিয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানির ভেতরে এক চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ধীরে ধীরে শরবতের মতো করে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে: ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারী ধরা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য। বেশিরভাগ মানুষ ত্রিফলার চূর্ণ ব্যবহার করে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করার জন্য। এর কারণ ত্রিফলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনসলিবল ফাইবার। আমরা যখন ত্রিফলা চূর্ণ খায় আমাদের পেটের ভেতরে যাওয়ার পর এই ত্রিফলার

ইনসলিবল ফাইবার প্রচুর পরিমাণে জলকে শোষণ ও ধারণ করে রাখতে পারে তার ফলে আমাদের মল হয় নরম এবং ভারী তার সাথে সাথে মলত্যাগ করতেও সুবিধা হয় এবং এর ভেতরে হরিতকি ফল যেহেতু ব্যবহৃত হয়েছে এই হরিতকি ফল আমাদের মধ্যে একটি স্পেশাল লেগ্জেটিভ এফেক্ট দিতে পারে সবে মিলে মিশে আপনি ত্রিফলা চূর্ণ ব্যবহার করলে কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য এর জন্য।

খাওয়ার নিয়ম: রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে পান করুন অবশ্যই ভালো ইফেক্ট পাবেন।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ত্রিফলার জুড়ে মেলা ভার। এর কারণ ত্রিফলা পাউডারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনসলিবল ফাইবার এই ইনসুলেবল ফাইবার আপনার শরীরে কোলেস্টেরল শোষণকে কম করে দেয় যার ফলে আপনার রক্তে অটোমেটিক কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হতে থাকে এবং এই ত্রিফলা পাউডার মধ্যে রয়েছে

কনসেনট্রেটেড ফর্মে অলিক এসিড এবং নিলনিক এসিড এ দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরে কিন্তু এইচটিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এভাবে আপনার শরীরে যখন ভালো কোলেস্টের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে তখন অটোমেটিকেলি আপনার শরীর থেকে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পেতে থাকবে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা আরও বিভিন্ন ধরনের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীর থেকে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল এবং টোটাল কোলেস্টরেলের মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে। সবকিছু মিলে আপনি যদি নিয়মিতভাবে এক চামচ করে ত্রিফলার পাউডার খেতে পারেন এই ত্রিফলা পাউডার আপনার রক্তে কিন্তু কোলেস্টেরল লেভেলকে মেইনটেন করে এবং আপনার কার্ডিওভাসকুলার হেলথকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে।

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে ত্রিফলা পাউডার মুখের ভেতরে নিয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানির ভেতরে এক চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ধীরে ধীরে শরবতের মতো করে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন।

হজমের সমস্যা দূর করতে: আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগেন অর্থাৎ যেদিন আপনি হজমের ওষুধ খান সেদিন খাবার হজম হয় আর যেদিন হজমের ঔষধ গ্রহণ করেন না সেদিন হজমের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভোগেন তাহলে আপনার অবশ্যই ত্রিফলা খাওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত। এর কারণ ত্রিফলা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিতভাবে ত্রিফলার

পাউডার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে তাহলে আপনার ডাইজেস্টিক সিস্টেম এর মধ্যে যে সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলো থাকে সে সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে আমাদের শরীরের বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর আমাদের মধ্যে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের মধ্যে

যখন ভালো ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তখন ধীরে ধীরে আমাদের ডাইজেস্টিভ পাওয়ার অর্থাৎ হজম ক্রিয়া ও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে আপনি যদি নিয়মিতভাবে ত্রিফলার পাউডার খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন প্রকারের ডাইজেস্টিভ এনজাইমের সেক্রিগ্রিকেশন বৃদ্ধি করে যা আপনার

হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এজন্য আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক, অম্বল, বদহজম, পেট ফাঁপা, বমি ভাব, পেটের ভিতর অস্বস্তি ভাব, কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা, কখনো কখনো ডায়রিয়ার মত সমস্যা ইত্যাদি এই সমস্যাগুলো বা লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে দেখা দিলে ত্রিফলার চূর্ণ বা পাউডার খেতে পারেন।

খাওয়ার নিয়ম: রাত্রেবেলা এক চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক গ্লাস পানির ভেতরে ভিজিয়ে রেখে দেন এবং তারপরে দিন সকালে সে মিশ্রণটি খালি পেটে খান কয়েকদিন এই নিয়মে খেলে উপকার আপনি খুব সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।

দাঁতের সমস্যা: আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন তার সাথে সাথে মাড়ির ভেতরে বিভিন্ন প্রকার ইনফেকশন, দাঁতের ভেতরে ব্লাড ফর্মেশন হচ্ছে, দাঁতে ক্যাভিটি বা পোকা হয়েছে ইত্যাদি সমস্যার ক্ষেত্রেও ত্রিফলা যথেষ্ট উপকারী দিতে পারে। ত্রিফলার মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধান করার সাথে সাথেও আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সহায়তা করে।

খাওয়ার নিয়ম: হাফ চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ আপনার টুথব্রাশে নিয়ে আস্তে আস্তে দাঁতে ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ করা কমপ্লিট হয়ে আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে এবং টাং ক্লিনার দিয়ে ধীরে ধীরে আপনার জিব্বা পরিষ্কার করতে হবে।

বার্ধক্য দূর করতে: আপনি যদি খেয়াল করেন আপনার ত্বকে বয়সের পূর্বে বয়সের ছাদ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে আপনার ত্বকে রিংকেল, পিগমেন্টেশন, ফাইভ লাইন ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং এ সমস্যাগুলো মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে তাহলে ত্রিফল আপনাকে যথেষ্ট উপকার দেবে। এর কারণ ত্রিপুরার মধ্যে যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টি রয়েছে তা আপনার ত্বকের সেলকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে আপনার ত্বকের মধ্যে অক্সিডেটিভ ইনজুরি হতে দেয় না।

খাওয়ার নিয়ম: তিন চামচ ত্রিফলা পাউডার এর মধ্যে গোলাপজল, মধু মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন পর ধীরে ধীরে আপনার ত্বকে প্যাকটি ব্যবহার করুন এবং আধাঘন্টা অপেক্ষা করুন। রুম টেম্পারেচারের নরমাল পানি দিয়ে ধীরে ধীরে আপনার সমস্ত মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন এই নিয়মে ব্যবহার করলে অবশ্য উপকার আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্যই মূলত আমরা ত্রিফলা ব্যবহার করে থাকি। ত্রিফলা খুব সহজে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে গ্যাস্ট্রিক, পেটের বিভিন্ন টক্সিন অপসারণ সহ পেটে থাকা অতিরিক্ত চর্বি বা ফ্যাট অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে ওঠে।

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ করে ত্রিফলা পাউডার মুখের ভেতরে নিয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানির ভেতরে এক চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ধীরে ধীরে শরবতের মতো করে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন।

মানসিক স্ট্রেস কমায়: ইঁদুরের ওপর একটি গবেষণা করায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত ত্রিফলা খাওয়ার ফলে ইদুরের মানসিক চাপ বা মানসিক স্ট্রেস উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় নিয়মিতভাবে ত্রিফলা পাউডার খেলেব মানসিক চাপ বা স্ট্রেস দূর হয়ে মন শান্ত ও ঠান্ডা হয়।

চুল বৃদ্ধি: চুলের জন্য ত্রিফলা পাউডার বেশ উপকারী। আপনি যখন দীর্ঘদিন ধরে ত্রিফলা পাউডার খেতে থাকেন তখন এই ত্রিফলা চূর্ণ আমাদের ডাইজেস্টি সিস্টেম এর মধ্যে যাওয়ার ফলে সারাদিনে আমরা যে সকল খাবার খাই সে সমস্ত খাবারের গুণগুলি যাতে আমাদের শরীরে সহজে শোষণ করতে পারে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। আমাদের চুলকে সুস্থ রাখার জন্য যে সমস্ত প্রোটিন,

ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন এ সমস্ত প্রোটিন ভিটামিন এবং মিনারেল সহজে আমাদের চুল পেয়ে যায় এবং আমাদের কোন প্রকার চুলে সমস্যা হয় না। চুলে ভেতরে যদি কোন প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন, ড্যানড্রাফ বা খুশকি, অকালে চুল পেকে যাওয়া এটাতে সমস্যা গুলো দেখা দেয় এগুলো নিরাময় অনেকটা কার্যকারী হতে পারে ত্রিফলা।

ব্যবহার নিয়ম: তিন থেকে চার চামচ ত্রিফলা পাউডার ও পাঁচ থেকে ছয় চামচ টক দই সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন এবং ধীরে ধীরে আপনার সমস্ত চুলে বিশেষ করে আপনার চুলের গোড়ায় মধ্যে লাগিয়ে আধাঘন্টা অপেক্ষা করে নরমাল রুম টেম্পারেচারের পানি দিয়ে সমস্ত চুল ধুয়ে ফেলুন। এই নিয়মে কিছুদিন ব্যবহারে করলে দেখবেন আপনার চুল বৃদ্ধি হতে শুরু করেছে এবং চুল মজবুত, ঘন, লম্বা, উজ্জল হচ্ছে।

প্রদাহর হ্রাস করতে: শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপায়ে হ্রাস করতে চাইলে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বহুল ব্যবহৃত ত্রিফলা পাউডার বা ত্রিফলার চূর্ণ খেতে পারেন। এতে থাকা প্রতি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ত্রিফলা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস, থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে ত্রিফলা পাউডার মুখের ভেতরে নিয়ে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস কুসুম গরম পানির ভেতরে এক চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ধীরে ধীরে শরবতের মতো করে চুমুক দিয়ে খেতে পারেন।

চোখ সুস্থ রাখতে: একটি গবেষণা প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত ত্রিফলা পাউডার বাত্রি ফলাচূর্ণ খেলে চোখের পানি পড়া ইত্যাদি ছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে চোখে দৃষ্টি শক্তি উন্নত সাধন করে ভেষত এই ফলগুলো।

লিভার, ফুসফুস সুস্থ: লিভার বা ফুসফুস পরিষ্কার বা ডিটক্সিফাই করতে ত্রিফলার বেশ কার্যকারী। ত্রিফলা আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে ফলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন উন্নত ঘটে, লিভার পরিষ্কার থাকে, লিভারের রক্ত প্রবাহ উন্নতি ঘটায়, লিভার পরিষ্কার থাকে এবং লিভারে নতুন কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে।

বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ত্রিফলা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন-পলিফেনল এবং গ্যালিক অ্যাসিড। এ আর এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে আমাদের শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করা। বিশেষ করে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়া থেকে দূরে রাখে যেমন- লিম্ফোমা, পেটের ক্যান্সার, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার, মলাশয়ের ক্যান্সার, মূত্রথলির ক্যান্সার ইত্যাদি।
আজ আমরা ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি কিন্তু ত্রিফলা এতবেশি পুষ্টিগুনে ভরপুর, যে এর উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না উপরোক্ত ছাড়াও ত্রিফলার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম রয়েছে যেমন-

  • ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে ত্রিফলা পাউডার বা ত্রিফলা চূর্ণ।
  • নিয়মিত ত্রিফলা এক চামচ করে খেলে শ্বাসকষ্টধ্বনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই ত্রিফলা।
  • মানসিক ক্লান্তি কমায় ত্রিফলাই থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
  • নিয়মিত এক চামচ করে উষ্ণ গরম পানিতে খালিপেটে খেলে পেটের কৃমি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে আমলকি, হরিতকি ও বহেরার সংমিশ্রণ ত্রিফলা।
  • শরীর ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এতে থাকা ভিটামিন সি পুষ্টি উপাদান।
  • ত্রিফলাই থাকা ভিটামিন সি অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
  • নিয়মিত সেবনে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে।
  • সমস্ত শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ত্রিফলার জুস।
  • স্থূলতা সমস্যা দূর করতে বিশেষ কার্যকরী বিফল।
  • প্রতিদিন এক চামচ করে খাওয়ার পর উষ্ণ একগ্লাস পানি খেলে মাইগ্রেন, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বাত ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে ত্রিফলার চূর্ণ বা পাউডার।
  • প্রসব ক্লিয়ার সাহায্য করে ত্রিফলার জুস।
  • কিডনি পাথর ও গলব্লাডার হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ কমিয়ে দেয় ত্রিফলা।
  • ত্রিফলা যেহেতু শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ উদ্ভিদ ফলে এটি দেহকোষের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত ত্রিফলে পাউডার বা চূর্ণ খেলে মেয়েদের মাসিক ক্লিয়ার বা নিয়মে নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ত্রিফলা।
  • হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ত্রিফলা।
  • ত্রিফলা শরীরে মিনারেল ও ভিটামিনের চাহিদা মিটিয়ে দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে।
এতক্ষণ আমরা ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম মধ্যে ত্রিফলার উপকারিতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থেকে জানতে পারলাম কিন্তু সঠিক পরিমাণ পদ্ধতি বা খাওয়ার নিয়ম সঠিক না জেনে খেলে হাজারো গুন সম্পন্ন ত্রিফলা ও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে আমাদের শরীরের জন্য। তাই চলুন দেরি না করে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে ত্রিফলার অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে রাখি।

ত্রিফলার অপকারিতা

ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তি বা সঠিক পরিমাণের উপরে এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক বেশি নির্ভর করে। যে কোন খাবার যতই বেশি সুস্বাদু বা উপকারী হোক না কেন এর সঠিক পরিমাণ বা খাওয়ার পদ্ধতি সঠিক না জানা থাকলে আমাদের শরীরে সেই খাবারের উপকারিতা তুলনায় অপকারিতাটাই বেশি হয় এর জন্য কোন খাবার

খাওয়ার পূর্বে যেমন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানা দরকার তেমনি এর অপকারিতা সম্পর্কেও সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন দেরি না করে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম মধ্যে ত্রিফলার অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানা অজানা তথ্যগুলো জেনে নেই-

  • সঠিক পরিমাণ এবং নিয়মে খেলে যেমন এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারে তেমনি মাত্রা অতিরিক্ত বা সঠিক পদ্ধতিতে না খেলে এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যেমন- ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিক, বদহজম ইত্যাদি।
  • যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে তারা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই তাদের ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করবেন কেননা এলার্জি অতি মারাত্মক রোগ যার কারণে অনেক সময় মানুষ অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যায়। যদি কোন কারণবশত খান তাহলে সামান্য লক্ষণ যেমন চুলকানি, শরীরে কোথাও লালচে ভাব, ফুসকুড়ি, হালকা মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখার সাথে সাথে শরণাপন্ন হবেন।
  • ত্রিফলা গর্ভাবস্থায় না খায় ভালো কারণ গর্ভাবস্থায় ত্রিফলা খেলে কোন উপকার হয় বা ক্ষতি হয় তার কোন বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত তথ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি এর জন্য খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
  • অনেকে আছেন যারা ঘুমের সমস্যার জন্য ত্রিফলা খেয়ে থাকেন তবে ঘুমের সমস্যার জন্য ত্রিফলা খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকবেন এর পরিমাপের ওপর নতুবা ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পরিমাণ জেনে ত্রিফলা খাওয়ার বিশেষ চেষ্টা করবেন।
  • বাচ্চাদের জন্য ত্রিফলা খাওয়া মোটেও ভালো নাই বাচ্চাদের থেকে অবশ্যই এগুলো দূরে রাখবেন।
  • আপনি যদি কোন প্রকার জটিল রোগের বা যে কোন রোগের ঔষধ খাওয়া অবস্থায় ত্রিফলা খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডঃ পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • ত্রিফলা তেমন গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে কোন তথ্য জানা যায়নি তেমনি বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মহিলাদের ত্রিফলা খেলে কোন প্রকার উপকার বা ক্ষতি হয় কিনা এ সম্পর্কেও কোনো সঠিক ধারণা নেই এর জন্য অবশ্যই এ অবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • শরীরে কোন প্রকার কাটা বা ক্ষত থাকলে এমন অবস্থায় ত্রিফলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ ত্রিফলা রয়েছে আমলা যা ক্ষত বা রক্তপাত বাড়াতে পারে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও ত্রিফলা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইলে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো কারণ নিম্নে আমি প্রাকৃতিক ভেষজ গুণ সম্পন্ন ত্রিফলা সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যেমন-

  • ত্রিফলা কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে
  • ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন
  • ত্রিফলা কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়
  • ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম
  • ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়
  • ত্রিফলা তৈরির নিয়ম
  • ত্রিফলার দাম কত

ত্রিফলা কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে

আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা-অজানা অনুপ তথ্য অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন কিন্তু আমাদের ত্রিফলা কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা সম্পর্কেও ও জানা বা অবগত হওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তাতে কি কি পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে তা জানা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন দেরি না করে ত্রিফলা কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলো জেনে নেই-

আমলকীতে রয়েছে

  • পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ বেশি ভিটামিন সি
  • কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি
  • কমলালেবুর চেয়ে ১৫-২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি
  • আমের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি
  • কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি
  • আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি ভিটামিন সি
এছাড়াও রয়েছে

  • আমিষ
  • চর্বি
  • ক্যালসিয়াম
  • লৌহ
  • খনিজ
  • শর্করা
  • মিনারেলস
এক হরিতকীতে রয়েছে

  • ট্যানিন
  • অ্যামিনো অ্যাসিড।
বহেড়ার মধ্যে অনেক যৌগ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানব দেহের জন্য খুবই কার্যকর

  • Sitsterol
  • Galic Acid
  • Galloyl Glucose
  • Fatty Acid
  • Protien
  • Oxalic Acid
  • Tannin
  • Palmitic Acid,Oleic Acid
  • Linoeic Acid
  • Galactose
  • Ethyl Gallate
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলসহ অসংখ্য উপকারী উপাদান।
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন

ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন

ইতোমধ্যে আমরা ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য জানলাম কিন্তু ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন এ সম্পর্কে কি আপনার সঠিক ধারণা রয়েছে যদি না থাকে তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি করার বিশেষ অনুরোধ রইলো। ত্রিফলা ভেষজ গুণসম্পন্ন হওয়ায় আপনি যদি পেটের কোন সমস্যার জন্য খেতে চান তাহলে অবশ্যই খালি পেটে

সকালে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে ভালো উপকারিতা পাবেন কিন্তু এটি খাওয়ার পরেও খাওয়া যায় এতো তেমন কোন সমস্যা হয় না। তবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে আয়ুর্বেদিক কোন ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এটি বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বিভিন্ন সময় খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে।

ত্রিফলা কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়

ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম জানা যেমন জরুরীতে তেমনি ত্রিফলা কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায় এ সম্পর্কেও সঠিক ধারণা ও তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। ত্রিফলার তিনটি ভেষজ গুণসম্পন্ন ও ওষুধের গুণে ভরপুর ফলের সমন্বয় গঠিত। হরিতকি, আমলকি, বহেরাই এই তিনটি ফলে আলাদা আলাদা ভাবে অনেক বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে তিনটি ফল যখন একত্র হয় তখন

এর গুনাগুন ও পুষ্ট উপাদান আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। যেহেতু এই তিনটি ভেষজ ফল প্রাকৃতিক ও ন্যাচারাল ভাবে পাওয়া যায় এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে খেলে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কোন কিছুই যেমন অতিরিক্ত বা দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া ঠিক নয় এর জন্য আপনি যদি কোন রোগের জন্য খেয়ে থাকেন

তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী কতদিন খেতে হবে তা জেনে নেবেন। তবে সাধারণত কোন রোগের ক্ষেত্রে কিংবা সাধারণভাবে শরীর সুস্থ রাখার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চায়ের মত করে কিংবা শুধুমাত্র মুখের ভেতর দিয়ে পড়ে কুসুম গরম পানি খেয়েও খাওয়া যায় এছাড়াও এটা আপনি কুসুম গরম দুধ এর সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন।
ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম

ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম

আমরা ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তো জানলাম কিন্তু ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ও সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। ত্রিফলা চূর্ণ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় তবে সাধারণত ডক্টররা তিনটি উপায়ে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলে থাকেন। এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ মুখের ভেতরে নিয়ে খাওয়ার পর কুসুম গরম এক গ্লাস পানি খাওয়া।

দ্বিতীয় পদ্ধতি এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ আপনি চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এরপর ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নেওয়া। তৃতীয় এবং শেষ পদ্ধতি হলো দুধ এর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া এর জন্য আপনি দুধ ভালো করে গরম করে কুসুম গরম ঠান্ডা অবস্থায় এক চা চামচ বা হাফ চা চামচ ত্রিপুরার জন্য ভালো করে মিশিয়ে খাওয়া। এছাড়াও আপনি যদি কোন রোগের জন্য খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ ই গ্রহণের পর ডক্টরের পরামর্শ মোতাবেক সেই নিয়মে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়

ত্রিফলা সম্পর্কে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে তবে ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে মানুষের যেমন জানা দরকার তেমনি ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় এ প্রশ্নের উত্তরও প্রত্যেকটি মানুষের জানা প্রয়োজন। না জেনে বা ডক্টর এর পরামর্শ না নিয়ে নিজে যদি কোন ঔষধি ভেষজ উদ্ভিদ খেতে চান তাহলে কখনোই আপনার জন্য তা উপকার বয়ে আনবে না।
ত্রিফলা প্রতিদিন খাওয়া যায় তবে ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে অন্যথায় শরীর শুধুমাত্র সুস্থ রাখার জন্য বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে শরীরকে শরীর রাখার জন্য ও একদিন পরপর কিংবা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন দুই বার করে খেতে পারেন কারণ সকল ডাক্তাররা দুইবার করে খাওয়ার

নিয়ম বলে থাকেন তবে এখানে পরিমাণের বিষয়টাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ বিভিন্ন মাপের হয়ে থাকে। কারণ ডক্টররা কখনো কখনো বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে পরিমাপ হিসেবে ত্রিফলার চূর্ণ কখনো হাফ চা চামচ কখনো এক চা চামচ আবার কখনো দুই চা চামচ করে খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
ত্রিফলা তৈরির নিয়ম

ত্রিফলা তৈরির নিয়ম

ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তো জানলাম কিন্তু ত্রিফলা কিভাবে তৈরি করব অর্থাৎ ত্রিফলা তৈরির নিয়ম সম্পর্কে কি আপনারা জানেন যদি না থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন কারণ সম্পন্ন পোস্টিতে ত্রিফলা সম্পর্কে জানা অজানা আপনাদের জন্য বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনা মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

প্রথমে ত্রিফলাগুলোকে অর্থাৎ আমলকি,হরিতকি ও বহেড়া এই তিনটি ভেষজ ফলকে আলাদা আলাদা ভাবে একই অনুপাতে অর্থাৎ সকল কিছুই সমান মাপে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেব। ভালো করে ফলগুলো শুকানো হয়ে আসলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পাউডা তৈরি করে নেব আলাদা আলাদা ভাবে।

এবার আপনি চাইলে তিনটি ফলকে সমান অনুপাতে নিয়ে একত্রে করে মিশিয়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন অথবা আলাদা আলাদা ভাবে রেখে শুধুমাত্র খাওয়ার সময় সমান অনুপাতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ দুই পদ্ধতিতে ত্রিফলার চূর্ণ তৈরি করে খাওয়া হয়।

ত্রিফলার দাম কত

আপনি যদি ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে ত্রিফলা কিনে খেতে চান তাহলে অবশ্যই ত্রিফলার দাম কত অর্থাৎ বর্তমান বাজার মূল্য কত এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক। মূলত উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে বাজার মূল্য উঠানামা করে থাকে। যেহেতু এটি অনেক বেশি ভেষজ ঔষধি কোন সম্পন্ন

অনেক বেশি উপকারী এর জন্য এর মূল্য অনেক বেশি হয়ে থাকে। ত্রিফলা বিভিন্নভাবে আপনি বাজারে থেকে কিনতে পারেন প্রথমত ত্রিফলা চূর্ণ তৈরি করার জন্য তিনটি ফল আলাদা ভাবে কিনতে পারেন অথবা সরাসরি ত্রিফলা চূর্ণ ত্রিফলার রস কিনতে পারেন এর জন্য আপনার দাম পড়বে ১০০ গ্রাম ত্রিফলা চূর্ণ বা রাসের দাম ১০০-১২০টাকা তবে এর দাম কম বা বেশি হয়ে থাকে।

লেখক এর মন্তব্য-ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ত্রিফলার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা-ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম, ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি ছাড়াও ত্রিফলা সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url