ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি। এছাড়াও ফিটকিরি সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম, ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা,পানি থেকে ফিটকিরি দূর করার উপায়? ছাড়াও ফিটকিরি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও ফিটকিরির সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম

আপনারা ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য রাইট বাটন ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে ফিটকিরি সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য ডঃ ও বিশেষজ্ঞের মত অনুসারে সঠিক তথ্য জানতে পারবে।
শুধুমাত্র পানি পরিষ্কারের জন্য ফিটকিরি ব্যবহার করা হয় না বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা ও রোগ নিরাময়েও ব্যবহার করা হয় যেমন ত্বকের কালো দাগ, ক্ষত সারাতে, চুলকানি, ব্রণ, বলিরেখা, গলার বিভিন্ন সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, মুখের ঘা, প্রাইভেট পার্ট সুরক্ষা, চুলের বিভিন্ন সমস্যা, পা ফেটে যাওয়া, ফ্রিজ এবং রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সহ ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিটকিরির ব্যবহার রয়েছে।

তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করছি না পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম, ১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয়, ফিটকিরির রাসায়নিক নাম ও সংকেত, মুখে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম,

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার নিয়ম, ফিটকিরি কি চুলের জন্য ক্ষতিকর ইত্যাদি ছাড়াও ফিটকিরি সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি ছাড়াও নিম্নত্র লেখা ফিটকিরি সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে। ফিটকিরি মূলত আমরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে ডেকে থাকি কেউ ফুটকেরি, ফিটকিরি বা ফিটকারি ইত্যাদি। তবে এই জিনিসটি আপনাদের কাছে যে নামে পরিচিত হোক না কেন এর উপকারিতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সত্যি আশ্চর্যজনক।
তবে আমরা বেশিরভাগ মানুষ ফিটকিরি পানি বিশুদ্ধকরণ করার জন্যই চিনে থাকি। আপনি যদি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করতে চান এবং ফিটকিরি ব্যবহারে সঠিক মাত্রা ও নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রাখেন তাহলে পানি বিশুদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে পানিতে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই চলুন ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়মটি জেনে নেই।

প্রথমে আপনাদেরকে বলে রাখা ভালো যে শুধুমাত্র ফিটকিরি ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়। ফ্যাক্টরি দিয়ে শুধুমাত্র পানিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা, কাদামাটি, বেশ কিছু জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট ধ্বংস হয় কিন্তু ভাইরাস ফিটকিরি তারা ধ্বংস হয় না। যার কারণে আপনি ফিটকারি মিশ্রিত পানি পান করলে আপনার

ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, একক্রিমি সংক্রমণ ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট জনিত রোগগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। তবে ফিটকিরি মিশ্রিত পানিতে উপস্থিত আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, সীসা ইত্যাদি দূর হয় না যার কারণে ফিটকিরিযুক্ত পানি খেলে আপনার হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ ভাইরাসজনিত রোগ অর্থাৎ জন্ডিস থেকে রক্ষা পাবেন না।

যার কারণে বলা যায় যে ফিটকিরির মিশ্রিত পানি প্রায় ৯৫% পর্যন্ত বিশুদ্ধ হয়। আর আপনি যদি পানিকে ১০০ পার্সেন্ট বিশুদ্ধ করতে চান তাহলে ফিটকিরি মিশ্রিত পানিতে থাকা ভাইরাসগুলো দূর করার জন্য ক্যামিকেল ট্রিটম্যান্ট বা বিশেষ ফিল্ট্রেশন করতে পারেন। তবে পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে ৯৫% পানি বিশুদ্ধ করার জন্য পানিতে কি পরিমানে ফিটকিরি মেশাতে হবে

এটা পানির গুণগত, পানিতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের পদার্থ ছাড়াও পানির পিএইচ(pH) ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। আর এগুলো জানার জন্য জার পরীক্ষা(jar test) করতে হয়। তবে অনেকেই পানি বিশুদ্ধ করনের জন্য প্রতি লিটারে পানিতে ফিটকিরির আদর্শ মিশ্রণের অনুপাত হিসেবে দুই গ্রাম করে মিশ্রিত করা হয়।
এক কলসি বা এক লিটার পানিতে দুই গ্রাম পরিমাণে ফিটকিরি গুঁড়ো কিংবা ক্রিস্টাল ফিটকিরি মিশিয়ে ভালো করে নাড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবেন। এবার ছয় ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত পানি সমস্ত ময়লা, ব্যাকটেরিয়া পানির নিচে তলানিতে স্তর হয়ে জমে না যায়। সমস্ত ময়লা গুলো তলা নীতি স্তর হয়ে জমে আসলে পাত্রটির ওপর থেকে পরিশোধিত পানি সংরক্ষণ করে নিচের তলনের পানি ফেলে দেবেন।

আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন ফিটকিরি সম্পর্কে শুধুমাত্র ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে ফিটকিরি সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম
  • ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা
  • ১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয়
  • ফিটকিরির রাসায়নিক নাম ও সংকেত
  • মুখে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম
  • ফিটকিরি কি চুলের জন্য ক্ষতিকর
  • ফিটকিরি পানি বিশুদ্ধ করতে কত সময় লাগে?
  • পানি থেকে ফিটকিরি দূর করার উপায়?
  • ফিটকিরি দিয়ে কি পানি বিশুদ্ধ করা যায়?
পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম

পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানানোর চেষ্টা করেছে। তবে যেহেতু ফিটকিরি বেশিভাগ মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ করার জন্যই পরিচিত যার কারণে সঠিক পদ্ধতিতে পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সকলের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী।
কারণ মাত্রা অতিরিক্ত বা সঠিক পরিমাণে ফিটকিরি পানিতে ব্যবহার করলে পানিতে বিষক্রিয়া হতে পারে কারণ অতিরিক্ত ফিটকিরি পানির সঙ্গে মিশে ক্ষতিকর অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ হয় এ ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে সঠিক নয়। কারণ ফিটকিরি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক মাত্রার ব্যবহার করলে

পানি পরিষ্কার হয় এবং এতে থাকা কিছু জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট ধ্বংস হয় তবে এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ধ্বংস হয় না। যার কারণে ফিটকিরি ব্যবহৃত পানি খেয়ে আপনি ডায়রিয়া আমার সঙ্গে কৃমি টাইফয়েড ইত্যাদির মত রোগ থেকে মুক্তি হতে পারবেন তবে ভাইরাসজনিত রোগ যেমন হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।

যার কারণে এক কলসি পানিতে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে বা এক লিটার পানিতে এক গ্রাম ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা পানিতে থাকা ময়লা গুলো নিচে খেতে যাওয়া পর্যন্ত রেখে ওপর থেকে স্বচ্ছ পানি সংগ্রহ করে নিয়ে এতে সামান্য ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে পানি থাকা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ধ্বংস হবে। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।
ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা

ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি জানার পর এখন আমরা ফিটকিরির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকে ফিটকিরির উপকারিতা বা স্বাস্থ্য বেনিফিট জানার আগে আমাদের ফিটকিরি জিনিসটা কি আসলে কি জানা দরকার। পটাশিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে সমান পরিমাণে নিয়ে পানির ভেতরে ভালো করে মিশ্রিত করা হয়।

এরপর সে দ্রবনটিকে তাপ দেওয়ার মাধ্যমে সেটিকে বাষ্পবিত করা হয়। বাষ্পের মাধ্যমে তার মধ্যে থাকা পানি যখন উড়ে যায় এবং কঠিন পদার্থটি যখন স্ফটিক আকার ধারণ করে বা ক্রিস্টালাইজ হয়ে যায় তখন এই ক্রিস্টাল অংশই হল আমাদের ফিটকিরি।

তাই এই ফিটকিরির সাইন্টিস্ট নাম হলো পটাশিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট। তাই চলুন জেনে নেই ফিটকারির বেশ কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং তার সাথে সাথে আমরা আপনাদের জানাবো কোন কারণে আপনি ফিটকারীকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করলে তার থেকে আপনি ম্যাক্সিমাম স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।

দাড়ি কাটার পর: কমন ভাবেই ফিটকিরি যে কারণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে অর্থাৎ দাড়ি কাটার পরে আমরা গালের মধ্যে বা মুখমণ্ডলের মধ্যে ফিটকারি ব্যবহার করি কেন। দাড়ি কাটার ফলে আমাদের মুখমন্ডলের মধ্যে বা গালের মধ্যে যে সমস্ত মাইক্রোকাট লেগে যায় তার থেকে যেন পরবর্তী ক্ষেত্রে কোন প্রকার ইনফেকশন না হয় তাই আমরা ফিটকিরি ব্যবহার করে থাকি।

এর কারণ ফিটকারির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেক্টিভ ও এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি। যেগুলো কিন্তু কাটা ঘা থেকে বড়সড় ইনফেকশন হওয়া থেকে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এছাড়াও দাড়ি কাটার পরে আমরা যে সকল লোশন ব্যবহার করে থাকি সে সমস্ত লোশনের থেকেও কিন্তু কয়েক গুণ বেশি অ্যান্টিসেপটিক প্রোপার্টি রয়েছে এই ফিটকারির মধ্যে। তাই অবশ্যই দাড়ি কাটার পরে ফিটকিরি লাগানোর ব্যবস্থা করবেন।

ডিওড্রেন হিসেবে: আপনি কি জানেন পৃথিবীর সর্বোত্তম পাওয়ারফুল ডিওড্রেন্ট হল এই ফিটকিরি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি বা দামি দামি ডিওডেন পাওয়া যায় যেগুলো আমরা কিনে নিয়ে এসে গ্রীষ্মকালে ব্যবহার করে থাকি শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ লুকিয়ে রাখার জন্য বা সে সমস্ত ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
সে সমস্ত ডিওড্রেন্টে সুগন্ধ থাকার জন্য সাময়িকভাবে ঘামের দুর্গন্ধ ঢাকা গেলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে এ সমস্যা আবারও দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু গোসলের পরে এক টুকরো ফিটকারি পানির মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে আপনার আন্ডারাম এর মধ্যে বা আপনার বগলের মধ্যে যদি খুব ভালোভাবে খুজতে পারেন। আপনার বগলের মধ্যে যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া বাসা থাকে, যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ সমস্ত দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। সে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া গুলোকে খুব সহজে দূর করতে পারে ফলে আপনার ঘামের দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যেতে পারে।

কালো দাগ: যে সমস্ত মানুষের বগল কালো হয়ে যায় বা বগলের জায়গা ডার্ক সার্কেল থাকে সে সমস্ত মানুষরাও গোসলের পরে যদি ফিটকিরিকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ভালোভাবে সেই স্থানে মাসাজ করতে পারেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার স্কিন কালার চলে এসেছে।

ক্ষত সারাতে: আপনার শরীরে কোন স্থানে যদি ছোটখাটো কেটে যায় বা আঁচল লাগলে সে ক্ষেত্রে সেই স্থানে সর্বপ্রথম ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এর কারণ টকিরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি।

যার কারণে সবকিছু মিলেমিশে কাটা ঘা সহজে নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং কাটা ঘা এর থেকে যাতে কোন বড় ইনফেকশন না হয় সেদিন থেকেও আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়াও এর সাথে সাথে ফিটকিরি লাগালে ওই সমস্ত কাটাস্থানে সহজে রক্তপাতও বন্ধ হয়ে যায়।

চুলকানি দূর: আপনার শরীরে যদি চুলকানি বা দাদ এর মত হাজারো সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফিটকিরি আপনাকে আশ্চর্যকর রেজাল্ট দেবে। এর জন্য আপনাকে ২ চা চামচ লেবুর রসের মধ্যে হাফ চা চামচ ফিটকিরি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। দেখুন আপনাদের বলি ফিটকিরির পাউডার বাজারে যেকোনো শপে পাওয়া যায় আর হে যদি না পান তাহলে ফিটকিরির পাথর বা ক্রিস্টালকে মিক্সচার গ্রাইন্ডার মাধ্যমে খুব ভালো করে পাউডার তৈরি করে নিতে পারেন।

এই পেস্টটি আপনার চুলকানি বা দাদ স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে উক্ত স্থান ভালো করে ধুয়ে শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্থানটি ভালো করে মুছে নেবেন। এই নিয়মে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে ফিটকিরি আপনার স্কিন ডিজিজের কতখানি চমকপ্রদক রেজাল্ট দিতে পারে সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

ব্রণ দূর করতে: ব্রণের দাগ, ব্রণ বা একমি সমস্যা আপনার পিছু ছাড়ছে না। সমস্ত প্রকার মেডিসিন, স্কিন কেয়ার ব্যবহার করে ফেলেছেন কিন্তু কোনভাবেই আপনি উপকার পাচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ফিটকিরি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই ফিটকিরি ব্যবহারের পদ্ধতি হলো দুই চামচ পরিমাণে মুলতানি মাটি এর সাথে হাফ চা চামচ ফিটকিরি পাউডার এবং পরিমাণ মতো গোলাপজল খুব ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
এরপর এই পেস্টটি আপনার যে সমস্ত জায়গাতে ব্রণ হয়েছে বা যে সমস্ত স্থানে একমি দাগ এর সমস্যা রয়েছে সে স্থানগুলোতে লাগান এবং ততক্ষণ পর্যন্ত রেখে দেন যতক্ষণ পর্যন্ত মিশ্রণটি উক্ত স্থানে শুকিয়ে যায়। এরপর কটন বার নরমাল টেম্পারেচারের পানিতে ভিজিয়ে ধীরে ধীরে ওই মিশ্রণটিকে মুখের থেকে মুছে ফেলুন। কয়েকদিনের মধ্যে আপনি এতটাই উপকারিতা পাবেন যে উপকারিতা আপনাকে কোন মেডিসিন বা ক্রিম দিতে পারেনি।

ব্ল্যাক হেডস দূর: মুখ থেকে ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও কিন্তু বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে ফিটকিরি। সে ক্ষেত্রে ফিটকিরির পাউডার ও গোলাপজল নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপর সেই পেস্টটি আপনার যেই স্থানে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে সেই স্থানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ত্বকে পেস্টটি ভালো করে শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানি একটি বাটিতে নিয়ে নরম তুলা দিয়ে ধীরে ধীরে মিশ্রণটি মুখ থেকে আলাদা করে নেবেন। প্রথম দিন ব্যবহারে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন অনেক ব্ল্যাকহেড আপনার ত্বক থেকে চলে গিয়েছে।

বলিরেখা দূর: ফিটকিরি আমাদের ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য একটা চামচ ফিটকিরি গুড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল ও সামান্য মধু মিশে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে সমস্ত মুখে লাগিয়ে নিবেন এবং শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে উষ্ণ গরম পানিতে নরম তুলা ভিজিয়ে সমস্ত মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল সতেজ ও লাবণ্যময়ী।

গলার সমস্যা: আপনি যদি একজন সিঙ্গার বা স্পিকার অর্থাৎ প্রতিনিয়ত যদি আপনার গলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চাপ পড়ে যার ফলে গলার মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা যেমন, গলা বসে যাওয়া, গলা ব্যথা বা এছাড়া যদি হঠাৎ ঠান্ডা লেগে গিয়ে খুসখুসে কাশি হয় তাহলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান কিন্তু ফিটকিরি করতে পারে।
সেক্ষেত্রে হাফ গ্লাস পরিমাণে কুসুম গরম পানির মধ্যে হাফ চা চামচ ফিটকিরির পাউডার এবং এক চুটকি পরিমাণে খাদ্য লবণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং সেই মিশ্রণটিকে খুব ভালো করে আপনি গারগেল করুন। কয়েকবার গার্গেল করলেই কিন্তু আপনি দেখতে পারবেন আপনার গলার যে সমস্যাগুলো ছিল তা খুব সহজে চলে গিয়েছে।

দাঁতের সমস্যা: মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়ির মধ্যে যে কোন প্রকারের ইনফেকশন, গাম সেনসিটিভিটি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে ফিটকিরি আপনাকে যথেষ্ট উপকারিতা দিতে পারে। এছাড়া মনে করুন আপনার দাঁতে ব্যথা সমস্যা এ সকল সমস্যার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি ফিটকিরির জলের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করতে পারেন।

কয়েকবার করে কিছু করলেই দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার মুখের মধ্যে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে বা এ সমস্যার সমস্যা যদি আপনার থেকে তাহলে প্রত্যেকটি সমস্যা থেকে কিন্তু আপনি সহজে মুক্তি পেতে পারেন।

দাঁত সাদা: আপনার যদি দাঁতে হলুদ ভাব, দাঁতে সেনসিটিভিটি, ক্যাভিটি ইত্যাদির মত সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিদিন ব্রাশে টুথপেস্ট এর মধ্যে এক চুটকিয়ে ফিটকিরির পাউডার মিশিয়ে নিয়ে যদি আপনি ব্রাশ করতে পারেন। তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার দাঁতের যে কোন সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।

দাঁতের ব্যথা: দাঁতের ব্যথা থেকে যদি তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে চান তাহলে এক চুটকি ফিটকিরির পাউডার আপনার যে দাঁতে ব্যথা হচ্ছে সে দাঁতের মধ্যে চেপে ধরুন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কিন্তু আপনি মিরাক্কেল রেজাল্ট পেতে পারেন।

মুখের ঘা: আপনার মুখে ঘা বা জিব্বায় ঘা যেগুলোকে আমরা মাউথ আলসার বলে থাকি এই যে কোন প্রকার মাউথ আলসারের কিন্তু ফিটকিরি পাউডার আপনাকে আরও এক প্রকারের আশ্চর্যকর ম্যাজিক দেখাতে পারে। এর জন্য এক চা চামচ মধুর সঙ্গে হাফ চামচ পরিমাণে ফিটকিরির পাউডার মিশিয়ে নিয়ে খুব ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
এরপর আপনার মুখের যে স্থানে ঘা হয়েছে বা ধরুন আপনার জিহ্বার মধ্যে যে স্থানে ঘা হয়েছে সে জায়গায় লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে কুলকুচি করে নিন। এরপর আপনার মুখটি ভালো করে ওয়াশ করে নেবেন এবং বিশেষভাবে এটি চেষ্টা করবেন মিশ্রণটি যেন আপনি গিলে না খান।

আঙুলে হাজা: অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ব্যবহার কারণে কিংবা আঙ্গুলের ফাঁকে পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকার কারণে পায়ে কিংবা হাতে ফুল সে যায়। তবে এ সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ফিটকিরি ব্যবহার হয়ে আসছে এর জন্য শুধুমাত্র টুকরো ফিটকিরি পানিতে দিয়ে ভালো করে গরম করে নেবেন এবং ঠান্ডা হয়ে আসলে পা সেখানে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দেবেন দেখবেন আরাম পাবেন এবং হাজা কিছুদিনের ভেতরে সেরে যাবে।

উকুন ধ্বংস: চুলে অতিরিক্ত পরিমাণ উকুন হলে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য গোসলের সময় ৪ গ্রাম ফিটকিরি ১/২ লিটার পানিতে ভালো করে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে হবে। এবার ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো করে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

গোড়ালি ফাটা: যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে পা ফেটে যায় এবং ফেটে সেখান থেকে রক্তপাত বা অতিরিক্ত ব্যথা যন্ত্রণা হয় তারা ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য গোসল করার পর এক টুকরো ফিটকিরিকে পানির মধ্যে ভালো করে ডুবিয়ে ফাটা স্থানে ভালো করে ঘষে নেবেন। তবে যাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ফাটা রয়েছে বা ব্যথা যন্ত্রণা রয়েছে

তারা ফিটকিরি গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে ফাটা স্থানগুলোতে লাগাতে পারেন। এর মধ্যে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি রয়েছে এটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করবে এবং এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের কম্পাউন্ড মৃত কোষগুলোকে ধরিয়ে এসট্রইঞ্জিন প্রপার্টি অর্থাৎ স্কিন ট্রাইটারিং প্রপার্টি থাকার কারণে ফাটাগুলোকে ধীরে ধীরে রিপেয়ার করতে সাহায্য করবে।

প্রাইভেট পার্ট সুরক্ষা: পুরুষ এবং মহিলাদের প্রাইভেট পাটকে হাইজেনিং রাখতে ফিটকিরি গুরুত্ব অপরিসীম। এক লিটার পরিমাণ পানির মধ্যে হাফ চামচ পরিমাণে ফিটকারি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে পুরুষ কিংবা মহিলা গোসলের সময় প্রাইভেট পাটে জলটা দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারেন এতে প্রাইভেট পার্ট খুব সুন্দরভাবে হাইজেনিং হয় অর্থাৎ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় এবং কোন প্রকার ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে না, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঝুঁকি থাকে না এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চুলকানি, ছোটখাটো ফোড়া, ফুসকুড়ি থেকে অনেক সময় মুক্তি পাওয়া যায়।

রান্নাঘর জীবামুক্ত: ফিটকিরি দিয়ে রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত ও ঝকঝকে পরিষ্কার করতে পারবেন। এর জন্য কুসুম গরম পানিতে একটি বড় ফিটকির টুকরা ভালো করে মিশে সে পানি দিয়ে সমস্ত রান্নাঘর পরিষ্কার করলে রান্নাঘরে ঝকঝকে ও জীবাণুমুক্ত হয়।

পা ফুলে যাওয়া: যারা অতিরিক্ত পরিমাণে দৌড় ছাপ বা হাঁটাচলা করে তাদের অনেক সময় পা ফুলে যায় বিশেষ করে ক্রীড়াবিদদের। ফিতকারী থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাস ও অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল উপাদান ক্রীড়াবিদদের পায়ের বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস দূর করে এবং ফিটকির গুড়া গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে পেশ তৈরি করে সমস্ত পায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে পায়ের ফোলা ভাব অনেকটা কম হয় এছাড়াও অসীম গরম পানিতে ফিটকির গুঁড়া মিশে কিছুক্ষণ পা রাখতে পারেন।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ: ফ্রিজে অনেক সময় মাছ মাংস কিংবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে দুর্গন্ধ বের হয় যা খাবারেও অনেক সময় ছড়িয়ে পড়ে আর এ দুর্গন্ধ দূর করার জন্য একটি বাটিতে ফিটকির গুঁড়ো করে ফ্রিজের এক কোনায় দেখে দিতে পারেন এতে ফ্রিজ হতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।
ফিটকিরির অপকারিতা

ফিটকিরির অপকারিতা

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদির মধ্যে এতক্ষণ আমরা ফিটকিরির উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা ফিটকিরির অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। ফিটকিরি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য যেমন সঠিক নিয়মে ও নির্দিষ্ট পরিমাণে জানা অত্যন্ত জরুরী তেমনি অত্যাধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তা নিম্নে আপনাদের মাঝে ফিটকির অপকারিতা মধ্য দিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরলাম-

  • ফিটকিরি দিয়ে আমরা অনেকেই পানি পরিষ্কার করি খাই এ ফিটকিরি পানির বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও প্যারাসাইট ধ্বংস করে কিন্তু এই ফিটকিরি ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে না যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ফিটকিরির পানি খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে বা সঠিক মাত্রা না জেনে পানিতে ফিটকিরি ব্যবহার করলে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
  • মুখের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে ব্রণ, বয়সের ছাপ, কালচে ভাব, ডার্ক সার্কেল ইত্যাদির মত সমস্যা দূর করার জন্য আমরা ফিটকিরি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি তবে এটি ব্যবহারের সময় বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ফেস প্যাকটি কখনোই ঠোঁটে এবং চোখে না লাগে। চোখে কোন ভাবে ফিটকিরি পানি স্পর্শ করলে চোখ জ্বালা করতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভ অবস্থায় ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধকৃত পানি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
  • ফিটকিরি ব্যবহারে পানি বিশুদ্ধকরণ, জীবাণুন ও বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক মুক্ত হয় তবে আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, সীসা মুক্ত করা সম্ভব হয় না যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এই পানি খেলে জন্ডিসের মত সমস্যা হতে পারে।
আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।
১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয়

১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয়

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। এখন আমরা ১ লিটার পানিতে কতটুকু ফিটকিরি দিতে হয় এ সম্পর্কে জানব। মূলত এক লিটার পানিতে কতটুকু পরিমাণে ফিটকিরি ব্যবহার করা হয় তার কোন নির্দিষ্ট বা আদর্শ পরিমাণ নেই। এটা নির্ণয় করা হয় পানিতে কি পরিমান ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু রয়েছে। তবে আনুমানিকভাবে ১ লিটার পানিতে ১ থেকে ২ গ্রাম ব্যবহার করা হয়।

ফিটকিরির রাসায়নিক নাম ও সংকেত

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন। এখন আমরা ফিটকিরির রাসায়নিক নাম ও সংকেত জানবো। ইংরেজি হল এলাম(Alum)/ফিটকিরি(Fitkari) এছাড়াও একে পটাশ এলাম ( Potash Alum ) ও বলা হয় এবং এর রাসায়নিক নাম পটাসিয়াম এলাম (Potassium Alum) বা পটাসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেট। ফিতর এর রাসায়নিক সংকেত KAl(SO4)2·12H2O বা K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।
মুখে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম

মুখে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আশা করি আপনারা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন। তবে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান এবং মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে সম্পন্ন পোস্টে পড়ুন।
ফিটকিরি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে ব্রণ, ব্রণের দাগ, মেস্তা, রোদে পোড়া কালচে ভাব, বয়সের ছাপ ইত্যাদি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য আপনি ফিটকিরি দিয়ে বিভিন্ন পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও ব্রণ দূর করার জন্য মুলতানি মাটি, গোলাপজল ও ফিটকিরি একসাথে ব্যবহার করতে পারেন পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও কালচে ভাব ও বয়সে ছাপ দূর করার জন্য গোলাপজল ফিটকিরি ও সামান্য মধু মিশিয়ে সমস্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।
ফিটকিরি কি চুলের জন্য ক্ষতিকর

ফিটকিরি কি চুলের জন্য ক্ষতিকর

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি জানার পর আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে ফিটকিরি কি চুলের জন্য ক্ষতিকর। ফিটকিরি চুলের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। বরং এটি চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে খুশকি ও উকুন, চুল ঝরে পড়া, চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এর জন্য ফিটকিরি তৈরি একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন যেমন ফিটকিরি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে মাসাজ করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুলে মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এছাড়াও শ্যাম্পুতে এক চিমটি ফিটকিরি ব্যবহার করেও চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে পারেন। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।

পানি থেকে ফিটকিরি দূর করার উপায়?

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি জানার পর কেউ যদি স্বীকৃতি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করতে চান এবং কোন ভুলক্রমে অতিরিক্ত পরিমাণে পানিতে ফিটকিরি পড়ে গেলে পানি থেকে ফিটকিরি দূর করার উপায়? সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।

মূলত পানিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ফিটকির ব্যবহৃত হলে পানিতে অ্যামোনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে পানি বিষাক্ত হয়ে যায় তবে অ্যালুমিনিয়াম অপসারণ বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন ক্যাটেশন এক্সচেঞ্জ রজন, বিপরীত অসমোসিস এবং ইলেক্ট্রোডায়ালাইসিস দ্বারা বাহিত হতে পারে। অ্যায়ারেশন/ স্ট্রীপিং, রাসায়নিক জারণ/জীবাণুমুক্তকরণ এবং অ্যানিয়ন এক্সচেঞ্জ নামক চিকিত্সা পদ্ধতিগুলি আল অপসারণের জন্য অকার্যকর। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।

ফিটকিরি দিয়ে কি পানি বিশুদ্ধ করা যায়?

ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম এইতো জানি পর অনেকের মনের প্রশ্ন জাগতে পারে ফিটকিরি দিয়ে কি পানি বিশুদ্ধ করা যায়? সম্পূর্ণরূপে। না, ফিটকিরি দিয়ে পানির সম্পূর্ণ রূপে বিশুদ্ধ করা যায় না। তবে দ্রবীভূত অ্যালুমের ভারী কণা পানিতে উপস্থিত কাদামাটির কণার উপর জমা হয় এবং স্থির করে দেয় । এইভাবে, ফিটকিরি যুক্ত করলে পানি ৯৫% বিশুদ্ধ হয়। আশা করি ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম এর মধ্যে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে উপকৃত হয়েছে।

লেখকের মন্তব্য-ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার কার্যকরী নিয়ম, পানিতে ফিটকিরি ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি ছাড়াও ফিটকিরি সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url