কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও
অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও কচু সম্পর্কে আরো
জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা,
গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও কচু সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা
রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ
জানতে পারবেন এবং কচুর সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা-কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্যই রাইট বাটন ওয়েবসাইটে
ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে কচু সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার মত
অনুযায়ী সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
কচুর সম্পূর্ণ গাছটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি গাছ এর যেমন পাতা খাওয়া যায় তেমনি
এর ডাল খাওয়া যায় তেমনি নিচের অংশ অর্থাৎ কচুও খাওয়া যায়। এটা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার হিসেবে
বিবেচনা করা হয়। কচু বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন
ধরনের উপকার বয়ে নিয়ে আসে।
যেমন- ক্যান্সার প্রতিরোধ, পানির ঘাটতি মেটানো, মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির, ভিটামিন সি এর
অভাব, আয়রনের অভাব পূরণ, রাতকানা রোগ প্রতিকার, হার্ট সুস্থ, ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ, দাঁতের মাড়ির, রক্ত শূন্যতা
দূর ইত্যাদি ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। কচু থেকে
তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও
অপকারিতা,
গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করছি না কচুর পুষ্টি উপাদান, কচু
খেলে কি এলার্জি হয়, কচু খেলে কি ওজন বাড়ে, কচু খেলে কি গ্যাস হয়, কচু খেলে
গলা চুলকায় কেন, কচু ইংরেজি কি-কচু কত প্রকার ইত্যাদি ছাড়াও কচু সম্পর্কে
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও
অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও নিম্নে লেখা কচুর সম্পর্কে
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আজ আমি আপনাদের মাঝে কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করব। কচু অত্যন্ত সহজলভ্য, সুস্বাদু ও পুষ্টি কোন ভরপুর একটি
খাবার। যা মূলত বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কচুতে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
যেমন- শর্করা, আমিষ, খাদ্য আঁশ, সোডিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই,
ক্যালসিয়াম, আইরন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শুধুমাত্র আমাদের
মানবদেহে উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে। তাই চলুন দেরি না করে কচু খাওয়ার কার্যকরী
৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই।
কচু খাওয়ার উপকারিতা
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে চলুন প্রথমে কচু খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন তবে কচু হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ
করা সম্ভব নয় যার কারণে আজ আমি আপনাদের মাঝে সামান্য কিছু কচু স্বাস্থ্য
উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরলাম-
ক্যান্সার প্রতিরোধক: গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত কচু খেলে খুব সহজে
কোলন ক্যান্সার এবং মহিলাদের স্তন ক্যান্সার সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। কচু
অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক
হিসেবে কাজ করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় এবং স্বাভাবিক সময়ও মহিলাদেরকে কচুর লতি
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিভিন্ন চিকিৎসক।
পানির ঘাটতি মেটানো: গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে যায় আর
শীতকালে কম পরিমাণে পানি পান করা হয় যার কারণে আমাদের শরীরে পানি ঘাটতে দেখা
দেয় বা শরীর শুকিয়ে যায় কচু আমাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে এর জন্য শরীর
শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে দূরে রাখার জন্য কচু আপনার খাদ্য তালিকা রাখতে পারেন।
মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি: কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর
মধ্যে মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি কচু শাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা গর্ভাবস্থায়।
জন্মের পর থেকে বাচ্চাদের প্রধান খাবার হয় মাতৃদুগ্ধ অনেক সময় মায়েদের বিভিন্ন
কারণে বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পায় না আর এই সমস্যা দূর করার জন্য একজন
গর্ভবতী মহিলা নিয়মিতভাবে অথবা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি করার
জন্য খেতে পারে।
ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ: গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে গর্ভবতী মহিলাকে
ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড জাতীয় খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়। একজন গর্ভবতী মহিলা
দৈনিক সর্বোচ্চ ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারবে এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার
মিলিগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণ করা যায় তবে শুধুমাত্র ১০০ গ্রাম কচু গ্রহণ করে একজন
গর্ভবতী মহিলা ৪.৫ মিলিগ্রাম খুব সহজেই ভিটামিন সি গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও
মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরী।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধ: কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর
মধ্যে কচুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য হল রাতকানা রোগ
প্রতিরোধ করা। কচু ভিটামিন এ এর খুব ভালো উৎস। রাত কানা রোগসহ ভিটামিন এ এর অভাবে
হওয়া সব ধরনের রোগ রোগ প্রতিরোধে কচু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সাজনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
কচুতে ভিটামিন এ থাকে যা আমাদের রাতকানা সহ চোখের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে চোখে
ছানি থেকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হন
এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়মিত কচু খান তাহলে ভ্রূণের চোখ গঠনে বিশেষ সাহায্য
করে এছাড়াও বাচ্চা প্রসবের পরে ও বাচ্চার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক ভালো
সহায়ক হিসেবে কাজ করে কচু।
বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান: কচুতে রয়েছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান
যেমন প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম,
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফলেট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান
রয়েছে যা নিয়মিত কচু খেয়ে একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত যে সকল
পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন তার দৈনিক পুষ্ট প্রদানের ঘাটতি অনেক মেটানো সম্ভব কচুর
সাহায্যে।
দাঁতের মাড়ি মজবুত: বর্তমানে অনেকেরই দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া,
দাঁতের মাড়ি ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয় আর এই সমস্যা দূর করার জন্য কচুতে
থাকা অত্যধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন সি ও আয়রন অনেক
বেশি সাহায্য করবে।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ: ১৫০ গ্রাম কচুতে মাত্র ১ গ্রাম ফ্যাট এবং খুবই
সামান্য পরিমাণে চিনি রয়েছে যার কারণে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কচু যুক্ত করলে
ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে এছাড়াও কচু রক্তে শর্করা মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে এনে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করবে।
হাড়ের মজবুত: হাড় মজবুত হাড়ের গঠন হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য
আপনি কচু খেতে পারেন। শুধুমাত্র ১৫০ গ্রাম কচুতে ১৩% পর্যন্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে
আর ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে বিভিন্ন ধরনের হাড়ের সমস্যা সৃষ্টি হয় বিশেষ করে
ঘাড়ে ব্যথা, মাজায় ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা বা হাড় ক্ষয়
হয়ে যাওয়ার ইত্যাদির মত সমস্যাগুলোর সাথে বেশ সাহায্য করে কচু।
আয়রনের ঘাটতি: আয়রনের প্রাকৃতিক অন্যতম উৎসের মধ্যে কচু একটি। আয়রনের
ঘাটতির কারণে মূলত রক্তশূন্যতা ঘটে এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের রোগীর সৃষ্টি হয়
আয়রনের ঘাটতির কারণে এই আয়নের ঘাটতি মেটানোর জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায়
নিয়মিত কচু রাখতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: কচুতে রয়েছে উচ্চ আঁশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান
যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এছাড়াও এতে রয়েছে আয়োডিন যা আমাদের দেহের
মল সঠিকভাবে বের হতে সাহায্য করে যার কারণে হজম শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
হার্ট সুস্থ: গবেষণা দেখা গিয়েছে কচু হার্টকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা
রাখে এছাড়াও এতে থাকা আঁশ বা ফাইবার রক্তনালিতে চর্বি বা কোলেস্টেরল জমা হতেও
বাধা সৃষ্টি করে ফলে খুব সহজে কচু দিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব হয়।
শক্তি সূচক: কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি
স্বাস্থ্য সুস্থ সবল রাখতে অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। এটি আমাদের খাবার থেকে
শক্তি শোষণ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে যা কচুতে অত্যাধিক পরিমাণে রয়েছে এর জন্য
শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে আপনার খাদ্য তালিকায় কচু রাখতে পারেন।
রক্তস্বল্পতা দূর: কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর
মধ্যে কচু রক্তস্বল্পতা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কচু আয়রন
সমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে
চিকিৎস কচু খাওয়ার পরামর্শ দেন। কচুতে থাকা অত্যধিক পরিমাণে আয়রন
রক্তস্বল্পতায় ভুক্তভোগী রোগীদের জন্য খাওয়া আবশ্যক বললেই চলে।
উচ্চ কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ: কচুতে এমন দুটি উপাদান রয়েছে যা
কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে আর এই দুইটি উপাদান হলো মেথিওনিন এবং
ফাইবার ট্রাইগ্লিসারাইড। আর এই দুটি উপাদান ভেঙেই কোলেস্টেরল কমায় এর জন্য
কোলেস্টেরল কমাতে কচু আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
দৈনিক শক্তি পূরণ: মাত্র ১০০ গ্রাম কচুতে রয়েছে ৬৫ কিলো ক্যালরি শক্তি যা
দৈনিক খেলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক শক্তির ২.৪৩% পূরণ করবে। এছাড়াও
একজন গর্ভবতী মহিলা যদি প্রথম তিন মাসে কচু খায় তাহলে তার দৈনিক শক্তির ৩.১%
পূরণ করবে এবং দ্বিতীয় তিন মাসে দৈনিক শক্তির ২.৫৫ পার্সেন্ট পূরণ করবে এবং শেষ
তিন মাস অনুযায়ী দৈনিক শক্তির ২.৩৩% পূরণ করবে।
ওজন কমাতে: কচুতে রয়েছে উচ্চ আস বা ফাইবার যা আমাদের অনেকক্ষণ ধরে পেটকে
ভরা রাখতে বা ক্ষুধা কম লাগাতে সাহায্য করে এছাড়াও এতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি
উপাদান আমাদের শরীরের পুষ্টির ঘাটতি বা শরীর দুর্বল হতে দেয় না যার কারণে কচু
দিয়ে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় এছাড়াও কচুতে থাকা ফাইবার
মেটাবলিজমকে সক্রিয় করে এবং ওজন অনেক অংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
মুখ ও ত্বকের রোগ: আমরা সকলেই জানি আয়োডিনের অভাবে মুখে ঘা ও ত্বকে ব্রণ
কিংবা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য রোগ সৃষ্টি হয়। আর এ আয়োডিন সহ ভিটামিন বি ও
ভিটামিন সি এর অভাব মিটিয়ে খুব সহজে কচু মুখের ব্রণ ও আরো বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্য রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
চুল ওঠা বন্ধ: বর্তমানে চুল উঠা যেন একটি স্বাভাবিক বিষয়ক হয়ে উঠেছে
মহিলা কিংবা পুরুষ সকলেরই জন্য। এটি মূলত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির
অভাবে হয়ে থাকে বিশেষ করে ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি এর অভাবে। এর জন্য আপনি যদি
চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে চুলকে মজবুত ঘন, ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে
তাহলে আপনার খাদতালিকায় কচু রাখতে পারেন।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত: কচুতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে
এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে বলি রেখা, ব্রণ, ব্রণের দাগ, বয়সের
ছাপ, চোখের নিচের কালচে ভাব ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য
করে।
শরীরের ক্ষত: আমরা জানি ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে কতটা বেশি সাহায্য
করে ফলে আপনি যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান এবং দ্রুত ক্ষতস্থান
সারাতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় কচু রাখুন।
রক্তপাতের সমস্যা দূর: গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মহিলাদের অক্সিজেন
সরবরাহ বা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, কচু শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখতে
বেশ ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এর সঙ্গে থাকা আয়রন ও ফলেট রক্তের পরিমাণ
বাড়ায় যার কারণে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে এবং এতে থাকা ভিটামিন কে
রক্তপাতের সমস্যা খুব সহজে প্রতিরোধ করে থাকে।
শুক্র বৃদ্ধি: যারা গর্ভবতী হতে চান তারা নিয়মিত কচু খেতে পারেন। এটি
শুক্র বৃদ্ধি ও শরীর পুষ্ট করে। এছাড়াও আমাশয় বা পেট ফাঁপার মত সমস্যাও দূর
করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ: কচুতে অত্যাধিক মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে যার
কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কচুর মাধ্যমে কমানো সম্ভব এছাড়া কচু
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টের মাত্রা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে যার কারণে উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগী কোন ব্যাক্তি তার খাদ্য তালিকায়
অবশ্যই কচু যুক্ত করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য: কচু উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ বা আঁশযুক্ত একটি খাবার যার কারণে
আমাদের হজম শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় ফলে আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যত সমস্যা থাকে
তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় কচু রাখতে পারেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: কচুযেহেতু বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ভরপুর রয়েছে
যার কারণে বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভ অবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত কচু
খায় তাহলে তার গর্ভে থাকা বাচ্চা স্মৃতিশক্তি বা জ্ঞান অনেক ভালো হয়। এছাড়াও
কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত তার খাদ্য তালিকায় কচু রাখেন তাহলে এতে থাকা ভিটামিন বি
মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে ফলে স্মৃতিশক্তি ও বৃদ্ধি
পাবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
আশা করি উপরোক্তা আলোচনা থেকে কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
মধ্যে কচুর হাজারো উপকারিতা থেকে উপরুক্ত কচু খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে অনেক
বেশি উপকৃত হয়েছেন।
কচু খাওয়ার অপকারিতা
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ইতোমধ্যে আমরা কচু
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম কিন্তু কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কিভাবে
খেলে বা বেশি পরিমাণে খেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা জানা অত্যন্ত জরুরি
তাই এখন আমরা আপনাদের মাঝে কচু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত
আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরলাম-
- মাত্র অতিরিক্ত বা অতিরিক্ত পরিমাণে কচুর খেলে যে সকল ব্যক্তির ঠান্ডা অনেক সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে মাইগ্রেন বা সর্দি-কাশি তাদের ঠান্ডা জড়িত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- পূর্ব থেকে কোন কিছুতে অ্যালার্জি থাকলে কচুর লতি খেলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এর জন্য ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী কিংবা নিজে পরীক্ষিত হয়ে কচু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কচু খেলে এসিডিটিজনিত বা পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কারণ এতে অ্যামিনো এসিড ও ফাইবার এর পরিমাণ অত্যাধিক পরিমাণ রয়েছে।
- কচু খেলে গলা চুলকানোর মতো অস্বস্তি হতে পারে এর জন্য অবশ্যই কচু খাওয়ার সময় লেবু কিংবা টক জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা মূলত কচু গায়ে উপস্থিত অক্সালেট নামক উপাদানের কারণে হয়ে থাকে।
- অনেক সময় মাত্রা অতিরিক্ত কচু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বা পেট ভারী ভাব অনুভূত হতে পারে কারণ এতে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ উপাদান রয়েছে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কচুখেলে শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে ফলে কিডনি জনিত বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
- অত্যাধিক পরিমাণে কচুর লতি খেলে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, বদহজম ইত্যাদির মত সমস্যা হতে পারে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন কচু সম্পর্কে শুধুমাত্র
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে
কচু সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। আশা করি কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নত্ব
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা
- কচুর পুষ্টি উপাদান
- কচু খেলে কি এলার্জি হয়
- কচু খেলে কি ওজন বাড়ে
- কচু খেলে কি গ্যাস হয়
- কচু খেলে গলা চুলকায় কেন
- কচু ইংরেজি কি-কচু কত প্রকার
গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত বিস্তারিত
আলোচনার মাধ্যমে জানলাম তবে আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন এবং গর্ভ
অবস্থায় কচু খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
উপরোক্ত কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কচু খাওয়ার
উপকারিতা থেকে আমরা গর্ভাবস্থায় কচু খেলে কি কি উপকারিতা পাব তা সম্পর্কে আমি
আপনাদেরকে সামান্য ধারণা দিয়েছি। একজন গর্ভবতী মহিলার দৈনিক সঠিক মাত্রায় সঠিক
পরিমাণে সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটানো অত্যন্ত জরুরী।
কচুতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা খুব সহজেই একজন গর্ভবতী মহিলার দৈনিক
পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি অনেকটাই মেটাতে সাহায্য করবে। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুতে
রয়েছে শক্তি- ১৭৭ কিজু, শর্করা- ৬.৭ গ্রাম, চিনি- ৩ গ্রাম, প্রোটিন- ৫ গ্রাম,
ভিটামিন এ- ২৪১ μg, ভিটামিন বি- ৬০.১৪৬ মিগ্রা, ফোলেট (বি৯)- ১২৬ μg, ভিটামিন সি-
৫২ মিগ্রা, ভিটামিন ই- ২.০২ মিগ্রা,
ভিটামিন কে- ১০৮.৬ μg ক্যালসিয়াম- ১০৭ মিগ্রা, লৌহ- ২.২৫ মিগ্রা ইত্যাদি আরও
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে আর এ সকল পুষ্টিপ্রধান খুব সহজে একজন গর্ভবতী
মহিলার দুগ্ধবৃদ্ধি, হাড়ের ক্ষয় রোধ ও হাড়ের মজবুত, গর্ভে থাকা বাচ্চার সঠিক
বিকাশ এটাই ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের মাতৃকালীন সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সাহায্য
করবে এই কচু। তবে অবশ্যই মাত্র অতিরিক্ত কখনোই খাবেন না এবং মাতৃকালীন কোন সমস্যা
বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থাকলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কচু খাওয়ার চেষ্টা
করবেন।
কচুর পুষ্টি উপাদান
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম। এখন আমরা কচুর
পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানব। আমরা যে খাবারটি এত স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে
জানলাম সে খাবারটির পুষ্টি গুনাগুন কি কি রয়েছে এবং সে খাবারটি আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা কি কি পুষ্টি উপাদান দিয়ে মেটাবে তার সম্পর্কে আমাদের
সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী তাই চলুন দেরি না করে কচুর পুষ্টি উপাদান গুলো
জেনে নিন-
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) কুচুতে রয়েছে,
- শক্তি- ৫৯৪ কিজু (১৪২ kcal)
- শর্করা- ৩৪.৬ গ্রাম
- চিনি- ০.৪৯ গ্রাম
- খাদ্য আঁশ- ৫.১ গ্রাম
- স্নেহ পদার্থ- ০.১১ গ্রাম
- প্রোটিন- ০.৫২ গ্রাম
ভিটামিনের পরিমাণ রয়েছে,
- থায়ামিন (বি১)- ০.১০৭ মিগ্রা
- রিবোফ্লাভিন (বি২)- ০.০২৮ মিগ্রা
- নায়াসিন (বি৩)- ০.৫১ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক রয়েছে,
- অ্যাসিড (বি৫)- ০.৩৩৬ মিগ্রা
- ভিটামিন বি৬- ০.৩৩১ মিগ্রা
- ফোলেট (বি৯)- ১৯ μg
- ভিটামিন সি- ৫ মিগ্রা
- ভিটামিন ডি- ১.২ μg
- ভিটামিন ই- ২.৯৩ মিগ্রা
খনিজ এর পরিমাণ রয়েছে,
- ক্যালসিয়াম- ১৮ মিগ্রা
- লৌহ- ০.৭২ মিগ্রা
- ম্যাগনেসিয়াম- ৩০ মিগ্রা
- ম্যাঙ্গানিজ- ০.৪৪৯ মিগ্রা
- ফসফরাস- ৭৬ মিগ্রা
- পটাশিয়াম- ৪৮৪ মিগ্রা
- জিংক- ০.২৭ মিগ্রা
কচু খেলে কি এলার্জি হয়
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার পর আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে এবং আপনি যদি
জানতে চান কচু খেলে কি এলার্জি হয় তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। আশা করি এখান
থেকে আপনি সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন। জি হ্যাঁ, কচুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার
কারণে
যে সকল ব্যাক্তিদের এলার্জি জনিত সমস্যা পূর্ব থেকে রয়েছে তাহলে তাদের কচু
খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, র্যাফাইড নামক উপাদান
রয়েছে যার কারণে অনেকের কচু খাওয়ার সময় গলা চুলকায়। যার কারণে আপনার যদি
অ্যালার্জি থেকে থাকে তাহলে এ সকল উপাদানগুলো
আপনার এলার্জির পরিমাণকে বাড়িয়ে দিতে পারে বা হঠাৎ করে এলার্জিজনিত সমস্যা
সৃষ্টি হতে শুরু করতে পারে। মূলত ডক্টররা এলার্জি ঠিক রোগীদেরকে কচুর লতি, কচুর
শাক, কচু, মিষ্টি কুমড়া, গরুর মাংস, বেগুন ইত্যাদি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে
বলে থাকেন। তবুও আপনি যদি কচু খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ডক্টরের সাথে পরামর্শ
নিয়েই খাবেন।
কচু খেলে কি ওজন বাড়ে
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলাম কিন্তু আপনি যদি ওজন কমানোর প্রসেসে থাকেন এবং কচু
খেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন কচু খেলে কি ওজন বাড়ে কি না। চলুন এর
সঠিক উত্তরটি জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম
জি না, কচু খেলে ওজন পারে না এতে অত্যাধিক পরিমাণে আশ বা ফাইবার রয়েছে আর এ
ফাইবার আমাদের ওজন কমাতে অনেক বেশি কার্যকারী। ফাইবার আমাদের পেট অনেকক্ষণ
পর্যন্ত ভরা রাখে এবং এদের থাকা সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে সকল ধরনের
পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি
সহজে মিটাই যার কারণে শরীর সহজে দুর্বল হয়ে যায় না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এছাড়া এটি যেহেতু আমাদের পেট পরিষ্কার বা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে বা হজম
প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে ফলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি জমে না যার
কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অনেকটাই সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে।
কচু খেলে কি গ্যাস হয়
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি জানার পরেও অনেকেরই কচু খেলে গ্যাস সৃষ্টি হয় কিন্তু কচু খেলে
কি গ্যাস হয় এই কথাটা কি সত্যি। মূলত সঠিক পরিমাণে কচু খেলে কখনোই আপনার পেটে
গ্যাস হবে না বরং আপনার গ্যাস জনিত বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে পেট ফাঁপা, বদহজম,
অতিরিক্ত এসিডিটি, হজম শক্তি বৃদ্ধি,
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
পাকস্থলীর পাচনতন্ত্র পরিষ্কার ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা দূর
করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এই কচু। কিন্তু এতে যেহেতু অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার
রয়েছে যার কারণে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক জনিত
সমস্যা দেখা দিতে পারে কখনো আবার ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য জন্য তো সমস্যা ও
দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই কচু সঠিক উপকারিতা এবং পেট পরিষ্কার বা গ্যাস্ট্রিক
সমস্যা দূর করার জন্য সঠিক মাত্রায় কচু খাওয়ার চেষ্টা করব।
কচু খেলে গলা চুলকায় কেন
কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি জানার পর আপনি যদি কচু খান তাহলে আপনার কচু খাওয়ার পর অনুভূত
হবে হালকা গলা চুলকাচ্ছে কিন্তু কচু খেলে গলা চুলকায় কেন হয়তো আপনাদের মাঝে
অনেকেরই এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা ধারণা নেই। অনেক সময় ভালো মানের কচু বাছাই না
করার কারণে গলা চুলকানোর পরিমাণ বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
তবে কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং র্যাফাইড নামক দুটি উপাদান থাকার কারণে গলা
ধরে বা গলা চুলকায়। তবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং কচু আসল স্বাদ
পাওয়ার জন্য রান্না করার সময় কচু ভেতরে টক জাতীয় উপাদান লেবু কিংবা তেতুল বা
সিরকা ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও খাবার সময় লেবু ব্যবহার করেও খেতে পারেন। এতে
আপনার গলা ধরা কমে যাবে বা রান্নার সময় ব্যবহার করলে গলা চুলকাবে না।
কচু ইংরেজি কি-কচু কত প্রকার
ইতোমধ্যে আমরা কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু
খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা কচু ইংরেজি কি-কচু কত প্রকার
জানব। কচুর ইংরেজি হল Taro এছাড়াও কোলোকেসিয়া বা অ্যালোকেসিয়া নামেও পরিচিত,
কচু মানব ইতিহাসে প্রথম চাষকৃত উদ্ভিদের মধ্যে একটি ধরা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম
বৈজ্ঞানিক নাম Colocasia esculenta।
চলুন এখন কচু কত প্রকারের জেনে নেই মূলত কচু বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন-
- মুখী কচু
- ওল কচু
- মান কচু
- পানি কচু
- পঞ্চমুখী কচু
- পাইদনাইল
- দুধকচু
- শোলাকচু
লেখক এর মন্তব্য-কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা ও অপকারিতা
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের কচু খাওয়ার কার্যকরী ৩৩টি উপকারিতা
ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও কচু সম্পর্কে
জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের
আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের
জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url