পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি। এছাড়াও পালং শাক সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ছাড়াও পালং শাক সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও পালং শাক এর সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য রাইট বাটন ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে পালংশাক সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মত অনুসারে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
পালংশাক বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও রোগ সমাধানে চিকিৎসকরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে বিশেষ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিক্স, হাড় মজবুত, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ, লবণের ভারসাম্য, উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হজম শক্তি বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যা, গর্ভাবস্থায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে।

যার কারণে আজ আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে সম্পর্কে আলোচনা করছি না পালং শাক খাওয়ার নিয়ম, পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে, পালং শাকের জুসের উপকারিতা, পালং শাকের পুষ্টিগুণ, পালং শাক কি প্রতিদিন খাওয়া উচিত?,

গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা, প্রতিদিন কতটুকু পালং শাক খাওয়া উচিত?, পালং শাক কাদের খাওয়া উচিত নয়? ইত্যাদি ছাড়াও পালংশাক সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ছাড়াও নিম্নত্র লেখা পালং শাক সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পালং শাক অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় আমরা অনেকেই সচরাচর এই শাক সম্পর্কে কথা বলি না বা অবহেলা করে থাকি। কিন্তু এই শাকটি যে ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য থেকে দূরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে তা প্রমাণ করেছে মডার্ন সাইন্স।

শুধুমাত্র ক্যান্সার নয় পালং শাক এর সাথে সাথে বিভিন্ন প্রকারের ছোট বড় রোগের থেকে আপনাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে। তবে এমন বেশ কিছু রোগ রয়েছে সে সকল রোগের ক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক নিয়মে পালং শাক নিয়মিতভাবে খেতে পারেন সে সমস্ত রোগের থেকে কিন্তু আপনি দূরে থাকতে পারবেন।
কিন্তু কি সেই রোগ বা কোন পদ্ধতিতে পালং শাক আমাদের খাওয়া উচিত এ সকল সম্পর্কেও আজ আমি আপনাদের মাঝে এ পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব। শুধুমাত্র পালং শাকের উপকারিতা নয় তার সাথে সাথে আমাদের এটাও জানা উচিত এমন বেশ কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের পালং শাক কিন্তু মোটেও খাওয়া উচিত নয়।

সে সকল শারীরিক সমস্যা নিয়ে যদি আপনি পালং শাক খান সেক্ষেত্রে এই পালং শাক আপনাকে উপকারিতা উপরন্তু আপনাকে বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কাদের জন্য পালং সাক্ষ ক্ষতিকারক বা পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কেও এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আলোকপাত করার চেষ্টা করব।
পালং শাকের উপকারিতা

পালং শাকের উপকারিতা

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। পালং শাক অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী ও পুষ্টি গুনে ভরপুর একটি শাক তা বিভিন্ন চিকিৎসক ও গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। তাই চলুন জেনে করে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে পালং শাকের উপকারিতা গুলো-

ক্যান্সার প্রতিরোধ: পালং শাক আমাদের শরীরে অ্যান্টি ক্যান্সার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক রিসার্চ স্টাডিতে দেখা গিয়েছে পালং শাকে গ্লাইকোগ্লাইসোরিপিট(Glycoglycerolipid) নামক বিশেষ এক ধরনের বায়োজ অ্যাক্টিভ কমপাউন্ড বা মেডিসিনাল কম্পাউন্ড রয়েছে। যেটি আমাদের শরীরে অ্যান্টি ক্যান্সার ইফেক্ট দিতে পারে।

শুধু তাই নয় তার সাথে সাথে এই পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কেরোটিনওয়েটস এবং জিয়াজেনথিন নামক হাই পাওয়ারফুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এ সকল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আমাদের শরীরের সে সমস্ত ফ্রি র‌্যাডিক্যাল এর উৎপত্তি হয় সেগুলোকে দমন করে এবং শরীরের বাইরে বের করে দিয়ে স্টমাক ক্যান্সার, মাউথ ক্যান্সার, খাদ্যনালির ক্যান্সার, বেস্ট ক্যান্সার ইত্যাদি ক্যান্সার গুলো থেকে আমাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: শুধু ক্যান্সারী নয় এর সাথে আপনি যদি একজন ডায়াবেটিসের পেশেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পালং শাকের মধ্যে থাকা হাই কোয়ালিটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এবং ফাইবার আপনার রক্ত থেকে সুগারের মাত্রাকে যেমন কন্ট্রোল করে তার সাথে পালং শাকের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম আপনার শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের সমস্যার সমাধান করে
টাইপ টু ডায়াবেটিস পেশেন্টদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে সাহায্য করতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম একজন ডায়াবেটিস পেশেন্ট এর শরীরে সুগার মেটাবলিজম কে রেগুলেট করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও পালং শাকের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ১৫ এবং গ্লাইসেমিক লোড হলো ১ তাই ডায়াবেটিস পেশেনরা যেমন নিশ্চিন্তে, নির্দ্বিধায় পালং শাক খেতে পারেন ঠিক একইভাবে পালংশাক তাদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোল জার্নিতে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে।

হাড় মজবুত: পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো হাড় মজবুত করা। পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে ২। এই ভিটামিন কে ২ আমাদের শরীরে ম্যাট্রিক্স জিএল নামক বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন থাকে এ প্রোটিনকে এক্টিভেট করে।

আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরের নরম টিস্যু মধ্যে যে ক্যালসিয়াম থাকে সে ক্যালসিয়াম গুলোকে নিয়ে আমাদের হাড়ের মধ্যে ডিপোজিট করে এবং হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর এ ক্যালসিয়াম আমাদের হারকে মজবুত করতে পারে এবং বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে অস্টিওপোরোসিস, অস্ট্রিও আর্থাইটিস এর মত সমস্যা থেকে দূরে রাখতে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে এই পালং শাক।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: পালং শাক দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে এর কারণ পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিন এবং জিয়া জেনথিন। আর এ সকল উপাদান গুলো বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে চোখের মধ্যে ছানি পড়া, ম্যাকুলার ডিজাইন ডিজেনারেশন এর মতো সমস্যা গুলো হতে দেয় না। এছাড়াও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন ''এ" আমাদের দৃষ্টিশক্তি করতে সাহায্য করে।

শরীর ঠান্ডা: দেহে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং অতিরিক্ত গরম ভাব কমে শরীরকে ঠান্ডা ও স্নিগ্ধ রাখতে পালং শাক খেতে পারেন।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: হিমোগ্লো পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি৯ বা ফলিক এসিড এ সকল উপাদান গুলো আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে যে সমস্ত অ্যানিমিয়ার পেশেন্ট রয়েছে তাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং তারা রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: পালং শাকে যে সমস্ত পুষ্টিগুণ রয়েছে তার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

কোলন: পালং শাকের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিয়ান রয়েছে আর এই দুটি উপাদান কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।

লবণের ভারসাম্য: সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম এই ঘনিষ্ঠ শরীরে সোডিয়াম বা লবণে হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

মাইগ্রেন/ মাথাব্যথা: মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার মত সমস্যা থেকে পালং শাকের খাদ্যগুণ গুলো খুবই ভালো উপকার দেয়।

রক্তচাপ স্বাভাবিক: পালংকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এর কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়। অস্বাভাবিক উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস করে এছাড়া পালংশাকে থাকা ফলেট ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি: পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম রাখে ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে।

বাতের ব্যথা: পালং শাক বিভিন্ন ব্যথা যন্ত্রণা ও প্রদাহ নাশক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পালং শাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগুণ রয়েছে যার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি গড়ে তোলার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে পালং শাকের অন্যতম আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি। পালং শাকে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যদি প্রতিদিন আপনার শরীরে যায় তাহলে এটি মস্তিষ্কের বিশেষ বিশেষ অংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সে সঙ্গে পটাশিয়ামের কারণে মনোযোগ ক্ষমতা ও উন্নত ঘটে সুতরাং আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কিংবা মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খেতে পারেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধি: পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে পালং শাকের আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করা। পালং শাকের থাকা অ্যামাইনো এসিড এমন একটি উপাদান যা মেটাবলিজম রেড বাড়াই ফলে হজম শক্তি উন্নতি ঘটে।

ঋতু সমস্যা: পালংশাকে অত্যাধিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ফলে নিয়মিত পালং শাক খেলে মাসিকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সহজে অনেকটা দূর করা সম্ভব হয়।

দাঁত ক্ষয়: পালং শাকে থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখলে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সাথে সাথে দাঁতের ক্ষয় রোধ করাও অনেকটাই সম্ভব।

হৃদ রোগের ঝুকি কমায়: পালং শাকে এক ধরনের লুটের নামক পদার্থ রয়েছে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ভালো কোলেস্টের মাত্রা বাড়ি হৃদরোগের ঝুঁকের হাত থেকে রক্ষা করে এছাড়াও এর মধ্যে থাকা ফলিক এসিনেজা এসিড সুস্থ কাডিও ভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যৌবন ধরে রাখতে: পালং শাক বয়সে ছাপ লুকানোর জন্য খুবই ভালো একটি খাবার। পালং শাকই থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষয় রোধ করে শরীরে তারুণ্যদীপ্ত., সুস্থ, সবল ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: পালং শাকে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিশেষ করে ভিটামিন "কে" এবং ফলেট ত্বকের উজ্জ্বলতা ভেতর থেকে বেরিয়াম তে সাহায্য করে এছাড়া চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

ব্রণের সমস্যা: পালং শাকের সঙ্গে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এর ভেতরের সামান্য মধু মিশিয়ে ত্যাগ মুখে লাগে কমপক্ষে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতরের জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান বেরিয়ে যাবে ফলে সিবামের উৎপাদন কমবে ফলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে এছাড়া শুধুমাত্র পালং শাকের রস ও ব্যবহার করতে পারেন ব্রণ স্থানে।

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা: পালং শাক রয়েছে নিয়োক্সথিন এবং ভায়োল্যাক্সনথিন নামক দুটি এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আর এই দুইটি উপাদান দেহের পাশাপাশি ত্বকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহর মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের স্কিন ডিজিজ হাত থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটাই সম্ভব।

ত্বক পুড়ে যাওয়া: পালং শাকই থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে ফলে স্বাভাবিকভাবে তৎপুরে যাওয়া সম্ভাবনা কমে আনে এর সাথে সাথে স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগের সম্ভাবনা ও কয়েকগুণ দূর করে।

চুল পড়া রোধ: চুল পড়া রোধে পালং শাক অনেক ভালো কাজ করে। এই শাকটিতে উপস্থিত আয়রন চুল পড়ার মাত্রা কমানোর পাশাপাশি দেহের লোহিত কণিকার ঘাটতি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে পালং পালং শাকের রসের মধ্যে সামান্য এলোভেরা জেল, ও টক দই মিশিয়ে ব্যাগ তৈরি করে চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ফেলতে হয় তাতে অনেক ভালোউপকার পাওয়া যায় এছাড়া নিয়মিত শুধুমাত্র পালং শাকের রস ও ব্যবহার করতে পারেন।

হাড়ের পেশি: পালং শাকের ভেতরে থাকা নানাবিদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাটের পেশিকে সুস্থ সবল রাখে এবং এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে হাইপারলিপিডেমিয়া, হার্ট ফেলিওর্স ও করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

গর্ভাবস্থায়: পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে গর্ভ অবস্থায় পালংশাকের উপকারিতা অনেক বেশি। পালং শাক দিয়ে রয়েছে ফলিত বা ফলিক এসিড এটি গর্ভবতী মহিলা বা দুগ্ধ দানকারী মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জন্ডিস প্রতিরোধ: জন্ডিস প্রতিরোধে পালংশাকে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গুণাগুণ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কিডনি পাথর: বিশেষজ্ঞদের মতে নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়মিত পালং শাক খেলে এতে থাকা খাদ্যগুণ গুলো কিডনি পাথর গুড়ো করে বের করা সম্ভব।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সঙ্গে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ। এ সকল উপাদানগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় ত্বরান্বিত করে। এর জন্য আপনার মেদ বা চর্বি বা ফ্যাট ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখতে পারেন।

পেশি মজবুত: পালং শাকের ভেতরে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শুধু হার্টের বেশি মজবুত করে না এটি সমস্ত শরীরের বেশি শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং শরীরের কার্যক্ষমতা ও কয়েকজন বৃদ্ধি করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: পালং শাক পেট পরিষ্কার করতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এটি যেহেতু হজম শক্তি বাড়ায় ফলে অনায়াসে মল প্রস্তুতে সাহায্য হয় এবং পেটে জমে থাকা মল বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা ও সহজে দূর করা সম্ভব হয়ে যায়।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে পালং শাকের হাজার উপকারী তার মধ্য উপরুক্ত পালং শাকের উপকারিতা গুলো জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। যেহেতু পালং শাকের অনেক বেশি স্বাস্থ্য উপকরণ ও ঔষধি গুণ রয়েছে যার কারণে এর উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
পালং শাকের অপকারিতা

পালং শাকের অপকারিতা

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে এতক্ষণ আমরা পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা পালং শাকের অপকারিতা সম্পর্কে জানব। পালং সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য যেমন এটি সঠিক পরিমাণে ও সঠিক নিয়মে খাওয়া জরুরী তেমনি অত্যাধিক পরিমাণে মাত্র অতিরিক্ত খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তার নিম্নে আপনাদের মাঝে পালং শাকের অপকারিতা মধ্য দিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরলাম-

  • পালং শাক হল হাই হিস্টামিন শাক যদি আপনার এলার্জির মতো সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে কিন্তু পালং শাক আপনাকে চিন্তাভাবনা করে খাওয়া উচিত।
  • শুধু এলার্জি সমস্যা নয়, পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আপনি যদি একজন কিডনি পেসেন্ট হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু পালং শাক খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।
  • এছাড়া পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট আর এই অক্সালেট কিডনি স্টোনের সৃষ্টি করতে পারে তাই যদি আপনি অনেকদিন ধরে কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন সে ক্ষেত্রে পালং শাক আপনার চিন্তা-ভাবনা করে খাওয়া উচিত।
  • আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে রক্ত পাতলা করার ঔষধ খান তাহলে সে ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার পালং শাক খাওয়া উচিত নয়। আন্টি কুয়াগুলেন্ট ড্রাগসের সাথে পালং শাকের মধ্যে থাকা ভিটামিন কে রিএক্ট করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তা এর জন্য এ সকল ব্যক্তিদের পালংশাক না খাওয়াই ভালো।
  • ইউরিক এসিড এর পেশেন্টরা পালং শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ পালং শাকে রয়েছে অক্সালিক এসিড যা করে ইউরিক অ্যাসিডকে বাড়ি দিতে পারে। আর এ সকল রোগীরা যদি পালং শাক খেতে চান তাহলে পালং শাক দুই মিনিট সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাধিক পরিমাণে পালং শাক খেলে এতে উপস্থিত অক্সলেট ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় পালং শাক খেলে পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ পালং শাক উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ একটি শাক।
  • পালং শাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন এর কারনে ধূমপানকারী ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে পালংশাক খেলে ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
  • পালং শাকে রয়েছে এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ পিউরিন যা ঘাটকে প্রবাহিত করে ফলে গাউটের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে গাউটের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি পালং শাক খাওয়া উচিত।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন পালং শাক সম্পর্কে শুধুমাত্র পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে পালং শ সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • পালং শাকে কি এলার্জি আছে
  • পালং শাক খাওয়ার নিয়ম
  • পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে
  • পালং শাকের জুসের উপকারিতা
  • পালং শাকের পুষ্টিগুণ
  • পালং শাক কি প্রতিদিন খাওয়া উচিত?
  • গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
  • প্রতিদিন কতটুকু পালং শাক খাওয়া উচিত?
  • পালং শাক কাদের খাওয়া উচিত নয়?
পালং শাকে কি এলার্জি আছে

পালং শাকে কি এলার্জি আছে

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম কিন্তু পালং শাকে কি এলার্জি আছে এ সম্পর্কে কি আপনার সঠিক ধারণা রয়েছে। তবে আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়া অত্যন্ত জরুরী। জি হ্যাঁ, পালং শাকে এলার্জি রয়েছে। পালং শাক হল হাই হিস্টামিন শাক।
পালং শাকে থাকা কিছু প্রোটিন এলার্জির এই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যাদের পূর্বে এলার্জির ইতিহাস রয়েছে তাদের পালংশাকে এনার্জি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি অথবা পরিবারের কারো এলার্জি থাকলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। পালং শাকে এলার্জির হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি,

চুলকানি, লালচে ভাব, ঠোঁট-মুখ-গলায় ফোলা ভাব, পেট খারাপ, বমি ভাব বা ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সর্দি-কাশি এছাড়াও চরম পর্যায়ে অ্যানাফিল্যাক্সিস ও জীবনের হুমকির সম্মুখীন হওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর জন্য যাদের এলার্জির ইতিহাস রয়েছে তারা পালং শাক খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।

এছাড়াও শিশুদের প্রথমবার পালংশাক খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং অ্যালার্জির লক্ষণ গুলির প্রতি নজর রাখা। এছাড়াও যাদের পালংশাকে এলার্জি হওয়ার কোন প্রকার সন্দেহ রয়েছে তারা অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ করা এছাড়াও এলার্জির প্রতিক্রিয়ার প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো সম্পূর্ণভাবে পালং শাক এড়িয়ে চলা।
পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরিক্ত আলোচনা থেকে জানলাম তবে এত সব উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই সঠিকভাবে পালং শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।

পালংশাক আপনি যেভাবে খুশি খেতে পারেন যেমন ধরুন- পালং শাক ভাজা ,চচ্চড়ি, ছেচকি, পনির দিয়ে সুস্বাদু কোন রেসিপি, বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষ করে ছোট মাছ দিয়ে নানা পদের রেসিপি, এছাড়াও শুধু সেদ্ধ, সালাদ অথবা জুস করে খেতে পারেন। আপনি যেভাবে পালং শাক খান না কেন পালং শাক থেকে আপনি উপকারিতা পাবেন।

তবে অবশ্যই মনে রাখবেন পালং শাক অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এবং বেশি বেশি তেল ব্যবহার করে রান্না করলে এর স্বাস্থ্যগুণ ও পুষ্টি গুনাগুন অনেকটাই কমে যায়। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন পালং শাক ডালের সঙ্গে, পালং শাক স্টিম করে সামান্য লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন, পালং শাক দিয়ে স্মুথী তৈরি করে খেতে পারেন।
পালং শাক ভালো করে ধুয়ে হালকা সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সস আকারে তৈরি করে নুডলস ম্যাকারনি ইত্যাদি সঙ্গে মিক্স করে খেতে পারেন। এছাড়াও পালং শাক আপনি যেকোনো প্রকার সবজির সঙ্গে ব্যবহার করে খেতে পারেন। পালং শাক রান্না করার সময় আরো একটি বিষয় বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন সেটি হল পালং শাক ভালো করে ধুয়ে তারপর কাটবেন কখনোই কেটে ধবেন না।
পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে

পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানার পর এত গুণ সম্পন্ন ও স্বাস্থ্য উপকারী শাকের অর্থাৎ পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে তার সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা জরুরী। তাই চলুন পালং শাকিয়ে কোন ভিটামিন কি পরিমানে থাকে জেনে নেই-

ভিটামিন এর পরিমাণ,

  • ভিটামিন এ - ৪৬৯ μg
  • বিটা-ক্যারোটিন- ৫৬২৬ μg
  • লুটিন জিয়াক্সানথিন- ১২১৯৮ μg
  • ভিটামিন এ- ৯৪০০ IU
  • ফোলেট (বি৯)- ১৯৪ μg
  • ভিটামিন সি- ২৮ মিগ্রা
  • ভিটামিন ই- ২ মিগ্রা
  • ভিটামিন কে- ৪৮৩ μg

পালং শাকের জুসের উপকারিতা

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে এটা কি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম তবে অনেকেই আছে যারা পালং শাকের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। আমরা উপরুক্ত আলোচনা থেকে যে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম
এ সকল উপকারিতা মূলত আপনি পালন শাকের জুস খেলেই পাবেন অতিরিক্ত তেল বা তাপমাত্রায় ভেজে রান্না করলে মূলত আপনি উপরোক্ত উপকারিতা গুলো সঠিকভাবে পাবেন না কিন্তু আপনি যদি জুস করে খান তাহলে উপরোক্ত পালং শাকের উপকারিতা ছাড়াও আরো হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন কারণ এতে পুষ্টি উপাদানের কোন কমতি নেই।
পালং শাকের পুষ্টিগুণ

পালং শাকের পুষ্টিগুণ

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম তবে এত গুণসম্পন্ন স্বাস্থ্য উপকারী পালং শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের অবগত থাকা জরুরী। তাই চলুন পালং শাকের পুষ্টিগুণগুলো জেনে নেই বা পালং শাকে কি কি পুষ্টি উপাদান কি পরিমানে রয়েছে জেনে নেই-

প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাককে রয়েছে,

  • শক্তি- ৯৭ কিজু (২৩ kcal)
  • শর্করা- ৩.৬ গ্রাম
  • চিনি- ০.৪গ্রাম
  • খাদ্য আঁশ- ২.২গ্রাম
  • স্নেহ পদার্থ- ০.৪গ্রাম
  • প্রোটিন- ২.২গ্রাম
ভিটামিন এর পরিমাণ,

  • ভিটামিন এ - ৪৬৯ μg
  • বিটা-ক্যারোটিন- ৫৬২৬ μg
  • লুটিন জিয়াক্সানথিন- ১২১৯৮ μg
  • ভিটামিন এ- ৯৪০০ IU
  • ফোলেট (বি৯)- ১৯৪ μg
  • ভিটামিন সি- ২৮ মিগ্রা
  • ভিটামিন ই- ২ মিগ্রা
  • ভিটামিন কে- ৪৮৩ μg
খনিজ এর পরিমাণ,

  • ক্যালসিয়াম- ৯৯ মিগ্রা
  • লৌহ- ২.৭ মিগ্রা

পালং শাক কি প্রতিদিন খাওয়া উচিত?

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম তবে এতসব উপকারিতা পেতে হলে পালং শাক কি প্রতিদিন খাওয়া উচিত? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমাদের সকলেরই পালং শাক খাওয়ার পূর্বে জানার প্রয়োজন। অবশ্যই আপনি পালং শাক প্রতিদিন খেতে পারেন।

পালং শাক প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই সঠিক মাত্রায়, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে উপকারিতার তুলনায় অপকারিতায় বেশি হবে বা স্বাস্থ্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন হবে। এর জন্য একজন সুস্থ সকল ব্যক্তি প্রতিদিন অবশ্যই একবাটি পরিমাণে পালং শাক খেতে পারে এতে কোন প্রকার রোগে আক্রান্ত বিশেষ করে কিডনির বিভিন্ন সমস্যা, এলার্জি, গেঁটেবাত ইত্যাদি সমস্যা ভুক্তভোগী ব্যাক্তিদের পালং শাক খাওয়ার ক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা

উপরোক্ত আলোচনা থেকে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হয়েছি তবে আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে কিনা তার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। গর্ভবতী মহিলার জন্য পালং শাক অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

পালং শাক সবুজ সবজি যা অনেক বেশি স্বাস্থ্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত। পালং শাক ক্যান্সার প্রতিরোধক, চোখের স্বাস্থ্য উন্নতি, রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির মত সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে সাহায্য করে। অপরদিকে আপনি যদি একজন গর্ভবতী হন তাহলে শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত ও সঠিক বিকাশ ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা অত্যন্ত জরুরী।
যা আপনি বিভিন্ন ধরনের সবুজ বিশেষ করে পালং শাক থেকে পেতে পারেন এ পালং শাক একজন গর্ভবতী মহিলা শিশুর জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে,গর্ভ অবস্থায় মেজাজ খিটখিটে ভাব দূর, হাড় মজবুত ও দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্তচাপের স্থান নিয়ন্ত্রণে আনা, দৃষ্টি শক্তি উন্নত, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মত সমস্যা দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।

তবে অবশ্যই এই মাত্রা সঠিক রাখতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য পেট ফাঁপা ডায়রিয়া কিডনি পাথর ইত্যাদির মত সমস্যা ও হতে পারে এছাড়াও শারীরিক কোন বা গর্ভকালীন কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়েই মাংস খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ গর্ব অবস্থায় ডক্টরের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিদিন কতটুকু পালং শাক খাওয়া উচিত?

পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে এটাতে সম্পর্কে আমরা জানলাম তবে প্রতিদিন কতটুকু পালং শাক খাওয়া উচিত? বাকি পরিমাণে খেলে আমরা উপরোক্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা বা পালং শাকের হাজারো পুষ্টিগুন দ্বারা উপকৃত হব এবং স্বাস্থ্য কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।

প্রতিদিন একবাটি পরিমাণে পালং শাক খাওয়া যেতে পারে এতে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা স্বাস্থ্য ক্ষতিকারক কোন প্রভাব পড়ে না তবে বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে ডক্টরে দেওয়া পরিমাণ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। তবে একজন সুস্থ সবল ব্যক্তির প্রতিদিন একবাটি পরিমাণে পালং শাক খেতে পারে।

পালং শাক কাদের খাওয়া উচিত নয়?

উপরোক্ত আলোচনা থেকে পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম তবে পালং শাক কাদের খাওয়া উচিত নয়? অথবা কোন রোগে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা পালং শাক থেকে সম্পূর্ণরূপে বীর্য থাকবে চলুন জানি।

  • যাদের কিডনিতে পাথর আছে এমন ব্যক্তিদের পালং শাক না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, বেশি করে পালংশাক খেলে শরীরে বেশি অক্সালিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি সিস্টেম থেকে অপসারণ করা আমাদের শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন জমা হয়।
  • পালং শাক হল হাই হিস্টামিন শাক যদি আপনার এলার্জির মতো সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে কিন্তু পালং শাক আপনাকে চিন্তাভাবনা করে খাওয়া উচিত।
  • জয়েন্ট এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের পালং শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এতে থাকা অক্সালিক এসিড এবং পিউলিক যৌগ একসঙ্গে মিলে ঘাটের বা জয়েন্টের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা প্রদাহ বাড়ি দিতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তির রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ চলছে সে সকল ব্যাক্তি পালংশা খাওয়া থেকে বিরত থাকায় ভালো কারণ পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাধা প্রক্রিয়াকে প্রবাহিত করতে পারে।

লেখকের মন্তব্য-পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের পালং শাকের কার্যকারী ৪১টি উপকারিতা ও অপকারিতা, পালং শাকে কি এলার্জি আছে ইত্যাদি ছাড়াও পালং শাক সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url