তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি। এছাড়াও তেতুলের বিচি সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ছাড়াও তেতুলের বিচি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও তেতুলের বিচির সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্যই রাইট বাটন ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে তেতুলের বিচি সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক, কবিরাজি ও এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী তেতুলের বিচি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
তেতুলের বিচি ছাড়াও তেতুলের সম্পূর্ণ গাছটি পুষ্টিগুনে ভরপুর যেমন ধরুন এর পাতা, গাছের ছাল, তেতুল ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন ধরুন ক্যান্সার প্রতিরোধ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হার্ট সুস্থ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর, ডায়রিয়া প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, চোখ সুস্থ পেপটিক আলসার রোদ,

চুলো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর, গলা ব্যথা স্নায়বিক বিভিন্ন সমস্যা দূর, লিভার সুরক্ষা ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যার কারণে আজ আমি আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করছি না গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে, তেতুলের বিচি খাওয়া নিয়ম,

তেতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম, তেতুল বীজ চূর্ণ দাম, তেঁতুল বিচির পুষ্টি উপাদান ইতালি ছাড়া ও তেতুলের বিচি সম্পর্কে এমনি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ছাড়াও লেখা তেতুলের বিচি সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আজ আমি আপনাদের মাঝে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তেতুলের বিচির স্বাস্থ্য উপকারিতা বিভিন্ন চিকিৎসা শাস্ত্র ও বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে তেঁতুলের বিচি শুক্রগাঢ় কারক, বৃষ্য, বায়ু নাশক, শরীরের দূর্বলতা দূর করে, দ্রুত বীর্যপাত রোধ ইত্যাদির মত হাজারো রোগের ঔষধ তৈরিতে তেঁতুলের বিচি ব্যবহার করা হয়।

ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্র মতে সংকোচক, মোগাল্লেজ, স্তম্ভক, স্বপ্নদোষ নাশক,বলকারক, শরীরের দূর্বলতা দূর করে, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে, যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে ও মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন ইত্যাদি রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও হোমিওপ্যাথি ও এলো এলোপ্যাথি শাস্ত্রে ঔষধের কাঁচামাল হিসেবে
ব্যবহার করা হয় তেতুলের বিচি। এটি এত বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন শাস্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হওয়ার কারণ হলো এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারী গুনাগুন যেমন- প্রোটিন, শর্করা, ফাইবার, ফ্যাট, নিয়াসিন, ফোলেট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। তাই চলুন দেরি না করে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই।
তেতুলের বিচির উপকারিতা

তেতুলের বিচির উপকারিতা

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা তেঁতুলের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে জানব। তেতুলের বিচি এত বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর যে তেতুলের বিচি দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি ইত্যাদি আরো বিভিন্ন চিকিৎসা শাস্ত্রে ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে তেতুলের বিচির উপকারিতা গুলো জেনে নিন-

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার: তেতুলের বিচি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথি ও অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ত্বক সুস্থ: বিভিন্ন গবেষণা এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তেতুলের বিচি ত্বকের ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে ত্বকে সুস্থ ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক উজ্জ্বল: তেতুলের বিচিতে উপস্থিত হাইড্রো অক্সাইড এসিড ত্বকের এক্সপ্লোরেশন কমাতে সাহায্য করেন যার ফলে ত্বকের মৃত কোষগুলো উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর: তেঁতুলের বিচির পাউডার তৈরি করে সামান্য মধু ও দুধের সর ব্যবহার করে ত্বকে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা দূর হয় এবং ব্রণের কালো দাগের সমস্যা দূর হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে তেতুলের বিচির উপকারিতা হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এর জুড়ি মেলা ভার। উপস্থিত এক ধরনের এনজাইম আলফা অ্যামাইলেজ(alpha-amylase) রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর ও ইনসুলিন বৃদ্ধি করে।

পেপটিক আলসার: তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে তেতুলের বিচির অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে রোধ করা। গবেষণা এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তেতুলের বিচি পেপটিক আলসার কমাতে অনেক ভালো কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তেতুলের বিচিতে উপস্থিত পলিফিলিক কমপাউন্ড আলসার সাজিয়ে তুলতে এবং পেটে বিভিন্ন ধরনের বেদনাশক ঘা এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে আপনি তেতুলের বিচির গুড়া এর সাহায্য নিতে পারেন। তেতুলের বিচিতে উপস্থিত টারটারিক অ্যাসিড, পটাসিয়াম এবং ম্যালিক অ্যাসিড ইত্যাদি উপাদান গুলো কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে দুর্দান্ত কাজ করে।

ইমিউনিটি বিধি: নিয়মিত তেতুল বিচির পাউডার খেয়ে শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

দ্রুত বীর্যপাত রোধ: তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে আরেকটি অন্যতম উপকারিতা হল দ্রুত বিজ্রপাত রোদ। দ্রুত বীর্যপাত রোধ বিশেষ ভূমিকা রাখে তেঁতুল বিচির পাউডার এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে

শুক্রাণু বৃদ্ধি: শুক্রানু উৎপাদন এবং শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে তেঁতুল বিচির পাউডার।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: তেতুলের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

লিভার সুস্থ রাখতে: এটি প্রমাণিত হয়েছে যে লিভার সুরক্ষিত রাখতে তেঁতুল বিচির পাউডারের ভূমিকা অনেক বেশি। এছাড়াও যারা অতিরিক্ত মধ্য পান করেন ফলে লিভার অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা যদি নিয়মিত তেতুল পাতার রস খান তাহলে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত লিভারের চিকিৎসা অনেকটাই সহজ হয়ে আসে এবং লিভারকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে।

জরায়ুর সমস্যা দূর: মহিলাদের জরায়ু শক্তি বর্ধন করতে এবং জরায়ু ইনফেকশন রোধ করতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

ছবি আঁকতে: গরম পানিতে তেতুলের বিচি ভিজিয়ে তৈরি আঠা তৈরি করে ছবি আঁকার কাজে।

জল রং: জলরঙের ছবি আঁকা সময় তেতুল বিচির রং ব্যবহার করা হয়।

উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস: আমরা জানলাম তেতুল বিচি আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলর এর মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এছাড়াও এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম উপাদান আর আমরা জানি পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় কতটা উপকারী। এর জন্য উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনার খাদ্য তালিকায় তেতুল বিচির পাউডার যুক্ত করতে পারেন।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে: তেতুলে বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি যা আমাদের শরীর থেকে বিশেষ করে ব্রেনের টক্সিন বের করে দিতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে ফলে মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশ ঘটে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: তেতুলের বিচিতে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম থাকায় এটি আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টের মাত্রা বৃদ্ধি করে যার কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বমি ভাব দূর করতে: অতিরিক্ত এসিডিটি কারণে বা গর্ভাবস্থায় বমি ভাব দূর করার জন্য তেতুলের বিচি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

স্বপ্নদোষ রোধ: স্বপ্নদোষ রোধে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে আর একটু অন্যতম উপকারিতা। তেতুল ভিজে যে সকল প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান গুলো রয়েছে তা একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফলে নিয়মিত একজন পুরুষ তেতুল বিচের গুড়ার খেলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ এর মত সমস্যা রোধ করতে সক্ষম হবে।

মশার কয়েল তৈরিতে: মশার কয়েল তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেতুল বিচির পাউডার।

কাপড়ে রং করতে: বিভিন্ন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে তেতুলের বিচির পাউডার কাপড়ের রং করতে ব্যবহার করা হয়।

গল ব্লাডার: গল ব্লাডার এর সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তেতুলের বিচি

রুচি বৃদ্ধি: মুখের রুচি বাড়াতে তেতুলের বীজ দারুন ভাবে কাজ করে।

যৌন শক্তি বৃদ্ধি: গবেষণা এবং মেডিকেল সাইন্সে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তেতুলের বিচি নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন শক্তি বৃদ্ধি বা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর একটি ঔষধ।

মহিলাদের ডিম্বাণু উৎপাদন: মহিলাদের শরীরে সীমাবদ্ধ ডিম্বাণুর উৎপাদনে বাড়াতে ও অনেক কার্যকার ভূমিকা রাখে তেতুলের বীজ।

মাসিক জনিত সমস্যা: মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক সহ মাসিক জনিত আরো বিভিন্ন জটিলতার জন্য শ্রেষ্ঠ ঔষধ হিসেবে গণ্য করা হয় তেতুলের বীজ।

পাকস্থলীর গোলযোগ দূর: পাকস্থলীর গোলযোগ দূর করতে সক্ষম তেঁতুলের বিচিতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, টার্টারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ইত্যাদি উপাদান। আর এই সকল উপাদান আমাদের পাকস্থলীর হজম ক্রিয়া বা পাকস্থলীর পাচন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পাকস্থলী সুস্থ রাখে।

দাঁতের যত্নে: দাঁতের যত্নে তেতুলের বীজ অসাধারণ। তেতুলের বীজ দাঁতের গোড়া শক্ত করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ ও দারুন ভাবে কাজ করে।

গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মাথা ঘোরা, মর্নিং সিকনেস দূর, বমি ভাব দূর করতে তেতুলের বিচি সক্ষম। তবে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে খাবেন

চুল মজবুত: তেতুলের বিচির পাউডার দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য শুধুমাত্র চুলের তেতুলের বিচি গুঁড়ো করে পাউডার তৈরি করে এর ভেতরে এলোভেরা জেল, লেবু রস ও সামান্য টক দই মিশে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে। এটি আপনার চুলের ত্বকে শিবামের উৎপাদন করে চুলকে মজবুত এবং চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে এছাড়াও এটি চুলের খুকশি, চুলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ উকুন ও চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

চোখ সুস্থ রাখতে: চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে চোখে ছানি পড়া বা চোখের শুষ্ক ভাব বা পানি পড়া দূর করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছে তেঁতুল বীজের ড্রপ প্রতিদিন চোখে চার থেকে পাঁচ বার ব্যবহার করলে যে সকল ব্যক্তির চোখে পানি কম থাকে তাদের চোখের উন্নতি ঘটে এবং বয়স্ক ব্যাক্তিদের চোখ দিয়ে পানি ঝরা বা ছানি পড়া এবং চোখ শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে সক্ষম।

শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে: পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে এটি বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসকদের দ্বারা প্রমাণিত। তেতুল বিচিতে যে সকল প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে তা পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে তেতুলের বিচির হাজারো উপকারিতার মধ্যে উপরোক্ত তেঁতুলের বিচির উপকারিতা গুলো জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। যেহেতু তেতুলের বিচি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও ঔষধে কোন সম্পূর্ণ একটি ফল যার কারণে এর উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয়।
তেতুলের বিচির অপকারিতা

তেতুলের বিচির অপকারিতা

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে আমরা তেঁতুলের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা তেতুলের বিচির অপকারিতা সম্পর্কে জানব। তেতুলের বিচির সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য যেমন এটি সঠিক পরিমাণে ও সঠিক নিয়মে খাওয়ার জরুরী তেমনি অত্যাধিক পরিমাণে বা মাত্র অতিরিক্ত খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা নিম্নে আপনাদের মাঝে তেতুলের বিচির অপকারিতা মধ্য দিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরলাম-

  • অতিরিক্ত পরিমাণে বা এন্টি প্ল্যাটিলেট ড্র্যাগ ,ওইস্পিরিন ইত্যাদি ঔষধ যদি খান এমন অবস্থায় তেতুলের বিচি পাউডার /চূর্ণ পাশাপাশি খেলে আপনার শরীরে রক্তপাত বৃদ্ধি হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেঁতুলের বিচির পাউডার বা চূর্ণ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুসারে সঠিক মাত্রায় তেতুলের বিচির পাউডার খাবেন।
  • মাত্রা অতিরিক্ত তেতুলের বিচি খেলে আপনার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে হাইপোগ্লেসিমিয়াতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।
  • তেতুলের বিচি যেহেতু বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড রয়েছে যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিটি জনিত সমস্যা বাড়তে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তি অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই অতিরিক্ত তেতুলের বিচির পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এটি অ্যালার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তি রক্তনালীর সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ার রোগ বা ভাসোকনস্ট্রিকশনের সমস্যায় ভুগছেন তারা সম্পূর্ণরূপে তেতুলের বিচির পাউডার বা তেতুল খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
  • আমরা পূর্বে জেনেছি তেঁতুলের বিচি আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ভূমিকা রাখে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন অনেক বেশি কমে যাবে।
  • যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে অথবা তেতুলের বিচির পাউডার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে তেতুলের বিচি খেলে অনেক সময় দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় বিশেষ করে দাঁতের এনামেল নষ্ট, দাঁতের ক্ষয় এর মত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • যে সকল মহিলারা বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তারা তেতুলের বিচি পাউডার বা চূর্ণ খাওয়া থেকে বিশেষ বিরত থাকায় শ্রেয় অথবা চিকিৎসার পরামর্শ নিয়ে খাওয়া ভালো।
  • না জেনে মাত্রা অতিরিক্ত তেতুলের বিচির পাউডার খেলে পিত্তথলির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • জন্ডিসের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে তেতুলের বিচির পাউডার খেলে।
  • তেতুলে বীজ চূর্ণ বিভিন্ন ধরনের এসিড রয়েছে ফলে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে তেঁতুল খান তাহলে আপনার শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়
  • এছাড়া বাজারে অনেক প্যাকেট যার তেতুলে বীজ চূর্ণ পাওয়া যায় যা বিভিন্ন সময় ধরে প্যাকেট বন্ধ থাকে আবার অনেক সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকে যার কারণে অবশ্যই বাজারের প্যাকেট তেতুলে বীজ চূর্ণ খাওয়ার পূর্বে বিশেষ সতর্ক অবলম্বন করবেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন তেতুলের বিচি সম্পর্কে শুধুমাত্র তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে তেতুলের বিচি সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে
  • তেতুলের বিচি খাওয়া নিয়ম
  • তেতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম
  • তেতুল বীজ চূর্ণ দাম
  • তেঁতুল বিচির পুষ্টি উপাদান
গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা জানলাম তবে গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে যদিও খাওয়া যায় তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটুক নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় তেতুল কিংবা তেতুলের বিচির চূর্ণ খাওয়ার সম্পূর্ণ নিরাপদ তবে এটি গর্ভাবস্থার পরিস্থিতি এবং সঠিক মাথার ওপর নির্ভর করে নিরাপদ কিনা বিবেচনা করা হয়।
তেঁতুলের বিচি বা তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর শর্করা এন্টি মাইক্রোবায়াল ও আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর এ সকল পুষ্টি উপাদান একজন গর্ভবতী মহিলার ঔষধি দিক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে বিশেষ করে ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস,

হাত-পা ব্যথা ও প্রদাহ কিংবা জ্বালাপোড়া প্রতিহত, শরীরের ফোলা ভাব দূর, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন গবেষণা এবং চিকিৎসকের মতে প্রথম তিন মাসে তেতুল অতিরিক্ত পরিমাণে বা তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়ে থাকে কারণ তেতুল দেহের আইবুপ্রোফেন শোষনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ফলে

তৃতীয় মাসে তেতুল খেলে আইবুপ্রোফেন সম্ভাব্যভাব শিশুর হার্ট প্যাসেজ স্থায়ীভাবে বাধার কারণ হতে পারে। এছাড়াও রক্ত পাতলা করে দিতে পারে শিশু সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যহীনতা দেখাতে পারে আপনার রক্তচাপের ক্ষতি হতে পারে এছাড়াও আপনার
গর্ভ অবস্থায় যদি ফ্লুরোসিস হয় তাহলে কাচা তরল বা পাতলা তেতুল ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। এর জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে বিশেষ সতর্ক হিসেবে তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকা এবং অন্যান্য সময় সঠিক মাত্রায় তেতুল খাবেন এছাড়াও অবশ্যই পরামর্শ নিয়ে তেঁতুল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তেতুলের বিচি খাওয়া নিয়ম

তেতুলের বিচি খাওয়া নিয়ম

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানলাম। তবে তেতুলের বিচি খাওয়া নিয়ম বা কিভাবে খেলে বা কোন নিয়মে খেলে তেঁতুলের বিচি দিয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি পাবো তা আপনাদের জানানোর জন্য নিম্নে তুলে ধরলাম তবে যেহেতু সকল রোগের তেতুলের বিচি খাওয়ার পদ্ধতি বা নিয়ম একরকম নয় যার কারণে আপনি কোন বিশেষ রোগের সমাধানে তেতুলের বিচির পাউডার খেতে চাইলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

  • রাত্রে হাফ গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন চামচ তেতুল বিচির পাউডার পানিতে ভালো করে মিশিয়ে রেখে দিন এরপর সকালে এসে ভেজানো তেতুলের বিচি একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে শুধুমাত্র পানি খাবেন। আপনার ইচ্ছা অনুসারে এর ভেতরে এক চা চামচ মধু, হালকা উষ্ণ গরম হাফ গ্লাস পানি ভালো করে মিশে খেয়ে নিন।
  • রাতে এক চামচ পাউডার আধা গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। একইভাবে সকালে ভিজিয়ে রেখে রাতের বেলা খাবেন এছাড়া আপনার নির্দিষ্ট কোনো সমস্যার সমাধানে তেতুলের বিচির গুঁড়ো খেতে চাইলে ডক্টরের পরামর্শ নিয়েই খাবেন।
  • এছাড়া শুধুমাত্র পাউডার খেতে পারেন। এর জন্য এক চামচ তেতুল বিচির পাউডার খেয়ের এক গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন।
  • তেতুল বিচির পাউডার দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এতে সামান্য মধু মিশেও খেতে পারেন।
  • তেতুলের বিচির পাউডার ডক্টরদের মতে ৩ থেকে ৭ গ্রামের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এতে উপকারিতা তুলনায় অপকারিতায় বেশি হবে।
তেতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম

তেতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম

উপরোক্ত আলোচনা থেকে তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা জানলাম তবে তেতুলের বিচির এত উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পর আপনি যদি বাড়িতে ঘরোয়াভাবে তেতুলের বিচি চূর্ণ তৈরি করতে চান তাহলে তেতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম চলুন জেনে নেই।

  • প্রথমে পাকা তেতুল থেকে বিচি আলাদা করে নেব। এবার ভালো করে বিচিগুলো ধুয়ে টানা রোদে তিন থেকে চার দিন ভালো করে শুকিয়ে নেব।
  • বিচিগুলো ভালো করে শুকিয়ে আসলে তেঁতুলের বিচি থেকে উপরে চামড়া তুলে আবারো তিন থেকে চার দিন টানা রোদে শুকিয়ে নেব। মূলত তেতুলের ভেতরে সাদা অংশটুকু পাউডার করে খাওয়া হয়।
  • ভালো করে তেঁতুলের বিচির সাদা অংশ শুকিয়ে নেওয়ার পর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পাউডার আকারে তৈরি করে নেব। এভাবেই খুব সহজেই ঘরোয়াভাবে তৈরি হয়ে যাবে ভেষজ ও হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর তেতুল বীজের পাউডার বা চূর্ণ।

তেতুল বীজ চূর্ণ দাম

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি জানার পর আপনি যদি তেতুলের বিচি খেতে চান কিন্তু ঘরোয়া ভাবে তৈরির ঝামেলা করতে চান না তাহলে আপনি বাজারে কিংবা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপে তেঁতুলের বিচির জন্য ক্রয় করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার সঠিক তেতুল বীজ চূর্ণ দাম সম্পর্কে জানা জরুরী।
বিভিন্ন শপে কিংবা অনলাইন প্লাটফর্মে পতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলের বিচির পাউডারের মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা হয়ে থাকে। তবে আপনি অরজিনাল তেতুলের বিচি পাউডার ক্রয় করতে চান তাহলে সরাসরি গিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান হতে কিনতে পারেন এতে ২৫০ গ্রাম এর মূল্য ২০০ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে।

তেঁতুল বিচির পুষ্টি উপাদান

তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি জানার পর এত গুণসম্পূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারী ফলের বিচির অর্থাৎ তেঁতুল বিচির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। তেতুলে খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর বাদে সব ফলের চেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি তাহলে এর বিচি অর্থাৎ তেঁতুল বিচির পুষ্টি উপাদান কত বেশি হবে তাই চলুন নিম্ন থেকে জেনে নিন-

১০০ গ্রাম তেতুলের বিচিতে রয়েছে,

  • শক্তি- ২৩৯ kcal (১,০০০ কিজু)
  • শর্করা- ৬২.৫ গ্রাম
  • চিনি- ৫৭.৪ গ্রাম
  • খাদ্য আঁশ- ৫.১ গ্রাম
  • স্নেহ পদার্থ- ০.৬ গ্রাম
  • সুসিক্ত স্নেহ পদার্থ- ০.২৭২ গ্রাম
  • এককঅসুসিক্ত- ০.১৮১ গ্রাম
  • বহুঅসুসিক্ত- ০.০৫৯ গ্রাম
  • প্রোটিন- ২.৮ গ্রাম
  • ট্রিপ্টোফ্যান- ০.০১৮ গ্রাম
  • লাইসিন- ০.১৩৯ গ্রাম
  • মেথাইনিন- ০.০১৪ গ্রাম
ভিটামিন এর পরিমাণ রয়েছে,

  • ভিটামিন এ - ২ μg
  • ভিটামিন এ- ৩০ IU
  • থায়ামিন (বি১)- ০.৪২৮ মিগ্রা
  • রিবোফ্লাভিন (বি২)- ০.১৫২ মিগ্রা
  • নায়াসিন (বি৩)- ১.৯৩৮ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক এর পরিমাণ রয়েছে,

  • অ্যাসিড (বি৫)- ০.১৪৩ মিগ্রা
  • ভিটামিন বি৬- ০.০৬৬ মিগ্রা
  • ফোলেট (বি৯)- ১৪ μg
  • কোলিন- ৮.৬ মিগ্রা
  • ভিটামিন সি- ৩.৫ মিগ্রা
  • ভিটামিন ই- ০.১ মিগ্রা
  • ভিটামিন কে- ২.৮ μg
খনিজ এর পরিমাণ রয়েছে,

  • ক্যালসিয়াম- ৭৪ মিগ্রা
  • কপার- ০.৮৬ মিগ্রা
  • লৌহ- ২.৮ মিগ্রা
  • ম্যাগনেসিয়াম- ৯২ মিগ্রা
  • ফসফরাস- ১১৩ মিগ্রা
  • পটাশিয়াম- ৬২৮ মিগ্রা
  • সেলেনিয়াম- ১.৩ μg
  • সোডিয়াম- ২৮ মিগ্রা
  • জিংক- ০.১ মিগ্রা
  • পানি- ৩১.৪০ গ্রাম

লেখক এর মন্তব্য-তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের তেতুলের বিচির কার্যকরী ৪৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে ইত্যাদি ছাড়াও তেতুলের বিচি সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url