বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা -
বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি। এছাড়াও বিটরুট সম্পর্কে
আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও বিটরুট সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা
রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ
জানতে পারবেন এছাড়াও বিটরুট এর সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা- বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
আজ আমি আপনাদের সাথে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
শেয়ার করতে যাচ্ছি। বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি, এই পোস্ট থেকে বিটরুট
সম্পর্কে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র ও ডাক্তারদের মত অনুযায়ী সঠিক ও
প্রাসঙ্গিক তথ্য জানতে পারবেন।
বিটরুট শুধু রূপচর্চার জন্যই নয়, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ।
বিটরুট আমাদের স্বাস্থ্যকেও বিভিন্নভাবে উপকারিতা প্রদান করে, যেমন ডায়াবেটিস,
ক্যান্সার, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ, দাঁতের সমস্যা, জয়েন্টের সমস্যা, ইনফেকশন, ওজন
নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে। এছাড়া, বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট খাওয়ার
নিয়ম, বিটরুট এর অপকারিতা/বিটরুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক,
প্রতিদিন কতটুকু বিট খাওয়া উচিত?, বিটরুটের জুস কখন খাওয়া উচিত?, বিটরুট পাউডার
এর দাম কত, বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায়, গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার
উপকারিতা এবং বিটরুট এর পুষ্টিগুণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ুন। আমি চেষ্টা করব প্রতিটি বিষয় সহজভাবে উপস্থাপন করতে, যাতে এটি
আপনার জন্য বেশি উপকারী হয়।
বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
আজ আমরা পরিচিত বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে
আলোচনা করব। বিটরুট, যা আমরা সাধারণত বিট বলে জানি, এর বৈজ্ঞানিক নাম হল বিটা
ভালগারিস (Beta vulgaris)। এটি সাধারণত সালাদ, সবজি, এবং খাবারের রঙ বাড়ানোর জন্য
ব্যবহৃত হয়।
সম্প্রতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে বিটরুট আমাদের বিভিন্ন শারীরিক
সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এখন আমরা বিটরুট পাউডার এর ২০টি
উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানব।
বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা
আজ আমি আপনাদের সাথে বিটরুট পাউডারের আশ্চর্যজনক ২০টি উপকারিতা নিয়ে আলোচনা
করবো। রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিটরুটের ব্যবহার বহুল প্রচলিত, কিন্তু এর স্বাস্থ্য
উপকারিতা অনেক রয়েছে তাই প্রথমে চলুন বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে
নেই।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার কার্যকরী ৩৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে বিটরুটকে একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন উৎকৃষ্ট গাছ হিসেবে
বিবেচনা করা হয়। তাই চলুন, বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা মধ্য থেকে বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা গুলো নিম্নে এমনি বিস্তারিত আলোচনা
থেকে জেনে নেই-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: বেশ কিছু মানুষের মনের ভেতরে এ ধারণা রয়েছে যে
বিটরুট একটি মিষ্টি জাতীয় সবজি তাই ডায়াবেটিস পেশেন্টের বিটরুট খাওয়া উচিত কি
না। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর দিক থেকে আমরা যদি বিবেচনা করি তাহলে বিটরুটের
গ্লাইসিমিক ইন্ডিক হলো ৬৬ যার কারণে বিটরুট ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিরাপদ নাও হতে
পারে।
কিন্তু ১০০ গ্রাম পাউডারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে মাত্র ৮ গ্রাম। বিটরুটে
কার্বোহাইড্রের পরিমাণ কম থাকায় গ্লাইসেমিক লোডের মাত্র ৫ রয়েছে তাই একজন
ডায়াবেটিস পেশেন্ট বিটরুট কিন্তু অবশ্যই খেতে পারেন।
হাড় মজবুত: বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
এরমধ্যে বিদ্যুতের অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে হাড় মজবুত করা। বিটুতে উপস্থিত রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম কপার এবং ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি যা আমাদের হারকে
মজবুত রাখতে সাহায্য করে ফলে বৃদ্ধ বয়সে আর্থারাইটিস এর মত সমস্যা থেকে দূরে
থাকা সম্ভব হয়।
গর্ভাবস্থায়: গর্ভবস্থায় বিট খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে কারণ ২৭
ভাগ ফলিক এসিড রয়েছে মাত্র ১০০ গ্রাম বিটরুটে আর এই ফলে কিসির গর্ভাবস্থায়
গর্ভবতী মহিলার গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্মকালীন বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি কমাতে সাহায্য
করে।
টাইপ টু
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
বেশ কিছু গবেষণায় এটি জানা গিয়েছে যে বিটরুটে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে
ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ফলে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকায় বিটরুট সালাদ
হিসেবে এবং খুবই অল্প পরিমাণে পাউডার দিয়ে তৈরি জুস খেতে পারে।
তাহলে তাই টাইপ টু ডায়াবেটিক্স রোগীদের ইনসুলিন সেনসিটিভিটি এর মত সমস্যা থেকে
সমাধান পেতে পারেন তার সাথে সে পেশেন্টের বিপি ব্লাড সুগার বা পোস্ট প্ল্যাডিয়াল
বা খাবার খাওয়ার পরে যে সমস্ত ডায়াবেটিস পেশেন্টের হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রা
বেড়ে যায় সে সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে আস্তে দেখা যায়।
প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা এরমধ্যে বিদ্যুতের অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা। বিটরুট
এ উপস্থিত নাইট্রেট আমাদের শরীরের রক্তনালীর বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য
করে এছাড়াও এতে উপস্থিত বেটালাইনস যা এক ধরনের পিগমেন্ট এটিও শরীরের বিভিন্ন
প্রদাহ এবং রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
চোখ সুস্থ: বিটরুট চোখের স্বাস্থ্য উন্নত ও চোখের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি
কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিটরুটে রয়েছে লুটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
উদ্ভিদ উৎপাদিত ফাইটোকেমিক্যাল যা বাঁশখালী চোখের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি, চোখের
চারিদিকের স্নায়ু টিস্যুগুলির শক্তি ছাড়াও চোখের সুস্থতা বৃদ্ধি করে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: বিটরুট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি
নাইট্রিট যা আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করার পরে নাইট্রাইট অক্সাইড এর
রূপান্তরিত হয় আর এটি আমাদের শরীরে ভেসোর ডাইলেটর হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ
নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন এর যে সমস্ত আটারিগুলো রয়েছে বা
ব্লাড ভেসেলগুলি রয়েছে,
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
সেগুলোকে প্রসারিত করে রাখে বা ডায়ালেট করে রাখে। আর যখন এগুলো প্রসারিত
অবস্থায় থাকে তখন ব্লাড সার্কুলেশনে কোন বাধা সৃষ্টি হয় না এবং ব্লাড প্রেসার
থাকে নিয়ন্ত্রণে। ফলে আপনি যদি একজন হাইপার টেনশনের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় বিটরুট যুক্ত করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: বিটরুট উপস্থিত রয়েছে উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার যা
আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যার থেকে প্রতিরোধ
তৈরি করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বিটরুটে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর
উপাদান আমাদের অন্তরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ইনফ্লামেটরি ডিজিজ: বিটরুটের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের পিকলেন্ট রয়েছে যার
নাম হলো বিটালেন যার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন
প্রকারের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ এর হাত থেকে সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে।
ফলে আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় বিটরুট যুক্ত করতে পারেন তাহলে এটি আপনার
শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অর্থাৎ ইনফ্লামেটরি ডিজিজ বলতে
ডায়াবেটিকস, আর্থারাইটিস, ক্যান্সার, হার্ট ডিজিজ, লিভার ডিজিজ এ সমস্ত সমস্যা
থেকেও দূরে থাকতে পারবেন।
রক্তস্বল্পতা দূর: বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা এরমধ্যে বিদ্যুতের অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে রক্তস্বল্পতা দূর করা।বিটরুটে
উপস্থিত রয়েছে অত্যাধিক মাত্রায় আয়রন যা আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ
বৃদ্ধি করে রক্তস্বল্পতার মত মারাত্মক রোগের ঝুঁকিপূর্ণতা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: বিটুতে থাকা বিটেইন এবং উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার
যকৃতের চর্বি বা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে ফলে খুব সহজে শরীরের বিভিন্ন ধরনের
টক্সিন ডিটক্সিফাই হয় এছাড়াও ফাইবার আমাদের অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ রাখে
ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে ওঠে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: ১০০ গ্রাম বিট রুটের মধ্যে ফাইবার থাকে ৩ গ্রামের মতো
যা যথেষ্ট বেশি। ফাইবার আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য
করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এর সাথে এই ফাইবার আমাদের শরীরে প্রি-বায়োটিক হিসেবে
কাজ করে অর্থাৎ আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর মধ্যে যে সমস্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া
গুলো রয়েছে
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার ১৭ টি নিয়ম
সেগুলো বিট রুটের মধ্যে থাকা ফাইবারকে খেয়ে জীবনধারণ করে। ফলে সবে মিলেমিশে
বিটরুট আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এবং আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে ঠিকঠাকভাবে
ফাংশানিং করার জন্য যথেষ্ট সহায়হোক। ফলে আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকা নিয়মিত
বিটরুট যুক্ত করতে পারেন তাহলে আপনার আইবিএস বা এরেটেবল বাউল সিনড্রোম,
ডাইভেটোলাইসিস এর মত সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
ব্যায়ামে সহযোগিতা: খেলাধুলা কিংবা ব্যায়ামের সময় বিট রুট এর পাউডার
দিয়ে তৈরি পানীয় পান করলে এটি ব্যায়াম করার সময় ক্লান্তি ভাব দূর করে
ব্যায়াম করার প্রতি আগ্রহ করে তুলে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে।
বার্ধক্য দূর: বিটরুট এ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের
ত্বকের মৃত কোষকে দূর করে নতুন সজ্জীবিত কোষ তৈরি করে, সেগুলোকে রক্ষা করে এবং
নতুন কোষ উৎপাদনের পরিমাণও বাড়ি দেয় ফলে নিয়মিত যদি আপনি বিটরুটের রস ত্বকে
ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি আপনার ত্বকে বয়সের পূর্বে বয়সের ছাপ পড়া ভাব বা
বার্ধক্যতা দূর করবে এছাড়াও এর সাথে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালচে ভাব দূর করতেও
সাহায্য করবে।
ব্রেনের ফাংশন উন্নত: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষের মেন্টাল
এবং কগনেটিভ ফাংশন কম হতে শুরু করে তার ফলে ডিমেনশিয়া, নিউরোডিজেনারেটিভ এর মত
সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেহেতু ডাইটারি নাইট্রেট রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ
করে নাইট্রিক অক্সাইডের রূপান্তরিত হয় বিধায় সেটি আমাদের শরীরে ভেসো ডায়লেটর
হিসেবে কাজ করে এবং ব্লাড সার্কুলেশন এর আটারি গুলোকে এবং ভেসেলগুলোকে প্রসারিত
করে রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে টক দই ব্যবহারের ২২ টি নিয়ম
এটি যেমন আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের ব্লাড সার্কুলেশনের জন্য উপযোগী তেমনি আমাদের
ব্রেনের ব্লাড সার্কুলেশন এর জন্য যে সমস্ত ব্লাড ভেসেলগুলো রয়েছে সেগুলো
প্রসারিত করতেও সাহায্য করে এবং আমাদের ব্রেনের মধ্যে অক্সিজেনেটেড ব্লাড ঠিকঠাক
ভাবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে, সময় মতো যেন পৌঁছায় ও ব্রেনের ফাংশনিংকে ঠিকঠাক রাখতে
সাহায্য করে।
চুলের যত্নে:
আপনি যদি বিটরুট এর রস চুলের স্ক্যাল্পের ব্যবহার করেন তাহলে বিটরুটে উপস্থিত
পটাশিয়াম আমাদের নতুন চুল গজাতে চুলের জিল্লা ফিরিয়ে আনতে এবং অতিরিক্ত চুল ঝরে
পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে এছাড়াও আপনি বিটরুটের রং দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে চুল
কালার করতে পারেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: বিটরুট এ যে সকল পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে
সেগুলো ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতা, তৈলাক্ততা,
চোখের নিচের কালচে ভাব জনিত ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এটি সানবার্নের, ঠোঁটের কালকে ভাব, ব্রণ, ব্রণের দাগ ইত্যাদি
ব্যাকটেরিয়াল বা জীবনযুক্ত ত্বকের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে বিটরুট এ
উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: বিটরুটের মধ্যে রয়েছে বিটেন(Betaine), ফেলিউলিক
অ্যাসিড(Ferulic Acid), ক্যাফেরল(Kaempferol) রিওটিন(Rutin) এবং ক্যাফেক
এসিডের(Affeeic aacid) এর মত ক্যান্সার ফাইটিং প্রোপার্টি যেটি আমাদের শরীরে
ক্যান্সার এর ঝুঁকি ও অনেকখানি কম করতে সাহায্য করে।
লিভার সুস্থ: বিটরুট আমাদের লিভার এনজাইম এর অ্যাক্টিভিটি এবং বাইলস
সিক্রেশন এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেটি লিভার ডিটক্স ফাংসেনিংকে ভালো
করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিটরুটের মধ্যে যে বিটালেন রয়েছে সেটি আমাদের লিভার
কে বিভিন্ন প্রকারের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দূরে রাখতে
সাহায্য করে এবং লিভারের সেলগুলোকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
সবাই মিলে মিশে বিটরুটের জুস লিভার কে সুস্থ রাখতে এবং লিভারের বিবর্ধনের সমস্যা
সমাধানের একটি মহা ওষুধ হিসেবে ধরা হয়।
আশা করি উপরুক্ত আলোচনার থেকে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা এর মধ্যে বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত
হয়েছেন।
বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
উপরের আলোচনায় আমরা বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা এর
মধ্য থেকেবি টরুট পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন চলুন, বিটরুট
দিয়ে কীভাবে রূপচর্চা করা যায় অর্থাৎ বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, তা জেনে নিই।
বিটরুট দিয়ে রূপচর্চার উপায়:
প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক: বিটরুট পাউডার দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা: বিটরুট পাউডার ব্যবহার করে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে
ত্বক আর্দ্র রাখা যায়।
ফেসপ্যাক: বিটরুট পাউডার দিয়ে প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়, যা ত্বক
উজ্জ্বল করে।
ময়েশ্চারাইজার: বিটরুট পাউডার দিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়।
প্রাকৃতিক ব্লাশ: বিটরুট পাউডার দিয়ে প্রাকৃতিক ব্লাশ তৈরি করা যায়।
ঠোঁটের রং উন্নত করা: বিটরুট পাউডার দিয়ে প্রাকৃতিক লিপস্টিক তৈরি করা
সম্ভব।
চুলের যত্ন: বিটরুট পাউডার চুল মজবুত ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: বিটরুট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ডার্ক সার্কেল কমানো: বিটরুট চোখের নিচের কালো দাগ কমায়।
ব্রণ
প্রতিরোধ: বিটরুট ব্রণ প্রতিরোধে সহায়ক।
প্রাকৃতিক স্ক্রাব: বিটরুট পাউডার দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ত্বকের মৃত কোষ
দূর করা যায়।
ত্বকের ফর্সাভাব বৃদ্ধি: বিটরুট ত্বকের ফর্সাভাব বাড়াতে সাহায্য করে।
এইভাবে বিটরুটের ব্যবহার করে আপনি আপনার সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারেন।
বিটরুট সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনি বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা
- বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন বলে আশা করি। তবে
বিটরুট, যা হাজারো গুণে পরিপূর্ণ, এর সম্পর্কে শুধুমাত্র বিটরুট পাউডার এর ২০টি
উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা নিয়েই আমি আলোচনা করছি না।
আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার ২০টি উপায়
নিচে বিটরুট সম্পর্কিত আরও কিছু জানা-অজানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। আশা করি, বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
পাশাপাশি, এই অতিরিক্ত বিষয়গুলোও আপনি গভীরভাবে পড়বেন, যেমন -
- বিটরুট এর অপকারিতা/বিটরুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
- বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন কতটুকু বিট খাওয়া উচিত?
- বিটরুটের জুস কখন খাওয়া উচিত?
- বিটরুট পাউডার এর দাম কত
- বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায়
- বিটরুট এর পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি
আপনাদের মাঝে জানানোর চেষ্টা করেছি এখন বিটরুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের
মাঝে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিটরুট খাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে
এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিচে বিটরুট খাওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি
এবং এর উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম:
কাঁচা খাওয়া: কাঁচা বিটরুট সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এটি ভিটামিন,
মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এ পরিপূর্ণ থাকে।
রান্না করে: বিটরুটকে রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এটি রক্তচাপ
কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
জুস তৈরি করে: বিটরুট জুস তৈরি করে খাওয়া খুবই সহজ এবং কার্যকরী। এটি
শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
স্মুথি: বিটরুটকে অন্যান্য ফল বা সবজির সঙ্গে মিশিয়ে স্মুথি তৈরি করা
যায়, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।
পাউডার: বিটরুট শুকিয়ে পাউডার করে সারা বছর ব্যবহার করা যায়। এটি
বিভিন্ন খাবারে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে।
বিটরুটকে বিভিন্নভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এর উপকারিতা উপভোগ
করতে পারেন।
বিটরুট এর অপকারিতা/বিটরুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
ইতোমধ্যে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট
খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম। বিটরুট খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা
থাকলেও, এটি অতিরিক্ত বা ভুলভাবে খাওয়ার ফলে কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিচে
বিটরুট এর অপকারিতা/বিটরুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিকবা সতর্কতামূলক দিক তুলে ধরা হলো:
গর্ভবতী মায়েদের জন্য সতর্কতা: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড এবং
আয়রন রয়েছে, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। তবে, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে বা
রোগ নিরাময়ের জন্য বিটরুট খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতা: বিটরুটে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকার
কারণে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের
অল্প পরিমাণে বিটরুট খাওয়া উচিত এবং যাদের শর্করার মাত্রা অত্যাধিক, তাদের এটি
এড়িয়ে চলা উচিত।
পেটের সমস্যায় ভুগছেন যারা: যাদের পেটে সমস্যা বেশি থাকে, তাদের কাঁচা
বিটরুট খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি পেটের সমস্যা আরও বাড়াতে পারে।
স্টোন ফর্মেশন: বিটরুটে অক্সালেট থাকে, যা শরীরে স্টোন (পাথর) তৈরি করতে
পারে। যারা গলব্লাডার বা কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বিটরুট খাওয়া
থেকে বিরত থাকা উচিত।
বিটুরিয়া: অতিরিক্ত বিটরুট খেলে বিটুরিয়া নামক একটি সমস্যা হতে পারে,
যেখানে মল বা প্রস্রাবের রঙ লাল বা গোলাপি হয়ে যেতে পারে। তবে এটি ক্ষতিকর নয়
এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নিম্ন রক্তচাপ: যাদের রক্তচাপ নিচু থাকে, তাদের বিটরুট খাওয়া থেকে বিরত
থাকা উচিত, কারণ এটি রক্তচাপ আরও কমাতে পারে এবং শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
এলার্জিজনিত সমস্যা: যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে, তারা বিটরুট
খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। প্রথমে অল্প পরিমাণে খেয়ে দেখতে হবে যে,
ত্বক বা শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, যেমন ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, বা
জ্বালা ভাব।
এগুলো হলো বিটরুট খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক, যা বিবেচনায় রেখে সঠিকভাবে বিটরুট
খাওয়া উচিত।
বিটরুট এর পুষ্টিগুণ
ইতোমধ্যে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট
খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম তবে এত গুণসম্পন্ন ও স্বাস্থ্য উপকারী
বিটরুট এর পুষ্টিগুণ বা এতে কি কি পুষ্টি উপাদান কি কি পরিমাণে রয়েছে যদি না
জেনে থাকেন তাহলে চলুন নিম্নে আলোচনা থেকে জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
বিটরুট (Beetroot) একটি পুষ্টিকর সবজি যা অনেক ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে
সমৃদ্ধ। এটি সাধারণত লাল রঙের হয়, তবে কিছু ধরণের বিটরুট হলুদ বা সাদা রঙেরও হয়ে
থাকে। এর মূল এবং পাতাগুলি উভয়ই খাওয়ার উপযোগী। বিটরুটের কিছু প্রধান পুষ্টিগুণ
হলো:
ভিটামিন সি: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক এবং আয়রনের শোষণ উন্নত করে।
ফোলেট: বিটরুটে ফোলেট (ভিটামিন বি৯) রয়েছে যা বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিশুর স্নায়ুতন্তু উন্নয়নে সহায়ক।
আয়রন: এটি রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে আয়রনের
ভাল পরিমাণ রয়েছে।
ম্যাঙ্গানিজ: ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং
বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক।
ফাইবার: বিটরুটে ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা পেট পরিষ্কার রাখতে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বিটরুটে বিটালাইন নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা
শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা করে।
পটাশিয়াম: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
নাইট্রেট: বিটরুটে নাইট্রেট থাকে যা রক্তচাপ কমাতে এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা
বাড়াতে সহায়ক।
বিটরুটের গন্ধ বা স্বাদ হয়তো কিছু মানুষের পছন্দ নাও হতে পারে, তবে এর
পুষ্টিগুণের কারণে এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
সালাদ, স্যুপ, জুস বা রান্নায় বিটরুট ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও,
পুষ্টি প্রতি ১০০ গ্রাম বিটরুটে রয়েছে,
- পানি ৮৭.৫৮ গ্রাম
- শক্তি ৪৩ গ্রাম
- প্রোটিন ১.৬১ গ্রাম
- চর্বি ০.১৭ গ্রাম
- শ্বেতসার ৯.৫৬ গ্রাম
- তন্তু ২.৮ গ্রাম
- চিনি ৬.৭৬ গ্রাম
খনিজ প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে,
- ক্যালশিয়াম ১৬মিলিগ্রাম
- লোহা ০.৮মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেশিয়াম ২৩ মিলিগ্রাম
- ফসফোরাস- ৪০মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম- ৩২৫ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম- ৭৮ মিলিগ্রাম
- দস্তা- ০.৩৫মিলিগ্রাম
ভিটামিন প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে,
- ভিটামিন এ- ২মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন বি1- ০.০৩১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি2- ০.০৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি3- ০.৩৩৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি6- ০.০৬৭মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি9- ১০৯মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন সি- ৪.৯মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ই- ০.০৪মিলিগ্রাম
- ভিটামিন কে- ০.২মাইক্রোগ্রাম
ফ্যাট/ফ্যাটি অ্যাসিড প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে
- সুসিক্ত- ০.০২৭গ্রাম
- মোনো আনস্যাচুরেটেড- ০.০৩২ গ্রাম
- পলি আনস্যাচুরেটেড- ০.০৬গ্রাম
প্রতিদিন কতটুকু বিট খাওয়া উচিত?
বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
ইত্যাদি জানা যেমন জরুরী বিট রোট খাওয়ার পূর্বে প্রতিদিন কতটুকু বিট খাওয়া
উচিত? বিট খাওয়ার পরিমাণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। একজন সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক
ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম বিট বা একটি ছোট বা মাঝারি আকারের
বিট নিরাপদে খেতে পারেন। এই পরিমাণে বিট খেলে আপনি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
বিটরুট জুসের ক্ষেত্রে, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন প্রায় দুই কাপ বিটরুটের জুস
পান করলে স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়। তবে যাদের ডায়াবেটিস বা হজমের সমস্যা রয়েছে,
তাদের জন্য বিটরুটের পরিমাণ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত। আপনার
যদি কোনো নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে বিট খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বিটরুটের জুস কখন খাওয়া উচিত?
ইতিমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে
রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছি তবে বিটরুটের জুস কখন
খাওয়া উচিত? বা কখন বিটরুট খেলে আপনি সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন
চলুন জেনে নেই। বিটরুটের জুস খাওয়ার সেরা সময় হল সকালে, খালি পেটে।
সকালে খালি পেটে বিটরুটের জুস খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী কারণ এটি নাইট্রিক
এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীরকে সতেজ ও
শক্তিশালী রাখে। এছাড়া, যারা সকালে ব্যায়াম বা খেলাধুলা করেন, তাদের জন্য
বিটরুটের জুস বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে, কারণ এটি শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং
ক্লান্তি কমায়।
বিটরুট পাউডার এর দাম কত
বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
ইত্যাদি জানার পর আপনি যদি বিটরুট খেতে চান তাহলে বিটরুট পাউডার এর দাম কত আপনার
জানা অত্যন্ত জরুরি তাই চলুন জেনে নিন। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে
বিটরুট পাউডার বিক্রয় হচ্ছে। এবং বিভিন্ন স্থানে এর দাম বিভিন্ন রকম। তবে
সাধারণত ৫০ গ্রাম পাউডারের মূল্য ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।
তবে কোটা জাত বিট্রুট পাউডার ক্রয় এর পূর্বে অবশ্যই মেয়াদ দেখে কিনবেন।
বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায়
বিটরুট পাউডার কেনার আগে বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায় জানা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট
খাওয়ার নিয়ম জানার পর আপনি যদি এটি ব্যবহার করতে চান, তাহলে দাম জানা
প্রয়োজনসাথে বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায়। বিটরুট পাউডার আপনি স্থানীয়
স্বাস্থ্য খাদ্য স্টোর,
সুপারমার্কেটের স্বাস্থ্য বিভাগে বা অনলাইন শপিং সাইটে খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়া,
বিশেষ করে কিছু ফিটনেস স্টোর বা ওরগানিক ফুড স্টোরেও এটি পাওয়া যেতে পারে। আপনি
যদি অনলাইনে খুঁজছেন, তাহলে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, দারাজ, bikroy.com অথবা
অন্যান্য ই-কমার্স সাইটে এটি পাওয়া যাবে।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা ইত্যাদি জানার পর আপনি
যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হন তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার অনেক
উপকারিতা আছে। এটি একটি পুষ্টিকর সবজি যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী
হতে পারে। এখানে কিছু প্রধান উপকারিতা:
ফোলেটের উৎস: বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট (ভিটামিন B9) থাকে, যা
গর্ভাবস্থায় জরুরি। এটি শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের উন্নয়নে সহায়ক এবং
নিউরাল টিউব ডিফেক্টস (যেমন স্পাইনা বিফিডা) থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আয়রনের উৎস: বিটরুটে আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক।
গর্ভবতী মায়েদের রক্তের পরিমাণ বাড়াতে এবং তাদের শক্তি বাড়াতে এটি উপকারী।
ভিটামিন সি: বিটরুটে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে
শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং আয়রনের শোষণ বৃদ্ধি করে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ: বিটরুটে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে যা
শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
ফাইবার: বিটরুটে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমের উন্নতি করে এবং
কনস্টিপেশন প্রতিরোধে সহায়ক।
স্বাস্থ্যের উন্নতি: বিটরুটের মধ্যে বিটালাইন নামক একটি উপাদান থাকে যা
বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
যাইহোক, গর্ভাবস্থায় নতুন খাবার শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
ভালো।
লেখক এর মন্তব্য- বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা - বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের বিটরুট পাউডার এর ২০টি উপকারিতা -
বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা, বিটরুট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি ছাড়াও বিটরুট সম্পর্কে
জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের
আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের
জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url