কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও কফি সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও কফি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও কফির সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা-কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য রাইট বাটন ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে কফি সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র ও ডক্টরদের মত অনুসারে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
কফি এতটাই গুণসম্পন্ন যে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার হয় যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। এ সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য আশা করি কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও কফি নিয়ে লেখা সম্পর্কে সম্পন্ন পোস্টটি পড়বেন

যেমন- দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, কফি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু কফি খাওয়া উচিত?, চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়?, কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?, কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ইত্যাদি। তাই আশা করব কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও কফি দিয়ে লেখা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন কারণ আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি বিষয় বিস্তারিত সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক বেশি বেনিফিট হবে।

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আমি আপনাদের মাঝে কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। চায়ের মত কফি ও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। বর্তমানে বছরজুড়ে সকলের কফি খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেড়ে চলেছে।

এক কাপ কফি দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের মন ও শরীরকে তরতাজা এবং চনমনে করে রাখতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানী মহলের মতে, কফির মধ্যে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এত উপাদান রয়েছে যা অন্যান্য খাবার বা পানীয় এর মধ্যে পাওয়া যায় না বললেই চলে। কিন্তু সমস্যা হল বেশিরভাগ মানুষ না জানে কফির রেকমেন্ড কোয়ান্টিটি অর্থাৎ
কি পরিমানে খেলে কফির থেকে মেক্সিমাম হেলথ ভেনিসিট আমরা পেতে পারি এবং বেশি পরিমাণ খাওয়ার ফলে কফের যে সমস্ত প্রভাবলি সাইড ইফেক্ট পাওয়া যায় সে সমস্ত সাইড ইফেক্ট থেকে আমরা বাঁচতে পারি এবং কফি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি অর্থাৎ কি পদ্ধতিতে কফি বানিয়ে খেলে কফির থেকে মেক্সিমাম হেলথ বেনিফিট আমরা পেতে পারি।

আজ আমরা আলোচনা করব কফি বিষয়ে প্রথমে জেনে নেব কফির হেলথ বেনিফিট তার সাথে সাথে আমরা জেনে নেব কফি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারাদিনে কত পরিমানে কফি খাওয়া উচিত অবশেষে আমরা জেনে নেব তাদের কফি খাওয়া উচিত এবং তাদের কফি খাওয়া উচিত নয়।

এছাড়াও যদি কফি আপনার প্রিয় পানীয় হয়ে থাকে বা কফি খেয়ে আপনি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন কারণ আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি ইনফরমেটির। তাই চলুন জেনে নেই কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা।
কফি খাওয়ার উপকারিতা

কফি খাওয়ার উপকারিতা

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। ইউরোপীয় ১০টি দেশের প্রায় ৫ লাখ মানুষের ওপরে সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালিয়ে সিদ্ধান্ত জানাযায়ী যে এনালস অফ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল জানার প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয় কফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে আনে।

তাই চলুন কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফি খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেইএনার্জি বৃদ্ধ: কফির প্রধান অ্যাক্টিভ উপাদান হল ক্যাফিন। আমরা যখন কফি খাই তখন এই ক্যাফিন আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাল সিস্টেমকে স্টিমুলেট করে বা উদ্দীপিত করে তার ফলে আমাদের ক্লান্তি দূর হয় এবং আমাদের এনার্জি লেভেল ও কিন্তু বৃদ্ধি পায়।

আমাদের শরীরে এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার থাকে যার নাম হলো এডিনোসিন(Adenosine)। এডিনোসিন হরমোন না হওয়া সত্ত্বেও এটিকে স্লিপ হরমোন বলা হয় তার কারন এডিনোসিন এর ক্ষরণ যখন আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের ঘুম ঘুম ভাব আসে বা বা আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে।
এই ক্যাফিন আমাদের শরীরে এডিনসিনের রিসেলগুলোকে ব্লক করে এবং টুপামিনা নামক এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটারের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। আর এ টোপামিন এর ক্ষরণ যখন আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় সাথে সাথে কিন্তু আমাদের এনার্জি লেভেল ও হাই হয়ে যায়। তাই যদি আপনি অল্পতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বা আপনার এনার্জি লেভেল কে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই কফি খেতে পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফির সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা। কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীর থেকে দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং পুনরায় মেদ জমা হওয়ার আশঙ্কা দূর করে। এর জন্য আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ কিংবা শরীরের মেদ বা চর্বি কাটানোর জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে কফি খেতে পারেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধি: কফি আমাদের পাকস্থলীর বিপাকীয় হার ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে ফলে আপনি যদি সঠিকভাবে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার অন্যান্য শারীরিক বেনিফিটের সাথে সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস: বেশ কিছু গবেষণাতে এই তথ্য উঠে এসেছে যে আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে সঠিক মাত্রাতে এবং সঠিক পদ্ধতিতে কফি খেতে পারেন সেই কফি আপনার প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল গুলোকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে বিটা সেল গুলি যেন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে পারে সেদিক থেকেও সাহায্য করে।

আমাদের প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল গুলোর প্রধান কাজ হল ইনসুলিন হরমোন সিক্রেশন করা আর এই ইনসুলিন হরমোন যখন সঠিক মাত্রাতে আমাদের শরীরে তৈরি হয় তখন আমাদের ব্লাড সুগার এর লেভেলও স্বাভাবিক থাকে এবং তার সাথে সাথে কফির মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইন্সুলেনের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এর সাথে সাথে প্যানক্রিয়াসের মধ্যে যে সমস্ত ইনফ্লামেটরি ডিজিজ হতে দেখতে পাওয়া যায়
সে সমস্ত ইনফ্লামেটরের ডিজিজ থেকেও কিন্তু প্যানক্রিয়াসকে দূরে রাখতে সাহায্য করে তার ফলে আপনি যদি একজন ফ্রী ডায়াবেটিস পেশেন্ট হয়ে থাকেন বা আপনি যদি সুস্থ মানুষ হয়ে থাকেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক মাত্রাতে ও সঠিক পদ্ধতিতে কফি খেতে পারেন তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিক্স এর হাত থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।

মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফির আরেক টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল মানসিক শক্তি বৃদ্ধি। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ক সংক্রান্ত নিউরোট্রান্সমিটারকে ব্লক করে ফলে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যার কারণে আমাদের যার কারণে আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মেজাজ এর খিটখিটে ভাব দূর হয় এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ বা উদ্বিগ্নতা কমে বা সামলিয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি হয়।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি: কফি আমাদের অ্যাড্রেনালিন লেভেল বাড়িয়ে তোলে এছাড়াও আমাদের শরীরের ফ্যাট বা চর্বি এসিডের ক্ষরণ ঘটায় যার কারণে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি কোষ গুলো দূর হয়। ফলে আপনি যদি নিয়মিত কফি কোন প্রকার শারীরিক পরিশ্রমের সময় পান করেন তাহলে প্রাকৃতিকভাবে এটি আপনার শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে বা এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক শক্তি আপনাকে নতুন ভাবে কোনো কর্ম করার প্রেরণা দিবে।

লিভার সুস্থ: কফি আমাদের লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তার কারণ আমরা কফি খাওয়ার পরে সে কফি যখন আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর মধ্যে গিয়ে ডাইজেস্ট হয় তখন ওই ক্যাফিনেট থেকে পেরাজেনথিন(paraxanthine) নামক এক ধরনের কেমিক্যাল সিক্রেশন হয় যে কেমিক্যাল লিভারকে প্রোটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে, লিভার যেন ঠিকঠাক ভাবে ফাংশনিং করে

সে দিক থেকেও সাহায্য করে থাকে তার সাথে সাথে লিভার ফাইপ্রোসিস, লিভারের টিউমার, লিভার ক্যান্সার, অ্যালকোহলিক সিরোসিস, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এই সমস্ত সমস্যা থেকেও আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি প্রতিনিয়ত সঠিক মাত্রাতে এবং সঠিক পদ্ধতিতে কফি খেতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: বিভিন্ন ধরনের ফলে তুলনায় কফিতে রয়েছে কয়েকগুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারিতা আমরা সকলেই জানি এর জন্য শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর চাহিদা মেটানোর জন্য আপনি নিয়মিতভাবে কফি পান করতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: সঠিক পথ প্রায় নিয়মিত কফি আপনার পেটের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করবে কারণ এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বা মেদ ঝরায় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাও সহজ হয়ে যায়।

হার্ট সুস্থ: কফির মধ্যে ক্যাফিন ছাড়াও ১০০টিরও বেশি বায়োলজিক্যাল একটিভ কমপাউন্ড রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং বিভিন্ন প্রকারের ইনফ্লামেশন এর থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ইনসুলেন্সের সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের হার্ট এর প্রত্যেকটি আটারি, মাসেল, ভাল্ব, টিস্যু সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং হার্টকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন
যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি কফিটা যত সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। তার কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনি যদি দিনে এক কাপের বেশি কফি খেয়ে থাকেন আপনার রক্তচাপকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারে এই কফি।

লিঙ্গ উত্থান: বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে কফিতে যে ক্যাফেইন রয়েছে সেটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে ও বা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে কফি খেলে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সমাধানে অনেকটা সাহায্য করে।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ: কফি আমাদের শরীরে সুগার লেভেল এবং ইনসুলিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় উপাদান এডিপোনেক্টিন (adiponectin) উৎপন্ন করে। এছাড়াও কফিতে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট মিলে এমন একটি পানীয় তৈরি হয় যা ডায়বেটিস দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এর জন্য ডায়াবেটিসের সুফল পেতে চাইলে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কফি যুক্ত করতে পারেন নিশ্চিন্তে।

ফ্রি রেডিক্যাল: কফি আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ারকে ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কফির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে যে সমস্ত ফ্রি রেডিকেলগুলো থাকে সেগুলোকে ধ্বংস করে এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন প্রকারের ক্রনিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

ক্রনিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ বলতে বিভিন্ন প্রকারের হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, এবং বেশ কিছু ধরনের ক্যান্সার এ সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও কিন্তু আপনাকে কফি দূরে রাখতে সাহায্য করে যদি আপনি নিয়মিত ভাবে সঠিক পদ্ধতিতে কফি খেতে পারেন।

চোখ সুস্থ: কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিল অ্যাসিড নামক উপাদান যা চোখকে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন যেহেতু আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, মেজাজ খিটখিটে স্বাভাবিক, মানসিক ও কর্মের চাপ দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল দ্রুত করতে সাহায্য করে ফলে স্মৃতিশক্তি কফি খেয়ে বৃদ্ধি করা অনেকটাই সম্ভব।

পাকস্থলী পরিষ্কার: নিয়মিত কফি পান করলে এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া বের করে সাহায্য করে ফলে পাকস্থলী পরিষ্কার ও সুস্থ থাকে।

নিউরো ডিজেনারেটিভ: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মানুষের মধ্যে পারকিনসন ডিজিজ, অ্যালজাইমার এর মত বেশ কিছু নিউরোলজিকাল ডিজেনারেটিভ ডিজিস দেখতে পাওয়া যায় তাই যে সমস্ত মানুষরা নিয়মিতভাবে কফি খান তাদের মধ্যে এ সমস্ত নিউরো ডিজেনারেটিভ হওয়ার প্রবণতাতো কমে এর সাথে সাথে যে সমস্ত মানুষরা অলরেডি সমস্ত সমস্যায় ভুগছেন তারাও বেশ উপকার পেতে পারেন।

আশা করি উপরুক্ত আলোচনার থেকে কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
কফি খাওয়ার অপকারিতা/কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়?

কফি খাওয়ার অপকারিতা/কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়?

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন কফি খাওয়ার অপকারিতা/কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়? সম্পর্কে আলোচনা করব। কফি সম্পূর্ণরূপে একটি ভেষজ উপাদান যার কারনে এতে তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিকরা নেই তবে,

  • নির্দিষ্ট মাত্রা বা অতিরিক্ত এবং সঠিক নিয়মে না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে তাই চলুন কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফি খাওয়ার অপকারিতা/কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়? সম্পর্কে জেনে নেই-
  • গর্ভবতী মহিলারা বিশেষ করে যারা বাচ্চাদের দুগ্ধ পান করাচ্ছেন তাদের কফি খাওয়া মোটে উচিত নয়।
  • শিশু, বয়সন্ধিকালীন কিশোররা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনি যদি দিনে এক কাপের বেশি কফি খেয়ে থাকেন আপনার রক্তচাপকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারে এই কফি।
  • সকালে উঠে হঠাৎ করে খালি পেটে কফি খেলে এটি আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়াও খালি পেটে কফি খেলে গ্যাস্ট্রিক, মাথাব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • বিভিন্ন গবেষণায় এটি জানা গেছে অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খাওয়ার জন্য কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন হৃৎপিণ্ডের রক্ত বহনকারী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয় বিশেষ করে ব্যায়াম করার সময় ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা বুক ধরপর এর মত সমস্যা হতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তি ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রসেসে রয়েছেন তারা অনেকেই কফি খাওয়ার সময় তিনি ব্যবহার করেন না কিন্তু এর সঙ্গে বিস্কুট কে ইত্যাদি ব্যবহার করেন ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভাবস্থায় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এটি গর্ভ অবস্থায় গর্ভে থাকা শিশুর ক্ষতি এবং গর্ভধারণের পূর্বে গর্ভধারণে অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে এর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ভ অবস্থায় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • কফি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ প্রক্রিয়া বাধা দিতে পারে ফলে হাড় দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।
  • অনিদ্রা বা ইনজোমেনিয়া এর সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • আমাদের অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে খালি পেটে কফি খাওয়া নিয়মিত খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় আর এই এসিড আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাসিটি বা গ্যাসের সৃষ্টি করে অনেক সময় এটি আলসারের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • যাদের কিডনিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত যদি কফি খান তাহলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় ধীরে ধীরে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খেলে ব্রিদিং(breeding) সমস্যা বৃদ্ধি বা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।
  • মাত্রা অতিরিক্ত বা সঠিক না খেলে ডায়রিয়া জড়িত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • বিভিন্ন প্রকারের নার্ভের সমস্যা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খেলে।
  • ঘন ঘন জিব্বা এবং গলা শুকিয়ে যাওয়া মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে বা সঠিক নিয়মে কফি না খেলে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে কফি আমাদের দ্রুত শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুললেও মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি চাপ তৈরি করে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন কফি সম্পর্কে শুধুমাত্র কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে কফি সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ছাড়াও নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
  • কফি খাওয়ার নিয়ম
  • প্রতিদিন কতটুকু কফি খাওয়া উচিত?
  • চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা
  • সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়?
  • কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
  • কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সঠিক তথ্যটি জানবো এবং বিভিন্ন গবেষকদের মত অনুসারে। প্রথমে আপনাদের জানিয়ে রাখি কফি ও দুধ একসঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি নয় বরং অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
কারণ এই দুইটি পুষ্টি উপাদানে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন কফিতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাফিন, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ইত্যাদি এবং দুধে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ক্যালসিয়াম, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্ড ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি।

এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো যখন একত্রে মিশে তখন এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে যেমন এটি আমাদের আর্থ্রাইটিসের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের প্রদাহ এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ, হজম শক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি আরও হাজারো উপকারিতা নিয়ে আসে।

একটি গবেষণা থেকে গবেষণা করে জানা গিয়েছে যে কফি ও দুধ একসঙ্গে মিশে খেলে এতে উপস্থিত প্রোটিনও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংমিশ্রণ ইমিউন কোষগুলোতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্টকের দ্বিগুণ করতে সাহায্য করে। তবে দুধ কফির সঙ্গে আপনি যদি চিনি অতিরিক্ত ব্যবহার করে খান তাহলে উপরোক্ত উপকারিতা তুলনায়

আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি বেশি হবে বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেকগুলো দেখা দেবে যেমন আপনার ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে, রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক বা হাই ব্লাড প্রেসার হতে পারে, বমি বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। কারণ দুটি উপাদানে পুষ্টি উপাদান যেহেতু ভরপুর রয়েছে ফলে অতিরিক্ত খেলে এ সকল সমস্যা হতে পারে।

কফি খাওয়ার নিয়ম

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি জানার পর চলুন এখন আপনাদের মাঝে কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন জেনে নেই। আপনি যদি অকেশনালি কফি খাচ্ছেন এবং দুধ দিয়ে আপনি কফি খেতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি এক দুই কাপ অবশ্যই কফি খেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি কপি থেকে হেলথ বেনিফিট পেতে চান তাহলে কফি খাওয়ার সবচাইতে সঠিক পদ্ধতি হলো ব্ল্যাক কফি উইথআউট সুগার। দেখুন আপনার যদি চিনি ছাড়া স্বাদের জন্য কফি খেতে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চিনি ভুলেও ব্যবহার করবেন না।

প্রতিদিন কতটুকু কফি খাওয়া উচিত?

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি জানার পর চলুন এখন আপনাদের মাঝে প্রতিদিন কতটুকু কফি খাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে জেনে নেই। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে কত পরিমানে কফি খেতে পারেন। বাজারে যে সমস্ত ছোট কফির শেসে পাওয়া যায় সে শেসের মধ্যে ১.১ গ্রাম কফি থাকে
এই পরিমাণ কফির মধ্যে ক্যাফিন থাকে ৮২ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন অর্থাৎ ছোট শেসে দিয়ে এক কাপ পরিমাণে কফি তৈরি করে খান তাহলে আপনি সারাদিনে চার থেকে পাঁচ কাপ পরিমাণে কফি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ৪০০ মিলিগ্রামের থেকেও বেশি ক্যাফিন দীর্ঘদিন ধরে খেতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বেশ কিছু প্রবাবলি সাইড ইফেক্ট দেখতে পাওয়া যায়।
চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা

চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমি আপনাদের উপর উক্ত আলোচনাতে জানানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছি এখন আমি আপনাদের মাঝে চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। মূলত আমি উপরোক্ত আলোচনায় কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে কফি খাওয়ার যে সকল উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি

সে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে চিনি ছাড়া কফি খেতে হবে অন্যথায় আপনি যদি তিনি সহকারী কফি খান তাহলে উপরোক্ত উপকারিতা গুলো কখনোই আপনি পাবেন না কারণ যিনি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কফি যেমন চিনি ছাড়া খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে অপরদিকে আপনি যদি তিনি সহকারে কফি খান তাহলে
এটি আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা হঠাৎ করে অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেবে এছাড়াও এছাড়া চিনিসহকারে কফি খেলে শরীরে ফ্যাট বা মেদ জমে ওজন বৃদ্ধি করবে অপরদিকে আপনি চিনি ছাড়া কফি খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে কারন আপনি তখন শুধুমাত্র কফির পুষ্টি উপাদান গুলো পাবেন ফলে কফিতে উপস্থিত

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফিন ইত্যাদি উপাদানগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি, কাজের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি, লিভার সুস্থ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর, হজম শক্তি বৃদ্ধি, চোখ সুস্থ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর মত সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকবেন নিয়মিত ভাবে সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক নিয়মে চিনি ছাড়া কফি খেলে।
সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়?

সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়?

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার পর আপনারা যদি সকালে খালি পেটে কফি খান এবং আপনার যদি জানান না থাকে সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়? তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই কফি খাওয়ার পূর্বে কিভাবে বা কি নিয়মে খেলে এটি আপনার ক্ষতি হতে পারে তা চলুন জেনে নেই।

মূলত সকালে খালি পেটে কফি খেলে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ক্ষতিকর বয়ে নিয়ে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে খালি পেটে কফি বা চা জাতীয় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর যা শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যেমন-

  • খালি ফেটে কফি খেলে এটি আমাদের হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে বুক জ্বালাপোড়া পেটে ব্যথা বমি ভাব ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
  • সকালে খালি পেটে কফি খেলে খাওয়ার প্রতি অরুচি সৃষ্টি হয় ফলে শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • যেহেতু কফিতে অত্যাধিক পরিমাণে ক্যাফেইন রয়েছে যার কারনে সকালে খালি পেটে কফি খেলে এটি রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ি দিতে পারে কারণ এটি ক্যাফেইন কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন তৈরি হতে বাধা দেয়।
  • খালি পেটে কফি খেলে এটি খাদ্যনালির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ছাড়াও পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • এছাড়াও খালি পেটে কফি খেলে অন্ত্র তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়ে যায় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন উপস্থিত থাকে।
কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি জানার পর আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন জাগতে পারে সত্যিই কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে? জি হ্যাঁ, কফি খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে কফি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বাম মেদ ঝরায় এবং ক্ষুধা নির্বাচনে সাহায্য করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কফি খেয়ে সহজ হয়।
কারণ কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ক্যাফেইন যা থার্মোজেনিক এ প্রভাব ফেলে এবং খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এছাড়াও কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীর থেকে দ্রুত মেদ, অতিরিক্ত ক্যালরি বা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে এবং পুনরায় মেদ জমা হওয়ার আশঙ্কা দূর করে, শরীর থেকে ক্যালরি শোষণ করে। এর জন্য আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ কিংবা শরীরের মেদ বা চর্বি কাটানোর জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে কফি খেতে পারেন।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম তবে আপনি শুনে অবাক হবেন কফি দিয়ে ত্বক ফর্সা করা যায় তাহলে চলুন কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিন। মূলত কফি দিয়ে ত্বক ফর্সা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে চলুন কিছু উপায় গুলো নিম্নে আলোচনা থেকে জেনে নেই-

হাত পা ফর্সা: হাত পা ফর্সা করার জন্য কফি অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা রাখে এর জন্য একটা চামচ শসার রস, এক চা চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়ো, এক চা চামচ লেবু ও এক চা চামচ কফি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে হাতে এবং পায়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন শুকনো হয়ে আসলে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

কফির ক্লিনজার: কফি স্ক্রিনজার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এক চা চামচ কফি ও এক চা চামচ কাঁচা দুধ বা দুধের সর নিয়ে সমস্ত মুখে, গলায়, হাতে ইত্যাদি স্থানে ভালো করে এক মিনিট পর্যন্ত আলতো হাতে মাসাজ করবেন এভাবে সপ্তাহে তিন দিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

কফির বডি স্ক্রাব: কফি দিয়ে বডি স্ক্রাব তৈরি করার জন্য একটা চামচ কফি পোড়া ও নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে গোসলের পূর্বে সমস্ত ত্বকে, কনুই, ঘাড়, গলা, কাঁধ ইত্যাদি স্থানে ভালো করে স্ক্রাব করে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে অবশ্য ভালো ফলাফল পাবেন।

রোদে পোড়া দাগ: রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য এক চা চামচ লেবু, এক চা চামচ টক দই ও এক চা চামচ কফি পাউডার এ তৈরি মিশ্রণটি রোদে দাগ পোড়া স্থানে কিংবা সমস্ত ত্বকে লাগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

কফির স্ক্রাব: কফির স্ক্রাব ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এর জন্য এক চা চামচ কফি ও এক চা চামচ চিনি নিয়ে ভেজা ত্বকে আলতোভাবে এক মিনিট পর্যন্ত ম্যাসাজ করতে থাকবেন এরপর সমস্ত মুখ ধুয়ে ফেলবেন। কিভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহারে ফলাফল আপনি নিজের চোখে দেখতে পাবেন।

কফির ডার্ক সার্কেল: রোদে পুড়ে যাওয়া কালচে ভাব বা চোখের নিচের ডাক সারকেল দূর করার জন্য কফি দিয়ে তৈরি এই মিশ্রণটি অত্যন্ত উপকারী এর জন্য এক চা চামচ কফি পাউডার, এক চা চামচ এলোভেরা জেল ও নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে সমস্ত ত্বকে বিশেষ করে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট পর্যন্ত মিশ্রণটি সমস্ত ত্বকে শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহারে চোখের নিচের কালচে দাগ বা ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে।

ব্রন দূর: কফিতে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান ত্বকে থাকা ব্রণের বিরুদ্ধে বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে এর জন্য আপনি কফি দিয়ে তৈরি এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য একটা চামচ বেসন, এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ এলোভেরা জেল ও এক চামচ কফি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে মিশন তৈরি করে এটি ব্রণ স্থানে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন শুকনো হয়ে আসলে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

কফি মাস্ক: কফি মাস্ক পরীর জন্য একটা চামচ কফি পাউডার, এক চা চামচ গোলাপ জল ও এক চা চামচ বেসন ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সমস্ত মুখে গলায় কিংবা ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বল বা ফর্সাভাব বেরিয়ে আসবে।

কফির ঠোঁট ক্লাব: ঠোঁট গোলাপি কিংবা ঠোঁটের কালো ভাব দূর করার জন্য কফির তৈরি এই স্ক্রাপটি ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য একটা চামচ মধু ও এক চা চামচ কফি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে ঠোঁটে মাসাজ করুন তিন থেকে চার মিনিট এবার হালকাভাবে মুছে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে একদিন বিশেষ করে রাতে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

লেখক এর মন্তব্য-কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও কফি সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url