ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি। এছাড়াও ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ছাড়াও ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও ব্ল্যাক কফির সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা- ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য রাইট বাটন ওয়েবসাইটে ক্লিক করেছেন। আশা করি আপনি এখান থেকে ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে জানা অজানা বিভিন্ন তথ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র ও ডক্টরদের মত অনুসারে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
ব্ল্যাক কফি এতটাই গুণসম্পন্ন যে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার হয় যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। এ সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য আশা করি ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি ছাড়াও ব্ল্যাক কফি নিয়ে লেখা সম্পর্কে সম্পন্ন পোস্টটি পড়বেন।

যেমন- ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে, ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম, ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়, প্রতিদিন কতটুকু ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত?, ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খাওয়া কি ভালো?, ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম ইত্যাদি।

তাই আশা করব ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ছাড়াও ব্ল্যাক কফি নিয়ে লেখা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন কারণ আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি বিষয় বিস্তারিত সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক বেশি বেনিফিট হবে।

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আমি আপনাদের মাঝে ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। চায়ের মত ব্ল্যাক কফি ও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। বর্তমানে বছরজুড়ে সকলের ব্ল্যাক কফি খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
তাই যদি ব্ল্যাক কফি আপনার প্রিয় পানীয় হয়ে থাকে বা ব্ল্যাক কফি খেয়ে আপনি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন কারণ আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি ইনফরমেটির। তাই চলুন জেনে নেই ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা।
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয়

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয়

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয় সম্পর্কে জানব। ইউরোপীয় ১০টি দেশের প্রায় ৫ লাখ মানুষের ওপরে সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, এনালস অফ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল জানার প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়,
ব্ল্যাক কফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে আনে। তাই চলুন ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয় এগুলো জেনে নেই,

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ব্ল্যাক কফির সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা। ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীর থেকে দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং পুনরায় মেদ জমা হওয়ার আশঙ্কা দূর করে। এর জন্য আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ কিংবা শরীরের মেদ বা চর্বি কাটানোর জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে কফি খেতে পারেন।

মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ব্ল্যাক কফির আরে টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল মানসিক শক্তি বৃদ্ধি। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ক সংক্রান্ত নিউরোট্রান্সমিটারকে ব্লক করে ফলে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যার কারণে আমাদের যার কারণে আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মেজাজ এর খিটখিটে ভাব দূর হয় এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ বা উদ্বিগ্নতা কমে বা সামলিয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি হয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি: ব্ল্যাক কফি আমাদের পাকস্থলীর বিপাকীয় হার ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে ফলে আপনি যদি সঠিকভাবে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার অন্যান্য শারীরিক বেনিফিটের সাথে সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি: ব্ল্যাক কফি আমাদের অ্যাড্রেনালিন লেভেল বাড়িয়ে তোলে এছাড়াও আমাদের শরীরের ফ্যাট বা চর্বি এসিডের ক্ষরণ ঘটায় যার কারণে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি কোষ গুলো দূর হয়। ফলে আপনি যদি নিয়মিত ব্ল্যাক কফি কোন প্রকার শারীরিক পরিশ্রমের সময় পান করেন তাহলে প্রাকৃতিকভাবে এটি আপনার শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে বা এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক শক্তি আপনাকে নতুন ভাবে কোনো কর্ম করার প্রেরণা দিবে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস: বেশ কিছু গবেষণাতে এই তথ্য উঠে এসেছে যে আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে সঠিক মাত্রাতে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন সেই ব্ল্যাক কফি আপনার প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল গুলোকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে বিটা সেল গুলি যেন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে পারে সেদিক থেকেও সাহায্য করে।

আমাদের প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল গুলোর প্রধান কাজ হল ইনসুলিন হরমোন সিক্রেশন করা আর এই ইনসুলিন হরমোন যখন সঠিক মাত্রাতে আমাদের শরীরে তৈরি হয় তখন আমাদের ব্লাড সুগার এর লেভেলও স্বাভাবিক থাকে এবং তার সাথে সাথে ব্ল্যাক কফির মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইন্সুলেনের সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এর সাথে প্যানক্রিয়াসের মধ্যে যে

সমস্ত ইনফ্লামেটরি ডিজিজ হতে দেখতে পাওয়া যায়, সে সমস্ত ইনফ্লামেটরের ডিজিজ থেকেও কিন্তু প্যানক্রিয়াসকে দূরে রাখতে সাহায্য করে তার ফলে আপনি যদি একজন ফ্রী ডায়াবেটিস পেশেন্ট হয়ে থাকেন বা আপনি যদি সুস্থ মানুষ হয়ে থাকেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক মাত্রাতে ও সঠিক পদ্ধতিতে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিক্স এর হাত থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: সঠিক পথ প্রায় নিয়মিত ব্লাক কফি আপনার পেটের সমস্যা দূর করার সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করবে কারণ এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বা মেদ ঝরায় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাও সহজ হয়ে যায়।

লিভার সুস্থ: কফি আমাদের লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তার কারণ আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার পরে সে ব্ল্যাক কফি যখন আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর মধ্যে গিয়ে ডাইজেস্ট হয় তখন ওই ক্যাফিনেট থেকে পেরাজেনথিন(paraxanthine) নামক এক ধরনের কেমিক্যাল সিক্রেশন হয় যে কেমিক্যাল লিভারকে প্রোটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে, লিভার যেন ঠিকঠাক ভাবে ফাংশনিং করে

সে দিক থেকেও সাহায্য করে থাকে তার সাথে সাথে লিভার ফাইপ্রোসিস, লিভারের টিউমার, লিভার ক্যান্সার, অ্যালকোহলিক সিরোসিস, অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এই সমস্ত সমস্যা থেকেও আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি প্রতিনিয়ত সঠিক মাত্রাতে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: বিভিন্ন ধরনের ফলে তুলনায় ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে কয়েকগুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারিতা আমরা সকলেই জানি এর জন্য শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর চাহিদা মেটানোর জন্য আপনি নিয়মিতভাবে ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন।

ফ্রি রেডিক্যাল: ব্ল্যাক কফি আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ারকে ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে যে সমস্ত ফ্রি রেডিকেলগুলো থাকে সেগুলোকে ধ্বংস করে এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন প্রকারের ক্রনিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

চোখ সুস্থ: ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিল অ্যাসিড নামক উপাদান যা চোখকে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হার্ট সুস্থ: ব্ল্যাক কফির মধ্যে ক্যাফিন ছাড়াও ১০০টিরও বেশি বায়োলজিক্যাল একটিভ কমপাউন্ড রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং বিভিন্ন প্রকারের ইনফ্লামেশন এর থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ইনসুলেন্সের সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের হার্ট এর প্রত্যেকটি আটারি, মাসেল, ভাল্ব, টিস্যু সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং হার্টকে প্রটেক্ট করে রাখতে সাহায্য করে কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন
যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ব্ল্যাক কফিটা যত সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। তার কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনি যদি দিনে এক কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খেয়ে থাকেন আপনার রক্তচাপকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারে এই কফি।

লিঙ্গ উত্থান: বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে ব্ল্যাক কফিতে যে ক্যাফেইন রয়েছে সেটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে ও বা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে ব্ল্যাক কফি খেলে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সমাধানে অনেকটা সাহায্য করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন যেহেতু আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, মেজাজ খিটখিটে স্বাভাবিক, মানসিক ও কর্মের চাপ দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল দ্রুত করতে সাহায্য করে ফলে স্মৃতিশক্তি কফি খেয়ে বৃদ্ধি করা অনেকটাই সম্ভব।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ: ব্ল্যাক কফি আমাদের শরীরে সুগার লেভেল এবং ইনসুলিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় উপাদান এডিপোনেক্টিন (adiponectin) উৎপন্ন করে। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট মিলে এমন একটি পানীয় তৈরি হয় যা ডায়বেটিস দূর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এর জন্য ডায়াবেটিসের সুফল পেতে চাইলে

নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কালো কফি যুক্ত করতে পারেন নিশ্চিন্তে। ক্রনিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ বলতে বিভিন্ন প্রকারের হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, এবং বেশ কিছু ধরনের ক্যান্সার এ সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও কিন্তু আপনাকে ব্ল্যাক কফি দূরে রাখতে সাহায্য করে যদি আপনি নিয়মিত ভাবে সঠিক পদ্ধতিতে কফি খেতে পারেন।

পাকস্থলী পরিষ্কার: নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া বের করে সাহায্য করে ফলে পাকস্থলী পরিষ্কার ও সুস্থ থাকে।

নিউরো ডিজেনারেটিভ: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মানুষের মধ্যে পারকিনসন ডিজিজ, অ্যালজাইমার এর মত বেশ কিছু নিউরোলজিকাল ডিজেনারেটিভ ডিজিস দেখতে পাওয়া যায় তাই যে সমস্ত মানুষরা নিয়মিতভাবে ব্ল্যাক কফি খান তাদের মধ্যে এ সমস্ত নিউরো ডিজেনারেটিভ হওয়ার প্রবণতাতো কমে এর সাথে সাথে যে সমস্ত মানুষরা অলরেডি সমস্ত সমস্যায় ভুগছেন তারাও বেশ উপকার পেতে পারেন।

এনার্জি বৃদ্ধ: ব্ল্যাক কফির প্রধান অ্যাক্টিভ উপাদান হল ক্যাফিন। আমরা যখন কফি খাই তখন এই ক্যাফিন আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাল সিস্টেমকে স্টিমুলেট করে বা উদ্দীপিত করে তার ফলে আমাদের ক্লান্তি দূর হয় এবং আমাদের এনার্জি লেভেল ও কিন্তু বৃদ্ধি পায়।
আমাদের শরীরে এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার থাকে যার নাম হলো এডিনোসিন(Adenosine)। এডিনোসিন হরমোন না হওয়া সত্ত্বেও এটিকে স্লিপ হরমোন বলা হয় তার কারন এডিনোসিন এর ক্ষরণ যখন আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের ঘুম ঘুম ভাব আসে বা বা আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে।

এই ক্যাফিন আমাদের শরীরে এডিনসিনের রিসেলগুলোকে ব্লক করে এবং টুপামিনা নামক এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটারের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। আর এ টোপামিন এর ক্ষরণ যখন আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় সাথে সাথে কিন্তু আমাদের এনার্জি লেভেল ও হাই হয়ে যায়। তাই যদি আপনি অল্পতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বা আপনার এনার্জি লেভেল কে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।

আশা করি উপরুক্ত আলোচনার থেকে ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয় সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়?

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়?

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়? সম্পর্কে আলোচনা করব। ব্ল্যাক কফি সম্পূর্ণরূপে একটি ভেষজ উপাদান যার কারনে এতে তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিকরা নেই তবে,

  • নির্দিষ্ট মাত্রা বা অতিরিক্ত এবং সঠিক নিয়মে না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে তাই চলুন ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা/ব্ল্যাক কফি খেলে কি কি ক্ষতি হয়? সম্পর্কে জেনে নেই-
  • গর্ভবতী মহিলারা বিশেষ করে যারা বাচ্চাদের দুগ্ধ পান করাচ্ছেন তাদের ব্ল্যাক কফি খাওয়া মোটে উচিত নয়।
  • শিশু, বয়সন্ধিকালীন কিশোররা ও ব্ল্যাক ব্ল্যাক কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনি যদি দিনে এক কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খেয়ে থাকেন আপনার রক্তচাপকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারে এই ব্ল্যাক কফি।
  • সকালে উঠে হঠাৎ করে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে এটি আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়াও খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে গ্যাস্ট্রিক, মাথাব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি জনিত সমস্যা হতে পারে।
  • বিভিন্ন গবেষণায় এটি জানা গেছে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার জন্য ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন হৃৎপিণ্ডের রক্ত বহনকারী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয় বিশেষ করে ব্যায়াম করার সময় ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা বুক ধরপর এর মত সমস্যা হতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তি ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রসেসে রয়েছেন তারা অনেকেই ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সময় তিনি ব্যবহার করেন না কিন্তু এর সঙ্গে বিস্কুট কে ইত্যাদি ব্যবহার করেন ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভাবস্থায় ব্ল্যাক কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এটি গর্ভ অবস্থায় গর্ভে থাকা শিশুর ক্ষতি এবং গর্ভধারণের পূর্বে গর্ভধারণে অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে এর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ভ অবস্থায় ব্ল্যাক কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ব্ল্যাক কফি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ প্রক্রিয়া বাধা দিতে পারে ফলে হাড় দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেলে অনিদ্রা বা ইনজোমেনিয়া এর সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • আমাদের অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে খালি পেটে ব্লাক কফি খাওয়া নিয়মিত খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় আর এই এসিড আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাসিটি বা গ্যাসের সৃষ্টি করে অনেক সময় এটি আলসারের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • যাদের কিডনিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত যদি ব্ল্যাক কফি খান তাহলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় ধীরে ধীরে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেলে ব্রিদিং(breeding) সমস্যা বৃদ্ধি বা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।
  • মাত্রা অতিরিক্ত বা সঠিক না খেলে ব্ল্যাক কফি ডায়রিয়া জড়িত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • বিভিন্ন প্রকারের নার্ভের সমস্যা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেলে।
  • ঘন ঘন জিব্বা এবং গলা শুকিয়ে যাওয়া মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে বা সঠিক নিয়মে ব্ল্যাক কফি খেলে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে ব্ল্যাক কফি আমাদের দ্রুত শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুললেও মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি চাপ তৈরি করে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে শুধুমাত্র ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ছাড়াও নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়
  • প্রতিদিন কতটুকু ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত?
  • ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম
  • প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খাওয়া কি ভালো?
  • ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম
ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে

ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি জানার পর আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন জাগতে পারে সত্যিই ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে? জি হ্যাঁ, ব্ল্যাক কফি খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে ব্ল্যাক কফি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বাম মেদ ঝরায় এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কফি খেয়ে সহজ হয়।
কারণ কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ক্যাফেইন যা থার্মোজেনিক এ প্রভাব ফেলে এবং খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এছাড়াও কফিতে উপস্থিত রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের শরীর থেকে দ্রুত মেদ, অতিরিক্ত ক্যালরি বা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে এবং পুনরায় মেদ জমা হওয়ার আশঙ্কা দূর করে, শরীর থেকে ক্যালরি শোষণ করে। এর জন্য আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ কিংবা শরীরের মেদ বা চর্বি কাটানোর জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট মাত্রায় ও সঠিক নিয়মে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি জানার পর চলুন এখন আপনাদের মাঝে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন জেনে নেই। আপনি যদি অকেশনালি ব্ল্যাক কফি খাচ্ছেন এবং নি দিয়ে আপনি ব্ল্যাক কফি খেতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি এক দুই কাপ অবশ্যই ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।

কিন্তু আপনি যদি ব্ল্যাক কফি থেকে হেলথ বেনিফিট পেতে চান তাহলে কফি খাওয়ার সবচাইতে সঠিক পদ্ধতি হলো ব্ল্যাক কফি উইথআউট সুগার। দেখুন আপনার যদি চিনি ছাড়া স্বাদের জন্য ব্ল্যাক কফি খেতে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চিনি ভুলেও ব্যবহার করবেন না।
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়

এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে এটা নিয়ে আলোচনা করলাম এখন ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানব আপনি যদি ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনি কখনোই ব্ল্যাক কফি দিয়ে হেলথ বেনিফিট পাবেন না।

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সবচাইতে সঠিক সময় হচ্ছে সকালে খাবার পর কিংবা বিকালে সামান্য কিছু খাবারের পরে খাওয়া। তবে ব্ল্যাক কফি কখনোই খালি পেটে খাবেন না যখনই খান না কেন খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা কিংবা ২০ মিনিট পরে খাবেন। খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ক্ষতি হয় বিশেষ করে পাকস্থলীর জন্য এটি আমাদের এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে দেয় ফলে বুক জ্বালাপোড়া পেটে ব্যথা বমি ভাব ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।

এছাড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ও গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে খালি পেটে এবং ভরা ফেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দেয়। ব্ল্যাক কফি যেমন খালি পেটে খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তেমনি সকালে খাবার পর কিংবা রাত্রে খাবার আধাঘন্টা পরে খেলে আপনার হজম শক্তি, মেটাবলিজম, শরীর সতেজ, ক্লান্ত দূর ও আরো বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।
প্রতিদিন কতটুকু ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন কতটুকু ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত?

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি জানার পর চলুন এখন আপনাদের মাঝে প্রতিদিন কতটুকু ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে জেনে নেই। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। বাজারে যে সমস্ত ছোট কফির শেসে পাওয়া যায় সে শেসের মধ্যে ১.১ গ্রাম ব্ল্যাক কফি থাকে
এই পরিমাণ ব্ল্যাক কফির মধ্যে ক্যাফিন থাকে ৮২ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন অর্থাৎ ছোট শেসে দিয়ে এক কাপ পরিমাণে ব্ল্যাক কফি তৈরি করে খান তাহলে আপনি সারাদিনে চার থেকে পাঁচ কাপ পরিমাণে ব্ল্যাক কফি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ৪০০ মিলিগ্রামের থেকেও বেশি ক্যাফিন দীর্ঘদিন ধরে খেতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বেশ কিছু প্রবাবলি সাইড ইফেক্ট দেখতে পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের উপরুক্ত বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি এখন ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। সঠিক পদ্ধতিতে ব্ল্যাক কফি আমাদের ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম জানলে অবশ্যই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড আমাদের শরীর হতে দ্রুত ফ্যাট বা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে এবং পুনরায় শরীরে জমাতে বাধা সৃষ্টি করে এছাড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য গবেষণা ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরে গ্লুকোজের উৎপাদন হ্রাস করে এবং নতুন ফ্যাট এর কোষগুলো পুনরায় গঠন হতে বাধা প্রদান করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ দ্রুত হয়ে যায়।

এর জন্য অবশ্যই ব্ল্যাক কফি চিনি বাদ দিয়ে খেতে হবে। এছাড়া অবশ্যই ব্ল্যাক কফি সকালের খেতে চাইলে নাস্তা খাওয়ার পরে কিংবা ব্যায়াম করে নাস্তা খেয়ে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ব্ল্যাক কফি পান করবেন অপরদিকে রাতে কিংবা বিকেলে পান করলেও ভরা পেটে বা খালি পেটে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এছাড়াও চিনি সহকারে ব্ল্যাক কফি খেলে কখনোই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে না অন্যথায় ডায়াবেটিসহ অন্যান্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খাওয়া কি ভালো?

প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খাওয়া কি ভালো?

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি সম্পর্কে তো জানলেন তবে প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খাওয়া কি ভালো? চলুন জেনে নেই। প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি পান করলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায় বিশেষ করে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং অঙ্গ পতঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়, ইনজোমেনিয়া এর সমস্যা সৃষ্টি করে এছাড়াও ঘন ঘন ঠোঁট ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে আপনি যদি কিছুদিন খাবার পর কিছুদিন আবার গ্যাপ দিয়ে সঠিক মাত্রায় নিয়মিতভাবে দুই কাপ থেকে তিন কাপ পরিমাণে ব্ল্যাক কফি পান করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন বিশেষ করে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হার্ট সুস্থ থাকবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হবে, মানসিক শক্তি বৃদ্ধি, ভজন শক্তি বৃদ্ধি সহ কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির মত সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হবেন।
ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম

ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম

ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি সম্পর্কিত জানলেন তবে সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রথমে আমাদের ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়মটি জানতে হবে চলুন জানি।

  • ব্ল্যাক কফি তৈরি একেবারেই সহজ এজন্য প্রথমে একটি প্যানে গরম পানি করে নিতে হবে।
  • এরপর একটি চায়ের কাপে ব্ল্যাক কফি পাউডার ঢেলে এতে ফুটন্ত গরম পানি দিতে হবে এবার ভালো করে নাড়িয়ে নিতে হবে তাহলে তৈরি হয়ে গেল ব্ল্যাক কফি।
  • এছাড়াও আপনার ইচ্ছা অনুসারে এতে চিনি কিংবা লেবু ব্যবহার করে খেতে পারেন। তবে ব্ল্যাক কফি দিয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে চাইলে চিনি চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং যারা ওজন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা এতে লেবু ব্যবহার করতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য- ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের ব্ল্যাক কফির কার্যকরী ৩৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা, ব্ল্যাক কফি খেলে কি ওজন কমে ইত্যাদি ছাড়াও ব্ল্যাক কফি সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url