কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও কাঁচা হলুদ সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ছাড়াও কাঁচা হলুদ সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও কাঁচা হলুদের সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমিকা- কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা। প্রায় তিন হাজার বছর আগে থেকে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ শত সাল থেকে এই হলুদের ব্যবহার চলে আসছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ কাঁচা হলুদ রূপচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে চিনে থাকে।

হলুদের মধ্যে এক ধরনের একটিভ কম্পোনেন্ট থাকে যার নাম হলো কার্কুমাইন(Curcumin) এই উপাদানটি আমাদের রূপচর্চার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হেলথ বেনিফিট দিতে সক্ষম। হলুদের মধ্যে ২৬% ম্যাঙ্গানিজ , ১৬% আইরন, হাই কোয়ালিটির ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি ভরপুর মাত্রাই থাকে।
এছাড়াও হলুদের মধ্যে আন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট প্রপার্টি থাকে যার কারণে হলুদ আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও , সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়, কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত, প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত? ইত্যাদি কাঁচা হলুদ সম্পর্কে।

তাই আশা করব কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা নিয়ে ছাড়াও কাঁচা হলুদ দিয়ে লেখা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন কারণ আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি বিষয় বিস্তারিত সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক বেশি বেনিফিট হবে।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, হলুদ উপস্থিত অসীম গুণাগুণের জন্য এটি একটি মহৌষধি এবং রূপচর্চার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ধরা হয়। আর এই অসীম গুনাগুনের জন্যই কাঁচা হলুদ কে পাকাপোক্তভাবে আপনার ডেইলি লাইফে স্থান করা উচিত।
কিন্তু এটি পাকাপোক্তভাবে আপনার ডেইলি লাইফে স্থান দেবেন কেন। এই নিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্য দিয়ে কাঁচা হলুদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয়

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্য থেকে প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। মূলত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায় বা ফর্সা ভাব হারিয়ে যায়।

এই ফর্সা ভাব ভেতর থেকে বের করার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কাঁচা হলুদ। মূলত আমাদের শরীরে যখন ফ্রি মেডিকেল এর মাত্রা বা বিভিন্ন প্রকার ইনফ্লামেশন এর সৃষ্টি হয় তখন এমন ঘটে কিন্তু ও কাঁচা হলুদে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট প্রপার্টি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বা ফিল্ডেডিকেল গুলো ধ্বংস করে এবং পুনরায় সজ্জিত হতে বাধা প্রদান করে।
এছাড়াও কাঁচা হলুদের উপস্থিত আন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি আমাদের শরীরে ইনফ্লামেশন গুলোকে কম করতে সাহায্য করে ফলে ত্বকের আসল উজ্জ্বলতা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। কাঁচা হলুদ খেলে যেমন আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে তেমনি ত্বকের উপরে আপনি কাঁচা হলুদ এর পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা থেকেও দূরে থাকতে পারবেন তাই চলুন ত্বকের ওপরে কাঁচা হলুদের পেস্ট ব্যবহার করে কি কি সমস্যা বা উপকারিতাগুলো পাবেন জেনে নেই-

ত্বক উজ্জল: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনি যদি নিয়মিত রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধ কিংবা দুধের সর ও হলুদ একসঙ্গে মিশে টেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের রং ফর্সা করতে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

চোখের নিচের কালো দাগ: কাঁচা হলুদের পেস্টের সঙ্গে সামান্য মাখন মিশিয়ে চোখের নিচে ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ ও বলিরেখা দূর হয়।

জ্বালাপোড়া দূর: আপনার মুখে জ্বালা পোড়া হলে কুসুম গরম পানির সঙ্গে হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া সূর্যের তাতে শরীরের কোন স্থানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হলে বাদাম টক দই ও হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে নিয়মিত হলুদ মেশানো পানি খেলে রক্ত শুদ্ধ হয়।

ব্রণ দূর: হলুদে উপস্থিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এর জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করে এতে সামান্য লেবু ও চন্দন গুরা দিয়ে ব্রণ স্থানে কিংবা সমস্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ এর অনুষ্ঠানে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

স্ট্রেচ মার্ক দূর: কাঁচা হলুদ, বেসন ও সামান্য মধু ভালো করে মিশিয়ে পেজ তৈরি করে টেস্ট মার্ক স্থানে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে কিছুদিনের ভেতরে সে সকল দাগ দূর হয়ে যায়।

বার্ধক্য দূর: বার্ধক্য সমস্যার প্রধান কারণ হলো আপনার শরীরে বেড়ে যাওয়া ফ্রি রেডিকেল এর মাত্রা এবং যেকোনো প্রকারের ইনফ্লামেশন। হলুদের মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টি রয়েছে সেটি আমাদের শরীরের ফ্রি মেডিকেল গুলো ধ্বংস করতে সক্ষম এবং হলুদের মধ্যে যে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে সেটি আমাদের শরীরের ইনফ্লামেশন গুলোকে কম করতে সক্ষম। এর ফলে সঠিক সময়ের আগে মানুষের যে বার্ধক্যের সমস্যা হয় সে সমস্যা থেকে অনেকটাই থাকতে পারে।

ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর: কাঁচা হলুদ, ময়দা ও সামান্য চিনি ভালো করে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে সমস্ত ত্বকে ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়।
আশা করি কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্য থেকে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় এ সম্পর্কে জেনে অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় এ নিয়ে আলোচনা করলাম এখন আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম অর্থাৎ কি নিয়মে খেলে আপনার ত্বক দ্রুত সময়ের ভেতরে তার আসল উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে এবং ফর্সা হবে এই নিয়ে আলোচনা করব।

কাঁচা হলুদ অনেকে অনেক ভাবে খেয়ে থাকে কেউ বা কাঁচা হল চিবিয়ে থাকে কেউ কাঁচা হলুদ পানির সাথে ফুটিয়ে খেয়ে থাকে আরো বিভিন্ন উপায়ে মানুষ খেয়ে থাকেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি হলুদ খাওয়ার নিয়ম জানাবো সে নিয়মে যদি আপনি কাঁচা হলুদ খান তাহলে, আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হওয়ার সাথে,
শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বেনিফিট পাবেন। এখন আমি আপনাদের মাঝে একটি ন্যাচারাল ড্রিঙ্ক বানানো সম্পর্কে জানাবো যার প্রধান উপাদানই হবে হলুদ এবং তার সাথে আরো কিছু ভেষজ উপাদান আমরা এই ড্রিংকস এর মধ্যে ব্যবহার করব যার ফলে এই কার্কুমাইন(Curcumin) এর মেডিসিনাল বেনিফিট আপনি আরো বেশি পেতে পারেন।

  • প্রথমে আমরা দুই কাপ পরিমাণে পানি সসপ্যানের মধ্যে নিয়ে সেই পানির ভেতরে হাফ ইঞ্চিস সাইজের একটি কাঁচা হলুদ বেটে পেস্ট করে নিয়ে পানিটিকে ফুটিয়ে নেব।
  • এরপর এতে এক ইঞ্চি সাইজের একটি আদা নিয়ে সে আদা টুকরোটিকে ভালো করে পরিষ্কার করে থেঁতো করে মিশ্রনের ভেতরে দিয়ে দেব এর সাথে ১৫ থেকে ২০ টি গোল মরিচ নিয়ে গুঁড়ো করে ওই মিশনের ভেতরে দিয়ে দেব।
  • এবার এক ইঞ্চি সাইজের একটি দারুচিনি একইভাবে গুঁড়ো করে নিয়ে মিশ্রনের ভেতরে দিয়ে দেব। এরপর ওই মিশ্রণটিকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নেব। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন মিশ্রণটি যেন ৫ মিনিটের বেশি ফুটে না যায়।
  • যদি পাঁচ মিনিটের বেশি ফুটে যায় তাহলে এ সমস্ত ভেষজ উপাদান গুলোর মধ্যে যে সমস্ত মেডিসিনাল প্রোপার্টি রয়েছে সেই প্রপারটিজ গুলো কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • এবার এটিকে একটি ছাকুনির সাহায্যে ভালো করে ছেকে নেব। এবার এই মিশ্রণটির ভেতরে অর্ধেক পাতি লেবু রস দিয়ে দেব।
  • এই মিশ্রণটি আপনি সারাদিনে একবার বা দুইবার খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এই মিশ্রণ দিয়ে আপনি রাতের বেলা বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবেন নতুবা সকালে ব্রেকফাস্ট করার পরে খাবেন। তা না হলে সকালবেলা ব্রেকফাস্ট করার পরে এবং রাতের বেলা ঘুমানো সময় দুই বেলায় আপনি খেতে পারেন। তাহলে আপনি বেশি বেনিফিট পাবেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন কাঁচা হলুদ সম্পর্কে শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আমি আলোচনা করছি না নিম্নে কাঁচা হলুদ সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ছাড়াও নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-

  • কাচা হলুদ এর উপকারিতা
  • কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়
  • প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত?
  • সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়
  • কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত
কাচা হলুদ এর উপকারিতা

কাচা হলুদ এর উপকারিতা

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি জানার পর এর চলুন কাচা হলুদ এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। কাঁচা হলুদ ভেষজ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর যা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। তাই চলুন কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কাচা হলুদ এর উপকারিতা গুলো জেনে নেই-

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: হলুদ ফুল অফ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। হলুদের মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিস থাকে সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টি আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে অর্থাৎ আমাদের বয়স যখনই ৪০ পার হয়ে যায় আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকেলস এর মাত্রা বাড়তে থাকে।

এই ফ্রী রেডিকেল আপনার শরীরে উৎপত্তি হওয়া এক ধরনের মলিকিউল যা আপনার শরীরের হেলদি কোষ গুলোকে বা হেলদি টিসুগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এই ফ্রিরেডিকেল আপনার শরীরে উৎপত্তি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ধূমপান, বায়ু দূষণ এছাড়াও সবজিতে ব্যবহৃত কীটনাশক, মাছ চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য এছাড়াও অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার শরীরে কিন্তু ফ্রি রেডিক্যাল এর মাত্রা বাড়তে থাকে।
ফলে এ সকল কারণে যখন আপনার শরীরে ফ্রি রেডিকেল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক ডিজিজ এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্রনিক ডিজিজ বলতে আপনার বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা হতে পারে, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। হলুদের মধ্যে যে সকল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে,

সে সমস্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টি আপনার শরীরের ফ্রি রেডিকেন্সগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ফলে আপনার শরীরে যখন ফ্রি রেডিকেল গুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে তখন এ সমস্ত ক্রনিক রোগের থেকেও আপনি অনেকখানি দূরে থাকতে সক্ষম হবেন। তাই নিয়মিত আপনি কাঁচা হলুদ আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে ফেলুন।

আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য: আপনি কি জানেন যে কোন প্রকারের প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন আপনার শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। আপনার যে সমস্ত সেল গুলি আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার কারণে ড্যামেজ হয়ে যায় সেই সেলগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে এছাড়াও আপনার শরীরকে বাইরে শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু এই প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন যত ছোট আকারের হোক না কেন সেটা যখন দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সে সমস্ত প্রদাহর থেকে আপনার শরীরকে বিভিন্ন প্রকারের রোগ বাসা বাঁধতে পারে যেমন হার্ট, মেটাবলিক সিনড্রোম, ক্যান্সার ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আমাদের শরীরে যে কোন প্রকারের প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য একমাত্র দায়ী

এক ধরনের অনুকোষ যার নাম হলো এনএফ-কেবি - নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর কাপ্পা বিটা(NF-KB - Nuclear factor Kappa Beta) এই অনুসেল যে কোন প্রকার প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। হলুদের মধ্যে যে আন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে এটি আমাদের শরীরে এনএফ-কেবি - নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর কাপ্পা বিটা(NF-KB - Nuclear factor Kappa Beta) সেলকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

ডায়রিয়া: আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে কারো যদি পুরাতন বা ঘন ঘন ডায়রিয়া মত সমস্যা থাকে কিংবা পেটের বায়ুজনিত সমস্যা থাকে তাহলে হলুদের রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে খেলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কৃমিনাশক: যেহেতু এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ এর জন্য এটি আমাদের পেটের কৃমিনাশক হিসেবে বা কৃমির দমনের জন্য ঔষধ এর মত কার্যকর হয় এর জন্য আপনি কাঁচা হলুদের রস ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা নিয়ে এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কিছুদিন সকালে খালি পেটে খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

তোতলামি দূর: প্রাচীনকাল থেকে দাদি নানিরা ছোট বাচ্চাদের ছোটবেলার তোতলামি দূর করার জন্য বা স্বাভাবিকভাবে কথা বলানোর জন্য কাঁচা হলুদ পেস্ট তৈরি করে এক চা চামচ ঘি এর মধ্যে ভেজে দুই থেকে তিন দিন খাওয়াতো এতে তোতলামি অনেক দ্রুত কমে যেত।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: হলুদ এ উপস্থিত অ্যান্টি ওবেসিটি আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে এর সাথে সাথে এটি আমাদের মেটাবলিজম হারকে বাড়িয়ে দেয় যার কারণে নিয়মিত কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি চা খেলে দ্রুত সময়ের ভিতরে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এছাড়াও হলুদে উপস্থিত কিউমিন আমাদের শরীরে যে স্থানে ফ্যাট সংরক্ষণ হয় সেই সংরক্ষণকারী কোষগুলি উৎপাদনে বাধা প্রদান করে থাকে এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

সর্দি কাশি থেকে মুক্ত: সর্দি কাশি কিংবা জ্বর হলুদ যেন এক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এ সকল সংক্রমনের উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এর জন্য করে খেতে পারেন কিংবা একটি হলুদের টুকরো মধুমা খেয়ে আস্তে আস্তে চুষে খেতে পারে এছাড়াও জ্বর ও কাশি বা গলা ব্যথা কমানোর জন্য এক গ্লাস দুধের সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ ও মাখন মিশিয়ে খেতে পারেন।

জ্বালাপোড়া দূর: আপনার মুখে জ্বালা পোড়া হলে কুসুম গরম পানির সঙ্গে হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া সূর্যের তাতে শরীরের কোন স্থানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হলে বাদাম টক দই ও হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে নিয়মিত হলুদ মেশানো পানি খেলে রক্ত শুদ্ধ হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ: আমাদের শরীরে যে কোন সেল এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিই হলো ক্যান্সার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হলুদের মধ্যে যে কার্কুমাইন(Curcumin) থাকে এটি আমাদের শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সেল এর গ্রোথ হতে বাধা প্রদান করে এছাড়াও ক্যান্সারসেলকে শরীরের ছড়িয়ে পড়ার থেকে রক্ষা। বিশেষ করে আপনার,

গ্যাস্ট্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যান্সার, লাঞ্চ ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, নিউরো ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার ইত্যাদি ক্যান্সারের সেলকে বৃদ্ধি হতে বাধা সৃষ্টি করে এই কার্কুমাইন(Curcumin)। ক্যান্সার টিটমেন্টের সাথে সাথে যদি সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক পরিমাণে আপনি নিয়মিত হলুদ খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের জার্নি আরো অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন শুধুমাত্র হলুদ খেয়ে আপনার ক্যান্সার এর ট্রিটমেন্ট সম্ভব নয় আপনার ক্যান্সারের সঠিক ট্রিটমেন্টের সাথে সাথে যদি আপনি হলুদ খান তাহলে আপনার শরীরকে কিন্তু ওই সমস্ত ক্যান্সার সেল এর সাথে লড়াই করার জন্য উপযোগী করে তোলে।

ক্ষত সারাতে: কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কাঁচা হলুদের অন্যতম উপকারিতা হলো ক্ষত সারানো। কাঁচা হলুদ মূলত একটি ভেষজ প্রাকৃতিক ন্যাচারাল এন্টিসেপটিক তাই আপনার কোন স্থানে কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে উক্ত স্থানে হলুদ পেস্ট করে লাগিয়ে দিলে দ্রুত ব্যথা প্রশম হয় এবং এর সাথে সাথে উক্ত স্থানের দাগ ও দূর হয়ে যায়।

হার্ট সুস্থ: ২০১৭ সালে একটি গবেষণা করা হয় সেখান থেকে জানাই গিয়েছে যে হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন আমাদের শরীরের টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা রাশ করতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোরিস্তেরা মাত্রার রাস করে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি কমে দেয় ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে অনেক বেশি দূরে থাকা সম্ভব হয়।

আলসার: ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার হলুদ সম্পর্কে একটি তথ্য প্রকাশ করে যেখানে জানানো হয় নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ পুনরায় শরীরে হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।

লিউকেমিয়া: হলুদে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিনাল প্রোপার্টি রয়েছে প্রোটিন, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা, খনিজ লবণ ইত্যাদি যা শিশুদের লিউকেমিয়া রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি কমে দেয়। এর জন্য অবশ্যই আপনারা আপনাদের রান্নায় যেকোনো ধরনের সবজিতে হলুদ ব্যবহার করবেন এবং বাচ্চাদের খাওয়াবেন।

রক্তস্বল্পতা দূর: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিকেল একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে কাঁচা হলুদের অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন রয়েছে ফলে এটি আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে হলুদ আমাদের শরীরে রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করা ছাড়াও নতুন রক্ত উৎপাদনে ও সাহায্য করে।

চর্মরোগ দূর: যেহেতু হলুদ প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক এবং এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এন্ড টিউটোরিয়াল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে আপনার যদি অ্যালার্জি, একজিমা, চুলকানি ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সমস্ত শরীরে মাখতে পারেন এতে আপনি অনেক বেশি আরাম পাবেন।

আলঝেইমার প্রতিরোধ: সারা পৃথিবীতে যে সমস্ত মানুষরা স্মৃতিভ্রমের সমস্যায় ভুগছেন সে সমস্ত মানুষের স্মৃতিভ্রমের প্রধান কারণ হলো অ্যালজাইমার ডিজিস(Alzheimer's Disease) আর এ সমস্যার ট্রিটমেন্টের জন্য হলুদের মধ্যে থাকা কার্কুমাইন(Curcumin) বিশেষ ভূমিকা রাখে। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টি এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি এ সমস্ত অ্যালজাইমার পেশেন্টের জন্য বিশেষ উপকারী।

কার্কুমাইন(Curcumin) এর মধ্যে যে সমস্ত লাইকোফিলিক ইফেক্ট(Lypophilic Effect) থাকে সে সমস্ত ইফেক্ট আমাদের ব্রেনের মধ্যে থাকা ব্লাড ভেসেল গুলোকে হেলদি রাখতে সক্ষম। ফলে ব্লাড ভেসেল গুলি যখন হেলদি থাকে তখন আমাদের ব্রেনের সেলে সেলে ব্লাড এবং অক্সিজেন ঠিকঠাক ভাবে পৌঁছে যায় তার ফলে এ সমস্ত অ্যালজাইমা ডিসিসের মতো সমস্যা থেকে কিন্তু অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: হলুদ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের আন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ও কারকিউমিন যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

লিভার সুস্থ: হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি লিভারকে সুস্থ বা লিভারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে লিভারে উপস্থিত কারকিউমিন লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হলুদ।

হাড় মজবুত: যে কোন বয়সে মানুষের যে সমস্ত জয়েন্ট পেনের সমস্যা দেখা দেয় সেটিকে বলা হয় আর্থারাইটিস। হলুদের যে কার্কুমাইন(Curcumin) রয়েছে এর যে আন্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি আছে এটি আর্থারাইটিস ট্রিটমেন্টের জন্য কিন্তু বেশ লাভদায়ক।

এছাড়াও আপনি যেকোন প্রকারের আর্থারাইটিস জনিত জয়েন্ট পেনের সমস্যা, আঘাত জনিত সমস্যায় আপনি কাঁচা হলুদ কে বেটে এতে অল্প পরিমাণে চুন এবং অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে এটিকে গরম করে হালকা গরম অবস্থায় ব্যথায় স্থানে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি সাময়িকভাবে ব্যথা থেকে আরাম পাবেন।

বাতের ব্যথা: বাতের ব্যথা কিংবা বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা কম করতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদের যে আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটি বাতের ব্যাথা উপশম করে ফলে আপনি আপনার বাতের ব্যথা দূর করার জন্য নিয়মিত কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে এক গ্লাস পানি মিশিয়ে খেতে পারেন।

ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কাঁচা হলুদের অন্যতম স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা। একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে নিয়মিত যারা সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ এর চা খায় তাদের শরীরে এমন কিছু উপাদান বৃদ্ধি পায়

যেগুলো শরীরে ইনসুলের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে ফলে এই মরণব্যাধি রোগ ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় কাঁচা হলুদ যুক্ত করতে পারেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে কাচা হলুদ এর উপকারিতা গুলো যেন অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের উপর তা আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি তবে কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় এ সম্পর্কেও আপনাদের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কাঁচা হলুদ আপনি যখন রূপচর্চা বা

শারীরিক কোন সমস্যা দূর করার জন্য খাবেন তখন অবশ্যই এর সঠিক মাত্রা বা সঠিক নিয়ম না জেনে খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে তাই চলুন অতিরিক্ত মাত্রায় বা সঠিক পদ্ধতি না মেনে খেলে কিংবা কোন ব্যক্তিদের জন্য কাঁচা হলুদ খাও মোটেও উচিত নয় বা কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় জেনে নেই-

  • যে সমস্ত মানুষেরা ব্লিডিং ডিসঅর্ডার এ ভোগেন অর্থাৎ যে সমস্ত মানুষদের কোন স্থান কেটে যাওয়ার পর যদি সহজে রক্তপাত বন্ধ না হয় সে সমস্ত মানুষেরা কিন্তু হলুদ এভোয়েড করে চলবেন।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেলে এটি আমাদের শরীর থেকে আয়রন শোষণ করে ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্র কমে যেতে পারে এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
  • হলুদ আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেলে অ্যানিমিয়ার মত সমস্যা বা রক্তস্বল্পতাও দেখা দিতে পারে।
  • যে সমস্ত মানুষদের আগত দিনে অস্ত্র প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে সে সমস্ত মানুষরাও কিন্তু হলুদ খাবেন না।
  • মাত্র অতিরিক্ত হলুদ খেলে যেহেতু হলুদ শরীর থেকে শোষণ করে ফলে হজম সমস্যা ছাড়াও মাথাব্যথা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, আলসার ও শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
  • যে সমস্ত মানুষেরা নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন সে সমস্ত মানুষেরাও কিন্তু হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • যারা গলব্লাডার স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন বা যে সমস্ত মানুষেরা কিডনি স্টোনের সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকায় শ্রেয়।
  • গর্ভবতী মায়েরাও কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো হয়।
প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত?

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি জানার পর আপনি যদি কাঁচা হলুদ খেয়ে টক উজ্জ্বল বা ফর্সা করতে চান বা উপরোক্ত উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খাওয়া উচিত? বাকি পরিমাণে খেলে আপনি এর সম্পূর্ণ
স্বাস্থ্য উপকারিতা বা গুণাগুণ গুলো পাবেন চলুন জানি। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে পারে তবে সবচেয়ে ভালো হয় ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া। এতে কোন প্রকার শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি এখন আমি আপনাদের মাঝে সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয় এই সম্পর্কে জানা যথেষ্ট চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা গুলো উপরোক্ত পড়েছেন এবং সে সকল উপকারিতা গুলো পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সকালে খালি পেটে খেতে হবে কারণ আপনি সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ আপনার ইচ্ছাও অনুসারে যে কোন নিয়মে খেলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা টা বেশি পাবেন।
কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত

কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে তো আমরা জানলাম তবে উপরোক্ত উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আমাদের কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে কি আপনার কোন ধারনা রয়েছে না থাকলে চলুন জেনে নেই।
মূলত কাঁচা হলুদ আপনি রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে কিংবা সকালে নাস্তা করার পরে কিংবা নাস্তা সময় খেতে পারেন। এই দুই সময়ে যেকোনো এক সময়ে কিংবা দুই সময়ে আপনি কাঁচা হলুদ দিয়ে তৈরি চা, চিবিয়ে খাওয়া কিংবা পেস্ট তৈরি করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকার হবে।

লেখকের মন্তব্য- কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় - কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাচা হলুদ এর উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও কাঁচা হলুদ সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।

এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url