পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি
উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি। এছাড়াও
পেয়ারা সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ
অনুরোধ রইলো।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও পেয়ারা সম্পর্কে আপনার
যত প্রশ্ন ও সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই সঠিক সমাধান ও উত্তর পাবেন এবং খাওয়ার
সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানতে পারবেন এছাড়াও পেয়ারার সঠিক স্বাস্থ্য উপকারিতা
গ্রহণ করতে পারবেন।
ভূমিকা- পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি। বাজারে যে সমস্ত
জনপ্রিয় ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো আপেল। আমরা মনে করি আপেল আমাদের
স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। দেখুন আপেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
এটা সত্যি কিন্তু
একটি আপেলের থেকে একটি পেয়ারা কত গুন বেশি উপকারী তার পুষ্টি গুণ নিয়ে যদি আমরা
আলোচনা করি তখন আমরা বুঝতে পারবো। আপেলের ভেতরে যে পরিমাণে আয়রন অর্থাৎ ০.১২
মিলিগ্রাম পাওয়া যায় তার দুই গুণ বেশি আয়রন অর্থাৎ ০.২৬ মিলিগ্রাম রয়েছে
পেয়ারায়, আপেলে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ৫ মিলিগ্রাম এবং পেয়ারায় ম্যাগনেসিয়াম
রয়েছে ২২ মিলিগ্রাম অর্থাৎ প্রায় ৪ গুণ বেশি ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে,
ডায়েটারি ফাইবার আপেলে রয়েছে ২.৪ মিলিগ্রাম এবং আপেলে পেয়ারায় রয়েছে ৫.৪
মিলিগ্রাম অর্থাৎ পেয়ারায় আড়াই গুণ বেশি ফাইবার রয়েছে, আপেলে ফসফরাস রয়েছে
১১ মিলিগ্রাম এবং ও পেয়ারায় ৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস রয়েছে অর্থাৎ পেয়ারায় সাড়ে
তিন গুণ বেশি ফসফরাস বেশি রয়েছে আবার আপেলের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে ০.২৬ গ্রাম
এবং পেয়ারায় রয়েছে ১২.৫৫ গ্রাম অর্থাৎ পিআরআই ১০ গুন বেশি প্রোটিন রয়েছে,
১০.৩৯ গ্রাম সুগার রয়েছে অপরদিকে পেয়ারায় ৮.৯২ গ্রাম সুগার রয়েছে অর্থাৎ
পেয়ারায় ১৫% কম সুগার রয়েছে, সবকিছু মিলেমিশে একটি আপেলের থেকে একটি পেয়ারা
নিঃসন্দে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব পেয়ারা
খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার
উপকারিতা ইত্যাদি
ছাড়াও গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা, পেয়ারার পুষ্টিগুণ, দিনে কয়টা
পেয়ারা খাওয়া উচিত?, পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়, রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়,
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা, প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি
ছাড়াও পেয়ারা দিয়ে লেখা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন কারণ আপনাদের মাঝে প্রত্যেকটি
বিষয় বিস্তারিত সহজ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য
অনেক বেশি বেনিফিট হবে।
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
বাজারে যে সমস্ত দামি ফল রয়েছে সে সমস্ত ফলের মধ্যে যে পুষ্টিগুণ বা যে উপকারিতা
রয়েছে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি উপকারিতা বা পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে এই পেয়ারার
মধ্যে। শুধুমাত্র ফলটির মধ্যে নয় পেয়ারা গাছের পাতা এতটাই উপকারিতা রয়েছে যেটি
অবাক করার মতো।
তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩৫টি উপকারিতা
ও অপকারিতা মধ্যে পেয়ারার বেশ কিছু আশ্চর্যকর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। তাই
চলুন দেরি না করে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে
নেই।
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে প্রথমে আমরা পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। পেয়ারায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন সম্পন্ন
উপাদান রয়েছে যার কারণে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি ফলে চিকিৎসক ও
বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাই চলুন দেরি
না করে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা তোর মধ্য থেকে পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেতে
পারেন তাহলে ওই পেয়ারা নিঃসন্দে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করবে। এর কারণ পেয়ারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনি
শুনলেও হয়তো আশ্চর্য হয়ে যাবেন একটি কমলালেবুর মধ্যে যত পরিমাণে ভিটামিন সি
থাকে তার ৪গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে সমপরিমাণের একটি পেয়ারার মধ্যে। যে ভিটামিন
সি আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ারকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ: পেয়ারা আমাদের শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের
ব্যালেন্স রাতে সাহায্য করে ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং উচ্চ
রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।
শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি: পেয়ারাতে উপস্থিত ভিটামিন সি আমাদের শরীরের
ডাব্লিউ বি সি বা শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের রক্তে
যখন শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি পাই তখন আমাদের শরীরকে বিভিন্ন প্রকারের
ভাইরাল ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার
ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য এবং শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য
প্রতিদিন আপনি আপনার খালে তালিকায় পেয়ারাযুক্ত করতে পারেন।
চোখ সুস্থ: পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্য
থেকে পেয়ারের অন্যতম স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করা।
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে আর আমরা জানি ভিটামিন এ আমাদের চোখের
জন্য কতটা উপকারী যার কারণে আপনি যদি নিয়মিত একটি করে মাঝারি সাইজের পেয়ারা
খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেন তাহলে আপনার বাড়াতে সাহায্য করবে, চোখে ছানি পড়ার
সম্ভাবনা কমিয়ানে এছাড়াও চোখ দিয়ে পানি পড়া দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ: কটি আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার
থাকে একটি পেয়ারার মধ্যে তার আড়াই গুণ বেশি ডায়েটারি ফাইবার বিদ্যমান থাকে। যে
ডায়েটারি ফাইবার আমরা সারাদিনে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খায় সেগুলোর শোষণ
কমিয়ে দেয়।
বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেম উন্নত: পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক
এসিড আর এই ফলিক এসির গর্ভাবস্থায় সকল ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের ফলিক এসিড
জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন কারণ এই ফলিক এসিড গর্ভে থাকা বাচ্চার
নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নতি করা ছাড়াও বাচ্চাদের নিউরোলজিক ডিসঅর্ডার হওয়া থেকে
দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ:
পেয়ারা লো গ্লাইসামি ইনডেক্স ফল। পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ১২। আর
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১২ হওয়ার জন্যই এবং এতে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকার জন্য
পেয়ারা কিন্তু সংকোচে ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি ফুট। আবার বেশ কিছু গবেষণায় দেখা
গিয়েছে, পেয়ারার পাতা সেদ্ধ করে যদি চায়ের মত করে খাবার পরে যদি আপনি খেতে
পারেন তাহলে,
আপনার শরীরে যদি ইন্সুরেন্স রেজিস্ট্যান্স এর মত সমস্যা থেকে থাকে সে
সমস্যাগুলোকে কম করে। তাই আপনি অবশ্যই ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি ফল হিসেবে পেয়ারা
খেতে পারেন এবং আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য পেয়ারা খেতে পারেন বা পেয়ারা
পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: আপনার পি পি ব্লাড সুগার অর্থাৎ কোস্ট
প্যান্ডিয়াল ব্লাড সুগার বা খাবার খাবার পরে যে ব্লাড সুগার টেস্ট করা হয় তার
লেভেল ১০% পর্যন্ত কমে দিতে পারে পেয়ারা। পেয়ারা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার হেলথ
এর জন্য অর্থাৎ হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তার কারণ পেয়ারার মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে হাই পাওয়ারফুল এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি
আমাদের হার্টে ব্লাড সার্কুলেশনের জন্য যে সমস্ত আটারি বা ব্লাড ভেসেল গুলি
রয়েছে সেগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ: পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আমাদের
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের ব্লাড সার্কুলেশনের যে সমস্ত
আটারি বা ব্লাড ভেসেল গুলি রয়েছে সেগুলোকে ফ্লেক্সিবল করে রাখতে সাহায্য করে।
তাই যদি আপনার কোন প্রকার হার্টের সমস্যা থেকে থাকে বা পরবর্তী ক্ষেত্রে গিয়ে
আপনার কোন প্রকার হার্টের সমস্যা না হয় সে কথা চিন্তা করে অবশ্যই আপনার
প্রতিদিনের ফলের প্লেটে পেয়ারাকে জায়গা করে দিতে পারেন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: পেয়ারার মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের ফাইবার অর্থাৎ
পেয়ারার মধ্যে সলিবল ফাইবার(Soluble Fiber) এবং ইনসলিবল ফাইবার(Insoluble Fiber)
ও পাওয়া যায় এই দুই ধরনের ফাইবার আমাদের রক্তের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কম করতে সাহায্য করে, আমাদের রক্ত থেকে ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কম করতে
সাহায্য করে এবং আমাদের রক্তে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে।
সবকিছু মিলেমিশে আপনার কোন প্রকার হার্টের সমস্যা থেকে থাকে বা আপনার রক্তে
কোলেস্টেরল ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি রয়েছে বা পরবর্তী ক্ষেত্রে গিয়ে
আপনার কোন প্রকার হার্টের সমস্যা না হয় সে কথা চিন্তা করে অবশ্যই আপনার
প্রতিদিনের ফলের প্লেটে পেয়ারাকে জায়গা করে দিতে পারেন।
ত্বক ও চুলের যত্নে: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের তক চুলের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে
এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় ত্বকের রুক্ষতা দূর হয় এবং শীতকালীন
বিভিন্ন সমস্যা যেমন হাত পা ঠোঁট ফেটে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।
মাসিককালীন ব্যথা দূর: মাসিক কালীন সময়ে মেয়েদের সকলের একই সমস্যা থাকে
সেটি হল অতিরিক্ত পরিমাণে পেটে ব্যথা এই পেটে ব্যথা দূর করার জন্য অনেকেই আছেন
যারা ব্যথার ঔষধ সেবন করে থাকেন কিন্তু কিন্তু আপনি প্রাকৃতিক ন্যাচারাল বা
ঘরোয়া উপায় দিয়ে খুব সহজে এই ব্যথা থেকে দূরে থাকতে পারবেন সেটি হলো পেয়ারার
পাতার রস খেয়ে।
পেড়ার পাতার রস যেমন আমাদের শারীরিক কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
তেমনি দ্রুত সময়ের ভেতরে পিরিয়ডের অসহ্য ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও
নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খেলে এটি মাসিককালীন ব্যথা চিরতরে দূর করতে সাহায্য
করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর
মধ্যে থেকে পেয়ারার আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারী গুণ হলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করা।
আপনার যদি হজমের সমস্যা থেকে থাকে বা মনে করুন আপনার যদি কন্সটিপেশনের মতো সমস্যা
রয়েছে সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনি পেয়ারার সাহায্য নিতে পারেন।
কারণ পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং ডায়েটারি
ফাইবারের মধ্যে সলিবল ফাইবার এবং ইন সলিবল ফাইবার ও রয়েছে। একজন মানুষের
সারাদিনে যত পরিমানে ফাইবারের প্রয়োজন হয় আপনি যদি একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারা
খেয়ে থাকেন তার ১২% পর্যন্ত ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যেতে পারে। আর এটি আমাদের
ডাইজেস্টিভ ফাংশনকে বেটার করতে সাহায্য ক।রে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: আমরা যখন পেয়ারা খাই তখন পেয়ারার সাথে সাথে পেয়ারার
বীজ যদি আমরা চিবিয়ে খেতে পারি তাহলে পেয়ারার বীজ আমাদের ঘাটের মধ্যে বা পেটের
মধ্যে একটি ল্যাগজেটিভ ইফেক্ট দিতে পারে যেটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দূর
করতে সাহায্য করবে। তাই যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে থাকে সে
ক্ষেত্রে আপনি পেয়ারা খাওয়ার সময় পেয়ারার বীজ চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গর্ভাবস্থায়:
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে পেয়ারার অন্যতম
শ্রেষ্ঠ উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে গর্ভবতী মহিলার জন্য। হয়তো আপনারা খেয়াল করে
থাকবেন গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসকরা প্রায়শয় আয়রন এবং ফলিক এসিড জাতীয় খাবার
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দেখুন পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন নেই
ঠিকই কিন্তু ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি৯ রয়েছে ভরপুর মাত্রায়।
একজন মানুষের সারাদিনে যত পরিমাণে ফলিক এসিডের প্রয়োজন একটি মাঝারি সাইজের
পেয়ারার মধ্যে তার ২০% পর্যন্ত কভার দিতে পারে এবং এর সাথে একজন মানুষের
সারাদিনে যত পরিমানে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন মাঝারি সাইজের পেয়ারার মধ্যে তার
৪০০% পর্যন্ত ভিটামিন সি পাওয়া যেতে পারে। সবে মিলে মিশে একজন গর্ভবতী মহিলার
জন্য পেয়ারা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ডায়রিয়া রোধ: পেয়ারা আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে
কারণ এতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে
ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি কমে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিন রয়েছে এছাড়া খুবই অল্প পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যার কারণে এটি আমাদের
বিপাকের ক্ষমতা উন্নত করে। এজন্য আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত চিনি
ছাড়া পেয়ারা পাতার চা কিংবা নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তুলতে পারেন। এছাড়া পিআরআই রয়েছে উচ্চমাত্রায় লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
যা আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষুধা লাগা থেকে বিরত রাখে।
দাঁত সুস্থ:
যে সমস্ত মানুষেরা নিয়মিতভাবে দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পান সে সমস্ত মানুষদের
পেয়ারার পাতা চিবিয়ে সেই পেয়ারার পাতার রস দাঁতের মধ্যে লাগাতে বলা হয়ে থাকে
এবং যথেষ্ট ম্যাজিকাল রেজাল্ট দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণ পেয়ারা পাতার রসের
মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্ট ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি যা আমাদের দাঁতের মধ্যে
বা মাড়ির মধ্যে যদি কোন প্রকারের ইনফ্লামেশন থেকে থাকে সেটি কম করতে সাহায্য
করে।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর ১২ টি ঘরোয়া উপায়
এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি যেটি আমাদের দাঁতের মাড়ির
বা দাঁতে কোন প্রকার ইনফেকশন থেকে থাকলে সেটি কম করতে সাহায্য করে এবং এর সাথে
সাথে পেয়ারার পাতার মধ্যে রয়েছে পেন রিলিভিয়িং এজেন্ট যা দাঁতের ব্যথা বেদনাকে
কম করতে সাহায্য করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আপনার দাঁতে ব্যথা অনুভূতি হলে পেয়ারার
কচি পাতা চিবিয়ে রস দাঁতের মধ্যে লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
ক্লান্তি দূর: পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যেটি
আমাদের মাসেল গুলিকে রিলাক্স করে রাখতে সাহায্য করে এবং এর সাথে সাথে আমাদের
সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। আমরা যখন প্রচুর ক্লান্ত
হয়ে পড়ি তখন আমাদের মাসেল গুলিকে রিলাক্স করে আমাদের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য
করে এই পেয়ারা এবং এর সাথে সাথে যখন আমরা সারাদিন প্রচুর মেন্টাল স্ট্রেস বা
ফিজিক্যাল স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও কিন্তু আমাদের স্ট্রেস রিলিজ
করতে সাহায্য করতে পারে পেয়ারার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম।
সর্দি কাশি দূর: আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে পেয়ারা কচি অবস্থায় থাকে
বা ছোট অবস্থায় যে পেয়ারা থাকে সেই পেয়ারা জুস করে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে
আপনার সর্দি কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে ওই ছোট কচি পেয়ারার জুস। এর কারণ বড়
সাইজের পেয়ারার মধ্যে যত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে একটি ছোট সাইজের পেয়ারার
মধ্যে ভিটামিন সি এর মাত্রা অনেক বেশি থাকে।
যে ভিটামিন সি আপনার লাঞ্চ এর মধ্যে কোন প্রকারে ইনফেকশন থেকে থাকে সেদিকে কম
করতে সাহায্য করে আপনার সর্দি কাশির মতো সমস্যাকে কম করতে সাহায্য করে এবং আপনার
বুকের মধ্যে যদি কফ জমে থাকে সেই কফ কম করতে ও সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এর মধ্যে থেকে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে পেয়ারার ভূমিকা অনেক বেশি। পেয়ারার মধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৩ এবং ভিটামিন বি ৬। যেটি আপনার নিয়াসিন এবং
পাইরডক্সিন নামে পরিচিত। এটি আমাদের ব্রেনের ব্লাড সার্কুলেশনকে ইম্প্রুভ করে
গগনেটিক স্ট্রেন্থ স্টিমুলেট করে এবং সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম রিলাক্স রাখতে
সাহায্য করে। এর ফলে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে
অ্যালজাইমার ডিজিজ বা পারকিনসন ডিজিজ এর মত সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে হতে হয় না।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেতে পারেন তাহলে
ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও আপনি অনেকখানি দূরে থাকতে পারবেন। তার
কারণ পেয়ারার মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন(Lycopene), কসেটিন(Quercetin), ভিটামিন সি
এবং পলিফেনল এর মত হাই পাওয়ারফুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যেগুলো আমাদের শরীরে মধ্যে যে সমস্ত ফ্রি রেডিকেলস এর উৎপন্ন হয় সেগুলোর সাথে
লড়াই করে এবং ফ্রী রেডিকেলগুলিকে ধ্বংস ও করে দেয়। তার ফলে আমাদের শরীরে কোন
প্রকারের ক্যান্সার সেল এর উদ্ভাবন হয় না বা আগের থেকে কোন ক্যান্সার সেল থেকে
থাকে সে ক্যান্সার সেল যাতে বিস্তার হতে না পারে সে দিক থেকেও সাহায্য করে।
পেয়ারার মধ্যে যে লাইকোপেন(Lycopene) রয়েছে সেটি আমাদের বেস্ট ক্যান্সারে সেল
এর সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং বেস্ট ক্যান্সারের যে সেল সে সেলগুলো যাতে
ছড়িয়ে না পড়ে সে দিক থেকেও সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিতভাবে পেয়ারা
খেতে পারেন তাহলে পোস্টেড ক্যান্সার ও কমিয়ে দেয় পেয়ারা। সবে মিলেমিশে আপনি
ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে প্রতিনিয়ত একটি করে পেয়ারা
খান।
আশা করি পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্য থেকে পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা গুলো যেন অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা/পেয়ারা কাদের খাওয়া উচিত নয়?
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে থেকে এতক্ষণ আমরা
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা পেয়ারা খাওয়ার
অপকারিতা/পেয়ারা কাদের খাওয়া উচিত নয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন নিম্ন
আলোচনা থেকে জেনে নিই-
- পিয়ারা রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এর জন্য ডায়াবেটিস রোগীরা পেয়ারা খাওয়ার আগে রক্তে চিনির মাত্রা পরীক্ষা করার পরেই খাবেন নতুবা হঠাৎ করে আপনার ডায়াবেটিস কমে যেতে পারে।
- যেহেতু পেয়ারাতে পটাশিয়ামের উপস্থিত অনেক বেশি ফলে এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনলেও কিডনির সমস্যা বাড়ি দিতে পারে। যার কারণে যে সকল ব্যক্তির কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে থাকতে বলেন চিকিৎসা করা এতে অক্সিডেন্ট রয়েছে যা কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে।
- গর্ভবতী মহিলাদের কখনোই পেয়ারা অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় কারণ পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত রয়েছে ফলে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- আমরা অনেকেই আছি যারা অতিরিক্ত পাক পেয়ারা খেতে বেশি পছন্দ করি তবে অতিরিক্ত পাকা পেয়ারা রাতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং দাঁতের ব্যথা ও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- তেরো পাতায় অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক থাকে ফলে ভালো করে পরিষ্কার না করে পেয়ারার পাতার নির্যাস নিলে ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।
- পেয়ারাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যার কারণে যে সকল ব্যক্তিরা প্রায়োশ হয়ে ঠান্ডা সর্দি কাশি জ্বর এ ভোগেন তারা অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারার পাতা খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে বিশেষ করে মাথা ব্যাথা, রক্তস্বল্পতা ও কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- প্যারায় এক ধরনের তিনি উপস্থিত থাকে যার নাম হল ফ্রুক্টোজ। যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে হজম শক্তি কমে যেতে পারে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, বমি ভাব ইত্যাদি।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তবে হাজারো গুণ সম্পন্ন পেয়ারা সম্পর্কে
শুধুমাত্র পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমি আলোচনা
করছি না নিম্নে পেয়ারা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন প্রশ্নের জানা অজানা উত্তর নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে ছাড়াও নিম্নত্ব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বেন যেমন-
- গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- পেয়ারার পুষ্টিগুণ
- দিনে কয়টা পেয়ারা খাওয়া উচিত?
- পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
- রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়
- খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করছি এখন আমি আপনাদের মাঝে গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর
ডায়েট বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটি শুধুমাত্র গর্ববতী মায়ের সুস্বাস্থ্য
ঠিক রাখার জন্য নয় বরং সঠিক ডায়েট গর্ভে থাকা বাচ্চার ও স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ফেলবে।
গর্ভাবস্থায় সকল ডক্টররা গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন একটি করে যে কোন দেশীয় ফল
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর সেই ফলটি যদি হয় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের
ভরপুর তাহলে তো কোন কথাই নেই। যার কারণে বেশির ভাগ ডক্টরেরা গর্ভাবস্থায় সঠিক
মাত্রায় গর্ভবতী মহিলাদেরকে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন। যেহেতু ধরনের ভিটামিন খনির ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফলে এটি একজন গর্ভবতী
মহিলার বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে যেমন-
- রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ আনতে সহায়তা করে।
- অ্যানিমিয়া হওয়ার যোগিয়ে রাস করে।
- পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- গর্ভে থাকা বাচ্চার ভ্রূণের বিকাশে সহায়তা করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
পেয়ারার গর্ভবতী মহিলার জন্য হাজারো উপকারিতা রয়েছে তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিকরাও
রয়েছে যার কারণ মূলত মাত্রা অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া অর্থাৎ গর্ভবতী মহিলা যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খায় তাহলে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং
ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যা গল্প অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এছাড়া
অবশ্যই দার্শনিক ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করবেন নতুবা
বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি তবে এত
গুণসম্পন্ন ও ঔষধি স্বাস্থ্য উপকারী পেয়ারার পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো কি কি এ
সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা জরুরী। তাই চলুন দেরি না করে পেয়ারার পুষ্টিগুণ
উপাদান গুলো অর্থাৎ পেয়ারায় কি কি পুষ্টি উপাদান কি কি পরিমাণে রয়েছে জেনে
নেই-
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে রয়েছে
- শক্তি- ২৮৫ কিজু (৬৮ kcal)
- শর্করা- ১৪.৩২ গ্রাম
- চিনি- ৮.৯২ গ্রাম
- খাদ্য আঁশ- ৫.৪ গ্রাম
- স্নেহ পদার্থ- ০.৯৫ গ্রাম
- প্রোটিন- ২.৫৫ গ্রাম
ভিটামিন পরিমাণ
- ভিটামিন এ সমতুল্য- ৩১ μg
- বিটা-ক্যারোটিন- ৩৭৪ μg
- থায়ামিন (বি১)- ০.০৬৭ মিগ্রা
- রিবোফ্লাভিন (বি২)- ০.০৪ মিগ্রা
- নায়াসিন (বি৩)- ১.০৮৪ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক
- অ্যাসিড (বি৫)- ০.৪৫১ মিগ্রা
- ভিটামিন বি৬- ০.১১ মিগ্রা
- ফোলেট (বি৯)- ৪৯ μg
- ভিটামিন সি- ২২৮.৩ মিগ্রা
- ভিটামিন কে- ২.২ μg
খনিজ পরিমাণ
- ক্যালসিয়াম- ১৮ মিগ্রা
- লৌহ- ০.২৬ মিগ্রা
- ম্যাগনেসিয়াম- ২২ মিগ্রা
- ম্যাঙ্গানিজ- ০.১৫ মিগ্রা
- ফসফরাস- ৪০ মিগ্রা
- পটাশিয়াম- ৪১৭ মিগ্রা
- সোডিয়াম- ২ মিগ্রা
- জিংক- ০.২৩ মিগ্রা
অন্যান্য উপাদান পরিমাণ
দিনে কয়টা পেয়ারা খাওয়া উচিত?
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে উপরোক্ত আলোচনায় জানিয়েছি
এখন দিনে কয়টা পেয়ারা খাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি মাঝারি আকারের পেয়ারা
খাওয়া উচিত
আরো পড়ুনঃ
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
যার ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যেও হতে হবে। পেয়ারাতে অতিরিক্ত
পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে কোন অধ্যায় সঠিক
মাত্রায় খেলে এ সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ভারসাম্য সরবরাহ
করে।
শিশু অপরদিকে শিশুদের জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে
একটি মাঝারি সাইজের অথবা ১/২ পেয়ারা খাওয়াতে পারে এবং একজন ডায়াবেটিস রোগী
অবশ্যই পেয়ারা খাওয়ার পূর্বে এর মাত্রা কম বা বেশি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়েই খাবেন।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা,
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমি
আপনাদের মাঝে পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আলোচনা করব। পেয়ারা খাওয়ার
সবচাইতে সঠিক সময় হল সকালবেলা প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, এন্টি
ব্যাকটেরিয়াল, আন্টি ইনফ্লামেটরি ইত্যাদি সম্পন্ন একটি খাবার দিয়ে দিন শুরু
করলে সারাদিনের সকল ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় এবং শরীর সুস্থ
সবল থাকে। এছাড়াও এটি যেহেতু সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক ন্যাচারাল খাবার এর জন্য
কোন প্রকার
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সারা দিনে অনুভূত হয় না হলে ফলে আপনি নিয়মিত একটি করে
সকালবেলা প্রতিদিনের ফলের চাহিদা হিসেবে হজম শক্তি বৃদ্ধি, ডায়াবেটিকস
নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে থেকে স্বাস্থ্য সুস্থ সবল ও প্রাণবন্তক থাকে।
রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে উপরোক্ত আলোচনায় জানিয়েছি
এখন আপনাদের মাঝে রাতে পেয়ারা খেলে কি হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেকেই মনে
করেন রাতের বেলা পেয়ারা খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্পন্ন নয়।
কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল আপনি যেমন সকালবেলা পেয়ারা খেলে বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন তেমনি রাতের বেলা পেয়ারা খেলেও আপনি বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। তবে অবশ্যই সঠিক মাত্রায় খেতে হবে।যেহেতু অন্যান্য
ফলের তুলনায় পেয়ারাতে কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে ফলে এটি রাতের বেলা খেলে ওজন
নিয়ন্ত্রণটাও সহজ হয়ে যায় এছাড়াও
পেয়ারাতে যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ফাইবার রয়েছে যার কারণে এটি
আপনি স্ন্যাক হিসেবে হিসেবেও খেতে পারেন। তবে অবশ্যই এর মাত্রার ওপর বিশেষ সতর্ক
থেকে খাবেন কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটেরি ফাইবার রয়েছে ফলে রাতের বেলা
অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন পেট
ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিক, পেটে ব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি।
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমি আপনাদের মাঝে পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা,
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমি
আপনাদের মাঝে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। খালি পেটে
পেয়ারা খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
পেয়ারাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডায়েটেরি ফাইবার, ভিটামিন সি ও বিভিন্ন ধরনের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার কারণে এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে ইমিউনিটি
সিস্টেমকেও বৃদ্ধি করে ফলে আপনার খালি পেটে পেয়ারা খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়
বিপাকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হওয়া ছাড়া ও রক্তের সরকারের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ না আসে।
তবে পেয়ারা খালি পেটে না খাওয়াটাই ভালো এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে পেয়ারা হল
সাইট্রাস ফল যা খালি পেটে খেলে এসিডিটি উৎপাদন বেড়ে যায় এছাড়াও পেয়ারাতে
দাড়ি ফাইবার ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে যার কারনে খালি পেটে খেলে যাদের হজম শক্তি কম
তারা খেলে হজম শক্তি আরো বেশি ধীর হয়ে বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে
পারে।
যার কারণে বেশি ভাগ ডক্টর খালি পেটে কমলালেবুর জাতীয় এবং পেয়ারা খাওয়া থেকে
বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আপনি এটি সকালের নাস্তা করার পরে প্রতিদিনের
একটি ফলে চাহিদা মেটানোর জন্য পেয়ারা খেতে পারেন।
প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা
খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে উপরোক্ত আলোচনায় জানিয়েছি
এখন আপনাদের মাঝে প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার হাজারো উপকারিতা রয়েছে মূলত আমি উপরোক্ত
পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি তা
মূলত প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ফলে আপনি পাবেন। এজন্য আশা করব আপনারা নিয়মিত
আপনার খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা রাখবেন ।
এছাড়াও এক সকল চিকিৎসক ও ডক্টরদের মতে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় একটি করে
দেশীয় ফল যুক্ত করার কথা সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন সে ফল হিসেবে আপনি পেয়ারা
রাখলেও উপরোক্ত উপকারিতা গুলো বা স্বাস্থ্য প্রকার গুলো আপনি পাবেন এবং সুস্থ সবল
থাকতে পারবেন আশা করি।
লেখক এর মন্তব্য- পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের পেয়ারা খাওয়ার কার্যকরী ৩০টি
উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও
পেয়ারা সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর
চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন
ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url