দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন

আসসালাম আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি এছাড়া ও দাদ সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো।
দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো, যাতে আপনি জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম - জিহ্বায় ঘা হলে করণীয়, মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয় কোন ভিটামিনের অভাবে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। আশা করছি, এ তে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এবং সঠিক নির্দেশনা পাবেন, যা আপনাকে দাদ থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

ভূমিকা- দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে লেখার শুরুতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা প্রয়োজন, কারণ দাদ চুলকানি একটি অসহ্য অসুস্থতা, যা রোগীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। বিভিন্ন কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে, যার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অপরিচ্ছন্নতা এবং অরক্ষিত ত্বক অন্যতম। চিকিৎসার জন্য প্রচলিত অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম যেমন ক্লোট্রিমাজল, টেরবিনাফিন এবং মিকোনাজল ব্যবহৃত হয়,
যা দ্রুত সংক্রমণ কমাতে কার্যকর। একই সাথে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলি যেমন নিমের রস, রসুন এবং অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারে প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা পেতে পারেন। এই লেখা পাঠকদের জন্য দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম কার্যকরী পন্থা এবং দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমাধান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে, যা তাদের এই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে সহায়ক হবে।

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন

এখন আমি আপনাদের মাঝে দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন সম্পর্কে আলোচনা করব। দাদ চুলকানি (Ringworm বা Tinea) একটি ছত্রাকজনিত ত্বকের রোগ, যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গোলাকার লালচে দাগ ও চুলকানি সৃষ্টি করে। এটি দূর করতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ক্রিম ব্যবহার করা হয়। দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর প্রতিটি ক্রিমের কার্যকারিতা, ব্যবহার পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ:

  • ক্লোট্রিমাজল (Clotrimazole) ক্রিম: ক্লোট্রিমাজল একটি বহুল ব্যবহৃত ছত্রাকনাশক ক্রিম। এটি ত্বকের ছত্রাককে ধ্বংস করে, ছত্রাকের কোষের কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়। আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন ২-৩ বার ক্রিমটি লাগাতে হবে। ত্বক সম্পূর্ণ শুকিয়ে তারপর ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এটি সাধারণত সুরক্ষিত, তবে দীর্ঘদিনের ব্যবহারে ত্বকের লালচে হওয়া বা এলার্জি হতে পারে।
  • মিকোনাজল (Miconazole) ক্রিম: মিকোনাজলও ছত্রাকনাশক এবং ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী। এটি ছত্রাকের কোষ প্রাচীরকে ধ্বংস করে। আক্রান্ত স্থানে দিনে ২ বার লাগানো হয়। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের সংক্রমণ কমতে শুরু করে। অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে ত্বকের জ্বালাপোড়া বা র‍্যাশ হতে পারে।
  • টেরবিনাফিন (Terbinafine) ক্রিম: টেরবিনাফিন অত্যন্ত কার্যকরী ছত্রাকনাশক, যা ছত্রাকের বৃদ্ধি বন্ধ করে। দিনে একবার অথবা দু’বার সংক্রমিত স্থানে লাগাতে হবে। এটি সাধারণত দ্রুত ফল দেয়। এটি ব্যবহার করলে ত্বকে শুষ্কতা বা ক্ষুদ্র জ্বালা হতে পারে।
  • কেটোকোনাজল (Ketoconazole) ক্রিম: কেটোকোনাজল ছত্রাকের বৃদ্ধিকে দমন করে এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে দিনে একবার বা দু’বার প্রয়োগ করা হয়। ত্বকের জ্বালা বা লালচে দাগ দেখা দিতে পারে, তবে সাধারণত এটি সহনীয়।
  • নাইজোরাল (Nizoral) ক্রিম: এটি কেটোকোনাজল নির্ভর একটি ছত্রাকনাশক ক্রিম, যা ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে। দিনে একবার বা দু'বার আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হয়। এটি ত্বকের দাদ ও চুলকানি কমাতে দ্রুত কাজ করে।
  • লুলিকোনাজল (Luliconazole) মলম: Lulifin, Lulican দিনে একবার প্রয়োগ করতে হয়। এটি ত্বকের সংক্রমণ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
  • সারটাকোনাজল (Sertaconazole) মলম: Onabet দিনে একবার বা দু'বার সংক্রমিত স্থানে লাগাতে হয়। এটি ছত্রাকের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা বা অস্বস্তি হতে পারে।
সার্বিক ব্যবস্থাপনা:

  • পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা: ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো রাখা গুরুত্বপূর্ণ। গরম পানি ও সাবান দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
  • অতিরিক্ত চুলকানো এড়ানো: আক্রান্ত স্থানে চুলকানি বাড়াতে পারে, যা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে দিতে পারে।
  • ক্লিনিক্যাল পরামর্শ: ক্রিম ব্যবহারের আগে এবং পরেও ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষত যদি ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ফল না পাওয়া যায়।
এই সমস্ত ছত্রাকনাশক ক্রিম ব্যবহার করলে দাদ চুলকানি কমতে শুরু করবে এবং ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে।

দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নেই। দাদ চুলকানি (Ringworm) দূর করার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা সংক্রমণ কমাতে এবং ত্বকের সুস্থতা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে। এগুলো প্রাকৃতিক এবং সহজলভ্য উপাদান ব্যবহার করে করা যায়। তবে গুরুতর সংক্রমণ হলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যাখ্যা করা হলো:

  • নিম পাতা: নিমে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ছত্রাকের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক। কিছু নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠাণ্ডা করে আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে নিন। এছাড়া নিম পাতা পেস্ট করে সরাসরি সংক্রমিত স্থানে প্রয়োগ করতে পারেন।
  • রসুন: রসুনে থাকা অ্যালিসিন (allicin) একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাংগাল উপাদান, যা ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। কয়েকটি রসুন কোয়া থেঁতলে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি দিনে একবার বা দুইবার করতে পারেন।
  • আদা: আদায় অ্যান্টিফাংগাল গুণ রয়েছে, যা সংক্রমণ কমাতে কার্যকর। তাজা আদার রস বের করে দিনে দুইবার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।
  • নারকেল তেল: নারকেল তেলের অ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের দাদ ও চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে, যা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নারকেল তেল আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
  • অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের অ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমিত স্থান থেকে ছত্রাক ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের চুলকানি কমায়। তুলায় অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়ে দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি চুলকানি কমায় এবং ত্বককে পরিষ্কার রাখে।
  • হলুদ: হলুদের মধ্যে অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা সংক্রমণ ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হলুদের পেস্ট তৈরি করে সংক্রমিত স্থানে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে একবার প্রয়োগ করতে পারেন।
  • অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা চুলকানি ও প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের সংক্রমণ নিরাময় করে। অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার প্রয়োগ করুন। এটি ত্বককে শীতল রাখবে এবং দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
  • বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ত্বকের pH সমতা বজায় রেখে ছত্রাকের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
যে কোনো ঘরোয়া উপায় প্রয়োগের আগে সংক্রমিত স্থান পরিষ্কার করা উচিত এবং ধীরে ধীরে এসব উপায় প্রয়োগ করতে হবে। সংক্রমণ বেশি হলে বা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ। দাদ বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হলে খাদ্যাভ্যাসেও কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত, কারণ কিছু খাবার সংক্রমণকে বাড়াতে পারে এবং কিছু খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। নিচে কোন কোন খাবার দাদ হলে এড়িয়ে চলা উচিত এবং এর কারণ বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করা হলো:

  • চিনি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার: ছত্রাকগুলো সাধারণত চিনিযুক্ত পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। চিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে ছত্রাকের পুষ্টি জোগায়, যা সংক্রমণ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তাই মিষ্টি খাবার, সফট ড্রিংকস, কেক, মিষ্টি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত চিনি খেলে দাদের সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং চিকিৎসা কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
  • দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার: দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার দেহে শ্লেষ্মা উৎপন্ন করতে পারে, যা ছত্রাক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও, দুধে থাকা প্রোটিন দাদের সংক্রমণ বাড়াতে পারে। দাদ সংক্রমণ বাড়লে চুলকানি ও ত্বকের সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই দুধ, পনির, মাখন ইত্যাদি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • ফাস্টফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার: এই ধরনের খাবারে প্রচুর প্রক্রিয়াজাত উপাদান এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা দেহের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে ফেলে। ফলে সংক্রমণ নিরাময়ে সময় বেশি লাগে। ফাস্টফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার দাদ সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে, ফলে রোগ নিরাময়ে সময় দীর্ঘ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মশলাদার খাবার: অতিরিক্ত মশলা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে ছত্রাকের সংক্রমণ ছড়াতে সাহায্য হয়। মশলাদার খাবার খেলে ত্বকের জ্বালা ও সংক্রমণের জটিলতা বাড়তে পারে।
  • ফারমেন্টেড খাবার: ফারমেন্টেড খাবার যেমন আচার, ভিনেগারযুক্ত খাবার, এবং সয়া সস ছত্রাকের বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে, কারণ এগুলোতে প্রচুর ইস্ট এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ছত্রাকের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে। সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা ও প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়, ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। অ্যালকোহল দাদের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
খাবার যা খাওয়া উচিত: যেসব খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, সেগুলো খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত:

  • ফলমূল ও শাকসবজি (যেমন: লেবু, কমলা, পালংশাক)।
  • প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার (যেমন: টকদই)।
  • আঁশযুক্ত খাবার (যেমন: ওটস, বাদাম)।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা: পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সার্বিক পরামর্শ: দাদ হলে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। দেহের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং সংক্রমণ বাড়াতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা জেনে নেই। পুরাতন দাদ (Ringworm) বা দীর্ঘস্থায়ী ছত্রাকজনিত সংক্রমণ নিরাময় করতে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এটি সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে না সেরে উঠলে চিকিৎসার জন্য শক্তিশালী ওষুধ বা বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে। এখানে পুরাতন দাদ নিরাময়ের জন্য কিছু চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হলো:

অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ: যদি স্থানীয় ক্রিম কাজ না করে, ডাক্তার সাধারণত মুখে খাওয়ার জন্য অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ দেন। এগুলো দীর্ঘমেয়াদী দাদ নিরাময়ে কার্যকর। কিছু প্রচলিত ওষুধের মধ্যে রয়েছে:

  • ইট্রাকোনাজল (Itraconazole): ছত্রাক ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ফ্লুকোনাজল (Fluconazole): প্রায়শই ব্যবহৃত হয় দীর্ঘস্থায়ী ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসায়।
  • টার্বিনাফিন (Terbinafine): মুখে খাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ছত্রাক ধ্বংস করে।
ব্যবহার: এই ওষুধগুলি চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক সময় এবং ডোজ অনুসরণ করে খেতে হয়। সাধারণত ২-৬ সপ্তাহ ধরে চলমান ওষুধ সেবন করতে হয়।

  • অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম: টেরবিনাফিন (Terbinafine), ক্লোট্রিমাজল (Clotrimazole), কেটোকোনাজল (Ketoconazole), এবং মিকোনাজল (Miconazole) ক্রিমগুলো দীর্ঘস্থায়ী দাদ নিরাময়ে কার্যকর। দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে ক্রিম প্রয়োগ করতে হবে। সংক্রমণ সেরে গেলেও, পুরো কোর্স শেষ করা জরুরি।
  • প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: শরীরের সংক্রমিত স্থান সবসময় পরিষ্কার এবং শুকনো রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ছত্রাক আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পায়, তাই আর্দ্রতা থেকে সংক্রমিত স্থান রক্ষা করা প্রয়োজন।
  • নিয়মিত কাপড় পরিবর্তন: প্রতিদিন পরিষ্কার এবং শুকনো কাপড় পরিধান করতে হবে এবং সংক্রমিত স্থান ঢেকে রাখতে হবে। শরীরের আর্দ্র স্থান থেকে বিরত থাকা: ঘামযুক্ত স্থান থেকে দূরে থাকুন এবং ব্যায়ামের পর শরীর শুকিয়ে নিন।
ঘরোয়া চিকিৎসা:

  • নিম পাতা: নিমে শক্তিশালী অ্যান্টিফাংগাল গুণ রয়েছে। নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিলে সংক্রমণ কমতে পারে।
  • রসুন: রসুনের অ্যালিসিন ছত্রাক ধ্বংস করে। রসুন থেঁতলে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে এটি ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।
  • অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: দিনে কয়েকবার তুলা দিয়ে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি দীর্ঘস্থায়ী দাদ নিয়ন্ত্রণে না আসে বা বারবার ফিরে আসে, তবে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায় জেনে নেই। দাদ হলে সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। দাদ একটি ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তোলে,
এবং সাধারণ সাবান কখনো কখনো ত্বককে আরও শুষ্ক ও জ্বালাপোড়াযুক্ত করতে পারে। অতিরিক্ত সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদানযুক্ত সাবান সংক্রমিত ত্বকের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এগুলো ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা দূর করে ত্বককে শুষ্ক করে দেয়, যা সংক্রমণের লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তোলে। তাই দাদ হলে অ্যান্টিফাংগাল সাবান বা মৃদু,
সুগন্ধিবিহীন এবং ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করা ভালো। এই ধরনের সাবান ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ছত্রাকের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কিন্তু ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। এছাড়াও, সাবান ব্যবহারের পর সংক্রমিত স্থান পুরোপুরি শুকিয়ে নেওয়া উচিত, কারণ আর্দ্র পরিবেশে ছত্রাক দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম। রানের চিপায় চুলকানি (Jock Itch বা Tinea Cruris) সাধারণত ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হয় এবং এটি খুব অস্বস্তিকর হতে পারে। এই সমস্যার জন্য বাজারে বেশ কিছু অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম পাওয়া যায়, যা সংক্রমণ দূর করতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। নিচে কিছু কার্যকর অ্যান্টিফাংগাল ক্রিমের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

  • টেরবিনাফিন (Terbinafine) ক্রিম: টেরবিনাফিন ছত্রাক ধ্বংস করে সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের চুলকানি ও লালচেভাব কমায়। দিনে একবার বা দু’বার আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার করে ক্রিম লাগান। প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করবে।
  • ক্লোট্রিমাজল (Clotrimazole) ক্রিম: ক্লোট্রিমাজল ছত্রাকের সংক্রমণ নিরাময়ে খুবই কার্যকর এবং এটি ছত্রাকের বৃদ্ধিকে থামায়। দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এটি সংক্রমণ দূর করতে এবং চুলকানি কমাতে সহায়ক।
  • মিকোনাজল (Miconazole) ক্রিম: মিকোনাজল ত্বকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ যেমন জক ইচ দূর করতে কার্যকর। দিনে একবার বা দু'বার আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হয়। নিয়মিত ব্যবহারে সংক্রমণ দ্রুত কমতে থাকে।
  • কেটোকোনাজল (Ketoconazole) ক্রিম: কেটোকোনাজল ছত্রাক ধ্বংস করে এবং সংক্রমণ কমায়। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিফাংগাল ক্রিমগুলোর মধ্যে একটি। দিনে একবার বা দু’বার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • লুলিকোনাজল (Luliconazole) ক্রিম: লুলিকোনাজল ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত দূর করতে পারে এবং ত্বকের প্রদাহ ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এটি সংক্রমণ দ্রুত নিরাময় করে।
ব্যবহার পদ্ধতি এবং পরামর্শ:

  • আক্রান্ত স্থানটি আগে ভালোভাবে পরিষ্কার ও শুকিয়ে তারপর ক্রিম লাগাতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে, সংক্রমণ দূর হয়ে গেলেও চিকিৎসার কোর্স শেষ করা জরুরি।
  • পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় পরিধান করা এবং সংক্রমিত স্থানে আর্দ্রতা না থাকার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
  • এই ধরনের অ্যান্টিফাংগাল ক্রিমগুলো চুলকানি কমাতে এবং সংক্রমণ নিরাময় করতে অত্যন্ত কার্যকর।

দাদ চুলকানি দূর করার উপায়

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন দাদ চুলকানি দূর করার উপায় জেনে নেই। দাদ চুলকানি (Ringworm) একটি ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ, যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গোলাকার লালচে দাগ ও তীব্র চুলকানি সৃষ্টি করে। এটি দূর করতে কার্যকরী কিছু চিকিৎসা এবং ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। নিচে দাদ চুলকানি দূর করার কয়েকটি উপায় ব্যাখ্যা করা হলো:

  • অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম এবং ওষুধ: ক্লোট্রিমাজল, টেরবিনাফিন, কেটোকোনাজল, এবং মিকোনাজল জাতীয় অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম খুবই কার্যকর। এগুলো ছত্রাকের বৃদ্ধিকে দমন করে এবং ত্বকের চুলকানি কমায়। সংক্রমিত স্থানে দিনে ২-৩ বার এসব ক্রিম লাগাতে হয়। সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করে।যদি সংক্রমণ গুরুতর হয়, ডাক্তার মুখে খাওয়ার অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ দিতে পারেন, যা সংক্রমণকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকার: নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন, অথবা নিম পাতা পেস্ট তৈরি করে সংক্রমিত স্থানে লাগান। নিমের অ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন ছত্রাক ধ্বংস করতে সাহায্য করে। রসুনের পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।
  • অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: তুলার সাহায্যে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার দিনে ২-৩ বার সংক্রমিত স্থানে লাগান। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ছত্রাক ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
  • নারকেল তেল: নারকেল তেলের অ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য আছে। এটি ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: ছত্রাক আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হালকা সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
  • পরিষ্কার কাপড় পরা: সংক্রমিত স্থান ঢেকে রাখার জন্য পরিষ্কার এবং শুষ্ক কাপড় পরা জরুরি। ঘামে ভেজা বা নোংরা কাপড় পরলে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
  • আর্দ্রতা এড়িয়ে চলা: সংক্রমিত স্থান আর্দ্র রাখা যাবে না। ঘাম জমতে না দেওয়া এবং নিয়মিত কাপড় পরিবর্তন করা উচিত।
  • আক্রান্ত স্থান চুলকানো থেকে বিরত থাকা: সংক্রমিত স্থান চুলকালে ছত্রাক ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, যা আরও সংক্রমণ ডেকে আনতে পারে। তাই চুলকানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • চিকিৎসা নিয়ম মেনে চলা: ক্রিম বা ওষুধ প্রয়োগের পরেও সংক্রমণ দূর হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। চিকিৎসা বন্ধ না করে সম্পূর্ণ কোর্সটি শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ। উপরোক্ত উপায়গুলো মেনে চললে দাদ চুলকানি ধীরে ধীরে সেরে উঠবে। তবে সংক্রমণ বেশি হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাদ চুলকানি দূর করার ঔষধ

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি দাদ চুলকানি দূর করার ঔষধ। দাদ চুলকানি (Ringworm) দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিফাংগাল ঔষধ পাওয়া যায়, যা ছত্রাকজনিত সংক্রমণকে ধ্বংস করে এবং ত্বকের চুলকানি ও লালচেভাব কমায়। এই ওষুধগুলো সাধারণত ক্রিম, মলম, বা মুখে খাওয়ার জন্য ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। নিচে কিছু কার্যকর ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো:

  • টেরবিনাফিন (Terbinafine): ক্রিম, জেল, ট্যাবলেট দিনে একবার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। সাধারণত ২ সপ্তাহ ব্যবহার করলে সংক্রমণ কমে আসে। মুখে খাওয়ার জন্য ২-৬ সপ্তাহের কোর্স। এটি ছত্রাক ধ্বংস করে এবং সংক্রমণের দ্রুত নিরাময়ে সহায়ক।
  • ক্লোট্রিমাজল (Clotrimazole): ক্রিম, পাউডার দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হয়। ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এটি ছত্রাকের সংক্রমণ কমিয়ে আনে এবং নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • মিকোনাজল (Miconazole): ক্রিম, জেল, পাউডার দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হয়। এটি ছত্রাক ধ্বংস করে এবং ত্বকের চুলকানি, লালচেভাব দূর করতে সহায়ক।
  • কেটোকোনাজল (Ketoconazole): ক্রিম, শ্যাম্পু, ট্যাবলেট দিনে একবার সংক্রমিত স্থানে ক্রিম লাগাতে হয়। ২-৪ সপ্তাহের ব্যবহারে সংক্রমণ দূর হয়। কেটোকোনাজল ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে খুবই কার্যকর এবং এটি ত্বকের প্রদাহ ও চুলকানি কমায়।
  • ইট্রাকোনাজল (Itraconazole): ক্যাপসুল, ট্যাবলেট মুখে খাওয়ার জন্য দিনে একবার বা দুবার, ২-৬ সপ্তাহের কোর্স। এটি দীর্ঘস্থায়ী দাদ চুলকানির জন্য কার্যকর। ইট্রাকোনাজল শক্তিশালী অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ, যা গভীর ছত্রাক সংক্রমণ নিরাময়ে সহায়ক।
  • ফ্লুকোনাজল (Fluconazole): ক্যাপসুল, ট্যাবলেট সাধারণত সপ্তাহে একবার সেবন করতে হয়। চিকিৎসক ২-৪ সপ্তাহের কোর্স নির্ধারণ করেন। এটি গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী ছত্রাক সংক্রমণ নিরাময়ে খুবই কার্যকর।
ব্যবহারের সাধারণ নিয়ম:

  • সংক্রমিত স্থান পরিষ্কার করে তারপর ঔষধ প্রয়োগ করুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের পুরো কোর্স শেষ করুন, সংক্রমণ সেরে গেলেও।
  • প্রয়োজনমতো আক্রান্ত স্থান শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন।

লেখকের মন্তব্য- দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম জেনে নিন

রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় ছাড়াও দাদ সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন, সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url