আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় হলো
আপওয়ার্ক একাউন্ট
খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় ইত্যাদি ছাড়াও আপওয়ার্ক সম্পর্কে
জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য। এই পোস্টে থাকছে নতুনদের জন্য আপওয়ার্কে করণীয় এবং
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক।
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো, যাতে আপনি আপওয়ার্ক একাউন্ট
খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
আশা করছি, এতে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এবং সঠিক নির্দেশনা পাবেন।
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন
এখন আমি আপনাদের সাথে আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে শেয়ার করতে
যাচ্ছি। আপওয়ার্ক (Upwork) একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
নিচে আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এর প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
- Upwork ওয়েবসাইটে যানঃ প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে Upwork এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.upwork.com) যান।
- সাইন আপ করুনঃ আপওয়ার্কের হোমপেজে, "Sign Up" বা "Join" অপশনে ক্লিক করুন। এখানেই আপনি নতুন একাউন্ট তৈরি করবেন।
- ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানঃ আপওয়ার্ক আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বলবে। সাধারণত এখানে আপনার নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস এবং পাসওয়ার্ড চাইবে। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন যাতে আপনার একাউন্ট নিরাপদ থাকে।
- কাজের ধরন নির্বাচন করুনঃ আপওয়ার্কে বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়। এখানে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে আপনি কোন ধরণের কাজ করতে চান। আপনি যেটি পছন্দ করেন, যেমন ওয়েব ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি, অথবা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি, সেটি নির্বাচন করুন।
প্রোফাইল তৈরিঃ আপওয়ার্কে একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করা খুব
গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রোফাইলে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুনঃ
- প্রোফাইল ছবিঃ একটি পেশাদারী ছবি দিন।
- শিরোনামঃ আপনি কী ধরনের কাজ করতে চান তা সংক্ষেপে উল্লেখ করুন। যেমন: "এক্সপেরিয়েন্সড গ্রাফিক ডিজাইনার" বা "ওয়েব ডেভেলপার"।
- ভূমিকা বা বায়োঃ এখানে আপনি নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিন। নিশ্চিত করুন যে আপনি কোনো কপিরাইটেড ভাষা বা কারো কনটেন্ট ব্যবহার করছেন না। নিজের ভাষায় এবং নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে এটি লিখুন।
- দক্ষতা ও সেবার তালিকাঃ আপনি যে দক্ষতাগুলো অর্জন করেছেন তা উল্লেখ করুন (যেমন HTML, CSS, WordPress, Copywriting ইত্যাদি)।
- সাম্প্রতিক কাজের নমুনাঃ পূর্বে করা কাজ বা প্রজেক্টের লিঙ্ক/নমুনা দিন। আপনি যদি নতুন হন তবে আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে কিছু কাজের উদাহরণ তৈরি করে রাখতে পারেন।
কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানঃ আপনি যখন একটি কাজের জন্য আবেদন করবেন, তখন
আপনাকে একটি কভার লেটার লিখতে হবে। কভার লেটারটি এমনভাবে লিখুন যেন আপনার
অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাথে কাজের প্রয়োজনীয়তা মেলে। অবশ্যই কপিরাইট করা বা অন্য
কারো লেখা কপি করবেন না, বরং নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে এবং পেশাদারভাবে এটি লেখার
চেষ্টা করুন।
সিভি বা রেজ্যুমে আপলোড করুন (ঐচ্ছিক)ঃ আপওয়ার্কে আপনি আপনার রেজ্যুমে বা
সিভি আপলোড করতে পারেন। এটি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তুলে ধরতে সাহায্য
করবে।
প্রোফাইল যাচাইঃ আপনার প্রোফাইল সঠিকভাবে পূর্ণ হলে, আপনার প্রোফাইলটি যাচাই করা
হতে পারে। এটি নিশ্চিত করে যে আপনি একজন প্রকৃত ব্যক্তি এবং সঠিক তথ্য প্রদান
করেছেন।
বেতন নির্ধারণ করুনঃ আপওয়ার্কে আপনি যে কাজ করবেন তার জন্য আপনাকে একটি
উপযুক্ত বেতন নির্ধারণ করতে হবে। এখানে আপনি আপনার প্রতি ঘণ্টার হার বা কাজের
জন্য নির্দিষ্ট একটি মূল্য চিহ্নিত করতে পারেন।
প্রোফাইল পূর্ণতা এবং পর্যালোচনাঃ আপনার প্রোফাইল যখন পূর্ণ হবে, তখন এটি
একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল হিসেবে পর্যালোচনা হবে। নিশ্চিত করুন যে আপনার
প্রোফাইলের সকল অংশ সঠিকভাবে পূর্ণ এবং পেশাদারী হয়েছে।
কাজের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুনঃ প্রোফাইল তৈরি হওয়ার পর, আপনি বিভিন্ন
প্রজেক্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি করার জন্য, কাজের বিবরণ, বাজেট এবং
সময়সীমা যাচাই করুন এবং তারপর প্রস্তাব পাঠান।
আপওয়ার্কে সফলভাবে একাউন্ট খোলার জন্য সতর্কতার সঙ্গে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন
এবং সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন।
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়
উপরোক্ত আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানিয়েছি চলুন
এখন আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় জানি। আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার জন্য কিছু
কার্যকরী উপায় রয়েছে। এখানে সেগুলি তুলে ধরা হলোঃ
- পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করুনঃ আপওয়ার্কে সফলভাবে কাজ পেতে হলে আপনার প্রোফাইল পেশাদারী হওয়া জরুরি। একটি পরিষ্কার, প্রফেশনাল ছবি এবং বিস্তারিত বায়ো দিন। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সেবার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
- সঠিক কাজের জন্য আবেদন করুনঃ আপওয়ার্কে নানা ধরনের কাজের সুযোগ থাকে। তবে আপনি যেসব কাজে দক্ষ, শুধুমাত্র সেগুলোর জন্য আবেদন করুন। আপনার দক্ষতার সাথে মানানসই কাজ খুঁজুন এবং সেগুলোর জন্য প্রস্তাব দিন।
- কভার লেটার লিখুনঃ কভার লেটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এমনভাবে লিখুন যেন আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজের প্রয়োজনীয়তার সাথে মিলে যায়। আপনার শক্তিশালী পয়েন্টগুলো তুলে ধরুন এবং কপি-পেস্ট না করে নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে কভার লেটার লিখুন।
- ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুনঃ কাজ পেতে হলে ক্লায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা প্রয়োজন। সঠিক সময়ে উত্তর দিন এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা বুঝে তাদের সাথে সহযোগিতা করুন। দ্রুত সাড়া দেয়ার চেষ্টা করুন।
- কম্পিটিটিভ প্রাইসিংঃ আপওয়ার্কে সফলভাবে কাজ পেতে, আপনার দাম প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। তবে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন, যাতে ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার সেবা উপকারী মনে হয়।
- প্রোফাইল আপডেট রাখুনঃ আপনার প্রোফাইল ও দক্ষতার নিয়মিত আপডেট রাখুন। নতুন দক্ষতা শিখলে তা প্রোফাইলে যোগ করুন এবং আপনার সাম্প্রতিক কাজের নমুনা আপলোড করুন।
- রেটিং ও রিভিউ পাওয়াঃ আপনার প্রথম কিছু কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার পরে, ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে রেটিং এবং রিভিউ সংগ্রহ করুন। ভালো রিভিউ আপনাকে পরবর্তী কাজ পেতে সহায়তা করবে।
আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার জন্য পেশাদার প্রোফাইল, সঠিক আবেদন, প্রোফেশনাল কভার লেটার,
এবং সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মনোযোগ এবং সততা বজায় রাখলে,
আপনি সফলভাবে কাজ পেতে সক্ষম হবেন।
আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্টে নাম কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ?
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলাম
চলুন এখন জানি আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্টে নাম কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ? সম্পর্কে।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়, আপনার নাম নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,
কারণ এটি আপনার পেশাদারিত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্যতার একটি বড় অংশ। নিচে কিছু
নির্দেশনা দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনার নাম সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেনঃ
আপনার আসল নাম ব্যবহার করুনঃ আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে আপনার
আসল, পূর্ণ নাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এটি আপনার পেশাদারিত্ব এবং ক্লায়েন্টদের
সঙ্গে সম্পর্কের জন্য প্রাধান্য পাবে। উদাহরণস্বরূপঃ
- অসীম দত্ত
- মাহমুদা রহমান
নিকনেম বা ডাকনাম ব্যবহার না করাঃ আপওয়ার্কে আপনার আসল নাম ছাড়া নিকনেম বা
ডাকনাম ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন, আপনি যদি "রবি" নামে পরিচিত হন, তবে আপনার
একাউন্টের নাম "রবিউল ইসলাম" বা "রবিউল ইসলাম (রবি)" রাখুন। এতে ক্লায়েন্টদের
কাছে আপনি বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবেন।
কপিরাইট বা কারো কনটেন্ট ব্যবহার করবেন নাঃ আপওয়ার্কের প্রোফাইলে নাম
লিখার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কপিরাইট বা অন্যের কনটেন্ট কপি করা একেবারে নিষিদ্ধ।
আপনার নাম, বায়ো এবং প্রোফাইল তথ্য সবই আপনার নিজস্ব হওয়া উচিত। আপনার কভার
লেটার, বায়ো বা প্রোফাইলের কোথাও যদি অন্যের লেখা বা ওয়েবসাইট থেকে হুবহু কপি করা
লাইন থাকে, তাহলে সেটা আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য ঝুঁকি হতে পারে।
শুদ্ধ বানান ও গ্রামার ব্যবহার করুনঃ নাম লেখার সময় বানান ও গ্রামার ঠিক
রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বানান বা অস্পষ্ট নাম ব্যবহার করলে তা আপনার
প্রোফাইলের পেশাদারিত্ব কমিয়ে দিতে পারে। তাই, "আরিফ" বা "আলম" নাম লিখলে সেগুলি
সঠিক এবং পরিষ্কারভাবে লিখুন।
ব্যবহারকারীর নাম (Username): আপওয়ার্কে ব্যবহারকারীর নাম (Username)
সাধারণত আপনার ইমেইল ঠিকানা বা আপনার নামের সাথে মিলিয়ে হতে পারে। তবে, এটি
অবশ্যই এমন একটি নাম হতে হবে যা পেশাদার এবং ক্লায়েন্টদের কাছে সহজে মনে রাখা
যায়। উদাহরণস্বরূপঃ
- asim.dutta
- mahmuda.rahman
এছাড়া, আপনার ব্যবহারকারীর নাম যেন অযৌক্তিক বা মজার কিছু না হয়,
যেমন—"superstar_123" বা "cutie_king"। এটি আপনার পেশাদারী ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত
করতে পারে।
প্রোফাইল ছবি নির্বাচনঃ নাম নির্বাচনের মতোই, আপনার প্রোফাইল ছবিও
পেশাদারী হতে হবে। ফটোটি যেন পরিষ্কার, স্পষ্ট এবং পেশাদার হয়। কোনো সেলফি বা
অপ্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার না করে একটি সঠিক এবং পেশাদার ছবি ব্যবহার করুন।
প্রোফাইল বায়ো ও কভার লেটারঃ আপনার প্রোফাইল বায়ো ও কভার লেটার সবসময়
নিজের ভাষায়, আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে লিখুন। কোনোভাবেই অন্যের লেখা বা
কনটেন্ট কপি করবেন না। নিজের কাজের উদাহরণ দিয়ে বায়ো সাজানোর চেষ্টা করুন, যেমনঃ
- "আমি একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক ডিজাইনার, ৫ বছরের অভিজ্ঞতা সহ। আমি আপনার ব্র্যান্ডের জন্য পেশাদারী ডিজাইন তৈরি করতে প্রস্তুত।"
আপনার দক্ষতা ও সেবা উল্লেখ করুনঃ আপওয়ার্কে আপনার দক্ষতা ও সেবাগুলো
লিখতে গিয়ে সেগুলোকে যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট এবং আপনার নিজস্ব ভাষায় প্রকাশ করুন।
যেমনঃ
- "আমি HTML, CSS এবং JavaScript দিয়ে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে দক্ষ।"
- "আমি SEO-র মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে পারি।"
আপওয়ার্কের টেমপ্লেট কি কি
উপরোক্ত আলোচনায় আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়
জানিয়েছি চলুন এখন আপওয়ার্কের টেমপ্লেট কি কি সম্পর্কে জানি। আপওয়ার্কে বিভিন্ন
ধরনের টেমপ্লেট রয়েছে, যা ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোফাইল সাজাতে
সহায়তা করে। এসব টেমপ্লেট সাধারণত কভার লেটার, প্রজেক্ট প্রপোজাল, প্রোফাইল বায়ো,
এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে কিছু মূল টেমপ্লেটের
ধরন দেওয়া হলোঃ
কভার লেটার টেমপ্লেটঃ আপওয়ার্কে কাজের জন্য আবেদন করার সময় কভার
লেটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কভার লেটারের মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা,
এবং কাজের প্রতি আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। কিছু সাধারণ কভার লেটার টেমপ্লেটের
ধরনঃ
- প্রাথমিক আবেদনঃ “হ্যালো [ক্লায়েন্টের নাম], আমি আপনার কাজের বিবরণ পড়েছি এবং আমি নিশ্চিত যে আমি এই কাজটি সফলভাবে করতে পারব। আমি [আপনার দক্ষতা/অভিজ্ঞতা] নিয়ে কাজ করেছি এবং এই কাজের জন্য আমার দক্ষতা উপযুক্ত। আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান, আমি আনন্দিত হব।”
- উন্নত কভার লেটারঃ “হ্যালো [ক্লায়েন্টের নাম], আমি [আপনার দক্ষতা] নিয়ে কাজ করি এবং [প্রকল্পের ধরন] নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি মনে করি, আমার দক্ষতা এই প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত। আমি আগ্রহী [বিশেষ প্রস্তাব] বা [আপনার বিশেষত্ব] নিয়ে কাজ করতে।”
প্রোফাইল বায়ো টেমপ্লেটঃ
প্রোফাইল বায়ো হচ্ছে আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সারাংশ। এটি গ্রাহকদের
প্রথম ধারণা দেয়, তাই এটি পরিষ্কার, নির্ভুল এবং পেশাদার হওয়া উচিত। কিছু সাধারণ
প্রোফাইল বায়ো টেমপ্লেটঃ
- ক্লাসিক বায়োঃ “আমি একজন অভিজ্ঞ [কাজের ধরন]। আমার দক্ষতা [নির্দিষ্ট দক্ষতা যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি] এবং আমি [বছরের সংখ্যা] বছর ধরে এই ক্ষেত্রে কাজ করছি। আমি সবসময় [উল্লেখযোগ্য কাজ বা প্রকল্প] করে থাকি এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করি।”
- কাস্টমাইজড বায়োঃ “হ্যালো! আমি [আপনার নাম], একজন [আপনার পেশা বা কাজের ধরন]। আমার কাজের অভিজ্ঞতা [বিশেষ দক্ষতা] নিয়ে এবং আমি [কোনো বিশেষ প্রকল্প বা কাজের উদাহরণ] নিয়ে কাজ করেছি। আমি নিশ্চিত যে আমি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্পন্ন কাজ সরবরাহ করতে পারব।”
প্রোজেক্ট প্রপোজাল টেমপ্লেটঃ প্রোজেক্ট প্রপোজাল হচ্ছে আপনার
পরিকল্পনা, কাজের পদ্ধতি এবং প্রজেক্টের জন্য মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কিত একটি
প্রস্তাবনা। কিছু সাধারণ প্রপোজাল টেমপ্লেটঃ
- সাধারণ প্রপোজালঃ “হ্যালো [ক্লায়েন্টের নাম], আমি এই প্রজেক্টে আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। আমি [আপনার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা] নিয়ে কাজ করি এবং মনে করি এই প্রজেক্টের জন্য আমি উপযুক্ত। এই কাজের জন্য আমি [সময়সীমা] সময় নিতে পারব এবং আপনার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করতে সক্ষম হব।”
- বিশদ প্রপোজালঃ “হ্যালো [ক্লায়েন্টের নাম], আমি আপনার কাজের বিবরণ পড়েছি এবং আমি এই প্রজেক্টে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আমি [আপনার বিশেষ দক্ষতা] নিয়ে কাজ করেছি এবং [কোনো প্রকল্প উদাহরণ] প্রদান করেছি। এই কাজের জন্য আমি আপনাকে [সময়সীমা] মধ্যে পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
স্কিলস/সেবা তালিকা টেমপ্লেটঃ আপওয়ার্কে আপনার দক্ষতা ও সেবার তালিকা
তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টেমপ্লেটে আপনি আপনার বিশেষ দক্ষতা, সেবার
বিবরণ, এবং কাজের ধরন উল্লেখ করেনঃ
- ক্লাসিক তালিকাঃ “গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ফ্লায়ার ডিজাইন”
- বিশেষ দক্ষতা তালিকাঃ “ওয়েব ডিজাইনঃ HTML, CSS, JavaScript, WordPress; কন্টেন্ট রাইটিংঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল রাইটিং, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন”
ইনভয়েস টেমপ্লেটঃ যখন আপনি কোনো কাজ শেষ করবেন, তখন ক্লায়েন্টকে
ইনভয়েস পাঠাতে হবে। এটি একটি পেশাদারী উপায় এবং আপনার পারিশ্রমিক প্রাপ্তির
নিশ্চয়তা দেয়। একটি সাধারণ ইনভয়েস টেমপ্লেটের ধরনঃ
ইনভয়েসঃ
- “ইনভয়েস নম্বরঃ [ইনভয়েস নম্বর]; তারিখঃ [তারিখ]; পরিষেবাঃ [কাজের নাম/ধরণ]; মূল্যঃ [মূল্য]; মুঠোফোনঃ [আপনার যোগাযোগের তথ্য]”
আপওয়ার্কে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কিভাবে কাজ করে
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলাম
চলুন এখন জানি আপওয়ার্কে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কিভাবে কাজ করে সম্পর্কে।
আপওয়ার্কে ঘণ্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করার পদ্ধতি কিছুটা আলাদা এবং এটি
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুবিধাজনক একটি বিকল্প। ঘণ্টা ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে,
ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তি হয়,
যেখানে ফ্রিল্যান্সার কাজের সময় অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান। এ ধরনের চুক্তিতে কাজ
শুরু করার আগে, ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়কে একটি নির্দিষ্ট ঘণ্টা রেট
নির্ধারণ করতে হয়, যা কাজের ধরন এবং জটিলতার ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। এ
ক্ষেত্রে, আপওয়ার্কের টাইম ট্র্যাকিং টুল ব্যবহৃত হয়, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ফ্রিল্যান্সারের কাজের সময় এবং কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করে।
ফ্রিল্যান্সার কাজ করার সময় এই টুলটি চালু রাখতে হয়, যা ক্লায়েন্টকে নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণ দেয়। কাজ শেষে, ক্লায়েন্টের কাছে প্রতি
ঘণ্টা কাজের জন্য নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এভাবে, ঘণ্টা ভিত্তিক কাজের
মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নিজের সময় অনুযায়ী কাজের পরিমাণ এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ
করতে পারেন, এবং ক্লায়েন্টও তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে
পারেন।
আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে কথা বলার নিয়ম
উপরোক্ত আলোচনায় আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়
জানিয়েছি চলুন এখন আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে কথা বলার নিয়ম সম্পর্কে জানি।
আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে কথা বলার সময় কিছু মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ,
যাতে আপনি পেশাদারী মনোভাব বজায় রেখে কাজ করতে পারেন এবং সম্পর্কটি সুস্থ থাকে।
নিচে কিছু নিয়ম দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারেঃ
- শালীনতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখাঃ বায়ারের সাথে কথা বলার সময় সবসময় শালীন এবং পেশাদারী ভাষায় কথা বলুন। যতটা সম্ভব, নম্র এবং মার্জিত থাকুন। কখনও অপ্রাসঙ্গিক বা অশোভন ভাষা ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি আপনার পেশাদার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- স্পষ্টতা এবং পরিষ্কার যোগাযোগঃ বায়ারের সাথে যোগাযোগ করার সময় আপনার বার্তা পরিষ্কার এবং স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন। যা আপনি বলতে চান তা সঠিকভাবে জানিয়ে দিন এবং আপনার উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিন। অনিশ্চয়তা বা বিভ্রান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিটি পয়েন্ট ভালোভাবে ব্যাখ্যা করুন।
- তাড়াহুড়া না করাঃ বায়ারের প্রশ্ন বা ইস্যুতে তাড়াহুড়া করে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে, উত্তর দেওয়ার সময় সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানান। ধৈর্য ধরে পুরো বিষয়টি শুনুন এবং পরে ভালোভাবে সমাধান দিন।
- প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাঃ যদি বায়ার কিছু বুঝিয়ে না বলেন বা আপনার প্রশ্ন থাকে, তবে নির্দ্বিধায় স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করুন। সঠিক কাজ করতে চাইলে স্পষ্ট নির্দেশনা জানা জরুরি।
- বিশ্বাসযোগ্যতা ও সম্মানঃ বায়ারের মতামত ও অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার জন্য, সময়মতো কাজটি সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিন এবং কাজের অগ্রগতি জানাতে ভুলবেন না। যখন কোনো সমস্যা বা বিলম্ব ঘটে, তখন তা সঠিকভাবে জানিয়ে দিন এবং সমাধানের পথ প্রস্তাব করুন।
- স্মার্ট কভার লেটার ও প্রপোজালঃ আপওয়ার্কে বায়ারের সাথে প্রথমবার যোগাযোগ করার সময় কভার লেটার বা প্রপোজালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার পেশাদারিত্ব এবং দক্ষতা প্রকাশের এক ধরনের সুযোগ। বায়ারের প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার ব্যাপারে সংক্ষেপে লিখুন।
- ধন্যবাদ এবং উপদেশঃ যতটুকু সম্ভব, বায়ারের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যদি তারা কোনো সহায়তা বা পরামর্শ দেন, তবে সেটি গ্রহণ করুন এবং তাদের মূল্যায়ন করুন। এটি আপনার সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।
- বায়ারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগঃ কোন প্রকল্পে কাজ শুরু করলে, কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত বায়ারকে আপডেট দিন। এতে তাদের বিশ্বাস বজায় থাকবে এবং কাজের দিকটি স্পষ্টভাবে জানা যাবে।
আপওয়ার্কে নবীন হিসেবে কিভাবে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়?
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলাম
চলুন এখন জানি আপওয়ার্কে নবীন হিসেবে কিভাবে ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়? সম্পর্কে।
আপওয়ার্কে নবীন হিসেবে ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে।
প্রথমত, একটি শক্তিশালী এবং পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার
দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা দিন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps গুলোর নাম জেনে নিন
দ্বিতীয়ত, ছোট প্রকল্পে প্রথমে আবেদন করুন, কারণ নবীন ফ্রিল্যান্সাররা বড় প্রকল্প
পেতে কিছুটা সময় নেন। তৃতীয়ত, কভার লেটারটি ব্যক্তিগত এবং প্রাসঙ্গিকভাবে তৈরি
করুন, যেখানে আপনি ক্লায়েন্টের প্রকল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার দক্ষতা তুলে
ধরেন। এছাড়া, নিয়মিত কাজের আপডেট এবং দ্রুত উত্তরের জন্য চেষ্টা করুন, যা আপনার
পেশাদারিত্ব প্রকাশ করবে।
আপওয়ার্ক কোন ধরনের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস?
উপরোক্ত আলোচনায় আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়
জানিয়েছি চলুন এখন আপওয়ার্ক কোন ধরনের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস? সম্পর্কে
জানি। আপওয়ার্ক একটি প্রিমিয়াম ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, যা স্বাধীন পেশাজীবীদের
জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করে। এখানে বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন প্রকল্পের
জন্য ফ্রিল্যান্সারদের ভাড়া করেন।
এটি ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, মার্কেটিংসহ নানা ক্ষেত্রের কাজের
জন্য প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রোফাইল
তৈরি করে এবং ক্লায়েন্টদের কাছে কাজের প্রস্তাব পাঠায়। আপওয়ার্কে দক্ষতা,
অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে কাজের সুযোগ তৈরি করা যায়।
Upwork com কাজের তালিকা
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলাম
চলুন এখন জানি Upwork com কাজের তালিকা সম্পর্কে। এখানে Upwork.com-এ পাওয়া
বিভিন্ন ধরনের কাজের তালিকা দেওয়া হলোঃ
গ্রাফিক ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- ব্র্যান্ডিং
- ফ্লায়ার, পোষ্টার ডিজাইন
- ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন
- অ্যানিমেশন ও ভিডিও এডিটিং
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
- WordPress, HTML, CSS, JavaScript, React, Angular
কনটেন্ট রাইটিং
- ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং
- কপিরাইটিং
- প্রোডাক্ট ডিসক্রিপশন
- SEO কন্টেন্ট রাইটিং
- ইবুক রাইটিং
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- আইওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটাল মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- পে-পার-ক্লিক (PPC) ক্যাম্পেইন
- ইমেইল মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
অর্থনীতি ও হিসাব
- একাউন্টিং
- ট্যাক্সেশন
- ফিনান্সিয়াল অ্যানালিসিস
- বুককিপিং
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রশাসনিক সহায়তা
- ইমেইল ম্যানেজমেন্ট
- ডেটা এন্ট্রি
- ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট
ভয়েস ও অডিও কাজ
- ভয়েসওভার
- অডিও এডিটিং
- পডকাস্ট প্রোডাকশন
- সাউন্ড ডিজাইন
অনুবাদ ও ভাষা
- ট্রান্সলেশন
- টেক্সট ট্রান্সক্রিপশন
- ভাষার শিক্ষা
আইটি সাপোর্ট ও সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
- সার্ভার ম্যানেজমেন্ট
- আইটি সাপোর্ট
- ক্লাউড সলিউশন
এই কাজগুলির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ
করতে পারেন। Upwork-এ কাজের তালিকা সময়ের সাথে আপডেট হয়, তাই প্রতিনিয়ত নতুন
সুযোগের খোঁজ পাওয়া যায়।
Upwork এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলাম
চলুন এখন জানি Upwork এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? সম্পর্কে। আপওয়ার্ক (Upwork) এর
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অলিভার (Olu) আর. সাওসা, স্টিফেন (Stephan) শেন এবং রিচার্ড
(Richard) ম্যাকগোল্ড্রিক। তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে এটি প্রথমে,
"ইল্যান্স (Elance)" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে
২০১৫ সালে, ইল্যান্স এবং oDesk এর মেলবন্ধন ঘটে, যার ফলে এটি আপওয়ার্ক নামে
পরিচিত হয়। বর্তমানে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্স কাজের প্ল্যাটফর্মগুলোর
একটি হিসেবে পরিচিত।
লেখক এর মন্তব্য- আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় ইত্যাদি ছাড়াও আপওয়ার্ক সম্পর্কে জানা-অজানা
বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি
আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য
শেয়ার করবেন।
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url